তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ১০
অহনা আক্তার
রাতে বাড়ি ফিরেই ফারিশ আগে তার নানিজানের সাথে দেখা করতে ওনার রুমে যায়। মুসকান আর ফাইজা তখন সরমিলা বেগমের রুমেই ছিল। সরমিলা বেগমই তাদের ডেকে পাঠিয়েছিল। ফাইজার জন্য কিছু গিফট আর মুসকানের জন্য চুড়ি আর স্বর্ণের চেইন এনেছিল সরমিলা বেগম। সেইগুলো দিতেই তাদের ডেকেছে। ফাইজা নিজের গিফট পেয়ে খুশি হয়ে চলে যেতে পারলেও মুসকান যেতে পারেনি। তাকে সরমিলা বেগম আটকিয়ে দেন। ওনার নাকি কি কথা আছে মুসকানের সাথে। কিন্তু সরমিলা বেগম মুসকানকে কিছু বলার আগেই সেখানে ফারিশ এসে পরে। নাতিকে দেখা মাত্রই সরমিলা বেগম ভুবন বুলানো হাসি দিয়ে বলেন,
— ‘আইসা পড়ছে আমার চান্দের টুকরা। আমার চাঁদ নানুভাই, আমার মিষ্টি নানুভাই, আমার মানিক। ফারিশের থুতনিতে হাত বুলিয়ে সেই হাত আবার নিজের মুখে নিয়ে চুমু খেয়ে কথা গুলো বলছেন সরমিলা বেগম।’
মুসকানের সামনে এইভাবে বলায় ফারিশ কিছুটা লজ্জা পেয়ে গেল। মুসকান ঠোঁটে হাত চেপে হাসছে। ফারিশ এসে তার নানিজানের গলা জড়িয়ে ধরে লাজুক কণ্ঠে বলল,
— কি যে বলো না নানিজান আমি কি এখোনো ছোট আছি।
সরমিলা বেগম মুখ মুচরে বলেন,
— এ্যাহহহ্ ভাবিস না বিয়া করছোস বইলা বড় হইয়া গেছোস। আমার কাছে তুই এহোনো হাপ্পেন্ড পড়া হেই ছুডো ফারিশ ওই আছোস।
ফারিশ মুসকানের দিকে আড়চোখে একবার তাকিয়ে মাথা চুলকে বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
— আচ্ছা থাকনা নানিজান। কেমন আছো ওইটা বলো?
সরমিলা বেগম দীর্ঘশ্বাস টেনে বলেন,
— আমি আর কেমন থাকমু। এই বুইড়া বয়সে নাতবউ দেহার লাইগা নাকি আমারে ওতো দূর থেইকা ছুইটা আইতে হয় ! ক্যান তোরা কি করছ হারাদিন? একবার যাইয়া এই বুইড়া নানিডারে দেইক্কা আইলে কি হয় ?
ফারিশ তার নানিজানের পাশে বসে মুচকি হেসে বলল,
— তোমাকে কে বলে আসতে? একেবারে এখানে থেকে গেলেইতো পারো।
— দেখ তাও একবার ওইহানে যাবি কইতি না। আমিও কইয়া দেই, এইবার যদি তোরা কেউ তগো নানাজানের মৃত্যু বার্ষিকির দিন না গেছোস তো আমিও আর এই বাড়িত পা রাহমু না!
— এসব কি কথা নানিজান? পা রাখবানা মানে কি? মা তো প্রতিবছরই যায়। আমিতো জানোই একটু ব্যস্ততার জন্য..
— থাহোক তোর ব্যস্ততা। হারাক্ষন খালি কাম আর কাম। এতো পয়সা দিয়া কি করবি? তোর বাপের কি কম আছে! পোলাপাইন ওতো নাই যে এইগুলাইনের পিছে ভাঙবি!
ফারিশ সরমিলা বেগমের কথা শুনে মৃদু হাসে। হেসেই বলে,
— ওকেহ ডান! আমি তোমায় প্রমিজ করছি এবার আমরা সবাই গিয়ে কিছুদিন ঘুরে আসবো ওখান থেকে। রাগ কমাও এখন।
সরমিলা বেগম নাতির মুখে হাত বুলিয়ে হাসেন।
মুসকান এতোক্ষণ চুপচাপ বসে ওদের নানি, নাতির কথা শুনছিল। এতোক্ষণে সে একটু নড়েচড়ে বসে আওয়াজ দেয়,
— আমি তাহলে আসি নানিজান?
সরমিলা বেগম সাথে সাথে ঘাড় ঘুরিয়ে মুসকানের দিকে তাকান,
— এই ছ্যামরি তোরে আমি যাইতে কইছি? কইলাম না কথা আছে।
সরমিলা বেগমের কড়া গলা শুনে মুসকান আর কিছু বলার সাহস পেল না। চুপচাপ মাথা নুইয়ে বসে রইল। ফারিশ সন্দিহান গলায় বলল,
— ওর সাথে কি কথা তোমার?
— হেইডা আমি হের সাথেই কমু। তুমি এহন যাওতো নানুভাই বাইরে থেইকা আইসো বিশ্রাম নাও গিয়া। তোমার বউ একটু পরে আইতাছে। ফারিশ ভ্রু কুঁচকে মুসকানের দিকে একবার তাকিয়ে নিজের ঘরের দিকে চলে গেল। যাওয়ার পথে ভাবতে লাগলো, ‘নানিজান কি এমন বলবে মুসকানকে যে তার সামনে বলা যায় না! ওল্টা পাল্টা কথা বলে মেয়েটাকে আবার কাঁদিয়ে না দেন।
সরমিলা বেগমের রুম থেকে বের হতেই মুসকানের গাল মুখ সব গরম হয়ে গেল। গাল,গলা লাল আভায় ছড়িয়ে পড়ল। এমন কথা সে এর আগে কখনো শুনেনি। লজ্জায় চোখ বুঝে শুধু দৌড় মেরেছে। এখন তার ফারিশের সামনে যেতেও কেমন অস্বস্তি হচ্ছে। বাচ্চা নিয়ে কেউ এভাবে খোলাখুলি আলোচনা করে ছিঃ। এই জন্যই বলে নানি দাদিদের মুখের কোনো লাগাম নেই ।
ফারিশ বিছানায় আধশোয়া হয়ে মোবাইল টিপছিল। মুসকানকে আসতে দেখে ফোনে নজর রেখেই বলল,
— নানিজান ছাড়লো তাহলে ! তা রাত বারোটা পর্যন্ত কি ভাষণ শুনালো তোমায়?
নানিজানের কথা গুলো মনে পড়তেই মুসকানের গাল আবার গরম হয়ে ওঠলো। সে আমতা আমতা করে বলল,
— কি..কিছুনা! আপনাকে খাবার দেবো?
— না আমি খেয়ে এসেছি। একটু এদিকে আসোতো?
মুসকান এগিয়ে গেল। ফারিশ বলল,
— বসো!
মুসকান বসলো।
— এভাবে না বিছানায় পা ভাজ করে বসো।
মুসকান সেভাবেই বসল। মুসকান বসা মাত্রই ফারিশ তার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ল।
মুসকান অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,
— একি আপনি এভাবে শুলেন কেন?
ফারিশ হাতের ফোন রেখে চোখ বুঝে নিল,
— কথা বলো নাতো। মাথাটা টিপে দাও। ঘুম আসছেনা!
মুসকান ফারিশের মাথা ঠেলেঠুলে তার কোল থেকে ওঠানোর চেষ্টা করে বলল,
— আমি পারবো না। আপনি মাথা টিপে দেওয়ার নাম করে প্রতিদিন আমার কোলে এসে এভাবে শুয়ে থাকেন আর আমার হাত-পা সব অবশ হয়ে যায়।
— অভ্যেস টা তো তুমিই করেছো। এখন আমার মাথায় তোমর হাতের ছোঁয়া না পেলে ঘুম আসেনা। জলদি করো।
— বালিশে শুন ঘুম আপনা আপনি এসে পড়বে। আমি এভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে পারবো না!
ফারিশ জোরপূর্বক মুসকানের হাত টেনে নিজের মাথায় রাখে,
— চুপচাপ মাথা টিপো। নাহলে নানিজান যা বলেছে সেটার প্রসেসিং শুরু করব।
মুসকান ঢুক গিলল। তার গলা দিয়ে শব্দই বের হচ্ছে না। সাহস সঞ্চয় করে বলল,
— আপনি জানেন নানিজান আমাকে কি বলেছে?
— জানিনা। তবে আমি আমার নানিজানকে চিনি।সে কি বলতে পারে সেই সম্পর্কে আমার ভালোই ধারণা আছে।
মুসকান আর কথা বাড়ালো না। ফটাফট ফারিশের মাথায় বিলি কাটতে লাগলো। বেশ কিছুক্ষণ চলে যাওয়ার পর ফারিশ একটু কাত হয়ে শুতেই তার চোখের সামনে ভেসে ওঠলো মুসকানের তুলতুলে পেটের কালো কচকচে তিলটা। ফাঁকা ঢুক গিলল ফারিশ। শুষ্ক ঠোঁট দুটো জিভ দিয়ে ভেজালো। কপালের চারপাশে বিন্দু বিন্দু ঘাম ফুটে ওঠেছে। মুসকানের সেইদিকে খেয়াল নেই। সে বুঝতেই পারলো না তার শাড়ি ফাঁক হয়ে যাওয়ায় তার বরের যে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। সেতো আনমনে তার স্বামীর সফট চুলগুলোতে হাত বুলাতে ব্যস্ত। ফারিশ শক্ত করে চোখ বুঝে নিল। সেদিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে নিজেকে আটকে রাখতে পারবে না। কিন্তু তার অবাধ্য চোখ জোড়া যে বারণ মানছে না…
‘ পেটে ঠান্ডা জিভের স্পর্শ পেতেই মুসকানের সর্বাঙ্গ কেঁপে ওঠলো।’ চোখ বুঝে খামচে ধরল ফারিশের চুল। ফারিশ যেন আরো উন্মাদ হয়ে গেল। মুসকানের নরম পেটে নিজের পুরো মুখ ঢুকিয়ে দিয়ে অস্বাভাবিক ভাবে চু*মু দিতে লাগল। মুসকান আটকে আসা গলায় বলল,
–‘ থা মু ন ‘
ফারিশ থামলো না। বরণ মুসকানকে বিছানায় ফেলে তার ওপর থেকে শাড়ির আঁচল সারিয়ে ফেলল। এবার শান্তিতে পেটের তিলটায় চু*মু খেতে লাগল। অবাধ্য হাত ততক্ষণে মুসকানের শরীরে চলে গিয়েছে। ব্লাউজের ফাঁক দিয়ে ফারিশের হাত একটু উপরে ওঠতেই মুসকান ফুপিয়ে ওঠলো। ফারিশ মুসকানের গালে আলতো করে ঠোঁট ছুয়ে নেশাতুর কণ্ঠে বলল,
— এটা স্বাভাবিক মুসকান। দেয়ার ইজ নাথিং টু ফিয়ার।
মুসকানের শ্বাস আটকে গেল। ফারিশ মুসকানের ব্লাউজের হুক খুলতে খুলতে তার গলায় মুখ ডুবালো। মুসকান এইবার শব্দে করেই কেঁদে দিল।
ফারিশ মেজাজ হারালো। জিদ্দে ওঠে বসে বিছানার বালিশ ছোড়ে মা’রল। মুসকানও ভয়ে ভয়ে ওঠে বসেছে। শাড়ির আচল ঠিক করে ফারিশের দিকে তাকাতেই তার ভয়ংকর লাল চোখ জোড়া দেখে অন্তর কেঁপে ওঠলো। ফারিশ কিছু না বলে ধুপধাপ পায়ে বারান্দায় চলে গেলো। পেশিবহুল হাত দুটি মুঠি বদ্ধ করে বারান্দার রেলিঙ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। রাগে তার মাথা ফেটে যাচ্ছে।
মুসকান আলতো পায়ে সেখানে প্রবেশ করল। মাথা নুইয়ে নিচু স্বরে বলল,
— স..স’রি আর হবে না আপনি কা..কান্টিনিউ করতে পারেন। আমি আর কাঁদব না।
ফারিশ উল্টো ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে। মুসকান সাহস করে আরেকটু এগিয়ে গেল। ফারিশকে কিছু বলতে না দেখে ভয়ে ভয়ে বলল,
— বললাম তো সরি। আর এমন হবে না। প্লিজ রুমে আসুন।
ফারিশ শক্ত চোখে তাকালো মুসকানের দিকে । গম্ভীর স্বরে বলল,
— যাও গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।
মুসকান কিছু বলতে নিচ্ছিল। ফারিশ ধমক দিয়ে বলল,
— প্লিজ গোওও! আমার সামনে কখনো এভাবে শাড়ি পরে পে*ট, পি*ঠ বের করে ড্যাং ড্যাং করবা না। তোমার ধারে কাছেও আর ঘেঁষতে চাই না আমি।
মুসকান কাঁদতে কাঁদতে রুমে চলে আসল। ফারিশকে বার বার বাঁধা দিয়ে তার নিজেরই এখন গিলটি ফিল হচ্ছে। লোকটা তার স্বামী। ওনার অবশ্যই অধিকার আছে তার কাছে আসার। কিন্তু সে কেন এটা স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারেনা কেন! খাটের এক কোনায় বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে মুসকান।
ফারিশ রুমে এসে লাইট অফ করে ডিরেক্ট সোফায় গিয়ে শুয়ে পরেছে। তা দেখে মুসকান আরো বেশি করে কাঁদতে লাগলো।
সকাল সকাল মুসকান কে দিয়ে মুরগীর মাংস রান্না করাচ্ছে সরমিলা বেগম। ওনি নাকি নাত বউয়ের হাতের রান্নার স্বাদ দেখবেন। তাজমহল সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেলে সরমিলা বেগম তাকে আটকিয়ে নিজের সামনে বসিয়ে রাখেন। জীবনে একা একা একটা ডিম ভেজে না খাওয়া মুসকান আজ একা একা মরগী রান্না করছে। কখন কোনটা দিবে কিভাবে রাঁধবে কিছুই বুঝতে পারছে না সে। রান্না ঘরের অবস্থাও যা তা করে ফেলেছে। দু’ঘন্টা ব্যবধানে মুরগীর মাংস রান্না করে মুসকান বাইরে বেরিয়ে আসল। ডাইনিং এ ততক্ষণে সকলে নাশতার জন্য বসে। মুসকান এসে সবার আগে মাংসটা সরমিলা বেগমের প্লেটে বেড়ে দিল। উনি নাকি এলার্জির জন্য গরু খেতে পারেননা। তাজমহল টেনে মুসকানকে ফাইজার পাশে বসিয়ে দিল।
— বসো এখানটায়। ঘেমে টেমে কি অবস্থা করেছো নিজের।
মুসকান জোরপূর্বক হেসে সরমিলা বেগমের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। তার বুকের ভিতর ধুকপুক করছে। কেমন হয়েছে সে অনেকটা আন্দাজ করে ফেলেছে। এবার সরমিলা বেগমের রিয়াকশন দেখার পালা। সরমিলা বেগম একটা মাংসের টুকরা নিয়ে মুখে পুড়তেই ওনার চোখমুখ বড় আকার ধারণ করল। থু*তু মেরে পুরোটাই মুখের ভিতর থেকে ফেলে দিল। পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে করতে চেচিয়ে বলল,
— ওয়াক্ থুঁ.. এইডা কোনো খাইবার আন্দাজ হইলো !! এই গুলাইন কি রানছো? মুখে নিবার পারতাছিনা! তোমার আম্মায় কি তোমারে কিছু শিখাইয়া পড়াইয়া বিয়া দেয় নাই?
মায়ের কথা তুলে বলায় মুসকানের মুখটা ছোট হয়ে গেল। টুপ করে চোখ থেকে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল। সে তো চেষ্টা করেছে। নিজের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। স্বাদ নাহলে কি করবে।
তাজমহল মুসকানের চোখে পানি দেখে তার আম্মাজানকে বলল,
— থাকনা আম্মাজান। ছোট মেয়ে যতটুকু পেরেছে করেছে। ফারিশের বাবা এইগুলো জানতে পারলে খুব রাগারাগি করবেন।
— তুই থাম। ছুডো হইলে মাইয়া এহন বিয়া দিছে কেন?বড় বানাইয়া দিতে পারলো না?
মুসকানের চোখ থেকে টুপটাপ অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়ছে। ফারিশ সবে মাত্র তৈরি হয়ে নিচে নেমেছে। একটা চেয়ার টেনে বসতে বসতে প্রশ্ন করল,
— কি হয়েছে সকাল সকাল এতো সোরগোল কিসের?
নানিজান উত্তর দিল,
— তোর বউ মুরগী রানছে! নুনও হয় নাই ঝালও হয় নাই।
— তো কি হয়েছে? যার যতটুকু প্রয়োজন দিয়ে খাবে।
এটা নিয়ে এতো চেচামেচি করার তো আমি কিছু দেখছি না !
ফাইজা ফিক করে হেসে দিল। নানিজান মনে হলো আকাশ থেকে পড়ল।
— দুইদিন হইছে না বউ আইছে তার লাইগা তুই তোর নানিজান রে এমনে কইতে পারলি ফারিশ?
ফারিশ ভ্রুক্ষেপহীন ভঙ্গিতে বলল,
তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ৯
— কীভাবে বলেছি নানিজান? মুসকান আর ফাইজা সেম বয়সী। যেহেতু ফাইজা কিছু পারে না সেহেতু মুসকানেরও কিছু না পারাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাহলে তুমি কেন এই সামান্য কারণে মুসকানের মা তুলে কথা বললে? এই একই কাজ যদি ফাইজার সাথে হয় আর তোমার মেয়েকে তুলে এইভাবে কথা বলে তাহলে তোমার কেমন লাগবে?
নানিজান চুপসে গেলেন। কিছু বলার মতো খুঁজে পেলেন না। মুসকান অবাক আর মুগ্ধ চোখে তাকালো ফারিশের দিকে। কিন্তু ফারিশ তাকালো না। কাটা চামচের টুংটাং শব্দ তুলে খুব সুন্দর করে ব্রেকফাস্ট করতে লাগলো। রাত থেকেই সে মুসকানের উপর কেমন রেগে।