প্রিয় ডাক্তার সাহেব সিজন ২ পর্ব ১৯

প্রিয় ডাক্তার সাহেব সিজন ২ পর্ব ১৯
মারশিয়া জাহান মেঘ

“আপনি কি চান বলুনতো? আমি বি’ষ খেয়ে ম’রে যাই?”
সাথে সাথেই তোহার গালে পাঁচ আঙ্গুলের দা’গ পরলো যেন। লাল হয়ে আছে পুরো গাল। ফারাবীর দৃষ্টি অনলের ন্যায়। চিৎকার করে বলল সে,
“৬ বছর তোকে না ছুঁয়ে, না দেখে, তোর সাথে সময় না কাটিয়ে, তোকে আমি ভালোবেসেছি। এইটা আমার অপরাধ? বার বার তোর ভাইয়ের ফোন লুকিয়ে লুকিয়ে তোর ছবি দেখতাম, এইটা আমার অপ’রা’ধ? তোকে ভালোবেসে বাংলাদেশে পা রেখেছি এইটা আমার অপ’রা’ধ? তোকে ভালোবাসাটাই কি অ’প’রা’ধ? তোকে নিজের সবটা দিয়ে চেয়েছি পবিত্রভাবে এইটা আমার অ’প’রা’ধ? এত বড়ই অ’প’রা’ধ করেছি আমি যে, শা’স্তি হিসেবে নিজেকে মে’রে ফেলতে চাইছিস? শুন… তুই ম’রে গেলে ম’রা লা’শ’টাও আমার। আর বেঁচে থাকতে তোকে অন্যের হতে দেখাতো অনেক দূর। তুই চাইলেও আমার, না চাইলেও আমার। নেক্সট টাইম, তুই আর ম’রে যাওয়ার কথা বললে, আমি নিজেও ম’র’ব, তোকেও মা’র’ব। মাইন্ড ইট?”

তোহা গা’লে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ চোখে পা’নি তার। ভীষণ লেগেছে তার। যেই মেয়েটাকে তার ভাই কখনো টাচও করেনি, সেই মেয়েটাকে ফারাবী মে’রে’ছে। এইটা জেনেও কি তার ভাইয়া তাকে এই ছেলের হাত তুলে দিবে? ভাবতেই ক’ষ্ট হচ্ছে তার। এক মুহুর্তও দাঁড়ালো না তোহা ছাঁদে। ছাঁদ থেকে দৌঁড়ে নেমে পড়ল। ফারাবীর চোখ অশ্রুসিক্ত। বাচ্চাদের মত কাঁদছে সে। তোহাকে মা’র’তে চায়নি। ম’রা’র কথা শুনে, নিজেকে আটকে রাখতে পারেনি সে। মাথা ভীষণ গ’র’ম হয়ে গিয়েছিল। তাই তোহাকে থা’প্প’ড় মেরেছে। এইসব ভাবতেই বু’কে কষ্ট অনুভব করে ফারাবী। মিনমিনিয়ে বলল সে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“ভালোবাসতে গিয়ে, তোহাকে কি ভালে রাখতে পারছি আমি?”
কথাগুলো ভাবতেই, ফারাবীর গাল বেয়ে টুপটুপ করে পা’নি পড়তে থাকে। আজ পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায়ত্বকে সে বরণ করে নিচ্ছে। পৃথিবীর কি নির্মম পরিহাস? সে যাকে ভালোবেসে এতদিন অপেক্ষা করলো, সেইই তাকে ভুল বুঝলো? আর ভাবতে পারলো না ফারাবী। নিজেও, রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালো। ভোরের আলো ফুটতেই সে এই দেশ ত্যাগ করবে। তাশরীফকে কি জবাব দিবে সে? বুঝতেই পারছে না। হঠাৎ ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো ফারাবীর। কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে তার বাবা বলল,
“ফারাবী, কখন এই কান্ট্রিতে ব্যাক করছ তুমি?”
“খুব আর্লি ডেড।”
“পুত্রবধূ নিয়ে আসবে?”

বাবার মুখে এমন কথা শুনে আকাশ থেকে পড়লো যেনো ফারাবী। ওপাশ থেকে শব্দ করে হেসে তার বাবা বলল,
“আমাকে তাশরীফ সব জানিয়েছ। আমি অপেক্ষায় আছি, তোমাদের দুজনের জন্য। ওইখানে তোমার মানুষটাকে, তুমি তোমার মত করে, তোমার করে নাও। এইখানে আসলে, আমরা বড় করে অনুষ্ঠান করব। ঠিক আছে? মাই সান?”
“ইয়েস ডেড।”
ফারাবী কল কে’টে ভাবতে লাগলো, “করবে কি সে? এই মুহুর্তে মাথায় কিছুই আসছে না তার। আপাতত গভীর ভাবনায় ব্যস্ত সে।

রাতের খাবার খেতে বসেছে সবাই একসাথে। আভা পরখ করে দেখলো, তাশরীফ বার বার কোনো না কোনোভাবে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। মানুষটাকে বুঝার কোনো সাধ্য নেই যেনো তার। তোহা মলিন হয়ে বসে আছে। খাবার কেবল নাড়ছেই, খাচ্ছে আর না। ফারাবী মনের দিক থেকে এলোমেলো হয়ে থাকলেও, প্রকাশ করলো না বিষয়টা। চুপসে খেয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিকভাবে। তাশরীফ আভাকে বলল,
” সবার হাত আছে এইখানে, নিজেরটা নিয়ে আমরা সবাইই খেতে পারব, তুই খেতে বস।”
আভা অন্যদিকে তাকিয়ে বলল,
“না, আপনারা খেয়ে উঠুন। আমি পরে খাব।”
তাশরীফ বোনকে উদ্দেশ্য করে বলল,

“তোহা, আমার কথার অবাধ্য হওয়া আমি একদম পছন্দ করি না। তুই খাচ্ছিস না কেন?”
এক কথায়, আলাদাভাবে দু ধরণের কথা প্রকাশ করেছে তাশরীফ। আভা অনেকটা ঘা’ব’ড়ে গিয়ে বসে পড়ে খেতে। তাশরীফ আভার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসলো আলতোভাবে। তাশরীফ খেতে খেতে ফারাবীকে বলল,
“তো ফারাবী, বিয়েতে তোর কি কি ইচ্ছে আছে বল? কেমন ডেকোরেশন চাস? যেমন তুই চায়বি, তেমনভাবেই করব।”
ফারাবী খাবারের দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে তোহার দিকে তাকালো। বলল,
“আমার কোনো ইচ্ছে নেই তাশরীফ। ডেড চাচ্ছিলো, অনুষ্ঠান ওই কান্ট্রিতেই হোক।”
“তা বললে কিভাবে হয় বল? আমারতো ১০ টা বোন নয়। একটাই বোন।”
“বাট, তাশরীফ…..”

ফারাবী কিছু বলতে যাবে তাশরীফকে ঠিক তখনি তোহা খাবার ছেড়ে উঠে যায়। তাশরীফ বোনকে বলল,
“কি হলো? উঠেছিস কেন?”
“আর খেতে ইচ্ছে করছে না। পে’ট ভ’রে গেছে।”
“তোহা, আমার অবাধ্য কোনো কিছুই আমি পছন্দ করি না।”
“ভাইয়া, আমার শ’রী’রটা ভাল লাগছে না। প্লিজ, বুঝার চেষ্টা করো।”
তাশরীফ বলল,
“ঠিক আছে, তুই রুমে যা। কিছুক্ষণ পর আমি মেডিসিন নিয়ে আসছি।”
তোহা কোনো জবাব না দিয়ে উপরে উঠলো। তার কিছুতেই ভালো লাগছে না। তার ভাইকে সে অনেক ম্যাচিউরড ভাবতো। এতোটা অবুঝ কিভাবে হলো তার ভাই!? ভেবেই পায় না সে। তোহা চলে যেতেই ফারাবী বলল,
“তাশরীফ, তোহা যেহেতু চায় না বিয়েটা করতে, সেহেতু বিয়েটা না হোক।”
খাবার খাচ্ছিলো তাশরীফ। তার হাত থেমে যায়। ফারাবীর কথাটা তাশরীফের হ’জ’ম হলো না। সে বলল,

“এইসব কি বলছিস ফারাবী? অনেককে, আমি জানিয়ে দিয়েছি অলরেডি।”
“ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ কখনো ভালো থাকতে পেরেছে বলতো?”
“ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোথায়? তোহা এখনো ছোট, ওহ ভালো কোনটা, মন্দ কোনটা, এইসবের কি বুঝে? ওর ভালোটা আমি বুঝি। আর ওহ অন্তত ভালো করেই জানে, আমি ওর ভালোটাই চাই। নাথিং এলস ফারাবী। তোর থেকে ভালো ওকে কেউ রাখতে পারবে না।”
আভা শুনছিলো তাশরীফ আর ফারাবীর কথা।
“ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে আসলেই ভালো থাকা যায় না ফারাবী ভাইয়া। এই যে দেখুন না, আমার আর তাশরীফ ভাইয়ের সম্পর্কটা। একদম, খাপছাড়া, ছন্নছাড়া, ভালোবাসাহীন।”

মুখ ফস্কে বেরিয়ে এলো আভার মুখ থেকে কথাগুলো। কয়েক সেকেন্ডের জন্য চুপসে যায় আভা। ভুলক্রমে কথাটা সে বলেতো ফেলল, এইটা কি আদৌ সঠিক সময়ে বলল? উঠে পড়ে সে। কোনোরকম তাড়া দিয়ে কিচেনে গিয়ে, “ভীষণ ব্যস্ত” ভাব নেয়। ফারাবী হাসলো আভার কান্ড দেখে। তাশরীফ এখনো তাকিয়ে আছে এক ধ্যানে আভার পানে। ফারাবী বলল,
“মেয়েটার কত অভিমান জমে আছে মনে, তুই কি তা ফিল করতে পারছিস তাশরীফ?”
“সব সম্পর্ক সুন্দর করার একটা সুন্দর সময়ের প্রয়োজন হয় ফারাবী।”
“তার মানে!”
অবাক হলো ফারাবী। চোখ বড় বড় করে বলল,
“তার মানে, তোরও মনে মনে কোনো অনুভূতি কাজ করে?”
“অফকোর্স, শী ইজ মাই কুইন, শী ইজ, মিসেস চৌধুরী।”

কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে তোহা। এই ওয়েদারে কম্বল! অবাকই হলো তাশরীফ। তারপর তোহার কপালে হাত দিয়ে বুঝলো, “বোনের জ্বর এসেছে।”
কোমল কন্ঠে বলল সে,
“এত জলদি জ্বর বাঁধালি কিভাবে? জ্বরেতো সারা শ’রী’র পুড়ে যাচ্ছে।”
“মনটা যে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে, তা কিভাবে বললে বুঝবে ভাইয়া?”
তোহার কথা শুনেও খুব একটা পরিবর্তন লক্ষ করা গেলো না তাশরীফের মাঝে। মেডিসিন হাতে নিতে নিতে বলল,
“গেট ওয়েল সোন তোহা। ভুলে যেওনা, সামনে তোমার বিয়ে।”
অবাক না হয়ে পারলো না তোহা। নিজের ভাইকে চিনতে তার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। বোন অসুস্থ, এই সময়তেও বিয়ে বিয়ে করছে! সিরিয়াসলি!”

“নাও ঔষধটা খেয়ে নাও।”
তাশরীফের হাত সরিয়ে দেয় তোহা। বলল,
“আমি খাব না মেডিসিন। আমাকে একা থাকতে দাও।”
“এই বিয়েটাতে তোমার প্রবলেমটা কোথায় তোহা? হোয়াটস ইউর প্রবলেম? টেল মী নাউ। ওকে? টেললল মী।”
তাশরীফের মৃদু চিৎকারে কেঁ’পে উঠে তোহা। কান্না পাচ্ছে তার। এইভাবে তাশরীফ ওর সাথে কথা বলছে! এইভাবে! তাও ফারাবীর জন্য?
“দেখো, আমি যা করছি ভালোর জন্যই করছি। কাজেই ঔষধ খেয়ে হাররি আপ ঘুমিয়ে যাও। আগামীকালই তোমার আর ফারাবীর বিয়ে হবে।”
“কি!”

“এক কথা দ্বিতীয়বার বলতে আমি অপছন্দ করি তোহা। আগামীকালই বিয়েটা হচ্ছে তোমাদের। তৈরি থেকো। আর, যত তাড়াতাড়ি তুমি এইটা মেনে নিতে পারবে, ততোই তোমার জন্য ভালো।”
“আমি সিক ভাইয়া।”
“তুমি ১ মাস সিক থাকলে, এক মাসই বিয়ে আ’ট’কে থাকবে? এছাড়াও, ফারাবীর ডেড চায়, উনার ছেলে যেনো আর্লি ওই দেশে ব্যাক করে।”
“আমাকেও নিয়ে যাবে?”
“বিয়ের পর, আভা কোথায় এসেছে?”
“আমাদের বাড়ি।”
হাসলো তাশরীফ, তোহা আসলেই এখনো বাচ্চা। ওকে বুঝাতে চাইলো কি? সে বুঝলো কি? ইচ্ছে করেই এমন জবাব দিয়েছে বোন তা বুঝলো তাশরীফ। বলল,
“শ্বশুর বাড়ি। তুমিও ব্যতিক্রম জায়গায় থাকবে না।”

“ভাইয়া, এইসব কি বলো তুমি? আমি কিভাবে থাকবো তোমাকে ছাড়া বলো? কিভাবে থাকবো? ওহ ভাইয়া, ভাইয়া প্লিজ ভাইয়া… আমাকে বুঝো একটু।”
তাশরীফ শুনলো না বোনের কথা। তোহার রুম থেকে বেরিয়ে আসলো সে। পেছন থেকে আভা ‘ভাইয়া, ভাইয়া’ বলেই যাচ্ছে।
রাত ১১ টা ১০ মিনিট। ফারাবী তোহার রুমের সামনে গিয়ে বলল,
“আসতে পারি?”
কোনো সাড়াশব্দ শোনা গেল না। ফারাবী এক পা এক পা করে গেল তোহার রুমে। দেখলো, নিষ্পাপ বাচ্চার মতো ঘুমিয়ে আছে তোহা। কাঁ/পা কাঁ/পা হাতে তোহার কপালে স্পর্শ করলো সে। তাশরীফ বলল, “তোহার নাকি ভীষণ জ্বর এসেছে।” এইটা শুনে থাকতে পারলো না সে। চলে এলো তোহার রুমে। তোহার মুখের দিকে পলকহীনভাবে তাকিয়ে আছে ফারাবী। আনমনে ভাবলো,
“আমাকে কি একদমই ভালোবাসা যায় না আমার তোতা পাখি?”

নিজের কো’ম’ড়ে কারো স্পর্শ পেয়ে চমকে উঠলো আভা। পেছন ফিরে তাকাতেই তার চোখ কপালে উঠে গেল। তাশরীফকে নিজের সাথে মিশিয়ে যেতে দেখে সংকোচে বলল,
“ক্ ক্ও কি ক্ কর্ করছেন আপনি?”
তাশরীফ আভার ঘা’ড়ে গ/র/ম নি’শ্বা’স ফেলতে ফেলতে নেশালো স্বরে বলল,
“কি করছি? এত বিরক্ত কেন করছিস আভা?”
“প্লিজ ছাড়ুন। অসমাপ্ত, সম্পর্কের এমন পরিণতি দিবেন না। আমি ভীষণ দূ’র্ব’ল, এইসব দ্বারা ক’ষ্ট পেতে চাই না।”
“আমি যতদিন তোর জীবনে আছি, কষ্টকে টাচও করতে দিবো না তোকে। বুঝলেন? মিসেস তাশরীফ চৌধুরী।”
জো’র করে নিজেকে তাশরীফের থেকে ছাড়িয়ে নেয় তোহা। ঘো’র এখনো কা’টছেনা ওর। কি হতে যাচ্ছিলো এইটা! চিৎকার করে উঠে আভা। ছলছল চোখে তাশরীফের দিকে তাকিয়ে বলল,

“কি চান আপনি? কি চাননন? আমাকে কাছেও চান, আবার চানও না। জীবনটাকে পুতুল খেলা পেয়েছেন? যখন ইচ্ছে খেলবেন, যখন ইচ্ছে রেখে দিবেন পুতুলের মত। আমি কি মানুষ না? নাকি রোবট? আপনি আসলে চানটা কি? আমার অনুভূতির সাথে কেন খেলছেন? কেননন ডক্টর তাশরীফ চৌধুরী?”
তাশরীফ চোয়াল শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে। হাত দুটো মুঠোবন্দী করে সে। আভার একেকটা কথা, তার মন ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে। তাশরীফ টাওজারের দুই পকেটে দুই হাত রেখে এক ধ্যানে তাকালো আভার দিকে। তারপর বলল,

প্রিয় ডাক্তার সাহেব সিজন ২ পর্ব ১৮

“তারপর? তারপর কি? থামলি কেন? বল… কি হলো, বলছিস না কেন?”
আভা চুপসে দাঁড়িয়ে আছে ছলছল নয়নে। এই বুঝি গাল বেয়ে পা’নি পড়বে। রা’গে তার দে’হ কাঁ’প’ছে। কি থেকে কি বলল রাগের মাথায় সে নিজেও বোধহয় জানে না। তাশরীফ হঠাৎ আভার হাত শক্ত করে ধরে।
“ছাড়ুন, ছাড়ুন আমার হাত। কি হলো? ছাড়ুন বলছি। আমার লাগছে, লাগছে আমার।”
তাশরীফ শুনলো না আভার কথা। এক ধা’ক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয় আভাকে সে। তাশরীফ টিশার্ট খু’ল’তে খু’ল’তে বলল,
“আজ স্বামীর অধিকার সবটুকু নিব আমি। সেই সাথে, তোকে সম্পূর্ণ ওইটা অনুভব করাবো, ” তোকে কোনো পুতুল নয়, নিজের ওয়াইফ হিসেবে নিয়েছি নিজের জীবনে।”

প্রিয় ডাক্তার সাহেব সিজন ২ পর্ব ২০