দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৫০ (৩)
আফরোজা আশা
❝ তারপর থেকে শুরু হলো গানের প্রতি বেশি জোর দেওয়া। পড়াশোনা, আড্ডাবাজি ছেড়ে সারাদিন শুধু রিহার্সাল করতাম। কিছুদিনের জন্য আমার ভার্সিটি আসা যাওয়া কমে যায়। দিগন্ত-রায়হানকে অসুস্থতার বাহানা দিয়ে হোস্টেলে পড়ে থাকতাম। সপ্তাহ খানেক পর ভার্সিটিতে পা রাখতেই মাথা ঘুরে যায় আমার। চোখের সামনে দিগন্ত আর ফাহাদ দুজন মারামারি করছে। পাশে রায়হান খুব চেষ্টা করছে ওদের ছাড়ানোর কিন্তু পারছে না। দুজনের মারামারি এমন পর্যায়ে গিয়েছে, নাক-মুখ ফেঁটে র’ক্তা-র’ক্তি অবস্থা। আমি ছুটে গেলাম ওদের দিকে। কাকে কি বলব বুঝতে পারছিলাম না। একবার দিগন্তকে থামতে বলছি, একবার ফাহাদকে থামতে বলছি। দুজনের কেউ কানে তুলছে না আমার কথা।
শেষমেষ পি.জে স্যার এসে ওদের থামাতে পারলেন। মারামারির কারণ আমি তখনো জানি না। ফাহাদের ফ্রেন্ডরা ওকে নিয়ে চলে গেল। এদিকে দিগন্তকে আমি আর রায়হান মিলে বাইরে নিয়ে এলাম। নাক-মুখ ফেটে যা-তা অবস্থা ওর। ফার্মেসী থেকে ব্যান্ডেজ করিয়ে রায়হানের সাথে ওকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম। ভার্সিটিতে এসে অন্য ফ্রেন্ডের কাছে জানতে পারলাম, পুরোনো কদমতলা যেখানে বসে আমরা আড্ডা দেই, সেখানে ফাহাদ ওর বন্ধু-বান্ধব নিয়ে দখলদারি করেছে। হুট করে আসা একটা ছেলে, ভার্সিটির পুরোনো ছেলের সাথে টেক্কা দিচ্ছে এটা দিগন্ত মানতে পারেনি। ফলস্বরূপ কদমতলা নিয়ে দুজনে রেষারেষি শুরু হয়। তার রেশ ধরে আজকের এই মারামারি।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
এদিকে এসব শুনে সদ্য প্রেমে পড়া আমি, মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ি। মারামারিটা এদের দুজনের মধ্যেই লাগতে হলো! একপাশে প্রেমিক পুরুষ, একপাশে বেস্ট ফ্রেন্ড; এহেন দোটানা পরিস্থিতিতে পড়ে নাওয়া-খাওয়া ভুলে বসলাম। তারপর ওদের রোজকার ঝগড়া-ফ্যাসাদ, একে অন্যের নাক ফাঁটাফাঁটি লেগেই থাকে। দুই ডিপার্টমেন্টের দুই টপারের মারামারি পুরো ভার্সিটির মানুষজন উপভোগ করে; আর আমি শুধু মুখ বন্ধ রেখে চুপচাপ দেখি। কারো পক্ষে কথা বলি না, বিপক্ষেও কথা বলি না। দিগন্ত ফাহাদকে যা-তা বলে গালা-গাল দেয়, আমি অসহায়ের মতো চুপচাপ শুনি।
ফাহাদের সাথে আমার রোজ দেখা হতো। হবে নাই-বা কেনো! সারাবছর ভার্সিটিতে অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা লেগে থাকে। যেকোনো অনুষ্ঠানে আমি আর ফাহাদ ডুয়েট করেছি অনেকবার। আস্তে আস্তে আমাদের গানের একটা স্ট্রং গ্রুপ তৈরি হলো। দিগন্তের সাথে ফাহাদের ঝগড়া লেগে থাকলেও আমার গানের ব্যাপারে সে কোনোদিন বাঁধা দেয়নি। বলেনি, শত্রুর সাথে গান গাইবি না।
রিহার্সালের বাহানা করে ফাহাদের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করতাম তখন। অবাক হতাম, ফাহাদ আমাকে ইগনোর করত। ভার্সিটির অন্য ছেলে হলে নিশ্চয়ই এতোদিনে আমার সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হতো, প্রেমে পড়ত। কিন্তু ফাহাদ আমাকে ঠিকভাবে দেখেও না। আসে নিজের মতো গান গেয়ে চলে যায়।
একদিন তালুকদার প্রডাকশন থেকে আমাদের গানের অফার আসে। প্রথমে অবাক হই বটে। ওটা দিগন্তের বাবা-চাচার মিউজিক চ্যানেল। আমি আর ফাহাদ আলোচনা করে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করি। সেখানে স্বাক্ষর করে দিগন্ত আর রায়হানও। ওরা গানের লাইন বানাবে আর আমরা দুজন গাইবো। অতঃপর সেখান থেকে শুরু হলো আমাদের চারজনের মিউজিক অ্যালবামের ক্যারিয়ার। যত যাই হোক কমলো না দিগন্ত-ফাহাদের মারামারি। যখন যেখানে সুযোগ পায় দুজনে নাক-ঠোঁট ফাটিয়ে বসে থাকে।
তৃতীয় বর্ষের শেষের দিকে গিয়ে ফাহাদ আর আমি মিলে নিজেদের একটা মিউজিক পেইজ খুললাম। দুজনে যে যখন ফ্রি থাকতাম লাইভে এসে গান করতাম, তবে কেউ আমাদের আসল পরিচয় জানত না।
ফাইনাল ইয়ারের শুরুতে গিয়ে আর নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারলাম না। দিগন্ত-রায়হানের সামনে ফাহাদকে প্রপোজ করলাম। সে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে রিজেক্ট করল, কারণ হিসেবে বলল তার অলরেডি পাঁচটা গার্লফ্রেন্ড। সেসব শুনে আমি ভেঙ্গে পড়ি। তারপর থেকে দেখি ফাহাদ দেওয়ান এর মেয়েবাজি কারবার। হয়তো প্রতি দু-তিন দিন অন্তর অন্তর তার গার্লফ্রেন্ড পাল্টে। আমি সেসব দেখি আর ভেতরে ভেতরে জ্বলি।
সত্যিই তাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে তার মেয়েবাজি স্বভাবকেও না দেখার মতো করে থাকতাম। কষ্ট হতো ওকে অন্য মেয়ের পাশে দেখতে।
গানের মাঝে, রিহার্সালের মাঝে কত শত চেষ্টা করেছি ওর এটেনশন পাওয়ার, কিন্তু ফাহাদ আমাকে পাত্তা দেয় না। ফাহাদ ওর গানের জন্য শহরের বাইরে যায়, একমাস পর ফিরবে। আর কোনো মেয়ে যেন ওর সাথে সম্পর্কে না যায়। সেজন্য একদিন ভার্সিটিতে মিথ্যা রটিয়ে দিলাম, ফাহাদ দেওয়ান আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছে। তা শুনে দিগন্ত-রায়হান আমার উপরে ক্ষেপলো। অস্বাভাবিক না; জানতাম এ বিষয়ে ওরা দুজন রাগ করবে।
তারপর দুদিন চেষ্টা করার ওদের রাগ ভাঙাতে পারি। আবারো আমাদের আড্ডাবাজি শুরু হয়। ঈদের জন্য ভার্সিটি বন্ধ হয়ে যায়। দিগন্ত-রায়হান প্ল্যান করে গ্রুপ ট্যুর দিবে। যেহেতু ঈদের সময় অন্যান্য মেয়ে ফ্রেন্ডসরা বাড়ি চলে গিয়েছে। তাই আমার আর যাওয়া হলো না। ওদের ট্যুরে যাওয়ার পরদিন স্টুডিও থেকে আমার ডাক আসে। সারাদিন হোস্টেলে পড়ে থেকে বিরক্ত আমি আগ-পিছ না ভেবে চলে যাই।
জীবনের বড় ভুল এখানেই করে ফেলি, সাথে হারিয়ে ফেলি নিজেকে আর আমার ক্ষনিকের পাওয়া আপন-মানুষগুলোকে। ঈদের জন্য যে স্টুডিওর কাজ সব বন্ধ সে খেয়াল হারিয়ে বসেছিলাম।
সেখানে যাওয়ার পর দুজন ছেলে ছাড়া আর কাউকে পাই না। দুজনের কাউকে চিনি না, না আগে কখনো দেখেছি। ভয় হয় আমার। চলে আসতে চাই, পারি না। ছেলে দুটো আটকে ফেলে, জোর-জবরদস্তি শুরু করে। শেষ পর্যন্ত একা মেয়ে দুটো ছেলের শক্তির কাছে হার মানতে হয়। আমার হাহাকার-আত্মচিৎকার স্টুডিও রুমের চার দেওয়ালের মাঝে আটকা পড়ে। জীবনের তিনটা মানুষকে সেসময় পাগলের মতো ডেকেছিলাম, কিন্তু হায়! তিনজনের একজনও এ শহরেই ছিল না।
মাঝখানে নিজের রূপ নিয়ে বড় অহংকার করেছিলাম। হয়তো সে অহংকারের পতন হলো সেখানে। স্টুডিওর চাবি ওদের কাছে ছিল, নিশ্চিত হলাম স্টুডিও মালিকের কেউ হয় তারা।
ছেলেদুটো নিজের কাজ শেষে আমাকে সেভাবে ফেলে রেখে চলে যায়। আধ-মরা আমি শরীরের ব্যাথা আর তীব্র লাঞ্চনা নিয়ে পড়ে থাকি। যখন হুশ ফিরে তখন হাসপাতালে পাই নিজেকে। সামনে দেখি স্টুডিও মালিক আর জুনায়েদ তালুকদারকে। প্রায় দিন এক গড়িয়ে ওরা এসেছিল মিউজিক অ্যালবামের কাজে। এসে আমাকে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পায়।
এ ঘটনা যেন বাইরে না যায়, তাই স্টুডিও মালিক মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেয়। কারণ ছেলে দুটোর মধ্যে একজন তার সন্তান। স্টুডিওতে তালা ঝুলিয়ে, সে লোক তার পরিবার নিয়ে তখনি কোথায় যেন চলে যায়।
আমার অবস্থা তখন শোচনীয়। কাউকে কিছু জানানোর মতো মুখ ছিল না। সে অবস্থায় জুনায়েদ তালুকদার আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমি রাজী হই না। সুযোগের সৎ ব্যবহার সে-ও নেয়। পুনরায় ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে, আমাকে বাধ্য করে বিয়ে করতে। জুনায়েদ তালুকদারের নজর আগে থেকেই আমার উপরে ছিল। ধর্ষি’তা হলেও আমার সৌন্দর্য্যের জন্য বিয়ে করতে পিছ পা হয় নি। একবার নিজের ছেলের কথাও হয়তো ভাবেনি।
পরদিন সেই স্টুডিওতে ইচ্ছাকৃত আগুন লাগানো হয়। আমার ঘটনা চাপা পড়ে যায়। কেউ জানে না, আর না আমি কাউকে জানাতে পেরেছি। কাকে জানাবো! এ শহরে যে দুজন আমার আপন ছিল, তাদের চোখে আমি তখন বিষ। ট্যুর থেকে ফেরার পর জুনায়েদ তালুকদারের পাশে আমাকে দেখে রাগ, ঘৃণা আর ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ছাড়ে দিগন্ত।
সবাইকে জানানো হয় আমাদের লাভ ম্যারেজ। ব্যস, তারপর থেকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনগুলো পাল্টে যায়। ভার্সিটিসহ পুরো এলাকায় রটিয়ে যায় আমি জুনায়েদ তালুকদারকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আমি হয়ে গেলাম সবার কাছে ঘৃণার পাত্রী।
শুনেছিলাম, আমার বিয়ের ব্যাপারে জানার আগেই, ফাহাদ আমার প্রপোজাল এক্সেপ্ট করেছিল। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে; তার সামনে আর কখনো যাওয়া হলো না। দিগন্ত আর রায়হানের মতো বন্ধু পেয়েও হারিয়ে ফেলার আফসোস, মরার আগ পর্যন্ত থেকে যাবে আমার। নিঃস্ব আমি, আপন মানুষগুলোর ঘৃণিত দৃষ্টি দেখে নিজেকেও প্রচন্ড ঘৃণা করি। সতীত্ব হারিয়ে, ভালোবাসার মানুষ হারিয়ে, বেস্টফ্রেন্ড হারিয়ে; জুনায়েদ তালুকদারের এক বাচ্চার মা হয়ে পাথরের ন্যায় বেঁচে আছি। আমার জন্য লোকসমাজে দিগন্তকে সাফার করতে হয়েছে, মানুষ কটুবাক্য শুনিয়েছে ওকে। ওর জীবনের সবচেয়ে বড় অপরাধী আমি, কখনো মাফ করবে না আমাকে।
কিছু পেতে হলে, নাকি কিছু হারাতে হয়। কিছু না হারিয়ে সব হারিয়েছি আমি। প্রিয় মানুষগুলো হারিয়ে মোনালিসা মনা নিঃস্ব।❞
— মনা —
« ২৫ জুলাই, ২০২১ »
চোখ গড়িয়ে আপন গতিতে পানি পড়ছে বেলার। সে অশ্রুবিন্দুর ফোঁটা টুপ টুপ করে দিগন্তের হাতের উপর পরতেই ঘুম হালকা হয় ওর।
রুম জুড়ে বিরাজ করছে টিমটিমে হালকা হলদেটে আলো। বিছানার মাঝখানে রকেয়া তালুকদারের কাছ ঘেঁষে গুটিশুটি মেরে ঘুমিয়ে আছে প্রত্যাশা। নাতনীর গায়ে হাত বুলাচ্ছে রকেয়া। বয়সের ভারে কুঁচকে আসা আঁখিপল্লবে তার অশ্রুবিন্দু চিকচিক করছে। সবকিছু থেকে বঞ্চিত বাচ্চাটা। দাদা-দাদী, চাচা-চাচী, ভাই-বোন সব থেকেও নেই ওর কাছে; কারো আদর পায়নি এতোদিন। মায়ের ছায়াতলে বড় হয়েছে। আজ সে মা-ও মৃত্যু পর্যায়ে।
মনাকে দুচোখে সহ্য করতে পারেন না রকেয়া। তার বড়নাতির জীবন দূর্বিষহ হয়েছিল ওর কারণে। বাবা-ছেলের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে ওর কারণে।
নাতির জন্য বুক পুড়ে তার। সে কারণে মনাকে বিয়ে করার পর থেকে জুনায়েদের সাথে কথা বলেন না তিনি; মনাকেও দেখতে পারেন না। অথচ আজ প্রত্যাশার মুখের দিকে চেয়ে রকেয়া তালুকদার মনে-প্রাণে দোয়া করছেন মনা যেন বেঁচে ফিরে। ছোট প্রত্যাশার রূপ চোখে লাগার মতো। মা ছাড়া এ দুনিয়ায় ওই বাচ্চাটাকে ঠিকভাবে আগলে রাখার মানুষ দ্বিতীয়টি নেই। মায়ের মতো নিরাপত্তা কেউ দিতে পারবে না ওকে। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে চিন্তিত মুখে প্রত্যাশার কপালে হাত রাখল রকেয়া। নাহ, জ্বর কমার বদলে বাড়ছে।
হাত-পায়ে চোট লাগার কারণে ব্যাথায় জ্বর এসেছে প্রত্যাশার। ওকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন রকেয়া। বেলা ওষুধ খাইয়ে দিয়ে গিয়েছে। তাপমাত্রা নেমেছিল কিছুক্ষন আগে, এখন আবার জ্বরে শরীর পুড়ে যাচ্ছে।
প্রত্যাশার গায়ে ভালোভাবে চাদর টেনে দিয়ে নিচে গেলন তিনি। জলপট্টির ব্যবস্থা করতে। তাপমাত্রা বেড়ে চলছে অনবরত।
রুম ছেড়ে বাইরে বের হলো রতন। উষ্কখুস্ক চুল, এলোমেলো চেহারা তার। ধীর পায়ে চলতে চলতে এক জায়গায় এসে কদম থামলো। ঘাড় বাঁকিয়ে তাকালো, হাটখোলা দরজা মাড়িয়ে ভেতরের দিকে। অতঃপর হেলতেদুলতে রুমের ভেতর ঢুকে পড়ল। শব্দহীন পায়ে এগিয়ে গেল বিছানার কাছে। রক্তাভাব চোখজোড়া ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলো বিছানায় শায়িত বাচ্চাটার মুখের দিকে। হঠাৎ নড়চড়ে উঠল প্রত্যাশা। জ্বর আসা ভাঙ্গা গলায় আওড়ালো, ‘ প..পানি।
রতন শুনলো সে শব্দ। পাশের ছোট টেবিলে একটা গ্লাস চোখে পড়ল ওর। আধগ্লাস পানি আছে তাতে। হয়তো প্রত্যাশা খেয়েছিল। কি ভেবে হাত বাড়িয়ে গ্লাসটা নিল সে। গ্লাসের ভেতর থাকা পানিটুকু পরোখ করে উন্মাদের মতো হেসে উঠল। পরক্ষনে সতর্ক দৃষ্টি ঘুরিয়ে আশপাশ দেখে প্রত্যাশাকে কোলে তুলে নিল। দূরন্ত পা বাইরের দিকে যেতে যেতে বিড়বিড়িয়ে বলতে লাগল, ‘ পানিতে চুবিয়ে দিলে পিপাসা মিটবে। ’
দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৫০ (২)
ঘুমের ঘোরে ছটফট করছে প্রত্যাশা। তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে গিয়েছে ওর। পুনরায় আটকাভাবে উচ্চারণ করল পানি খাবে। এর মাঝে টের পেল কেউ কোলে তুলে নিয়েছে ওকে। নিভুনিভু চোখজোড়া হালকা খুলতে দেখে পেল, আস্তে আস্তে রুম থেকে ওর দূরত্ব বাড়ছে। জ্বরের ঘোরে ছোট প্রত্যাশা আর তাকিয়ে থাকতে পারলো না। নাই-বা কিছু বুঝতে পারল। কেবল হারিয়ে যেতে শুরু করল ঘুমের অতলে।