প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ২১

প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ২১
আদ্রিতা নিশি

অরিত্রিকা মুখ গোমড়া করে বসে আছে বিছানায়।তার চোখেমুখে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে অসহায়ত্ব। করুণ চোখে বিছানার ওপর তাকিয়ে আছে। সামনে এক গাদা বইয়ের স্তুপ। এতো বই এই কয়েকদিনে সে কি করে পরবে? এসব ভাবনায় মাথা ঘুরিয়ে যাচ্ছে। চারপাশে অন্ধকার দেখছে সে। মেডিকেলের জন্য প্রিপারেশন নিয়েছিলো শুধু।কয়েকমাস কোচিংও করেছিলো।মেডিকেলে চান্স হয়নি তাই পাবলিকে এডমিশন দিবে। পাবলিকে এডমিশনের জন্য আলাদা ভাবে পড়তে হবে। উফ, কিভাবে কি পরবে অরিত্রিকা বুঝতে পারছে না। এখন তার হাত পা ছুঁড়ে কান্না করতে ইচ্ছে হচ্ছে। দু’ঘন্টা যাবত বসে আছে বই নিয়ে।শুধু গুটি কয়েক এমসিকিউ পড়েছে সে। অরিত্রিকার মন চাচ্ছে বই গুছিয়ে ঘুমিয়ে পড়তে।

অরিত্রিকার ফোন বাজছে।এতেই মেজাজ চটে গেলো।বিগড়ে যাওয়া মেজাজেই সে ফোন হাতে নিয়ে দেখলো ইশরা ভিডিও কল করেছে। অরিত্রিকা রিসিভ করলো তখনি। ইশরা অরিত্রিকার মুখ থমথমে দেখে বললো~ কিরে কি হয়েছে? মুখ এমন এমন আমস্বত্বের মতো করে রেখেছিস কেনো?
অরিত্রিকার রা/গ কমে গেলো।সে মুখ গোমড়া করেই হতাশামিশ্রিত কন্ঠে বলে উঠলো~ আমি মনে হয় বাঁচবো না রে বইন।
ইশরা চমকে বলে উঠলো~ কেনো কি হয়েছে?
~বইন আমি মরে যাচ্ছি। বাঁচা আমায়।
~আরে বল তো কি হয়েছে?
~সামনে এডমিশন। এখনো কিছুই পড়িনি। কিভাবে কি করবো বলতো?
ইশরা বুঝতে পারলো অরিত্রিকার কাহিনী। সে তো ভেবেছিলো অনেক বড় কিছু হয়েছে।
~আমিও কিছু পরিনি। বই নিয়ে বসে আছি। পড়তে ভালো লাগছেনা। মন বলছে এডমিশন না দিয়ে কোনো কলেজে ভর্তি হয়ে যাই।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

~আমারও তাই মনে হচ্ছে। চল রাজশাহী কলেজে ভর্তি হই।
~এবার যদি ভার্সিটিতে চান্স না পাই কপালে দুঃখ আছে।
অরিত্রিকা তপ্ত নিঃশ্বাস ফেললো। কপালটাই খারাপ তার। কিছুটা চিন্তিত হলো সে।
~ইফা আপু কোথায়?
ইশারার কথা শুনে অরিত্রিকা ফোন স্কিনে তাকিয়ে বললো~ ইফা আপু আজ সকালে ঢাকা চলে গেছে।
ইফা কিছুটা বিস্মিত হয়ে বললো~ এতো দ্রুত চলে গেলো?
~হুম।
~আচ্ছা এসব কথা বাদ দে। বিয়ের কি হলো? সারহান ভাইয়া কি রাজি হয়েছেন?
অরিত্রিকা ফুরফুরে মেজাজে উত্তর দিলো~নাহ।উনি রাজি হননি। বাড়িতে এই নিয়ে একটু ঝামেলা চলছে। সারহান ভাইয়ের সাথে কেউ ঠিকভাবে কথা বলছেন না।

ইশরা ভাবুক হয়ে বললো~ আমারও মনে হয়েছিলো রাজি হবে না।
অরিত্রিকা উত্তেজিত হয়ে ইশরাকে বললো~ জানিস কি হয়েছে?তোর ভাবনাই সঠিক হয়েছে।
ইশরা কৌতুহলী হয়ে বললো~ কি হয়েছে? আর কোন ভাবনা?
~ আমাদের ধারণা সঠিক।ইফা আপু সারহান ভাইকে পছন্দ করতো।এমন কি ভালোবাসতো।
ইশরা বিছানায় শুয়ে ছিলো।চমকে উঠে বসে চিল্লিয়ে বলে উঠলো~ এসব কি বলিস?
অরিত্রিকা মন খারাপ করে বললো~ হুমম। জানিস ঢাকায় যাওয়ার সময় আপুর মন খারাপ ছিলো। সারহান ভাই তাকে বিয়ে করবে না জেনে সারারাত কেঁদেছে।
ইশরার চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেলো।সে বললো~ আরে আমি তো ভেবেছিলাম হয়তো ক্রাশ খেয়েছে। এখন দেখি ভালোও বাসে। এতোটা সিরিয়াস কেস আগে তো বুঝিনি।
~আমিও এটাই ভেবেছিলাম। এখন দেখি সম্পূর্ণ উল্টো।
~সারহান ভাইয়ের মনে কি চলে আমাদের মতো বুদ্ধি কম ওয়ালীদের মাথায় ঢুকবে না।বিয়ে যেহেতু হবে না তাই ভেবে লাভ নেই।এখন বল তুই সুস্থ হয়েছিস?জ্বর ছেড়েছে?
~হুমম।এখন অনেকটাই সুস্থ।

ইশরা একটু মশকরা করতে ইচ্ছে হলো এইসুযোগে অরিত্রিকাকে একটু জ্বালানো যাক। যেই বাবা সেই কাজ। ইশরা মজার ছলে বলে উঠলো~ প্রিয় মানুষের বিয়ে হয়ে যাবে সেই শোকে বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর বাঁধিয়ে কি অবস্থা করেছিলি? ছিহ অরিত্রি ছিহ।মানুষ জানলে কি বলবে বল তো? এইটুকু মেয়ে বিরহে এসব নিজেকে কষ্ট দিচ্ছে ।তার ওপর অন্য কোনো ছেলে না মেয়ে তার বড়বাবার ছেলের জন্য পাগলামো করেছে।
অরিত্রিকা ফোন স্কিনে কটমট দৃষ্টি ফেললো।রাগ দেখিয়ে বললো~ এক থাবড় দিমু তোরে।এসব কি উল্টাপাল্টা বকছিস?
~ সত্যি বললেই দোষ! আমার থেকে লুকিয়ে লাভ নেই।আমার চোখে ফাঁকি দেওয়া একবারে ইয়াম পসিবল। তোর কথা গোপন রেখেছি তার জন্য ধন্যবাদ দে আমায়।
~ তোর মতো শাঁকচুন্নিকে ধন্যবাদ দেবো কেনো?

ইশারা কপাল চাপড়ে নাটকীয় ভঙ্গিতে বললো~ ভালো মানুষের জামানা নাই রে।সারহান ভাইকে বলে দেওয়া উচিত ছিলো উনার বিরহে মন পুড়ছে উনারই নিজের চাচাতো বোনের। কেনো যে বললাম না! সেদিন তো জানতে চেয়েছিলো এখন মনে হচ্ছে বলাই ঠিক ছিলো।
অরিত্রিকা কঠিন চোখে তাকালো ইশরার দিকে।এই মেয়ের থেকে কোনোদিন কিছুই লুকাতে পারেনি সে। আজও সবকিছু ধরে ফেলেছে। ইশরা অরিত্রিকার রা/গী মুখ দেখে হেসে বললো ~ আরে রা/গ করিস না। আমি সত্যি কাউকে বলবো না। এই বয়সে এমন একটু আকটু ভালো লাগতেই পারে। এটাই তো স্বাভাবিক।এমনইও মনে হয় না মামু উনার সাথে বিয়ে দিবেন তোর।
অরিত্রিকার রাগে নাকের পাটাতন ফুলছে। রা গে মাথা দপদপ করে জ্বলছে। মন চাইছে ইশরার মাথা ফা টিয়ে দিতে।
ইশরা অরিত্রিকার রাগাশ্রয়ী মুখ দেখে হাসি বন্ধ করে বললো~ আরে আমি ফান করছিলাম। তোকে একটা কথা বলি শোন?
অরিত্রিকা রুদ্ধ স্বরে বললো~ কি?

~তুই কি সত্যি সারহান ভাইকে শুধু পছন্দ করিস? একটুও ভালোবাসিস না?
অরিত্রিকার রাগ নিমেষেই গায়েব হয়ে গেলো। ইশরার এমন প্রশ্ন শুনে কিছুটা চিন্তিত ভাব পরিলক্ষিত হলো তার মাঝে। আসলেই কি শুধু ভালো লাগে?নাকি ভালো বাসে সে।হয়তো অনেকটাই ভালোবাসে।
অরিত্রিকাকে চিন্তিত দেখে ইশরা বললো~ এটার উত্তর নিজের মাঝে খোঁজ বুঝলি।মন থেকে কি উত্তর পাস তাই দেখ।যদি ভালোবেসে থাকিস সারহান ভাইকে তবে কি সারাজীবন পাশে থাকতে চাস উনার? এর উত্তর খুঁজে বের কর।দেখবি উত্তর পেয়ে গেলে সবকিছু সহজ হয়ে যাবে।
অরিত্রিকার মন চঞ্চল গতিতে উত্তর খুঁজে চলেছে। আসলে সে কি চায়? নিশ্চয়ই পছন্দের মানুষকে হারাতে চাইবে না কখনো।সারাজীবন পাশে থাকবে ।
অরিত্রিকা দৃঢ় কন্ঠে উত্তর দিলো ~ আমার প্রথম কল্প পুরুষ আমরাই হোক। আমি চাই উনি আমার মনের কথা বুঝুক।আমায় ভালোবাসুক তারপর না হয় উনার সাথে সারাজীবনের জন্য জরিয়ে যাবো। আমি চাই আমাদের পরিণয় পবিত্র হোক।

~তুই কিন্তু বড়দের মতো কথা বলছিস? অবাক হয়ে গেছি তোর কথা শুনে।
অরিত্রিকার মুখে একটু হাসি ফুটলো।সে হাস্যরত কন্ঠে বললো~ বড় তো হয়েই গেছি।আর দুইদিন পর আমার জন্মদিন ভুলে গেছিস?
~ তোর জন্মদিন কখনো ভোলা যায়?
~তুই আসবি না?
ইশরা বললো~ দেখি কি করা যায়। আচ্ছা এখন রাখছি। পরে কথা হবে।
~ঠিক আছে।
অরিত্রিকা কল কেটে দিলো। ইশরার কথাগুলো মোটেও ফেলে দেয়ার মতো ছিলো না। তার অবচেতন মন সারহানের সাথে পথচলার জন্য বলে চলেছে।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অফিসে নিশাদ বসে আছে। তার পাশেই বসে আছেন নয়ন তালুকদার। মুখটা বি/কৃত করে রেখেছেন। সিটি কর্পোরেশনের উর্ধতন কর্মকর্তার অফিস রুমে বসে আছে দুজনে। মো: তাহের রহমান নিজ জায়গায় বসে আছেন মুখশ্রী গম্ভীর। এক হাতে চশমা ঠেলে বারবার বাহিরে তাকাচ্ছেন।মুলত কারো অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। হাতের ঘড়ি দেখে সময় দেখে নিলেন একবার। সময় এগারোটা সাতান্ন। সারহান তাহের সাহেবের অপেক্ষার প্রহর শেষ করে অফিস রুমে প্রবেশ করলো। সাথে প্রবেশ করলো আবির আর ইনান। মো: তাহের চোখের চশমা ঠেলে একনজরে দেখে নিলো সারহানকে। সুদর্শন শ্যামবর্ণীয় মানুষটিকে তার কাছে অনেকটা গম্ভীর মনে হলো।সারহান রোদচশমা খুলে আবিরের হাতে ধরিয়ে দিলো। আবির আর ইনান কে বাহিরে অপেক্ষা করতে বললো। আবির আর ইনান চলে যেতেই সারহানের চোখ পরলো নিশাদের দিকে। নিশাদ সারহানের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসছে।তা দেখেই সারহানের চোয়াল শক্ত হলো। দাঁতে দাঁত চেপে ক্রোধ সংবরণের চেষ্টা চালালো।তাহের সাহেব সারহানকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললেন ~ মি: সারহান ওখানে দাঁড়িয়ে না থেকে প্লিজ সামনে এসে বসুন।
সারহান নিশাদের থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলো।সে গিয়ে চেয়ার টেনে একপাশে বসে পরলো।
তাহের সাহেব গলা খাঁকড়ি দিয়ে বললেন~ আপনাদের কেনো ইনফর্ম করা হয়েছে তা সম্পর্কে আপনারা অবগত তো?

সারহান কাঠিন্যে এটেই বললো~ আমি অবগত নই। প্লিজ কারণটা বলুন।
তাহের সাহেব নয়ন তালুকদারকে উদ্দেশ্য করে বললেন~ আপনি নিশ্চয়ই জানেন কেনো ডাকা হয়েছে?
নয়ন তালুকদার একবার সারহানের দিকে তাকিয়ে বললেন~ হুমম।
সারহান তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সবকিছু অবলোকন করে বুঝলো হয়তো সিটি কর্পোরেশনের সামনে যে ঝামে/লা হয়েছিলো তার জন্য ডাকা হয়েছে।নয়ন তালুকদার নিজের লোক লাগিয়ে এমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন তার খবর আবির তাকে দিয়েছে।
মো: তাহের বললেন~ একদিন আগে সিটি কর্পোরেশনের সামনে একটা ঝামে/লা হয়েছিলো তা তো সকলের জানা। পাবলিক প্লেসে ঝামে/লা করাটা বেমানান। সাধারণ মানুষজন যাওয়া আসা করে। তারা তো ভ/য়ে আতংকিত হয়ে যায়।বিষয়টা অন্তত আপনাদের রাজনীতিবিদ দের বোঝা উচিত। দুই দলের ঝা/মেলা কেনো পাবলিক ফেস করবে?একটাই উদ্দেশ্যে আপনাদের ডাকা হয়েছে নিজেদের ব্যক্তিগত আর রাজনৈতিক শত্রু/তার বর্হিপ্রকাশ করবে না পাবলিক প্লেসে।

সারহান চুপচাপ শুনলো শুধু। নয়ন তালুকদার সারহানের নিশ্চুপ তার সুযোগ নিয়ে বললেন~ আমার দলের কেউ এসব ঝামে/লা যুক্ত নয়।এগুলো সব বিরোধী দলের লোক করেছে।
সারহান মুহুর্তেই মৃদু হাসলো। নয়ন তালুকদারের নিজের সাফাই গাওয়াটা তার কাছে জঘ/ন্য রকমের হাস্যকর মনে হলো তার কাছে।মো:তাহের নয়ন তালুকদারের কথা শুনে বললেন ~ আমাদের কাছে প্রমাণ আছে আপনার দলের লোকগুলোই সেদিন ঝামে/লা করেছিলো।আর নাম বিরোধী দলের হয়েছে। আপনাদের এমন আগ্রাসী কর্মের কারণে দুইজন হসপিটালে এডমিট আছে। আশা করছি পরবর্তীতে এসব ঘটনা রিপিট হবে না।
নয়ন তালুকদারের মুখ থমথমে হয়ে গেলো।নিশাদ চোখের সামনে নিজের মামার এমন অপ/মান শুনে ভেতরে ভেতরে রাগে ফেটে যাচ্ছে।সারহানের ওষ্ঠকোণে বজায় আছে রহস্যময় হাসি। হাস্যরত অবস্থায় সারহান বললো~ এই ছোট্ট একটা কাজের জন্য ইলেকশনের কাজ ছেড়ে আসতে হলো।ইট’স নট ফেয়ার। নেক্সট টাইম এমন কাজে আমায় ডাকবেন না। এসব শোনার আমার টাইম নেই।

~ এটা একটা ইমপোর্টেন্ট কথা।
সারহান চেয়ার ছেড়ে শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে বললো~ কোনো প্রবলেম হলে আবিরকে কল করে বলবেন। এসব ছোট প্রবলেম আবির সামলে নেবে। আজ আসছি।
সারহান অফিস থেকে বেরিয়ে গেলো। মো: তাহের হতবুদ্ধির ন্যায় শুধু চেয়ে রইলেন। তিনি তো আরও কথা বলতে চেয়েছিলেন তার আগেই সারহান চলে গেলো?সবই কপাল কোথাও সম্মান নেই।
সারহান পার্কিং প্লেসে এসে দেখলো ইনান গাড়ি স্টার্ট দিয়েছে।গাড়ির দরজা খুলেই বসতে যাবে এমন সময় নিশাদের কন্ঠস্বর শুনতে পেলো।সারহান গাড়ির দরজা আঁটকে নিশাদের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো। নিশাদ ঠোঁট এলিয়ে হেসে সারহানের সম্মুখে দাঁড়ালো। সারহান বিরক্তি প্রকাশ করে বললো~ এমন ক্যাবলার মতো হাসছিস কেনো? এখানে কি কোনো দাঁতের অ্যাড দিতে বলা হয়েছে?
নিশাদের হাসি থেমে গেলো সহসা।হাসি থামিয়ে রাগান্বিত হয়ে সারহানের দিকে তাকালো।সারহান তা দেখে ব্যস্ততা দেখিয়ে বললো~ কি বলবি বল। আমার অনেক কাজ আছে।
নিশাদ শয়তানী হাসি ঝুলিয়ে বললো~ আসলে তোকে দেখে একটা কথা মনে পরলো। তাই সেটা জানতে থামতে বলেছি।

~কি?
~আমার হবু বউয়ের খবর জানতে। অনেক দিন খোঁজ খবর রাখতে পারিনি।তোর সাথে দেখা হলো তাই ভাবলাম একবার অরিত্রিকার খবরটা নেওয়া দরকার।তো কেমন আছে আমার হবু বউটা!
সারহানের মুখশ্রী কাঠিন্যে বর্ণ ধারণ করলো। দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে এলো রাগে। রাগে চোখ লাল হয়ে গেছে সারহানের।মন চাইছে জিভ টে নে ছিঁড়ে দিতে।নিশাদ যেনো সারহানের এমন রুপ দেখে আরও মজা পেলো।
নিশাদ আবারও বলে উঠলো~ অরিত্রিকার খবরটা আমাকে জানানো তোর কর্তব্য।সম্পর্কে আমি তোদের বাড়ির জামাই হবো।এখন আবার এটা বলিস না বিয়ে তো ভেঙ্গে গেছে! বিয়ে ভাঙ্গলেও আমার কিছু যায় আসে না। আমি জানি কিভাবে অরিত্রিকাকে নিজের করতে হয়। তুই তো আমার শা’লাবা……
নিশাদ আর কিছু বলতে পারলো না। তার আগেই শক্ত পোক্ত পুরুষালী হাত তার গলার আওয়াজ রোধ করে দিলো।নিশাদ হাস ফাঁস করছে।সারহান নিজ হাতের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে নিশাদের গলা চেপে ধরেছে। সকল রা গ যেনো তার ওপরই মেটাচ্ছে।

প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ২০

সারহান রাগাশ্রিত হয়ে দাঁতে দাঁত চেপে রাশভারী কন্ঠে বলে উঠলো~ তোর সাহস তো দেখছি আকাশ ছুঁয়েছে। কার সামনে কি বলতে হবে তা বোধ হয় মগজ থেকে বেরিয়ে গেছে। আজ তোর সাহস দেখে অনেক অবাক হলাম বটে। অরিত্রিকার দিকে নজর দেয়া অফ কর। নাহলে তোর ওই চোখ দুটো আর কাউকে দেখার অবস্থায় থাকবে না।যে জিভ দিয়ে অরিত্রিকাকে নিয়ে কথা বললি সেই জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলতে একটুও সময় লাগবে না আমার। সো বি কেয়ার ফুল ডুড। বলা যায় না প্রথম বারের থেকেও এবার খারাপ অবস্থা করতে পারি তখন কাউকে নিজের মুখ দেখাতেও ভয় করবে তোর।আর একটা কথা অরিত্রিকার দিকে আর একবার নজর তুলে তাকাস তাহলে একবারে জানে মে/রে দেবো।তোর লা শ এমন জায়গায় গু/ম করবো কেউ তোর লা/শের হদিস ও পাবে না। শা*লা কু*ত্তার বাচ্ছা।

প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ২২