নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ৩১

নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ৩১
সিনথিয়া

“উইল ইউ বি মাই ফরএভার মিসেস শেহজাদ?”
আরশির পুরো পৃথিবীটা থমকালো শেহজাদের কথায়। হোঁচট খেলো খামখেয়ালি ভাবনাগুলো। বোবামুখ কুলুপ এঁটে বসলো। যেনো গলা চিড়েও কোনো শব্দ এলোনা বাইরে!
হতবিহ্বল অক্ষিকোটর ঝাপসা হলো সহসা! আরশির কি কান্না-টান্না পাচ্ছে?
উত্তর নেই কোনো! শুধু টলটলে জলের ন্যায় গুটিকয়েক অভিমান গড়িয়ে পড়লো গাল বেয়ে।
এতোগুলো দিনের অবহেলা একবাক্যে কি করে ভুলবে মেয়েটা?

আরশি পাথরের ন্যায় শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে৷ অন্তঃপুটে হওয়া ঘূর্ণিঝড় সামলে নির্বাক কিশোরী দৃষ্টি ফেললো মেঝেতে। যেনো টাইলসের ফ্লোরে গবেষণা চালাচ্ছে অবশ মস্তিষ্ক। শেহজাদের প্রশ্নের চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ এটা!
প্রফেসর ধৈর্য্য হারালো না। বরং আলগোছে আজলে তুললো ভেজা গালদুটো। মেয়েটার মাথা তখনও নোয়ানো। নেত্রপল্লব জুড়ে রাজ্যের অভিযোগ! সেখান থেকে দু’একটাও যদি বুঝতো গোমড়ামুখো জাম্বুবানটা!
অনুভব করতে পারতো আরশির কষ্টটা ঠিক কোথায় হচ্ছে?
শেহজাদ কতটুকু বুঝলো আরশি জানে না! কিন্তু শুনলো ঐ শাণিত স্বরে বোনা কিছু শব্দজাল।
“কিছু…বলবে না আরশি?”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ছোট্ট বাচ্চার মতো দু’পাশে মাথা নাড়লো মেয়েটা। কি বলবে ও?
কেনো শুরুতেই ভালোবাসলেন না আমায়? এতোগুলো দিন কেনো একা থাকতে হলো আমাকে ওদেশে? কেনো আপনি সাথে করে নিয়ে আসেননি তখন? কেনো সবসময় আমাকেই দোষারোপ করতেন রুশার হারিয়ে যাবার জন্য?
এতোগুলা প্রশ্ন দলাপাকিয়ে রইলো গলবিলে। অথচ শুধোনোর ইচ্ছে যে কবেই আহুতি জানিয়েছে বিদায়ের। মৌনতা ছাড়া কিচ্ছুটি বাকি নেই সেখানে!
দীর্ঘ এক শ্বাস ফেললো প্রফেসর।
আরশিকে ওভাবেই দাঁড় করিয়ে রেখে পা বাড়ালো কাবার্ডের দিকে। ফিরেও এলো কিছুক্ষণ পর। হাতদুটো পিছনে রেখে বললো,

“বেশ! জানি প্রশ্নের উত্তর পাবো না! কিন্তু একটা সিদ্ধান্তে তো আসতেই হবে!”
বুকের ভিতর খামচে উঠলো আরশির। সবেগে চললো হৃদযন্ত্রটা। অজানা আশঙ্কায় ত্রস্ত চাইলো চোখ তুলে! মানুষটা রেগেমেগে ডিভোর্স পেপার নিয়ে এলো না তো?
যদি ছেড়ে দেয়ার কথা ভেবে বসে ওকে?
ঘনঘন বুকের ওঠানামার গতি বাড়লো কিশোরীর। শুকনো ঠোঁটটা ভিজিয়ে চটপট বললো,
“সিদ্ধান্তে আসবেন? সিদ্ধান্তে আসবেন মানে? আমাকে ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবলে কিন্তু..!”
শেহজাদ নিচের ঠোঁট কামড়ে তাকিয়ে। ব্যগ্র তার চাহনি। ভ্রু নাচিয়ে শুধোলো,
“থামলে কেনো? পুরোটা বলো! যদি ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবিও; কি করবে তুমি?”
আরশি এদিক-ওদিক তাকালো কি করবে খুঁজতে! যখন কোনো কিছুই পেলো না, তখন হড়বড়িয়ে আওড়ালো,
“ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবলে আপনার চুলে চুইংগাম লাগিয়ে দেবো!”

কোপিত সরু নাক ফুলে ফেঁপে একাকার মেয়েটার। ক্ষোভ প্রকাশ পেলো টলমলে চোখেও।
চুইংগাম লাগিয়ে দেয়ার কথা শুনেই আরেকদিকে ফিরলো প্রফেসর। মুখের সামনে হাত নিয়ে হেসে উঠলো সশব্দে। মানুষটার খিলখিল শব্দে থেমে গেলো আরশির চোটপাট।
রাগটুকু চাপা পড়লো অনুভূতির আড়ালে। মন্ত্রমুগ্ধের মতো চেয়ে দেখলো সামনে দাঁড়ানো মানুষটাকে। হাসির বলিরেখা তার চোখের পাশে। যেনো ঐ সমুদ্রের সদৃশ অক্ষিযুগলও হাসছে শেহজাদের সাথে সাথে।
মূহুর্তেই সেই দৃষ্টি এসে পড়লো মেয়েটার ওপর। খেই হারানো সত্তা ফিরে আসলো তড়িৎ বেগে। অপ্রস্তুত হলো ভীষণ আরশি।
পাজোড়া অস্থির, সামনে থেকে কেটে পড়তে।

সুযোগ বুঝে যেতে নিলেও তৎক্ষনাৎ কব্জিতে থাবা বসালো শেহজাদ। ঘুরিয়ে এনে ফেললো বুকের উপর।
“এভাবে তো পালাতে পারবে না তুমি! এটলিস্ট যতক্ষণ না আমার পুরো কথা শেষ হচ্ছে!”
মানুষটার হাতের স্পর্শ উষ্ণ। আরশির বরফের ন্যায় শরীর লুফে নিলো সেই পরশটুকু। মুখে কিছু না বললেও এই যে মেয়েটার নীরব অনুমতি। এসবের কোনোকিছুই নজর এড়ালো না প্রফেসরের।
স্মিত হেসে অন্য হাতটা মাঝবরাবর আনলো ওদের দু’জনের। লাল মখমলে জড়ানো এটা ছোট্ট চৌকো বক্স মুঠোয় রেখে বললো,
“লেটস মেইক অ্য ডিল মিসেস শেহজাদ!”
আরশি বিস্ময়সমেত চেয়ে বক্সের দিকে। ব্যোম-ট্যোম বের করবে না তো জাম্বুবানটা?
ফ্যালফ্যালে চোখদুটোর উৎকন্ঠা বাড়াতেই যেনো ধীরে ধীরে বক্সটা খুললো শেহজাদ।
প্রতীক্ষিত নেত্রপল্লব কয়েকবার ঝাঁপটায় কিশোরী।
সূক্ষ্ম রুদ্ধশ্বাস টের পেতেই ঠোঁট টিপলো প্রফেসর। বহু কষ্টে হাসি আঁটকে রহস্যের উন্মোচন করলো শেষমেশ!
মখমলের বক্স থেকে ব্যোম বের হলো না ঠিকই ; কিন্তু যা বের হলো তা আরশির ধারণারও বাইরে।
একটা পাতলা সিলভার রঙের চেইন। সাথে বানি ফেইসের একটা ছোট্ট পেন্ডেন্ট। যার ভিতরে জ্বলজ্বল করছে একটা সাদা পাথর।

ঠিক একইরকম একটা পাথরের সাথে চেইন আর পেন্ডেন্টটা লাগানো।
শেহজাদ অন্য হাতে চেইনখানা তুললো বক্স থেকে। পরপর হুক খুলে পরিয়ে দিলো আরশির গলায়। ঘাড়ের পেছনে চেইনের হুক আঁটকে দু-কাঁধের ওপর হাত রাখলো। কানের একপাশে মুখ নিয়ে খাদে নামানো কন্ঠে আওড়ালো,
“ইফ ইউ ডোন্ট টেইক দিস অফ, আমি ধরে নেবো তোমার উত্তর ‘হ্যাঁ’!”
“আমার উত্তর কখনো ‘হ্যাঁ’ হবে না!”
“কিপ লাইয়িং টু ইয়র সেল্ফ সুইটহার্ট!
ইউ লুক কিউট রিফিউজিং ইয়র ফিলিংস ফর মি!”
কক্ষজুড়ে শাণের মতো ধারালো নিরবতা।
মেয়েটার রাগের পারদ বাড়লো ক্রমশ। দাঁতে দাঁত পিষলো। তিরিক্ষি স্বরে শুধোলো,
“আর যদি সত্যি সত্যি খুলে ফেলি চেইনটা? তাহলে আপনি মানবেন তো, যে আপনার প্রতি আমার কোনোরকম কোনো ফিলিংস নেই!”
প্রফেসর থমকায় কিছুক্ষণের জন্য। ঢোক গিলে সামনাসামনি হলো আরশির। গলার খাঁজে মিশে থাকা পেন্ডেন্টটার দিকে তাকিয়ে বললো,
“তুমি চাইলে খুলে ফেলতেই পারো! বাট দ্যান..আ’ল ট্রাই ইভেন হার্ডার টু উইন ইয়র হার্ট মিসেস শেহজাদ!”

প্রত্যুষের ঠান্ডা বাতাস বহমান চেলসির বাতাবরণে। সুবিশাল অম্বরে বিশ্রামহীন আনাগোনা ধূসর মেঘের। এই তো একটু আগেও হলো তুষারপাত। পেজা তুলোর মতো বরফে ঢাকা পড়লো সড়কপথ। শুভ্র নিহারের পুরু আস্তরণ খিড়কির কাঁচগুলোতেও।
জারা ঘুম থেকে উঠেই আগে বাইরেটা দেখলো। বন্ধ জানালার ফাঁক দিয়ে সরাসরি তাকালে রাস্তা দেখা যায়।
ছোট ছোট স্কুল ইউনিফর্ম পরা ছেলে-মেয়েরা ছাতা মাথায় হেঁটে যাচ্ছে সেখান থেকে।
পরপর ঘাড় ঘুরালো মেয়েটা। চাইলো চারিপাশে। রুমটাতে কোনোকিছুরই অভাব নেই যেনো!
বিশালাকার খাট আর ফার্ণিচারগুলো একটু অ্যান্টিক ধাঁচের হলেও ভীষণ মনোরম। সৌন্দর্যে এতটুকু ঘাটতি রাখেননি আয়ানের দাদি। নিজের হাতে সবকিছু সাজিয়েগুছিয়ে সেই কবে বিদায় নিয়েছেন পরপারে। তবুও বাড়ির প্রতিটা কোন কি চকচকে তকতকে।

বোঝাই যায় কেয়ারটেকার ভদ্রলোক যত্নে কোনো ত্রুটি করেননি।
তখনই ভিরানো দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো আয়ান। ক্লান্ত গতর। আধবোজা অক্ষিযুগলের চারপাশে পান্ডার মতো বিশাল কালো গর্ত। পায়ের শব্দ পেয়ে সেদিকে ফিরে চাইতেই আঁতকে উঠলো জারা। বুকে হাত দিয়ে সন্ত্রস্ত কন্ঠে শুধোলো,

“একি? আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেনো?”
অফিসার নড়বড়ে পায়ে এগিয়ে এলো ডিভান অবধি। পরপর বলিষ্ঠ শরীরটা নিয়ে ধপ করে বসে পড়লো সেথায়।
মেয়েটা হন্তদন্ত দৌঁড়ে আসলো। ঝুঁকে দাঁড়ালো কাছে। শরীর খারাপ করেছে ভেবে কপালে হাত রাখলো পরপর। ঈষৎ উষ্ণ গা; তবে জ্বর-টরের আলামত তো নেই!
আয়ান ভারী চোখজোড়া টেনে একবার চাইলো জারার দিকে।
“একটু ঘুমোবো তোমার রুমে? প্লিজ বাটারফ্লাই?”
“আপনি রাতে ঘুমোননি?”

ফের মাথা নিচু করে দু’দিকে ঘাড় নাড়লো অফিসার! দূর্বল স্বরে শুধু শুধোলো,
“পারিনি ঘুমোতে! চোখ বন্ধ করলেই–”
মনে হচ্ছিল এই বুঝি হারিয়ে ফেলবো তোমাকে! কিন্তু বলতে পারলো না আয়ান। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে আওড়ালো,
“চোখ বন্ধ করলেই গ্র্যানির কথা মনে পড়ছিল!”
মেয়েটার এতো মায়া হলো কথাগুলো শুনে।
বুকের ভিতরটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগলো কিছুক্ষণের জন্য। জারারও তো কেউ নেই। একই যন্ত্রণায় তো সে-ও পোড়ে প্রতিনিয়ত!
কোমল স্নিগ্ধ মুখটায় একরাশ বিষন্নতা!
অভিমানও জমলো একটু-আধটু।
“তাই বলে ঘুমোবেন না? কি করেছেন সারারাত শুনি?”

অফিসার থতমত খেলো এবারটায়। ঘুম-টুম চলে গেছে চোখের। সে যে সারারাত বাটারফ্লাইের দরজার বাইরে বসেছিল এই কথা জারা শুনলেই তো মরেছে আয়ান। যদি আবার ভুল বোঝে?
মানুষটা ঠোঁট ভেজালো আতঙ্কে। প্রশ্ন এড়াতে বাহানা খুঁজে বললো,
“তুমি পার্ট টাইম জব খুঁজছিলে না? আমাদের একটা স্কুল আছে পাশেই! গ্র্যানির হাতের গড়া। তোমার ফ্রি টাইমে তুমি পড়াবে ওখানে? কোনো চাপ নিতে হবে না! তুমি যখন সময় পাবে তখন গেলেই হবে!”
কিশোরীর নীল চোখ পুলকিত হলো সহসা। প্রফুল্ল চিত্ত সময় নষ্ট করলো না উত্তর দিতে। হৃষ্ট স্বরে বললো,
“ কেনো পড়াবো না? নিশ্চয়ই পড়াবো!”
মূহুর্তেই কিছু একটা ভেবে থামলো জারা।
মিনিট খানেক চুপ থেকে শুধোলো,
“এই যে, আপনি এতো এতো ঋণের বোঝা বাড়িয়ে দিচ্ছেন আমার! এগুলো কি করে শোধ করবো বলুন তো?”
আয়ান অধর কামড়ে চেয়ে আনত ঐ ছোট্ট মুখটায়। আচমকাই কাঁধ সমান চুলগুলো কপালের সামনে থেকে সরিয়ে কানের পাশে গুঁজে দিলো কিশোরীর।

তপ্ত আঙুলের ছোঁয়ায় সম্বিৎ ফিরলো মেয়েটার। শুনলো অফিসারের খাদে নামানো স্বর,
“বিয়ে করবে আমায় বাটারফ্লাই?”
প্রকট নেত্র তুলে তাকালো জারা। তাজ্জব বোনে মস্তিষ্কের প্রতিটি স্নায়ুকোষ। হতবাক হওয়া কন্ঠ চূড়ায় তুলে শুধোলো,
“কিহ্?”
অফিসারও ভড়কালো সেই শব্দে। তবুও শক্ত রাখলো নিজেকে। দম নিয়ে বললো,
“ধরে নাও; জাস্ট অ্য কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ! আসলে গ্র্যানি উইল করে গেছেন, তার সমস্ত প্রোপার্টি তখনই আমার নামে হবে যখন আমি বিয়ে করবো! আর তোমারও ঋণ শোধ করতে হবে! তাহলে বিয়েটা করে ফেললে দুজনের জন্যই হলো না উইন উইন সিচুয়েশন?”
বিস্ময়ে নড়নচড়ন বন্ধ মেয়েটার। অবিশ্বাস নিয়ে শুধু দেখে গেলো আয়ানকে। চোখ খিঁচলো অফিসার। আবারও একটা ব্লান্ডার। কি দরকার ছিল হড়বড়িয়ে এতগুলো মিথ্যে বলার? এবার যদি স্বার্থপর ভেবে বসে বাটারফ্লাই ওকে? শ্বাস আঁটকে রইলো ওর। হৃদযন্ত্রটা বন্ধ হবার উপক্রম উৎকন্ঠায়!
তখনই মুখ খুললো জারা। বিমূঢ় অধর নেড়ে কোনোমতে আওড়ালো,
“আমাকে..আমাকে একটু সময় দিন ভাবার জন্য!”

সকাল সকাল বিছানার উপর বাবু হয়ে বসে আরশি। পরনে লংস্কার্ট আর টার্টেল নেইক সোয়েটার। কোলে স্নোবল।
খাওয়াদাওয়া করতে করতে খাঁটাখাটনি হয়েছে না প্রচুর? তাই তো মায়ের কোলে শুয়ে শুয়ে আরাম করছেন উনি!
মেয়েটা একবার তাকালো ওয়াশরুমের বন্ধ দরজার পানে। শেহজাদ শাওয়ার নিচ্ছে। একটু পরেই হয়তো বেরোবে ওকে নিয়ে ভার্সিটি যাওয়ার জন্য।
এই সুযোগে গতরাতে দেয়া চেইনখানা সোয়েটারের ভিতর থেকে বের করে দেখে নিলো একবার;
হাসলো ঠোঁট টিপে। পরপর আবার লুকিয়ে ফেললো সোয়াটারের ভিতর। গলার কাছটা ঠিকঠাক করলো যেনো প্রফেসর না বুঝতে পারে, ও চেইনটা খোলেনি।

তড়পাচ্ছে তড়পাক! ওর কি? যখন অবহেলা করেছিল তখন মনে ছিল না জাম্বুবানের?
ঠিক সেই সময় বালিশের পাশে রাখা ফোনে নোটিফিকেশন বাজলো। শব্দ শুনেই মালুম হলো শেহজাদের ফোন। ধরবে না ধরবে না করেও আঁটকাতে পারলো না নিজেকে।
নিঃশব্দে ফোনটা হাতে নিলো ও। কিন্তু লক খোলার আর প্রয়োজন পড়লো না। মেসেজটা ভাসছে ওপরেই। একটা স্পেম নাম্বার। সেখানে ইংরেজিতে কোনো একটা জায়গার ঠিকানা দেয়া। সাথে লেখা,
“পুলিশ নিয়ে আসার কথা ভুলেও ভেবো না প্রফেসর। তাহলে কিন্তু বোনকে সারাজীবনের জন্য হারাবে!”

নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ৩০

আরশির প্রকম্পিত হাত খসে পড়ে গেলো ফোনটা। ভাবনাচিন্তাগুলো এলোপাতাড়ি ছুটোছুটি করলো মস্তিষ্কেজুড়ে!
বোন মানে? এমিলিয়া তো বাসায়। তাহলে কোন বোনের কথা বলা হলো মেসেজে?
আর কে-ই বা পাঠালো এটা?
আরশির পিছনে যে লোকটা পড়ে আছে; সেই লোকটা নয়তো? আবার কোনো ক্ষতি করার কথা ভাবছে না তো ওদের?

নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ৩২