ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৫১

ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৫১
মাহিরা ইসলাম মাহী

তার কি এখন উচিত জাওয়াদ কে ফোন করে অনুরোধ করা?
” জাওয়াদ আপনি আসবেন না প্লিজ।আমার ভীষণ লজ্জা লাগছে, সঙ্গে ভয়। আপনি আমার কথাটা বুঝতে পারছেন তো।”
অদিতির বলা হয়ে উঠে না।ফ্লাটের কলিংবেল বাজে।অদিতি কান পেতে শুনতে চেষ্টা করে ড্রয়িংরুমের কথপোকথন।
রহিমা খালা দরজা খুলে দিয়েছে।
“ আপাজান গো জাওয়াদ বাবা আইসা পরছে।মোগো সোনার টুকরো জামাইরে কি খাওন দাওন দেব আপাজান দেইখা জান গো।”

কিচেন থেকে তৃপ্তির কন্ঠ শোনা যায়।
সে ছুটে আসে ড্রয়িংরুমে।
জাওয়াদ মুচকি হেসে বলল,
“ এত ব্যস্ত হবেন না আম্মাজান।আপনার মেয়ের জামাই কোথায়ও পালিয়ে যাচ্ছে না।বরং সে আজ থাকছে আপনার শিয়রে। “
তৃপ্তি হাসলো।
সর্বনাশ ওই তো লোকটার কথা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে স্পষ্ট। সেই স্বর, কন্ঠে একই গভীরতা, গাম্ভীর্য। ইশশ। কি করবে এবারে অদিতি।
জাওয়াদ এদিক -ওদিক চেয়ে চায়ের কাপ হাতে তুলে নিলো।
তার লিটল বার্ডকে দেখা যাচ্ছে না যে কোথাও। মেয়েটাকে তো তার আসার বার্তা দেওয়া হলো।তবে কোথায় সে রমণী।
রহিমা খালা বললেন,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“আব্বাজান আপনি কি আপামনির রুমে যাইবেন? যান যান,আপামনি তো রুমেই আছে। কি বলি বলেন দেখিনি।আমি কওনের পর সে তো সেই সন্ধ্যা থিকা আপনার অপেক্ষায় ঘরের ভিতরে পায়চারী করতাছে। একবার শাড়ি পিন্দে তো একবার সালোয়ার কামিজ।
বলেন এত উত্তেজিত হওয়ার কি আছে।আহাঃ আপনি তো পর মানুষ না।এক্কেরে কাছের মানুষ। এই যে চায়ের কাপ দুখানা পাশাপাশি রাখা, এক্কেরে মিশামিশি করে আপনেও তো তাই। আপামনির লগে মিশামিশি কইরা থাকবেন। আপনের সামনে আপামনি নেঙটো হয়ে গেলেও তো আপনি মাইন্ড করবেন না জানি।
তয়লে পিন্দন নিয়া এত চিন্তার করনের কি দরকার বলেন।।

ওইযে ওয়াশরুমে থাকা শাওয়ার না ফাওয়ার গাউনটা ঠাস কইরা পইড়া ফেলাইলেই ওও তো হয়।”
জাওয়াদের কাশি উঠে গেল।তার মুখে নেওয়া চা টুকু বেরিয়ে এলো আপনা-আপনি।
অদিতি চোখ বড় বড় করে আঙুল দিয়ে কান চেপে ধরে চট করে বেলকনিতে চলে গেল।
সে জাওয়াদের সামনে নেঙটো হয়ে যাবে?
কি সর্বনাশ!
রহিমা খালা তো মিথ্যা কথা বলেন না।তবে হঠাৎ করে এমন ভয়ংকর একখানা মিথ্যা কথা কি করে বলে ফেললেন তিনি।

অদিতি এখন নিজের মুখখানা লোকটার সামনে পেশ করবে কেমন করে।
উফফস ওয়েদার কি বেশি হট?আজ কি বেশি গরম পরেছে? তবে এত গরম লাগছে কেন অদিতির হঠাৎ।
রহিমা খালা জাওয়াদের পিঠে থাপ্পড় দিলো দুটো ধুম ধুম করে।চিন্তিত কন্ঠে বলল,
“ কি হইলো গো আপনার আব্বাজান।ঠিকই তো আছিলেন হঠাৎ এমন কাশি শুরু হইলো যে।”
জাওয়াদ ফিসফিস করে বলল,
“ আপনার কথায় তো অর্ধেক হার্টঅ্যাটাক করেই ফেলেছিলাম খালা।কিল বসিয়ে বাকি অ্যাটাক টুকু করে শেষ করানোর কি খুব জরুরি ছিলো? আর দুটোদিন নাহয় বাঁচতে দিতেন আমায়।”
জাওয়াদ সত্যি সত্যিই জ্ঞান হারালো।
রহিমা খালা চিৎকার করে ডাকলো,
“ ওও আপাজান গো,আপামনি গো সর্বনাশ হয়ে গেছে।আব্বাজান তো বেহুঁশ হইয়া পড়ছে।
আমি মুরুক্ষ সুরুক্ষ মানুষ এতো কিছু তো বুঝবার পারিনা।শিঘ্রিরি আসেন।”
তৃপ্তি ছুটে এলো কিচেন থেকে।
তার মুখশ্রী চিন্তিত।

“ কি করে হলো বলুন তো এসব খালা? মাত্র-ই তো সুস্থ সবল ছেলেটাকে দেখে গেলাম।”
রহিমা খালা চোখ বড় বড় করে বলল,
“ আপনি আমার দিকে এমন চোখ গুল্লা দিয়া তাকান কেন আপাজান।খবরদার আমার দিকে এমন কইরা তাকাবেন না।আমার ছুডু কলিজা।আপনাগের মত তো বড় কলিজা নাই।
আব্বাজান কেন বেহুঁশ হইলো আমি কেমনে কমু।আমি তো আর তার চা’য়ের ভিতরে বিষ মিশাই নাই।”
“ বিষ মেশালে এতক্ষণে নিশ্চিয়ই ছেলেটা বেঁচে থাকতো না খালা।”
রহিমা খালা মুখ ঝামটি দিলেন।
এই জন্যই কারো ভালো করতে নাই।
আব্বাজান বেহুঁশ হইলো তো হইলো, সব দোষ তার ঘাড়ে দিয়া।
খোদা গো এ আপনের কেমন অবিচার।

রহিমা খালার হঠাৎ চিৎকারে অদিতি চমকে উঠলো। বুকের ধুকপুক ধ্বনিকে সঙ্গী করে ছুটে এলো বাহিরে।
জাওয়াদকে ধরাধরি করে অদিতির খাটে শুইয়ে দেওয়া হলো।
তৃপ্তি চেকআপ করলো নিজে।সবকিছু নরমাল বোধহয় ছেলেটা কিছুতে শক পেয়েছে।
অদিতিকে কাছে থাকতে বলে তৃপ্তি বেরিয়ে গেল।
রহিমা খালা ফিসফিস করে বলল,
“ আপামনি জামাই বাবাজীবনের ভালো মতন সেবা যত্ন করেন বুঝলেন।এমন সেবা করবেন যে এক রাত্তীরে আব্বাজান যানি এক্কেরে সাঁতার প্রতিযোগিতায় সোনার মেডেল জয়ী হওয়ার ন্যায় সুস্থ হইয়া যায়।
সোয়ামী হইল গিয়া আমাগো মাইয়াগো একমাত্র ভরসার যাইগা।তেনারা অসুস্থ হইয়া পরলেই তো মুশকিল। “
অদিতি হেঁচকি তুলে কাঁদতে কাঁদতে বিব্রত কন্ঠে বলল,

“ সাতার প্রতিযোগিতায় সত্যি-ই সোনার মেডেল জেতা যায় খালা?”
“ কেন যাইবোনা।এহন খালি সব কিছুতেই সক্কলে খালি মেডেল পায়।”
অদিতি চিন্তিত মুখশ্রীতে বলল,
“ কিন্তু আপনার আব্বাজান সাঁতার জানেন কিনা আমি তো জানিনা।”
“ আব্বাজান না জানলে আপনি শেখাই দেবেন।আপনে তো সাঁতার জানেন।”
“ আমি শিখিয়ে দেব?”
“ অবশ্যই না শেখানোর কি আছে। পানিতে নাইমা গলা জড়াজড়ি কইরা ধইরা শিখাই ফেলবেন। ব্যস! “
“ আপামনি আমি যাই আপনে জামাইবাবার সেবা যত্ন করতে থাকেন আমি বরং রসুন ফোড়ন দিয়া সরিষার তেল গরম কইরা নিয়া আসি।আব্বাজানের শার্ট খুইলা আপনি বুকে ডইলা দিলে ভালো লাগবো।”
“ আমি শার্ট খুলবো খালা?”

“ ওমা সেকি কথা।অবশ্যই, দরকার পরলে তো খুলুন লাগবোই।আপনি তো আর তার ইজ্জত হরণ করবেন না। আর জামাইয়ের ইজ্জত হরণ করিলেও দোষের কিচ্ছু নাই বুঝলেন আপামনি।”
অদিতি রহিমা খালার যাওয়ার পানে হতভম্ব হয়ে চেয়ে।
এবারে বুঝি তার হার্ট অ্যাটাক করার পালা।
বুকে কেমন চাপ অনুভব করছে সে।
জাওয়াদের জ্ঞান শূন্য মুখশ্রী’র পানে চেয়ে সে পুনরায় ডুকরে কেঁদে উঠলো। সব দোষ বুঝি তার।আসার সঙ্গে সঙ্গে সে কাছে এগিয়ে গেলে মানুষটা হয়তো জ্ঞান হারাতো না।
“ একমাত্র জামাইয়ের জন্য চিন্তিত কান্না মিশ্রিত বউয়ের সৌন্দর্য ধারী এত সুন্দর মুখশ্রীখানি দেখার জন্য হলেও কিন্তু এভাবে বারবার বেহুঁশ হওয়াই যায়।কি বলেন মাই বিউটিফুল লিটল বার্ড?”
অদিতি চমকে চাইলো।
লোকটা চোখ মেলে চেয়েছে আর সে খেয়ালই করেনি।
অদিতি ফিসফিস করে বলল,

“ আমাকে এভাবে কাঁদানো আপনার জন্য ঘোর নিষেধাজ্ঞা জাওয়াদ।
আপনার শাস্তি হিসাবে আজ আপনার লিটল বার্ড কে ছোঁয়ার চেষ্টা তেও যে নিষেধাজ্ঞা প্রিয়। “
জাওয়াদ ঠোঁট কামড়ে হাসলো।নিষেধাজ্ঞার ধার ধারছে কে সে? উহু মোটেও না।
হ্যাঁচকা টানে অদিতিকে নিজ বুকে এনে ফেলল সে ।
ফিসফিস করে বলল,
“ তা কি করে হয় বলুন তো মাই লাভ।শার্ট খুলতে হবে তো।বুকে তেল মালিশ করবেন না? না ছুঁয়ে এত কিছু করা কি করে সম্ভব হবে বলুন তো।”
অদিতি চোখ বড় বড় করে চায়।
তার মানে কি।লোকটা জেগেছে কখন।
খালার সব কথা শুনে নিয়েছে? চোখ বন্ধ করার ভাণ করে ছিল নাকি লোজটা।কি আশ্চর্য!
“ আমি কিন্তু সত্যি-ই সাঁতার জানিনা মাই লাভ।সাঁতার শেখাবেন তো? খালা যেভাবে বললো? বিশ্বাস করুণ শুধু গলা কেন কোমর জরিয়ে ধরলেও আমি একটুও মাইন্ড করবো না।”
অদিতির মনে হচ্ছে তার কানে কেউ গরম সীসা ঢেলে দিয়েছে।অদৃশ্য ভঙ্গিতে তার ধোঁয়া বেরিয়ে পুরো রুমে ছড়িয়ে গেছে চুপিসারে।

“কোথায় তুমি হুপিংকাশি? “
ওপাশ থেকে পরিচিত পুরুষালী কন্ঠস্বরে খানিকটা কেঁপে উঠলো কাশফি।
নীল সমুদ্র হঠাৎ ফোন করলো কেন তাকে? ছেলেটা তার নাম্বার-ই বা পেল কেমন করে?
“ বা…বাসায়।ক..কেন?”
কাশফির মনে হলো তার তোতলামি’র চাইতে এই মুহুর্তে তার গলা দিয়ে বেরিয়ে আসা স্বরগুলো একটু বেশিই কাঁপছে।এমন হওয়ার কারণ কি? কি মুশকিল!
“কেন মানে?ভার্সিটি আসছো না কেন তুমি বলো তো কাশি?
হসপিটাল থেকে গিয়ে তো তুমি একবারে লাপাত্তা।
ভাইরাস টাইরাসে আক্রমণ করলো নাকি?”

“ ভার্সিটি যাইনি বলে ফোন করেছেন? আপনি আমার খোঁজ করেছিলেন নীল সমুদ্র? “
“ পাগল? তোমার খোঁজ করে আমার লাভটা কি।
নেহাৎ-ই একই ভার্সিটি তে পড়।সিনিয়র হিসাবে একটা দ্বায়িত্ব আছে তো নাকি । কোনো স্টুডেন্ট এতদিন ভার্সিটি কামাই করে না।যারা দেয় তারা অবশ্যই ফাঁকিবাজ।
আর ফাঁকিবাজদের সিনিয়র রা পানিশমেন্ট দেয়।”
“ যারা যারা ফাঁকিবাজ সবাইকে এভাবে ফোন করেন বুঝি?”
“ তাতো করতেই হয়।”
“ আচ্ছা। রাখি তাহলে।”
“ কেন?”
“ আপনি তো ব্যস্ত মানুষ নীল সমুদ্র। অসংখ্য স্টুডেন্ট ভার্সিটি কামাই করে।তাদের সকলকে ফোন করে পানিশমেন্ট দেবেন না? এক জনের সঙ্গে এতকথা বলে সময় কেন নষ্ট করবেন।আপনার তো সময়ের আবার অনেক দাম।”
নীলাদ্র থতমত খেল।

“ রাখি।”
রাখি বলেও কাশফি ফোন কাটলো না।ফোন কানে চেপে চোখ বন্ধ করে বসে রইলো।আশ্চর্য বুকের ভেতরটা এমন লাফালাফি করছে কেন।মনে হচ্ছে হৃদপিণ্ডটা এই বুঝি তার হাতে খুলে বেরিয়ে আসবে।
“ শুনো মেয়ে কাল সকাল হতেই সোজা ভার্সিটি এসে হাজির হবে।বাপের লেজ ধরে ওই যে গা ঢাকা দিয়েছ আর তো বের হবার নাম নেই।
এমন বাপের লেজ ধরে থাকলে না তোমার স্বামীর ঘর করতে হবে না।”
“ আমি স্বামীর ঘর করবো আপনাকে বলেছি?”
“ বলতে হবে কেন, মানুষের চোখ দেখলেই বোঝা যায়।”
কাশফি উঠে বসলো আগ্রহী কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
“ আপনি আমার চোখ দেখতে পাচ্ছেন নীল সমুদ্র? হাউ সুইট।”
“ চুপ।বেশি কথা বলো। ফোন রাখো । ফোন রাখো তো কাশি ফোন রাখো।”
ফোনের লাইন ডিসকানেক্ট হতেই কাশফি চোখ পিটপিট করে চাইলো।কি হলো ব্যাপারটা।নীল সমুদ্র হঠাৎ এভাবে ক্ষেপে গেল কেন।কি এমন বলল সে? সুইট-ই তো বলল, তেতো তো আর বলেনি।
নীলাদ্র ফোন কেটে হাত সরাতেই সাফওয়ান ফিক করে হেসে দিলো।
নীলাদ্র চোখ গরম করে চাইলো।
এতক্ষণ সাপুরের বাচ্চার মুখ সে এক হাতে চেপে ধরে রেখেছিলো।

“ আর একবার যদি দাঁত কেলাস তোর দাঁত ভেঙে আমি হসপিটালে পাঠাবো বলে দিলাম।”
“ ভাই তুই যে এভাবে ভাইরাসে আক্রান্ত হবি তা আমি বহু আগে থেকে জানতাম।
বলছি শোননা। ফাঁকিবাজ স্টুডেন্টদের একটা লিস্ট করে দেব কি?
এক একটা করে ফোন করে দেখ যদি তাদের ভার্সিটির মোস্ট হ্যান্ডসান বয় ক্রাশের ফোন পেয়ে ফাঁকিবাজি বন্ধ করে।বলা তো যায় না।”

নীলাদ্র সাফওয়ানের দিকে পা থেকে ঘরের পরিহিত সেন্ডেল খুলে ছুঁড়ে মারলো।
সাফওয়ান ভয়ার্ত মুখ করে রেলিং থেকে নেমে এক দৌঁড়ে ওয়াশরুমে গিয়ে দরজা লাগালো।
নীলাদ্র ওপর পায়ের সেন্ডেল টা খুলেও ওয়াশরুমের দরজায় শব্দ করে ছুঁড়লো।
“ একবার শুধু বের হ তোর দাঁত যদি আমি সব কটা না ভেঙেছি।”
সাফওয়ান আতঙ্কিত ভঙ্গিতে নিজের মুখ চেপে ধরলো। সে আজ ওয়াশরুম থেকে বের হলে তো।
সর্বনাশ তার দাঁত ভাঙলে সে মুরগির পা খাবে কেমন করে দাঁত দিয়ে কামড়ে কামড়ে।
নীলাদ্র’র ভাগেরটা তো সেই খায়, মুরগী পা দিয়ে গু খুড়ে বলেই তো নীলাদ্র তা খায় না।
লোভ দিয়ে তা সে খায়।
তাতে কত ক্যালসিয়াম সে ভাগ বসায় এই সত্য সে ফাঁস করে কেমন করে।

মাহরিসা বাসন্তী’র সামনে বসে বসে হেঁচকি তুলে কাঁদছে।তার একপাশে বসা নাওমী ওপর পাশে নীবিড়।
বাসন্তী বিরক্ত কন্ঠে বলল,
“ আশ্চর্য তুই এভাবে নেকাদের মত ফ্যাসফ্যাস করে হাঁসের মতন কাঁদছিস কেন?”
নিশানী আগ্রহী কন্ঠে বলল,
“ মা হাঁস ফ্যাসফ্যাস করে কাঁদতে পারে? বাহ ইন্টারেস্টিং তো।এই ভাই কাল আমায় একটা হাঁস এনে দিস তো হাঁসকে ব্যথা দিয়ে একটু কাঁদিয়ে দেখতাম।”
নীবিড় গরম চোখে চাইলো।
বাসন্তী মেয়েকে দিলো এক ধমক।
“ চুপ বেয়াদবগুলো।দুটোকে নিয়ে পারিনা পরে হয়েছে আরো দুটো।
দুটো ছেলেমেয়ে বড় হয়েছে অথচ বিয়ে করবে না একটাও।মানেটা কি।সারাজীবন কি বাপের বাড়ি বসে থাকার প্লান করেছো তোমরা?

আর শোন নীবিড় এভাবে বসে থাকলে চলবে না। তোকে আর রান্না বান্না করে খাওয়াতে পারবো না।
কামাই করে বিয়ে করে এনে বউয়ের হাতের খাবার খাঁ।আর পারছিনা তোদের পিছনে খাটতে খাটতে।আর পারিনা দুটোকে নিয়ে।জ্বালিয়ে মারলো সবকটা। শোন মারু এবারে জামাইয়ের ঘরে গিয়ে তার অন্ন ধ্বংস কর বাপের অন্য আর না।”
মাহরিসা নাওমীর হাত চেপে ধরে বলল,

ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৫০

“ নাওমী তুমি বুঝাও না মাকে প্লিজ আমি এখন বিয়ে করবো না তো।”
নাওমী ফিসফিস করে বলল,
“ কি করে আন্টিকে বলি বলো তো আপু সত্যিটা।”
মাহরিসা নাওমীর হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরলো।

ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৫২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here