ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৪৫

ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৪৫
মাহিরা ইসলাম মাহী

নিস্তব্ধতা কে কবুল বলতে বলা হলো।সে বলছেনা।
কেন বলছেনা।সাদাফের সহ্য হচ্ছে না।তার নীরু কবুল বলুক।তারপর নাহয় তাকে মারুক,ধরুক, কাটুক, সে একটুও মাইন্ড করবে না।
সাদাফ চিৎকার করে বলল,
“ নীরুরেএএএএ আজ তুই কবুল বলবি নয়তো এই তিন তলার ছাঁদ থেকে আমি ঝাঁপ দেব।
মনে রাখিস আমি মরলে আমার আত্মা তোকে শান্তি তে বাঁচতে দেবে না।
আমি একা কেন মরবো।তোকে সঙ্গে নিয়ে মরবো।
কবুল বলবি? নয়তো দিলাম ঝাঁপ।নিরুরেএএএএ
কবুল বল নয়তো…”

“ সাদাফ নআআআআআ…”
নিস্তব্ধ চোখ বন্ধ করে চিৎকার করে উঠে এক নিঃশ্বাসে তিন কবুল নয় বরং একাধিক বার বলে ক্ষান্ত হলো।
“কবুল,কবুল কবুল,কবুল,কবুল….”
সাদাফ শব্দ করে হেসে দিলো।
সে রেলিং থেকে এক পা নিচে নামিয়েছে তো আদ্রিত হ্যাচকা টানে নব কপোত-কপোতী সান্ডা,পান্ডা দুটোকে নিচে নামিয়ে দিলো।
সাদাফ নিস্তব্ধতা দুজনে ছিটকে পরলো ফ্লোরে।
আদ্রিত চিৎকার করে বলল,
“ পাগল হয়ে গিয়েছিস দুটো? পাবনার পাগলা গারদে ভর্তি করাতে হবে? বল ভর্তি করিয়ে দিয়ে আসি।ইডিয়েট গুলো।থাপড়ে এক একটার দাঁতের পাটি খুলে দেওয়ার দরকার। সব কিছুতে ইয়ার্কি।নিজে তো মরবি আমার বোনটাকে নিয়ে মরবি হতভাগা।
বেয়াদব দুটো।”
সাদাফ চুপসে যাওয়া মুখশ্রীতে দাঁড়িয়ে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“ব্রো ত…”
আদ্রিত দিলো এক ধমক,
“ চুপপপ।একটা কথা বলবিনা।”
সাদাফ বোধহয় প্রথম যে কিনা বিয়ের পরমুহূর্তে তাকে কেউ পাগলা গারদে ভর্তি করার প্রসৃতাব দিচ্ছে।
কাজী সাহেব আলহামদুলিল্লাহ’র ঝড় তুললো পুরো ড্রয়িংরুম জুড়ে ।
কাজী সাহেবের খুশি আর ধরে না।
রহিমা খালা ফিসফিস করে বলল,
“ আস্তে চিক্কুর পারেন গো কাজী সাহেব।আপনের জওবান ছিড়া যাইবো গা। তারপরে দেখা যাইবো বউয়ের লগে গপ্প সপ্প করার সুযোগ পাইবেন না।”
ভদ্রসভ্য কাজী সাহেব বিরক্তির চোখে চাইলেন।
কি আশ্চর্য এই মহিলা সব সময় বেশি কথা বলে কেন।
সুজন দৌঁড়ে এসে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জরিয়ে ধরলো নিস্তব্ধ কে।
খুশিতে চিৎকার করে বলল,

“ নিস্তব্ধ রেএএএ অবশেষে তুই আমার বেয়াই হলি রেএএ।উফস কি যে আনন্দ লাগছে না।
তোকে একটা চুমা দেই আয়।”
সুজন ঠাস করে নিস্তব্ধ’র বাম গালে চুমু খেয়ে নিলো।
বিরক্তিতে ভ্রুদ্বয় কুঁচকে নিলো নিস্তব্ধ।
“ আশ্চর্য কি শুরু করেছিস?এভাবে মেয়ে মানুষের মত জাপ্টে ধরে চুমাচামি শুরু করেছিস কেন? দরকার পড়লে তোর বউয়ের কাছে যা।আমায় কেন।”
সুজন নিস্তব্ধ হা করা গালে আস্ত মিষ্টির টুকরো পুরে দিলো।

“ আরে রাখ তো।তোর মেজাজ অন্য কোথাও দেখাস। বউকে কাজে লাগাবো রাত্রীতে।এখন হচ্ছে বন্ধু আসল। আপনি বরং বেয়াইসাব আজকে মিষ্টি খান।”
বলেই সুজন দাঁত কেলিয়ে হাসলো।
নিস্তব্ধ ভ্রু কুঁচকে নেয়।
সুজন চঞ্চল পায়ে এগিয়ে গেল তাসফির কাছে।
“ এই যে বেয়াইন সাহেবা নেন মিষ্টি খান।”
সুজন তাসফির গালে মিষ্টি দিতে যাবে তার আগেই নিস্তব্ধ খপ করে সুজনের হাতটা ঘুরিয়ে মিষ্টিটা নিজ মুখে পুরে নিলো।

“ অন্যের বউকে খাওয়ানোর এত দ্বায়িত্ব দিলো কে তোকে?”
সুজন বড় বড় চোখে চেয়ে।হাতের রসগোল্লা তার চোখের আকৃতিতে ধারণ করেছে।
লজ্জায় তাসফি হতভম্ব চোখে এদিক ওদিক চোখ ঘোরায়।
“ ইশশ।কোথায় কি বলতে হয় এই লোকটার কোনোদিন যদি বুদ্ধিসুদ্ধি হয় যদি।এভাবে ভরা মজলিসে কেউ এমন কাজ করে? উফফ! লোকটা কে নিয়ে আর পারে না সে। ছেলেমেয়ে বিয়ে দিয়ে এবারে নাতি-নাতকুরপর মুখ দেখার পালা অথচ লোকটা একফোঁটা বদলালো না আশ্চর্য। “

আশা তাসফির গাঁ ঘেসে দাঁত কেলিয়ে হেসে ফিসফিস করে বলল,
“ তাসের ঘর রেএএ।তোর বলা কয়লার মতো কালো ডাক্তার সাহেব যে আজও এত্ত লুমান্টিক বলিস নি তো আগে? বেয়াইন সাহেবা। আপনার ডাক্তার সাহেবকে আমি একটা মিষ্টি খাওয়াই কি বলেন? আফকোর্স সে আমার বেয়াই…।”
আশা দুষ্টু হেসে ভ্রু নাচায়।
তাসফি গরম চোখে চায়।
“ চুপ থাক পাখির বাসা।”
আশা চুপ করলো না বরং একহাতে তাসফিকে জরিয়ে ধরলো।
“ আজ চুপ থাকলে কি করে হবে বলতো তাসের ঘর? আজ যে আমাদের বিরাট খুশির দিন। তোর মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হবে কত্ত দিনের স্বপ্ন ছিল আমার জানিস? তোর মেয়েকে পুত্রবধূ নয় নিজ মেয়ের চেয়েও অধিক আদর করবো। সেই কলেজ লাইফের ইচ্ছে আমার।এরপর কত্তগুলো বসন্ত পেরুলো।অবশেষে স্বপ্ন পুরণ হলো বুঝি। আজ কি চুপ থাকলে হয় বল?”

“ তাসফি হাসলো।নিজেও বান্ধবী রুপী বেয়াইন কে জরিয়ে ধরে কোলাকুলি করলো স্ব’আনন্দে।”
সুজন দুষ্টু হেসে নিস্তব্ধ’র কানে কানে ফিসফিস করে বলল,
“ ছেলে মেয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোদের বাসরটাও নতুন করে সাজাবো নাকি রে বল? সাজাই কি বলিস।”
নিস্তব্ধ আগুন চোখে চাইলো।
“ সুজন মাঝি তোকে তো..”
তাকে আর পায় কে, সুজন নিমেষে নাই হয়ে গেল।
জিনের ন্যায় অদৃশ্য ভঙ্গিতে তাকে দেখা গেল তৃপ্তির সামনে,
“ নে রে অতৃপ্ত আত্মা হা কর।আজ তোকে ডবল মিষ্টি খওয়াবো।ছেলে মেয়ে দুজনের বিয়ে হলো।
আহাঃ।এই সুখ রাখবো কোথায়।”
তৃপ্তির চোখ ভিজে এলো।
তার মেয়েটার বাবা নেই তো কি এই যে ড্রয়িংরুম ভর্তি এতগুলো বাবা হলো মেয়েটার।আর বাবার কি প্রয়োজন।এই বা কম কিসে।

অশ্রুসিক্ত চোখে চেয়ে সে হা করলো।
সুজন একপলক তৃপ্তি’র পানে চেয়ে চোখ সরিয়ে নিলো। না না তার তাকানো যে পাপ।এই রমণী তার জন্য পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
তৃপ্তি যেন আজ তাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল,অদৃশ্য শক্তিতে তৃপ্তি যেন চিৎকার করে সুজন কে জানান দিচ্ছে,
“ নিজেকে পরিবর্তন করতে পারলে অতীতের কোনো কালো ছায়া বর্তমানে লাগার সাহস যোগায় না রে সুজন মাঝি।
অনেকের নৌকার মাঝি তো হলি তবে নিজের নাও ভেড়ালি আশার দ্বারে।
তুই বলেছিলি আমাকে ভালোবাসা যায় কিন্তু আমার মতো মেয়ের সঙ্গে সংসার করা যায় না অন্তত। এই দেখ।দেখ রে সুজন মাঝি আজ আমি সংসার করছি।কারো ঘরের ঝি আমি।

তোদের থেকে হাজার গুনে ভালো করছি না বল? এক সময় নিত্য পুরুষের সঙ্গে থাকা আমি আজ কোনো পুরুষের ধার ধারি না।আমার জীবনের এখন অতীত বর্তমানের একটাই পুরুষ আর সে হলো আমায় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর উপহারটি দিয়ে যাওয়া আমার অতিথি পাখির একমাত্র বাবা নিখিল। এখন আমি ওকে ভীষণ ভালোবাসি রে।
যতদিন বেঁচে আছি বেসে যাবো আজন্ম।
কি বল সংসার করতে পারছি তো নাকি?
বিদায়ের দিন ভালো থাকতে বলেছিলি।নতুন করে সবটা শুরু করতে বলেছিলি।কি বল বলিস নি? দেখ দেখ আমি পেরেছি কিনা বল?
পেরেছি তো? তোদের দোয়া আর ওপর ওয়ালার রহমতে আজ আমি পরিপূর্ণ। “
একটা দীর্ঘশ্বাসের উত্তপ্ত নিঃশ্বাস সুজনের পাশ বেয়ে হারিয়ে গেল দূর অজানায়।
জীবনে কাউকে কখনো ছোট চোখে দেখতে নেই।
কে জানে কার জীবন কখন পরিবর্তন হয়।
কে কখন হারিয়ে যায় ভালোর সমুদ্রে আর কে পাপের সমুদ্রে।গোটা ইউনিভার্স যে ওপরওয়ালার সৃষ্টি রহস্যে ঘেরা। তা ভেদ করা যে অসম্ভব।
সৃজন এগিয়ে এসে তৃপ্তির গালে মিষ্টি পুরে দিয়ে হেসে বলল,

“ নেন বেয়াইন সাহেবা মিষ্টি খানা। কাঁদিস পরে আগে মিষ্টি খা রে তৃপ্তি। “
তৃপ্তি অশ্রুসিক্ত চোখে বোকা হাসলো।
সত্যিই আজ যে তার কাঁদার দিন নয় বরং খুশিতে পাগলপারা হয়ে হাসার দিন।
তাসফি, আশা এগিয়ে তৃপ্তি কে আলতো জরিয়ে ধরে অভিবাদন জানায়।
তৃপ্তি হাসলো।
অতীতের রাগ তার মাঝে অবশিষ্ট নেই সব ভুলেছে সে।বরং সে আজ খুশি খুব খুশি।
আদ্রিত বোন আর বোন জামাই নিয়ে এসে বসিয়েছে সোফায়।
একপাশে বসা জাওয়াদ- অদিতি,অপর পাশে
সাদাফ-নিস্তব্ধতা।

দুই জোড়া কাপল। ইশশ তাদের বিয়ে সম্পর্কে সকলে জানলে তিন জোড়া হতে পারতো।আদ্রিত আর মাহরিসা যদি অপর পাশে বসার সুযোগ পেত।
সকলের আগে বিয়ে করে অথচ আজ সে পিছিয়ে। সিঙ্গেল জীবন পার করতে হচ্ছে তাকে।
আদ্রিত চাইলেই এই মুহুর্তে সবাইকে সবটা বলে দিতে পারে।সেই সৎ সাহস তার আছে।এতটাও কাপুরুষ নয় সে।
কিন্তু মাহরিসার জন্য পারছে না।সে কাউকে ভয় করে না। কারো না মানার তো প্রশ্নই উঠছে না। আর কেউ না মানলেও তার কোনো সমস্যা নেই, বউ পালার সামর্থ তার শতভাগ আছে তবে কিসের জন্য সে অপেক্ষা করে আছে? শুধু মাত্র তার মেরিগোল্ডের জন্য। মেয়েটা কিসের জন্য এত ভয় পাচ্ছে? কি সমস্যা কে জানে।
বাবা- মা কে কষ্ট দিতে চায় না। যা হওয়ার তা তো হয়েই গিয়েছে।এটা তে হবারই ছিলো।
তবে এখন মেয়েটার এত ভয় পাওয়ার তো কারণ দেখছে না সে।
তবুও কেন এত আপত্তি মেয়েটার।

পরে যদি হিতে কোনো বিপরীত হয় আদ্রিত আস্ত রাখবে না মারুকে।
ভয় আজীবনের জন্য দূর করে দেবে সে রমণীর।
এত যন্ত্রণা আর সহ্য হয় না তার।বিয়ের পর সিঙ্গেল জীবন যাপন করা যে কতটা যন্ত্রণা’র সেই যন্ত্রণা একটা পুরুষ মানুষই ভালো বুঝতে সক্ষম হবে।
ক্ষিপ্ত মেজাজে মাহরিসার পানে অগ্নি চোখে চেয়ে আদ্রিত হনহন করে বেরিয়ে যায় ফ্লাট ছেড়ে।
মাহরিসা চুপসে যায়।
এত রাগে কেন লোকটা।

সে নিজেও তো জানে আদ্রিত ভাই চাইলেই এখন সবাইকে সবটা বলে দিতে পারে।কিন্তু ওই যে মাহরিসার মনের ভয়।বাবা-মা কষ্ট পাবে।সে চাইছে মাহীন আর বাসন্তী আর কিছুদিন থাকনা গোলকধাঁধায়।মিছে আশ্বাস নিয়েই থাকুক নাহয় আর কটা দিন। তারপর সবটা বলা যাবে।সুখ সুখ অনুভূতিতে বাবা মা আর কটাদিন পার করুক।
অথচ পাগল লোকটার পাগলামীর শেষ নেই।
নিজের মাঝে চলা ঝড় মাহরিসা কি করে অন্যকে বোঝাবে। যার যার ব্যথা সে সে বুঝে।
অন্যরা ভাবে ভাণ, নেকামো। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীত।এমন পরিস্থিতিতে তারা কখনো নিজেকে সে স্থানে বসিয়ে দেখে না আদৌও বাস্তবতা কতটা কঠিন। মুখে সব বলে ফেলা বড্ড সহজ।কিন্তু সামন-সামনি তা ঘটাতে গেলেই বাঁধে কেলেংকারী।

নয়তো এই যে হাজার হাজার মানুষ চাকরি ভাইবার জন্য নিজের সর্বোচ্চ টা দিয়ে প্রেপারেশন নিয়ে পরমুহূর্তেই ইন্টারভিউ রুমে ঢুকেই সব গোলমাল পাকিয়ে ফেলে। পাশ করে গুটিকয়েক। কেন এমন হয়? প্রিপারেশন তো নিজের বেস্ট টা দিয়ে নিয়েছিল অধিকাংশই।পাশ তো সকলে করতে পারতো, করে না কেন?
মাহরিসা সেই গুটিকয়েক সাহসী মানুষ নয় বরং সে বাকি ফেল করা মানুষদের কাতারে, তাই তো তার সবকিছুতে এত ভয়।
নিস্তব্ধতা সাদাফের দিকে আগুন চোখে চেয়ে বলল,

“ মরতে নিয়েছিলি কেন? মরার খুব শখ হয়েছিল তাই না রে?”
“ উহু তোকে পাওয়ার শখ জেগেছিলো ভীষণ।”
“ বাজে কথা।তোর ওসব ভাষণ অন্য কোথাও গিয়ে দিস।প্লিজ আমায় অন্তত দিস না।”
সাদাফ মুখ খানা গোমরা করে নিলো।
এই নীরু টা এত নিষ্ঠুর কেন? কেন তাকে বুঝতে চায় না।
“ শোন? আমি কিন্তু তোর সঙ্গে রাতে এক বিছানায় থাকছি না।বিয়ে করেছিস বলে ভেবে নিস না সব অর্জন করে নিয়েছিস।”
সাদাফ করুণ চোখে চাইলো,

“ একা এক বিছানায় থাকতেই কি বিয়ে করেছি বল?”
“ কেন এত দিন থাকিস নি? এখনও ওও থাকবি সমস্যা কোথায়?আর বিছানা বলছিস কি? বিছানায় আমি থাকবো তুই কোথায় ঘুমাবি সে আমার দেখার বিষয় নয় মোটেও।”
সাদাফ হতভম্ব দৃষ্টিতে চেয়ে রয় নীল শাড়ী পরিহিত সুন্দরী, রূপবতী, তার পাষান্ড নব বধূর পানে।
সাদাফ যদি জানতো এই নিষ্ঠুর মানবীই এককালে তাকে ভীষণ আদর যত্ন করবে তবে আজকের এই আফসোস টুকু কোনোদিন করতো না।
অতিদি জাওয়াদের পাশে বসে লজ্জায় মূর্ছা যাচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে।
শাড়ির আঁচলের ফাঁক গলিয়ে জাওয়াদ তার হাতটা এখনো মুঠোবন্দী করে রেখেছে।
লোকটার হাত ছাড়ার নামই নেই।এমন করলে কি করে হয়?
এমন সব পুরুষেরই বুঝি বিয়ের পর অধিকার বেড়ে দ্বিগুন হয়। অপর পক্ষের কথা শোনার তোয়াক্কাই করে না তারা।

ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৪৪

তৃপ্তি অনুরোধ করে আজ সকলকে থাকতে কিন্তু নিস্তব্ধ জানায়, অন্য কোনোদিন আসবে, আজ আর নয়।
এবারে বাড়ি ফিরতে হবে।
অনেক তো হলো বিয়ে, কুশল বিনিময়।এবারে বাড়ি ফেরার পালা।
কে জানে তাদের সকলের নতুন জীবনে সামনে কি অপেক্ষা করে আছে।
দু হাতে মোড়া দুঃখ নাকি সুখ? কোনটা?

ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৪৬

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here