নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ২১

নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ২১
সিনথিয়া

তুষারঝড়ের তান্ডবনৃত্য থেমেছে অনেকক্ষণ। তবে বরফে মুড়িয়ে দিয়ে গেছে ক্যানিয়নের রাস্তাঘাট-ঘরবাড়ি। ধকল সামলে কাহিল হয়ে দাঁড়িয়ে ঝোপের আড়ালে থাকা পাইন গাছগুলো। শোঁশোঁ বাতাসের শব্দ এখন আর শোনা না গেলেও টের পাওয়া যাচ্ছে নিশাচর প্রাণীদের অস্তিত্ব।
এদিকে হৈ-হুল্লোড়ের ছন্দপতন হলরুমে। আনন্দে ভাটা পড়ে কারোর কারোর চোখ তালুতে। মুখে টুঁ-শব্দটিও নেই। শেহজাদ যে বিবাহিত ; একথা কম-বেশি সবাই জানে। কিন্তু সেই বউ যে তার নিজেরই স্টুডেন্ট! এটাই হজম করতেই যেনো বেগ পোহাতে হলো শ’খানেক ছাত্র-ছাত্রীকে।
বিশেষ করে মেয়েগুলো তো তেলে-বেগুনে জ্বললো আরশির নাম শুনে। একজন তো চিল্লিয়ে বলে উঠলো,
“প্রফেসর! ইউ মাস্ট বি জোকিং রাইট?”

শেহজাদের চোখজোড়া তার বউয়ের ওপর হতে সড়লো এবার। প্রশ্ন করা মেয়েটার দিকে শীতল দৃষ্টি ফেলে বললো,
“এন্ড ইউ মাস্ট বি ফরগেটিং দ্যাট আ’ম ইউর প্রফেসর? কিপ ইয়র ভয়েস ডাউন মিস!”
বিহ্বলতায় পলক ফেলতে ভুলে যাওয়া আরশির খেই ফিরলো এবার। হট চকলেটের মগখানা কাঁপছে সবেগে। টেনশনে ভূমিকম্প উঠেছে হাতে! বুকের ভিতর হর্কাবান চালাচ্ছে শেহজাদের মুখ থেকে শোনা কথাগুলো। ভন্ডামি করবি কর! একটা লিমিট রাখবি না? এদেরকে তাতিয়ে দেয়ার কোনো মানে হয়?
মেয়েটা আনত মুখে; অমন কেঁপে-কুঁপে সতর্ক দৃষ্টি ফেললো সবার দিকে। প্রিন্সিপাল চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেছেন; অন্যান্য প্রফেসররা ফিসফিস করে কিছু বলছেন একজন আরেকজনকে। কিন্তু মেয়েগুলো এমন কসাইয়ের মতো লুক দিচ্ছে কেনো ওকে ! মারামারি করতে আসবে নাকি আবার?

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আরশির ঐ রোগা-পাতলা শরীর তো এদের এক ঘুষিতেই রেস্টহাউজের বাইরে চলে যাবে!
ভাবনার ইস্তফা ঘটিয়ে ঘনঘন দু’পাশে মাথা নাড়ে মেয়েটা। এমন হলে ঘুষি খাওয়ার আগেই ও শেহজাদের পিছনে গিয়ে লুকোবে। তারপর এরা যা খুশি করুক জাম্বুবানের সাথে। তাতে ওর কি!
হুট করে শেহজাদ উঠে এলো জায়গা ছেড়ে। আরশির কাছাকাছি এসে দাঁড়াতেই অপ্রস্তুত হলো মেয়েটা। অন্যদিকে ফিরে বিড়বিড় করে আওড়ালো,

“কি কান বেটার! এ-তো দেখি মানুষের মনের কথাও শুনে ফেলে! এইজন্য বলেছিলাম মুখের সাথে সাথে মনেও একটু লাগাম লাগা আরশি! নয়তো শান্তিতে দুদণ্ড উল্টো-পাল্টাও ভাবতে পারবি না তুই!”
তখনই ওকে আরেক দফা বাকরুদ্ধ করলো মানুষটা। অল্প ঝুঁকে এক হাতে চিবুক ধরে মুখটা নিজের দিকে ফেরালো আরশির। অন্য হাতে ভর দিলো টেবিলে। নীল চোখের দৃষ্টিতে মেয়েটাকে রেখে পশ্চিমা ভাষায় সবাইকে বললো,
“দিজ প্রিটি লেডি ইজ মাই ওয়াইফ! এন্ড আই লাভ হার মোর দ্যান এনিথিং, মোর দ্যান এনিবাডি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড!”
কিশোরীর বিস্ময়সম দৃষ্টি। বিমূঢ়তায় ঠোঁট কিঞ্চিৎ ফাঁক। পরপরই আরেকটা বিস্ফোরণ।শেহজাদের বৃদ্ধা আঙুল স্লাইড করলো আরশির ঠোঁটের উপরে। লেগে থাকা হট চকলেটটুকু মুছে নিয়ে সেই আঙুলটাই ঘুরিয়ে নিজের মুখে দিতেই আঁতকে উঠলো বাকিরা।
আরশি তখনও বোকা বোকা চোখে চেয়ে। নিশ্বাস পড়ছে না ওর।

“ব্রেথ ডার্লিং!”
শেহজাদের খাদে নামানো কন্ঠ ঠাস করে ফ্লোরে চিৎপটাং হলো কেউ কেউ।
প্রচন্ড শোকে অজ্ঞান হয়ে গেছে এরা।
এদের মতে ‘বিবাহিত তবে নায়কের মতো দেখতে’ প্রফেসর মেনে নেয়া যায়! কিন্তু সেই প্রফেসর চোখের সামনে বউয়ের সাথে রোম্যান্স করবে; এটা মেনে নেয়া যায় না!
জ্ঞান হারানো মেয়েগুলোকে ধরে ধরে রুমে নিয়ে যাওয়া হলো। ‘ট্রুথ অর ডেয়ার’ এর পর্ব ওখানেই সমাপ্ত। প্রিন্সিপাল লোকটা শেহজাদের কাছে এলেন ধীর পায়ে। উনিও যে মারাত্মকভাবে আশ্চর্য হয়েছেন সে আর বুঝতে বাকি নেই কারোর।
ভদ্রলোক কাছে এসে দাঁড়াতেই মানুষটা পশ্চিমা ভাষায় বলে উঠলো,

“আপনাকে শুরুতেই সবটা না জানানোর জন্য আ’ম সরি স্যার!”
প্রিন্সিপাল পেছনে হাত বেঁধে ঠোঁট টিপলেন; ভাবলেন কিছু একটা! পরপর হেসে দিয়ে শেহজাদের কাঁধ চাপড়ে নিজের স্বভাবসুলভ বিদেশি বচনে বললেন,
“সত্যি কথা বলতে এমন কিছুই আন্দাজ করেছিলাম। বলতেই হবে আরশির মতো একজন ব্রাইট স্টুডেন্টের তোমার মতো একজন ডেডিকেটেড প্রফেসরকে হাজবেন্ড হিসেবে পাওয়া কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার।
তবে আমি ভাবছি অন্য কথা! ক্লাসের বাকি সবাই কি ভালোভাবে মেনে নেবে বিষয়টা? ধরো আরশি নিজের চেষ্টাতেই ভালো রেজাল্ট করলো, কিন্তু তোমার জন্যই ও ভালো রেজাল্ট করতে পেরেছে; এমন প্রশ্ন উঠবে না তো? ”
শেহজাদের চিবুক শক্ত। যেনো আগেই আন্দাজ করে রেখেছিল এই ‘কিন্তু’ টা যোগ করবেন প্রিন্সিপাল। পশ্চিমা ভাষায় বললো,

“আরশি আমার ওয়াইফ হলেও ক্লাস কিংবা এক্সামে কোনো বাড়তি সুবিধা ও পাবে না! বাকি স্টুডেন্টদের মতো নিজের জায়গা নিজের তৈরি করতে হবে ওকে। আমি কথা দিলাম!”
ভদ্রলোক স্মিত হাসলেন। প্রস্থান করার পূর্বে ইংরেজিতে বললেন,
“এটুকুই তোমার মুখ থেকে শুনতে চাচ্ছিলাম আমি!”
পরপর চোখ টিপে বললেন,
“ইনজয় দ্য নাইট ইয়ং ম্যান! তবে পরের বার তুমি আর তোমার ওয়াইফ যেনো এই জায়গায় আরেকবার এসে ঘুরে যেতে পারো, সেই ব্যবস্থা আমি নিজে করবো!”
প্রিন্সিপাল চলে গেলেন। হলরুমও অল্প অল্প করে ফাঁকা হতে শুরু হলো। বাকি রইলো শুধু শেহজাদ আর আরশি। মেয়েটা বিদ্যুতস্পৃষ্টের ন্যায় স্তব্ধ! এক দৃষ্টিতে দূরের দেয়ালে তাকিয়ে। এখনও যেনো বিশ্বাস করতে পারছে না পরপর ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো। জাম্বুবান কি বললো? ভালোবাসে ওকে? তা-ও কিনা সবার সামনে? কিভাবে সম্ভব হলো এটা?

তখনই একটা শক্তপোক্ত হাত পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো আরশির কোমড়। শিউরে উঠলো ও। ত্রস্ত পাশে ফিরে চাইতেই দেখলো শেহজাদকে। তাকিয়ে আছে ওর দিকে। দৃষ্টিতে জমাট বেঁধেছে প্রেম প্রেম অনুভূতি।
তবুও ঠোঁটের ঠাটবাটে প্রহসনের ছাপ স্পষ্ট।
মুখটা গম্ভীর করে বললো,
“আমার বোধ হয় প্রিন্সিপালকে বুঝিয়ে বলা উচিত ছিল!”
হাসফাস ভুলে অবাক চোখে চাইলো আরশি!
“কি…বুঝিয়ে বলা উচিত ছিল?”
মানুষটা দীর্ঘ এক শ্বাস ফেলে বললো,
“এই যে নাইট ইনজয় করার কথা উনি বললেন? সে তো আর একা একা সম্ভব নয়; আর তুমিও কো-অপারেট করবে না আমার সাথে! সেটাই ওনাকে বুঝিয়ে বলতাম আর কি! তাহলে উনিও আর পরের বার আমাদের এখানে পাঠানোর কথা ভাবতেন না!”

আরশি চিংড়ি মাছের মতো ছিটকে সড়ে এলো শেহজাদের পাশ থেকে। কুন্ঠার লাল রঙে রেঙেছে গাল জোড়া। তড়িঘড়ি ব্যস্ত পা ডান দিকে ফেলতেই পেছন থেকে শোনা গেলো প্রফেসরের গলা,
“ডার্লিং ওদিকে কিন্তু আমার রুম; ভেবেচিন্তে যাচ্ছো তো?”
থামলো মেয়েটা। চোখ খিঁচে জিভ কাটলো। পরপর বাম দিকে যেতে যেতে বিড়বিড় করে আওড়ালো,
“নাইট ইনজয় তো দূর; একবার রুমে গিয়ে চোখ বুঝতে পারলে একেবারে সকালে উঠে আপনার মুখ দেখবো! তার আগে নয়!”

আলো-আঁধারির খেলায় আসন পেতেছে শ’খানেক মানুষ। প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় পর্দায় দেখানো হচ্ছে সিনেমা। সাউন্ড সিস্টেম থেকে ভেসে আসছে লোমহর্ষক কিছু শব্দ। পুরো হল জুড়ে সবারই গা ছমছমে অবস্থা। তবে জারার মজা লাগছে ভীষণ। তার আকাশের মতো নীল চোখজোড়া চকচক করছে উচ্ছ্বাসে। মুখটা দপ করে জ্বলে নিভে উঠছে পর্দার একেকটা দৃশ্যে। সেদিকে তাকিয়ে পপকর্ণ খেতে খেতে আয়ানকে ডাকলো ও,
“আয়ান শুনছেন! দেখেছেন আমি বললাম না ভূতটা ঐ মেয়ের মধ্যেই আছে!”
অফিসার সাড়া দিলো না। জারা আবারও পর্দায় তাকিয়ে থেকেই ডেকে গেলো আয়ানকে। কিন্তু এবারও যখন উত্তর পেলো না তখনই খটকা লাগলো ওর।
পাশে ফিরে চাইতেই লাফিয়ে উঠলো মেয়েটা।
আয়ানের চোখে সানগ্লাস। কানে ব্লুটুথ ডিভাইস লাগানো। মুখটা থমথমে। দু’হাত বুকে বেঁধে সোজা হয়ে বসে আছেন অফিসার।
জারা বুকে থুতু দিয়েই ব্লুটুথ টা নিয়ে নিলো আয়ানের কান থেকে। কপালে ভাজ ফেলে বললো,

“আপনি না মুভি দেখতে এসেছন! তাহলে এসব কি?”
বকা খেতেই চোখ মেলে চাইলো মানুষটা। জারার দিকে তাকিয়ে অপ্রস্তুতে হাসলো একটু। কিন্তু যেই না ফের ঐ ভৌতিক শব্দগুলো আসা শুরু হলো সাউন্ড সিস্টেম থেকে, অমনি কন্ঠে অনুনয় মেখে বললো,
“প্লিজ বাটারফ্লাই! ওটা দিয়ে দাও আমাকে! এই সাউন্ড পেটে গেলে আমার বদহজম হবে!”
“মানে?”
মেয়েটা তাজ্জববোনে প্রশ্ন করতেই ঢোক গিললো আয়ান। চোখের চশমা খুলে বললো,
“আসলে ভূতে একটু ইয়ে লাগে–”
“কি–য়ে?”
মানুষটা হড়বড়ালো,
“ভ-ভয়! ভয়!”

আয়ানের দ্বিধা ভরা মুখ। বলেও বিপদে পড়েছে বেচারা। বড় বড় ক্রিমিনাল ধরা মানুষটা কিনা শেষমেশ ভূতে ভয় পায়? বাটারফ্লাইয়ের সামনে প্রেস্টিজ বলে আর কিছু থাকলো ওর?
জারার হাসি বেরিয়ে যাচ্ছিলো; তবুও ঠোঁট টিপে কোনোমতে দমিয়ে রাখলো সেটা। নিরেট গলায় বললো,
“এই জন্যই বুঝি চোখে সানগ্লাস আর কানে ব্লুটুথ গুঁজে বসে ছিলেন?”
মানুষটা নিজের হয়ে সাফাই গাওয়ার আগেই
পর্দায় ভেসে উঠলো কিছু একটা! সাথে সাথে সবার কি দম ফাটানো চিৎকার। আয়ানের কলিজাটা একটুর জন্য বেরিয়ে যায়নি ভয়ে। তড়িঘড়ি চোখ খিঁচে বন্ধ করতেই জারা বলে উঠলো,
“আপনার হাতটা দিন!”
“এ্যাঁ?”
অফিসারের অপেক্ষা না করে মেয়েটা নিজেই শক্তপোক্ত হাতখানা নিয়ে নিলো নরম হাতের মুঠোয়।
“আমার হাত ধরে থাকুন, তাহলে আর ভয় লাগবে না!”
পর্দায় তাকিয়েই কথাগুলো বললো জারা।
আয়ান মূর্তিবোনে বসে। হৃদপিণ্ড চলছে ঠিকই কিন্তু যেনো সম্বিত নেই ওর। ঢোক গিলে আড়চোখে প্রথমে পাশে তাকালো। তারপর নিজের হাতে। যা এখন পুরোপুরি জারার হাতের দখলে।
নিঃশব্দে হাসলো অফিসার। সিটে মাথা হেলিয়ে পুরোটা সময় তাকিয়ে রইলো মেয়েটার দিকে। কেমন সুখ সুখ অনুভূতি এসে ভিড়লো মন-মস্তিষ্ক জুড়ে। এই সুখের জন্য হলেও আরো কিছুদিন বেঁচে থাকা মন্দ হবে না নিশ্চয়ই?

ম্যানহাটনের ব্যস্ত আকাশে হলদে আভা। সূর্যের তাপ বেড়েছে অল্প-বিস্তর। তবুও গরম কাপড়ে শরীর পেঁচিয়ে কাজে ছুটছে মানুষগুলো। বরফভেজা রাস্তা ঝলমল করছে সকালের প্রথম সৌর কিরণে।
গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন থেকে আরশিদের ফিরতে রাত হয়েছে গতকাল। সাথে এসেছে আরেকজন নতুন অতিথি; স্নোবল। শেহজাদের পুরো এপার্টমেন্ট জুড়ে দৌড়ে বেড়ানোই এখন যার একমাত্র কাজ।
আরশি বেঘোরে ঘুমোচ্ছে নিজের রুমে। ক্লান্ত শরীরটা জার্নি করে এসেই নেতিয়ে পড়েছিল বিছানার সাথে। তখনই ডাক পড়লো প্রফেসরের। ধরফরিয়ে উঠে বসলো মেয়েটা! দৌড়ে শেহজাদের রুমের সামনে আসতেই দেখলো বিছানার উপর স্নোবল বসা।
প্রফেসরের কপালে ভাজ। সেভাবেই বললো,
“বিছানায় এতো চকলেট চিপস ছড়ানো কেনো? খরগোশকে এগুলো খেতে দিয়েছো?”
আরশি অবাক! চকলেট চিপস? ও-তো উঠলোই মাত্র।
“কোথায় চকলেট চিপস? দেখি সরুন তো!”
শেহজাদ সরে যেতেই বিছানার কাছে গিয়ে চোখ কপালে উঠলো মেয়েটার৷ তড়িঘড়ি খরগোশটাকে কোলে নিয়ে ইতস্তত হেসে বললো,

“ভাগ্যিস তুলে মুখে দেননি!”
শেহজাদের ভ্রু বেঁকে এলো অমনি!
“তুলে মুখে দেইনি মানে?”
আরশি এক পা দুপা করে পেছালো দরজার দিকে। পরপর ঢোক গিলে বললো,
“মানে ওগুলো চকলেট চিপস না!”
“তাহলে কি?”
“ওগুলো স্নোবলের ইয়ে—পটি!”
প্রফেসরের চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে উঠলো মূহুর্তেই। একবার নিজের ধবধবে পরিপাটি বিছানার দিকে তো আরেকবার আরশির দিকে তাকিয়েই গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিয়ে বললো,
“আরশিইইই! পরিষ্কার করে দিয়ে যাও বলছি! ইয়াক!”
মেয়েটা কি আর আছে ঐখানে। সে-তো এক ছুটে নিজের রুমে। হাসতে হাসতে পেট ধরে গেছে ওর। খরগোশটাকে বিছানায় বসিয়ে মনে মনে ভাবলো,
“বেশ হয়েছে! এবার স্নোবলকে দিয়েই জব্দ করবো আপনাকে! সবসময় আমাকে জ্বালানো না? এখন নিন; পরিষ্কার করুন চকলেট চিপস!”

নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ২০

তখনই টুং করে শব্দ হলো ওর মুঠোফোনে। অচেনা নম্বর থেকে একটা ক্ষুদে বার্তা। আরশি ফোনটা হাতে নিতেই ধক করে উঠলো ওর বুকের ভিতর। শিরদাঁড়া বেয়ে নামলো ভয়ের হিমস্রোত। স্ক্রিনে স্পষ্ট ভাসছে গোটা গোটা কিছু ইংরেজি অক্ষর—
“তোমার দরজার সামনে একটা গিফট রেখে গেলাম সুইটহার্ট! পছন্দ হয়েছে কিনা দেখো তো!
— তোমার যম!”

নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ২২