ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৪৮
মাহিরা ইসলাম মাহী
আদ্রিত সাদাফের পায়ে এক লাত্থি মেরে তাকে নিচে ফেলে দিলো।
“ বসে বসে দেখছিস কি বাসর ঘরে যা ইডিয়েট।”
সাদাফ আর এক মুহুর্ত দাঁড়ায় না।
এক লাফে উঠে দৌঁড়ে যায় নিস্তব্ধতার পিছু পিছু।
নিস্তব্ধতা মাত্রই দরজা লাগাতে যাবে ঠাস করে।তার আগে সাদাফ গিয়ে নিজ সর্বশক্তি দিয়ে দরজা ঠেলে ধরে।
নিস্তব্ধতা চোখ বড় বড় করে চায়।
“ কি সমস্যা? “
“ বাসর করবো নীরু!”
সাদাফ চোখ পিটপিট করে সুধায়,
পাঙ্গাস মাছ যেমন করে ইয়া বড় হা করে, নিস্তব্ধতার ঠোঁট দুটো ঠিক এতখানি ফাঁকা হা হয়ে গেল।
ঠোঁট জোড়ার মাঝে একটা থেকে আরেকটা দৈর্ঘ্য মাপা মুশকিল।
সেই সুযোগে সাদাফ সাংঘাতিক কাজটা করেই বসলো।
ঘাড় এলিয়ে সাদাফ চট করে নিস্তব্ধতার দু ঠোঁটের মাঝে চুমু খেতে এগিয়েছে কি ঠাস করে শব্দ হলো।
সাদাফ হতভম্ব দৃষ্টিতে নিজের বাম গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে।
শেষে কিনা চুমু খেতে যাওয়ার অপরাধে সদ্য বিবাহিত বউয়ের হাতে চর খেতে হলো তার?
কি আশ্চর্য।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“ দরজা ছাড়।”
সাদাফ মাথা নাড়লো।
“ দরজা ছাড় তুই নির্লজ্জ বেহায়া।”
সাদাফ ফট করে নিস্তব্ধতা কে ঠেলে ভেতরে ঢুকিয়ে দরজার সিটকিনি তুলে দিলো।
নিস্তব্ধতা সাদাফের ডান গালে আরেকটা থাপ্পড় মারলো,
“ নির্লজ্জ, বেহায়া ছেলে এত্ত চুমু খাওয়ার শখ থাকলে তোর বউ কে গিয়ে খা বেয়াদব।”
সাদাফ গালে হাত দিয়ে করুণ চোখে চেয়ে।
“ আমার বউটা কে নীরু?”
“ সেটা তুই জানিস।তোর বউকে কোলে করে নিয়ে বসে আছি আমি? আয় নে চুমু খা।”
সাদাফ মিষ্টি হেসে সত্যি সত্যিই এগিয়ে গেল।
নিজের দুহাত এগিয়ে নীরুকে কাছে ডাকলো।
নিস্তব্ধতা এবারে সাদাফেট বাড়ন্ত হাতে কামড় বসালো।
সাদাফ চিৎকার করে উঠলো,
“ আআআআআআ।”
মিষ্টি হাসি তার মুহুর্তেই ধ্বসে পড়লো।
মুখখানা ধারণ করলো ফ্যাকাশে রঙয়ের।
কি মুশকিল তবে শ্বশুরের দেওয়া আইডিয়া বুঝি ফেল করলো।
সে তো বলল জাপ্টে ধরে চুমু খেতে নয়তো থাপ্পড় বসাতে।
কিন্তু ঘটলো তো আরেক কেলেংকারী। জাপ্টে ধরে চুমু খেতে গিয়ে সে নিজেই তো থাপ্পড় খেয়ে,কামড় খেয়ে একাকার।
ছিহ মান ইজ্জত কিচ্ছুটি রইলো না তার। ছেহ।
এই মুখ সে বাহিরে গিয়ে বন্ধুদের দেখাবে কেমন করে।
“ নীরু রে একটা চুমু খেতে দে।অন্তত আমার মান না বাঁচাস ইজ্জত টুকু তো বাঁচা।”
“ ওকে।”
বলে নিস্তব্ধতা সাদাফের মুখের উপর বালিশ ছুঁড়ে মারলো।
“ওটা নিয়ে জাহান্নামে যা। গিয়ে ঘুমো। বাঁচা তোর ইজ্জত।।আমার চোখের সামনে আসবি না। খবরদার যদি আসিস বিশ্বাস কর তোর ইজ্জত আমি একফোঁটাও আস্ত রাখবো না।
“ নীরু রেএএএ এমন করিস কেন বউ আমার? তুই বিয়ে করতে চাসনি আমায় বল? তুই তো রাত দুপুরে আমায় টেনে নিয়ে গিয়েছিলি।এখন কেন এমন করছিস?”
নিস্তব্ধতা কোমরে হাত দিয়ে তেড়ে গেল।
সাদাফের বুক ধাক্কাতে ধাক্কাতে তাকে ডিভানে ফেলে দিলো।
“ আমি বিয়ে করতে চেয়েছি? আমি বিয়ে করতে চেয়েছি? তো চেয়েছি যখন তখন বিয়ের কথা বললাম তুই কেন কোনো কিছু বলিস নি? বল কেন বলিস নি? হুম? বল?
তোকে যখন মেয়ে দেখাতে নিয়ে গেল তোর মুখ ছিলো না সাথে? বলতে পারিস নি আমি আমার নীরুকে বিয়ে করবো ওসব মেয়ে ফেয়ে আমি দেখবো না মা।
কই বলেছিলি? বলিস নি তো।ঠিকই তো ঢ্যাং ঢ্যাং করে ঠ্যাং দুটো নাচিয়ে নাচতে নাচতে নাচতে পাত্রী দেখতে চলে গেলি।তাও শেরওয়ানি পড়ে? বাহ কিয়া বাত হে।”
“ এই তোর উপর না আমার এই মুহুর্তে গরম পানি ঢেলে দেওয়া উচিত।কচি খোকা আমার।”
নিস্তব্ধতার দিকে চেয়ে সাদাফ শুষ্ক ঢোক গিললো।উফস গলাটা এত শুঁকিয়ে যাচ্ছে কেন বারবার।
“ বিশ্বাস কর আমি তো চেয়েছিলাম বলতে।
কিন্তু সুযোগ হলো কোথায় বল? আমার পকেটে হাত দিয়ে দেখ এখনো সেখানে সিলেট যাওয়ার টিকিট ঝুলছে। পরিস্থিতি বুঝে পালাতে চেয়েছিলাম তো।”
“ কিইইই তুই আমার রেখে পালাতে চেয়েছিলি।ওরে গোলামের ঘরে গোলাম।”
“ নাআআ। তোকে নয়।ওই মেয়েকে রেখে।”
“ কোন মেয়ে সত্যি করে বল।”
নিস্তব্ধতা সাদাফের দিকে আরো একটু ঝুঁকে পড়লো।
হাতাহাতি তে রমণীর নীল রঙা শাড়ীর আঁচল খানা যে বড্ড এলো মেলো হয়েছে তা কি সে টের পাচ্ছে না?
এই যে সাদাফের সামনে যুবতী রমণীর মেয়েলি ভাঁজ গুলো স্পষ্ট দৃশ্যমান তা কি দেখতে পাচ্ছে না সে?
কিন্তু সাদাফ? সে তো দেখতে পাচ্ছে স্পষ্ট।
রমণীর এই লাবন্যময়ী রুপ কি তার মতো সামান্য পুরুষের সহ্য করার ক্ষমতা আছে? নেই তো।
সাদাফ শ্বাস বন্ধ করে হা করলো।
“ বল কোন মে…”
বাকিটুকু বলার ফুসরত পেল না নিস্তব্ধতা।
সাদাফ রমণীর নরম কোমরে হাত রেখে এক ঝটকায় মাঝের ইঞ্চি সমান দুরত্ব টুকু ঘুচিয়ে নিলো চোখের পলকে।
নিদারুণ ভঙ্গিতে মুখ গুজলো রমণীর বক্ষভাজে।
নিস্তব্ধতা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে।
বুকে ছোট ছোট কামড়ের আদুরে জ্বালা অনুভব করতেই হুঁশ ফিরলো তার।
সাদাফের গলায় বিশাল আকারে কামড় বসিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে ছিটকে সরে গেল সে।
ফ্লোরে পড়ে যাওয়া শাড়ীর আঁচলটুকু তুলে চট করে ওয়াশরুমে ঢুকে পরলো সে।
কাঁদো কাঁদো মুখ করে চিৎকার করে বলল,
“ বেহায়া, নির্লজ্জ, অসভ্য ছেলে।তোকে আমি খুন করবো সজনেডাঁটার বাচ্চা। নারী নির্যাতনের মামলা দেব তোর নামে আমি। ছাড়বো না তোকে।”
সাদাফ ফিসফিস করে বলল,
“ নীরুরেএএএ কে বলেছে ছাড়তে তোকে?ছাড়িস না আমি তো চাই তুই ধরে রাখ আমায়।আজীবন ধরে রাখ।তোর বিরহে এই সাদাফের অঙ্গ জ্বলে।
হৃদয় পুড়ে।তবু যে তোকে চাই।
তিনটে খেতাবে যে আমার মন ভরবে না।আরো উপাধি যোগ করা চাই।আরো, আরো।
অবশ্যই তা যোগ করে দেখাবো তোকে একদিন দেখেনিস। সেদিন তুই আস্ত থাকবিনা। পান ছেঁচা ছ্যাচনার ন্যায় পিষ্ট হতে তোর সর্ব অঙ্গ। “
মুচকি হেসে গা এলিয়ে দেয় সে ডিভানে।
ওইতো নিস্তব্ধতার ছুঁড়ে দেওয়া বালিশ খানা নিচে পরে আছে অবলীলায়। তারা প্রহর গুনছে সাদাপের আসার অপেক্ষা। তবে তাদের অপেক্ষার অবসান বুঝি আজ আর হবে না।
ওয়াশরুম থেকে নিস্তব্ধতা বের হলো ঘন্টা দুয়েক কাটিয়ে।
ওতখানি সময় সে কি করেছে ওয়াশরুমে কে জানে।
এইতো এখনো হৃদয়ের লাবডাব ফাল পারছে তার ক্রমাগত।
কিসের আসায় সাদাফকে পাওয়ার আশায়?
উহু।
মন বিনিময়ের আগে শরীর বিনিময় সে যে কখনোই করবে না।
উহু কখনোই নয়।
আগে মন তার পর তো শরীর।তবেই না আসল প্রেমের মজা।
সব কিছু খুব দ্রুত পেয়ে গেল তার মূল্য যে কমে যায়।ভীষন করে কমে যায়।
যার কদর যত বেশি তার দাম ততবেশি।
নিস্তব্ধতা ভেজা চুলগুলো মুছলো তোয়ালে দিয়ে।
ঘর ফাঁকা।সাদাফ নেই।চলে গেছে বুঝি?
যাক না।
তার চোখ পরে টিবিলের উপর ফুলদানি’র নিচে রাখা একটকরো চিরকুটের উপর।
এই আজব দুনিয়ায় কিছু মানুষ আছে যারা তাদের মনের কথা গুলো শত চেষ্টা করেও মুখে, সরাসরি মুখ ফুটে গুছিয়ে বলতে পারে না।
তখন তারা অনেকটা সময় নিয়ে নিজেদের কথাগুলো গুছিয়ে প্রকাশ করতে চেষ্টা করে সামান্য অথচ অমূল্য এই চিরকুটের মাধ্যমে।
আহাঃ আগেকার দিনে এই চিরকুট গুলো কতই না মূল্য ছিল।দূরে হতে প্রিয় জন চিঠি পাঠালে সবকিছু ফেলে ছুটে যেত প্রিয়তমারা তাদের প্রিয়তমের চিরকুট গুলো উদ্ধার করতে।
বুকে চেপে ধরে কতই না হাহাকার তাতে মুড়ানো।
হাজারো রাতের কান্না জমে সেথায় অশ্রু হয়ে ঝরে।
আহাঃ কি নিদারুণ ব্যথা সে চিঠি তে।
ছোট্ট চিঠিটার একটি বাক্য যেন হাজারো বাক্যের সমান।একটি বাক্যে যেন হাজারো না বলা কথা লুকায়িত থাকতো অনায়াসে। আর এখন?
হাতে তুলে নিস্তব্ধতা চিরকুট খানায় চুমু খেল।
অতি যত্নে তা রেখে দিলো নিজের গোপন ড্রয়ারে। খুলে ভেতরের লেখাগুলো পড়ে দেখার আগ্রহ পেল না সে মোটেও।
নিস্তব্ধতা আর একটু অপেক্ষা করতে চায়।আর একটু।দেখাই যাক না এলোমেলো গোছের ছেলেটা নিজ কথাগুলো গুছিয়ে মুখে প্রকাশ করতে সাহস যোগায় কিনা।
সে অপেক্ষা করবে।আজীবন কাল।
নিস্তব্ধতা আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
বুক থেকে জামা সরায়।
লাল হয়ে যাওয়া অমূল্য চিহ্ন গুলো চকচক করছে লাইটের আলোয়।
নিস্তব্ধতা হাত দিয়ে হালকা ছোঁয় আহ কি যে ব্যথা।
রাতের অন্ধকার কে ছাড়িয়ে সূর্যিমামা মুখ তুলে চেয়েছে গোটা ধরণীতে। আহাঃ তার মুখে সে কি হাসি।হাসিতে যেন অগ্নি বর্ষণ হচ্ছে ক্রমাগত।
প্রচন্ড উত্তাপে মানুষ যেমন দরদর করে ঘামে।
এই মুহুর্তে নীলাদ্র’র সামনে দাঁড়িয়ে কাশফি দরদর করে ঘামছে।
উহু যেন তেন ঘাম নয়।
সেই ঘামে একেবারে লবনাক্ত এক নীল সমুদ্র তৈরি হবার উপক্রম।
নীলাদ্র’র ঠোঁটে বাঁকা হাসি।
চোখে দুষ্টুমি।হাতে তার কাশফির ফোন খানা।
কাশফি কাঁদো কাঁদো মুখ করে দাঁড়িয়ে।
আশ্চর্যের ব্যাপার ফোনের সঙ্গে তার প্রিয় ডরেমনের কভার খানা মিসিং।দুঃখে তার শ্বাস কষ্ট শুরু হবার উপক্রম।
দামী ফোন পাওয়া গেল অথচ দু’টাকার কভারখানা মিসিং?
নীলাদ্র কাশফির মুখের সামনে ফোনখানা ধরে ফিসফিস করে বলল,
“ দেখতো তোমার ফোনে আমার এই কিউট পিউট ছবিগুলো তুললো কে বলো তো হুপিংকাশি? “
কাশফি পারেনা লজ্জায় জমিনের মাটিরগুলোর সঙ্গে মিশে যেতে।
“ ককক..কেন ন…ননাওমী।হ্যাঁ হ্যাঁ নাওমীই তুলেছে তো।”
“ তাইইই।”
“ হু,হু।”
“ আচ্ছা। তা তোমার বান্ধবী আসেনি আজ ভার্সিটিতে?”
“ না তো কেন বলুন তো?”
“ এই যে আমার মতো হ্যান্ডসাম একটা ছেলে কিউট, পিউট ছবি গুলো সে তোলার সাহস পেল কোথায় তাও আবার যার তার ফোনে নয় ডিরেক্ট হুপিংকাশি’র ফোনে? এখন যদি আমায় ভাইরাসে আক্রমণ করে কি হবে আমার তুমি ভাবতে পারছো কাশি? আমায় তো হসপিটালে ভর্তি হতে হবে। তাতে কি হবে জানো? “
কাশফি চোখ পিটপিট করে চেয়ে মাথা নাড়লো।
“ তা জানবে কেমন করে তুমি তো ভাইরাস ছড়িয়েই খালাস।তার নিরাময় যে কেমন করে হবে তার খোঁজ রাখবে কেন? তাই না।
তুমি তো মহান ভাইরাস, মানুষের মাঝে মহামারি বাঁধিয়েই তোমার শান্তি।
আমি হসপিটালে ভর্তি হলে আমার কি কি ক্ষতি হবে জানো?
হসপিটালে থেকে মশার কামড় খেতে হবে।এরপর ভাইরাস থেকে রোগ কনভার্ট হবে ম্যালেরিয়ায়।ম্যালেরিয়া থেকে ডেঙ্গু, ডেঙ্গু থেকে ডায়রিয়া। তার ফলে আমার দিনের পর দিন পড়াশোনা হবে না।পরিক্ষায় ফেল করবো।তার ফলে কি হবে।চাকরি বাকরি হবে না।দিনের পর দিন না খেয়ে থাকতে হবে।গায়ে ছেঁড়া জামা কাপড়।
কাশফির মনে হলো তার মাথায় কেউ হাতুড়ি পেটা করছে ক্রমাগত।
তার ঝনঝন শব্দ হচ্ছে চারিপাশে।
সে স্পষ্ট কল্পনায় তার সামনে দেখা যাচ্ছে নীল সমুদ্র তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।
তার গায়ে ছেঁড়া ফাটা, সেলাই করা পাঞ্জাবি। ডান হাতের প্লেটে কতগুলো পান্তা ভাত।
বাম হাতে ফেল্টুস খাতার নোটিশ।
তার সামনে চিৎকার করে দাঁড়িয়ে বলছে,
“ আপা কয়রা গরম ভাত দেন আপা।কয়রা গরম ভাত দেন।কতদিন অভাবে গরম ভাত খাই না।”
কাশফি নিজের কান চেপে ধরে চিৎকার করে উঠলো।
এরপর তার আর কিছু মনে নেই।
যখন চোখ খুললো চারপাশে পরিচিত অপরিচিত কিছু মানুষের আনাগোনা।
উঠে বসতে নিতেই মাথা ঝিমঝিম করে উঠলো তার।
পাশ থেকে ভেসে এলো ধমক,
“ চুপচাপ বসে থাকো মেয়ে। সারাদিন এত ছুটোছুটি’র এনার্জি পাও কোথায় তুমি কাশি।”
কাশফি চট করে চাইলো পাশে।
এই তো নীল সমুদ্র। তবে সে কোথায়? সে তো ভার্সিটির মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলো তবে এখানে এলো কেমন করে?
এটা কোথায় হসপিটাল?
ওও মাই গড।
সে কি বেহুঁশ হয়ে পড়েছিল?
শিট,শিট,শিট।
এত্তক্ষণে কাশফি লক্ষ করলো তার হাতে ক্যানোলা লাগানো।
তার পাশে আরেকজন নার্স গ্লাসে পানি ঢালছে।
“আমি এখানে কি করে এলাম নীল সমুদ্র? “
“ ওমা সেকি জানো না বুঝি?মাঠের মাঝে ভুতে ধরলে হসপিটালে তো আসতেই হবে।যেখানে আমার হসপিটালে ভর্তি হবার কথা সেখানে তুমি ভর্তি হয়ে গুষ্টি উদ্ধার করলে আশ্চর্য মেয়ে বৈকি তুমি।”
কাশফি মেকি হাসলো।
আসলেই তো ভাইরাসে নীল সমুদ্রকে আক্রমণ না করে তার কাশি কে আক্রমণ করে বসলো।ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। ভীষণ ইন্টারেস্টিং।
কাশফি এতক্ষণে লক্ষ করলো নীলাদ্র’র পাশে দিব্বি বসে সাফওয়ান।
সে চাইতেি সাফওয়ান মিষ্টি করে হেসে বলল,
ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৪৭
“ হাই, কাশফি।ভালো আছো?”
কাশফির মনে হলো আহাঃ, নীল সমুদ্র টা এভাবে কখনো তাকে জিজ্ঞেস করলো না যে আফসোস।
এরপর সামওয়ানের পাশে দিব্বি আয়েশ করে বসে রয়েছে নাওমী।
কি সর্বনাশ।তবে তার তখনকার বলা মিথ্যা বুঝি ধরা পরে গেল?
নাওমী কি সব বলে দিয়েছে তবে?
কাশফি চাইতেই নাওমী দাঁত কেলিয়ে হাসলো।