প্রেমঘোর পর্ব ২১
নার্গিস সুলতানা রিপা
“আসলে হচ্ছিলাম ভাবী…..”
নৌশিনকে সরিয়ে দিয়ে তার ভাবী ভেতরে ডুকে যায়।
সাদাদ সে সময় শার্ট টা পড়ে নিচ্ছিলো,বুঝতে পারেন ভাবী।তাই মিটমিট করে হাঁসতে থাকে।
নৌশিনের ভাবী সার্ভেন্টকে খাবার রেখে চলে যেতে বলে।
মুচকি হেঁসে বলল,
“তাহলে এ জন্য ই আমার ননদ চেন্স টা পর্যন্ত করে নি…..”
“ভাবী!!!!!!!!……..”
“আসলে ভাবী ও না ছাড়ছিলো ই না……”
“আ……”
“ওওওও…….নৌশিন???”
নৌশিন রাগী চোখে সাদাদের দিকে তাঁকায়…..সাদাদ টান দিয়ে নৌশিনকে ভাবীর সামনে নিজের সাথে চেঁপে ধরে……..
“আসলে ভাবী কি বলেন তো……এত সুন্দর বর তো তাই মনে হয় ওর ছাড়তে ইচ্ছে করে না……..”
নৌশিন নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্ঠা করেও পারছে না……
সাদাদ আর নৌশিনের ভাবী এক টার পর একটা দুষ্টুমি করেই যাচ্ছে নৌশিনের সাথে।
আর নৌশিন তো লজ্জায় পুরো জমে যাওয়ার অবস্থা।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“ম্যাডাম,ভাবী তো চলে গেছে এখন চেন্স টা করে আসুন……”
নৌশিন কমড়ে হাত রেখে সাদাদেরর সামনে দাঁড়িয়ে বলল,
“হুম…ভাবীর সামনে কি শুরু করেছিলে??তুমি না আসলেই একটা নির্লজ্জ”(নৌশিন)
“যাহ্ বাবা,আমি নিজের বউকে নিয়ে যা খুশি করবো,বলবো আমার ইচ্ছা সেটা,কার সামনে বা কখন করবো ভাবার সময় আমার নেই…….”(সাদাদ)
“হুম,থাকবেই না তোমার আমাকে লজ্জায় ফেলে মজা পান তো আপনি!!তার জন্য এতো কিছু…..”
“লজ্জা!লজ্জা!লজ্জা……..ইশ মুখ পুরো লাল হয়ে আছে রে…..এভাবে লজ্জা পেলে আমার যে আগুন লেগে যাবে জান,সে আগুনে তোমাকে পুরিয়ে মারার ইচ্ছা জাগবে জান সো এতো লজ্জা পেও না প্লিজ…..”
“উফফ!সাদাদ,তুমি না পারো সত্যি…….এখন দয়া করে যাও ফ্রেস হও…..আর শার্ট টা খুলে দাও আমি ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে আসি….ভাবী তো ঘুমাতে চলে গেলো সো আমাকে এই ওয়াশরোমেই যেতে হবে,তুমি আগে যাও…….”
“এখন কিছু ওয়াশে দিতে হবে না,চলো একসাথে ওয়াশরোমে ডুকি…….”
“কিহ্…..??”
“হুম,অবাক হওয়ার কি আছে?হাজবেন্ত ওয়াইভ একসাথে ওয়াশরোমে যায় না নাকি??”
“কোনো কথা না হাত টা ছাড়ো আর যাও প্লিজ,কাল তো সারা রাত ঘুমায় নি আর দিনেও না এট লিস্ট এখন একটু ফ্রেস হয়ে এসে একটা ঘুম দাও…..”
“আরে ধ্যাত ধ্যান দেওয়া শুরু করছো কেন??চলো তো….”
সাদাদ নৌশিনকে টানতে টটানতে ওয়াশরোমে নিয়ে যায়…..নৌশিন ছুটার অনেক চেষ্ঠা করেও ব্যর্থ হলো…….সাদাদ ওয়াশরোমে ডুকে দরজা লাগিয়ে দেয়…..”এখন চুপচাপ আমার সাথে সাওয়ার নিবে…..আর আমার যা যা করার ইচ্ছা আমি কিন্তু তাই করবো…..”
“কি হচ্ছে সাদাদ….এতো রাতে???আচ্ছা অন্য কেনো দিন…আর তুমি বেনারসি সহ আমাকে সাওয়ারের জন্য নিয়ে আসলে কেন???আমি একটা ভেজাবো না…
তুমি সাওয়ার নাও আমি আসছি……”
নৌশিন বাইরে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই সাদাদ ওর হাত ধরে ফেলে…এক টানে বেনারসিটা খুলে স্ট্রেমি রাখে………
“আরে কি করছো???”(নৌশিন)
“যা করার তাই করছি…..”
সাদাদ নৌশিনকে জোর করে ঝর্ণার নিয়ে যায়….ঝর্ণা চালু করে দেয়…নৌশিন নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চাইলে সাদাদ নৌশিনকে আরও কাছে নেয়…..কমড়ে হাত দিয়ে নৌশিনকে আরও কাছে নিয়ে নিজের সাথে লেপ্টে নেয় একদম…….ঝর্ণার পানিতে দুজনের ভিজে একাকার অবস্থা……..
“তোমাকে না এই ড্রেস আপে খুব হট লাগছে যদিও তুমি এখন কুল পানিতে আছো……”
নৌশিন নিশ্চুপ….সাদাদের সাথে ভেজা শরীর নিয়ে লেপ্টে আছে ও… ওর ফিলিংস টা ওকে শেষ করে দিচ্ছে…..সাদাদের শিক্ত শরীর হারিয়ে গেছে সে….
“এক কথায় তোমাকে সেক্সি লাগছে খুব……”
সাদাদ ঝর্ণার পানির বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়…….”এই পানিগুলো তোমার সারা শরীর বয়ে যাচ্ছে……আমার তো সহ্য হচ্ছে না…… “বলে সাদাদ ঝর্ণার বেগ কমায়….কম বেগে পানি পড়ছে আর সাদাদ নৌশিনকে দেওয়ালের সাথে মিশিয়ে ওর গাল থেকে পানির ফোঁটা গুলো চুষে নিতে থাকে….ব্লাউজের হুক গুলো এক এক করে খুচছে আর সে সময় এমন ভাবে পিঠ ছুঁয়ে দিচ্ছে নৌশিন পুরো মাতাল হয়ে গেছে…..তবু সামলে নিতে বলে উঠে”প্লিজ কি করছো…?ছাড়ো না…..”
সাদাদ নৌশিনের কথা শোনছে না….সাদাদ নৌশিনকে উল্ঠো করে ঘুরিয়ে নিয়ে ব্লাউজ টা এক টানে খুলে ফ্লোরে রাখে,নৌশিন লজ্জায় শেষ হয়ে যাচ্ছে ওর শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত বেড়ে চলেছে…….নৌশিনের প্রতিটা শ্বাস ওর পিঠে ঢেউ সৃষ্টি করছে……সাদাদ নৌশিনের চুলগুলো সামনে দিয়ে পিঠে পাগলের মতো চুমু দিতে থাকে…চুল বেয়ে একটু পানি বের হতেই চুষে নিচ্ছে-নৌশিন আর পারছে না,ওর ভেতরে যে সাদাদ ঝড় বইয়ে দিয়েছে……..সাদাদ এবার নৌশিনকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়-নৌশিন পুরো কাঁপছে,চোখ দু টো বন্ধ করে ফেলেছে অনেক আগেই……নৌশিনের উন্মুক্ত বুকে সাদাদ নেশান্বিত চোখে তাঁকিয়ে আছে……চুমু দিতে থাকে,হাজার হাজার সুখ পাখি উড়ে যাচ্ছে নৌশিনের মন আকাশে…….সাদাদ এক হাত নৌশিনের পিঠে আর অন্য হাত কমড়ে দিয়ে বুকে পড়ে থাকা প্রতিটা পানির ফোঁটা চুষে নিচ্ছে…..
নৌশিনের সারা দেহে ঝড় বয়ে দিয়েছে সাদাদ……না নৌশিন আর পারছে না…সাদাদের চুলগুলো মুষ্ঠিবুদ্ধি করে ফেলে-খামচে ধরে সাদাদের ঘাড়….সাদাদ আরও গভীরে চলে যাচ্ছে বুকের…….নৌশিনও হারিয়ে গেছে সাদাদের ভালোবাসার স্রোতে…..তাই কোনো বাঁধা মানছে না দুজনে…সাদাদ নৌশিনের বুক থেকে মুখ সরিয়ে নৌশিনের মুখের দিকে তাঁকায় এখনো চোখ বন্ধ মেয়েটার-সাদাদ পাগলের মতো নিজের শার্ট গেন্জি খুলে ছুড়ে ফেলে ওয়াশরোমে….নৌশিনের ঠোঁট গুলো কাপছে সাদাদ আর লোভ সামলাতে পারছে না,নৌশিনের দু গালে হাত রেখে চেপে ধরে নিজের ঠোঁটে এই সিন্গ্ধ ঠোঁট দুটো।।।।।অসংখ্য চুমু দিচ্ছে নৌশিনের মার্ধয ভরা ঠোঁটে….নৌশিনও সমান তালে চুমু খেয়ে যাচ্ছে।।।কেউ কারি চেয়ে কম যাচ্ছে না……..!!!বাট
এতো রাতে কি হলো এটা!
কি সুন্দর বাথ রোমে রোমান্স করছিলো বর-বউ
তার মাঝে কার এতো দরকার পড়লো??
কখন থেকে সাদাদের মরার অাধ খাওয়া আপেল টা বেজে চলছে…..
অনেক আগে থেকে ই বেজে চলেছে কিন্তু ওদের কান পর্যন্ত সাউন্ড এসে পৌঁছায় নি……পৌঁছাবেই বা কি করে যে রোমান্স চলছিলো….কিন্তু অনেক সময় ধরে ফোন টা জালাচ্ছে,নৌশিনের ঘুর আগে কাটে বরাবরের মতো সাদাদের আগে………কিন্তু ছাড়তে ইচ্ছে হচ্ছে না,সাদাদের ভালবাসায় ডুবে থাকতে চাইছে ভালবাসা প্রেমী মনটা……আবারও ফোনের আওয়াজ ভেসে আসছে,নিশ্চয় কোনো দরকারে কেউ কল করছে তা না হলে এতো রাতে এতো বার করে,এমনি এমনি তো ফোন দিবে না……..তাই নৌশিন সামলে নিচ্ছে নিজেকে,ছাড়াতে চাইছে নিজেকে………
আরে!সাদাদ তো হারিয়ে গেছে একদম….ছাড়া তো দূরের কথা আরও গভীর ভাবে ঠোঁটে চুমু খাচ্ছে….কিন্তু ফোনটা যে একনও বেজে চলেছে….নৌশিন আবারও সাদাদকে সরানোর চেষ্ঠা করে,কথা বলারও কোনো উপায় নেই…..নৌশিন ছাড়াতে চাওয়ায় সাদাদ আরও শক্ত করে চেপে ধরে নৌশিনকে…..
!
ছাড়ানোর কোনো উপায় খুজে না পেয়ে পাশে থাকা হ্যান্ডওয়াশের বোতল টা হাতে নিয়ে সাদাদের ঘারে স্প্রে করে দেয়-হ্যান্ডওয়াশে লেবুর ফ্লেবার আছে সেটা জেনে নৌশিন কাজ করে ফেলে কারণ সাদাদ লেবুর ফ্লেভার নিতে অস্তস্বিবোধ করে…….
বেশ খানেকটা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে দেয় নৌশিন-সাদাদ প্রথমে কোনো ভ্রুক্ষেপ না করলেও পরে ঠিক বুঝতে পারে গন্ধটা আর নৌশিন আবারও স্প্রে করে বাট এবার ঘারে না করে ডিরেক্ট সাদাদের মুখের কাছে……সাদাদ সামলাতে না পেরে নৌশিনকে ছেড়ে দেয়…..দুজনেই হাঁপাতে থাকে…….সাদাদ নৌশিনের দিকে চোখ ছোট করে তাঁকিয়ে থাকে-নৌশিনের হঠাৎ খেয়াল হয় ওর বুকে কোনো কাপড় নেই আর সাদাদ কেমন ভাবে চেয়ে আছে তাই লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি চুল গুলো সামনে নিয়ে আসে-মোয়েটার চুলগুলো এতোটাই ঘন যে সর্ম্পূন বুক ডেকে যায়…….
সাদাদ নৌশিনের এমন কান্ডে মুচকি হাঁসে-তাতে নৌশিনের আরও লজ্জা লাগছে…………
ইশশ কাল তো ড্রিম লাইটে খালি গায়ে ছিলো বাট আজ তো বাথরুমের ধবধবে ওয়াইট বোল্ড এর্নাজি লাইটের সামনে-ভাবতেই নৌশিন লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে একদম………………
সাদাদ আবারও এগিয়ে আসে নৌশিনের দিকে….নৌশিন মাথা নিচু করেই বুজতে পারে সেটা….তাই উল্টো দিকে ঘুরে যায়….কিন্তু নিজের সব চুলগুলো যে মেয়েটা সামনে নিয়ে গেছে সেদিকে তার খেয়াল নেই….উন্মুক্ত,ভেজা,এমন ফর্সা সিন্গ্ধ পিট টা সাদাদকে যে আরও পাগল করে তুলেছে….সাদাদ পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে নৌশিনকে-সাদাদের খোলাবুকের লোমগুলো নৌশিনোর পিঠের সাথে মিশে গেছে,নৌশিনেরর ভেতর টা আবারও শিউরে উঠে……..
সাদাদ নৌশিনের ঘারে নক ডুবিয়ে দেয়-গাল দিয়ে ঘসতে থাকে নৌশিনের শ্বাস এতোটাই ভারী হয়ে আসছে,ওর মনে হচ্ছে এখনি পরম সুখে মরে যাবে ও………….উফফফ এই ফোন টা কি থামবে না??অসহ্য লাগছে নৌশিনের!এমন মুহুর্তে সাদাদকে আরও কাছে পেতে ইচ্ছা করছে ওর…..কিন্তু ছাড়তে হবে ফোন টা যে কোনো মতেই থামছে না…….
“প প্ল প্লি প্লি প্লিজ…. ছা ছা ছাড়ো…..”(নৌশিন)
“উমমমমমমমম…….”(সাদাদ)
“ছাড়ো প প্লি প্লিজ……”
সাদাদ হারিয়ে গেছে নৌশিনের মাঝে-নৌশিনের পেটে হাত দিয়ে চেপে ধরে আছে আর একটা হাত নৌশিনের গলার উপর দিয়ে পাগলের মতো চুমু খেয়ে যাচ্ছে নৌশিনের ঘারে….
নৌশিনের সারা শরীর অবস হয়ে যাচ্ছে…………
ছাড়ানোর জন্য স্প্রে করলাম আর সাদাদ হ্যান্ডওয়াশ মুছে আবার কি শুরু করলো!!ধুর অর্থব ফোন টা আবার বাজছে…..নিশ্চয় আমার সতীন ফোন করছে এভাবে আমার ভালোবাসার সময় টাকে নষ্ট করে দিতে………
নৌশিন আর কিছু ভাবতে পারছে না,পারবেই বা কি রে সাদাদ তো ওকে প্রেমঘোরে বন্দি করে ফেলেছে….সারা পিঠে চুমু খাচ্ছে,এক একটা চুমু নৌশিনকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে জান্নাতের মহা সুখে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে…………
ইশশ আবার ফোনের আওয়াজ??অসহ্য লাগছে আওয়াজ টা নৌশিনের সাদাদ কি শুনতে পারছে না নাকি!!!
নৌশিন আওয়াজ টা আর নিতে পারছে না রাগ হচ্ছে ফোনেরর ওপারে যে আছে তার উপর….নব দম্পতির মাঝে এতো রাতে কত কিছু চলে সে কি জানে না নাকি??এতো বার কল করার কি আছে….কিন্তু যদি জরুরি কোনো বিষয়ে কল এসে থাকে তাহলে???…..যদি ওর বাড়ি থেকে বা ওর বস বাবা ওনি তো একা বাড়িতে থাকে ওনার কোনো সমস্যা যদি হয়….হতে পারে আবার অন্য কারও খুব দরকার সাদাদকে এই মুহুর্তে,কোনো উপায় না পেয়ে হয়তো এতো বার নক করছে সাদাদকে…………
এইভেবে নৌশিন আবারও নিজেকে সামলে নিলো….”সাদাদ কি কর কর করছো, ছা ছাড়ো….”
“প্লিজ……ছাড়ো…..”
“তোমার ফো ফোন অন অনেকক্ষণ বাজ বাজচ্ছে,প্লিজ গিয়ে তু তুলো ফো ফোনটা…..প্লিজ”
সাদাদের কোনো সারা নেই…..
নৌশিন সাদাদকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্ঠা করছে…”ছাড়ো….”
“কি হলো… প্লিজ ছা ছাড়ো….”
সাদাদ ছাড়ছেই না………
“প্লিজ ছাড়ো,আমি তো হারিয়ো যাচ্ছি না আ আগে ফোন ফোনটা তুলো প্লিজ…..”
নৌশিন আবারও সাদাদকে ছাড়ানোর জন্য বল প্রয়োগ করে……সাদাদ এবার ছাড়তে বাধ্য হয় নৌশিন যে তাকে ঠিক মতো আদর করতে দিচ্ছে না তাই……..চুমু দোওয়া বন্ধ করলেও এখনো নৌশিনকে জড়িয়ে ধরে আছে সাদাদ….
“কি হলো??যাও ফোন টা ধরো…..”
“ধরতেই হবে??????”(নৌশিনের ঘারে মুখ দিয়ে)
“হুম….অনেকক্ষণ ধরে বেজে যাচ্ছে হয়তো কারও দরকার না হলে নিশ্চয় এতো রাতে ফোন করতো না……….”
………..সাদাদের ইচ্ছা না থাকা সত্বেও নৌশিনের জোড়াজোরিতে নৌশিনকে ছেড়ে দেয় ও……….
“আমাকে কিন্তু পরে পুষিয়ে দিতে হবে……বলে দিলাম আমি….না হলে……”
“আগে ফোন টা তুলো প্লিজ…..”
“হুম……”
…..সাদাদ নৌশিনকে ছেড়ে দিয়ে আবারও সাওয়ারের নিচে গিয়ে দাঁড়ায় পানি চালু করে কোনো মতে একটু ফ্রেস হয়ে বাথরুমে থাকা নৌশিনের তোয়ালে টাই পেঁচিয়ে নিয়ে রোমে চলে যায়…..আর নৌশিন আগের মতোই সাদাদের দিকে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একবারের জন্যও ঘোরে তাঁকায় নি সাদাদের দিকে….খুব লজ্জা লাগছে ওর,কি করে সাদাদের চোখে চোখ রাখবে,সাদাদ যে ওর সব….ধুর স্বামীই তো…….
মুচকি হাঁসে নৌশিন…………….
কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলো দুজনে একটু আগে ভাবতেই কেমন শিহরন দিচ্ছে সারা শরীর-মন……আরও কাছে পেতে ইচ্ছে করছিলো যে…..
ফোনটাই যত নষ্টের গোড়া….
এসব ভাবতে ভাবতে অনমনেই মুচকি হেঁসে চলেছে নৌশিন….
“ইশ কি সুখ দিয়ে চলেছে সাদাদ আমায়…….এই সুখে যে আমার সারা জীবন ডুবে থাকতে ইচ্ছে হয়………লাভ ইউ জান,আই লাভ ইউ সো মাচ…”
নিজে নিজেই বক বক করে চলেছে নৌশিন……………….
ভাবতে ভাবতে আয়নার দিকে ঘুরে দাঁড়ায় ও….চুলগুলো সামনে থেকে সরিয়ে নিতেই নিজের চোখ বন্ধ করে ফেলে…
“হায় আল্লাহ্!!আমি এভাবে সাদাদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম……”
“না না আর দেখবো না নিজের মুখ”……বলেই আয়নার সামনে থেকে সরে ঝর্ণার নিচে গিয়ে দাঁড়ায় সাদাদ ওফ করে যায় নি ঝর্ণাটা…. নৌশিন ভিজতে থাকে পরম সুখে আছে ও…. ওর সাদাদ পৃথিবীর সব সুখ দিচ্ছে ওকে……আরও সুখের চাহিদাও যে রয়ে গেলে এখন…….নিশ্চয় সাদাদেরও চাহিদা রয়ে গেছে……দুজনেই পরম সুখী এই মুহুর্তে কিন্তু ওদের তো আরও কাছে যাওয়া বাকী এখনও……নৌশিন এসব ভেবে ভেবে সাওয়ার টা সেরে নেয়……ঝর্ণা বন্ধ করে তোয়ালে নেওয়ার জন্য স্ট্রিমে হাত দেয়….
প্রেমঘোর পর্ব ২০
“ও মা!টাওয়েল টা গেলো কোথায়….আমি বাড়ি থেকে যাওয়ার পর কি আমার টাওয়েল কেউ সরিয়ে ফেললো নাকি বাথরুম থেকে….না না মা তো বাসার সব বাথরুমেই টাওয়েল রাখে,এমন কি গেস্ট রুম গুলোর বাথরোমেও সবসময় টাওয়েল রাখে তাহলে,আমার টা???সাদাদ নেয় নি তো???…..নিয়েছে নিশ্চয়……..হ্যাঁ এই তো পেন্ট এখানেই…….যাহ্ আমি কি করে যাবো????……….”
অনেক ভেবে চিন্তে নৌশিন সাদাদকে ডাকতে শুরু করে….