নীলের হুরপাখি পর্ব ১১+১২
কারিমা ইসলাম কেয়া
হুর ঃ নীল ভাই আবারো তুমি এভাবে আমার রুমে
নীল রুমে ডুকে দরজা অফ করে দিল।
নীল হুরের বেডে গিয়ে বসে পড়লো দুহাত পিছনে ফেলে বেডে ভর দিয়ে। নীল জিহ্বা দিয়ে গালে নাড়াচাড়া করতে করতে আপাদমস্তক দৃষ্টিতে হুরকে দেখতে থাকলো।
হুর নিজের দিকে একবার তাকাঁলো। হুরের লজ্জায় মুখটা নত হয়ে গেলো। হুর আবারো তার সেই পুরনো অনুভূতি অনুভব করতে লাগলো।
ভয় আর উত্তেজনার সেই উত্তপ্ত লাভা হুরের হৃদয়ে
জ্বলে উঠতে লাগলো তরতর করে।
হুরের রুমের সবকিছুই পিংক কালার। এমনকি এখন হুরের পরণে ব্লাউজ আর পেটিকোডটাও পিংক কালার।
দুধে আলতা গায়ের রঙে পিংক কালার টা বড্ড আকর্ষণীয় লাগছে। যেন রসগোল্লার উপর গোলাপী আভা।
নীলের পাশে বেডের উপর পিংক শাড়ীটা হুরের দিকে ছুড়ে মারলো।
নীল ঃ তর রেডি হতে বড্ড সময় লাগে । আজ আমার ধৈর্যের বাধঁ ভেঙ্গে গেছে পা,,খিই তাই নিজের চোঁখে দেখতে চলে আসলাম, তর এতো সময় লাগার কারণ। (নীল হালকা আওয়াজে বলল)
হুর শাড়ীটা নিজের শরীরের সাথে ভালোভাবে পেঁচাতে পেচাঁতে বলল,
হুর ঃ কিহ দেখতে এসেছেন সেটা তহ বুঝতেই পারছি।
নীল একটু নাটকীয় ভঙ্গিতে বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নীল ঃ হায় আমার খোদা, আমি কিহ অন্ধ হয়ে গেলাম নাকি স্পেশাল কিছু তহ দেখতেই পারছি না।
হুর অপমান বোধ করলো। হুর রেগে বলল,
হুর ঃ ঠিক আছে তাহলে তুবা আপুর কাছে যান, সে আপনি না চাইতেও আপনাকে স্পেশাল স্পেশাল সবকিছু দেখাবে।
নীল আওয়াজ করেই হাসঁলো। নীলের হাসিঁ শুনে হুরের গাঁ জ্বালা করতে লাগলো।
হুর আয়নার সামনে গিঁয়ে শাড়ী পড়তে লাগলো কিন্তু ফলাফল শূন্য এতবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো।
নীল পিছন থেকে এসে হুরকে কাধ চেপে সামনের
দিকে ঘোরালো।
হুরের হাত থেকে শাড়ীটা নিল।
হুর ঃ নীল ভাইইই
নীল নিজের ঠোঁটে এক আঙ্গুল চেপে বলল,
নীল ঃ হুশশশ পাখি,,,, কোনো কথা নয়, আমি কোনো সিনেমার নায়ক নয়, যে চোঁখ বেধেঁ তকে শাড়ী পড়াবো।
আর নাতো আজ প্রথম তোকে শাড়ী পড়াবো।
হুর ঃ তখন তহ আমি ছোট ছিলাম কিন্তু এখন তহ,,,
নীল রাগী চোঁখে তাকালো।
হুর ছোটবেলায় মাঝে মাঝেই শাড়ী পড়তো। হুরের মা, বড়মা শাড়ী পড়িয়ে দিলেও হুর প্রতিবারই নীলের কাছেই বায়না ধরত শাড়ী পড়ার।
নীল ওহ তাই তার আদুরে পাখিটার ইচ্ছে রাখতে
দীর্ঘ 15 দিন চেষ্টার পর সফল হয় শাড়ী পড়ানো শিখতে।
যদিও 7, 8 বছরের বাচ্ছা মেয়ের প্রতি তখন তার
কোনো অনুভূতিই ছিল না। কিন্তু হুরের সাথে বিয়ের পরই নীলের অনুভূতি ইচ্ছেগুলো জাগ্রত হতে থাকে।
হুর থেমে গেল। কিন্তু নিজের মনের সাথে লড়াই করতে লাগলো। নিজের মনকে প্রশ্ন করতে
লাগলো তার লক্ষ্য কিহ ভেঙ্গে যাচ্ছে।
না এটাঁ হতে দেওয়া যাবে না তাহলে সব উলোট পালোট হয়ে যাবে। সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাব।
হুর নিজের ভাবনার মাঝেই বর্তমানে ফিরে এলো।
পেটের বাঁ পাশে নীলের আলতো স্পর্শে।
হুরের শরীরটা শিহরণে কেপেঁ উঠছে বারবার। এসি থাকা সত্ত্বেও গরমে ঘামতে লাগলো।
নীল হুরের পেটের বাঁ পাশে কালো তিলটাতে বেশ জোরে চিমটি কেটে বলল,শাড়ী পড়া হয়ে গেছে।
হুর ঃ উফফফ, নীল ভাই চিমটি কেন কাটঁলে।
নীল ঃ তর তিলটা তর মতোই অসভ্য বড্ড জ্বালায়।
হুর ঃ আপনি না বললেন, আপনি স্পেশাল কিছু দেখতে পাচ্ছেন না ।
নীল ঃ ওহ তার মানে তুই চাইছিলি, যাতে আমি তর মাঝে স্পেশাল কিছু খুজে পায়।
বোকা হুর নীলের বলা কথার প্রতিউত্তর খুজতে লাগলো।
হুরের এই অবস্থা দেখে নীল দুষ্টো হাসঁলো।
হুর ”মোটেও না” বলে উল্টো ঘুরে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে Christian Dior J’dore পারফিউমটা মাখতে লাগলো গায়ে।
নীল একটু কাছে এগিয়ে হুরের কাছ থেকে পারফিউমের ঘ্রাণটা নিতে লাগলো।এই মিষ্টি ঘ্রাণটা
নীলকে পাগল করে দেয়।
নীল এবার উল্টো দিকে হুরকে ঘুরিয়ে আবারও আপাদমস্তক দেখে বলল,
নীল ঃ শাড়ীটা খুলে ফেললল
হুর ঃ মানেহ
নীলের হঠাৎ মুখে গাম্ভীর্য ভাব এনে বলল,
নীল ঃ মানে শাড়ীটা পাল্টে সচারাচর যে পোশাক পড়িস সেই পোশাক পড়েই বাইরে যাবি। নাহলে বাসায়ই থাককক
নীল চলে গেল।
হুর ঃ মানেটা কিহহহ তাহলে পড়লাম কেন? সবাই শাড়ী পড়ে যাবে আর আমি ওভাবে কেন যাবো। ডেবিল একটা, জ্বিনমানব একটা যখন তখন আমার রুমে চলে আসে। মাঝে মাঝে এমন ভাব ধরে যেন আমায় চিনেই নাহ,,,, অসহ্য
নীল হুরের রুমের এস্টা চাবি পকেটে রাখতে রাখতে মনে মনে আওড়ালো।
শখ কত আমার বউ হয়ে শাড়ী পড়ে সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে বেড়াবে আর আমি তা হতে দিব।
কিন্তু পাখি তকে শাড়ী পড়া অবস্থায় এক নজর দেখার বড্ড লোভ জেগেছিল মনে তাইতো এত বাহানা।
হুর সাদা ইং করা শার্ট আর হলদে সাদা মিশ্রিত সার্ট পড়ে বাইরে আসলো।
নিলাসা সোফায়ই বসা ছিল। হুরের জন্য আর সবাই গাড়িতে ওদের জন্য ওয়েট করছে
হুর ঃ এই তুই এতক্ষন কোথায় ছিলি হ্যাঁ তুই নাকি
আমাকে শাড়ী পরিয়ে দিস।
নিলাসা কোনো উত্তর দিল না মন খারাপ করে বসে আছে।
হুর ঃ এই এক মিনিট তুই কেন শাড়ী পড়িস নি।
নিলাসা ঃ তর ভাইকে জিজ্ঞেস কর আমায় কেন জিজ্ঞেস করছিস।
নিলাসা বাইরে চলে গেল হুর ওহ পিছনে পিছনে যেতে লাগলো।
বাড়ির বাইরে বের হতেই সামনে পড়লো তুবা
তুবা ঃ হুরর বেইবি এতক্ষন তোমার জন্যই ওয়েট করছিলাম।
হুর ঃ তুমি ওহ আমাদের সাথে যাবে।
তুবা ঃ কেনো তুমি জানো না আমিও তুমাদের সাথে যাচ্ছি। নীলই তহ আমায় ডেকেছে।
তুবা ঃ এক মিনিট তুমি না আমায় কাল বললে,নীলের এই পারফিউমে এলার্জি আছে তাহলে তুমি কেনো এটাঁ ইউস করেছো।
তুবা ঃ এক মিনিট তুমি না আমায় কাল বললে,নীলের এই পারফিউমে এলার্জি আছে তাহলে তুমি কেন এটাঁ ইউস করেছো।
হুর নিজের গোলাপী ওষ্ঠের নিম্নাংশ দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরল। চোঁখে মুখে তীর্ব্র অসস্থি আর লোকানো রাগের ঝিলিক।
নিলাসা ঃহুর লামীম ভাই ডাকছে। যাহ গাড়িতে গিয়ে ওঠ।
হুর চলে গেল।
তুবা ঃ আরেহ,,,
নিলাসা ঃ আহহহ ভাবি উত্তরটা নাহয় আমিই দিচ্ছি। তুমি তহ সবসময় নীলভাইয়ের কাছা,,কাছি, পাশা,,পাশি থাকবে, কিন্তু হুর,,,
তুবা ঃ হুম বুঝতে পেরেছি। (তুবা লাজুক হেঁসে)
সরকার বাড়ি থেকে 2 টো গাড়ি পরপর বের হলো।
প্রথমটাই রক্তিম, নীলাদ্র আর তুবা। অন্যটাই লামীম,নিলাসা, হুর, কলি।
রক্তিম ভিষণ বিরক্ত হচ্ছে, নীলের সাথে কোথাও যাওয়া আর জনমানবশূন্য রাস্তায় একাই হাঁটা দুটোই এক মনে হয় রক্তিমের কাছে। নিশ্চয়ই ওরা ভিষণ মজা করছে। এটা ভেবেই রক্তিমের বিরক্তি ভাবটা বেড়ে গেল। যদিও তুবা নিজে নিজেই বকবক করছে, কারণ যে মানুষটির উদ্দেশ্যে কথাগুলো বলছে, সেই মানুষটি উমম,হুমম, হ্যাঁ সূচক উত্তর ওহ কাটঁছে না।
কিন্তু না রক্তিমের ধারণা পুরোপুরি ভুল, সবাইকে যে মাতিয়ে রাখে তার মনটা বড্ড খারাপ। হুর চুপচাপ বাইরের দিকে মুখ করে বসে আছে। লামীম গাণটা চালালো,
আমাকে আমার মতো থাকতে দাও
আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি (১)
যেটা ছিল না ছিল না সেটা না পাওয়ায় থাক
সব পেলে নষ্ট জীবণ।
তোমার এই দুনিয়ার ঝাপসা আলোর
কিছু সন্ধ্যাের গুড়ো হাওয়া কাচের মতো
যদি উড়ে যেতে চাও তবে গাঁ ভাসিয়ে দাও
দূরবীণে চোঁখ রাখবো না-না-না-
না-না-না-না না-না-না
এই জাহাজ মাস্তুল ছারখার
তবু গল্প লিখছি বাচঁবার
আমি রাখতে চায় না আর
কোন রাত দুপুরের আবদার
তাই চেষ্টা করছি বারবার
সাতঁরে পাড় খোজার
কখনো আকাশ বেয়ে চুপ করে
যদি নেমে আসে ভালোবাসা খুব ভোরে
চোঁখভাঙ্গা ঘুমে তুমি খুঁজোনা আমায়
আশেপাশে আমি আর নেই
আমার জন্য আলো জ্বেলোনা কেউ
আমি মানুষের সুমুদ্রে গুনেছি ঢেউ
লামীম, নীলাদ্র তাদের দুজনের গাড়ি এসে থামলো একটা পার্কের সামনে।
পার্কের পরিবেশটা খুবই সুন্দর, প্রাকৃতিক পরিবেশকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
কেউ তাদের প্রিয়জনের সাথে সময় কাটাচ্ছে, কেউবা আড্ডা দিচ্ছে বন্ধুমহলের সাথে।
হুরের মন খারাপ থাকলেও এখন পরিস্থিতি ভিন্ন চোঁখে মুখে আনন্দের স্পষ্ট ছাপ তার।
কলি ঃ নিলাসা আপু, হুর আপু দেখ ফুচকা, ঝালমুড়ি, চটপটি, তেতুলের আচারো আছে।
নিলাসা আর হুর দুজনে তাকালো। সাথে সাথে দুজনে খুশি হয়ে গেলো।
তুবা ঃ এইসব জায়গায় খাওয়া ঠিক নয়।
কলি ঃ ওকে তাহলে তুমি থাকো আমরা যায়।
নিলাসা, হুর, কলি একপ্রকার সেদিকে দৌঁড়ে গেল।রক্তিম ওহ তাদের পিছনে পিছনে যেতে লাগলো।
নীল, লামীম দুজনে একটা বেঞ্জিতে বসে কথা বলছে। তুবার ভিষণ বিরক্ত লাগছে তবে সেটা প্রকাশ না করে নীলের পাশে গিয়ে বসলো।
হুর, নিলাসা আর কলি কম্পিটিশন করছে কে কতটা ঝাল খেতে পারে।
হুর ফুচকা খেতে খেতে হঠাৎ তার চোঁখ পড়লো নীল আর তুবার দিকে। হুরের রাগটা তাজা হয়ে উঠলো।
হুর বাড়িয়ে বাড়িয়ে আরো ঝাল খেতে লাগলো।
এর মাঝে হুর বিষম খেয়ে বসলো। রক্তিম তড়িৎ
বেগে পানির বোতলটা এগিয়ে দিল হুরের দিকে।
হুর পানিটা ঢক ঢক করে খেতে লাগলো।
নীল একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে হুরের দিকে। কিন্তু তার নড়চড় নেই। লামীম দৌঁড়ে এগিয়ে গেল বোনের কাছে।
লামীম ঃ হুরজান খুব কষ্ট হচ্ছে। আয় আমার সাথে। চকলেট খেলে ঝালটা কমে আসবে।
হুরকে নিয়ে যেতে লাগলো লামীম, পিছনে পিছনে নিলাসা ওহ আসলো।
লামীম ঃথাক তোরা এখানে দ্বারা, আমি আসছি।
কিছুক্ষণ কেটে গেল, লামীম এখনো আসছে না।
নিলাসা ঃ তুই দ্বারা আমি আসছি।
ঝালে হুরের চোঁখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। হঠাৎ
কেউ তাকে টানতে লাগলো। টানতে টানতে হুরকে একটা গাছের আড়ালে নিয়ে গেলো।
হুর ঃ নীলল ভাইইই
নীল ঃ খুব জেদ তাইনা। (নীলের আগুন চোঁখ)
নীল হুরের ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিল। নীল হুরের ঠোঁট জোড়া আলতোভাবে চুষতে লাগলো।
হুর ঠান্ডা আর মিষ্টি কিছু অনুভব করতে লাগলো। যা তার ঝালকে ধীরে ধীরে কমিয়ে দিয়ে লাগলো।
হুর কেপে উঠলো এই আলতো স্পর্শে, অদ্ভুত এক শিহরণ খেলতে লাগলো শরীরে, মস্তিষ্ক ওহ নতুনভাবে কিছু অনুভব করতে লাগলো।
নীল হুরের ঠোঁট জোড়া ছেড়ে দেয়। হুর এখনো খানিকটা হাপাচ্ছে। হাপাঁনোর ফলে তার ঠোঁট জোড়া আলগা হয়ে আছে।
নীল হুরের হাতে আইস্ক্রিম ধরিয়ে দিল।নীলের চোঁখে এখনো রাগের ঝিলিক।
অন্যদিকে তুবা আর রক্তিম দুজনেই হুর আর নীলকে খুজতে খুজতে এখানে চলে এসেছে।
নীল পিছন দিকে তাকিয়ে দেখে তুবা এখানে। তুবাকে দেখে নীল উল্টো ঘুরে হুরকে গাছের সাথে চেপে ধরে।হুর আর নীল এতটাই কাছাকাছি যে হুরের ঠোঁট নীলের গলা ছুয়ে দিচ্ছে।
হুর নীলের হোয়াইট শার্ট একহাত টানতে টানতে বলল,
হুর ঃ নীল ভাইই,,
নীল ঃ চুপ,,,
পিছন থেকে ওদের দেখে তুবা আর রক্তিমের চোঁখ আটঁকে যায়।
তুবা ঃ ওয়াও রক্তিম,,,দেখো ইশ,,,সুইট কাপল। নীল বেইবিটা যে কবে আমায় এভাবে একটু আদর করবে,,,,
রক্তিম ঃ থাক ভাবি চলেন, এভাবে কারও উপর নজর দিতে নেই,,,
অন্যদিকে লামীম আর নিলাসা চকলেট নিয়ে আসার সময়। নিলাসা খেয়াল করলো অভিককে
নিলাসা ঃ সর্বনাশ অভিক স্যার,অভিক স্যারকে দেখলে তহ লামীম ভাই ভাববে আমিই এখানে উনাকে ডেকে এনেছি। না না এটাঁ হতে দেওয়া যাবে না।
লামীম ঃ এই কিহ এতো বির বির করছিস।
নিলাসা ঃ নাহ কিছু নাহ ব্যাস ভাবছি তুমায় আজ খুব সুন্দর লাগছে।
লামীম নিলাসার দিকে সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকায়।
বাম দিকে তাকালেই অভিককে দেখে ফেলবে লামীম। লামীম বাম দিক ঘুরতে গেলেই নিলাসা লামীমকে জড়িয়ে ধরলো।
নীলের হুরপাখি পর্ব ৯+১০
এমন্ত অবস্থায় লামীমের হার্টবিট বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
অভিক নিলাসা আর লামীমকে এই অবস্থায় দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরে, দৌঁড়ে সেখান থেকে চলে গেল। অভিকের নীল চোঁখে স্পষ্ট পানি ঝলমল করছে।
ফিরতে ফিরতে ওদের অনেক রাত হয়ে গেল। হুর ড্রেস চেঞ্জ করে বিছানায় এসে বসলো। তখনই তার নজরে এলো একটা বক্স।
