প্রিয় প্রণয়িনী পর্ব ৪৩ (২)
জান্নাত নুসরাত
ইসরাত চিন্তিত গলায় বলল,
“এক্সেক্ট কি করেছিস সেটা বল?
নুসরাত শব্দ করে হেসে বলল,
” এখনো তেমন কিছু করিনি ভেবেছি করবো। এখন ফোন রাখ আর তোর জামাইকে সময় দেয়। টা টা বেবি পরে কথা হবে।
নুসরাত ঝটপট ফোন রেখে দিল। জায়িন কিচেনের কাজ গুছিয়ে ড্রয়িং রুমে আসলো।
“শরীর এখন কেমন?
” আগের তোলনায় ভালো।
“বাসায় একা থাকতে পারবে।
ইসরাত মাথা নাড়ালো। জায়িন বলল,
” তাহলে আমি একটু অফিস হয়ে আসি। প্রয়োজনীয় কিছু কাজ ছিল। তুমি চাইলে তোমার ফ্রেন্ডকে কল করে ডেকে নিতে পারো।
ইসরাত আবার মাথা নাড়ালো। জায়িন নিজের রুমে গিয়ে রুম লক করে ফেলল। কিছুক্ষণ পরে রেডি হয়ে আসলো। সাদা রঙের শার্ট আর কালো রঙের প্যান্ট পরেছে।
ইসরাত খেয়াল করলো শার্ট জায়িনের শরীরের ভাঁজের সাথে আষ্টেপৃষ্টে লেগে আছে। পুরুষালি শরীরে এই শার্ট দারুণ মানিয়েছে।
“আসি, তোমার খেয়াল রাখো।
ইসরাত মাথা নাড়ালো। জায়িন এপার্টমেন্ট থেকে বের হতেই ইসরাত ক্যামেলিয়া কে কল করলো।
” হ্যালো ক্যামেলিয়া!
ক্যামেলিয়া উচ্ছাসিত গলায় বলল,
“হ্যাঁ বলো ইসরাইট।
ইসরাত ধীর কন্ঠে বলল,
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
” আমার রুমমেট এপার্টমেন্টে নেই। তুমি আসতে পারবে আমার এপার্টমেন্টে।
“আরে এটা জিজ্ঞাসার কোনো বিষয়। ক্যামেলিয়া এবার আস্তে করে বলল, তোমার রুমমেট রান্না করে গিয়েছে।
ইসরাত বুঝলো না ক্যামেলিয়া কেন এই কথা জিজ্ঞেস করছে তাকে। ইসরাত সহজ গলায় বলল, ” হ্যাঁ রান্না করে গিয়েছে। কিন্তু এ কথা কেন তুমি জানতে চাচ্ছ?
” আরে তেমন কিছু না, এমনিতে জানতে চাইলাম।
ইসরাত হালকা হেসে আবার বলল,
“আমার ফ্ল্যাটে একবার আসবে। আমার রুমমেট বাসায় নেই।
ক্যামেলিয়ার মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। তার কাছে মনে হলো মেঘ না চাইতে এটা বৃষ্টি।
” আরে এটা বলতে কল করেছিলে। আমি হাফ এন হাওয়ারের মধ্যে আসছি তোমার এপার্টমেন্টে।
“তাহলে ফোন রাখছি।
” হ্যাঁ রাখো আমি আসছি!
আধাঘন্টা পর ক্যামেলিয়া লিও কে নিয়ে ইসরাতের ফ্ল্যাটে আসলো। কলিং বেল বাজাতেই ইসরাত উঠে ধীরে গিয়ে দরজা খুলে দিল। দরজা খুলতেই ক্যামেলিয়া মাথা ঢুকাল দরজার ভিতর। দরজা ধরে ঝুলে ক্যামেলিয়া ভ্রু নাচিয়ে বলল,”ইসরাইট বেব, এখন তুমার শরীর কি অবস্থা।?
বিনিময়ে ইসরাত হালকা হাসলো।
“ইসরাইট ওই সুন্দর ছেলেটা কখন আসবে।
ইসরাত ভ্রু বাকিয়ে বলল,
“জানি না চলে আসবে কিছুক্ষন পর।
ইসরাত লিও আর ক্যামেলিয়াকে নিয়ে নিজের রুমে আসলো। ক্যামেলিয়া ইসরাতের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে লিও এর দিকে তাকালো।
” তুমি এখানে মেয়েদের মধ্যে কি করছ? যাও রুম থেকে বের হও। আমাদের মেয়েলি কথার মধ্যে তুমি কি করবে?
লিও রুমের বাহিরে যেতেই ক্যামেলিয়া পিছন থেকে মোটা একটা ব্যাগ বের করলো। ব্যাগের চেইন খুলে দুটো কাচের বোতল বের করলো। হাতে নিয়ে ইসরাতের চোখের সামনে নিয়ে বলল,” টাডা!
ইসরাত অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,
” এটা কি।
ক্যামেলিয়া বিরক্তিকর দৃষ্টি দিয়ে বলল,
“তুমি এই যুগের মেয়ে হয়ে এগুলো কি চিনো না।
ইসরাত দুই হাত নাড়িয়ে বলল,
“আরে আমি এটা বলি না। এগুলো দিয়ে তুমি কি করবে? আর এগুলো কেন নিয়ে আসছো?
ক্যামেলিয়া গলা স্বর বেড়ে গেল। ইসরাতের গলা জড়িয়ে ধরে বলল,”আরে বেব আমরা এগুলো দিয়ে পার্টি করবো। আই মিন আমরা দু-জন মিলে খাব।
“না, ক্যামেলিয়া এগুলো আমি খেতে পারবো না এগুলো আমার জন্য হারাম।
ইসরাতের কথা শুনে ক্যামেলিয়ার উজ্জ্বল মুখ ধপ করে নিবে গেল।
“আচ্ছা, তাহলে এগুলো আমি খাবো। তুমি তো আর বসে বসে আমার মুখ দেখবে না। তোমার জন্য অরেন্জ জুস নিয়ে আসি। আমার একা একা খেতে খারাপ লাগবে।
ইসরাত আর কিছু বলল না। ক্যামেলিয়া হাতের নিচে করে একটা অ্যালকোহলের বোতল নিয়ে ইসরাতের রুমে থেকে যেতে লাগলো।
ইসরাত ভ্রু বাঁকিয়ে বলল,
” তুমি অ্যালকোহল নিয়ে কোথায় যাচ্ছো?
ক্যামেলিয়া চুরের মতো মুখ লুকিয়ে ইসরাতের দিকে তাকালো। আমতা আমতা করে বলল,”আরে আমি তো এক প্যাগ ড্রিংকস কিচেনে তোমার জন্য অরেঞ্জ জুস বানাতে বানাতে খেয়ে ফেলবল।
ক্যামেলিয়া বোকা হাসল হে হে করে। রুমের দরজা খুলে আলগোছে অ্যালকোহল নিয়ে বের হয়ে গেল। কিচেনে গিয়ে ইসরাতের জন্য অরেঞ্জ জুস বানিয়ে নিয়ে আসলো।
নুসরাত গভীর মনযোগ দিয়ে কিছু একটা ভাবছে।আরশ এসে নুসরাতের মুখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলল ,”কি এমন চিন্তা করছিস। কখন থেকে ডাকছি শুনতে পাচ্ছিস না।
“তেমন কিছু না। বলুন কি বলবেন?
“বাসায় যাবো চল।
নুসরাত আর আরশ একসাথে কেবিন থেকে বের হয়ে আসলো। গাড়িতে উঠে চুপচাপ ড্রাইভ করতে লাগলো নুসরাত। আরশ কিছুক্ষণ পর পর নুসরাত কে দেখতে লাগলো। বিড়বিড় করলো,”এর আবার কি হলো? আজ এতো চুপচাপ।
বাড়িতে এসে নুসরাত কোনো কথা না বলে সোজা নিজের রুমে চলে গিয়ে আরশের মুখের উপর ঠাস করে দরজা বন্ধ করে দিল।গোসল করে বের হয়ে আসলো নুসরাত। খাবার টেবিলে বসে চুপচাপ খেতে লাগলো। ইরহাম এসে কিছুক্ষণ কথা বলার চেষ্টা করলো, নুসরাত কথার উত্তর দিল না।
“ইসরাইট বেব টাডা টেস্ট ইট। খেয়ে বলো কি রকম হয়েছে?
ইসরাত হালকা হেসে ক্যামেলিয়া কাছ থেকে জুস নিল।নিয়ে হালকা চুমুক দিল। ক্যামেলিয়া এত মধ্যে দু-গ্লাস মদ খেয়ে ফেলেছে।
“এইটার টেস্ট এইরকম অদ্ভুত কেন।
“আরে বুঝতে হবে না এটা কে বানিয়েছে। এইটা আমি বানিয়েছি তাই টেস্ট অন্যরকম। এই ক্যানেলিয়া যাই করে তার টেস্টই বদলে যায়। খাওতো বেশি কথা বল না।
ইসরাত আর কোনো কথা না বলে চুপচাপ খেয়ে ফেলল।ক্যামেলিয়া দুই তিন গ্যাপ খেয়ে পাগলের মতো ঢুলতে লাগলো এবং অদ্ভুত কথাবার্তা বলতে লাগলো। লিও এসে এই অবস্থা দেখে ইসরাত কে জিজ্ঞেস করলো,” কি হয়েছে ক্যামেলিয়ার?
ইসরাত ভাঙা স্বরে বলল,
“অ্যালকোহল পান করেছে।
লিও মাথায় হাত দিল। ক্যামেলিয়াকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলল,” এখানে আর থাকা যাবে না ইসরাইট। কিছুক্ষণ পর ও এক্সট্রিম লেভেলের পাগলামি করবে। আমি ক্যামেলিয়া কে নিয়ে আমার ফ্ল্যাটে যাচ্ছি। তুমি তোমার খেয়াল রাখতে পারবে।
ইসরাত মাথা নাড়ালো। লিও ইসরাতের থেকে বিদায় নিয়ে ক্যামেলিয়াকে ধরে ধরে নিয়ে চলে গেল। লিও আর ক্যামেলিয়া যাওয়ার পাঁচ মিনিট পর হঠাৎ, ইসরাতের মাথা ঘুরঘুর করতে লাগলো।
জায়িন আরও কিছুক্ষণ পর আসলো। এসে নিজের রুমে চলে গেল ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে ইসরাতের রুমের দিকে আসলো। ইসরাত অদ্ভুতভাবে জায়িন এর দিকে তাকালো।জায়িন ব্ল্যাক টি-শার্ট এর সাথে কার্গো প্যান্ট পারেছে। হাতের পেশিগুলো টি-শার্টের উপর দিয়ে দেখা যাচ্ছে। ইসরাত বেড থেকে আস্তে আস্তে নেমে আসলো জায়িনের কাছে। নিজের চোখ মোটা মোটা করে জায়িনকে দেখতে লাগলো।
ইসরাত জায়িনের বাহুতে চাপড় মেরে বলল,
“এই মালতো অনেক হট,ওয়াও তোমার বডি এত সুন্দর।
জায়িন ইসরাতের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকালো।
ইসরাত ঢুলতে ঢুলতে কথা জোরা লাগাতে লাগাতে বলল, “আরে তুমি আমার দিকে এইভাবে তাকাচ্ছো কেন? মনে হচ্ছে আমাকে এই প্রথম দেখছো।
ইসরাত কিছুক্ষণ চুপ থেকে জায়িনের গলা জড়িয়ে ধরলো। গলা ধরে এদিক-সেদিক ঝুলে বলল, “আমার বাসায় এত সুন্দর ছেলে আসলো কোথা থেকে? আমি কি মঙ্গলগ্রহে চলে এসেছি । না শুক্রতে চলে আসলাম, এই তুমি কি হিউলিয়াম গ্যাস নাকি। আমি কি তোমায় জড়িয়ে ধরতে পারি হিলিয়াম গ্যাস?
জায়িনের কিছু বলার পূর্বে ইসরাত জায়িনকে জড়িয়ে ধরলো। জায়িন গম্ভীর মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো। মুখ দেখে ওর প্রতিক্রিয়া বোঝা গেল না কি রকম? ইসরাত কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে থেকে সরে দাঁড়ালো। চোখ ঝাপটে ঝাপটে আবার কাছে এগিয়ে আসলো। জায়িনের দু-গাল নিজের হাতে মাঝে নিয়ে মুখ চুমু আকারের করলল। জায়িন ইসরাতকে এরকম করতে দেখে মুখ ফ্যাকাশে করে কিছুটা পিছন দিকে সরে গেল। ইসরাত হা হা করে হাসল। মাতাল কণ্ঠে বলল,”এদিকে আসো! আমি কিছু করবো না।
জায়িন এগিয়ে গেল না ইসরাতের দিকে। ইসরাত জায়িনের কাছে এগিয়ে আসলো। জায়িন কিছু বলার পূর্বেই ইসরাত তার এডামস অ্যাপেলে চুমু খেল। জায়িন স্তব্ধ হয়ে চোখ বড় বড় করে তাকালো ইসরাতের দিকে। ইসরাতকে ঠেলে দূরে সরাতে চাইলো ইসরাত জোকের মতো গলা পেঁচিয়ে ধরল। গলার ভাঁজে মুখ লুকিয়ে ভুসভুস করে শব্দ করতে লাগলো। জায়িন দূরে সরাতে গিয়ে দেখলো ইসরাত নিভু নিভু চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। ঢেঁকুড় তুলতেই মুখ থেকে ঝাঁঝালো বিশ্রি গন্ধ ভেসে আসলো।
মমো ফেইসবুক গাটা-গাটি করছিল। হঠাৎ, অননোন নাম্বার থেকে ওয়াটসএপে মেসেজ আসলো। মমো নাম্বার চিনতে না পেরে, আর রিপ্লে করলো না। অলস ভঙ্গিতে মোবাইল দেখতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর সেম নাম্বার থেকে কল আসলো। প্রথমে কল ধরলো না কেটে দিল পর পর আরও তিনবার কল আসার পর বিরক্ত হয়ে কল উঠালো মমো।
” হ্যালো! কি ভাই,কি সমস্যা বার বার ফোন দিয়ে কি বুঝাতে চাচ্ছেন আপনি ভদ্র ঘরের সন্তান? আর আপনি কে?
ঠান্ডা গলায় বলল অপরিচিত ব্যাক্তিটি,
“আমি কখন বললাম আমি ভদ্র ঘরের সন্তান।
কন্ঠস্বর শুনে মমো চুপ হয়ে গেল।
” কি এখন কথা বলছ না কেন? আর বার বার কল কেটে দিচ্ছিলে কেন? আর কেউ কল দিলে থাকে সালাম দিতে হয় এটা ও জানো না।
” আসসালামু আলাইকুম।
“ওয়ালাইকুম আস-সালাম। তুমি এত রাতে অনলাইন কি করো?
মমো কথাটা পুরোপুরি ইগনোর করে বলল,
“আপনি আমাকে কল কেন দিয়েছেন? আর আমার পিছনে এইভাবে ঘুরঘুর কেন করছেন? সোজাসুজি বলুন আপনার কি চাই?
অপরপাশের লোকটা শান্ত গলায় বলল,
“তুমি এতোটা ও ছোট নয় যে, আমি কেন তোমার পিছনে ঘুরছি এটা বোঝতে পারবে না?সোজা কথা বলি আমার তোমাকে ভালো লাগে। কেন লাগে?কীসের জন্য লাগে? এইসব আমি জানি না!
“এইসব ভালো লাগা কখন থেকে শুরু, আমার আর আপনার দেখাই বা কতবার হলো। ফালতু কথা বলবেন না তো বিরক্ত লাগে। আর আপনি আমার নাম্বার কোথায় পেলেন?
“ভালো লাগে কখন থেকে শুরু এটা বলতে পারবো না। কিন্তু ইসরাতের বিয়ের দিন যখন আমি তোমাকে দেখেছিলাম জানি না আমার কেমন যেন লেগেছিল। আর নাম্বার জোগাড় এইসব কোনো কঠিন কাজ নয়।তোমার কাছে আমাকে কেমন লাগে এইসব আমি জানতে চাইবো না, আমি আমার ভালোবাসা দিয়ে তোমাকে পাগল করবো আমাকে ভালোবাসতে। রাখি এখন অনেক রাত হয়েছে। ভালো থেকো নিজের খেয়াল রেখো। আর ঘুমিয়ে পরো।
মমো অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে তাকলো ফোনের দিকে। মুখের বিকৃতি ঘটিয়ে কল কেটে দিল। তারপর কিছুক্ষণ বিরক্তি নিয়ে ফোনের দিকে তাকিয়ে রইলো।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নুসরাত পরিপাটি হয়ে নিজের রুম থেকে বের হয়ে আসলো। খাবার টেবিলে বসতেই বাড়ির সবাই নুসরাতের দিকে অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে রইলো।
” কি, সবাই এইভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছো কেন?
নাজমিন বেগম বললেন,
“মা তোর কি শরীর খারাপ।
নুসরাত বিরক্ত হয়ে বলল,
“না, তা কেন?
“না মানে এতো সকাল গোসল করে,পরিপাটি হয়ে আসলি তাই জিজ্ঞেস করলাম।
নুসরাত কিছু বলল না, চুপ করে খেতে লাগলো।
খাওয়া শেষে ইরহামকে নিয়ে চলে গেল গাড়িতে। আরশ কিছুক্ষণ পর আসলো।
নুসরাত আরশের উদ্দেশ্য বলল,
“আজকে আপনাকে একজনের সাথে দেখা করাতে নিয়ে যাবো।
” কার সাথে।
“গেলেই দেখতে পাবেন।
প্রিয় প্রণয়িনী পর্ব ৪৩
দশ মিনিট পর নুসরাত একটা রেস্টুরেন্টে সামনে এসে গাড়ি পার্ক করলো। আরশকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বলল,” ভিতরে চলুন। গেলে দেখতে পাবেন।
ভিতরে ঢুকে কাউকে খুঁজতে লাগলো নুসরাত। কাঙ্কিত ব্যাক্তিকে খুঁজে পেয়ে নুসরাতের মুখে হাসি ফুটে উঠলো। নুসরাত সামনের দিকে এগিয়ে গেল। আরশ ভ্রু বাঁকিয়ে নুসরাতের পিছু পিছু গেল।