প্রেমতৃষা পর্ব ১৫
ইশরাত জাহান জেরিন
শেষরাতে ভালোই ঠাণ্ডা পড়েছে। আজ ঘুমটা এলার্মের শব্দে অতি কষ্টে ভেঙেছে। তৃষা উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে আপন মনে ঘরের মধ্যেখানে। আজকে সকালে নাস্তার টেবিলে সে কাউকেই পায়নি। এমন না যা একেবারে কাউকে পায়নি। সিদ্দিক নেওয়াজের সঙ্গে বেশ ভালোই কথা হয়েছে। কত কী জিজ্ঞেস করলেন তিনি। যখন জানতে পারলেন তার নাতি আর তৃষা একই ভার্সিটিতে পড়ছে তখন তিনি আরো খুশি হয়। তবে মুরব্বি খানিকটা মন খারাপ করে আবার বলেছেন, ‘জানো তো দাদু আমার প্রেমের মাথার ব্রেনটা ছোট থেকেই এমন তীক্ষ্ণ। আজ পর্যন্ত কখনোই রেজাল্ট খারাপ করেনি। একই সঙ্গে জাবিতেও চান্স পেয়েছিল কিন্তু কেন যে সেখানে গেল না। এই শহর, এই শহরের গন্ধ ছেড়ে কোথাও গেলে নাকি তার মন পুড়ে। পোড়া মন নিয়ে তো আর পড়ালেখা হবে না। পড়ালেখায় অনেক ঝামেলার কারণে দুইটা বছর তার নষ্ট হয়। নইলে এতদিনে সে মাস্টার্স শেষ করে বের হয়ে যেত।’
তৃষা কেবল মনোযোগ দিয়ে সবগুলো কথা কানে নিল। খাওয়া শেষে যখন উঠে যাবে তখন সিদ্দিক বললেন, ‘প্রেম তো ভার্সিটি যাবে। ওকে বলে দেব সঙ্গে করে যেন তোমায় নিয়ে যায়। একা মেয়ে মানুষ নতুন শহরে চলাফেরা করাটা বিপদজনক। ‘
এখন তৃষা কী করে বলবে এই শহরে তার জন্য বিপদ মানেই ওই প্রেম নেওয়াজ। সে থাকতে আর বার্তি বিপদের কোনো দরকার আছে? তৃষা কোনোমতে সিদ্দিককে বললেন, ‘না দাদু আমি ম্যানেজ করে নেব। আর ধাক্কা না খেলে মানুষ জীবনের লড়াইয়া টিকতে পারে না। একা একা পথ চিনে না চলতে পারলে জীবনটা নিয়ে এই জায়গাতেই পড়ে থাকতে হবে বুঝলেন তো?’
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সিদ্দিক কেবল মুচকি হাসলেন। কী জানি সেই হাসি আবার কোন কথা বলে? তৃষা তৈরি হয়ে নেয়। আজ একটু ফ্যাশন করে ওড়নাটা বুকে ঝুলিয়েছে। গালে একটু বেশি করে ব্লাসন লাগিয়েছে। কেউ যদি কিছু জিজ্ঞেস করে তাহলে বলবে, রোদ তার সহ্য হয় না। এই তাপ গাল ছুঁয়েছে বলেই তো লাল হয়ে গেছে। কিংবা ড্রামা দেখেনি নাকি? নায়িকা লজ্জা পেলে গাল কেমন লাল হয়ে যায়?’ এমন পরিস্থিতি এলে সেও না হয় কিছু একটা বলে দেবে।
তৈরি হয়ে নিচে যেতেই বাড়িতে ঢুকল প্রত্যুষ। তৃষার সঙ্গে দেখা হতেই প্রত্যুষের মুখে হাসি ফুটল। এই যে ওভার নাইট করে এসে শরীরটা যখন ঝিমিয়ে একাকার। কিছুই যখন ভালো লাগছিল না। তখনো প্রত্যুষের মুখে হাসি ফুটল তৃষাকে দেখতে পেয়ে। সকাল সকাল ভালো একটা মানুষের সঙ্গেই তো দেখা হয়ে গেল। তৃষার ওড়নাটা হেঁচড়াচ্ছিল। তা দেখে প্রত্যুষ উঠিয়ে দেয়। বলে, ‘মিস আপনার ওড়নাটা। ওড়নাকে বাঁচিয়ে দিলাম। বদলে কিন্তু কিছু চাই।’
তৃষার সে যে কী লজ্জা! মন চাইবে নাকি? যাহ বাব্বাহ সে তো কবেই দিলো। ঠিক তখনই বাইকের হর্ন বেজে ওঠে। কী যে কর্কশ সেই শব্দ। মাথাটা নাড়িয়ে দেওয়ার মতো। তৃষা চোখ তুলে তাকিয়ে দেখল বাইকে হেলমেট পড়া প্রেমকে। প্রেম হেলমেটটা খুলে একবার তৃষার ওড়নার দিকে তাকালো। তৃষা পাত্তা দিলো না। প্রত্যুষ তার ওড়না ঠিক করে দিয়ে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল কিন্তু প্রেমের শব্দদূষণের জন্য আর বলতে পারল না। তবে তৃষা মুখটা ঘুরিয়ে প্রত্যুষকে বলল, ‘ কী চাই আপনার?’
প্রেম তখন হেলমেটটা পড়তে পড়তে গান ধরল,
~চাই না মেয়ে তুমি অন্য কারো হও
পাবে না কেউ তোমাকে, তুমি কারো নও
চাই না মেয়ে তুমি অন্য কারো হও
পাবে না কেউ তোমাকে, তুমি কারো নও
তুমি তো আমার-ই, জানো না হো-ও-ওও
এ হৃদয় তোমার-ই
ও-হো-ওও
তোমাকে ছাড়া আমি, বুঝি না কোনো কিছু যে আর
পৃথিবী জেনে যাক, তুমি শুধু আমার~
তৃষা আর প্রত্যুষ দু’টোই বুঝতে পারছে না এই প্রেমের সমস্যা কী। এর জন্য একটু কথাও বলতে পারছে না দু’জনে। গানটা শেষ হতেই বাইকটা দু’জনের মাঝে চালিয়ে দিতেই তৃষা আর প্রত্যুষ ছিটকে দু’দিকে যায়। কেবল যায় না বরং ওই ব্যাটার জন্য এত সুন্দর একটা সাক্ষাৎকার তৃষার যায় ভেস্তে।
ভর্তি হতে না হতেই পরীক্ষা। এমন জীবন তো তৃষা চায়নি। মাথাটা একেবারে দিনকে দিন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কই হারিয়ে যাচ্ছে ওই মেধাবী তৃষাটা? স্যারের বোরিং লেকচারার ফাঁক গলে তৃষা কলমের পেছনটা চিবিয়ে যাচ্ছে। আজকে প্রেম ভাইয়ের সঙ্গে ভার্সিটিতে আর দেখা হয়নি। নইলে তো আবার সালাম মিস হওয়ার অপরাধে লাল সালাম ব্যাক দিত। যেই খতন্নক একটা দস্যু ছেলে। তৃষার ঘুম ঘুম পাচ্ছে। সে ঝিমোতে ঝিমোতে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমটা আচমকা ভাঙে তখন যখন বোতল ভর্তি পানি কেউ তার মুখের ওপর ছুড়ে পারে। নাক-মুখে সেই পানি উঠে যায়। কাশতে কাশতে তৃষার দফারফা অবস্থা। সে সামনে তাকিয়ে দেখল পকেটে হাত দিয়ে প্রেম নেওয়াজ দাঁড়িয়ে আছে। পুরো ক্লাস তখন হা করে তৃষার দিকে তাকিয়ে আছে। তৃষা একবার সবার দিকে তাকায়। কেউ কেউ মিটিমিটি করে হাসছে। প্রেম একটা ধমক দিয়ে বলে, ‘কারো দৃষ্টি এদিকে এসে পড়লে চোখ দু’টো তুলে মার্বেল খেলব।’ সেই তড়াক কণ্ঠে এক নিমিষেই সবার দৃষ্টি সজাগ হলো। পুরো ক্লাস নিচের দিকে তাকিয়ে পড়ায় মন দিলো। স্যার তখনও থেমে আছে। সে নতুন জয়েন হয়েছে। প্রেমের এমন বেয়াদবি সহ্য হচ্ছে না। কাছে এসে প্রেমকে পেছন থেকে বলল, ‘এটা টোকাই এলাকা পাওনি। এটা ক্লাস এখানে এসব চলবে না। অন্তত আমার ক্লাসে।’
প্রেম পেছনে ঘুরে সরু দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, ‘ওহ আর আপনি যে সপ্তাহে তিন দিন নিয়ম করে নিষিদ্ধ পল্লীর হাওয়া গায়ে লাগিয়ে আসেন তা খুব চলবে তাই না স্যার? ‘
স্যারের একেবারে মুখ বন্ধ হয়ে যায়। প্রেম তৃষাকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তার হাতের কব্জি শক্ত করে চেপে ধরল। তাতেই কুঁকড়ে উঠল তৃষা। চোখটা দিয়ে জল বের হতেই স্যার ভয়ার্ত কণ্ঠে বলল, ‘মেয়েটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো?’
প্রেম গম্ভীর কণ্ঠ ও বিরক্তি নিয়ে বলল, ‘নিষিদ্ধ পল্লীতে। যাবেন নাকি সঙ্গে? আপনার তো বেশ অভিজ্ঞতা আছে।’
স্যারের আর কিছু বলার মতো অবস্থা রইল না। প্রেম জোর করে তৃষাকে টেনে ক্লাস থেকে বাইরে বের করে পরিচিত সেই ফাঁকা রুমটায় এনে ফেলে দরজার ছিটকিনি ভেতর থেকে লাগাতেই তৃষা বলল, ‘আমি আবার কী ভুল করলাম প্রেম ভাইয়া?’
‘সকালে সালাম দাওনি।’
‘আপনি তো আমার সামনে পড়েননি ভার্সিটি আসার পর কিংবা আপনাকে আমি দেখতেও পাইনি।’
‘তো কী হয়েছে? পাওনি বলে খুঁজে গিয়ে সালাম দিয়ে আসবে না? আর তোমার সঙ্গে তো সকালেই বাড়ির গেটের সামনে দেখা হয়েছিল। দেখতে পাওনি মানে কী?’
‘ওটা তো বাসা।’
‘সেটা আমি জানি। আমাকে জানাতে হবে না। এমনতো আর না বাসায় তোমার ভাতার লাগি আর এখানে সিনিয়র?’
প্রেম তৃষার বুকে কোনোমতে ঝুলানো ওড়নার দিকে কয়েক মুহূর্তের জন্য তাকায়। মুহূর্তেই কপালের পাশ্ববর্তী শিরাগুলো ফুলেফেঁপে ওঠে। সে তৃষাকে চড়া গলায় বলল, ‘ওড়নাটা দাও দেখি আমার হাতে।’
তৃষার এবার সত্যি রাগ উঠে। কিন্তু ডিপার্টমেন্টের সিনিয়রদের সঙ্গে লাগতে গেলে পুরো ভার্সিটি জীবনটা তারা বরবাদ বানিয়ে ছাড়ে। এমনিতে প্রথম দিন এক সালামের জন্যই আজ এতকিছু। না জানে এই ঝামেলা কবে শেষ হবে? তৃষা চুপ করে নিচের দিকে সরি চাইতেই প্রেমের মেজাজটা আরো অতিমাত্রায় চড়াও হয়।
‘এই! তুই কী ওড়না দিবি জুনিয়র?’
‘ভাইয়া সরি বললাম তো।’
‘বলতে বলেছি? এই তো আরেকটা ভুল।’
তৃষা নিচের দিকে তাকিয়ে গুটিয়ে যেতেই প্রেম উঠে এসে তার গায়ের থেকে অনুমতি ব্যাথিত ওড়নাটা গায়ের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে হাতে চেচিয়ে ফেলে। তৃষার তখন লজ্জা আর রাগের মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘৃণাও তো কম নেই চোখে। তৃষা একটা ঢোক গিলে বলে, ‘আর হবে না ভাইয়া। ওড়নাটা দয়াকরে দেন। ‘
‘দয়া তো প্রেম করতে জানে না সোনা।’
প্রেম কী একটা ভেবে হঠাৎ করে তৃষার দিকে ওড়নাটা এগিয়ে দিতেই সে খুশি হয়ে যায়। এক হাতে প্রেম ওড়না এগিয়ে দিয়ে ডান পা খানা এগিয়ে দিলে বলে, ‘জুতোটায় ময়লা লেগেছে একটু ওড়নাটা দিয়ে পরিষ্কার করে দাও তো সোনা।’
‘কিন্তু…আ..’
প্রেম তৃষাকে কথা বলার সুযোগ দিলো না। চোখটা রাঙাতেই ভেতরে রাগে গটগট করা তৃষা ওড়নাটা হাতে নিয়ে ঝুঁকে বসল। জুতাটা একটু মুছতেই তৃষার দিকে তার গভীর দৃষ্টি গেল। কেমন যেন লাগতেই বলল, ‘এই সোজা হও। এইবার ওড়না দিয়ে জুতা মুছিয়েছি। পরের বার হয় এই ওড়না পুড়বে নয়তো তুমি। এমন কাজ করতে বাধ্য করো না যেন এই ওড়না দিয়েই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে হয়। আর হ্যাঁ শুনো ওড়না সামলে চলাফেরা করবে। তুমি বাচ্চা নও যে ওড়না অন্য কেউ সামলাবে।’
তৃষা মাথা নিচে নামিয়ে তখনও কেবল হু বলে জবাব দেয়। তাতে প্রেম খুব একটা খুশি হতে পারে না। সে তড়াক করে তৃষার গায়ের থেকে ওড়নাটা নিয়ে ফোন দিয়ে একটা ছবি তুলে। কাকে যেন পাঠায়। তৃষা কিছু বুঝে উঠার আগেই বলে, ‘আজ কী হয়েছে? কথা মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না কেন? সকালে খাও নি? এই হু,হা শোনার জন্য প্রেম এখানে আসেনি।’
‘তো কী শুনতে চান ভাইয়া? আপনি যা শুনতে চান তাই বলব। আর আমার ওড়না যার মনে চাই সে সামলাবে। এখানে কারো যায় আসার তো কথা না।
প্রেম তৃষার দিকে তাকায়। প্যান্টের পকেট থেকে লাইটার বের করে এগিয়ে দেয় তৃষার দিকে। প্রেম সরু চোখে তৃষার দিকে তাকিয়ে সিগারেটটা ঠোঁটে চেপে ধরার আগে হাক ছাড়ল, ‘সোনা সিগারেটটা ধরিয়ে দাও।’
তৃষার মুখটা আরো কালো হয়ে গেল। মনে মনে হয়তো বলছে, ‘আরে প্রেম আমি তোমার পাছায় আগুন ধরিয়ে দেব। খালি আমায় সময় দাও।’
‘কি হলো তৃষার বাচ্চা! কথা কান দিয়ে যায় না? যাওয়ার অনেক রাস্তার নাম প্রেমের জানা আছে। ট্রাই করে দেখব নাকি?’
তৃষা একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে প্রেমের হাত থেকে লাইটার নিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে সিগারেটটা ধরানোর চেষ্টা করে। তবে দূরত্বটা একটু বেশিই হয়ে যাওয়ার ফলে চেষ্টা করেও পারছে না। প্রেমের সেই দৃশ্য দেখে মোটেও হাসি পায় না। তাকে মানুষ শেষ কবে হাসতে দেখেছে মনে নেই। প্রেম তৃষার হাত ধরে তাকে নিজের কাছে টেনে আনে। তৃষার ভারি নিঃশ্বাস তার গায়ে পড়তেই প্রেম চোখে চোখ রাখল। নিরবতা ভেঙে হঠাৎ বলে উঠল, ‘গরম নিঃশ্বাস আমার গায়ে পড়লে তোমার নিঃশ্বাস নেওয়ার পথ আমি প্রেম বন্ধ করে দেব। আমার গরম সহ্য হয় না। সো নিঃশ্বাস দূরে গিয়ে ফেলো নয়তো অফ করে রাখো।’
তৃষা মুখ বুঝে কেবল সহ্য করছে। ভার্সিটিতে সিনিয়রের সঙ্গে ঝামেলা করলে স্যাররাও আসেনা বাঁচাতে। তাই তৃষা সারা রাত ভেবে ঠিক করেছে প্রেম নেওয়াজের সঙ্গে তর্কে যাবে না। কারণ গু যত নাড়ানো হবে তার গন্ধ ততই ছড়াবে। সব কথা মেনে চললে একসময় প্রেম নিজেই বিরক্ত হয়ে তাকে বিরক্ত করা ছেড়ে দেবে। তাই এত প্যাচানোর দরকার নেই জিলাপির মতো। তৃষা সিগারেটটা ধরিয়ে দিতেই প্রেম লাইটার কেড়ে নিয়ে তাকে দূরে ঠেলে দেয়। তারপর তারই দিকে চেয়ে ধোঁয়া ছাড়ে। হাতের ওড়নাটার দিকে একবার তাকিয়ে লাগিয়ে দেয় সেখানে আগুন। তৃষার মনেও ঠিক এমন করেই আগুন জ্বলছে। কারণ সে ভাবতেও পারেনি প্রেম তার ওড়নাটাই পুড়িয়ে দেবে। ওড়নাটা তার কী এমন ক্ষতি করেছে?
কিছুক্ষণের মধ্যেই কেউ একজন রুমের দরজা নক করতেই প্রেম উঠে গিয়ে দরজা সামান্য ফাঁকা করে একটা শপিং ব্যাগ নিলো। সেখান থেকে একটা একই রকম দেখতে ওড়না বের করে প্রেম তার শরীরে ভালো করে তা জড়িয়ে দিয়ে বলে, ‘গলায় ঝুলানোর জন্য ওড়না দেওয়া হয়নি। যে-ভাবে ওড়নাটা পড়িয়ে দিয়েছি তেমনই যেন সবসময় থাকে। এখানে ভালো ঘরের ছেলে মেয়েরা পড়ালেখা করতে আসে।ওড়না এমন ভাবে গলায় ঝুলিয়ে চলাফেরা করে নোংরা পট্টির মেয়েলোক। অযথা এখানকার পরিবেশ নষ্ট করবে না।’
তৃষা তখনও নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। এই লোক তাকে ছোঁয়ার বাহানা কখনো ছাড়তে চায় না। তৃষা একটা ঢক গিলে বলল, ‘এবার আমি আসতে পারি কী?’
‘আসল কাজ তো করলামই না। এত তাড়া কিসের? ডায়রিয়া, আমাশয় কিছু কী হয়েছে? হলে স্যালাইন আনিয়ে দিচ্ছি তবুও কাজ শেষ না করে ছাড়ছি না।’
প্রেমতৃষা পর্ব ১৪
‘কী কাজ?’
‘আগে শার্টটা তো খুলতে দাও। তারপর বলছি।’
তৃষা একটা ঢোক গিলে বলল, ‘মানে?’