নীলের হুরপাখি পর্ব ১
কারিমা ইসলাম কেয়া
চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে রুমে এসে গান চালিয়ে ইচ্ছেমতো নাচছি।
নাচো গো হেলিয়া, নাচো গো দুলিয়া,রাখো নয়নে নয়ন।
বন্ধ করিয়া,আগুন ওহ জ্বালাইয়া,
নিশিতে আসিব যখন।
ইয়েহ ওই ডেবিলটা এখন থেকে আর আমায় জ্বালাতন করবে না।নিজের বউকে নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকবে যে আর আমাকে নিয়ে ভাবার টাইম ইহ,,থাকবে না।
নাচতে নাচতে হঠাৎ দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নীল ভাইয়া কে দেখে আমি খাট থেকে পড়ে গেলাম।
আমার এই অবস্থা দেখে লোকটির মধ্যে কোন পরিবর্তন এলো না।সে এখনও তার নিজস্ব স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই দাঁড়িয়ে রইল।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নাচো পাখি নাচো ইচ্ছেমতো যত খুশি তত নেচে নাও কারণ নাচার জন্য শরীরে যতটুকু শক্তির প্রয়োজন তা খুব বেশিদিন তুমার শরীরে থাকবে না।
নীলাদ্র ভাইয়ের এমন ভয়ংকর কথায় আমি তার দিকে চুপসে মুখে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে রইলাম।
কিন্তু বাজে লোকটা একটা রহস্যময়ী হাসিঁ দিয়ে যেমন আমার চোঁখের পলকে এসেছিল তেমনই আবার চলে গেল।
নীল ভাই চলে যাওয়ায় আমার মনে পড়ল আমি তহ মেঝেতে পড়ে গেছি।
ওমাগো,,,আমার কোমর ভেঙ্গে গেল। কিহ হারবজ্জাত লোক গো কোন মায়া দয়া নেই আমায় একটু তুলল না গো।
তুই দেখে নিস তর বউ তকে শান্তি দেবে না লেরিকুত্তার মতো দৌড় করাবে।
আমার চিৎকার চেচামেচি কান্নার শব্দে নীলাসা দৌড়ে এলো।
পরিচয়ে আসা যাক আমি হুর। আমরা জয়েন ফ্যামিলি। আমার বাবা চাচারা তিন ভাই।নাহিদ সরকার, হায়দার সরকার,কমল সরকার।নাহিদ সরকারের 3 সন্তান নীলাদ্র, রক্তিম,নীলাসা।হায়দার সরকারের 2 সন্তান লামীম,হুরজান।কমল সরকারের 1 মেয়ে কলি।
হুর,,,,কিরে এই ভরদুপুরে ঠ্যাং ভেঙ্গে পড়ে আছিস কেন? (নিলাসা)
নিজের কাছের অতি একজন মানুষকে পেয়ে হুরের কান্নার বেগ বেড়ে গেল।
নিলাসা হুরকে মেঝে থেকে তুলে বিছানায় বসালো।ফ্রাস্ট এইড বক্স থেকে মলম নিয়ে হুরের পায়ে মলম লাগাতে লাগল।
থাম বইন আর কান্না করিস না এবার বল কেমনে পড়লি।(নিলাসা)
তর ভাই আমাকে বিছানা থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিছে।(হুর)
নিলাসা সন্দিহান দৃষ্টিতে চাইল।
হুর আমতা আমতা করে বলল,নাহ,,মা,,নে ফেলে দেয় নি কিন্তু,,,,
কিন্তু,,,(নীলাসা)
পড়ে গেছি তর ভাইয়ের জন্যই তর ভাই,,,,(হুর)
আহ,,,নীলাসা হুরের মাথায় গাট্টা মারল।
হইছে বইন নিচে চল ভাইয়ার বিয়ের ডেইট ফাইনাল হইছে। তুবা আপু ওহ এসেছে।
নিলাসা আর হুর নিচে যেতে লাগল।
নীলাসা,,,,একটু এইদিকে আয় তহ।(রানি)
আসছি মা,,,,(নীলাসা)
হুর মা ডাকছে আমি নিচে যাচ্ছি তুই একটু প্লিজ স্টোর রুম থেকে একটা চেয়ার নিয়ে কিচেনে আয়। দরকার।
হুর স্টোর রুমে পা রাখার সাথে সাথে দরজা বন্ধ হয়ে গেল।
হুরের সাদা শার্টের কলার টেনে চেপে ধরে হুরকে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে দিল।এক হাতে হুরের কমোর চেপে ধরে অন্য হাত হুরের হুরের থুতনি চেপে ঠোঁট জোড়া নিজের ঠোঁটের ভাজে চেপে ধরল।চুমু খেতে লাগল,দুজনেরই নিশ্বাস ঘন হতে লাগল,হুর নিজের গোলাপি রাঙ্গা সার্ট চেপে ধরল। চুমুটা ধীরে ধীরে গভীর হতে লাগল।
পুরুষ অবভয়টি এবার এই মুহূর্তের চিহ্ন স্বরুপ হুরের ঠোঁটে কামর বসাতে লাগল।হুর নিজেকে ছাড়াতে চাইল কিন্তু যতই ছেলেটিকে দূরে সরাতে চাইল, ছেলেটিতে প্রবল ভাবে তাকে আরও কাছে টেনে নিও।
দীর্ঘ চুম্বনের পর ছেলেটি হুরকে ছেড়ে দিল।
হুর ঘন ঘন নিশ্বাস নিতে লাগল। হুর এবার ছেলেটিকে দেখার জন্য সামনে তাকাতেই চমকে উঠল।
নীল,,,ভা,,ই তুমি।
হুর তুই এখানে কেন এখানে তহ তুবার আসার কথা ছিল।ছিহ তার মানে এতখন আমি তর ঠোঁটে চুমু খেয়েছি,ইয়াক।
তুই ইচ্ছে করে এখানে এসেছিস তাইনা তুই জানতি এখানে আমি আছি। ছিহ,,হুর তর লজ্জা করে না।
হুর কান্না করে দিল।
যাহ,,,এখান থেকে।হুর আর এক মুহূর্ত না দাঁড়িয়ে দৌড়ে চলে গেল।
হুরের যাওয়ার পানে তাকিয়ে নীল নিজের ঠোঁট মুছে রহস্যময়ী হাসঁল।
পাখি অনেক জ্বালিয়েছ এখন আমার পালা।