প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ১৭
আদ্রিতা নিশি
~এই অরু ওঠ! আর কতো ঘুমাবি? বিকেল হয়ে গেছে এখনো ঘুমিয়ে যাচ্ছিস?
তিশা অরিত্রিকার বিছানার সম্মুখে গিয়ে কোমড়ে দুহাত দিয়ে বিগড়ানো মেজাজে অরিত্রিকাকে ডেকে চলেছে।অরিত্রিকা তো ঘুমে এতোটাই বিভোর তিশার কন্ঠস্বর কানে পৌঁছাচ্ছে না।বিকেলে আসতে বলে এখনো ঘুমাচ্ছে।
তিশা আর দেরী না করে করে চিল্লিয়ে উঠলো~এই অরুর বাচ্চা ওঠ। আর কতো ঘুমাবি?
অরিত্রিকা ঘুমের মাঝে কারো কর্কশ আওয়াজ শুনে চমকে ধরপরিয়ে উঠে বসলো বিছানায়। হাতে থাকা ফোনটা ছুটে গিয়ে একটু দূরে গিয়ে পরলো। এখনো ঘুমের রেষ কাটেই নি।সে ঘুমুঘুমু চোখে আশেপাশে পর্যবেক্ষণ করলো কে এইভাবে চিল্লালো! বিছানার পাশে তিশাকে দেখে অরিত্রিকার ভ্রু কুঁচকে গেলো। এই মাইয়া এতো তাড়াতাড়ি কই থেকে আইলো! তিশা অরিত্রিকাকে হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভাব নিয়ে বললো~ আমি দেখতে সুন্দরী এটা আমি জানি।এইভাবে তাকিয়ে থাকবি না আমার নজর লেগে যাবে।
অরিত্রিকা তিশার কথা শুনে মুখ বেঁকিয়ে বললো~ যে না মিষ্টিকুমড়ার মতো চেহারা আবার বলে সুন্দরী হুহ্। নিজের চেহারা গিয়ে আগে আয়নায় দেখ।
তিশা অরিত্রিকার কথায় পাত্তা না দিয়ে হেসে বললো~ আর তুই তো লাউয়ের মতো। এইজন্যই তো দুজন বান্ধবী।এবার যা ফ্রেশ হয়ে আয়। এলোমেলো চুলে একদম মঞ্জুলিকার মতো লাগছে।
অরিত্রিকার তখনি মনে পরে গেলো সারহানের লিখা মেসেজের কথা।তাকে বলেছিলো ছোট্ট মঞ্জুলিকা।বয়স আঠারো হয়ে গেছে সে কি এখনো ছোট আছে? নেই তো।কিছুদিন পর ঊনিশ বছর হবে।অরিত্রিকা সে সব ভাবনা অসম্পূর্ণ রেখে বিছানা থেকে নেমে তিশাকে বললো~ তুই এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে আসলি?
তিশা বিছানায় বসে অবাক হয়ে বললো~ সময় দেখেছিস? চারটা বাজে।
~ এতোক্ষণ ঘুমিয়েছি আমি?আমি ভাবলাম হয়তো দুই তিন ঘন্টা ঘুমিয়েছি।
~ আগে ফ্রেশ হয়ে আয় তারপর কথা বলছি।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অরিত্রিকা ঢুলতে ঢুলতে ধীর পায়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো। তিশা নিজের ফোন বের করে স্ক্রল করতে লাগলো।অরিত্রিকা তাকে কল দিয়েছিলো আসার জন্য।বেস্টু কল দিয়েছে সে কি না এসে থাকতে পারে? অরিত্রিকা ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে তিশার পাশে বসলো।তিশা ফোন স্ক্রল করা বন্ধ করে বললো~ মুখের এই হাল কেনো তোর? মনে হচ্ছে দশবছর ধরে খাওয়া দাওয়া করিস না।
~ জ্বর এসেছিলো রে এই কারণে শুকিয়ে গেছি একটু।
তিশা উদগ্রীব হয়ে অরিত্রিকার কপালে হাত দিয়ে দেখলো জ্বর নেই। সে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে বললো~ কবে জ্বর এসেছিলো? আমায় কেনো বলিস নি?
~কাল রাত থেকে জ্বর কিন্তু এখন নেই।
তিশা সন্দিহানি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো~হঠাৎ জ্বর কেনো আসলো? কাল তো বৃষ্টি হয়েছিলো নিশ্চিত বৃষ্টিতে ভিজেছিস?
অরিত্রিকা মৃদু হেসে বললো~ একদম ঠিক।এজন্যই তো তোকে এত্তো ভালোবাসি। কিভাবে যে আমার মনের খবর বুঝে যাস।
~ তো মন খারাপ করেছিলি কেনো? আবার কি আংকেল কিছু বলেছে?
অরিত্রিকার হাসি বন্ধ হয়ে গেলো।কিছুটা উদাসীন ভঙ্গিতে তাকালো তিশার দিকে। তিশা চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে তার দিকে।অরিত্রিকা ভাবতে লাগলো সারহানের কথাটা বলবে কি না? কি করে বলবে তিশা নিশ্চিত সারহান ভাইয়ের বিয়ের কথা শুনে অক্কা পাবে।তার ওপর যদি বলা হয় সে সারহান ভাইকে পছন্দ করে তাহলে যে কি হবে ভাবতেই ঢোক গিললো অরিত্রিকা। উফ, কোনদিকে যাবে সে? মি/থ্যা বললেও তো ধরা খেয়ে যাবে নিশ্চিত! মনে হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে আজ পরেছে সে। তিশা অরিত্রিকার দিকে তাকিয়ে নজরদারি করছে।মনে হচ্ছে কোনো বড়সর কাহিনী ঘটেছে।একটু টেনশনও হচ্ছে তার। সে জানে অরিত্রিকা মন খারাপ হলে বৃষ্টিতে ভেজার অভ্যাস আছে। এর আগেও এমন অনেকবার করেছে। তিশা অরিত্রিকার কোনো উত্তর না পেয়ে বিরক্তি নিয়ে বললো~ এমন মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছিস কেনো? বল?
অরিত্রিকা আমতাআমতা করে বললো ~ তেমন কিছু হয়নি। বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছিলো তাই ভিজেছি।
~ সত্যি বলছিস তো?
তিশার সন্দিহানী কন্ঠস্বর। অরিত্রিকার ইশরা আর তিশাকে পুলিশ মনে হয় দুজনে একই ধাঁচের। এই যে দুজনই প্রশ্ন করা শুরু করে দেয়।
~ সত্যি বলছি।
~ নিচে দেখলাম সবাই বসে আছে। নতুন কয়েকজনকেও দেখলাম। তারা কারা?
~ মামী,মামাতো বোন আর ভাই।তারা দুইদিন আগে এসেছে আমাদের বাড়িতে।
তিশা স্বাভাবিকভাবেই বললো~ ওওও। দেখলাম বিয়ে নিয়ে আলোচনা হচ্ছিলো। তোর বিয়ে ওই গাধা নিশাদের সাথে আবারও দেয়ার কথা ভাবছে নাকি?
অরিত্রিকার মন খারা/প হয়ে গেলো।আবারও বিয়ের কাহিনী শুরু হয়ে গেছে।সারহান ভাই কি তবে বিয়েটা করে নিবে? ভাবতেই মন বিষন্ন হলো তার। তবে তা বাহিরে প্রকাশ করলো স্বাভাবিক রইল।কেঁদে, ঘরের কোণে পরে থাকলে তো সবাই তাকে সন্দেহ করবে। সে চায় না এসব নিয়ে বাড়িতে কোন কাহিনী হোক।নিজেকে দুর্বল হতে দেওয়া যাবে না।স্ট্রিং হতে হবে। ভাগ্যে যা লিখা আছে তা তো হবেই।সে তিশাকে বললো~ সারহান ভাইয়ের বিয়ের কথা চলছে।
তিশা এতোক্ষণ স্বাভাবিক ভাবে থাকলেও সারহানের বিয়ের কথা শুনে চিল্লিয়ে উঠলো~ এসব কি বলিস?এটা কিভাবে সম্ভব?
~ যা শুনিছিস তাই বলেছি।
~আমি বিশ্বাস করি না।এটা কি হয়ে গেলো! আমায় ছাড়া উনি অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারেন না। আমায় এভাবে ঠকাতে পারেন না। আমি কি নিয়ে বাঁচবো রে???
তিশার দুঃখী মুখ করে হাত পা ছুঁড়ে নাটকীয় ভঙ্গিতে আহাজারি করতে দেখে অরিত্রিকার রা/গ লাগলো।এই মেয়ে এতো নাটক করে কিভাবে? সেও তো দুঃখে ভেসে যাচ্ছে তাও তো এমন নাটক করেনি!
অরিত্রিকা খিঁচে যাওয়া মেজাজে বললো~ এমন করে আহাজারি করছিস মনে হচ্ছে সারহান ভাই তোকে ধোঁকা দিয়েছে।দশবছর রিলেশন করেছে তোর সাথে।আমার সামনে এমন নাটক করবি না। নাহলে খালে চুবিয়ে রেখে আসবো।
তিশা অরিত্রিকার কথা শুনে থেমে গেলো।মুখ ভার করে বললো~ আমার ক্রাশ বিয়ে করছে আমি কিভাবে চুপ থাকবো?চিঠি দিয়েছিলাম রাজি হলে বিয়ে হয়ে যেতো আমাদের। আর উনি কি করলেন আমায় পাত্তা দিলেন না।
~ কাজ নেই তো উনার তোর মতো মিষ্টিকুমড়াকে বিয়ে করবে।
~ আমারে তুই অপ/মান করলি?
অরিত্রিকা রুম থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে বলে~ অবশ্যই।নিচে গেলে চল না গেলে বসে থাক আমি গেলাম।
তিশা অরিত্রিকার পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে বললো~ আরে আমিও আসছি থাম।
চৌধুরী বাড়ির ডাইনিং রুমে সোফায় বসে আছেন আজমল সাহেব, আরশাদ সাহেব, সাথী বেগম, তানিয়া বেগম, মিতা বেগম আর আফ্রিদি। আলোচনা চলছে বিয়ে নিয়ে।
আরশাদ সাহেব চিন্তিত ভঙ্গিতে তানিয়া বেগমকে বললেন~ তুমি যে ইফার সাথে সারহানের বিয়ের কথা বলছো? সারহানের থেকে মতামত জানতে চেয়েছো?
তানিয়া বেগম আরশাদ সাহেবের কথা শুনে বললেন~ সারহানের সাথে এসব নিয়ে কথা হয়নি। ভেবেছিলাম রাতে কথা বলবো তা আর হলো কই?অরিত্রিকার জ্বর এসেছিলো তাই আর বলা হয় নি। তোমায় বললাম কারণ সারহানকে তুমি বিয়ের কথাটা বলবে।
আরশাদ সাহেব কপাল টানটান করে বললো~ আমাকেই পাও সব সময় ফাসানোর জন্য?তুমি তোর ছেলেকে চেনো না! এতোদিন তো বিয়ের কথা বলেছো এক পা কি এগিয়েছে সেদিকে? শুধু তো ইলেকশনের দোহাই দিয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে।আমি এসবের ভেতর নেই। তোমার ছেলেকে কিভাবে তুমি বুঝাবে সেটা তোমার ব্যাপার আমায় টানবে না।
তানিয়া বেগম একটু মেকি রা/গ দেখিয়ে বললেন~ এখন আমার ছেলে হয়ে গেলো তাই না? এবার বুঝেছি আমার ছেলেটা একদম তোমার মতো হয়েছে।তুমিই ওকে তোমার মতো বানিয়েছো।আমি হয়ে তোমার সংসার করে যাচ্ছি আর কেউ হলে সংসার ছেড়ে পালাতো।
আজমল সাহেব দুজনকে চুপ করাতে বললেন~ আহা! ভাই ভাবী আপনারা কি শুরু করলেন চুপ করুন।
আরশাদ সাহেব আর তানিয়া বেগম চুপ করে গেলেন।তানিয়া বেগম কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আরশাদ সাহেবের দিকে। মিতা বেগম, আফ্রিদি, সাথী বেগম মিটিমিটি হাসছেন।
আজমল সাহেব পরিস্থিতি বুঝে বললেন~ আমি তো ভাবলাম সারহান সবকিছু জানে। যাই হোক আমার মনে হয় সারহানকে সবকিছু জানিয়ে ওর মতামতটা আগে নেওয়া জরুরি। যথেষ্ট বড় হয়েছে। নিজের ডিসিশন নিজেই নিক।
সাথী বেগমও সহমত প্রকাশ করে বললেন~ আমারও তাই মনে হয়।
আফ্রিদি চুপচাপ বসে আছে। মাথায় ঘুরছে নানা রকমের চিন্তা।আফ্রিদি জানে সারহান ছেলে হিসেবে একদম পারফেক্ট। যেমন ব্যক্তিত্ব, তেমন আচরণ।সকলের সাথেই ওঠা বসা আছে। কিন্তু সারহানের সাথেই যে ইফার বিয়ের কথা চলছে সে আজ সকালে জেনেছে। সারহান পারফেক্ট থাকলেও একটা দিক আফ্রিদির ভালো লাগেনি। সারহান রাজনীতি করে।রাজনীতি যারা করে তাদের শ/ত্রুর অভাব নেই।চিপা চাপায় অজ্ঞাত অনেক শ/ত্রু থাকে। এমনকি লাইফ রিস্কও থাকে।পরিবারের ওপরও অনেক বিপ/দ আসে। এসব ভেবেই দোটানায় আছে আফ্রিদি।মাকে বুঝিয়ে ছিলো কাজ হয়নি। সারহানকে মেয়ের জামাই বানানোর জন্য উঠে পরে লেগেছে। আফ্রিদি মায়ের এমন ব্যবহারে একটু বিরক্ত। মিতা বেগম সেদিন ছাঁদে তানিয়া বেগমকে কোনো উত্তর দেননি তানিয়া বেগমকে।শুধু বলেছিলেন পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন।ছাদ থেকে নেমে এসে ইফার থেকে জানতে চেয়েছিলেন ” সারহানকে বিয়ে করতে কোনো সমস্যা আছে নাকি?” ইফা তার মাকে জানিয়েছিলো বিয়েতে তার কোনো সমস্যা নেই।মেয়ের পছন্দ জেনেই তিনি তানিয়া বেগমকে হ্যা বলেন। কিন্তু সারহানের সাথে এ বিষয়ে কোনো কথা না হওয়ায় কিছুটা চিন্তিত তিনি।
মিতা বেগম কথোপকথনের মাঝেই বলে উঠলো~আমার মনে হয় সারহানের থেকে মতামত জানা জরুরী। এতোটা তারাহুরো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।বিশেষ করে সারাজীবন দুজন মানুষ একসাথে থাকবে সে বিষয়ে ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সারহান ফোনে কথা বলতে বলতে সদর দরজা দিয়ে ডাইনিং এরিয়াতে ঢুকতে দেখতে পেলো সোফায় বসে থাকা সকলের দিকে।দেখেই বুঝলো হয়তো কোনো জরুরী কথা চলছে। কথা বলা শেষ করে কল কাটলো।এগিয়ে এসে বাবার পাশে বসলো।সারহান সকলের দিকে একবার অবলোকন করে বললো~ এখানে কোনো সিরিয়াস কথা নিয়ে ডিসকাশন চলছে নাকি? সবাইকে এতো টেনসড্ লাগছে কেনো?
সকলে সারহানের আকস্মিক আগমনে কিছুটা অবাক হয়েছে।আরশাদ সাহেব ছেলেকে বললেন~ তুমি তো এই সময়ে বাড়িতে আসো না। আজ হঠাৎ?
সারহান কিছুক্ষণ মৌন থেকে গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো~কাল সারারাত ঘুম হয়নি ।মাথায় পেইন হচ্ছিলো তাই চলে এসেছি। আবিরকে পার্টি অফিসে রেখে এসেছি, সবকিছু সামলে নিবে।
আরশাদ সাহেব একবার স্ত্রীর দিকে তাকালেন। তানিয়া বেগম মাথা নাড়িয়ে ইশারায় বললেন এখন বিয়ের কথা না তুলতে।আরশাদ সাহেব সারহানের দিকে তাকিয়ে বললেন~ বেশী মাথাব্য/থা করছে?
~ হালকা। আমার মনে হয় আপনি কিছু বলতে চাইছেন।সংকোচ না করে বলতে পারেন।
আরশাদ সাহেব গলা ঝেড়ে বললেন~ তোমার মা একটা মেয়ে পছন্দ করেছে। মেয়েটা যথেষ্ট নম্র,ভদ্র, সুন্দরীও বটে। আমাদের সকলের পছন্দ। তোমার কি মতামত?
সারহানের কপাল কুঁচকে গেলো।আবারও বিয়ে?বাড়িতে আসলেই বিয়ে বিয়ে কলরব। হঠাৎই তার মনে পরে গেলো অরিত্রিকার জ্বরের ঘোরে বলা কথাগুলো।কিছুটা চমকে গেলো সে। বিয়ের কথা শুনেই কি তবে উদভ্রান্তের মতো বৃষ্টিতে ভিজছিলো?সে জানে অরিত্রিকার মন বিষন্ন থাকলে বৃষ্টিতে ভেজার অভ্যাস আছে। তারপর জ্বর হয়ে বিছানায় পরে থাকে।সারহান কুঁচকে যাওয়া কপাল নিয়েই শুধালো ~ মেয়ে দেখেছো কবে? আর মেয়েই বা কে?
তানিয়া বেগম আরশাদ সাহেবকে কিছু বলতে না দিয়ে নিজেই বলে উঠলেন~ কথা চলছে কাল থেকে। তোর বিয়েটা দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাই বাবা রাজি হয়ে যা।মেয়েও তোর চেনা।তোর মিতা আন্টির মেয়ের সাথে তোর বিয়ে দিতে চাচ্ছি।এবার মতামত বল।
প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ১৬
সারহানের মুখশ্রী স্বাভাবিক।তার মাঝে কোনো বিচলিত ভাব নেই।সে একবার আড় চোখে তাকালো সিঁড়ির দিকে।তখনি চোখাচোখি হয়ে গেলে অরিত্রিকার সাথে। অরিত্রিকার দিকে হঠাৎ তাকানোতে সে ভড়কে গেলো।সন্তর্পণে চোখ নামিয়ে নিলো তখনি।সারহান চোখ ফিরিয়ে তার বাবার দিকে তাকালো। সিদ্ধান্ত এখনই জানিয়ে দেওয়া জরুরী সময় নিলেই পরিবেশ আরও ঘোলাটে হয়ে যাবে।সারহান সিদ্ধান্ত নিলো সে বিয়েতে মতো আছে কি নেই এখনই জানিয়ে দিবে।