প্রিয় প্রণয়িনী পর্ব ৩৩
জান্নাত নুসরাত
প্যারিস নামটা শুনতে যতটা আকর্ষণীয় তার থেকে দ্বিগুণ আকষর্ণীয় প্যারিস শহর। ফ্রান্সের রাজধানী ও পৃথিবীর সবথেকে জনপ্রিয় শহরগুলির মধ্যে একটি প্যারিস। ফ্রান্সের উত্তর অঞ্চলে আগষ্ট মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে থাকে। তাই বৃষ্টিপাত ও ঠান্ডা অনান্যা অঞ্চলের তোলনায় স্বস্থিদায়ক হয়ে থাকে।
দীর্ঘ আটারো ঘন্টা জার্নির পর ইসরাত আর জায়িন ফ্রান্সে এসে উপস্থিত হলো। ইমিগ্রেশন শেষে এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে এসে ইসরাত জোরে শ্বাস ফেলল। বাহিরের বাতাস টেনে নিল নিজের ভিতর।
“ইসরাত তাড়াতাড়ি আসো। গাড়ি চলে আসছে।
বিশ তলা বিল্ডিং এর সামনে গাড়ি থামাতে বলল জায়ান। গাড়ি থেকে বের হয়ে নিজেদের লাগেজ এক হাতে ধরে অন্য হাত দিয়ে ইসরাতের হাত ধরে ভিতরের দিকে হাঁটলো। গেটের সামনে দাঁড়ানো সিকিউরিটি গার্ডকে জায়িন মোবাইল থেকে কিছু একটা বের করে দেখাতেই গেট খুলে দিল। পকেট থেকে এপার্টমেন্টের কী বের করে দিল সিকিউরিটি গার্ড।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
জায়িন কী নিয়ে আগে হাঁটা দিল। আর ইসরাত মিনি ট্রলি নিয়ে জায়িনের পিছন পিছন দৌড়ালো। জায়িন এলিভেটর এর ভিতর ঢুকলো ইসরাত দৌড়ে এসে নিজে ও এলিভেটরের ভিতর ঢুকলো। সাত তলার বোতাম চেপে দাঁড়িয়ে রইলো এক পাশে জায়িন। এলিভেটর সাত-তলায় যেতেই খুলে গেল। জায়িন দ্রুত পায়ে এলিভেটর থেকে বের হয়ে সোজা হেঁটে গেল। সামনা-সামনি দুটো এপার্টমেন্টের মধ্যের ডান পাশের এপার্টমেন্টে পিন বসালো জায়িন। ঝটপট পিন বসিয়ে দরজার হ্যান্ডেল ধরে মোচড় মারলো। দরজা খোলে যেতেই লাগেজ চারটা নিয়ে জায়িন ভিতরে গেল। ট্রলি নিয়ে ইসরাত ভিতরে ঢুকলো।
এপার্টমেন্টের ভিতরে বেশি কিছু নেই কিন্তু যা আছে সবই লাক্সারিয়াস। ড্রয়িং রুমের চারিদিকে চোখ ঘুরালো ইসরাত। সাদা আর কালোর মিশ্রণে দেয়াল পেইন্ট করা। ড্রয়িং রুমের মাঝ বরাবর একটা টিভি। তার নিচে রাখা ভিডিও গেইমের অনেক গুলো বক্স। সাদা ও গোল্ডেনের মিশ্রণে সোফা।
চারিদিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখার সময় জায়িন বলল,
“যাও অনেক জার্নি করে আসছ ফ্রেশ হয়ে এসে হালকা কিছু খেয়ে ঘুম দাও। তাহলে শরীরের ক্লান্তি দূর হবে।
ইসরাত মাথা নাড়ালো। জায়িন ইসরাতকে মাঝারি আকারের একটি রুম দেখালো। ওদিকে ইশারা করে বলল,
” আজ থেকে এই রুম তোমার। আই হোপ তোমার কোনো প্রবলেম নেই? আর হলে ও আমার কিছু করার নেই। বেডশিট চেঞ্জ করে নিও।
ইসরাত নিজের লাগেজ নিয়ে রুমে ঢুকে গেল। জায়িনের মুখের উপর দরজা আটকে দিয়ে ওয়াশরুমে গেল ফ্রেশ হওয়ার জন্য। কিছুক্ষণ পর ফ্রেশ হয়ে এসে কাপড় চেঞ্জ করে রুমের বাহিরে গেল ইসরাত। জায়িন সোফার উপর বসে ছিল।
“শেল্ফে শুকনো খাবার আছে নিয়ে এসে এখানে বসো। তোমার সাথে আমার কথা আছে।
ইসরাত বিনা বাক্য ব্যয় করে খাবার নিয়ে এসে বসলো। তার খিদে পেয়েছে অনেক। তবুও পেটে খিল মেরে এসে জায়িনের সামনে বসলো গম্ভীর মুখে। মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই ভিতরে কি চলছে?
জায়িন কথা কীভাবে শুরু করবে বুঝতে পারলো না।
” ইসরাত তুমি তো সবই জানো। আমি ডেলাকে পছন্দ করি। তোমাকে বিয়ে করার আমার কোনো ইনটেনশন ছিল না। ওই দিন কি হয়েছিল আমি জানি না! যাই হোক ওসব বাদ দেই, অতীত নিয়ে কথা বলে কি হবে?
ইসরাত মুখের বিকৃতি ঘটালো। এতো ফরমালিটি করার কি আছে? যা বলার বলে দিবে এতো সংকোচ বোধের কি?
ইসরাতের শান্ত গলায় বলল,
“যা বলবেন স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড বলুন এসব পেঁচিয়ে কথা বলা আমার পছন্দ না, আমি এসব বুঝি না নিজে ও পেঁচিয়ে কথা বলিনা। যা বলবেন সরাসরি বলুন!
” ইসরাত আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাইনি যখন হয়ে গিয়েছে এখন তো অস্বীকার করার ও কোনো পথ নেই। এতে তোমার ও দোষ ছিল না আবার আমার ও।
“তো এখন আপনি কি করতে চাইছেন? এক্সেক্ট কি করতে চাইছেন সেটা পরিস্কার করে বলুন?
” চলো কমিটমেন্ট করি?
ইসরাত কপালে ভাঁজ ফেলে চাইলো জায়িনের দিকে যে তার দিকে উত্তরের আসায় চেয়ে আছে।
” কি কমিটমেন্ট?
” তুমি তোমার মতো লাইফ লিড করবে আর আমি আমার মতো লাইফ লিড করবো। আমি তোমার বিষয়ে নাক গলাবো না আর তুমি আমার বিষয়ে। মোটকথা কেউ কাউকে ডিস্টার্ব করবো না। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া।
ইসরাত নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বলল,
“ওকেই।
” আরেকটা কথা আমরা সমাজের সামনে স্বামী স্ত্রী হিসেবে থাকবো আর আমরা নিজেদের মধ্যে ভাই – বোন,,, ওহ স্যরি! ভাই বোন না, এজ আ ফ্রেন্ড থাকবো। ভবিষ্যতে যদি কোনো অনুভূতি জন্মায় তোমার প্রতি আমার আমি নিসন্দেহে তোমায় মেনে নিব। এখন আমার টাইম চাই! আর তোমার সব খরচ বহনের দায়িত্ব আমার।
ইসরাত জায়িনের শেষের কথা পুরোপুরি ইগনোর করলো।
“আপনি কি আমাকে অপশন হিসেবে রাখছেন?
” এমন কেন মনে হলো?
ইসরাত উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করলো না। হালকা খাবার নিয়ে নিজের রুমের দিকে চলে গেল। রুম লক করে আবার খুলল। দরজার ফাঁক দিয়ে নিজের মাথা বের করে বলল,”আমার খরচ আমি চালাতে পারবো। আপনার আমার খরচ চালাতে হবে না। এনজয় ইউ্যের লাইফ ব্রো। ডোন্ট বি প্যানিক।
এক সপ্তাহ পরের কথা,
আজকাল বোরিং সময় কাটছে নুসরাতের। গতকাল রাতে ইনায়ার জন্য হাত চাইতে গিয়েছিলেন মেহেরুন নেছা, লিপি বেগম, হেলাল সাহেব আর নুসরাত। পাকিজা আমান ভদ্রতার সাথে সম্বন্ধ গ্রহণ করেছেন এবং জানিয়েছেন ইনায়ার গ্রেজুয়েট কম্পিলিট হওয়ার পর কথা সামনে আগানো হবো। হেলাল সাহেব রাজি হয়ে গেলেন। রাতে খাবার খাইয়ে পাকিজা আমান ছাড়লেন তাদের। জায়ানকে জানানো হলে সে বিষয়ে নির্লিপ্ত,কোনো রকম প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
নুসরাত কল দিল ইসরাতকে। কল দেওয়ার সাথে সাথে ইসরাত কল পিক করলো। মোবাইল বিছানার উপর বালিশের সাথে লাগিয়ে রেখে নুসরাত মোবাইলের দিকে পা দিয়ে শুয়ে থাকলো।
“কি কল দিচ্ছিস কেন?
” ভালো লাগছে না। আমি ও আসবো ফ্রান্সে।
“চলে আয় কেউ তোকে আটকে রেখেছে নাকি।
নুসরাত কথাটা পুরোপুরি উপেক্ষা করে বলল,
” বাহিরের ভিউ দেখা।
ইসরাত মোবাইল হাতে নিয়ে জানালার পাশে এসে দাঁড়ালো। আজকের আবহাওয়া এই এক সপ্তাহের তোলনায় একটু বেশি খারাপ। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে ইসরাত ব্যাক ক্যামেরা করে বাহিরে দেখালো।
“থাই গ্লাস খোল।
ইসরাত থাই গ্লাস খুলে দিতেই বাহিরের বাতাস হু হু করে ভিতরে এসে প্রবেশ করল। রুমে হিটার অন থাকা সত্ত্বেও শরীরের পশম খাড়া হয়ে গেল ঠান্ডা বাতাসে।
” ওটা পাইন গাছ?
“হু! গ্লাস লাগিয়ে দিচ্ছি বাতাস অতিরিক্ত হচ্ছে বাহিরে।
” আচ্ছা লাগা।
ইসরাত আর নুসরাত আরো কিছুক্ষণ কথা বলল। ইসরাত কিছু কাজ আছে বলে ফোন রাখল। নুসরাত দীর্ঘশ্বাস ফেলে রুমের বাহিরে গেল ইরহামের সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য। হঠাৎ মনে হলো শালা ইরহাম থাকে রেখে পিকনিকে গিয়েছে। নিজের রুমে ঢুকতে গিয়ে আবার জায়ানের রুমের দিকে চোখ পরল বুলেটের গতিতে দৌড় দিল জায়ানের রুমে। এখন এই মুরগীকে পটিয়ে বাহিরে যেতে হবে।
“তোমার জন্য আমি মেয়ে পছন্দ করেছি।
” কিন্তু কেন?
“বিয়ে করবে না, সারাজীবন মায়ের আর চাচিদের ঘাড়ে বসে খাবে।
” আমি সেটা বলছি না। ছোট ভাইয়ার বিয়ে দেওয়ার আগে আমার জন্য মেয়ে দেখছ কেন? আগে তো ছোট ভাইয়ার বিয়ে দাও?
“তোমার ওইসব চিন্তা না করলে হবে। এসব চিন্তার জন্য আমরা আছি। তোমার কোনো পছন্দ থাকলে বলতে পারো। পরে বলবে জিজ্ঞেস করিনি তোমার পছন্দের কথা। বড় দু-জন নিজেদের পছন্দের কথা জানিয়েছে তোমার কোন পছন্দ থাকলে আমার আর তোমার মায়ের কোনো সমস্যা নেই। তুমি জীবন-যাপন করবে তাই তোমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পুরো অধিকার আছে। কোনো পছন্দ আছে।
আরশ গম্ভীর মুখ বানিয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে রইলো। তার পছন্দের কেউ আছে কি? মাথায় চাপ দিতেই দুটো মেয়ের মুখ ভেসে উঠলো।
” কি হলো? কোথায় হারিয়ে গেলে।
“আব, আমি একজনকে পছন্দ করি। পছন্দ করি বললে ভুল হবে ভালো লাগে।
” আচ্ছা ওকে জানিয়েছ?
“এখনো জানাইনি শীগ্রই জানিয়ে দিব।
” কি বলে মেয়েটা আমাকে জানিও? মেয়েটার মতামতের উপর বৃর্তি করে আমি পরের কথা সামনে আগাবো।
” পাপা কিছু জিজ্ঞেস করতে পারি?
“হ্যাঁ জিজ্ঞেস করো! এতো ফরমালিটি কবে থেকে শুরু করলে তুমি?
” উমম,আপনার পছন্দের মেয়েটাকে কি আমি চিনি?
” হ্যাঁ চেনো! চেনো বললে ভুল হবে খুব ভালো করে চেনো।
“নামটা জনতে পারি?
” এখন না, আগে উত্তর আসুক তোমার ভালো লাগার মানুষের কাছ থেকে তারপর ভাববও নাম বলব কি না?
আরশ নিশ্চুপ মেনে নিল। হেলাল সাহেব রুম থেকে বের হয়ে গেলেন। বিড়বিড় করলেন সবগুলো উচ্ছনে গেছে। একটা ও ভালো হয়নি।
জায়ানের রুমে নক করল নুসরাত।
“কামিং।
নুসরাত রুমে প্রবেশ করে সোফার উপর বসলো। জায়ান ল্যাপটপে বসে বসে কিছু করছিল। চোখে চশমা পড়ে আছে! একবার নুসরাতের দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে আবার কীবোর্ডে হাত চালাতে লাগলো। নুসরাত বিশেষ পাত্তা না পেয়ে সোফার সামনের টেবিলে পা তুলে বসলো।
” হঠাৎ আমার রুমে। কিছুটা ভাবার মতো করে বলল, ওহ বুঝেছি তোমার পার্টনার তো বিদেশে এজন্য আমার রুমে আসছো।
নুসরাত উত্তর দিল না। জায়ান নিশ্চুপতা সম্মতির লক্ষণ মেনে নিল।
“তা আমার সাথে কোনো দরকার? আমার রুমে হঠাৎ।
নুসরাত সেই কথার উত্তর না দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
” একটা কথা জিজ্ঞেস করব সত্যি সত্যি উত্তর দিবেন।
জায়ান ল্যাপটপে কিছু টাইপ করতে করতে বলল,
“আচ্ছা কি জিজ্ঞেস করবে করো?
” আরশ এতো টাকা কোথায় পেল?
জায়ান এক ভ্রু তুলে নুসরাতের দিকে তাকিয়ে বলল, “মানে!
” মানে হলো ওর নিজের তো অডি এ সিক্স আছে। তার পর আপনার গাড়ি কিনতে টাকা দিয়েছে ও এতো টাকা কই পাইলো?
“ওহ আচ্ছা এটা! ওতো ব্যবসা সামলাচ্ছে ব্যবসা যা প্রফিট করছে তা তো গাড়ির পিছনে খরচ করছে।
” কিন্তু এতো টাকা কই পেল? দুটো গাড়ি আরশের।
“দুটো কি ওর তো তিনটে গাড়ি। একটা আমার সাথে মিক্স করে টাকা দিয়ে কিনলো, একটা ও নিজে ইউজ করে আর আরেকটা ছোট চাচ্চু ইউজ করে।
নুসরাত বিস্মিত হয়ে মুখে হাত দিল। ব্যবসা করে যা টাকা পাচ্ছে সব শালা একা মেরে দিচ্ছে। তার ভাগ কই? সে ও তো সমান অংশীদার ব্যবসার। খুঁজ নিতে হিবে কো কোম্পানিতে আসলে কি হচ্ছে?
” ভাইয়া ব্যবসায় আরশের যতটুকু পাওনা তার থেকে দ্বিগুণ পাওনা আমার না?
“হ্যাঁ!
” তাহলে ও এতো টাকা পাচ্ছে আর আমি ফুটো কড়ির চোখ দেখি না। আরশ গাড়ির কালেকশন বানাচ্ছে আর আমি জুতো কিনার সময় টাকা খুঁজে পাই না। বাহ বাহ…. সব আমার সাথেই হয়। আমি ফকিন্নি হয়ে ঘুরছি আর আরশের বাচ্চা কোটিপতি হয়ে ঘুরছে। ব্যবসার টাকা ও কেন নিবে? ও কার পারমিশন নিয়ে টাকা নিয়েছে।
“কারণ ও ব্যবসা ডাউন থেকে আপ করেছে। এজন্য মেজ বাবা ওকে নিজের ইচ্ছে মতো খরচ করার পারমিশন দিয়েছেন।
” আপনি কেন তাহলে ওখান থেকে টাকা আনেন না?
“আমি প্রয়োজন বোধ করছি না। আমার নিজের জব দিয়ে আমার লাইফ আমি ভালোভাবে লিড করতে পারছি। তাহলে ব্যবসা থেকে টাকা আনব কেন? প্রয়োজন হলে তখন সেটা দেখা যাবে।
” সবাই ভালো লাইফ লিড করছে শুধু আমি গরীবের মতো লাইফ লিড করছি। ভাইয়া একটা কথা বলি আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিউর আরশ ব্যবসার টাকা মেরে দিয়ে গাড়ি কিনছে। আপনার টাকা আমার টাকা মারছে আরশ।
জায়ান ভাবনা চিন্তা করে বলল,
“সত্যি তো! এটা তো ভাবিনি।
” আপনি যেখানে আর্কিটেকচার হয়ে ওর থেকে গরীব ও সেখানে একজন মিলিয়নার। ও নিশ্চই আমাদের হক মেরে খেয়ে ফেলছে।
জায়ান মাথা নাড়াল,
প্রিয় প্রণয়িনী পর্ব ৩২
“হু হু ঠিক! তুমি একটু অফিসে গিয়ে খুঁজ নিয়ো তো আরশ আসলে এতো টাকা কই পায়? খুঁজ পেলে আমায় অবশ্যই জানাবে?
নুসরাত মাথা নাড়ালো। জায়ানের সাথে হাত মিলালো আজ থেকে তারা দু-জন পার্টনার। জায়ান ডিল করলো আর নুসরাতকে এটা মনে করিয়ে দিল তার সম্পত্তির দুই পার্সেন্টের ভাগিদার সে। নুসরাত বলল,” হ্যাঁ হ্যাঁ মনে আছে আপনার মনে করিয়ে দিতে হবে না। আপনার হক আমি মেরে খাব না। এই নুসরাত নাছির তার ডিলের বিষয়ে পাক্কা।