নীরদ ক্লেশের অন্ত পর্ব ৩০
লেখিকা-নামীরা অন্তিকা
“আজ একমাস কেটে গিয়েছে মা! ইলা বৌদি কোমায়! দাভাইয়ের কোনো খোঁজ নেই! এমনটা কি হওয়া খুব জরুরি ছিল?”(ভাঙা স্বরে)
স্নিগ্ধার ভাঙা স্বরের বাক্য বচন শুনে কল্যাণী ভাবলেশহীন হলেন। মুখশ্রীতে কঠোরতা বজায় রাখলেন অথচ ভেতরটা মেয়ের সামনে খুলে দেখাতে পারলেন না তিনি পুরোপুরি ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। সবটা কেমন এলোমেলো অদ্ভুত হয়ে আছে। আসলেই এমনটা কি হওয়ার ছিল! মুখোভঙ্গি কঠোর রেখে কল্যাণী বললেন,,
“সৃষ্টিকর্তার উপর আস্থা রাখা ছাড়া এখন আর কোনো পথ নেই। প্রমীলা চৌধুরী যতদিন যাচ্ছে মেয়ের কন্ডিশন নিয়ে শোকে উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন। ডাক্তারদের ধারণা প্রমীলা চৌধুরীর মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মেয়েকে ডেকেও সারা শব্দ না পেলে উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন অনেক, আজকে নাকি নার্সদের উপর জিনিসপত্র ছুড়ে মেরেছিলেন। কৌশিক চৌধুরীকে না বলেই প্রমীলা চৌধুরী আজকে হাসপাতালে এসেছিলেন ইলার কাছে। কিন্তু ইলাকে কথা না বলতে দেখে উনি অনেক উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন! এক পর্যায়ে উনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন এরপর কৌশিক চৌধুরীকে ইনফর্ম করার পর উনি এসে প্রমীলা চৌধুরীকে নিয়ে গেছেন।”(মৃদু স্বরে)
স্নিগ্ধা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। শেরহাম এই অব্দি কত খোঁজ নিলো কিন্তু কোনোভাবেই আদিতের খোঁজ খবর পায়নি। প্রতিবার নিরাশ হতে হয়েছিল।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আজকে নতুন একটা কেইস নিয়ে অনেক দৌড় ঝাঁপ করলাম, বেশ রাত হয়েছে। ঘুম প্রয়োজন, শুভ রাত্রি স্নিগ্ধা।”(মলিন মুখশ্রীতে)
স্নিগ্ধা মলিন হাসলো। মৃদু কণ্ঠে বললো,,
“শুভরাত্রি মা।”
“কি হচ্ছে কি, আপনি আমায় এমন সাপের মতো পেঁচিয়ে কেন ধরছেন? দেখছেন না আমি পড়ছি! ডিস্টার্ব কেন করছেন আমায়?”(মৃদু রাগান্নিত স্বরে)
সারুর নাক ফুলিয়ে বলা প্রতিটা কথা শুনে মিটমিটিয়ে হাসলো শেরহাম। সারুর নাকের সাথে নাক ঘঁষে সারুর পেটে আলতো করে হাত ছুঁইয়ে বলে উঠলো,,
“এখানে যে আমাদের লিটেল সারিম আছে সে এখন চাচ্ছে বাবার সাথে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ঘুমাতে। তাই বাবা তাকে জড়িয়ে বা তোমার ভাষায় পেঁচিয়ে ধরছে, তবে জেনে রাখো শেরহাম তোমায় জড়িয়ে ধরেনি লিটেল সারিমকে জড়িয়ে ধরেছে।”
সারু ভ্রু কুঁচকে বললো,,
“সারিম! আপনি কিভাবে জানলেন যে আমাদের ছেলে হবে? মেয়েও তো হতে পারে।”(ভ্রু কুঁচকে)
“গেস করলাম, ছেলে হলে নাম সারিম আর মেয়ে হলে নাম নীরু রাখবো।”
“আপনার ছেলে বাবু পছন্দ?”
“হ্যা, তবে মেয়ে বাবুও পছন্দের। মোট কথা বাচ্চা বলতেই আদুরে আদুরে ভাব কাজ করে। আমি ভীষণ অপেক্ষিত আমার লিটেলের জন্য।”(হাসি হাসি মুখে)
সারু নিজেও ঠোঁটের কোনে মৃদু হাসি এঁকে চেয়ে রইলো শেরহামের দিকে। শেরহাম কোমল হাসলেও চেহারা শুকনো হয়ে আছে। পরিবারের, অফিসের চিন্তা করতে করতে শেরহামের মুখটা এইটুকুনি দেখাচ্ছে।
“আদিত দাভাইয়ের কি হয়েছে? আজ একটা মাস পেরিয়ে গেলো সেদিনের পর উনি আর যোগাযোগ করেননি!”(মৃদু স্বরে)
শেরহাম ফোঁস করে একটা শ্বাস ফেললো। কি বলবে সারুকে। আদিত যে কত বড় সমস্যায় পড়েছে। এটো খুঁজেও তো কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। কেমন আছে, কি হয়েছে বা হচ্ছে কিছুই জানতে পারছেনা শেরহাম। পরিবারে একদম নিঃস্ব পরিস্থিতি। কল্যাণী নিজেকে শক্ত দেখালেও শেরহাম জেঠিমণিকে চেনে, তিনি ভেতরে ভেতরে পুরো ভেঙে পড়েছেন কিন্তু স্বভাবগত সেটা প্রকাশ পাচ্ছেনা। তবুও শেরহামের অবাক লাগে, জেঠিমণি স্থানে অন্যকেউ হলে এই অব্দি সাফার করে আসতে পারতোনা। কিভাবে যে জেঠিমণি সবটা সামলিয়েছেন। ফোঁস করে একটা তপ্ত শ্বাস ফেললো শেরহাম। সারুর চোখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,,
“আমি জানিনা আদিত কেমন আছে! কি অবস্থায় আছে! কেন যোগাযোগ করছেনা, তবে আমি আশা রাখছি সবটা ভালো হবে।”(তপ্ত শ্বাস ফেলে)
সারু নিশ্চুপ থাকলো কিছুক্ষন, সবটা কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে। সারু আনমনে পেটে হাত দিলো। বাচ্চাটা খুশি নিয়ে আসার পরেই সবটা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। সারু আদি কালের মানুষের মতো কুসংস্কার রটাবেনা যে বাচ্চাটা অশান্তি নিয়ে গর্ভে এসেছে। বাচ্চাদের কখনো কুসংস্কারের সাথে মেলাতে নেই। বাচ্চা নিষ্পাপ, সৃষ্টিকর্তার সেরা উপহার একটা পরিবারের জন্য। সারু তাকে কিছুর জন্য দোষারোপ করছেনা সে শুধু ভাবছে বাচ্চাটা আসার পর থেকেই সবটা এলোমেলো হয়ে গেছে। বাচ্চা সুখের প্রতীক, সুখ নিয়ে আসলেও চারদিকে দুঃখদের ছড়াছড়ি। অথচ কথা ছিল সবার মুখে হাসি থাকার, ভালো থাকার, সুখে নিজেকে আবৃত করার। কিন্তু.. সব এলোমেলো! ভালোবাসা, সুখ কবে ধরা দিবে সারু সেটাই ভাবছে। ভাবনার মাঝেই অনুভব করলো কপালে তপ্ত উষ্ণতা। শেরহাম অধর ছুঁয়িয়েছে তার ললাটে। চোখ বন্ধ করে ফেললো সারু। শেরহাম ফিসফিস করে বললো,,
“আজকে আর পড়তে হবেনা, কালকে পড়ো। চলো ঘুমাবে।”(ফিসফিস করে)
শেরহাম সারুকে সাবধানতার সহিত বিছানায় নিয়ে গেলো। শেরহাম লাইট অফ করে সারুর নিকট আসলো। সারুকে আলতো হাতে নিজের কাছে টেনে আনলো, নিজের বুকে সারুকে মৃদু শক্তিতে বন্ধনে আবদ্ধ করলো। সারু নিশ্চুপ হয়ে শেরহামের বুকে মাথা পেতে শুয়ে রইলো।
এক সপ্তাহ পর,,
“স্যার! আপনাকে একটা কথা বলতাম যদি কিছু মনে না করেন।”(ইতস্তত বোধ নিয়ে)
শেরহাম কল্যাণী আর কৌশিক চৌধুরীর সাথে হাসপাতালে এসেছে ইলাকে দেখতে। এতগুলো দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ইলার কোনো রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছেনা। বিষয়টা খুবই ভাবিয়ে তুলছে আর হতাশ করে তুলছে কৌশিক চৌধুরীকে। সেই সাথে রায় পরিবারের সদস্যদেরও। কৌশিক চৌধুরী আর কল্যাণী ইলার কেবিনে ছিল। বেলা নয়টা বাজে, শেরহাম একনজর ইলাকে দেখে বেরিয়ে এসেছিলো হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে অফিস যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তন্মধ্যে একজন নার্স একথা বলায় থেমে যায় শেরহাম। ভ্রু কুঁচকে নার্সের দিকে চাইতেই নার্স আমতা আমতা শুরু করে। শেরহাম ঘড়ির দিকে একনজর চেয়ে সময় দেখে বলে উঠলো,,
“হ্যা, বলুন!”
“স্যার, আমার মনে হয় প্রতিদিন কেউ রাতে পেশেন্টের কেবিনে আসে। গত দুইদিন পেশেন্টের হাতে গোলাপ ফুল পাওয়া গিয়েছে তখনই মনে সন্দেহ জেগেছিলো আমার। আমি এটা ম্যানেজার স্যারকে জানাই এরপর সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেন উনি, সেখানে তিনি একজন পুরুষকে পেশেন্টের কেবিনে ঢুকতে ও বেরুতে দেখা গিয়েছে। মুখ দেখা যাচ্ছেনা, আর এছাড়াও কেউ ছাড়া গোলাপ ফুল পেশেন্টের হাতে কিভাবে আসবে? তাছাড়া আপনারা তো ওনার জন্য গোলাপ আনেননি কখনো!(ইতস্তত বোধ করে)
শেরহাম থেমে গেলো, ভ্রু কুঁচকে গম্ভীর মুখশ্রীতে নার্সের দিকে তাকালো সে। কেউ ইলার কাছে আসে, গোলাপ ফুলও পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টা অদ্ভুত লাগছে শেরহামের। হাসপাতালে বলা যায়না, ভালো মানুষ যেমন এখানে আসে তেমনি খারাপ মানুষও আসে। কোমায় যাওয়া বা জ্ঞান হারানো অনেক নারীর সাথে দুর্ঘটনা ঘটার কথাও শুনেছে শেরহাম। তবে কি ইলার সাথেও এমন কিছু ঘটছে? চিন্তিত হলো শেরহাম সেই সাথে রাগান্নিত হলো। স্ট্রেঞ্জার পার্সন কিভাবে অনুমতি না নিয়ে একটা অচেনা অজানা পেশেন্টের কেবিনে ঢুকতে পারে। শেরহাম রাগান্নিত স্বরে বলে উঠলো,,
“আপনাদের কি জ্ঞান নেই? সিকিউরিটির এমন যা তা অবস্থা কেন? স্ট্রেঞ্জার পার্সন আসলো, একটা পেশেন্টের কেবিনে ঢুকে গেলো! আপনাদের নূন্যতম কমনসেন্স নেই? পেশেন্টের এই অক্ষমতা নিয়ে যদি কারো খারাপ উদ্দেশ্য থাকে? আদেও জানেন অচেতন একটা নারীর সাথে কি কি হতে পারে! রেসপনসিবিলিটি নামক শব্দটা আদেও কি আপনারা মানেন? এর অর্থ কি জানা আছে আপনাদের?”(রাগান্নিত স্বরে)
নার্সটি মাথা নিচু করে নিচু স্বরে বললেন,
“দুঃখিত স্যার! আমরা বিষয়টা নিয়ে সতর্ক থাকবো। আশা রাখি এরপর আর এমন কিছু হবেনা।”(নিচু স্বরে)
নার্সটি চলে যায়। এদিকে ভাবনায় পড়ে যায় শেরহাম। ইলার কেবিনে কে আসে? কি উদ্দেশ্যে আসে! খারাপ উদ্দেশ্যে নয়তো! শেরহামের মাথা ব্যথা করে উঠলো! একের পর এক ঝামেলা! কি হচ্ছে তাঁদের সাথে! একটু ঝামেলা থেকে বের হতে নিলেই নতুন ঝামেলা নিজ থেকে উড়ে এসে তাঁদের খাঁচায় ভর্তি করে। এখন এটা আবার কোন ঝামেলা। শেরহাম আশেপাশে নজর বুলায়। কল্যাণী আর কৌশিক চৌধুরী ভেতরে আছেন। আপাতত এই কথা কাউকে বলা যাবেনা। শেরহাম ভাবলো আজকে রাতে নিজে এখানে এসেই বুঝা যাবে আসল ঘটনা কি। একরাশ চিন্তা ভাবনা নিয়ে শেরহাম অফিসের উদ্দেশ্যে বের হলো।
“মনে হচ্ছে বেশি উড়ছো? মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়েছ মেয়েদের সাথেই মিশো। ছেলেদের সাথে কেন কথা বলতে হবে তোমার?”(গম্ভীর স্বরে)
প্রায় বহুদিন পেরিয়ে যাওয়ার পর চেনা পরিচিত একটা কণ্ঠস্বর শুনে ও পেছন থেকে ব্যাগে টান পড়ায় থমকে দাঁড়ালো স্নিগ্ধা। কীয়ৎক্ষন ওভাবেই স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার পর ধীরে ধীরে নজর ঘুরিয়ে পেছনে তাকালো। ইশ, স্নিগ্ধার বুঁকের মাঝে ঝড় উঠছে। এতদিন পর, এতটা দিন পর স্নিগ্ধা আজ উৎসকে নিজ চোখে দেখতে পেয়েছে। তাও অনাকাঙ্খিত ভাবে। সেসব বাদ দিয়ে স্নিগ্ধা উৎসের কথার মানে বের করার চেষ্টা করলো। কীয়ৎক্ষন ভাবতেই মনে পড়লো গতকাল এক সিনিয়র ভাইয়ার সাথে ধাক্কা খেয়েছিলো অতঃপর সেই সিনিয়র ভাই স্নিগ্ধার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছিল। স্নিগ্ধাও দু একটা কথা বলেছিলো। সেটার জন্যই উৎস একথা বলেছে নয়তো স্নিগ্ধা এ অব্দি নিজের দাভাই, উৎস ছাড়া কারো সাথে তেমন কথা বলেনি। ইদানিংয়ের মধ্যে তো নয়-ই।
“আপনি যা ভাবছেন তা ভুল ভাবছেন। ইচ্ছে করে কথা বলিনি।”
“ভালোই, কথা বললেও কি না বললেও আমার কিছু যায় আসেনা।”
স্নিগ্ধা ভ্রু কুচকালো! এই লোককে কি সে জিজ্ঞাসা করেছে সে, উল্টো এই লোক তাকে জিজ্ঞাসা করছে! আর এখন এমন ভাব যেন স্নিগ্ধা ইচ্ছে করে তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করছে। ভ্রু কুঁচকে স্নিগ্ধা বলে উঠলো,,
“আপনাকে কি আমি জিজ্ঞাসা করেছি যে আপনার কিছু যায় আসে নাকি না!”(ভ্রু কুঁচকে)
“উড়োনা বেশি, উড়তে দিয়েছি লিমিটে থেকে উড়ার জন্য। বেশি উড়লে ডানা অকালেই যাবে।”
উৎস কিছুই বললোনা আর, প্রতিক্রিয়া দেখালোনা। যেভাবে এসেছিলো সেভাবেই চলে যাওয়ার জন্য উদ্যোত হলো। দুয়েক পা হাঁটার পর একটা বাইক আসে, উৎস সেই বাইকে উঠে বাইক চালানো ছেলেটার সাথে চলে যায়। এদিকে স্নিগ্ধা বেক্কল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এতদিন পর এই আসলো আর এই গেলো। মাঝে কি বললো সবটা স্নিগ্ধার মাথার উপর দিয়ে গেলো। স্নিগ্ধা ভাবলেশহীন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকলো। আজকে গাড়ি করে কলেজের উদ্দেশ্যে বেরোয়নি সে। হেঁটেই রওনা হয়েছে সে। পথিমধ্যে এই ঘটনা। ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে হাঁটা শুরু করলো।
রাত এগারোটা বেজে কুড়ি মিনিট। হাসপাতালে গুটিকয়েক মানুষ। সকালে যেমন এখানে অনেক মানুষ দেখা যায় তেমনি রাত হওয়ার সাথে সাথে এখানে মানুষের ভিড় কমতে থাকে। তবুও মানুষজনের সংখ্যা কম নয়। শেরহাম গুটিগুটি পায়ে ইলার কেবিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেবিনের সামনে গিয়ে মিনিট দুয়েক দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলো শেরহাম। সন্দেহ সঠিক প্রমাণিত হলো শেরহামের।
নীরদ ক্লেশের অন্ত পর্ব ২৯
“কবে তুমি আমায় ডাকবে ইলা! কবে দুচোখ মেলে আমায় দেখবে, মিটিমিটি হেসে আমায় জ্বালাবে! চঞ্চল তোমায় আমি ভীষণ ভালোবাসি, তোমার শূন্যতা আমায় ভীষণ পীড়া দিচ্ছে! কবে দুচোখ মেলবে ইলা!”(নিচু স্বরে)
শেরহাম দেখলো, সামনে থাকা লোকটি নিজের হাতের গোলাপ ইলার হাতের মধ্যে দিয়ে নিজের দুহাত দিয়ে ইলার দুহাত আলতো ভাবে স্পর্শ করে আছে। আদিতকে দেখে শেরহাম হতবাক হলো! আদিত কবে এসেছে দেশে! আসলেও তাঁদের সাথে যোগাযোগ কেন করেনি! লুকিয়ে এভাবে ইলাকে দেখতে এসেছে সে! প্রশ্নরা ঘুরপাক খেতে লাগলো শেরহামের ব্রেইনে। অস্পষ্ট স্বরে বলে উঠলো,,
“আদিত!”(অস্পষ্ট স্বরে)