নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ১২
সিনথিয়া
ড্রিম লাইটের নরম আলোয় শেহজাদের শক্ত অবয়ব স্পষ্ট। আরশিকে লাইট অফ করতে বলে চোখের ওপর একহাত ভেঙে দিব্যি শুয়ে আছে মানুষটা।
বিছানায় আরামসে দুজন হাত-পা ছড়িয়ে ঘুমোতে পারলেও তার ধারেকাছে ঘেঁষলো না ও। আলো নিভিয়ে এসে গাঁট হয়ে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন ছুড়লো শেহজাদকে,
“কি কথা হয়েছিল আজকে আপনার আর রেজার মধ্যে?”
লোকটা নিশ্চুপ! কিন্তু উত্তর না পেয়েও থামলো না আরশি। বলে গেলো একের পর এক,
“আপনি না আমাকে সহ্য করতে পারেন না।সবসময় না বলেন আমার জন্যই ছোটবেলায় রুশা হারিয়ে গেছে? আমার থেকে না সবসময় দূরত্ব মেইনটেইন করে চলতে চান আপনি? এমনকি সেদিন তো ছুঁতেও বারন করে দিলেন আপনাকে!
তাহলে হুটহাট নিজেই এতোটা কাছে কেনো আসেন আমার? কি প্রমাণ করতে চান এগুলো করে? ”
এবারেও অমনভাবেই চোখের ওপর হাত রেখে শুয়ে রইলো শেহজাদ। মুখে কুলুপ এঁটেছে যেনো। ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙলো আরশির।
দুম করে পাশে বসেই বুকের কাছটায় থাবা বসালো শেহজাদের। ওভাবেই টেনে তুললো শোয়া থেকে। মুখের সামনে মুখ নিয়ে বললো,
“আজ হয় আপনি উত্তর দেবেন নয়তো-”
“নয়তো?”
কিশোরীর মৃগনয়ন বরাবর তাকিয়ে এতক্ষণে মুখ খুললো লোকটা। নীল চোখের কোটর জুড়ে যেনো উথলে পড়ছে প্রহসন।
অথচ শেহজাদের প্রতি কতশত অভিযোগ আর অভিমানে টইটম্বুর ঐ ছোট্ট মনটা! সে খেয়াল কি একবারও রেখেছেন উনি?
কতই বা বয়স আরশির? আর এই এই বয়সেই কি-না এমন একটা বুড়ো জাম্বুবান জুটলো ওর কপালে? তা-ও যদি বুঝতো গল্পের নায়কগুলোর মতো একটু-আধটু রোম্যান্স জানে বুড়োটা! তাও তো না! পারে শুধু ওর পিছনে লাগতে আর-
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“বললে না তো! নয়তো কি করবে তুমি?”
শেহজাদের কথায় ভাবনায় বিচ্ছেদ ঘটলো মেয়েটার। ভারী শ্বাস মুখে লাগতেই বুঝলো কতটা কাছাকাছি ওরা।
মানুষটার পাতলা অধরজোড়া কিঞ্চিৎ ফাঁক হয়ে আছে কেমন। নীল চোখে আবারও গতরাতের মাদকতা। কেমন আফিমের মতো দেখছে ওর ওষ্ঠপুট। সরু নাকটা ছুঁই-ছুঁই ওর নাক বরাবর।
ত্রস্ত শেহজাদকে ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো আরশি।
এলোমেলো পা ফেললো মেঝেতে। ওয়াল ক্যাবিনেট থেকে কম্ফর্টার বের করে চুপচাপ গিয়ে শুয়ে পড়লো ডিভানে। মনে মনে ভাবলো, এক ভুল তৃতীয়বার আর করবে না এই আরশি চৌধুরী!
মেয়েটাকে ডিভানে শুতে দেখেই সরু চোখে তাকালো শেহজাদ। বিরক্তিসমেত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
“ওখানে শুয়েছো কেনো? বিছানায় শুতে কি সমস্যা!”
কথাখানা শোনা মাত্রই অন্য দিকে মুখ ঘোরালো আরশি। বলল,
“সমস্যা আপনি! হয় আমি আমার প্রশ্নের উত্তর পাবো নয়তো এখানেই ঘুমোবো!”
এবার আর বিরক্ত নয়, ঠোঁট টিপে হাসলো শেহজাদ। তারমানে অভিমান হয়েছে ম্যাডামের।
ইশ! যদি একবার দেখতো আরশি সেই হাসি। দুম করে কিল বসিয়ে দিতো না পিঠে লোকটার। ভাগ্যিস মেয়েটা উল্টো ঘুরে শুয়ে আছে এখন!
মূহুর্তেই হাসি থামালো ও। কন্ঠে গমগমে ভাবটা এনে ফের বলল,
“আরশি! আমি এক থেকে তিন গুনবো! এরমধ্যে নিজে থেকে উঠে বিছানায় না এলে কিন্তু! ”
আরশির ভাবখানা এমন যেনো শুনছেই না সে কিছু। বেটাকে দিয়ে আজ যদি সত্যিটা স্বীকার করাতে না পারে তাহলে আর এমন সু্যোগ কখনো পাবে ও?
“আসবে না তো!”
আরশির কাঠকাঠ জবাব,
“নাহ!”
“বেশ!”
কপালে ভাজ পড়লো ওর। “বেশ?” এতো সহজে মেনে নিলো জাম্বুবানটা? একবারও মানানোরও চেষ্টা করলো না ওকে? এতো পাষাণ? এতো?
তক্ষুনি কানে আসলো ভৌতিক কিছু আওয়াজ। প্রথমে মেয়েলী কান্নার করুন স্বর তারপর অট্টহাসি। চোখ খিঁচে কম্ফর্টারটা শক্ত করে চেপে ধরলো আরশি।
তবুও যেনো অন্ধকার রুমে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারলো না মেয়েটা।
ডিভান থেকে উঠেই আচমকা দৌঁড় লাগালো শেহজাদের কোলের মধ্যে। বিছানায় বসে ছোট্ট বাচ্চাদের মতো মুখ লুকালো মানুষটার চওড়া বুকে।
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে আওড়ালো,
“প্লিজ! প্লিজ বন্ধ করুন ওটা! ভয় লাগে আমার!”
ছোটবেলা থেকেই শুধুমাত্র ভুতে ভয় পায় বলে হরর মুভি দেখা বাদ দিয়েছে ও। রুমে এখনো ড্রিম লাইট জ্বালিয়ে ঘুমায়। পাছে ভুত-টুত এসে ঘাঁড় মটকে দেয় যদি!
সেখানে অমন আওয়াজ শোনার পরও জেদ ধরে ডিভানের ঘুমানোর তো প্রশ্নই আসে না আরশির!
ধূর্ত হাসলো মানুষটা। আড়চোখে দেখলো হাতে থাকা মোবাইলের স্ক্রিন। ইউটিউবে হরর সাউণ্ড ইচ্ছে করেই বাজিয়েছিল ও। পরপর সেটা বন্ধ করে তাকালো ওর বুকের সাথে মিশে থাকা মেয়েটার দিকে।
শেহজাদের বিলাতী চোখ জোড়া হাসলো।
গোলাপি বিম্বজুড়েও হাসির রেখা স্পষ্ট। আঙুল গুলো উশখুশ করলো আরশির ভয়পাওয়া মুখখানা তুলে দেখতে। অনেকটা সময় এমনভাবে মেয়েটাকে বুকের ভিতর আগলে রাখতে পারলে ভালো হতো না?
কিন্তু তা আর হলো কই৷ হুট করেই আরশি ফোন নিয়ে নিলো শেহজাদের হাত থেকে। ভালো করে দেখার আগেই ফের সেটাতে থাবা বসালো শেহজাদ। ছোঁ মেরে নিয়ে সুইচ অফ করলো সাথে সাথে।
কিন্তু আরশির শার্লক হোমসের নজর তা এড়ালে তো! ঠিক ধরে ফেললো মানুষটা কিছু লুকোচ্ছে! ছোট ছোট চোখ করে বলল,
“ আপনি ইচ্ছে করে ইউটিউবে ওসব ছেড়েছেন তাই না? যাতে আমি ভয় পেয়ে এসে আপনাকে জড়িয়ে ধরি?”
শেহজাদ মুখে স্বভাবসুলভ গাম্ভীর্য। ভারী ভারী কন্ঠ চোখের পলকে অস্বীকার করে বসলো আরশির আনা অভিযোগ। অন্যদিকে তাকিয়ে বলল,
“মোটেই না! রিলস্ দেখছিলাম আমি। হুট করে সামনে এসেছে তাই শুনেছো। আর যার ভুতে এতো ভয়, তার ঢং করে ডিভানে শোয়ার কি দরকার? বেডে শুলেই পারে?”
মেয়েটার জ্বলন্ত মেজাজে যেনো গ্যাসোলিনের মতো কাজ করলো কথাখানা। খানিকক্ষণ শেহজাদের দিকে তাকিয়ে থেকে ডুভেট টা টেনে গায়ে তুললো ও। পরপর কাত হয়ে শুয়ে পড়লো বিছানায়।
ঠোঁট টিপে হাসলো মানুষটা। লম্বা শ্বাস ফেলে নিজেও মাথা ছোঁয়ালো বালিশে। আরশির দিকে ফিরে বলল,
“আমার দিকে ফিরে শোয়ার জন্য কি ম্যাডামের কাছে এ্যাবলিকেশন পাঠাতে হবে? ”
কটমট করতে করতে সোজা হলো আরশি। দাঁতে দাঁত পিষলো। মুখে তো আর বলতে পারে না, তাই মনে মনেই তুমোল বেগে বকলো ঐ বদের হাড্ডিটাকে।
শেহজাদও অমনি বলে উঠলো,
“এই তো! গুড গার্ল! আর হ্যাঁ, আরেকটা কথা৷ ক্যাম্পিং এ দু’দুটো ট্রলি নেয়ার দরকার নেই! একটা হ্যান্ড ব্যাগ নিলেই যথেষ্ট। ওখানে তুমি হানিমুনে যাচ্ছো না, স্রেফ ক্যাম্পিং এ যাচ্ছো! মাথায় রেখো!”
বুড়ো জাম্বুবানটা কবে যেনো ওর হাতেই না মার্ডার হয়ে যায়! চিৎ হয়ে এটা ভেবেই ফোঁস করে শ্বাস ফেললো মেয়েটা। কিন্তু চোখ বন্ধ করতেই মনে পড়লো একটু আগের ঘটনা! কিভাবে ছুটে এসে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ও জাম্বুবানটার বুকে। বেটা নিশ্চয়ই খুশিতে নেচে-কুঁদে আটখান হয়েছিলেন সেসময়!
এই একটা! এই একটা সিক্রেট লুকিয়ে রেখেছিল সবার থেকে যে ভুতে ভয় পায় ও। তবে জাম্বুবানটা জানলো কি করে এ খবর?
তুষারে মুড়িয়ে রাখা রাতের শহর সোডিয়াম আলোয় অপার্থিব দীপ্তি ছড়াচ্ছে যেনো। মানুষের আনাগোনা কমেছে। নির্জনতায় ছেয়ে গেছে চেলসির ব্যস্ত রাস্তা।
বরফের কারণে পিচ্ছিল সেই রাস্তায় মেপে মেপে পা ফেলছে জারা। হড়কে গেলেই বিপদ। বিদেশের মাটিতে নিজের পায়ে দাঁড়ানো আগেই গড়াগড়ি খেতে হবে ওকে।
এতো এতো কষ্ট করে এখানে আসার উদ্দেশ্য কি শুধু গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করা? না! জারার গন্তব্য ভিন্ন। ওর মা-বাবার কথা ও জানে না! কিন্তু বুঝ হওয়ার পর থেকে এটুকু জেনেছে, এই পুরো পৃথিবীতে বাকিদের মতো ওরও নিজের পরিবার আছে।
সে যেমন আজ এতগুলো বছর ধরে তাদেরকে খুঁজে বেড়াচ্ছে, তারাও কি জারাকে খুঁজছে না? অবশ্যই খুঁজছে!
সবারই বেঁচে থাকার কোনো না কোনো লক্ষ্য থাকে। জারাও হয়তো এই কারণেই বেঁচে আছে। নিজের পরিবারকে খুঁজে বের করার এক অদম্য ইচ্ছাই হয়তো দুই বছরের সেই শিশুটিকে মরতে দেয়নি।
এসব ভাবতে ভাবতেই চোখের কোটর ভিজলো ওর। দুম করে দুফোঁটা নোনাপানি টুপটাপ গড়িয়ে পড়লো গাল বেয়ে। হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে সেসব মুছে আবারও হাঁটার গতি বাড়ালো জারা।
আর তক্ষুনি ঘটলো বিপত্তি।
আচমকাই বরফে ওর পা হড়কালো। জুতো ছিটকে গেলো কোনো একটা জায়গায়।
খালি পা-টা মাটি থেকে শূন্যে উঠতেই পিছনে ঢাল হয়ে ধারালো একটা শক্ত বুক।
হাতদুটোও বুঝি খপ করে ধরে ফেললো সেই বুকের মালিক।
জারার চোখ খিঁচে বন্ধ। দূর্বল দেহটা চওড়া সিনায় ঠেকতেই কানের কাছে বাজলো পরিচিত এক কন্ঠ,
“বাটারফ্লাই! দেখে হাঁটবে তো!”
আয়ানের কথায় উপরের দিকে চোখ মেলে চাইলো মেয়েটা। ওর শরীর কাঁপছে। তবুও কোনোমতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছি এখন।
কিন্তু কিছু বলার আগেই লোকটা ছুটে গেলো ওর জুতো আনতে। ফিরে এসে হাঁটু গেড়ে বসলো সামনে। আলতো হাতে ফর্সা পা-টা তালুতে তুলে অন্য হাত দিয়ে পড়িয়ে দিলো সেটা। পরপর ওর দিকে তাকিয়ে বলল,
“এভাবে যতবার তোমার পা থেকে জুতো খুলে যাবে, ততবার পড়িয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমার। তোমার জীবনের হারানো সবখানি সুখ কুড়িয়ে আনার দায়িত্বও আমার। আজ থেকে শুরু করে আজীবন!”
থামলো আয়ান। ঢোক গিললো জারার উত্তাল সমুদ্রের মতো চোখে চেয়ে। বলল,
“একটা পারমিশন দেবে বাটারফ্লাই?”
জারা স্তব্ধ। বাকরুদ্ধের ন্যায় শুধু তাকিয়েই রইলো আয়ানের দিকে। আজ ওর মন খারাপের কারণ ছিল এই মানুষটা। ভেবেছিল বোধ হয় এড়িয়ে চলছে ওকে। কিন্তু আসলেই কি আমরা নিজে নিজে যা ভাবি সেটা সত্যি হয় সবসময়? হয় না তো! জারারও হয়নি।
এখন যে আয়ান ওর সামনে হাঁটু গেড়ে বসা, এটাও যেনো বিশ্বাস হচ্ছে না ওর। এতো সহজে সুখের ঠিকানা কখনো কি ও পেয়েছে? সবটা কেমন অলীক ঠেকছে না নিজের কাছে?
তখনই আয়ান ওর হাতখানা লুফে নিলো নিজের হাতের মুঠোয়। টেনে এনে চেপে ধরলো বুকের বা পাশটাতে। বলল,
“তোমাকে শেষ নিশ্বাস অবধি এখানটায় রাখতে চাই! বলো দেবে পারমিশন?”
তড়িৎ হাত সড়িয়ে নিলো জারা। বুকে গুঁজে দাঁড়ালো জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে। শুধোলো,
“তার আগে বলুন সারাদিন আপনি কোথায় ছিলেন! কাল রাত থেকে পালিয়ে কেনো বেড়িয়েছেন আমার থেকে?”
মুখখানা যেনো দপ করে নিভে গেলো মানুষটার। ভারী পা-টা টেনে-টুনে উঠে দাঁড়ালো কোনোমতে। মিনমিন করে বলল,
“আমি…আসলে একটা মিথ্যে বলেছিলাম তোমায়!”
কথাখানা শুনেই বুকে কিছু একটা হলো জারার। শুষ্ক ঢোক গিললো ও। আয়ান আনত মুখে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামীর মতো করে বলে গেলো,
“আসলে আমার তেমন কিছু হয়নি। গতকাল রাতে ডক্টরকে দিয়ে মিথ্যে বলিয়েছিলাম ! যাতে তুমি একটু নরম হও আমার প্রতি!”
ততক্ষণে জারার চোখ কপালে। কন্ঠে অবিশ্বাস। তারস্বরে বলে উঠলো,
“কীহ্?”
রাতে ঘুমের ঘোরে খুব বিশ্রী
ভাবে হাত-পা ছোঁড়ার অভ্যাস আরশির। তারউপর আজ পাশে শুয়েছে শেহজাদ। বলির পাঠা হতে আর আটকায় কে তাকে।
প্রথমে গালে এসে লাগলো ওর পায়ের আঙুল। যেনো পা দিয়ে মানুষটার গাল চুলকে দেয়ার দায়িত্ব পেয়েছে আরশি।
ঘুমের মধ্যেই ‘চ’ সূচক শব্দ করে উঠলো শেহজাদ। হাত দিয়ে প্রথমবার পা-টা সড়ালেও পরপর আবার তা এসে পড়লো মুখের ওপর। তৎক্ষনাৎ চোখ মেলে চাইলো লোকটা।
এক রাশ বিরক্তি নিয়ে উঠে বসতেই দেখলো আরশি তার পায়ের কাছে। শেহজাদকে জাগিয়ে মহারানী দিব্যি নিজের ঘুমের রাজ্যে ব্যস্ত।
গায়ের ডুভেটটা বিছানার এক পাশে এলোমেলো হওয়া। প্লাজোটা উঠে আছে
হাঁটুর উপরে। কেমন বেঘোরে ঘুমোচ্ছে মেয়েটা।
শেহজাদের ভাজ পড়া কপাল টান টান হলো মূহুর্তেই। নিষ্পাপ মুখখানা দেখতে চাইলো আরেকটু পরখ করে। ঝুঁকে আসতেই আরশির মেদ হীন ফর্সা উরুর লাল তিলটায় চোখ আটকে গেলো ওর। ধক করে উঠলো বুকের ভিতর। গলার এ্যাডাম এ্যাপলটা ওঠানামা করলো তৃষ্ণায়!
পরপরই মনে হলো, নাহ্! পানি নয়! এ তৃষ্ণা অন্য কিছুর। অন্য কিছু চাইছে ওর মন।
নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ১১
পুরো এপার্টমেন্ট জুড়ে সেন্ট্রাল হিটার থাকাতে শীত তেমন অনুভব হয় না। তাতেই কি এতো অসহ্য গরম? নিশ্বাসের ভারে ওঠানামা করছে বুক? অবাধ্য অনুভূতিগুলো মাথায় চাড়া দিচ্ছে শেহজাদের?
তৃষ্ণা মেটাতে ঢোক গিললো মানুষটা। পরপর গভীর চুমু বসালো সেই তিলের ওপর। কন্ঠ খাদে নামিয়ে আওড়ালো,
“স্লিপিং নেক্সট টু ইউ, ওয়াজ দ্য ওয়ার্স্ট আইডিয়া। নাও লুক এ্যট মি। হাউ হেল্পলেস আই এম!”