তোমার নামে লেখা চিঠি পর্ব ৪৭
নওরিন মুনতাহা হিয়া
রাত প্রায় তখন নয়টা বিছানার উপর থাকা ফোন অনবরত বেজে যাচ্ছে। ভয়ে ভয়ে এগিয়ে যায় সেইদিকে অরণ্য, সারা শরী যেনো কেঁপে উঠছে। আজ নিজেকে বড্ড ভীতু পুরুষ বলে মনে হচ্ছে, যদি সে ইনায়াকে হারিয়ে ফেলে তবে কি করে বাচঁবে। ইনায়ার হারিয়ে যাওয়ার ভয় তাকে কুঁড়ে কুড়ে খাচ্ছে, আগন্তুক শএু যদি তার রাগ আর জেদের কারণে ইনায়ার কোনো ক্ষতি করে দেয় তখন কি হবে। হাজারো অজানা ভয় এখন অরণ্যর মন জুড়ে রয়েছে, বড্ড উদাসীন লাগছে নিজেকে। বিছানা থেকে তার দুরত্ব প্রায় দশ সেকেন্ডের, তবে তার পা এখন স্থির হয়ে গেছে। মনের মধ্যে সাহস বাড়িয়ে এগিয়ে যায় বিছানার কাছে, এরপর ফোন হাতে নিয়ে রিসিভ করে। অপর পাশ থেকে একজন মহিলার কণ্ঠ শুনে যায়, অরণ্য বিচলিত হয়ে বলে ____
_____ “- ইনায়া কোথায় আপনি? একা একা রুম থেকে বের হয়েছেন কেনো? বিপদ হয়েছে কি কোনো? আপনি কোথায় আগে সেটা বলেন? ———–
°★ অরণ্যর এমন ভয়ার্ত কণ্ঠ শুনে ইনায়া ঘাবড়ে যায়। সে শুধু অরণ্যর জন্য সারপ্রাইজ পরিকল্পনা করার জন্য বাহিরে বের হয়েছে। অরণ্য তখন ঘুমিয়ে ছিলো, কিন্তু অরণ্য যে ঘুম থেকে উঠে সারা রুমে তাকে খুজঁবে আর এতো চিন্তা করবে দা ভাবতে পারে নাই। ইনায়া বলে ———
——- “- অরণ্য কি হয়েছে আপনার? এমন চিন্তা করছেন কেনো আমাকে নিয়ে? আর আমি এখন রিসোর্টের ছাদে অবস্থান করছি। আপনি আসুন এখানে ——-
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
°★ ইনায়ার কথা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই অরণ্য তার ফোন বিছানায় রেখে দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। রিসোর্টের ছাদে এসে পৌঁছায় অরণ্য, এতোখন তাড়াতাড়ি করে দৌড়ে আসার কারণে সে হাঁপিয়ে উঠে। অরণ্য সামনে দিকে তাকিয়ে দেখে, সেখানে ঘুটঘুটে অন্ধকার রয়েছে। রিসোর্টের বাহির থেকে আসা নিভু নিভু আলোয় এক সুন্দরী রমনী দাঁড়িয়ে রয়েছে। অরণ্যর মনে আগ্রহ প্রকাশ পায়, সে এগিয়ে যায় সুন্দরী রমনীর কাছে। সারা অঙ্গে তার লাল শাড়ি জড়ানো, কাঁধের উপর খোলা চুলগুলো এলেমেলো হয়ে রয়েছে। অরণ্য তার কাঁধের উপর হাত রাখে, আড়ালে লুকিয়ে রাখা রহস্যময়ী মেয়েকে নিজের দিকে ঘুরায়।
°★ সুন্দরী রমণীর রুপের দিকে তাকিয়ে অরণ্য ঘায়েল হয়ে যায়। ঠিক সে সময় সমস্ত ছাদ জুড়ে কৃত্রিম আলো ছড়িয়ে পড়ে, অরণ্য চারদিকে তাকিয়ে দেখে সেখানে হাজারো মোমবাতি আর ফুলের পাপড়ি রয়েছে। অরণ্য হয়তো কিছু বুঝে যায়, যার ফলে তার মুখে হাসি ফুটে উঠে। তবে রিসোর্টের ছাদে থাকা সমস্ত সৌন্দর্যের মাঝে তার চোখ শুধু ইনায়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। অদ্ভুত সুন্দর তার বউ, যার রূপের প্রশংসা করতে হলে তার হাজার বছর সময় লাগবে। এমন নিখুঁত সৃষ্টির বর্ণনা করার জন্য, হাজার বার জন্ম নিতে হবে। অরণ্যর এমন মুগ্ধকর চাহনি ইনায়ার লজ্জার কারণ হয়, সে তার লাজুক দৃষ্টি নিচের দিকে রাখে। অরণ্য সয়তানি হাসি দিয়ে বলে –
——– “- বউ দেখি একদম বাসর রাতের আয়োজন করে ফেলেছে। কি বউ কাহিনী কি? সত্যি হানিমুন করতে চাও বউ? ——-
°★ অরণ্যর এমন লাগামহীন কথাটা শুনে অষ্টাদশী কন্যার লজ্জা যেনো দিগুণ বেড়ে যায়। অরণ্য ইনায়ার এমন লাজুর চেহারা দেখে, শব্দ করে হাসে। লাজুক ইনায়া তার লজ্জা নিবারণ করার জন্য, অরণ্যর বুকে স্থান নেয়। অরণ্য তার প্রিয়তমাকে জড়িয়ে নেয় তার বুকে, শক্ত করে দীর্ঘ সময় ধরে আলিঙ্গন করে। এরপর ইনায়া অরণ্যর বুক ছেড়ে হাঁটু নিচ করে বসে, পাশে থাকা এক টেবিল থেকে আংটি নিয়ে তাকে প্রপোজ করে। অরণ্য অবাক হয়ে দেখে যায় ইনায়ার কাজকর্ম, ইনায়া আলতো হেঁসে বলে –
_____ “- আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি অরণ্য। নতুন করে আবার আপনার সাথে জীবন শুরু করতে চাই? সুখ ও শান্তির সংসার করতে চাই? বলুন সারাজীবন কি থাকবেন আমার আশে? ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবেন আমায়? ভালোবাসি ———-
°★ ইনায়ার বলা প্রতিটা কথা অরণ্যর কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়। তার ইনায়া সত্যি তাকে ভালোবাসে? আজ সর্বপ্রথম ইনায়ার কণ্ঠ থেকে তার নামে ভালোবাসি শব্দটা উচ্চারিত হয়েছে। জীবনে হয়তো এরচেয়ে সুখের মূহুর্ত কোনো দিন আসে নাই, আজ অরণ্যর ভালোবাসা সার্থক মনে হলো৷ অরণ্য হাঁটু নিচুঁ করে বসে যায়, এরপর ইনায়ার হাতের আংটি নিয়ে বলে ——-
——- “- ভালোবাসি আপনাকে আমি ইনায়া। শুধু এই জন্মে নয় পরের জন্ম বলে যদি কিছু থাকে, সেই জন্মে ও যেনো আবার দেখা হয় আমাদের। তখন ও শুধু আমি আপনাকে ভালোবাসব, সারাজীবন আগলে রাখব খুব ভালোবেসে। কখনো এই কাজলরেখা চোখে পানির বিন্দু পড়তে দিব না, ভালোবাসি তোমায় ইনায়া “।
°★ রিসোর্ট থেকে দূরে দাঁড়িয়ে একজন অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে ইনায়া আর অরণ্যর দিকে। যদিও তার দূরত্ব তাদের থেকে অনেক,যার জন্য স্পষ্ট হয়ে সবকিছু দেখা যাচ্ছে না। তবুও দুইজন নবদম্পতি র প্রপোজ আর সুন্দর মূহুর্তের অনেক কিছুই বোঝা যাচ্ছে। অপরিচিত লোকটা আর কেউ না ইভান, সে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে দেয়। শুধু জেদ, আর অহংকারের কারণে মানুষ তার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হারিয়ে ফেলে। যখন সে তার ভুল বুঝতে পারে, তার প্রিয় মানুষ বা জিনিসকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। তখন সেটা অনেক দূরে চলে যায়, কখনো বা অন্য কারো হয়ে যায়। সময় থাকতে যদি মূল্যয়ান না করা হয়, তবে হারিয়ে গেলে আফসোস করে কোনা লাভ হয় না।
°★ সিঁড়ি দিয়ে উপরে এসে ইভানের পিছনে একজন দাঁড়ায়, যার নাম প্রভা। মূলত ইভানকে রুমে দেখতে না পেয়ে সে এখানে আসে, সামনে থাকা ইভানের দৃষ্টি অনুসরণ করে সে ওইদিকে তাকায়। দূরে রিসোর্টর ছাদে একজোড়া নবদম্পতিকে দেখা যাচ্ছে, ওই রিসোর্ট যেহেতু ইনায়া আর অরণ্য বুক করেছে হয়তো সেখানে তারা রয়েছে। ইভানের দৃষ্টি যেনো স্থির হয়ে তাদের দেখে যাচ্ছে, প্রভার বুকে ভীষণ কষ্ট অনুভব হচ্ছে তার। তবে কি ইভান এখনো ইনায়াকে ভুলতে পারে নাই, আজ ও ইনায়াকে ভালোবাসে ইভান? প্রভন তার আনমনে ভাবা কথাটা শুনে তার কষ্ট হয়, তবে কি প্রভার প্রতি ইভানের কোনো অনূভুতি নেই। শুধু কি ইভান তাকে বন্ধুর নজরে দেখেছে এতোটা বছর, কিন্তু প্রভাতো ইভানকে ভালোবাসে।
°★ গত দুইবছরে ইভানের প্রতি তার মুগ্ধতা আর ভালোবাসার পরিমাণ দিগুণ বেড়ে গিয়েছে। প্রভার কেনো যানি খুব কষ্ট হচ্ছে, কান্না করতে ইচ্ছা করছে তার। ইভানের দৃষ্টিতে সে যে ভালোবাসা দেখেছে ইনায়ার প্রতি, সেটা প্রভার জন্য কোনো দিন ছিলো না। প্রভার ভালোবাসা শুধু একতরফা হয়ে থেকে গেলো। প্রভা আর কোনো কথা বলে না, নিঃশব্দে, নীরবে চলে যায় সেখার থেকে। তার চোখ থেকে অজস্র পানির বিন্দু গড়িয়ে পড়ছে।
°★ অন্যদিকে রিসোর্টের ছাদে অনেক সময় কাটিয়ে হোটের রুমে ফিরে আসে তারা। অরণ্য ইনায়াকে কোলে তুলে নেয়, ইনায়া কোনো রকম বাধা প্রধান করে না। এবং শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ইনায়াকে, রুমে গিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে দেয় ইনায়াকে। এরপর তার এলেমেলো চুল কানের পিছনে গুঁজে দেয়। আজ সারারাত ইনায়ার উপর রাজত্ব চলে অরণ্যর, ইনায়ার সমস্ত অস্বস্তি জুড়ে মিশে যায় সে। পূর্ণতা পায় তাদের ভালোবাসা।আর ইভান আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের নামে অভিযোগ করে যায়, সব দোষ শুধু তার সে আজ সর্বহারা। [ গল্পটা রোমান্টিক কিছু দিলাম না কারণ আমার গল্পটা নানু পড়ে, যদি উল্টো পাল্টা কিছু লেখি তবে লাথি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিবে ]
°★ রাত প্রায় তিনটা ইনায়া এখন অরণ্যর বুকে শুয়ে রয়েছে, লজ্জায় ইনায়ার মুখ একদম লাল হয়ে গেছে। যা দেখে অরণ্য শব্দ করে হাসে, আর বলে ____
——- “- কি বউ হানিমুন করার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে? আজ থেকে অরণ্য রাজ চৌধুরী সম্পূর্ণ তোমার। আর শোনো বউ তুমি ও শুধু আমার। ভালোবাসি তোমায় বউ অনেক ভালোবাসি “।
___★ অরণ্যর কথা শুনে ইনায়া ওর বুকে ঘুষি দেয়, অরণ্য বলে ——-
_____ “- বাসর করতে চাইলে তুমি এখন আমায় মারছ কেনো? বউ তুমি আমার সবর্নাশ করে দিলে, এখন মানুষের সামনে মুখ দেখাব কি করে? হায়রে কি সর্বনাশ হয়ে গেলো আমার?
°★ অরণ্যর এমন নাটক দেখে ইনায়া মারার গতি বাড়িয়ে দেয়। এরপর একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল প্রায় নয়টার দিকে ঘুম ভেঙে যায় ইনায়ার, অরণ্য এখনো ঘুমিয়ে পড়েছে। কালকে রাতের ঘটনার কথা মনে পড়ে ইনায়ার লজ্জা লাগছে। ইনায়ার হাটঁতে একটু অসুবিধা হচ্ছে, তবুও কোনো রকম হেঁটে ওয়াশরুমে যায়। অরণ্যকে ঘুম থেকে ডাকে না, ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসে। প্রচুর খুদা লাগছে তার, যার কারণে রুম থেকে বের হয়ে রিসোর্টে যায়।
°°★ রুমের বাহিরে অনেক মানুষ, প্রতৈকে পুরুষ। সকলে ইনায়ার দিকে কেমন করে যেনো তাকিয়ে রয়েছে, যা দেখে ইনায়া ভয় পেয়ে যায়। আসলে এরা প্রতৈকে অরণ্যর লোক, যাদের ইনায়ার উপর নজর রাখার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইনায়া ধীর গতিতে ছুটে যায় রিসাের্টের পাশে এক রেস্টুরেন্টে, প্রায় অনেক মানুষের ভীড় সেখানে। ইনায়া তার আর অরণ্যর জন্য খাবার অর্ডার দেয়, রিসোর্ট থেকে সামান্য দূরে সমুদ্র রয়েছে। দেখতে ভীষণ সুন্দর, সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ মনোরোম পরিবেশ সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ। ইনায়া সেখানে ছুটে যায়, সমুদ্রের স্রোতে পা ডুবিয়ে অল্প সময় বসে থাকে।
°★ মূলত ইভান ও সেখানে এসেছে খাবার অর্ডার করতে, তবে আসার সময় ইনায়াকে দেখে থেমে যায়। তার কাছে যায়, পিছন থেকে বলে উঠে ——-
______ “- ইনায়া তুমি এখানে? অরণ্য কোথায়? —–
°★ হঠাৎ করে পিছন থেকে ইভানের কণ্ঠ শুনে ইনায়া হাসি মুখে পিছনে ফিরে তাকায়। এরপর বলে ——-
_____”- ইভান ভাই আপনি এখানে?—–
—— “- রেস্টুরেন্টে খেতে খাবার অর্ডার করতে এসেছি। কিন্তু তুমি এখানে কেনো? অরণ্য কোথায়? —
_____ “- অরণ্য ঘুমিয়ে রয়েছে। আমি ও রেস্টুরেন্ট খেতে খাবার অর্ডার করতে এসেছি। কিন্তু এতো সুন্দর সমুদ্র দেখে এখানে ছুটে এসেছি ——-
°★ ইনায়ার কথার মাঝে ইভানের চোখ যায় তার শরীরের দিকে। ইনায়ার শরীরের কিছু অংশে লাল দাগ দেখা যাচ্ছে, যা দেখে ইভান মৃদ্যু হাসে। তবে সেই হাসির মধ্যে খুশি না, বরং কষ্ট লুকিয়ে রয়েছে। নিজের প্রিয় মানুষকে সারাজীবনের জন্য হারিয়ে ফেলার আপসোস রয়েছে। ইভান আর এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারল না, সে বলে –
——” ইনায়া তুমি থাকো? আমি তাহলে রেস্টুরেন্টে যায়। সকাল নয়টা বেজে গেছে খাবার অর্ডার করে আসি “।
°★ রিসোর্টের একটা নিয়ম রয়েছে এখানে আপনার নিজের খাবার নিজেকে অর্ডার করে খেতে হবে। রেস্টুরেন্টে থেকে খাবার অর্ডার করবেন, এরপর সেটা হোটেলে নিয়ে খাবেন। ইভান চলে যায়, ইনায়া অল্প সময় সমুদ্র বিলাস করে। এরপর অর্ডার করা খাবার কথা মনে পড়ে, আর তাছাড়া যদি অরণ্য ঘুম থেকে উঠে ইনায়াকে না দেখে তবে টেনশন করবে। যার জন্য ইনায়া সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়। কিন্তু হঠাৎ একজন তার সামনে এসে দাঁড়ায়, ইনায়া তার দিকে ভ্রু কুচঁকে তাকিয়ে দেখে। সে হাত দিয়ে দূরে থাকা গাড়িকে উদ্দেশ্য করে বলে আসতে।
°★ সকাল প্রায় নয়টা ১৫ মিনিট অরণ্য এখনো ঘুমিয়ে রয়েছে। হঠাৎ তার ফোন বেজে উঠে, অরণ্য বিরক্ত হয়ে ফোন রিসিভ করে। তার চোখ এখনো বন্ধ, কোনোরকম ফোন রিসিভ করে ঘুম ঘুম কণ্ঠে বলে —-
তোমার নামে লেখা চিঠি পর্ব ৪৬
_____ “- হ্যালো কে?
অরণ্যর কণ্ঠ শুনে ফোনের অপর পাশে থাকা লোক হাসে এরপর বলে ———
____ “- ঘুম থেকে উঠে বউয়ের লাশ দেখার জন্য রেডি হয়ে যাও অরণ্য। ইনায়ার মৃত্যু নিশ্চিত, আজ রাতের মধ্যে লাশ পৌঁছে যাবে তোমার কাছে। কবর দেওয়ার জন্য রেডি থেকো “।
°★ হঠাৎ এমন কথা শুনে চোখ খুলে যায় অরণ্যর। বিছানা থেকে উঠে তাড়াহুড়ো করে বলে —–
____ হোয়াট? ইনায়া কোথায়? ইনায়া?