প্রণয়ের অমল কাব্য পর্ব ৭৩
Drm Shohag
ফারাহ শুদ্ধকে ঠেলে সরাতে চায়, শুদ্ধ ছাড়লো না। হাতের বাঁধন আরও খানিক শক্ত করে। গালে ঠোঁট চেপে বলে,
– পাখি, স্যরি বলেছি তো। অনেক মনে পড়ছিল তোমায়। পুরো দু’দিন তোমায় দেখেনি। একটু বোঝো।
ফারাহ মাথা নিচু রেখে বলে,
– এসব ছাইপাঁশ খেয়ে একদম আমার আশেপাশে আসবে না।
শুদ্ধ ফারাহ কে ছেড়ে দ্রুতপায়ে ওয়াশরুমের দিকে যায়। ফারাহ ভ্রু কুঁচকে তাকায়। শুদ্ধর পিছু পিছু গিয়ে দেখল শুদ্ধ তার ব্রাশ নিয়ে ব্রাশে পেস্ট লাগিয়েছে। ফারাহ অবাক হয়ে বলে,
– আরে আমার ব্রাশ দিয়ে কি করছ?
শুদ্ধ মুখের ভেতর ব্রাশ ঢুকিয়ে ফারাহ’র দিকে তাকায়। ফারাহ চেঁচিয়ে ওঠে,
– আমার ব্রাশ দিয়ে তুমি দাঁত মাজছো কেন?
শুদ্ধ কোনো কথা ছাড়াই ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করে মুখ ধুয়ে নিল। ফারাহ কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শুদ্ধর দিকে। শুদ্ধ মুখ ধুইয়ে নিয়ে ফারাহ’র ওড়না টেনে ওড়নার কোণা দিয়ে মুখ মুছল। এরপর মৃদুস্বরে বলে,
– তোমার এখানে তো মাউথওয়াশ নেই। কি করব?
– তাই বলে আমার ব্রাশ নিবে?
শুদ্ধ ফারাহ’র হাত টেনে ট্যাপের নিচে রেখে মেহেদী লেপ্টে যাওয়া হাত ধুইয়ে দিল। ফারাহ অসহায় কণ্ঠে বলে,
– তুমি এসে কাজ বাড়িয়ে দিলে। আমাকে আবার মেহেদী পরতে হবে।
শুদ্ধ নিজের পরনে সাদা শার্টের দিকে চেয়ে বলল,
– আমার সাদা শার্ট পুরো নষ্ট করে দিলে, মনে হচ্ছে বউ হে’গে দিয়েছে। প্রবলেম নেই পাখি, আমি মানিয়ে নিচ্ছি। বউ তুমি, সব তুমি-ই করবে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ফারাহ রে’গে তাকায়। শুদ্ধ ইনোসেন্ট ফেস বানিয়ে ফারাহ’কে জড়িয়ে ধরতে গেলে ফারাহ ধুপধাপ পা ফেলে ঘরে চলে যায়। শুদ্ধ অসহায় মুখ করে তাকায়। তার বউটা শুধু রে’গে যায় কেন? ইশ! ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখল ফারাহ বেডের ওপর বসে আছে। শুদ্ধ তার পরনের শার্ট খুলল। মেহেদী দিয়ে পুরো মাখিয়ে দিয়েছে।
এগিয়ে গিয়ে ফারাহ’র সামনে দাঁড়ালে ফারাহ মাথা তুলে শুদ্ধকে খালি গায়ে দেখে বিব্রতবোধ করে। যদিও ঘরের লাইট অফ, তবে বাইরে থেকে আলো আসছে, সাথে ঘরের ডিম লাইট জ্বালানো,, এজন্য অনেকটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। শুদ্ধকে এভাবে কখনো দেখেনি ফারাহ। মাথা নিচু করে বলে,
– যাও এখান থেকে।
শুদ্ধ চোখ ছোট ছোট করে বলে,
– কোন সুখে যাবো? আজ বউয়ের সাথে থাকবো। একদম ডিস্টার্ব করবে না।
ফারাহ অবাক হয়ে বলে,
– মানে? আমাদের কালকে বিয়ে, তুমি ভুলে গেছ?
শুদ্ধ ফারাহ’কে দাঁড় করিয়ে দু’হাতে জড়িয়ে নিয়ে বলে,
– একদম না। কিন্তু তুমি আমার-ই বউ। চলো পাখি ঘুমাই। আমি গতরাতে একদম ঘুমাতে পারিনি।
ফারাহ শুদ্ধকে ঠেলে সরাতে চায়, শুদ্ধ ফারাহ কে নিয়ে বেডে শুয়ে পড়ে। ফারাহ মোচড়ামুচড়ি করতে করতে বলে,
– ছাড়ো আমায়। কি শুরু করেছ? বিয়ের আগের দিন আমার সাথে থাকতে এসেছ। উফ! সরো তো! ছাড়ো আমায়।
শুদ্ধ তার দু’পায়ের মাঝে ফারাহ’র পা বেঁধে নেয়। হাতের বাঁধন শক্ত করে ফারাহ’র দিকে চেয়ে মিটিমিটি হেসে বলে,
– তুমি আমাকে বাজে ইঙ্গিত দিচ্ছ কেন পাখি? আমি তো এখনো কিছুই শুরু করিনি।
ফারাহ কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায়। শুদ্ধর মুখে দুষ্টুমির হাসি। ফারাহ’র কেমন অদ্ভুদ লাগছে। একে তো শুদ্ধর গায়ে কিছু নেই, তার উপর এভাবে জড়িয়ে শুয়ে আছে। হঠাৎ-ই এমন পরিস্থিতির সাথে মেয়েটা খাপ খাওয়াতে পারছে না। মিনমিন করে বলে,
– ছাড়ো আমায়।
শুদ্ধ ফারাহ’র কথা শুনলে তো! সে ফারাহ কে চিত করে শুইয়ে দিয়ে ফারাহ’র উপর আধশোয়া হয়। ফারাহ ঢোক গিলে, আমতা আমতা করে বলে,
– কি করছ?
শুদ্ধর চোখমুখ কেমন পাল্টে গিয়েছে। ফারাহ এলোমেলো দৃষ্টি ফেলে শুদ্ধকে তার উপর থেকে ঠেলে সরাতে চায়, তবে পারলো না। শুদ্ধ ডান হাতে ফারাহ’র গলা থেকে ওড়না সরিয়ে রাখলে ফারাহ ল’জ্জায় নুইয়ে পড়ে। মিনমিন করে বলে,
– তুমি যাও।
শুদ্ধ ফারাহ’কে আরেকটু টেনে নিয়ে ডাকে,
– বউ?
ফারাহ কেঁপে ওঠে। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলতে নেয়,
– শুদ্ধ ভা….
বাকিটা বলতে পারেনা। শুদ্ধ ফারাহ’র ঠোঁটজোড়া আঁকড়ে ধরে। ফারাহ নড়চড়া করতে চাইলে পারেনা, শুদ্ধ আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে তার সাথে।
তখন-ই দরজার ওপাশে ফারাহ’র কাজিনের ডাকে,
– ফারাহ? কি রে ছাদে আসবি না?
ফারাহ শুদ্ধকে ঠেলে সরাতে চায়, শুদ্ধ যেন নিজের মাঝেই নেই। হাতের বাঁধন আরও শক্ত করে তার কাজে ব্যস্ত হয়।
ওপাশ থেকে আবারও ফারাহ’কে ডাকে,
– ফারাহ, তুই কি ঠিক আছিস?
ফারাহ ছটফট করে। এই লোকটাকে কি করা উচিৎ? শুদ্ধ ফারাহ’র অত্যধিক নড়াচড়ায় ভীষণ বিরক্ত হয়ে ফারাহ’কে ছেড়ে দেয়। ফারাহ ছাড়া পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। শুদ্ধকে ঠেলে বেড থেকে নামতে চাইলে শুদ্ধ টেনে ফারাহ’কে বেডের সাথে চেপে ধরে। রে’গে বলে,
– বাচ্চাদের মতো ডিস্টার্ব করছিলে কেন?
ফারাহ-ও রেগে বলে,
– আমার কাজিনরা এসেছে, কানে শোনো না তুমি? যাও এখান থেকে।
দরজার ওপাশ থেকে আবারও ফারাহ’র কাজিনের ডাক ভেসে আসলে শুদ্ধ ঘাড় ফিরিয়ে তাকালো। ফারাহ শুদ্ধ কে ঠেলে বলে,
– ধ্যাত, যাও তো তুমি,, আমায় ছাড়ো। আমি ছাদে যাবো।
শুদ্ধ শক্ত করে ফারাহ’কে জড়িয়ে ধরে ফারাহ’র গলায় মুখ গুঁজে দেয়। ফিসফিসিয়ে বলে,
– ওদের চলে যেতে বলো পাখি। আমার তোমাকে লাগবে।
ফারাহ ঢোক গিলে। শুদ্ধ থেমে নেই। ছোট ছোট চুমু আঁকে ফারাহ’র গলার ভাঁজে। ফারাহ থেমে থেমে বলে,
– কি করবে তুমি?
শুদ্ধ জড়ানো কণ্ঠে বলে,
– আগে ওদের যেতে বলো। তারপর বোঝাচ্ছি।
ফারাহ চোখ বুজল। ভাবলো শুদ্ধকে পাঠিয়ে দিয়ে সে ছাদে যাবে। ওভাবেই একটু গলা উঁচিয়ে বলে, তার বোনদের যেতে, সে একটু পর আসছে।
শুদ্ধ মৃদুস্বরে বলে,
– বউকে আদর করলে সাওয়াব হয় জানো পাখি?
ফারাহ শুদ্ধকে ঠেলে বলে,
– তুমি গ্রামে যাও। কালকে তোমার বিয়ে, ভুলে যাচ্ছো কেন?
শুদ্ধ ফারাহ’র গলায় মুখ গুঁজে রেখেই একটু হেসে বলে,
– তুমি ভ’য় পাচ্ছো কেন পাখি? আমি কালকেও আদর করব তো। একটুও কিপ্টামি করব না।
আজকেও একটু করি, আমাকে সাওয়াব অর্জন করতে সঙ্গ দাও তো।
কথাটুকু বলে ফারাহ’র দিকে এগিয়ে আরেকটু ঘনিষ্ঠ হয়। ফারাহ কথা বলতে চায়, তবে কথা বেরোয় না। শুদ্ধ ফারাহ’র ঠোঁটজোড়া আঁকড়ে নেয়,
দু’হাতে ফারাহ’কে টেনে নেয়। হাতড়ে হাতড়ে ফারাহ’র জামার চেইন খুঁজল, না পেয়ে চরম বিরক্তিতে জোরে টান দিয়ে জামা ছিঁড়ে ফেলে। ফারাহ গলায় ব্য’থা পেয়ে মৃদু আর্তনাদ করে ওঠে। শুদ্ধ মাথা তুলে ফারাহ’র মুখের দিকে তাকায়। মুখ নামিয়ে কপালে একটা চুমু খেয়ে বলে,
– স্যরি পাখি!
কথাটুকু বলে ফারাহকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই আবারও ফারাহ’কে টেনে নেয় নিজের দিকে। ফারাহ ছাড়া পেতে চায় কেন যেন। শুদ্ধ ফারাহ’র কাঁধে দাঁত বসায়, এরপর দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
– আর একবার যদি ডিস্টার্ব করেছ ফারাহ পাখি,, ইরফান তো শুধু ডায়লগ দেয়,, থা’প্প’ড় দিয়ে ওর বউয়ের দাঁত ফেলার। আমি তোমার দাঁত ফেলে ইরফানের কথা প্রমাণ করে ছাড়বো বলে দিলাম।
ফারাহ ফুঁপিয়ে ওঠে। শুদ্ধ অসহায় চোখে তাকায়। তার বউটা এমন কেন? এতো জ্বালায় রে! একটু আদরও করতে দেয় না। বেডের উপর সে শুয়ে ফারাহকে তার উপর উঠিয়ে নেয়। দু’হাতে ফারাহ’কে জড়িয়ে নিয়ে মৃদুস্বরে বলে,
– কাঁদছো কেন? একটু আদর-ই তো করেছি আমি। হাহ! জীবনটা আমার তেজ…
বলতে গিয়েও থেমে গেল। এমনিই কাঁদছে। আর কিছু বলা যাবে না। অতঃপর ফারাহ’র মাথায় চুমু খেয়ে বলে,
– আমার জীবন একদম ফারাহ-পাতা হয়ে গিয়েছে। ইউনিক পাতা, একদম রঙিন রঙিন।
ফারাহ নাক টানলো। শুদ্ধ ফারাহ’র মুখ তুলে কয়েকটা চুমু এঁকে বলে,
– একটুখানি পারমিশন দাও। বিলিভ মি, মারাত্মক কষ্ট হয় গো!
ফারাহ নিজে থেকেই শুদ্ধর গলা জড়িয়ে ধরে শুদ্ধর গলায় নাক ঘষে। শুদ্ধ হাসলো। হঠাৎ-ই ফারাহ’কে ঠাস করে বেডের উপর ফেলে ফারাহ’র উপর উঠে যায়। ফারাহ’কে সিচুয়েশন টুকুও বোঝার সময় দিল না। বেসামাল প্রেমিকের ন্যায় তার বউকে ভালোবাসতে ব্যস্ত হয়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে শুদ্ধর এমন লাগামহীন স্পর্শ বাড়তে থাকে। কতবার যে উচ্চারণ করল, – ভালোবাসি আমার ফারাহ পাখি!
মাইরা ইরফানের কোল থেকে নেমে ইরফানের পাশে বসে বলে,
– আমাকে পায়েও মেহেদী দিয়ে দিন।
ইরফান ভ্রু কুঁচকে তাকায়। মৃদুস্বরে বলে,
– পুরো বডিতেই দিবে না-কি?
মাইরা মুখ ফুলিয়ে বলে,
– একটু দিয়ে দিলে কি হয়? পায়ে দিলে অনেক সুন্দর লাগে। নিন, দিয়ে দিন। আমি না আপনার বউ হই?
মাইরার কথায় ইরফান ঠোঁট বাঁকায়। মাইরার ডান পা তার ডান পায়ের উরুর উপর টেনে নিয়ে বলে,
– শুধু বউ? আমার বেবির মা নয়?
ইরফানের কথায় মাইরা একটু ল’জ্জা পায়। ইরফান কিছু বলল না। মাইরার দু’পায়ের চুড়ি পায়জামা উপর দিকে তুলে দেয়। হঠাৎ-ই মাইরার এক পায়ের কিছুটা উপরে বেশ জখম হয়ে যাওয়া বেশ গভীর ক্ষ’তের একটি কালো দাগ দেখে অবাক হয়ে ডাকে,
– বার্ডফ্লাওয়ার?
মাইরার মুখে হাসি। ইরফানের দিকে তাকিয়ে গালে হাত দিয়ে মুখটা গম্ভীর করে ইরফানের মতো গম্ভীর স্বরের ভান করে বলে,
– বলুন শিসরাজ!
ইরফান মাইরার দুষ্টুমি ধরতে পারলো। তবে কিছু বললো না। মাইরার পায়ের দাগের জায়গাটায় বা হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে চিন্তিত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,
– এটা কিভাবে হয়েছিল? অ্যান্ড কবে?
মাইরা চোখ নামিয়ে তার পায়ের সেই দাগটি দেখে মুখখানি মলিন হয়ে যায়। আবারও চোখ তুলে ইরফানের দিকে চেয়ে মৃদু হেসে বলে,
– ওই তো, একদিন রাতে আপনি বাইক নিয়ে চলে গেলেন, আমি তো আপনাকে ডেকেছিলাম, আপনি শুনেও শুনলেন না। তখন পড়ে গিয়ে পায়ে একটা লোহা ঢুকে গিয়েছিল।
ইরফান বিস্ময় দৃষ্টিতে তাকায় মাইরার পানে। মাইরার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করল, কেন তাকে ফেলে গিয়েছিল। কিন্তু ইরফানের মুখের অসহায়ত্ব বুঝতে পেরে আর জিজ্ঞেস করল না। হেসে বলে,
– এসব বাদ দিন। এটা তো অনেক আগের। সেই কবেই ভালো হয়ে গিয়েছে এটা।
ইরফান দৃষ্টি নামিয়ে মাইরার পায়ের দিকে তাকায়। মাইরার পা উঠিয়ে ক্ষ’ত স্থানটায় ঠোঁট চেপে রাখে। মাইরা চোখ বড় বড় করে তার পা সরাতে চায়, চেঁচিয়ে বলে,
– আরে আরে কি করছেন? এটা আমার পা।
ইরফান মুখ তুলে মাইরার দিকে চেয়ে বলে,
– তোমাকে কখনো হার্ট করতে চাইনি লিটল গার্ল। বাট আই’ভ ফেইল্ড [কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি।]
অ্যা’ম এক্সট্রিমলি স্যরি বার্ডফ্লাওয়ার।
মাইরা অবাক হয়ে ইরফানের দিকে চেয়ে আছে। কি সুন্দর অকপটে কথাগুলো বলে দিল ইরফান। ইরফানের গিল্টি ফিল হচ্ছে বুঝতে পেরে মাইরার ভীষণ খারাপ লাগে। মিনমিন করে বলে,
– আপনি বারবার স্যরি বললে আমার ভালো লাগে না শিসরাজ।
ইরফান মৃদু হাসলো। কিছু বললো না। মাইরার পায়ে মেহেদী দেয়ায় মনোযোগী হলো। মাইরার পায়ের সাইড দিকে অল্প একটু অংশ জুড়ে মেহেদী দিয়ে দেয়। এরপর মাইরার দিকে তাকালে দেখল মাইরা খুব মনোযোগী হয়ে তার পায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। ইরফান ভ্রু কোঁচকালো। সে মাইরার পায়ে মেহেদী দিয়ে দিচ্ছে, আর মাইরা তার পায়ে কি দেখছে। সে নিজেও তার পায়ের দিকে তাকালো। ওয়াশরুমে প্যান্ট হাটুঁর নিচ পর্যন্ত গুটিয়ে রেখেছিল, আর নামানো হয়নি। ইরফান কিছু বুঝলো বোধয়। হাতের মেহেদী টেবিলের উপর রেখে মাইরাকে টেনে তার কোলে বসায়। মাইরা দ্রুত চোখ সরিয়ে ইরফানের দিকে তাকিয়ে বলে,
– আমার পায়ে মেহেদী দিয়ে দিয়েছেন?
ইরফান মাইরার কাঁধে থুতনি রেখে মৃদু হেসে বলে,
– সবকিছু রেখে হাসবেন্ড এর পায়ের দিকে নজর গেল। হোয়াই?
মাইরা আমতা আমতা করে বলে,
– মোটেও না। আপনার পা বিশ্রী, তাই ভাবছিলাম কিভাবে আপনার পা সুন্দর করা যায়!
ইরফান কৌতুক স্বরে বলে,
– ওহ! আই সি!
মাইরা ধরা পড়ে এলোমেলো দৃষ্টি ফেলে। তার কি দোষ? আসলে ইরফানের পুরো বডি তো ফর্সা। কিন্তু ইরফানেট ফর্সা দু’পায়ে কালো কিচকিচে লোম। মাইরার ভীষণ ভালো লাগে। কেন ভালো লাগে সে তো জানে না। শুধু জানে ভালো লাগে তার।
মাইরা জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে ইরফানের কোল থেকে নামতে চায়৷ ইরফান হাতের বাঁধন শক্ত করল। মাইরার হাতের দিকে তাকালো। মেয়েটা দু’হাত মেলে রেখেছে। ইরফান হাত বাড়িয়ে চেক করে বলে,
– অনেকটা শুকিয়েছে, আর এভাবে হাত মেলে রাখতে হবে না।
মাইরা আড়চোখে ইরফানের দিকে তাকায়। ইরফান আবারও হাতে মেহেদী তুলে নিয়ে মাইরাকে তার দিকে ঘোরায়। বা হাতে মাইরার গলা থেকে ওড়না সরিয়ে রাখে। মাইরা চোখ বড় বড় করে বলে,
– এ্যাই আমার ওড়না খুলে নিচ্ছেন কেন?
ইরফান মাইরার দিকে চেয়ে বলে,
– আরও অনেক কিছু খুলব।
মাইরা দ্রুত ইরফানের কোল থেকে নামতে গেলে ইরফান বা হাতে মাইরাকে শক্ত করে ধরে বিরক্তি কণ্ঠে বলে,
– স্টুপিট, বাঁদরের মতো লাফালাফি করলে থা’প্প’ড় দিয়ে সব দাঁত ফেলব তোমার।
মাইরা মুখ ফোলায়। মিনমিন করে বলে,
– আমার ওড়না টা দিন।
ইরফান হাতের মেহেদী মাইরার গলার দিকে এগিয়ে নেয়। মাইরা মোচড়ামুচড়ি করে বলে,
– কি করছেন আপনি? আমাকে পুরো বডিতে মেহেদী দিয়ে দিবেন না-কি?
ইরফান বিরক্ত চোখে তাকায় মাইরার দিকে। এভাবে নড়াচড়া করলে দেয়া যায়? মাইরা ইনোসেন্ট ফেস বানিয়ে বলে,
– আমি আর কোথাও দিব না।
ইরফান বা হাতে মাইরার মাথা বুকে চেপে রাখে। মৃদুস্বরে বলে,
– দু’মিনিট শান্ত থাকো। ইম্পর্ট্যান্ট কাজ করব।
মাইরা চুপ থাকলো। ইরফানের উপর বিরক্তও হলো। মানে কোন মানুষ গলায় মেহেদী দেয়? ইরফান ঘাড় বাঁকিয়ে মাইরার গলার নিচ বরাবর কিছু আঁকলো। দু’মিনিট-ও সময় নেয়নি। এরপর হাতের মেহেদী রেখে দেয়। মাইরাকে কোলে নিয়ে আয়নার সামনে নিয়ে দাঁড় করায়। এরপর পিছন থেকে মাইরাকে দু’হাতের বন্ধনীর মাঝে আবদ্ধ করে মাইরার মাথায় থুতনি রাখে। মাইরা মোচড়ামুচড়ি করে বলে,
– অ’স’ভ্য লোক, আমার ওড়না দিন।
ইরফান মাইরার কথা পাত্তা দিল না। ডান হাত উঠিয়ে মাইরার গলার নিচে হাত দিয়ে দেখিয়ে বলে,
– এটা কি বলো তো?
মাইরা আয়নায় তাকালে নিজেকে দেখেই ল’জ্জা পায়। গলায় নজর না দিয়ে মিনমিন করে,
– আমার ওড়না….
ইরফান কড়া ধমক দেয় একটা,
– সাটআপ।
মাইরা ঝাঁকি দিয়ে ওঠে। ইরফান রে’গে বলে,
– ফালতু টপিকে বাচ্চামি করলে থা’প্প’ড় খাবে, স্টুপিট।
মাইরার রা’গ হলো। সারাদিন শুধু স্টুপিট আর থা’প্প’ড়। এখনও গেল না এসব। ইরফান নিজেকে সামলে আবারও মৃদুস্বরে বলে,
– আয়নায় তাকাও।
মাইরা গাট্টি মেরে দাঁড়িয়ে আছে। মাথা নিচু করে রেখেছে, একটু কষ্ট করলে আয়না ছাড়াই দেখতে পেত, কিন্তু মাইরা দেখবে না। ইরফান ভ্রু কুঁচকে বলে,
– কিছু বলছি আমি।
মাইরা তবুও একটুও নড়লো না। যেন আজ কি’য়া’মত হয়ে গেলেও সে মাথা তুলবে না।
ইরফান বিরক্ত হয়। উফ! এটাকে আর নেয়া যায় না।
ইরফান নিজেই মাইরার কপালে হাত রেখে মাথা উঁচু করল। মাইরা এবার চোখ বুজে নেয়। ইরফান চোখ ছোট ছোট করে তাকায়। রা’গ লাগছে তার। মেয়েটা তাকে জেদ দেখাচ্ছে। ইরফানের এসব হজম হয় না। আবারও একটা ধমক দেয়,
– চোখ খেলো স্টুপিট।
মাইরা এবার দু’হাতে ইরফানকে জোরে ধাক্কা দেয়। রে’গে বলে,
– আপনি আসলেই খুব খারাপ। ভালো করে কথাই বলতে পারেন না। সারাদিন শুধু বকতে পারলেই আপনার যত শান্তি! অ’স’হ্য লোক একটা।
কথাগুলো বলে ধুপধাপ পা ফেলে বেডের উপর গিয়ে বসে। ইরফান শক্ত চোখে মাইরার দিকে চেয়ে আছে। মাইরা বেডের এক কোণায় শুতে নেয়, তার আগেই ইরফান মাইরাকে টেনে মাইরার ঘাড়ে দাঁত বসিয়ে দেয়, বেশ জোড়ে দিয়েছে। মাইরা চেঁচিয়ে ওঠে। ব্য’থায় চোখে পানি জমে গিয়েছে।
ইরফান ছেড়ে দেয় মাইরাকে। মাইরা মাথা নিচু করে নেয়। টুপ করে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল। ইরফান মাইরাকে তার কোলে বসিয়ে ক্ষ’ত স্থানটায় গাঢ় চুমু আঁকে। মাইরা নাক টানে। ইরফান মাইরার গলায় দু’টো চুমু খায়। এরপর কানের কাছে মুখ নিয়ে মৃদুস্বরে বলে,
– লাভ বাইট দিয়েছি, কাঁদছো কেন?
মাইরা কিছু বলল না। ইরফান বুঝল, মেয়েটি ভালোই জেদী আছে। মাইরাকে উল্টো ঘুরিয়ে বসালো। এরপর তার ফোনের ক্যামেরা অন করে মাইরার গলায় আঁকা অক্ষরের পিক তোলে কয়েকটা। আড়চোখে মাইরার দিকে তাকালো। মাইরার চোখ বন্ধ, ইরফান ভালোই অবাক হয়। কি জেদ এইটুকু মেয়ের! তাকে একটু ধমক দিয়েছে বলে সে তার আঁকা জিনিসটা দেখবে না বলে কত কি করছে। ইরফান ভাবনা রেখে মাইরার গালে দু’টো চুমু এঁকে বলে,
– চোখ খোলো বার্ডফ্লাওয়ার।
মাইরা চোখ খুলল না। ইরফান হতাশ হয়। মৃদুস্বরে বলে,
– আচ্ছা বাবা স্যরি!
মাইরা তড়াক করে চোখ মেলে তাকায়। ইরফানের দিকে তাকিয়ে মুখ ফুলিয়ে বলে,
– হ্যাঁ এখন তো আমি বাবা-ই।
ইরফান থতমত খেয়ে তাকায়। বাচ্চা মেয়েটি তাকে ধুয়ে দিচ্ছে না-কি! সে নিজেকে সামলে নিয়ে মাইরার সামনে তার ফোনটা ধরে। মাইরা তাকালো না। ইরফান অসহায় কণ্ঠে বলে,
– এতো জেদ করছ কেন?
মাইরা ইরফানের দিকে চেয়ে বলে,
– আপনি না স্বামী! বউদের জেদ হজম করা স্বামীদের কর্তব্য।
ইরফান কিছু বলতে গিয়েও হেসে ফেলল। মাইরা মুখ লুকিয়ে হাসে। ইরফান নিজেকে সামলে ফোন রেখে বলে,
– ওকে হজম করছি।
এরপর মাইরাকে তার দিকে ফিরিয়ে মাইরার গলার দিকে হাত বাড়ায় আর বলে,
– আর এটা মুছে দিচ্ছি। দেখতে হবে না তোমার।
মাইরা দ্রুত ইরফানের হাত আটকে বলে,
– না না, এমন করছেন কেন? আমি দেখব তো।
কথাটা বলে দ্রুত ইরফানের কোল থেকে নেমে দৌড়ে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। গলার নিচের দিকে তিনটি শব্দ আঁকা ~ ImM
মাইরা বুঝল না এর অর্থ। ইরফান মাইরার পিছনে দাঁড়ালে, মাইরা উল্টে ঘুরে ইরফানের দিকে তাকিয়ে বলে,
– এটার মানে কি?
ইরফান মাইরার গলায় হাত দিয়ে বলে,
– ইরফান এ্যান্ড মাইরা পরীর মাঝে লিটল প্রিন্সেস মাহিরা।
ইরফানের কথাটা বুঝতে মাইরার বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগলো। কেন যেন ভীষণ ল’জ্জা পায়। দ্রুত ইরফানের বুকে মুখ ঠেকিয়ে দেয়। ইরফান মৃদু হেসে মাইরাকে দু’হাতে জড়িয়ে নিয়ে মাইরার মাথায় চুমু আঁকে। মাইরা হঠাৎ-ই বলে বলে,
– মোটেও না। ইরফান এ্যান্ড মাইরার মাঝে লিটল প্রিন্স মাহির।
ইরফান মৃদুস্বরে বলে,
– বার্ডফ্লাওয়ার নিজেই তো লিটল গার্ল।
মাইরা হাত দু’টো ইরফানের পিঠের সাথে ঠেকিয়ে রাখলো। হাতের মেহেদী শুকিয়ে গিয়েছে। অতঃপর মাথাটা একটু উঠিয়ে, থুতনি ইরফানের বুকে ঠেকিয়ে ইরফানের দিকে চেয়ে বলে,
– আপনি জানেন, আমাদের গ্রামে ১৪ বছরে কতজন বাচ্চার মা হয়ে যায়, আমি তো তাদের চেয়ে আরও দুই বছরের বড়। আপনি বুঝতে পারছেন, আমি কত্ত বড়?
ইরফান চোখ ছোট ছোট করে তাকায় মাইরার দিকে। গম্ভীর গলায় বলে,
– নো। ইউ আর আ লিটল গার্ল।
মাইরা ইরফানকে ছেড়ে বলে,
– আর আপনি একটা বুড়ো।
ইরফান অদ্ভুদভাবে বলে ওঠে,
– হোয়াট?
মাইরা কথাটা বলেই এক দৌড়ে বেডের উপর উঠে বসে। এরপর ইরফানের দিকে চেয়ে আঙুল উঁচিয়ে বলে,
– আমার কালকে বিয়ে, আমাকে একদম ডিস্টার্ব করবেন না।
কথাটা বলেই উল্টো ঘুরে শুয়ে মুখ চেপে হাসতে লাগলো। ইরফানের মুখটা দেখার মতো হয়েছে।
ইশ! হাসি চেপে রাখা কি কষ্ট!
ওদিকে ইরফান হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল। মাইরা এমনভাবে কথাটা বলল, যেন ইরফান বখাটে ছেলে হয়ে মাইরাকে ডিস্টার্ব করে, আর তাই মাইরা তাকে বিয়ের কথা জানিয়ে দিল। আবার তাকে বুড়ো বলছে।
ইরফনা দ্রুত উল্টো ঘুরে আয়নায় নিজেকে দেখল। সে কি আসলেই বুড়ো? চোখেমুখে চিন্তার ছাপ।
মাইরা লুকিয়ে লুকিয়ে ইরফানের ভাবভঙ্গি
দেখে বালিশে মুখ চেপে হাসছে।
রাত তখন প্রায় ২ টা। শুদ্ধ ফারাহ’র রুমে পায়চারি করছে। বেডের দিকে একবার তাকালো। ফারাহ শাওয়ার নিয়ে প্রায় আধাঘণ্টা হলো ঘুমিয়েছে। আর তার তো দুঃখের শেষ নেই। তার পরনে তার শ্বশুরের এক লুঙ্গি। ফারাহ’কে এতো করে বলল ফাইজের একটা প্যাণ্ট এনে দিতে। মেয়েটা তার সাথে ভুল করেও একটা কথা বললো না। সিরিয়াস টাইমে ল’জ্জা পেলে হয়? এখন সে এই লুঙ্গি পরে গ্রামে যাবে কি করে?
মেহেদী দিয়ে ভরিয়ে ফেলা খুলে রাখা শার্ট টি আবারও গায়ে জড়িয়ে নিল। মাথা নিচু করে একবার নিজের দিকে তাকালো। সে লুঙ্গি পরেনা এমন নয়। গ্রামে গেলেই পরা হয়। কিন্তু তাই বলে লুঙ্গি পরে শহর থেকে গ্রামে যাবে? কিচ্ছু করার নেই। সকালে উঠে সবাই তাকে না পেলে কি ভাববে? আবার সে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে যাবেই বা কিভাবে? এক্ষুনি যেতে হবে।
এগিয়ে এসে ফারাহ’র পাশে বসল। কেমন শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে। শুদ্ধ ভেবে পায় না, এমন ধানিলঙ্কা মেয়ের এতো ল’জ্জা কোথা থেকে আসে? মুখে বোম মে’রেও একটা কথা বলাতে পারেনি। কথা বলা তো দূর, একবার তার দিকে তাকালো না পর্যন্ত। মুখ নামিয়ে ফারাহ’র মুখে কয়েকটা চুমু আঁকে। কানের পিঠে একটা চুমু এঁকে মৃদুস্বরে বলে,
– ভালোবাসি পাখি।
কথাটা বলে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। বেলকনিতে গিয়ে অসহায় চোখে চেয়ে আছে। এই লুঙ্গি পরে নামতে গেলে যদি লুঙ্গি খুলে যায়, ভাবতেই শব্দ করে বলে ওঠে, – আসতাগফিরুল্লাহ!
মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল, শ্বশুর বাড়ি আর জীবনে প্যাণ্ট ছাড়া আসবে না। ভাবনা রেখে বেলকনির উপর দিয়ে নামতে নামতে লুঙ্গির গিট ঢিল হলে দ্রুত বা হাতে লুঙ্গি শক্ত করে ধরে বলে ওঠে,
– শা’লা লুঙ্গি তোর কাজ আমাদের ইজ্জত ঢাকা। তুই কেন খুলে গিয়ে ই’জ্জত লুটবি? খুলিস না বাপ। এখন থেকে প্যাণ্টের বদলে তোকেই পরব, তবুও খুলে যাস না।
বেশ কসরত করে শুদ্ধ ফাইজদের বাড়ি থেকে বের হয়। বাইক পাশেই রেখেছিল, চুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না, হয়-ও নি। শুদ্ধ দ্রুত বাইকে উঠে পড়ে। শ্বশুরের লুঙ্গি পরে শ্বশুর বাড়ি থেকে তার বাড়ি যাচ্ছে। কি অদ্ভুদ অনুভূতি! ছ্যাহ! এই লুঙ্গি বাড়ি গিয়ে আগে জ্বালিয়ে দিবে,, নয়তো শ্বশুরের লুঙ্গি তার কাছে, এটা কেউ দেখে নিলে কতবড় কেলেঙ্কারি হবে, ভাবা যায়? সে তো এরপর থেকে শ্বশুর বাড়ি আসলে প্যাণ্টের দোকান সাথে আনবে। ভাবতে ভাবতে বাইক স্টার্ট দিয়ে এক টান দেয়।
তিনতলা বিশিষ্ট সফেদ নেওয়াজ বাড়ি রঙবেরঙে সাজিয়ে তোলা তুলেছে। পুরো বাড়ির চারপাশে ঝলমলে রঙিন লাইটিং। বেলকনি, জানালা সহ জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন ফুল, যেরকম,, গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা দ্বারা সজ্জিত। এতোসব ফুলের গন্ধে চারপাশ মাতোয়ারা।
দুপুর প্রায় ২ টা।
ইরফান তার রুমে ডিভানের উপর বসে আছে। দু’হাত আড়াআড়িভাবে বুকে গুঁজে রাখা। সে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে মাইরাকে দেখেনি। মাইরার অস্তিত্ব-ই যেন নেই। রা’গে তার মাথা ফেটে যাচ্ছে। ইচ্ছে করছে এই পুরো বাড়ি জ্বালিয়ে দিতে। ঘাড় এদিক-ওদিক নাড়িয়ে রাগে পায়ের কাছে টি টেবিলে একটা লাথি বসায়। টি-টেবিল টি ছিটকে কয়েক হাত দূরে সরে যায়। তখন-ই তারেক নেওয়াজ ইরফানের রুমে আসে। ইরফানের কাজে অবাক হয়, কি হয়েছে এই ছেলের? রেডি-ও তো হয়নি। এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করে,
প্রণয়ের অমল কাব্য পর্ব ৭২
– ইরফান কি হয়েছে তোমার? আর রেডি হওনি কেন?
ইরফান বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। রে’গে বলে,
– এই ফা’ল’তু বিয়ে আমি করব না। আমার বউকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছ? ওকে এক্ষুনি এনে দাও।
তারেক নেওয়াজ হতভম্ব চোখে তাকালেন ইরফানের দিকে। অবাক হয়ে বলেন,
– মানে?
ইরফান রেগে বলে,
– আবার মানে মানে করছ? শোনো বউকে আদর করব। সেই রাতে একটু টাচ করেছিলাম। ওকে এনে দাও যাও। এই ফা’ল’তু বিয়ে ক্যান্সেল।