তোর প্রেমে উন্মাদ আমি পর্ব ৪

তোর প্রেমে উন্মাদ আমি পর্ব ৪
Raiha Zubair Ripti

পড়ন্ত দুপুরের দিকে মেডিক্যালের সকল ক্লাস শেষ করে বাড়ির পথে হাঁটা ধরে আরাধ্য। ক্লান্ত দেহ তবুও সে হেঁটে বাড়ি ফিরবে এই আশায় এই টাইমে আরুর ও ভার্সিটি ছুটি হয়। আর আরুর সাথে হেঁটে ফিরবে। ভার্সিটির সামনে এসে আরাধ্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলো। এখনও ছুটি হয় নি। মিনিট পাঁচেক পর ছুটি হলো। আরু বের হলো। তবে আজ একা না। পাশে একটা ছেলেকে দেখতে পেলো। ছেলেটার সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলছে আরু। আরাধ্যর হিংসা হলো খুব। কই তার সাথে তো এভাবে হেঁসে হেঁসে কথা বলে না। আরু কথা বলার সময় হুট করে সামনে তাকাতেই আরাধ্য কে দেখে বিরক্ত হলো। হাস্যজ্বল চেহারায় এসে হানা দিলো একরাশ বিরক্ত। ক্লাস ফ্রেন্ড রনি কে বিদায় দিয়ে রাস্তার পাশ ঘেঁষে হাঁটতে লাগলো আরু। আরাধ্য দ্রুত পায়ে হেঁটে আরুর পাশে আসলো। ঠোঁট টাকে বেঁকিয়ে বলল-

-“ ছেলেটা কে রে?
আরু দৃষ্টি সামনে রেখেই বলল-
-“ কোন ছেলে?
-“ একটু আগেই যার সাথে হা হি করে কথা বলতে বলতে বের হলি।
-“ ওর নাম রনি। ভীষণ ভালো একটা ছেলে।
আরাধ্য ধমকে বলল-
-“ তোরে কি জিজ্ঞেস করছি আমি ও কেমন ছেলে? বেশি কথা কেনো বলিস?
-“ এই একদম ধমকাবেন না আমায় বলে রাখলাম।
-“ তাহলে কি থেরাপি দিব রাস্তাঘাটে?
আরু দু গালে হাত দিলো নিজের।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-“ একদম না। রাস্তা ঘাটে থেরাপি দিলে কসম আমি এই ড্রেনে আপনাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিব।
-“ আচ্ছা তাহলে বাসায় গিয়ে দিব। এখন বল তোর কি লজ্জা নেই বেহায়া মেয়ে?
-“ কেনো কি করছি আমি।
-“ তোর হবু স্বামী আমি। কই তুই তো আমার সাথে এভাবে হেঁসে হেঁসে কথা বলিস না। ঐ টনি না কি..
-“ ওর নাম টনি না রনি।
-“ ঐ হলো। বাব্বাহ টনি বলায় কথা কেঁড়ে নিলি কেনো?
-“ আমি নাম টা জাস্ট সঠিক বলে দিলাম।
-“ সে যাই হোক। তুই ওর সাথে ওভাবে হেঁসে হেঁসে কথা বলিস কেনো?
-“ ও আমার ফ্রেন্ড।
-“ আর আমি তর হবু স্বামী। স্বামীর থেকে ফ্রেন্ড কখনই বড় হতে পারে না।
-“ কে হবু স্বামী?

-“ কেনো আমাকে তোর চোখে পরে না?
-“ আপনার সাথে আমার বিয়ে হলে তো।
-“ কেনো তুই কি বিয়ের দিন ভেগে যাবি নাকি?
-“ বিয়ে দিন আসলে তো ভাগবো। এমন অভিনয় করবো যে বিয়ে নিয়ে ভাবা বন্ধ হয়ে যাবে।
-“ ওহ্ রিয়েলি? আর আমি বসে বসে তোর অভিনয় দেখবো বুঝি? কালই মা কে পাঠাবো বিয়ের ডেট ফিক্সড করতে। তুই পারলে আটকিয়ে দেখা।
ত্বরিত গতিতে আরু আরাধ্যর দিকে তাকালো। সত্যি সত্যি এই ছেলে মামনি কে পাটাবে!
-” আপনার মাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করবো।
-“ কর না করছে কে। আমার বাসা চলে এসেছে। তুই ভাবতে ভাবতে বাড়ি যা কি ব্ল্যাকমেইল করবি সেটা।
আরু মুখ বাঁকিয়ে চলে গেলো। আরাধ্য বাসায় এসে বসার রুমে ঢুকতেই দেখলো তার মা আরশি কে খাওয়াচ্ছে। আরাধ্য কাঁধের ব্যাগ টা মন খারাপ করে টি-টেবিলে রেখে সামনে বসলো। সন্ধ্যা তাকালো ছেলের দিকে। মুখ টা চুপসানো দেখে বলল-

-“ কি হয়েছে?
-“ কি হয় নি তাই বলো।
-“ বলবি তো কি হয়েছে।
-“ আরু আমার জীবন টা ত্যানা ত্যানা করে ফেললো মা।
-“ কেনো আরু কি করেছে?
-“ তোমাকে সেদিন বললাম পইপই করে যে আরুর বাসায় গিয়ে বিয়ের ডেট টা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিক্সড করে আসো। জানো আজ আরু কি করেছে?
-“ আশ্চর্য তুই না বললে আমি জানবো কি করে?
-“ ও আজ আমাকে থ্রেট দিয়েছে। বলেছে কালকের মধ্যে বিয়ের ডেট ফিক্সড না করলে ও ভেগে যাবে রনির সাথে।
-“ রনি টা কে?

-“ ওর ভার্সিটির একজন। আজ দেখলাম হেলেদুলে কথা বলছে। আমি কে জিজ্ঞেস করার উত্তরে বলল তার ব্যাকআপ ওটা। ও পড়াশোনা থেকে মুক্তি পাবার জন্য যাকে তাকে বিয়ে করতে চাইছে ভাবা যায়? আমি মোটেও চাই না অপরিচিত কোনো ছেলের সাথে আমার চাচার মেয়ে টা ভেগে যাক। মানসম্মান কি থাকবে বলো?
সন্ধ্যা চিন্তায় পরে গেলো। সত্যি সত্যি যদি আরু ভেগে যায়। আর তাছাড়া আরু তো পড়াশোনা করতে চায় না। রাতের ভয়ে করে শুধু। এখন যদি ভেগে যায় তাহলে তো রাত মে’রেই ফেলবে আরু কে।
-“ আচ্ছা তোর বাবা ফিরুক হসপিটাল থেকে। কথা বলে কাল যাব।
আরাধ্যর মুখে হাসি ফুটলো। টেবিল থেকে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে রুমের দিকে যেতে যেতে আরু কে মনে করে বিরবির করে বলল— তুই চলবি ডালে ডালে। আর আমি চলবো তোর শিরা উপশিরা দিয়ে। বিয়ে তো তোর আমার সাথেই হবে। দরকার পরলে তোকে লুকিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে তোকে ফাঁসায় দিব হু। বলবো তুই বাধ্য করেছিস আমায়।

স্কুল থেকে ফিরেই আয়ুশ সেই যে সোফায় বসে ভাবছে তো ভাবছেই কিছু একটা। আর একটু পরপর কনা কে জিজ্ঞেস করছে আব্বু কখন আসবে। কনা উত্তর দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে গেলো। সন্ধ্যার দিকে রাত আসলো বাসায়। আরু হবার বছর পাঁচেক পরই আমেনা বেগম হার্ট অ্যাটাক করে ঘুমের ঘোরেই মা-রা যান। তার কয়েক মাস পরই নতুন বিজন স্টার্ট করে। বিজনেস টা পুরোপুরি দাঁড়িয়ে গেলে রাত নিজের একটা বাড়ি করে আষাঢ়ের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে। আষাঢ় প্রথমে দ্বিমত করলেও পরে রাজি হয়। রাতের নিজের সংসার ছেলেপেলে আছে। সে যেহেতু নিজের বাড়িতে থাকতে চাইছে সেখানে আষাঢ় আর বাঁধা দিয়ে কি করবে।
আজ অফিসে অনেক কাজের ব্যস্ততা ছিলো। নতুন ক্লায়েন্ট তার কাজের ধরনও আলাদা। সেসব নিয়েই প্যারাতে দিন কেটেছে। এখন বাসায় আসতে না আসতেই আয়ুশ দৌড়ে সামনে দাঁড়ালো। রাতের হাত পকেটে চলে গেলো। রোজ মজা নিয়ে আসে। আজ আর আনতে মনে নেই।

-“ সরি আয়ুশ। বাবা আজ মজা আনে নি। পাক্কা কাল নিয়ে আসবো।
আয়ুশ মিষ্টি এক হাসি উপহার দিলো। রাত কে টেনে সোফায় বসিয়ে পানির গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বলল-
-“ পানিটা খাও আব্বু। আমি জানি ইউ আর সো টায়ার্ড। ইফ ইউ ইটিং ওয়াটার। ইউ ফিল গুড।
রাত স্মিত হেঁসে পানিটা খেলো। আয়ুশ পাশে আয়েশ করে বসলো।
-“ নাউ ইউ ফিল বেটার?
রাত ছোট্ট করে জবাব দিলো-
-“ হুম।
-“ আই ওয়ান্ট টু সাম টক উইথ ইউ।
-“ বাংলায় বল।
-“ ওক্কে। আই নিড মেডিসিন।
-“ কিসের মেডিসিন?
-“ বড় হবার। মামনি আমাকে বড় হতে বলেছে। তাহলে আমাকে সে আরশি গিফট করবে।
রাতের মুখের রং মূহুর্তে বদলে। সে এতক্ষণ মনে মনে ভাবছিলো তার ছেলের বোধহয় বোধবুদ্ধি একটু উদয় হয়েছে। সেজন্য এত কেয়ার করলো রাতের। কিন্তু এ তো মনে মনে অন্য কিছু ভেবে রেখেছিল।
-“ বড় হবার মেডিসিন তোর পিঠের উপর দিব বেয়াদব। কে বলেছে তোকে বড় হবার মেডিসিন পাওয়া যায়?
-“ আমার ব্রেন।
-“ তোর মাথায় ব্রেন বলতে কিছু আছে নাকি? সব তো ছেঁড়া তার।
-“ আমার আরশি লাগবে আব্বু।
-“ আরশি কে কেনো গিফট করবে ওরা?
-“ বিকজ আই লাইক আরশি আব্বু।
-“ এই তোর বয়স কত হারা’মজাদা বল? এই বয়সে আই লাইক আরশি বলছিস কেনো? এই বয়স টা কি তোর লাইক করার মতন?
-“ ভালোবাসা বয়স মানে না আব্বু। হয়ে যায়। যেভাবে ভালোবাসো তুমি আম্মুকে। ঠিক সেভাবে ভালোবাসি আমি আরশি কে।

-“ আমার চোখের সামনে থেকে দূর হ গাধার বাচ্চা
আরশি তোর মতন গাধা কে পছন্দ করবে না জীবনেি।
-“ কি করলে আরশি আমাকে পছন্দ করবে? গিভ মি সাম এডভাইস।
-“ আরশির মতন ভালো স্টুডেন্ট হতে পারবি?
-“ না। এটা ছাড়া যা বলবে সব করতে পারবো।
-“ তাহলে আরশির পা ধুয়ে পানি খা গিয়ে হতচ্ছাড়া। তাহলে যদি একটু ব্রিলিয়ান্ট হতে পারিস।
কথাটা বলে রাত চলে গেলো। অবুঝ আয়ুশ সত্যি সত্যি ভেবে বসলো আরশির পা ধুয়ে পানি খেলে বোধহয় আরশি তাকে পছন্দ করবে। কথাটা ভেবেই তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিলো। আর আরাধ্য কে ফোন করে তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসতে বলল।

আয়ুশ ব্যাগপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে এই মাঝ রাতে। সে তার ব্রো কে বলেছে গাড়ি নিয়ে তার বাসায় আসতে। সে চলে যাবে আজকেই আরশির কাছে। সোফায় বসে আরু আপেল খাচ্ছে। আকস্মিক আয়ুশ কে সেজেগুজে বের হতে দেখে প্রশ্ন ছুঁড়ে জিজ্ঞেস করলো-
-“ এই ড্রামাবাজ কোথায় যাচ্ছিস এই সময় ব্যাগপত্র নিয়ে?
আয়ুশ বিরক্তিকর চাহনি নিয়ে বলল-
-“ তোর আমার শ্বশুর বাড়ি।
-“ আমার তোর শ্বশুর বাড়ি মানে?
-“ মানে আই গো টু মাই মাদার ইন লো হাউস। ইউর ফাদার নট বাইং মি লম্বা হওয়ার ঔষধ। বরং হি গিভ জ্ঞান মি । হি সেইড আরশির ফুট ধুয়ে পানি খেতে। তাই আই লিভ মাই হাউস।

-“ তো ও বাড়িতে গিয়ে কি করবি?
-“ আরশির ফুট ধুয়ে ওয়াটার খাব।
-“ তারপর?
-“ তারপর আরশির মত আমিও বিলিপয়েন্ট হয়ে যাব।
আরু হাসতে হাসতে বলল-
-“ হ্যাঁ তুই বিলিপয়েন্টই হতে পারবি। ব্রিলিয়ান্ট আর হতে পারবি না।
আয়ুশ রেগে তাকালো বোনের দিকে।
-“ তা একা একাই যাবি নাকি? তুই বললে আমি এগিয়ে দিয়ে আসবো।
-“ আই ডোন্ট নিড ইউ। আই কল মি মাই ব্রো। হি কামিং এন্ড পিকআপ মি হিস হাউস।
-“ আচ্ছা তোর ব্রো আসবে তোকে নিতে?

কথাটা বলতেই বাহির থেকে গাড়ির হর্ণের আওয়াজ শোনা গেলো। আয়ুশ পকেট থেকে সানগ্লাস বের করে চোখে পড়ে নায়কের মতন ভাব নিয়ে বলল-
-” ব্রো এসে গেছে। বাই। দেখা হবে আরেক দিন।
আয়ুশ চলে গেলো। আরু কিছু একটা ভেবে সরদ দরজা পেরিয়ে বাহিরে এসে দেখলো আরাধ্য গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আয়ুশ গিয়ে দাঁড়ালো আরাধ্যর পাশে। ব্যাগটা আরাধ্যর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল-
-“ লেটস গো ব্রো। উই আর সো লেইট।
আরাধ্য আরুর দিকে তাকালো। হাত উঁচু করে বলল-

-” আরু এদিকে আয় তো।
আরু এগিয়ে গেলো।
-“ তোর ভাইয়ের ব্যাগে কি আছে রে এত ভারি কেনো?
-“ ওকেই জিজ্ঞেস করুন।
-“ এই তোর ব্যাগে কি আছে রে?
-“ তোমাকে না বললাম আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাব। তো তার জন্য নিয়েছি মাই ক্লোথ..বুক..ওয়াটার বোতল। ইউর সিস্টার ফটো। মাই মোবাইল ইটিছি..।
-“ এসব নিয়ে কি করবি?
-“ বাহ্ রে আমি থাকবো..পানি কালেক্ট করবো। তো লাগবে না এসব?
-“ কিসের পানি কালেক্ট করবি? তোদের পানির মটর নষ্ট হয়ে গেছে নাকি?
-“ উঁহু। আমি তোমার বোনের পানি কালেক্ট করবো।
আরাধ্যর সটান কপাল টা কুঁচকে গেলো। তার বোনের পানি মানে কি ইঙ্গিত করলো এই আয়ুশ টা।
-“ আমার বোনের পানি মানে?
-“ ইউর চাচা সেইড মি ইউর সিস্টার ফুট ধুয়ে পানি পান করতে। তাহলে আমি বিলিপয়েন্ট হবো সাথে আরশি আমাকে লাইক করবে।
আরাধ্যর মুখ হা হয়ে আসলো। এই ছেলে কিসের তৈরি? এ তো তাদের পরিবারের কারো আচারণ পায় নি। এটাকে তো মহাকাশে ছুঁড়ে ফেলে আসা উচিত।
-” এই তুই আমার গাড়ি থেকে নাম। তোকে আমার বাড়িতে নিয়ে যাব না। এই আরু তোর ভাই কে নাম তে বল আমার গাড়ি থেকে।

-“ এই ব্রো আমাকে নামতে বলছো কেনো.। হোয়াই? তোমার গাড়ি কি পঁচে যাবে আমি বসে থাকলে? আই গো টু ইউর নো নো মাই মাদার ইন লো হাউস। ইউ নিয়ে যাও আমাকে। তা না হলে আই কল চাচা কে।
-“ আরে নিয়ে যান আয়ুশ কে। কটাদিন আমি অন্তত রাতে শান্তি মত ঘুমাতে পারবো। প্লিজ এই উপকার টা করুন।
-“ পাগল নাকি। তোর ভাইকে আমাদের বাসায় নিয়ে আমাদের ঘুমের ১২ টা বাজাবো।
-“ তাহলে এসেছেন কেনো?
-“ তোকে দেখতে এসেছি। তোর ভাইকে কি নিতে এসেছি নাকি আমি। এই আয়ুশ নাম আমার গাড়ি থেকো।
আয়ুশ সিট বেল্ট চেপে ধরে বলল-
-“ নো.. আমি নামবো না। আমি আরশির কাছে যাব। আমি তোমাদের ঘুমের ১২ টা বাজাবো না যাও।
-“ আচ্ছা নাম..আমি আরশি কে ফোন দেই। তুই কথা বল আগে দেখ ও কি বলে।
-“ ইউর সিস্টার কখনই নট টকিং উইথ মি। সি অলওয়েজ হাঁসে সিদ্দিকের সাথে।
-“ আমি বললে বলবে কথা আয়।
-“ সত্যি?
-“ হুম।

তোর প্রেমে উন্মাদ আমি পর্ব ৩

আয়ুশ নেমে আসলো। আরাধ্য গাড়িতে উঠে আয়ুশ কে জানালার পাশে আসতে বলে গাড়ি ভেতর থেকে লক করে দেয়। আয়ুশ জানালার কাছে আসলে আরাধ্য গাড়িতে থাকা আরশির চকলেট টা আয়ুশের হাতে দিয়ে বলল-
-“ এটা আরশির চকলেট। যেদিন এই ৫০০ টাকার চকলেট আরশি কে কিনে দেওয়ার সামর্থ্য হবে তোর সেদিন আরশি কে পাবি। এখন চললাম আমি।
আয়ুশ চকলেট টার দিকে তাকিয়ে রইলো। ৫০০ টাকার চকলেট? এটা কেনা কোনো ব্যপার নাকি?
চকলেট টা নিয়ে বাড়িতে চলে আসলো। এখন সে মিশনে নামবে চকলেট কেনার।

তোর প্রেমে উন্মাদ আমি পর্ব ৫