প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে সিজন ২ পর্ব ১০

প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে সিজন ২ পর্ব ১০
আদ্রিতা নিশি

তালুকদার বাড়ির লিভিং রুমে রাগাশ্রিত মুখশ্রীতে আয়েশি ভঙ্গিতে বসে আছেন পঞ্চাশোর্ধ প্রৌঢ় সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত একজন ব্যক্তি। হাতের তর্জনী আঙুলের মাঝে অর্ধখাওয়া সিগারেট। কিছুক্ষণ পর পর পান খাওয়া লালচে ঠোঁটে সিগারেট চেপে ধরছেন বিরক্তি ভাব নিয়ে। মুখাবয়ব অতিশয় থমথমে। সরু দৃষ্টি তার পাশের ছেলেটার দিকে। পাশে মাথা নত করে বসে আছেন এক ছেলে। হাতে পায়ে ব্যান্ডেজ মোড়ানো। মুখে আঘাতের চিহ্ন দৃশ্যমান। মুখাবয়বে ফুটে উঠেছে আতংক আর ভয়। ললাট জুড়ে বিন্দু বিন্দু ঘাম নিঃসরণ হচ্ছে।
“সারহানের লোকদের হাতে মার খেয়ে আমার সামনে এসে বসে আছিস কোন মুখে? শুয়ো*রের বাচ্চা লজ্জা লাগছে না?”

নয়ন তালুকদারের রাগান্বিত কন্ঠের হুংকারে আহত ছেলেটি কেঁপে উঠল। কোনো কথা না বলে মুখে কুলুপ এঁটে বসে রইল যেন কিছু শোনেনি। এখন কিছু বললে তার কপালে শনি আছে। তাই চুপ থাকা শ্রেয় বলে মনে হলো তার।
নয়ন তালুকদার গুরু গম্ভীর কণ্ঠে বললেন ;
“ তোরা নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমচ্ছিলি! সারহানের লোক এলো, পেটালো আর বাচ্চাটাকে উদ্ধার করে নিয়ে গেল বললেই হলো?”
ছেলেটি ভয়ার্ত ভঙ্গিতে সামনে তাকাল। ঢোক গিলে বলল;
“ হঠাৎ করে অ্যাটাক করায় আমরা পাল্টা আক্রমণ করার সময় পাইনি। জানিনা কীভাবে ওই এমপির লোকগুলো আমাদের ডেরার খবর পেল। আমাদের মেরে আধমরা করে বাচ্চাটাকে উদ্ধার করে নিয়ে চলে যায়।”
নয়ন তালুকদার চোয়াল শক্ত করে সিগারেটে লম্বা টান দিল। সিগারেটের অবশিষ্টাংশ অগ্রাহ্য করে টাইলসযুক্ত মেঝেতে অনাদরে ছুঁড়ে ফেললেন। শক্ত গলায় বললেন;

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“ বাকীগুলোর কি খবর এখন? ”
“ ওদের অবস্থা খারাপ। হয়ত সপ্তাহখানেক হসপিটালে থাকতে হতে পারে। ”
“ বুঝলাম। এইদিকে শা*লার পু*ত মেহমুদ রঈসের খবর পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল রাত হতে শহর লাপাত্তা হয়ে গেছে। সামনে পেলে এখনি গু*লি করে ভব লীলা সাঙ্গ করে দিতাম। ”
ছেলেটি একটু নড়ে উঠল সাহস সঞ্চার করে বলল;
“ ছোট মুখে বড় কথা মাফ করবেন স্যার। আমার মনে হয় মেহমুদ রঈস সারহানের কব্জায় আছে। নিশ্চয়ই ধরা খেয়ে নেমোখারাম উগলে দিয়েছে আপনার নাম। সমস্ত কাহিনি ফাঁস করার কারণে সারহানের লোক বাচ্চাটাকে উদ্ধার করেছে। ”

নয়ত তালুকদার বিচলিত হলেন। তিনি চিন্তাগ্রস্ত লোচনে তাকালেন তারেক নামের ছেলেটির দিকে। তারেক এ চাহনিতে ভয়ে তটস্ত হয়ে গুটিয়ে নেয় নিজেকে। দ্রুত দৃষ্টি নত করে হাতের দিকে তাকায়। পুরো হাত ব্যান্ডেজ করা। ক্ষতের গভীরতা বেশী। ব্যথায় চিনচিন করছে পুরো শরীর। বাপের জন্মে এমন বেদম কেলানি কখনও খায় নি। এই প্রথম কেলানি খেয়ে নাম, পরিচয় ভুলে বসেছিল। এমপিকে হ ত্যা চেষ্টায় সামিল হওয়া উচিত হয়নি। এই যাত্রায় ভাগ্যের জোরে তাদের লোক বেঁচে গেছে কিন্তু পরবর্তীতে পরিনতি ভয়াবহ হবে। নয়ন তালুকদার মৌন রইলেন। কেন যেন মনে হলো তারেক একদম সঠিক বলেছে। নিশ্চয়ই সারহানের কাছে মেহমুদ রঈসের হদিস পাওয়া যাবে।
নয়ন তালুকদারের মেজাজ যেন তুঙ্গে। গমগমে কন্ঠে বলে উঠলেন ;
“ মেহমুদ রঈসকে দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে। তারপর এই পৃথিবী থেকে চিরদিনের জন্য সরিয়ে দিতে হবে। ”
“ স্যার আপনার লোক লাগিয়ে দিন রঈসকে খুঁজতে। ”

“ ঠিক আছে তারেক। সারহান প্রাক্তন এমপিকে হাত করে এমপি হয়ে গেল আর আমি ফাও? রাজনীতির খেলা বড্ড ভয়ংকর। আমরা যাকে নিজেদের আপন মনে করি, সময়ের ব্যবধানে সেই আপন মানুষ সাপ হয়ে ছোবল দেয়। রাজনীতির অন্যতম মূল মন্ত্র, কাউকে বিশ্বাস করা যাবে না। এই পথে একটা ভুল সিদ্ধান্ত মৃ ত্যু সমতূল্য। ”
উক্ত কথাটি বলে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেন নয়ন তালুকদার। ভয়ংকর, বিদঘুটে হাসিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠল। তালুকদার বাড়ির লিভিং রুমে কুৎসিত হাসি প্রতিধ্বনিত হতে লাগল। হঠাৎ হাসি থেমে যায়। ভাবমূর্তির পরিবর্তন হয়। শক্ত কন্ঠে বলেন ;
“ চৌধুরী বাড়ির প্রতিটি সদস্যর ওপর আমার নজর পড়েছে। সারহানকে শেষ করতে ওর পুরো পরিবার যথেষ্ট। ”
কথোপকথনের মাঝে শিষ বাজিয়ে হঠাৎ প্রবেশ করল ইলহাম তালুকদার। ফুরফুরে মেজাজে দাম্ভিক ভঙ্গিতে এগিয়ে আসল নয়ন তালুকদারের সামনে। বাবার পাশে দুহাত পা এলিয়ে বসল। একহাতে কাঁধসম চুল হাত দ্বারা ঠেলে দিল পেছনে। সামনে তারেককে মুখ কাচুমাচু করে ব্যান্ডেজে জড়ানো শরীর দেখে বিদ্রুপস্বরুপ হেসে উঠল। ত্যাছড়া কন্ঠে বলল;

“ শুনলাম এমপির লোকদের হাতে কেলানি খেয়েছিস? কেমন লাগছে এখন? ”
তারেক অপমানসূচক কথায় মাথা নত করে চুপ করে রইল। নয়ন তালুকদার বেশ চটলেন ছেলের ওপর। গম্ভীর কণ্ঠে বললেন ;
“ আমার লোকদের উপহাস করছো ইলহাম? ”
ইলহাম শব্দ করে হাসে;
“ উপহাস করার মতো কাজ করেছে তাই উপহাস করছি। এদের পেলেপুষে কোনো লাভ নাই বাবা। এরা শুধু তোমার টাকা নষ্ট করছে। ”
“ রাজনৈতিক বিষয়ে একদম মাতব্বরি করতে আসবে না। চু প থাকো। ”
“ এতোদিন রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা বলিনি আমি। তবে এবার মনে হয় আমারও রাজনীতিতে যোগদান করার সময় এসেছে। ”
“ এসব কি বলছো? ”
ইলহামের হেঁয়ালিপূর্ণ কথায় বেশ অবাক হলেন নয়ন তালুকদার। ইলহাম বাবার ভাবভঙ্গি দেখে নিঃশব্দে হাসল। প্যান্টের পকেট হতে ফোন বের করে গ্যালারি ঘেটে কিছু একটা দেখালো নয়ন তালুকদারকে। নয়ন তালুকদার ফোন স্কিনে অপ্রত্যাশিত কিছু একটা দেখে বিস্মিত হলেন। অবিশ্বাস্য চাহনিতে তাকালেন ছেলের দিকে।
ইলহাম নয়ন তালুকদারের বিস্ময় ভাব পরখ করল। ফোনটা পুনরায় নিজ পকেটে রেখে দিল প্যান্টের পকেটে। স্বাভাবিক ভাবে বলল;

“ এমপি সাহেব দেখছি হেব্বি রোমান্টিক। রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রেমিকার চুলে ফুল গুঁজে দিচ্ছে। পাবলিক প্লেসে প্রেমলীলায় মাতোয়ারা হয়েছে। এই দৃশ্য নিজ চোখে দেখে যেন আমার জীবন স্বার্থক হয়ে গেল। ”
“ কোথায় পেলে এই ছবি?”
“ কোথায় পেলাম সেটা বড় কথা নয়। মেয়েটিকে দেখেছো? খুব রূপবতী মেয়ে। ফিগার জোস। দূর থেকে প্রথম দেখে ফিদা হয়ে গেছি। ”
নয়ন তালুকদার স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। ক্রোধ মিশ্রিত কন্ঠে বলল;
“ তোমার মাথা ঠিক আছে? এসব কি বলছো? ”
“ এমপির মা’*লের দিকে চোখ পড়েছে আমার। প্রথম দেখে বেসামাল হয়ে গিয়েছি আমি। মন চাইছিল সুন্দরী রমনীকে একটু ছুঁয়ে দেখি। ”
“ তুমি কি কোনোভাবে মেয়েটিকে আমাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার গুটি বানাতে চাইছো?”
ইলহাম উচ্চস্বরে হেসে উঠল। মুখাবয়বে ফুটে উঠল হিংস্রতা এবং ক্ষোভ। নয়ন তালুকদার এবং তারেক চমকে গেলেন। দুজনে অদ্ভুত চোখে দেখতে লাগলেন।
ইলহাম হাসি থামিয়ে শক্ত কন্ঠে বলল;

“ প্রতিহিংসা নয় বরং প্রতিশোধ। ওই সারহান তিনবছর আগে ভার্সিটির একটা প্রোগ্রামে মাঠ ভর্তি স্টুডেন্টদের সামনে নিশাদকে মে*রেছিল। নিশাদ কি এমন করেছিল শুধু মুন নামের মেয়েটিকে প্রপোজ করেছিল। কিন্তু ঘটনা পুরো উল্টে দেয় সারহান। সেদিন সবার সামনে বলেছিল নিশাদ মুনকে শ্লী লতাহানি করার চেষ্টা করেছে। পুরো ভার্সিটির স্টুডেন্ট এটা নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এসব কাহিনী জন্য নিশাদ কে ভার্সিটি থেকে বের করে দেয়। এতো বদমান, অপমান সহ্য করতে না পেরে এখনো নিজেকে সবার থেকে আড়াল করে রেখেছে। এসব তো সহজে ভোলার নয়।”
নয়ন তালুকদারের কপালে সূক্ষ্ণ চিন্তার ভাজ পড়ল। তিনি ভাবুক হয়ে বসে রইলেন থম মে’রে।মনে পড়ে যায় তিন বছর আগের ঘটনা। নিশাদ হলো তার বোনের ছেলে। ইলহাম সোফায় হেলান দেয়। চোখ বন্ধ করে গা এলিয়ে দেয়। অদ্ভুত হেসে বিরবির করে বলে ;
“আই ওয়ান্ট ইউ, বিউটিফুল গার্ল। ইভেন ইফ জাস্ট ফর ওয়ান নাইট, আই ওয়ান্ট ইউ। আই লস্ট কন্ট্রোল দা মোমেন্ট আই ফার্স্ট স’ ইউ। আই ওউন্ট বি অ্যাট পিস আন্টিল আই টাচ ইউ।”

রাতের দ্বিতীয় প্রহর। বাড়ির সকলে ঘুমে মগ্ন থাকলেও অরিত্রিকা এবং ইশরা জেগে আছে। চৌধুরী বাড়ির সবাই চলে গেলেও ইশরা অরিত্রিকার জোড়াজুড়িতে থেকে গিয়েছে। রাতের খাবার খেয়ে দুজন কম্বল মুড়ি দিয়ে রাত জেগে মুভি দেখতে ব্যস্ত। হরর মুভি “ কাঞ্চনা ” দেখছে। দুজনে মুভি দেখা শেষ করল প্রায় একটার সময়। দুজনের চোখে ঘুমের লেষ মাত্র নেই। অনবরত বকবক করে এখন কথা বলার মতো টপিক তাদের কাছে নেই।
অরিত্রিকা উবুড় হয়ে শয়নরত অবস্থায় উদাসীনচিত্তে কিছু একটা ভেবে চলেছে। কি এমন ভাবছে তা বেশ সুকৌশলে বোঝার চেষ্টা করছে ইশরা। তার দৃষ্টি তীক্ষ্ণ।

“ ইশরা বেবি ভার্সিটির কাহিনি শুনে কি মনে হচ্ছে?
“ তোর মতো গাধা একটাও দেখিনি অরিত্রিকা। তুই সারহান ভাইকে হঠাৎ রাগাতে গেলি কেন?”
অরিত্রিকা শোয়া থেকে হুড়মুড় করে বসে পড়ল বিছানায়। মুখ বাঁকিয়ে বলে;
“ ভেবেছিলাম একটু শায়েস্তা করব। সেসব ভাবনা বাদ দে। আমার মাথায় একটা প্ল্যান এসেছে। ”
ইশরা উঠে বসল। কৌতুহলী ভাব নিয়ে জিজ্ঞেস করল;
“ কী প্ল্যান? ”
“ উনাকে এতো রাতে কল দিয়ে ডিস্টার্ব করব। আর তুই আমায় হেল্প করবি আমায় আইডিয়া দিয়ে। ”
“ আমি এসবে নেই বাবা৷ ”
ইশরা আঁতকে উঠে বলল। অরিত্রিকা ইনোসেন্ট মুখে বলল;
“ সারহান ভাই আজকে আমায় অপমান করেছে ইশু। সেই অপমান চুপচাপ শুনেছি। এখন ইচ্ছে করছে শোধ নিতে। প্লিজ বইন আমার মনের ইচ্ছে পূরণ করে দে।”

ইশরা ধম করে বিছানায় শুয়ে পড়ল। কম্বল মুড়ি দিয়ে চোখ বন্ধ করে বলল;
“আমি এসবের মধ্যে নাই বইন। তুই যা ইচ্ছে কর।”
অরিত্রিকা বেজায় বিরক্ত হয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে বসল। কটমট করে তাকাল ইশরার দিকে। মুখ ভেংচি দিয় এক হাতে ফোন হাতে নেয়। চঞ্চল দৃষ্টি ফেলে ফোন স্কিনে। মুখে শয়তানি হাসি নিয়ে সারহানের নাম্বারে দুরুদুরু বুকে কল দেয়। আজ রাতের ঘুম উড়িয়ে ক্ষ্রান্ত হবে সে। অপমান করেছে এর শোধ তুলবেন সে। কল ঢুকছে কিন্তু রিসিভ করছে না। অরিত্রিকা পুনরায় অধৈর্য হয়ে কল দিয়ে কানে চেপে ধরল।
“ হ্যালো। ”
তন্দ্রাঘোরে আচ্ছন্ন পুরুষালি ভরাট কন্ঠে অরিত্রিকা বক্ষ কেঁপে উঠল। শিউরে উঠল তার মনসত্তা। সে ঢোক গিলল। শরীরে জড়ানো ওড়নার একপাশ পুরু করে ভাজ করে মুখে চেপে ধরল। সাহস সঞ্চার করে ধীর কন্ঠে বলল;

“ এমপি সাহেব?”
অপর পাশ হতে ভেসে আসল ;
“ হু!”
অরিত্রিকা মিটিমিটি হেসে বলল;
“ আমি আপনাকে ভীষণ মিস করছি। আপনি বড্ড নিষ্ঠুর এমপি সাহেব একদিন পেরিয়ে গেল অথচ আমায় একবারো কল করে খোঁজ খবর নিলেন না? ”
সারহানের ঘুমে চোখ মাত্র এঁটে এসেছিল। মেয়েলি কন্ঠস্বর শুনে তার ঘুম হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। চোখ মুখ কুঁচকে গেল তার। বিরক্তির ভাজ পড়ল কপালে। সে বিছানা থেকে উঠে বসে। ফোনের স্কিনে চোখ বুলিয়ে নেয়। নাম্বার দেখে মুখাবয়ব কঠিন হয়ে উঠে। তবে তা প্রকাশ না করে শান্ত কন্ঠে বলল;
“ এতো রাতে কল করেছো কেন? ”
“ আমার এমপি সাহেবের খবর নিতে।”
“ আমার সাথে মশকরা করছো মেয়ে।”
“ উহু। প্রেম নিবেদন করছি। ”

অরিত্রিকা পৈশাচিক হাসিতে মত্ত। সারহান যেন কিছু একটা আন্দাজ করল। হঠাৎ ওষ্ঠ জুড়ে বাঁকা হাসি ফুটে উঠল। বিছানা থেকে নেমে নগ্ন পায়ে বেলকনিতে চলে যায় সারহান। অন্ধকারাচ্ছন্ন প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে হাসি বজায় রেখে বলে ;
“ গভীর রাতে প্রেমিক প্রেমিকা কী ধরনের প্রেমালাপ করে নিশ্চয়ই জানো?
অরিত্রিকার বিস্ময়ে চোখ বড় হয়ে গেল। সে উত্তেজনা চেপে রেখে ছোট্ট করে বলল;
“ হু। ”
সারহান দুষ্ট স্বরে বলল;
“ এই মুহুর্ত তোমায় সামনে পেলে কি করতাম জানো?”
অরিত্রিকা দুরুদুরু বুক নিয়ে শুধায় ;
“ কি করতেন এমপি সাহেব?”
“ তোমার মোলায়েম মসৃণ গালে…. ”
“ গালে কী?”
“ ঠাটিয়ে একটা থাপ্প’ড় মারতাম বেয়াদব মেয়ে। ”

প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে সিজন ২ পর্ব ৯

অরিত্রিকা সারহানের গমগমে কন্ঠস্বর শুনে চমকে উঠে। দ্রুততার সহিত কল কেটে দেয়। দুহাতে বুক ধরে হাঁপানি রোগীর ন্যায় হাঁপাতে থাকে। ভেবেছিল সারহান ভাই নিশ্চয়ই ফ্লার্ট করবে কিন্তু তা না করে থাপ্পড় দেওয়ার হুমকি দিল।

প্রণয়ের সন্ধিক্ষণে সিজন ২ পর্ব ১১