তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ৮

তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ৮
অহনা আক্তার

সবে মাত্র সাওয়ার থেকে বেড়িয়ে চুল মুচ্ছিল ফারিশ। বিছানার এক কোনায় নিজের দামি ফোনটাকে অসহায় ভাবে পরে থাকতে দেখে হাতে নিল। রাইট বাটনে ক্লিক করতেই একেরপর এক নোটিফিকেশন এসে বারি খেতে লাগলো ফোনে। ভ্রু কুঁচকে এল কুদ্দুস, নিহান, রমিজের অসংখ্য মিসকল দেখে। সে কল বেক করার আগেই আবার কুদ্দুসের কল আসলো……..

মুসকান ফাইজার ঘরে বসে ফাইজার সাথে কথা বলছিল। ফাইজা স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে সাথে মুসকানকে তার স্কুল সম্পর্কে এটা সেটা জিজ্ঞেস করছে। মুসকান হাসি মুখেই নিজের স্কুল সহপাঠীদের কথা ফাইজার সাথে শেয়ার করছে। ফাইজাকে দেখে তারও স্কুলে যেতে ইচ্ছে করছে। মুসকান ফাইজার স্কুল ড্রেসের ভিবেল ঠিক করে দিচ্ছিল। হঠাৎ ফারিশের উচ্চ স্বরের কেঁপে উঠল। ফারিশ চিল্লিয়ে মুসকান কে ডাকছে। এমন ভাবে রেগে ডাকছে যে ফাইজাও কেঁপে উঠেছে। ‘কি হয়েছে ভাবি ভাইয়া এতো ক্ষেপে আছে কেন? কি করেছো তুমি?’
মুসকান নিজেও বুঝতে পারছে না সে কি করছে।
ফারিশ এখনও চিল্লিয়ে মুসকানকে ডাকছে,,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

— ‘মুসকানন, “মুসকানননন”
ফারিশের চিল্লানোতে ফাইজা আর মুসকান দু’জনেই দৌড়ে ফারিশের ঘরে আসল। রান্নাঘর থেকে তাজমহলও ছুটে এসেছে। ছেলেকে রেগে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করল,
— কি হয়েছে এভাবে চেচাচ্ছিস কেন?
ফারিশ মায়ের কথার উত্তর না দিয়ে মুসকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। গলা উঁচিয়ে বলে,
— হিয়াকে কি বলেছো তুমি?
মুসকান ভয় পায়। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলে,
— আমি তে..তেমন কিছু ব..বলিনি?
— তেমন কিছু না বললে ওহ এমন একটা স্টেপ নিল কি করে? তোমার সাহস কি করে হয় আমাকে না বলে আমার কল রিসিভ করার ???

ফারিশের ধমকে সিটিয়ে গেলো মুসকান। হাত-পা কাঁপছে অনবরত।
তাজমহল এগিয়ে এসে মুসকানকে ধরে। ছেলের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে,
— আরে হয়েছে কি বলবিতো? কি করেছে হিয়া? তুই মুসকানকে এভাবে ধমকাচ্ছিস কেন?
— হিয়া সু’ই’সা’ই’ড এটেম করেছে মা। হাতের র’গ কে*টে ফেলেছে।
— তো এখানে মুসকান কি করেছে? ওতো হিয়াকে ঠিক করে চিনেই না!
— সেটাতো তোমাদের মুসকানই ভালো করে বলতে পারবে মা। কাল রাতে হিয়া ওর সাথে কথা বলার পরেই নিজের হাত কে’টেছে!
মুসকান ভীত আওয়াজে বলল,
— বিশ্বাস করুন আমি কিছু…..
— শাট আপপপ! আর কোনো কথা বলবে না তুমি !! ফারদার আমাকে না বলে আমার ফোন ধরেছোতো তোমার খবর করে ছাড়বো আমি !!
তাজমহল ধমকে বলেন,

— কি হচ্ছে কি ফারিশ? মুসকানের সাথে এতো রোডলি কথা বলছো কেন তুমি? ওহতো বলছে ওহ কিছু করেনি? ওই হিয়া কী ধোয়া তুলসি পাতা যে কোনো অন্যায় করতে পারবে না। দেখো হয়তো নিজেই সুইসাইডের অভিনয় করে মুসকানের নাম বলছে, আস্ত বে*শরম মেয়ে একটা।
ওয়ালেট আর ফোন পকেটে ঢুকাতে ঢুকাতে ফারিশ বলল,
— আমি হসপিটালে যাচ্ছি। হিয়া খুব পা’গলামি করছে আমার জন্য..
তাজমহল দ্রুত এসে দরজা আটকে দাঁড়ালেন। কড়া নির্দেশে বললেন,
— কোথাও যাবে না তুমি। ওই বে’হায়া মেয়েটার কাছেতো নাই। আবার হিয়ার ভুত চেপেছে তোমার মাথায় না ? যার জন্য নিজের স্ত্রীকে এভাবে ধমকাচ্ছ তুমি!
ফারিশ বিরক্ত হয়ে বলল,

— মা এসব কি শুরু করেছো!! আমাকে যেতে দাও। আমি না গেলে হিয়া আরো বেশি পা’গলামি করবে। আমার মাথায় সে জ্ঞান আছে যে আমি বিবাহিত। অন্য কারো স্বামী। আমার স্ত্রী আছে।
ফাইজা মুসকানের কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলল,
— পা’গলামি করবে না ছাই। সব অভিনয় করছে দেখো গিয়ে। ভাবি আমি তোমাকে একটা কথা বলে দেই, তুমি ওই মেয়েটার কাছে একদম ভাইয়াকে যেতে দিও না। ওই মেয়েটা এখন শুধু সুযোগ খোঁজছে ভাইয়াকে নিজের আয়ত্তে নেওয়ার।
মুসকান কি বলবে বুঝতে পারছে না। তার শুধু কান্না পাচ্ছে। সে যেখানে কিছুই করেনি সেখানে তাকে কিভাবে ধমকাচ্ছে লোকটা। সে আর কোনো দিনও এই লোকের ফোনে হাত দিবে না। কোনো দিনও না।
তাজমহল কে এখনো দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ফারিশ বলল,

— বুঝার চেষ্টা করো মা। হিয়া হসপিটালের সবকিছু ভা’ঙচুর করছে। আমি না গেলে থামবে না। আমি কথা দিচ্ছি জলদি ফিরে আসবো।
— ঠিক আছে যাও। তবে মুসকান কে সাথে নিয়ে যাও। মুসকানকে ছাড়া আমি কিছুতেই তোমাকে ওই মেয়ের কাছে যেতে দিব না।
— মানে! মুসকান কে কেন….
— ব্যাস আমি আর কিছু শুনতে চাই না। ওখানে যেতে হলে তোমার মুসকান কে সাথে নিয়েই যেতে হবে। অন্যথায় যেও না। মুসকান কিছু বলতে নিলে তাকে হাতের ইশারায় থামিয়ে দিলেন তাজমহল।
ফারিশ বাধ্য হয়ে বলল,

— ওকে ফাইন। আসতে বলো ওকে।
ফাইজা খুশি হয়ে মুসকানকে চেপে ধরে বলল,,
— ভাবি দ্রুত যাও চেঞ্জ করে আসো।
ফারিশ রেগে বলল,
— আমরা বিয়ের দাওয়াতে যাচ্ছি না যে চেঞ্জ করতে হবে। যেটা পরে আছে এটাই এনাফ। এভাবেই আসতে বল। এই বলে ফারিশ হনহন করে বেড়িয়ে গেল।
তাজমহল মুসকানের কাছে এসে তার মাথায় সুন্দর করে ঘুমটা টেনে দিয়ে বলল,
— যাও। ফারিশের সাথে সাথে থাকবে সব সময়। ওই মেয়েকে কিছুতেই তোমার বরের কাছে ঘেষতে দিওনা। মুসকান মাথা নাড়িয়ে বেরিয়ে গেল।

____গাড়ির সামনে আসতেই মুসকান দাড়িয়ে পড়ল। ফারিশ অসহ্য কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল,
— আবার কি হলো? প্লিজ এখন বলো না তোমার গাড়িতে উঠলে ব’মি পায়। আমাদের জলদি যেতে হবে।
মুসকান আস্তে করে বলল,
— আমার দীর্ঘপথ না হলে ব’মি আসে না। কালকে করিনি দেখলেন না।
ফারিশ চেচিয়ে বলল,
— তাহলে দাঁড়িয়ে আছো কেন?
মুসকান চট জলদি ওঠে বসল। তার সাথে এমন কেন করে লোকটা সে এটাই বুঝতে পারে না।

হসপিটালে আসা মাত্রই হিয়ার কেবিনের দিকে ছুটে গেল ফারিশ। কেবিনের বাইরে থেকেই সে হিয়ার চিল্লাচিল্লি শুনতে পারছে। ফারিশ কেবিনে ঢুকা মাত্রই দেখতে পেল পুরো ফ্লোরের এখানে ওখানে কা’চ ছিটিয়ে আছে। তার বন্ধুবান্ধবিরা মিলে হিয়াকে থামানোর চেষ্টা করছে। হিয়ার চোখ লাল। চুল এলোমেলো। হাতে বে’ন্ডেজ। ফারিশ কোথায়, ফারিশ আসছে না কেন বলে অনবরত চিৎকার করছে । ফারিশকে কেবিনে দেখা মাত্রই হিয়া দৌড়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরল। কেঁদে কেঁদে বলতে লাগল,
— আমি জানতাম ফারিশ তুই আসবি। তুই আমার কাছে না এসে থাকতেই পারিস না। আমি জানি তুই আমাকে এখনো খুব ভালোবাসিস। তাইনা ফারিশ বল?
ফারিশ কিছু বলার আগেই হিয়া ফারিশের পিছনে মুসকানকে দেখতে পেল। যা দেখে হিয়া আগের থেকে আরো বেশি ভায়োলেন্ট হয়ে গেল। চেচিয়ে বলতে লাগল,

— এই মেয়ে এখানে কেন? ওকে এখানে কেন নিয়ে এসেছিস? এই মেয়ে আমার থেকে তোকে কেড়ে নিয়েছে। আমি একে ছাড়বো না। খু*ন করে ফেলবো খুন*** বলেই মুসকানের দিকে তেড়ে গেলে টয়া আর কুদ্দুস মিলে হিয়াকে আটকে ফেলে। মুসকান ভয়ে ফারিশের পিছনে লুকিয়ে তার টিশার্ট খা’মচে ধরেছে। ফারিশ মুসকান কে ধরে এক সাইডে নিয়ে গেলে মুসকান ফারিশের হাত নিজের কাঁপা কাঁপা হাত দিয়ে চেপে ধরে রাখে। যা দেখে হিয়া সাইড টেবিলে থাকা কা’চের গ্লাসটা মুসকানের দিকে প্রচন্ড বেগে ছুড়ে মা’রে। ততক্ষণাত ফারিশ মুসকানের সামনে দাঁড়িয়ে তাকে আগলে নেয়। মুসকান চোখ বুঝে ফারিশের বুকে মুখ লুকিয়ে ফেলে। আর এদিকে গ্লাসটা এসে ফারিশের পিঠে বারি খেয়ে ফ্লোরে পরে একদম ভে’ঙে গুড়িয়ে যায়। মুসকান ভায়ে এবার কান্নাই করে দিয়েছে। ফারিশ হিংস্র চোখে হিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,

— পা’গল হয়ে গেছিস ওকে এভাবে আ*ঘাত করছিস কেন ??
হিয়া ক্রুদ্ধ হয়ে বলল,
— একশো বার করবো হাজার বার করবো। তুই ওকে প্রটেক্ট কেন করছিস? তুই শুধু আমাকে প্রটেক্ট করবি আমায় ভালোবাসবি অন্য কাউকে না।
— ‘ সি ইজ মাই ওয়াইফ। আই ওইল ডেফিনিটলি প্রটেক্ট হার ‘
— ‘নো, ‘নেভার, আমি বাদে তোর ওয়াইফ হওয়ার অধিকার কারো নেই কারো না। হিয়া সমানে নিজের চুল টানছে আর বিলাপ করছে।
নিহান ফারিশের দিকে এগিয়ে এসে বলল,

— হিয়ার মাথা ঠিক নেই। তুই মুসকানকে কেন এখানে নিয়ে এসেছিস? যদি ওর কোনো ক্ষতি করে দেয়!
— আমি আনতে চাই নি। মা জোর করে পাঠিয়েছে।
তন্নি এগিয়ে এসে বলল,
— ঠিক আছে আমি মুসকানকে আমার সাথে নিয়ে যাচ্ছি এখন। মেয়েটা অলরেডি অনেক ভয় পেয়েছে।
ফারিশ বলল,
— থাক তার দরকার নেই। আমি নিজেই মুসকানকে নিয়ে চলে যাচ্ছি।
হিয়া চিল্লিয়ে ওঠে,,,
— না কোথাও যাবি না তুই।
ফারিশ এবার পকেটে হাত ঢুকিয়ে সাবলীল ভাবে দাঁড়ায়। তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বলে,
— এতো নাটক কেন করছিস বলতো? কি লাভ এগুলো করে? আমার বিয়ে হয়ে গেছে এটা তোকে মানতে হবে?
হিয়া অবাক কণ্ঠে বলে,

— কিহ বললি তুই আমি নাটক করছি?
— হ্যা অবশ্যই নাটক করছিস। যে মেয়ে আমার ভালোবাসা উপেক্ষা করে আমাকে রেখে চলে যেতে পারে সে নিশ্চয়ই সিমপ্যাথি পাওয়ার জন্য নাটকও করতে পারে। আমি আর তোকে বিশ্বাস করিনা। আর না তোর জন্য আমার মনে কোনো ফিলিংস আছে।
— এসব তুই কি বলছিস ফারিশ? মানছি আমার একটা ভুল হয়েছে। তাই বলে তুই আমাকে ভুলে যাবি? অন্য কাউকে বিয়ে করে নিবি? নিশ্চয়ই এই মেয়ে তোকে ফাঁসিয়েছে! (মুসকানের দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে)
মুসকান ফারিশের দিকে এসে আরেকটু গুটিয়ে দাঁড়ালো। ফারিশ মুসকানের দিকে একবার তাকিয়ে হিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলল,

— আমি কলেজে পরুয়া কিশোর না যে একটা বাচ্চা মেয়ে এসে আমাকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করে নেবে। তুই আমাকে বুঝিসনি এটা তোর ব্যর্থতা।
বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে বলল,
— তোরা না বলেছিলি ওর অবস্থা খুব ক্রিটিকাল। আমার জন্য নাকি ম’রতে ম’রতে বেঁচেছে? কই আমিতো দেখছি দিব্বি সুস্থ আছে। হ্যা সা’ইকো বিহেভ টা আগের থেকে বেড়েছে। যেটা ওর লোভী বাপ ঠিকই ঠিক করে নেবে।
বলতে বলতে সাইদ মাহমুদ কেবিনে হাজির। ফারিশকে দেখে চোয়াল শক্ত করে দাঁড়িয়ে রইলেন। হিয়া তার বাবাকে দেখে দৌড়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
— দেখোনা বাবা ফারিশ আমাকে ভুল বুঝছে! তুমি বলোনা আমি ওকে কতটা ভালোবাসি। ওই মেয়েটাকে ডিবোর্স দিয়ে আমাকে বিয়ে করতে।
ডিবোর্সের কথা শুনতেই মুসকানের মনটা অস্থির হয়ে ওঠলো। ফারিশ কি সত্যিই তাকে ডিবোর্স দিয়ে এই মেয়েটাকে বিয়ে করে নিবে!
সাইদ মাহমুদ মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে বেডে বসাতে বসাতে বলেন,

— বলব মামণি একটু শান্ত হও। তুমি অসুস্থ।
হিয়া তার বাবার কথায় খুশি হয়। সাইদ মাহমুদ ফারিশের সামনে এসে দাঁড়ান। ফারিশ ভ্রু কুঁচকে উনাকেই পর্যবেক্ষণ করছে। হিয়ার বাবা বলতে শুরু করেন,
— ভেবেছিলাম মেয়ের হয়তো ক্ষণিকের জন্য তোমাকে মনে ধরেছে তাই পা’গলামি করছে। তোমার থেকে দূরে চলে গেলে ঠিক হয়ে যাবে এই ধারণা ছিল মনে। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম। দুবছর যাবত মেয়ে আমার শুধু ফারিশ ফারিশই করে যাচ্ছে। বন্ধুর ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করেছিলাম হিয়ার। কিন্তু সে কিছুতেই তোমাকে ভুলতে পারছে না। আমাকে এক প্রকার পা’গল বানিয়ে দেশে এসেছে। মা ম’রা মেয়ে আমার। ছোটবেলা থেকে যখন যেটা চেয়েছে তাই দিয়েছি। কখনো কোনো আবদার অপূর্ণ রাখিনি। ওহ শেষ আবদার হিসেবে তোমাকে চেয়েছে। কিভাবে অপূর্ণ রাখি বলো? তাই মেয়ের এই আবদার টাও পূরণ করতে চলে এসেছি দেশে । কিন্তু দেশে এসে যখন জানতে পারি তোমার বিয়ে হয়ে গেছে! তাও মাত্র কয়েকদিন আগে! এটা আমার মেয়ে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। যেই জন্য এতোবড় একটা স্টেপ নিয়েছে । আমি আমার মেয়েকে কখনো কষ্টে দেখতে পারবো না। তাই তোমার কাছে মিনতি করে বলছি। তুমি এই মেয়েটাকে ডিবোর্স দিয়ে আমার মেয়েকে বিয়ে করে নাও। ডিবোর্সের জন্য যা যা দরকার লাগে সব আমি ব্যবস্থা করে দিব!

কথাগুলো শুনা মাত্রই মুসকানের চোখ থেকে টপটপ করে পানি ঝরতে লাগলো। রুমের বাকি সবাইও অবাক! হিয়াতো মহাখুশি। ফারিশ হাত মুঠি বদ্ধ করে রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে। মুঠিবদ্ধ হাতের রগ ফুলে উঠেছে। চোখ জোরা রক্তিম আকার ধারণ করেছে। মুসকানের দিকে তাকিয়ে তার চোখে জল দেখে রাগ যেন আকাশ তুম্বি। রুম কাঁপিয়ে গর্জন ছাড়ল সে,

তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ৭

— ছেলেখেলা পেয়েছেন? আপনার ভাগ্য ভালো আপনি আমার বাবার বয়সী। নাহলে এই চিন্তাধারার জন্য আমার সামনে সুস্থ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতেন না আপনি। মুসকানকে আমি কোনো দিনও ছাড়বো না আর না কখনো হিয়াকে বিয়ে করবো। আপনি আপনার মেয়েকে সামলান। ওকে ভালো কোনো মানসিক ডাক্তার দেখান। ফারিশ শক্ত করে মুসকানের হাত চেপে ধরে তাকে টেনে নিয়ে যেতে লাগল। যাওয়ার পথে ফ্লোরে থাকা কাঁচের উপর পা পরায় মুসকানের পা কে/টে গেল। পা ধরে চাপা আর্তনাদ করে উঠলো মুসকান। ফারিশ সেদিকে তাকিয়ে সকলের সমনেই মুসকানকে কোলে তুলে বাইরের দিকে হাঁটা ধরল…..

তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ৯