প্রেমঘোর পর্ব ১২
নার্গিস সুলতানা রিপা
নৌশিন সাদাদকে দেখে পুরো হা………
জোশ লাগছে সাদাদকে…কালো জিন্স-সাদা শার্ট তার উপর কালো বেল্স কোর্ট-ব্ল্যাক শো….পুরো হিরো হিরো লাগছে….কিন্তু সাদাদের মোড অফ দেখেই বুঝা যাচ্ছে….
“কি হলো??যাবে না নাকি পাঁচ টা বাজে…”(সাদাদ)
“হু…”(নৌশিন)
“কি হলো?”(সাদাদ)(নৌশিনের সামনে হাত নাড়িয়ে)
“কি বললে???”(নৌশিন)
“যাবে না??কি ভাবছো এতো??”(সাদাদ)
“তুমি কখন রেডি হলে??”
“তোমার সামনেই তো রেডি হলাম…মন-চোখ কোথায় ছিলো??”(সাদাদ)
“চলো এবার যাওয়া যাক না হলে লেট হয়ে যাবে..”(সাদাদ)
….সাদাদ দরজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কথাটা বলে…নৌশিন খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছে সাদাদ ওর কথাটার জন্য রেগে আছে সেই লেভেলে বাট আজ শুধু রিসেপশন থাকায় নৌশিনকে কিছু বললো না…নৌশিন আর কিছু না ভেবে দৌড়ে গিয়ে সাদাদকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো……
“সরি…আর বলবো না…প্লিজ আই এম সো সরি…”(নৌশিন)
“থাক..চলো”(সাদাদ)..এখনো রাগ ভাঙে নি ছেলেটার…
“না…আগে আমার সাথে ভালো ভাবে কথা কনটিনিউ করো..তারপর যাব”(নৌশিন)
“লেট হচ্ছে…ছাড়ো..”(সাদাদ)
“না…ছাড়বো না…বললাম তো সরি আর বললো না কোনো দিন”(নৌশিন)
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
…সাদাদ নৌশিনকে ছাড়িয়ে নৌশিনের দিকে ফিরে তাঁকায়….স্বাভাবিক গলায় বলে”আরেক দিনও বলা হয়েছিলো কথাটা…এবং পরে এটাও বলা হয়েছে আর বলবে না… রাখছো কথা???”(সাদাদ)
“আমার কি দোষ-আমার মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে….আর যাই হোক তোমাকে কারো সাথে শেয়ার করা আমার দ্বাড়া সম্ভব না…তাই…”(নিচের দিকে তাঁকিয়ে কথাগুলো বললো নৌশিন)
“এতো দিনে এই চিনলে? বাহ্….আমি জাস্ট মজা করছিলাম”(সাদাদ)
“সরি…আমি জানি তো মজা করছিলে বাট কেন জানি আমার খারাপ লাগছিলো তাই বলে ফেলছি….আমি আর বলবো না এমন কথা”(নৌশিন)
“ওকে…চলো”(সাদাদ)…সাদাদ মুখ গোমড়া করেই কথাটা বললো….তাই নৌশিন আবারও সাদাদের কাছে দৌড়ে যায় আর সাদাদ কিছু বুঝার আগেই সাদাদের পায়ের উপর দাড়িয়ে উঁচু হয়ে সাদাদের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবায়….এক হাতে সাদাদের মাথার পেছনের চুল গুলো শক্ত করে ধরে অন্য হাতে সাদাদের ঘারে ব্লাসিং করে অনবরত লিপ কিস করে যাচ্ছে….সাদাদ প্রথমে নৌশিনকে ধরেই নি…নৌশিন সেটা বুঝতে পেরে সাদাদেরর ঠোঁটে লাভ বিট দিতে থাকে….সাদাদ শেষ পর্যন্ত হার মানে নৌশিনের কাছে…আর পারছিলো না-না সারা দিয়ে…হাতের ফোনটা খাটে ছুড়ে মারে আর তারপর দুহাতে নৌশিনের মুখ টা ধরে চুষে নিতে শুরু করে নৌশিনের ঠোঁট…নৌশিন এখন আর সাদাদকে কিস করার সুযোগই পাচ্ছে না…সাদাদ নিজই নৌশিনের ঠোঁটে পাগলের মতো কিস করছে-কামড় দিচ্ছে-চুষে নিচ্ছে নৌশিনের ঠো্ট দুটো….প্রায় দশ মিনিটের মতো নৌশিনের ঠোঁটে ডুবে থাকে সাদাদ তার পর ঠোঁট থেকে মুখ সরিয়ে নৌশিনের গলার ফাঁকা অংশে(মানে যেখানে গহনা নেই)কিস করতে থাকে…..বিট দিতে থাকে…নৌশিন সাদাদের মাথায় চুলগুলো যেন ছিড়ে ফেলছে সব…সাদাদ পুরো গলায় কিস করছে পাগলের মতো কমড়ে হাত বুলাচ্ছে…নৌশিনের শ্বাস ঘন হয়ে আসছে….সাদাদ বুঝতে পারে নৌশিন মাতাল হয়ে গেছে ওর মতো…সাদাদ নৌশিনের গলায় একটা লম্বা কিস করে আবার ঐ জায়গায় আটকে যায়-জিহ্বা দিয়ে লেহন দেয় একই জায়গায়-নৌশিন সহ্য করতে না পেরে সাদাদের চুলগুলো আরও শক্ত করে ধরে ঘারে খাচমি দিতে থাকে…সাদাদ গলার একই অংশে আটকে যায়-চুষতে থাকে অংশটা-এক জায়গাতেই লাভ বিট দিয়ে যাচ্ছে……দুজনে যেন হারিয়ে গেছে আজনায়…কোনো এক সুখে মাতোয়ারা দুজনে…তলিয়ে যাচ্ছে বিশাল প্রেমঘোরে….
…সেই ঘোর কাটে যখন সাদাদের ফোনটা বেজে ওঠে…দুজনেই ধমকে যায়-কি করছিলো ওরা…দুজনেই ছেড়ে দেয় দুজনকে সাথে সাথে…নৌশিন লজ্জায় রাঙা হয়ে আছে একদম-কি শুরু করেছিলো ও-ভাবতেই লজ্জা লাগছে…তাি সাদাদের উল্টো দিকে মুখ দিয়ে দাঁড়ায়….সাদাদ নৌশিনকে দেখে মুচকি হাঁসে….তার মাঝেই ফোনটা রিং হয়ে থেমে যায়….. “বাহ্…রাগ ভাঙানোর ভালো উপায় জানো দেখছি☺☺…..আজকে থেকে বেশি বেশি মোড অফ আর রাগ করবো তাহলে বিনা খাটনিতেই এতো কিছু পাবো”(সাদাদ)
….”ধ্যাত…”….বলেই নৌশিন ওয়াশরোমে ছোটে যায়….সাদাদের ফোনটা আবারও বেজে উঠে….
“একি ভাবী???”(সাদাদ)
“ভাবী বাসায় তবু ফোন করছে….”(সাদাদ মনে মনে কথা গুলো ভেবে-ফোনটা রিসিভ করলো)
“হ্যালো…”(সাদাদ)
“তোদের রোমান্স শেষ হলো.??”(ভাবী)
“মানে???কোথায় তুমি??বাসা থেকেই ফোন দিচ্ছো আমি তো রোমেই আছি….”(সাদাদ)
“জ্বি না আমি বাসায় না…আমি সবাই কে নিয়ে পনেরো মিনিট আগেই সেন্টারে চলে আসেছি-বাসায় শুধু তুই আর তোর বউ..”(ভাবী)
“কি বলো??আমাদের রেখে সবাই চলা গেলে??ডাকবা তো একবার নাকি??”(সাদাদ)
“প্রাপ্তিকে ডাকতে পাঠিয়েছিলাম-এসে বললো তোদের দরজা ভেতর থেকে লক…নৌশিনকে নাকি পরী পরী লাগছে তাই তুই ওর সাথে রোমান্স করছিস সিউর-এটা ভেবে ও তোদের নক করে নি আর….আমায় এসে বললো যেন আমরা সবাই চলে আসি আর তোরা একটু রোমান্স করে চলে আসিস পড়ে।।।।প্রাপ্তির কথা শোনে আমি সবাইকে নিয়ে চলে আসলাম…বাট তোদের এখনও খবর নেই…আরে সারা রাত পড়ে আছে পরে করিস সব-এখন আয় অনেক লোক এসে গেছে এতক্ষণে….আমি তোদের জন্য গেটের ভেতরেই একটা গাড়ী রেখে এসেছি…জলদি আয় ভাই প্লিজ”(ভাবী)
“হায় আল্লাহ কি কাহিনী…ডাকলেই কিন্তু হতো…এতো কাহিনী হতো না….”(সাদাদ)
“তোর প্যাচাল ওফ করে জলদি আয়…আমি বাবা কে বলেছি নৌশিনের রেডি হতে একটু টাইম লাগছে পার্লারের লোক আসতে দেরি করছে তাই….এরপরে বাবা কিন্তু রেগে যাবে…”(ভাবী)
“আচ্ছা আসছি….রাখো…”(সাদাদ)
“আর শোন…সবার রোম লক করা আছে…আসার সময় নৌশিনকে আলমারিটা ভালো করে লক করে আসতে বলিস আর তোদের রোমটাও লক করে দিস…মেইন ডোর লক করতে হবে না টেক কেয়ার আছে…শুধু আলমারি আর রোমটা করিস-আলমারির ড্রয়ার ভর্তি নৌশিনের কালকের সব গহনা রেখে আসছি আমি-মায়ের লকারে রাখবো মনেই ছিলো না”(ভাবী)
“আচ্ছা…ঠিক আছে….রাখছি”(সাদাদ)
“হুম…বাই”(ভাবী)
…..নৌশিন ওয়াশরোমের আয়নায় নিজেকে দেখছে আর হাসছে☺☺…….
“নৌশিন বের হও…পড়ে লজ্জা পেও…৫.২০ বাজে বাসার সবাই আমাদের রেখেই চলে গেছে…এখনি যেতে হবে আমাদের”(সাদাদ)
….নৌশিন সাদাদের কথায় তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসে…আসার আগে একটা টিস্যু ভিজিয়ে আনে ঠোঁট আর গলাটা মুছার জন্য…..
“সবাই চলে গেছে???”(নৌশিন)(ওয়াশরোম থেকে বের হয়ে)
“হুম…সাড়ে পাঁচটা বেজে গেছে প্রায়…তুমি আর আমি তো প্রেমঘোরে চলে গেছিলাম….আমাদরে দরজা বন্ধ দেখে ডাকে নি আমাদের… ভাবী ফোন করেছিলো-চলো এখন হারি আপ….”(সাদাদ)
“ও তার আগে আলমারিটা ভালো করে লক করো…তোমার সব গহনা নাকি এখানে-লক করো তাড়াতাড়ি”(সাদাদ)
“ও।।।করছি”
“তুমি লক টা করো আমি চোখে মুখে একটু পানি দিয়ে আসি যা করলাম দুজনে-মুখ ওয়াশ না করলে সব বুঝা যাবে….বাই দ্যা ওয়ে,তোমার লিপস্টিক তো এক রকম ই আছে-ঠোঁটে ঝড় বইয়ে দিলাম আর লিপস্টিক কিচ্ছু হলো না??”(সাদাদ)
“আরে বারো ঘন্টার আগে এটা সাবান দিয়ে ঘষলেও উঠবে না তাই….”(নৌশিন)
“বাহ্….আগে জানলে ফার্স্টেই শুরু করতাম…নষ্ট হওয়ার ভয়ে কিছু করি নি..বাট তুমি শুরু করার পর হারিয়ে গেছি”(সাদাদ)
“হয়েছে…যাও চোখে মুখে পানি দিয়ে আসবা নাকি আসো যাও জলদি”(নৌশিন)
.. সাদাদ ওয়াশরোমে ডুকে…নৌশিন আলমারি লক করে…
..সাদাদ ওয়াশ রোম থেকে বেরিয়ে…”নৌশিন টাওয়েল টা দাও আমার…”(সাদাদ)
“ওয়েট…”(নৌশিন)
…নৌশিন সারা রোমে তাঁকায় কোথাও সাদাদের টাওয়েল নেই…
“কোথায় তোমার টাওয়েল??”(নৌশিন)
“খাটেই তো রাখলাম…..কোথায় গেলো…”(সাদাদ)
“আচ্ছা…আমার টা ইউজ করবে??”(নৌশিন)
“আরে দাও…”(সাদাদ)
…নৌশিন ড্রয়িং টেবিলের সামনে থেকে নিজের টাওয়েল টা সাদাদের হাতে দেয়…সাদাদ মুখ মুছছে…নৌশিন হাতের ভেজা টিস্যুটা নিয়ে ড্রয়িং টেবিলের সামনে যায়….যদিও কিছু বুঝা যাচ্ছে না তবু না একটু না মুছলে আনইজি লাগবে..তাই ঠোঁট টা মুছলো প্রথমে…গলা মুছতে যাবে এক পাশে মুছে অন্য পাশে হাতটা নিয়েই আয়নার দিকে তাঁকিয়ে চিৎকার দেয়…”আ…..সাদাদ”(নৌশন)
“কি হলো আবার???”(সাদাদ)
“এই দিকে এসো…”(নৌশিন)
…সাদাদ গেলো কাছে…”কি হয়েছে….লেট হচ্ছে তো বাবা রাগা রাগী করবে এরপর…আর তোমার বাড়ীর লোকও চলে এসেছে মে বি এতক্ষনে”(সাদাদ)
“আরে আসুক…আগে দেখো এটা কি(গলায় হাত দিয়ে)”(নৌশিন)
…সাদাদ নৌশিনের গলার দিকে তাঁকিয়ে ভ্যাবাচেকা হয়ে গেছে….সাদাদ অনেকক্ষণ যাবাত গলার এক জায়গাতে কিস+লাভ বিট+চুষে নেওয়ার কারণে সে জায়গাটা কালো হয়ে গেছে….বিবাহিত যে কেউ দেখলে বুঝে যাবে এটা কিসের দাগ…তাছাড়া পুরো সাদা গলায় এই কালো দাগ টাতেই সবার নজর যাবে আগে….গহনা গুলো দেখতেও যদি কেউ আগে নৌশিনের দিকে তাঁকায় তো ওর আগে নৌশিনের গলার দাগ টা দেখতে হবে….(ফর্সা কম হলে এতোটা কালো হতো না জায়গাটা…বুঝো এবার ফর্সা বেশি হওয়ার জ্বালা)
“বোকার মতো দাড়িয়ে না থেকে বলো কি করবো??”(নৌশিন)
…সাদাদ হা করে বোকার মতো তাঁকিয়ে আছে এখনও..নৌশিন আবার বলে..”এই সাদাদ…আমার মান সম্মান সব শেষ হবে আজকে😞😞😞”
…সাদাদ এবার কথা বলে…
“ফর্সা হওয়ার শাস্তি তোমার”(সাদাদ)
“এখন ফর্সা হওয়ার দোষ নাকি???এক জায়গায় এত কিছু করলে এমনি হবে…”(নৌশিন)
“আচ্ছা..বাদ দাও…এখন কথা বাড়িয়ে লাভ নেই…কি করা যায়…শুধু যে তোমার মান সম্মান যাবে তা না আমার টা পুরো ধুলার সাথে গড়াগড়ি খাবে-যে পরিমাণ লোক আসবে… আল্লাহ “(সাদাদ)
…নৌশিন মেকাপ বক্সটা খুলে জায়গাটায় মেকাপ করা শুরু করে বাট তবু বুঝা যাচ্ছে…”সাদাদ তোমার জন্য😡😡….আস্তে করতে পারো না কিছু সব সময় শক্তি বেশি দেখাতে হবে ওনার😡😡”(নৌশিন)
“শক্তি থাকলেই দেখানো যায় না থাকলে নয়”(সাদাদ)
.. আবার ফোন বেজে উঠলো সাদাদের…নৌশিন কথা না বাড়িয়ে এবার পেনকেট লাগাতে শুরু করে…
“হ্যালো..”(সাদাদ)
“কই তোরা…পাঁচ মিনিট লাগে না আসতে…কি করতেছিস তোরা…বাবা বারবার প্রশ্ন করতেছে আমাকে…নৌশিনের বাসার সবাই এসে গেছে অলরেডি”(ভাবী)
“ও…জাস্ট ফাইভ মিনিট ভাবী…আসছি”(সাদাদ)
“তাড়াতাড়ি প্লিজ”(ভাবী)
…………..”নৌশিন হলো??”(সাদাদ)……..
“নাহ😞😞😞…”(নৌশিন)
….দুজনে কিছুক্ষণ চুপ করে বসে কি করা যায় ভাবছে….কিছুক্ষণ পর…
“সাদাদ তোমার সেভিং ক্রিম আছে না???☺☺”(নৌশিন)(মুখে হাঁসি নিয়ে)
“হুম আছে..কি হবে ওটা দিয়ে…?”(সাদাদ)
“আগে বলো কোথায়??”(নৌশিন)
“ওয়েট….তোমার আনতে হবে না আমিই এনে দিচ্ছি”(সাদাদ)
..সাদাদ ওয়াশরোম থেকে সেভিং ক্রিম টা এনে নৌশিনের হাতে দিলো…
“থ্যাঙ্ক ইউ..একটু পানি প্লিজ”(নৌশিন)
…সাদাদ টি টেবিলে রাখা গ্লাসটা নৌশিনের কাছে দিলো…নৌশিন দ্রুতগতিতে যে মেকাপটা করেছিলো জায়গায়টায় সেটা একটা টিস্যু ভিজিয়ে তুলে নিলো-মেকাপ করার কালো টা আরও বেশি বুঝা যাচ্ছিলো-তাই তুলে ফেলে…এরপর ডে ক্রিম+সেভিং ক্রিম একসাথে মেশায় হাতের তালুতে নিয়ে…কটনে আরও একটু সেভিং ক্রিম নিয়ে প্রথমে জায়গা টায় লাগায় পরে মিশ্রন করা ডে+সেভিং ক্রিমটা পুরো গলায়….এবার গলাটা সব জায়গা সমান ফর্সা দেখাচ্ছে-কিন্তু কালো দাগটা তবুও একটু বুঝা যাচ্ছে…তাই আবার একটু পানি+এক ফোঁটা সেভিং ক্রিম+পেনকেট হাতে নিয়ে গুলায় তারপর কটন দিয়ে কালো জায়গাটাতে লাগিয়ে নেয়…..এবার আর কিচ্ছু বুঝা যাচ্ছে না….
“সাদাদ কমপ্লিট ☺☺”(নৌশিন)
“আল্লাহ্….বাঁচালে তুমি আমায়…এবার তাড়ি তাড়ি যাই এসো..”(সাদাদ)
“হুম…দাঁড়ান…এটা একঘন্টা পর্যন্ত থাকবে মাত্র কিন্তু আমায় দশটা পর্যন্ত থাকতে হবে সেখানে..”(নৌশিন)
“তাহলে উপায়.??”(সাদাদ)
….নৌশিন সাদাদের কাবার্ড টা খুলে কিছু একটা খুছজে…”কি খুজো??”(সাদাদ)
…নৌশিন কথা না বলে খুঁজে চলেছে…
“এই নাও…”(নৌশিন)
“গরমে মাফলার??আর এতো ছোট টা??”(সাদাদ)
“হুম।।আমি এক ঘন্টা নরমালি সবার সাথে হাই হ্যালো করে যাবো কিছুক্ষণ পরে আমি একটা কোল্ড ড্রিংস খাবো তারপর গলা ব্যাথা হবে যেটা আমি তোমায় জানাবো তুমি এই মাফলারটা আমাকে দিবে পরার জন্য,আন্ডারসেন্ড”নৌশন)
“এতো কিছুর কি দরকার,চলো পাশেই তে কত হসপিটাল একজন ডক্টর দেখিয়ে আনি এমন কিছু মেডিসিন দিবে লাগানোর জন্য যাতে দাগটা ওঠে যায় কিছু সময়ের মাঝেই”(সাদাদ)
“কিহ্…আমি ডক্টরের কাছে যাবো??তোমার মাথা খারাপ.. শোনো ডক্টররা বুঝে কিসে দাগ হয়….আর এখানে তোমার ঠোঁটের ছাপটাও বুঝা যাচ্ছে আমার কাছে তো ডক্টর আস্ক করলে আমি কি বলবো?আমার হাজবেন্ড কিস করেছে??তারচেয়ে আমি যেটা বলেছি সেই আইডিয়াটা মোর বেটার-প্লিজ সাদাদ আমি কিন্তু লজ্জায় পড়ে যাবো কেউ বুঝলে তুমি কিন্তু খেয়াল রাখবা দাগটা বুঝা যাচ্ছে কিনা…আমার মনে হয় না এক ঘন্টার আগে বুঝা যাবে তবুও তুমি কিন্তু লক্ষ্য রাখবা,সেখানে তো আর আয়না পাবো না সবার সামনে যে দেখবো-প্লিজ”(নৌশিন)
“ওকে…চলো”(সাদাদ)
“আরে মাফলার টা ডুকাও পকেটে…”(নৌশিন)
“ও।।।যেন পকেটে ডুকে আমার সেই মাপে নিয়েছো দেখছি…তা লোকে কি এটা বলবে না আমি মাফলার নিয়ে ঘুরি??”(সাদাদ)
..নোশিন সাদাদের পকেটে মাফলার টা ডুকিয়ে…”আরে..আমাদের দেরি হচ্ছে কারণ আমার গলাটা একটু একটু ব্যাথা করছে তুমি আমায় মেডিসিন এনে খাওয়াতে খাপয়াতে লেট হয়ে গেছে তো ডক্টরের পরামর্শ মেনেই তুমি মাফলার টা সাথে করে এনেছো যেন ব্যাথা বেশি হলে পড়াতে পারো”(নৌশিন)
…দুজনে রোম থেকপ বের হয়, সাদাদ রোমে লক করেছে”এতোগুলো মিথ্যা বলবে তুমি??আমি না হয় পারবো??তুমি তো মিথ্যা সহ্য কম করো…”(সাদাদ)
“আরে…এই টুকু মিথ্যা অভিনয় না করলে আমার মান সম্মান থাকবে না যে…আর আমার কাছে আমার পেরটিস টা খুব দামী…আর এটা বুঝা গেলে তোমারও প্রেসটিসের বারো টা বাজবে…তার চেয়ে এই মিথ্যাটা বলে বাঁচতে হবে….আল্লাহ তুমি আমায় মাফ করো প্লিজ”(নৌশিন)(উপরের দিকে তাকিয়ে)
“ওকে…কি আর করার”(সাদাদ)
“হুম..আর সবাই জানপ আমার একটু ঠান্ডা পানি ধরলেই ঠান্ডা লাগে সো এটা সহজেই বিশ্বাসযোগ্য হবে যে আমার টনসেলে ব্যাথা হচ্ছে”(নৌশিন)
“বুদ্ধি আছে☺☺☺”(সাদাদ)
…কথা বলতে বলতে দুজন খুব দ্রুত সিড়ি দিয়ে নামছে..রিদি ড্রয়িং রোমপ বসে টিভি দেখছে-সাদাদের সেটা চোখে পড়ে নি বাট নৌশিন দেখেছে…
“এ মা..সাদাদ রিদি যায় নি??”(নৌশিন)
..এবার সাদাদও খেয়াল করলো..মনে মনে সাদাদ খুশিই হয়েছে এই বদমাইশ মেয়ে টা যায় নি বলে…
“ওহ্…থাক…ইচ্ছে হয় নি যায় নি…তুমি দ্রুত হাঁটো..আর তুমি ওকে রিদি রিদি করে কেন ডাকো…??আপু বলবা…এই মাইয়া বুড়ি মাইয়া তোমার বয়সের তুলনায়…দেখবা তুমি আপু ডাকলে রাগে জ্বলবে☺☺”(সাদাদ)
“কি বলো?আমি তো মনে করেছি প্রাপ্তির এজের হবে..তাই তো নাম ধরে ডেকেছি..আচ্ছা তাহলে আপুই বলবো এখন থেকে”(নৌশিন)
“হুম…আমার সেইম এজ…”(সাদাদ)
“ও…দেখে বুঝা যায় না…অনেক সুন্দর দেখতে ওনি☺☺”(নৌশিন)
“আজাইরা একটা…”(সাদাদ)
“চুপ।।কি বলো…থামো-শোনবে তো”(নৌশিন)
…দুজনে ড্রয়িং রোমে এসে-সাদাদ মেইন গেটের দিকে যেতে থাকে আর নৌশিন সোফার দিকে রিদির কাছে….রিদির মেজাজ টা চটে আছে বাট নৌশিন সেটা বুঝে নি….
“আপু…তুমি যাবে না?”(নৌশিন)
…সাদাদ এবার পেছনে তাঁকায়…নৌশিন যে রিদি কে ডাকতে গেছে এটা বুঝতে পারে…রিদি কি রকম বিহেভ করবে নৌশিনের সাথে সেটা দেখার জন্য সাদাদও এগিয়ে যায়….
“কি হলো…আপু??যাবে না?”(নৌশিন)
..রিদি কোনো কথা বলছে না রাগে গিজগিজ করছে…নৌশিন ওর কাছে গিয়ে হাতটা ধরে ফেলে”আপু চলো না-রেডি হয়ে নাও আমরা ওয়েট করছি তোমার জন্য,এক সাথে যাই চলো..”(নৌশিন)
…এবার রিদি ক্ষেপে যায়….নৌশিনের হাতটা ছিকটে ফেলে দেয়….নৌশিন পুরো অবাক কিছুই বুঝতে পারলো না কি হলো…সাদাদ দেখতে পেলো রিদি কেমন করে নৌশিনের হাতটা ছিটকে ফেলেছে তবুও মাথা ঠান্ডা রেখে কিছু বলে নি….কিন্তু এরপরে রিদি যা করেছে সাদাদ সেটা মেনে নেয় নি…
“তোমার সাহস কি করে হয় আমার হাত ধরার???”(রিদি)
…নৌশিন কি বলবে বুঝতে পারছে না-একটা মেয়ে আরেকটা মেয়ের হাত ধরলে কি এমন হয়??আর তার উপর। রিলেটিভ…মাথায় ডুকছে না নৌশিনের বিষয় টা তাই চুপ করে দাড়িয়ে আছে…
“কি হলো…পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে আছো কেন???আমার প্রশ্নের উত্তর দাও…”(রিদি)
“সরি…”(নৌশিন নিচের দিকে চেয়ে কথাটা বলে)
“ফাজিল মেয়ে….তোমার সেই ফালতু রঙ তামাসার অনুষ্ঠানে যাওয়ার মতো আজাইরা সময় আমার নেই….যেতে পারো তোমরা…আর আমার সাথে এর পর থেকে এইরকম হাত ধরাধরি করে কথা বলতে আসবে না-আমি জাস্ট নিতে পারি না”(রিদি)
….সাদাদ অনেকক্ষণ দাঁতে দাঁত চেপে সব সহ্য করছে বাট রিদি নৌশিনকে ফাজিল মেয়ে বলায় ওর মাথায় যেন রক্ত উঠে গেছে…নৌশিন মাথা নিচু করে চলে আসছিলো সেখান থেকে আসলে ওর খুব খারাপ লাগছিলো-এমন একটা বিহেভ আশা করে নি ও….সাদাদ নৌশিনের হাত ধরে রিদি সামনে যায়….রিদিও বসা থেকে ওঠে দাঁড়ায়…
“শোনো…আমার বউ নৌশিন…তোমার সাহস কি করে হয় ওর সাথে এমন করে কথা বলার?”(সাদাদ)
“ড্যাম ইউর বউ…একটা পুচকে পুতুল ও…”(রিদি)
…নৌশিন হা হয়ে ওদের কথা শুনছে…একটা সিম্পল বিষয়ে এতো কিছু হবে সেটা ওর জানা ছিলো না….
“রিদি জাস্ট শ্যাট আপ…ওর সাথে নেক্স টাইম এমন করে কথা বললে তোমার কি অবস্থা হবে তুমি ভাবতে পারবে না।।।আর কি যেন বললে ওর আজাইরা অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় নাই তোমার??তুমি কি পরিমাণ আজাইরা সেটা তো বুঝায় যাচ্ছে…দেখছো তো স্টার জলসা…”(সাদাদ)
…সাদাদ রেগে জোরে জোরে কথা গুলো বলছে…আরও কিছু বলবপ তার আগেই নৌশিন থামিয়ে দেয়…
“সাদাদ থামো প্লিজ…বাদ দাও না…লেট হচ্ছে চলো..”(নৌশিন)
…নৌশিন সাদাদকে এক রকম টেনেই সরিয়ে নিয়ে আসে রিদির সামনে থেকে যেনো ওর মাথাটা আরও গরম না হয়….
“চলো…লেট হচ্ছে”(নৌশিন)
প্রেমঘোর পর্ব ১১
….সাদাদ আর কোনো কথা বাড়ায় না নৌশিনকে নিয়ে গাড়ীতে ওঠে যায়…আর রিদি রাগে ফুলছে সাদাদের কথা গুলো…
ইশ বউ…আমার পায়ের নখেরও অযোগ্য মেয়ে একটা”(রিদি)(মনে মনে এইসব ভাবছে আর ফুলছে)
…এদিকে সাদাদ নৌশিনকে নিয়ে ড্রাইভ করা শুরু করে……………………..