প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ৬
আদ্রিতা নিশি
~ভাই তোমার হাতে কি হয়েছে? কিভাবে কা টলো?
সাদাতের কন্ঠস্বর কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই সারহান পাশেই এগিয়ে আসা সাদাতের দিকে তাকালো।দেখলো সাদাত উদ্বিগ্ন হয়ে তার হাতের দিকে তাকিয়ে আছে।অরিত্রিকা যেনো অন্য কোথাও হারিয়ে গিয়েছিলো।তার সাদাতের কন্ঠস্বর শুনে খেয়াল করলো সে সারহানের হাত ধরে আছে।এতেই যেনো লজ্জায় আড়ষ্ট হলো সে।লজ্জায় যেনো ঘিরে ধরেছে তাকে।সে দ্রুততার সহিত সারহানের হাত ছেড়ে দিলো। সারহান অরিত্রিকা হাত ছেড়ে দিতেই স্বাভাবিক স্বরে হাতের দিকে তাকিয়ে সাদাতকে বললো~ তেমন কিছু হয়নি। একজন আমায় আঘা ত করতে এসেছিলো।তাকে একটু শিক্ষা দিতে গিয়ে কে টে গেছে।
সাদাত চিন্তিত স্বরে বললো~ ভাই তুমি একটু সাবধানে থেকো।রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক শ ত্রুই তো হয়েছে তোমার। নিশ্চয়ই তাদের সাথেই ঝা মেলা হয়েছে আবার।
~মাকে কিছু বলিস না। মা আমায় নিয়ে অনেক চিন্তায় থাকে।
~ঠিক আছে বলবো না।
সাদাত এই বিষয়ে আর কিছু বললো না। এমন ঘটনার সাথে তারা সকলেই পরিচিত।
সারহান অরিত্রিকা আর সাদাতকে পরিপাটি অবস্থায় দেখে ভ্রু কুঁচকে বললো~ তোরা কোথাও যাচ্ছিস?
~হুম। পদ্মার পাড়ে যাবো।
~ একা যাচ্ছিস? তোদের তো বলেছিলাম সামনে ইলেকশন একা বের না হতে?
~ ভাই আমাদের সাথে আফ্রিদি ভাই যাবে।
সারহান আফ্রিদির কথা শুনে কিছুটা চিন্তিত হলো।আফ্রিদিকে সেই আটবছর আগে দেখেছে। তারা তেমন পরিচিতও নয়।অরিত্রিকা যাচ্ছে তাহলে নিশ্চয়ই ইশরাও যাবে। ছেলেটা দেখে তার মন্দ মনে হয়নি তবুও কোথাও কিছুটা কিন্তু রয়েছে।
সারহান অরিত্রিকার মিইয়ে যাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ মৌন থেকে বলে উঠলো~ সাবধানে যাবি।অরিত্রিকা আর ইশরাকে দেখে রাখিস।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
~ঠিক আছে ভাই।
আফ্রিদি গাড়ি নিতে আসতেই সারহানকে গ্যারেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে বললো~ আরে ব্রো! তুমি চলে এসেছো? চলো আমাদের সাথে। একসাথে অনেক মজা হবে।
সারহান আফ্রিদির কথা শুনে বললো~ আমার সময় হবে না। তোমরা যাও।ওদের নিয়ে যাচ্ছো সাবধানে গাড়ি চালাবে।দেখে রেখো।সামনে ইলেকশন বুঝতেই তো পারছো উত্তপ্ত পরিস্থিতি চারিদিকে।
আফ্রিদি সারহানের হাতের ব্যান্ডেজ খেয়াল করে আতংক গ্রস্থ হয়ে বললো~ঠিক আছে ব্রো। এই নিয়ে চিন্তা করোনা। কিন্তু তোমার হাতে কি হয়েছে?
সারহান হাত উঁচিয়ে পর্যবেক্ষণ করে বললো~ একটু কেটে গেছে। চিন্তা করোনা সাবধানে যেও।
অরিত্রিকার এখন ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে।সারহানের হাতের এমন অবস্থা দেখে তার মন টাই খারাপ হয়ে গেছে। এর আগেও এমন অনেকবার আহত হয়ে এসেছে বাড়িতে। তখন সারহানের থেকে অনেকটা দুরত্ব বজায় রেখে চলতো।কথাও বলতো না। আহত অবস্থায় দেখলে দূর থেকে দেখতো কাছে যাওয়ার সাহস তার হয়নি।তবে আজ তার কি হয়েছিলো নিজেও জানেনা। হাত ছোঁয়ার সাহস দেখিয়েছে সে।সারহান ভাই যদি এটা নিয়ে কিছু বলে তখন কি হবে?আবারও অপমান করবে? তার ভালো লাগছেনা এসব।
সারহান আর আফ্রিদির কথোপকথনের মাঝেই অরিত্রিকা বলে উঠলো~ আমি যাবোনা ঘুরতে।
অরিত্রিকার কথাটা শুনে সারহান সতৃষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো অরিত্রিকার দিকে।অরিত্রিকার মুখশ্রী মলিন হয়ে আছে।দৃষ্টি নিচু। সাদাত আশ্চর্যিত হয়ে বললো~ তুই দুপুর থেকে যাওয়া জন্য নাচতেছিলি এখন যাবি না কেনো?
~আমার শরীরটা ভালো লাগছেনা।তোরা গিয়ে ঘুরে আয়।
আফ্রিদিও সাদাতের সাথে তাল মিলিয়ে বললো~ হুম। অরি তুমি তো অনেক এক্সাইটেড ছিলে এখন যেতে চাইছোনা!তোমার ফুপাতো বোনও তো যাবে আমাদের সাথে তুমি যদি না যাও বিষয়টা খারাপ দেখায়।
সারহানের মনে হলো অরিত্রিকা মিথ্যা বলছে।সে গম্ভীর স্বরে জানতে চাইলো~ কি হয়েছে তোর? আমি তো দেখতে পাচ্ছি তুই সুস্থ আছিস। যেতে কেনো চাচ্ছিস না?
অরিত্রিকা সারহানের দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি ফেললো হাতের ব্যান্ডেজের দিকে। দৃষ্টি সেখানেই স্থির রেখে ধীরে বললো~শরীরটা দুর্বল লাগছে।আমি যেতে পারবোনা।
সারহান অরিত্রিকার দৃষ্টি অনুসরণ করে নিজের হাতের দিকে তাকালো। রক্তে জবজবে হয়ে গেছে স্থানটি।অরিত্রিকা শুকনো মুখে পুরুষালী বলিষ্ঠ হাতে র/ক্তে রঞ্জিত স্থানটি অবলোকন করতে ব্যস্ত। সারহানের তীক্ষ্ণ মস্তিষ্ক সহজেই কারণটা ধরে ফেললো।সে বুঝলো তার হাতের এমন অবস্থা দেখে অরিত্রিকার খারাপ লাগছে একজন্যই হয়তো যেতে চাইছেনা। অরিত্রিকার এহেন ব্যবহারে অতীব আশ্চর্য হচ্ছে সে। মেয়েটির আজ কি হলো? এমন আজব ব্যবহার কেনো করছে? টিনএইজার মেয়েদের মনে কখন কি চলে বোঝা মুশকিল।
সারহান অরিত্রিকাকে আদেষ্টা কন্ঠে বললো~ ঘুরে আয়। মাইন্ড ফ্রেশ হবে।এরপরে কিন্তু এমন সুযোগ পাবি না।কিছুদিন পর এডমিশন ভুলে গেছিস?
অরিত্রিকা সারহানের চোখের দিকে সরাসরি দৃষ্টি ফেললো।সারহান ইশারা করলো যাওয়ার জন্য।অরিত্রিকা আর অমান্য করলোনা এবার সে মুখ গোমড়া করে বললো~ ঠিক আছে।আমি যাবো।
সারহান অরিত্রিকাকে বললো~ আমি ভেতরে যাচ্ছি। কোনো সমস্যা হলে কল দিস।
অরিত্রিকা শুধু মাথা নাড়লো।মানে ঠিক আছে।সারহান আর সেখানে না দাঁড়িয়ে ব্যস্তভঙ্গিতে প্রস্থান করলো।
~চৌধুরী বাড়ি থেকে খবর এসেছে আজ। আজমল চৌধুরী সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি মেয়ের বিয়ে তোমার সাথে দিবেন না।
নিশাদ মাত্রই পানির গ্লাসটা হাতে নিয়েছিলো খাওয়ার জন্য। সেসময় বাবার মুখে বিয়ে ভাঙ্গার কথা শুনে রাগে,জিদ্দে হাতে থাকা পানির গ্লাস মেঝেতে আছড়ে ফেললো।গ্লাসটি ভেঙ্গে কাচের টুকরোগুলো পুরো মেঝে ছড়িয়ে পরেছে।মেঝে পানিতে ভেসে গেলো।হামিদ সাহেব ছেলের হঠাৎ এহেন কান্ড হচকচিয়ে গেলেন।তিনি স্তব্ধ হয়ে নিশাদের রুমের একপাশে দাঁড়ালেন। নিশাদ বিছানায় বসে ফুঁসছে। তার রাগে শরীর থরথর করে কাঁপছে। আজমল চৌধুরীকে পেলে এই মুহুর্তে খু/ন করতো সে।তার আগে খু/ন করতো ওই সারহানকে।সে সুস্থ থাকলে এতোকক্ষণে চৌধুরী বাড়িতে গিয়ে তান্ডব চালাতো।তার প্ল্যানে এভাবে শেষ মুহুর্তে তছনছ করে দিবে এটা তার ভাবনার বাহিরে ছিলো। আর অরিত্রিকাকে তো এতো সহজে সে ছাড়বেনা সে।কিশোরী মেয়েটিকে কি এতো সহজে ভোলা সম্ভব।?!
নাহ!সম্ভব নয়।আর কখনো ভুলতেও পারবে না সে। চৌধুরীদের নিঃস্ব করাই তার আর নয়ন তালুকদারের মূল উদ্দেশ্য। সেই গুটি হিসেবেই অরিত্রিকাকে টার্গেট করে চৌধুরী বাড়িতে প্রবেশ করতে চেয়েছিলো সে।অরিত্রিকাকে প্রথম দেখেছিলো রাজশাহী কলেজের পদ্ম পুকুরের সিঁড়িতে বসে থাকা অবস্থায়।তখন অরিত্রিকা রাজশাহী কলেজের ইন্টার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রথম দেখাতেই ভালো লেগেছিলো তার। ভুলে বসেছিলো প্রতি/শোধ স্পৃহা।সেই হাস্যরত বাচ্চা মেয়েটির মায়াবী চেহারা আজও ভুলতে পারেনি সে। অরিত্রিকাকে বিয়ে করে নিজের করে পেতে চেয়েছিলো আর চৌধুরীদের ধ্বংসের পথ সুগম করতে চেয়েছিলো।কিন্তু সারহানের জন্য সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। নিশাদ অগ্নিশর্মা হয়ে আওড়ালো~ তোমাকে যখন একবার মন থেকে চেয়েছি,যতো বাঁধা বিপত্তি আসুক না কেনো আমি তোমাকে নিজের করে নিবো অরিত্রিকা। তোমাকে পেতে যতোটা নিচে নামতে হয় নামবো তবুও তোমায় আমিই বিয়ে করবো আর ওই চৌধুরী বাড়ির সকলকে পথে নামিয়ে আনবো। সারহানকে যতদিন আমার সামনে হাত জোর করে ভিক্ষা না চাইতে দেখেছি ততোদিনে আমার শান্তি নেই। কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে। পথে ফকির হওয়ার জন্য রেডি হো সবাই।
নিশাদের মা কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে দৌড়ে নিশাদের রুমে আসলেন।এসেই দেখতে পেলেন অজস্র কাচের টুকরোর অংশবিশেষ। তিনি আঁতকে উঠে হামিদ সাহেবকে বললেন~গ্লাস ভাঙ্গলো কি করে?
~তোমার ছেলে রাগ দেখিয়ে ভেঙ্গেছে।
~ হঠাৎ রাগলো কেনো গো?
হামিদ সাহেব কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললেন~ তোমার ছেলের বিয়ে ভেঙ্গেছে।চৌধুরী বাড়ি থেকে খবর এসেছে ওই মেয়েকে নিশাদের সাথে বিয়ে দিবেনা। এটা শুনেই তোমার ছেলে লঙ্কা কান্ড বাঁধিয়েছে।বারবার বলেছিলাম ওই সারহানের সাথে লাগতে যাস না।ওই ছেলেকে শান্ত দেখালেও শান্ত নয়।কখন গুম করে দিবে তার ঠিক নেই।এতো বারণ করা সত্ত্বেও ওই বাড়ির মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিলো।একবার সারহান যদি জানতে পারে এগুলো প্ল্যানের অংশ তাহলে মে’ রে দেবে সবগুলাকে।
“নোঙর” পদ্মারপাড় সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত রেস্টুরেন্টের নাম।এখানকার সুন্দর পরিবেশ মন ভালো করার জন্য যথেষ্ট। নোঙরে আফ্রিদি, ইশরা,সাদাত আর অরিত্রিকা এসেছে রাতের খাবার খেতে।পুরো স্থানটি ঘুরতে ঘুরতে তারা সকলেই ক্লান্ত।অরিত্রিকা নিশ্চল দৃষ্টি ফেলে রেস্টুরেন্টের বাহিরে থাকা কিছু মানুষের চলাচল দেখছে।সে আজকে পুরো বিকেলটা অন্যমনষ্ক হয়ে ছিলো।মন ভার হয়ে ছিলো কোনো কারণে।সাদাত,ইশরা আর আফ্রিদি নিজেদের মতো আনন্দ করলেও অরিত্রিকা নিশ্চুপ হয়ে ছিলো। নিজের এমন ব্যবহারের সাথে সে অপরিচিত। আগে তো তার এমন হয়নি তবে আজ কেনো এমন হচ্ছে।সে বুঝতে পারছে সারহানের হাত ধরা তার উচিত হয়নি।এসব ভাবতে অস্বস্তি যেনো জেকে ধরছে তাকে।সে ভেবে রেখেছে এই কারণের জন্য সারহানের কাছে ক্ষমা চাইবে এখান থেকে গিয়ে। সারহানের হাতের ক্ষ/ত দেখে সে উদ্বিগ্ন হয়েছিলো।মনুষ্য মন বিচলিত হয়েছিলো।নাহ আর ভাবতে পারছেনা সে।
আফ্রিদি অপেক্ষা করছে খাবারের জন্য।সাদাত একমনে ফোন স্ক্রোল করছে।ইশরা বোবা প্রাণীর ন্যায় বসে আছে।সে বারবার অরিত্রিকার দিকে তাকাচ্ছে।অরিত্রিকা গভীর ভাবনায় বিভোর। সে খেয়াল করেছে অরিত্রিকা আজ কোনো কিছু নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন রয়েছে। সে কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছিলো কি হয়েছে? অরিত্রিকা বিষয়টা এড়িয়ে গিয়েছে।
সাদাত ফোন স্ক্রোল করতে করতে হঠাৎই ফোন বেজে উঠলো তার।ফোন স্কিনে সারহানের নাম জ্বলজ্বল করে ভেসে উঠেছে।সে আর দেরি না করে দ্রুত কল রিসিভ করলো।সাদাত বললো~হ্যালো ভাই?
~তোরা এখন কোথায় আছিস?
~আমরা নোঙরে আছি।সকলে মিলে ডিনার করবো খাবারের জন্য অপেক্ষা করছি।
সাদাত কথা বলা শেষ করতেই সারহান কল কেটে দিলো।সাদাত এতে একটুও অবাক হলোনা কারণ সারহানের এমন উদ্ভট আচরণের সাথে পরিচিত অনেক আগে থেকেই।
আফ্রিদি সাদাতকে ফোনে কথা বলতে দেখে বললো~ তোমার ব্রো কল দিয়েছিলো নিশ্চয়ই?
সাদাত একটু হেসে বললো~ হুম।ভাই কল দিয়েছিলো।
অরিত্রিকা সাদাতের কথা শুনেই কিছু একটা মনে পরলো।সে তার পার্স হতে ফোন বের করলো তখনি।কল লিষ্ট ঘেটে কাঙ্খিত নাম্বারটি বের করলো। মেসেজ লিখতে গিয়েও থেমে গেলো।মেসেজ পাঠানো কি ঠিক হবে?যদি মাইন্ড করে!!সে ফোনের স্ক্রিনের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে রইল।অরিত্রিকা তার পাশে কারো বসার অস্তিত্ব বুঝতে পারলো তখনি। ঘ্রাণেন্দ্রিয়ে পরিচিত সুগন্ধি প্রবেশ করতে সে ঘাড় ঘুরিয়ে ব্যক্তিটির দিকে বিস্ময়ে নির্বাক হয়ে তাকালো। অকস্মাৎ ব্যক্তিটিকে সে এখানে আশা করেনি। সারহান অরিত্রিকাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বিরক্তি নিয়ে বললো~ এমন হা করে তাকিয়ে আছিস কেনো? আগে কখনো দেখিসনি?
অরিত্রিকা নেত্রপল্লব ঝাপটে বললো~ আপনি তো আগে কখনো আমাদের সাথে আসেননি? আজই প্রথম।
সারহান বিরক্তিসূচক কথা আওড়ে বললো ~তুই কি চাইছিস? আমি চলে যাই।
~আমি কি আপনাকে যেতে বলেছি থাকুন। বলেই অরিত্রিকা অন্যদিকে তাকালো।
প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে পর্ব ৫
সারহান সামনের দিকে তাকিয়ে দেখলো সাদাতও তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।সারহান তা দেখে বললো~ এমন ইডিয়েটের মতো আমার দিকে তাকিয়ে থাকবিনা।
সাদাত সারহানের কথা শুনে নড়েচড়ে বসলো।ঠোঁট ভিজিয়ে বললো~ তুমি আসবে বলোনি তো ভাই।
~ এদিকটায় কাজে এসেছিলাম তাই এসেছি।
আফ্রিদি খুশি হয়ে বললো~ তুমি আমাদের সাথে ডিনারে জয়েন করবে এতেই ভালো লাগলো আমার।
সারহান ভদ্রতাসূচক হাসলো শুধু। আড়চোখে সারহানের মৃদু হাসি দেখে অরিত্রিকা ভাবলো “তার সাথে কথা বললেই তো মুখ গোমড়া করে থাকে আর এখন হাসছে”।