দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৫১

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৫১
আফরোজা আশা

ঘুম ভাঙতেই ক্রন্দনরত ফোলা লাল চোখমুখে বেলাকে দেখে উদ্বিগ্ন হয় দিগন্ত। বেলার কোল ছেড়ে তড়িৎ গতিতে উঠে বসে। ওর দুগালে হাত রেখে শুধায়,
‘ কাঁদছিস কেন? বেলা! কিছু হয়েছে? বল আমাকে। ’
দিগন্তের অস্থিরতা দেখে নিজেকে সামলানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালালো বেলা। কান্নার গতিবিধি কমিয়ে দুপাশে না বোধক মাথা নাড়িয়ে বোঝালো কিছু হয়নি। কিন্তু এটুকু উত্তরে মোটেই শান্ত হলো না দিগন্ত। পুনরায় প্রশ্ন ছুঁড়ল,
‘ ঘুমিয়ে গেলাম, টের পাইনি আর। ডেকে দিলি না কেন? পা ব্যাথা করছে? ’
আবারো দুপাশে মাথা নাড়িয়ে উত্তর দিতে চাইছিল বেলা। তাতক্ষনাৎ দিগন্তের চড়া আওয়াজ পাওয়া যায়,

‘ মুখে বল। ’
ভাবুক হলো বেলা। ডায়েরিটা হয়তো দিগন্ত পড়েছে, হয়তো বা পড়েনি। জানে না সে। এই মুহূর্তে সেকথা তোলার ইচ্ছে হলো না আর। প্রসঙ্গ উল্টে ভেজা স্বরে আওড়ালো,
‘ আপনি না খেয়ে ঘুমিয়েছেন। আমিও খাইনি। খিদে পেয়েছে। ’
-‘ এ জন্য কাঁদছিস? ’
-‘ হুম ’
-‘ সত্যি? ’
নাকমুখ কুঁচকে নেয় বেলা। গাল থেকে দিগন্তের দুহাত টেনে সরিয়ে খ্যাটখ্যাটে গলায় বলে উঠে,
‘ এই রাত-বিরেতে মিথ্যা বলতে যাবো কোন দুঃখে। ’
বেলার কোঁচকানো নাক দু’আঙুলের মাঝে চেপে দেয় দিগন্ত। ভ্রুঁ নাড়িয়ে বলে,
‘ ক বললে কলিকাতা বুঝিস। না খেয়ে আছিস কেন? আমার জন্য অপেক্ষা করবি এরপর থেকে। খিদে পেলে খেয়ে নিবি। ’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

বলতে বলতে বেলার হাতের দিকে নজর আটকায় দিগন্তের। মেহিদী রাঙা লাল হাতজোড়া দেখে ঘোর লাগে। বেলার নরম দুহাত টেনে নিজের হাতের মাঝে নেয়। গভীর চাহনী ঘুরে-ফিরে দেখে সমস্তটায়। অতঃপর উষ্ণ পরশ আঁকে দুহাতের পাতায়। দিগন্তের আলতো স্পর্শে দম খিঁচে নেয় বেলা। অন্তঃস্থল তার অনুভূতির তাড়নায় উঠানামা করছে। হাতের মাঝে লেখা নামখানায় বুড়ো আঙুল বুলিয়ে ধীর আওয়াজে বলে দিগন্ত,
‘ যত্ন নিয়ে লিখেও নাম ভুল করলেন। এটার শাস্তি কি দেওয়া উচিত? ’
বেলা জবাব দিবে কিভাবে! গলায় কাছে সবকিছু এসে আটকে আছে। শ্বাস টানাও দুঃসাধ্য ওর পক্ষে। জবাব না পেয়ে বেলার মুখপানে চায় দিগন্ত। পলকহীন শ্বাস খিঁচে বসে থাকা রমণীকে দেখে ঠোঁট কামড়ে মৃদ্যুমন্দ হাসে। তারপর হুট করে বেলার হাতে টান বসিয়ে ওকে কাছাকাছি আনে। অপ্রস্তুত বেলা সে টানে তাল হারায়, মাথা গিয়ে ঠেকে দিগন্তের প্রশস্থ বক্ষে; নিজেকে সামলাতে ব্যর্থ হয়ে হড়বড়িয়ে শ্বাস টানে সে।
তাতক্ষনাৎ পুরুষালি ঘ্রাণ নাসারন্ধ্রে প্রবেশ করতেই আবেশিত হয় বেলা। মাথা ঝিম ধরে ঘুরতে শুরু করে, সহসা শরীর ছেড়ে দেয়।
একহাতে বেলার কোমড় জড়িয়ে, বেলার চুলের ভাজে হাত গলিয়ে দেয় দিগন্ত। বুকের মাঝে লুকিয়ে থাকা মুখখানা আলগা করে, কপালে কপাল ঠেকিয়ে আওড়ায়,

‘ আগেভাগে দম আটকে রাখবেন না পাটোয়ারীর মেয়ে। এ কাজ আমার। ’
দিগন্তের গরম শ্বাস বেলার চোখমুখে পড়ছে। গাল-কপোলে কেমন উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। আখিঁপল্লব নিচে নামিয়ে রেখেছে বেলা। শুকনো ঢোক চেপে বিড়বিড়িয়ে বলে,
‘ শেষ বেলায় গোসল দিয়েছি, সমস্ত চুল ভেজা। এই রাতে গোসল দিলে ঠান্ডা লাগবে। ’
বেলার কথা শুনে ওষ্টুপুট প্রসারিত হয় দিগন্তের। টান টান করে রাখা বেলার নাকে নাক ছুঁইয়ে বলে উঠে,
‘ বড় বেশি বুঝছিস। তোর জন্য ধৈর্য্য ধরে থাকতে থাকতে আমার ধৈর্য্যসীমা অসীমে গিয়েছে। ’
-‘ তাহলে নীচে চলেন। সারাদিন নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে আছেন। ’
-‘ একদিনে বেলা পাটোয়ারী থেকে মিসেস দিগন্ত তালুকদার হয়ে গেছেন। কথাবার্তা চড়া, সাথে জ্ঞানবোধ বেড়েছে ভালোই। ’

-‘ তাতে ক্ষতি কি? বেলা পাটোয়ারীই থাকতে বলছেন? ’
-‘ না। কেবলমাত্র বন্দি ঘরে আমার বেলা পাটোয়ারীকে চাই। ’
ঠোঁটের কোণে কিঞ্চিৎ হাসি রেখা দেখা দেয় বেলার। আচানাক দিগন্তের হাতের ফাঁক গলিয়ে বিছানা ছেড়ে নেমে দাঁড়ায়। বেলার প্রতি পূর্ণ মনযোগ থাকায় কখন হাতের বন্ধন ঢিলে হয়েছে সে খেয়াল নেই দিগন্তের। ভালো সময়ে বেলার এভাবে সরে যাওয়াতে বিরক্তিতে তেঁতে উঠে। ললাটে ভাজ ফেলে মুখ থেকে চুউ শব্দ বের করে।
তা শুনে শব্দ করে হাসে বেলা। বেলকনির দিকে পা বাড়াতে বাড়াতে বলে,
‘ তাহলে ঘরের বাইরে আসেন। ঘরের বেলার মাথা ঘুরছে, কখন যেন জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকে। আপনাকে না খাইয়ে জ্ঞান হারালে, পরদিন সকালে বেলার দাদী-শ্বাশুড়ি ওর পিঠের ছাল তুলবে। ’
এলোমেলো হয়ে থাকা শার্ট ঝেড়ে ঠিক করল দিগন্ত। বিছানা থেকে নেমে বেলার পিছু পিছু বেলকনির দিকে হাঁটা ধরে ত্যাদড় গলায় বলে,

‘ দাদী-শ্বাশুড়ি পাঁকিয়ে দিয়েছে তোকে। কয়দিন পর থেকে কলেজ শুরু হবে, দাদীর সব কথা শুনে নাচবি না। ’
রেলিং এর ওপর দুহাত ছড়িয়ে আকাশপানে তাকায় বেলা। দিগন্তের কথাগুলো শুনেও কোনোরূপ জবাব দিল না। অপেক্ষা করল কিছুপল। সেকেন্ড কয়েক পেরিয়ে দুটো শক্তপক্তো হাত একসাথে পেঁচিয়ে ধরল ওকে। পিঠ গিয়ে ঠাই পায় বিস্তৃত এক বক্ষের মধ্যে। পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে, বেলার কানের কাছে মুখ রাখে দিগন্ত। ধীরস্থির ভাবে বলে,
‘ বাড়ির পরিবেশ স্বাভাবিক হলে, পড়া শুরু করবি। কারো কথায় প্রভাবিত হয়ে অন্যায় আবদার জুড়লে, আমাকে কাছে পাবি না আর। ’
দিগন্তের কথার মানে ধরতে পারল না বেলা, চুপ করে রইল। একটু পর নিরবে দিগন্তের দেওয়া ছোটখাটো অত্যাচারগুলো সয়ে নিতে শুরু করল। ঘর থেকে আসা টিমটিমে ড্রিম লাইটের আলোতে, বেলকনির মেঝেতে ওদের দুজনের ছায়া স্পষ্ট; সে ছায়াতে দূরত্ব নেই।
আবেশে চোখ বন্ধ করে রেখেছিল বেলা। হুট করে চোখ খুলে নিচে তাকাতেই চমকালো। দিগন্তকে ডেকে ভীতি স্বরে বলল,

‘ রতন ভাই প্রত্যাশাকে নিয়ে কোথায় যেন যাচ্ছে। দেখেন। ’
বেলার কথা কর্ণকুহুরে পৌঁছাতেই ওর থেকে সরে নিচে তাকাল দিগন্ত। ঠিক সেসময় রকেয়া তালুকদারের আওয়াজ পাওয়া গেল। প্রত্যাশাকে জোর গলায় ডাকছে আর দিগন্তদের ঘরের দিকে আসছে। সেকেন্ডের মাঝে বাইরের পানে ছুটল দিগন্ত। ওর পেছনে বেলাও দৌড়ে গেল।

কিছুক্ষন আগে, দিগন্তকে পেছনে পেছনে আসতে দেখে পায়ের জোড় বাড়িয়ে এলাকার বড় পুকুরের কাছে চলে আসে রতন। কোনোরূপ ভাবনা চিন্তা ছাড়া ঘুমন্ত প্রত্যাশাকে পুকুর ভর্তি পানিতে ফেলে দেয় সে। ঠান্ডা পানিতে সাঁতার না জানা ছোট প্রত্যাশা হাত-পা ছুঁড়ে চিৎকার করে। দিগন্ত এসে পুকুর থেকে উঠায় ওকে। এর মাঝে অনেকটা পানি খেয়ে ফেলেছে প্রত্যাশা। জ্বর আর পুকুরের পানি পেটে যাওয়ার ফলস্বরূপ জ্ঞান হারিয়েছে সে।
একটা বিশাল পুকুরের সামনে, ঘাসের ওপর প্রত্যাশাকে কোলে নিয়ে কাঁদছে বেলা। ওদের থেকে কিছুটা দূরে রতনকে শক্ত করে ধরে রেখেছে দিগন্তসহ আশপাশের কয়েকজন লোক। উন্মাদের ন্যায় ছোটাছুটি করছে রতন, একটু ফাঁক পেলে হয়তো প্রত্যাশার প্রাণের ঝুঁকি বাড়বে।

বেলা আর রেহানা মিলে প্রত্যাশাকে নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। দিগন্ত ওর দলের ছেলেদের হাতে রতনকে রেখে আসে। ইতঃমধ্যে গা কাঁপিয়ে জ্বর চলে এসেছে প্রত্যাশার। সময়ব্যয় না করে ওকে নিয়ে দিগন্ত আর বেলা হাসপাতালে উদ্দেশ্যে বের হয়।
এদিকে ক্লাবে থম মেরে বসে আছে রতন। এতোক্ষনে করা সব কাজ মনে করতেই উঠে দাঁড়ালো। বাইরে যেতে চাইলে দুজন ছেলে আটকে ধরল ওকে। ওদের থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা চালালো রতন। ছাড়াতে না পেরে অপরাধী গলায় বলে উঠল,
‘ ছাড় আমাকে ভাই। পাপ করেছি, হুশে ছিলাম না। ’

এখনো জ্ঞান ফেরেনি মনার। কাউকে ভেতরে গিয়ে দেখার অনুমতি দেয়নি ডাক্তার। রাত বারোটা পেরিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে এতো মানুষের ভীড় রাখা যাবে না বলে, জুনায়েদ আর রায়হানের সাথে মিতালী থাকবে এখানে, বাকিরা বাড়ি ফিরবে। ওরা বাড়ি গেলে দিগন্ত আসবে।
সকলে নীচে নেমে গিয়েছে। মাইশা যাওয়ার আগে একপলক অপরপাশের করিডোরের দিকে তাকালো। কিছুক্ষন আগে রায়হান ওদিকে গিয়ে বসেছে। কাল থেকে নাকি এখানেই আছে। চোখেমুখে বিশাল ক্লান্তি লেপ্টে ছিল। একবার মন বলেছিল গিয়ে একটু কথা বলতে, পরক্ষনে নিজেকে আটকে নিয়েছে।
লিফটের কাছে এসে দাঁড়ালো মাইশা। আসতে একটু দেরী হতেই, ওকে ছেড়ে নেমে গিয়েছে বাকিরা। মিনিট দুয়েক পর লিফটে দরজা খুলতেই সেখান থেকে লাফিয়ে বের হলো দিশা। চটপটে হাতে মাইশার কাছে একটা বক্স দিয়ে বলল,

‘ আম্মুর সাথে তুমিও থাকবা। আর এটাতে খাবার আছে, রায়হান ভাইকে খাইয়ে দিও। বাকিদের আমি সামলে নিবো। ’
একশ্বাসে কথাগুলো বলে পুনরায় লিফটে চলে গেল দিশা। মাইশা অবাক চোখে চেয়ে বলে উঠল, ‘ আমি? ’
দরজা বন্ধ হওয়ার আগ মুহূর্তে মুখ বেঁকিয়ে দিশা জবাব দেয়,
‘ জামাই তোমার, দায়িত্ব-ও তোমার। ’
দিশা চলে যাওয়ার পরও ধ্যান মেরে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকল মাইশা। হাতের ছোট বক্সের দিকে তাকিয়ে ভাবল কি করবে! অতঃপর গাল ফুঁলিয়ে শ্বাস ছেড়ে করিডোরের দিকে গেল।
স্টিলের চেয়ারে মাথা হেলিয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছে রায়হান। কাল থেকে ঘুম হয়নি। চোখজোড়া মানছে না আর। দিগন্ত এলে কিছু সময়ের জন্য, বাড়ি যাবে সে। পাশে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে চোখ খুলল। মাইশাকে দেখেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালো না।
মাঝখানের একটা চেয়ার ফাঁকা রেখে বসেছে মাইশা। সেখানে বক্সটা রেখে ছোট করে বলল,

‘ খেয়ে নেন। ’
পূর্বের ন্যায় চোখ বন্ধ করে নেয় রায়হান। ঝাঁঝালো গলায় বলে,
‘ কাল থেকে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে হাসপাতালে পড়ে আছি। হাত-পা পুরো শরীরে জীবাণু। খাইয়ে দিতে পারলে দেও, নয়তো এসবের মানে হয় না। ’
কথাটা গায়ে লাগে মাইশার। বিড়বিড়িয়ে রাগ ঝাড়ে,
‘ বসে দিলে, শুতে চায়। ’
বিড়বিড়িয়ে বললেও সেটা রায়হানের কর্ণগোচড় হয়। বলে উঠে,
‘ শুতে চাইলে আটকাতে পারবে না। ’

বাঁকা চোখে রায়হানকে দেখে মাইশা। কথা না বাড়িয়ে হাত ধুয়ে আসে। বক্সটা খুলে নিয়ে রায়হানের পাশের চেয়ারেই বসে এবার। অতঃপর খাইয়ে দিতে থাকে রায়হানকে। রায়হানও বিনাবাক্য ব্যয়ে খাচ্ছে।
রাত হওয়ার এদিকটা ফাঁকা, মানুষজন নেই। তবুও ভেতরে ভয় মাইশার। কেউ দেখে ফেললে, জবাবদিহিতা করতে হবে। মনে মনে দোয়া দরুদ পড়ছে আর খাওয়াচ্ছে।
এদিকে করিডোরের আড়ালে রেহানা অবাক চোখে দেখছে মেয়েকে। মাইশার নিচে নামতে দেরী হচ্ছিল বলে সিঁড়ি বেয়ে পুনরায় উপরে এসেছিল সে। কিন্তু করিডোরের কাছে আসতেই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। স্বল্প পরিচিত একটা ছেলেকে কি অবলীলায় খাইয়ে দিচ্ছে মাইশা!

অবিশ্বাস্য সে দৃশ্য দেখে, চূড়ান্ত অবাক আর ক্রোধ নিয়ে একদৃষ্টে ওদের দিকে চেয়ে আছে রেহানা। শহরে এসে মেয়ে বিপথে গিয়েছে, ভেবে অন্তর কাঁপছে তার। রাগে চোখ-মুখ শক্ত করে রেখেছে।
এদিকে দিশা দৌড়ে আসতে আসতেও দেরী করে ফেলেছে। ততক্ষণে কেলেঙ্কারি ঘটেছে বৈকি! শুধু রেহানা না ওর পাশে মিতালীও অবাক হয়ে সামনের দিকে দেখছে।
মিতালী আর রেহানার পাশে এসে মাথায় হাত পড়ল দিশার। সর্বনাশ হয়েছে! রায়হান-মাইশার সম্পর্ক স্বাভাবিক না হতেই বড়দের কাছে ধরা খেয়ে গেল ওরা।

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৫০ (৩)

নিজের কাজের জন্য বেজায় আফসোস হলো দিশার। আগ বাড়িয়ে মাইশাকে রায়হানের নিকট ভিড়িয়ে দিতে গিয়ে, ধরা খাইয়ে দিল। কপালে যে ওর বড়-সড় শনি আছে, তা হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাচ্ছে। কাঁদোকাঁদো স্বরে বিড়বিড়ালো,
‘ মানুষের ভালো করতে নেই। ’

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৫২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here