প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ১০

প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ১০
সাইয়্যারা খান

তালুকদার বাড়ীতে আজ রাতটা ভালো কোন পয়গাম আনলো না। তিন তলার ফ্লাট থেকে প্রচুর চিৎকার চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে। তুরাগের কানে গিয়েছে বিষয়টা। যাওয়াটা স্বাভাবিক। মুখোমুখি ফ্লাট দু’জনের। দোতলায় থাকে তৌসিফ। বন্ধ ফ্লাটে হয়তো এই চিৎকার শোনা যায় নি৷ মীরার সাথে পলকের এক অদৃশ্য যু’দ্ধ চলে। কার থেকে তার স্বর্ণ কতটা বেশি, কে কতটা বেশি রূপসী তা নিয়ে নীরব এক যুদ্ধ অথচ সম্পর্কে তারা বাড়ীর বড় এবং ছোট বউ। মীরা ধীরে ধীরে তুরাগের বুকে হাত দিয়ে বললো,

“ওপাশে একবার দেখা দরকার না? তুহিন কি করছে? এত চেঁচামেচি আজ।”
“কোন দরকার নেই। চেঁচামেচি দিয়ে কি হবে বলো, একদিন গলাটা একটু জোরে চাপ দিলে সকল ঝামেলা মিটে যেতো। তুহিন যত যাই হোক বউ ভালোবাসে। এই সামান্য কাজটুকু সে করতে পারবে না।”
মীরা আর কথা বললো না। দরজায় ঠকঠক শব্দ হতেই গম্ভীর কণ্ঠে ডাকলো তুহিন,
“কে?”
“পাপা।”
তুহিন এক লাফে উঠে এলো। তার মেয়ে এসেছে। দশম শ্রেণির ছাত্রী সে। নিশ্চিত এই চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙেছে তার। দরজা খুলতেই তুরাগের গলা শুকিয়ে এলো। ওর সামনে ঠকঠক করে কাঁপছে আদিতি। তুরাগকে দেখেই ঝাপ্টে ধরে ও। মীরাও বিছানা ছেড়ে উঠে আসে। তুরাগ মেয়েকে পাজা কোলে তুলে খাটে আনলো। মাথাটা তখনও বুকে চেপে ধরা। পাশ থেকে পানি নিয়ে মীরা খাওয়ালো মেয়েকে। তুরাগ যথেষ্ট শান্ত ভাবে ডাকলো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“অদি, মা আমার।”
“পাপা।”
“হ্যাঁ, আব্বুকে বলো কি হয়েছে?”
“আমি ভয় পেয়েছি। রুমে অদ্ভুত শব্দ হচ্ছিলো পাপা। মাম্মা, মাম্মা কেউ ছিলো আমার রুমে।”
মীরা তাকালো তুরাগের দিকে। তুরাগ মেয়েকে নিজের মুখোমুখি করলো। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,
“তোমার ছোট চাচ্চু কথা বলছে জোরে জোরে। ঘুমের ঘোরে শুনেছো তাই এমন লাগছে।”
” ছোট চাচ্চু? কি হয়েছে?”
মীরা থামালো মেয়েকে। ছোট করে বললো,
“অদি ঘুমাবে মা। এসো আম্মু দিয়ে আসি।”
“এখানেই থাকুক।”

বাবা’র কথা পছন্দ হলো অদিতির। ওর সত্যিই ভয় লাগছিলো। প্রায় সময়ই এই ভয়টা পায় ও। তুরাগ একবার মেয়ের ঘরটা দেখে এলো। জানালা খোলা। বরাবর দৃষ্টি দিতেই ঘাট পাড় দেখা গেলো। মিনিট খানিকটা সে তাকিয়ে রইলো সেখানে৷ অদ্ভুত শীতলতা তাকে ঘিরে ধরলো। তৃষ্ণার্ত এই ঘাটের কাছটায় পড়ে ছিলো এক নারী। যার গালে, পিঠে ছিলো বড় বড় লাল লাল ছাপ। অতি প্রিয় নারীটির মৃত দেহটাকে ধরতেও তার প্রিয় পুরুষ ভয় পেয়েছিলো সেদিন। পুরো এলাকার মানুষ জড় হয়েছিলো রহস্যময় সেই মৃত্যু দেখতে।
কাঁধে হাতের স্পর্শ পেতেই তুরাগ চমকালো। আদিত্য’কে দেখে একটু দ্রুত হাতে জানালা বন্ধ করে জিজ্ঞেস করলো,

“ঘুমাও নি এখনও?”
“অদি চিৎকার করে উঠলো। ছোট চাচ্চুও চিৎকার করছে। যাওয়া উচিত না? ছোট চাচি একা।”
তুরাগ কণ্ঠস্বর গম্ভীর করে। ছোট করে জানায়,
“তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমাদের না ঘাটলেও চলবে।”
বাবা’র উপরে কথা বলতে পারলো না আদিত্য। তুরাগ তাকে ঘুমাতে বলে চলে গেলো। আদিত্য নিজের রুমে এসেও ঘুমাতে পারছে না৷ ওপাশে আজ বেশিই ঝামেলা হয়েছে।

কাঁচের বিশাল শোকেজটা বিকট শব্দ করে উল্টে পড়লো৷ তুহিনের রাগ তাতেও দমন হলো না। পলক ভয়ে চিৎকার করে ওঠে। কাজের লোকজন সবাই চুপ করে আছে। কলি নিজের ঘরে চুপচাপ বসে আছে। আজ বোধহয় তুহিন একটু অতিরিক্ত নেশা করেছে। তার আচরণে উগ্র। এই উগ্রতা পলকের জন্য হুমকির বার্তা। পলক তা জানে। বিশাল কাঁচের জিনিসগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়লো পলক ধীরে ধীরে এক কোণায় চলে এলো। তুহিন এদিক ওদিক তাকিয়ে পলকে খুঁজলো। না পেয়েই ডেকে ওঠে সে,

“পলক! পলক!”
চোখে টলমলে পানি। ভয়ে বুকটা হাপড়ের ন্যায় ওঠা-নামা করছে তবুও পলক বেরিয়ে আসে। তুহিন ওর বাহু ধরে হেঁচকা টান দিতেই মুখ থুবড়ে তুহিনের বুকে পড়লো ও। এই অবস্থায়ই শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁপতে কাঁপতে পলক বললো,
“থেমে যাও। আমাকে মাফ করে দাও তুহিন। আমাকে মাফ করে দাও।”

তুহিনের উগ্রবাদী মস্তিষ্ক তখন পলকের কথা শুনে না। মৃদু ধাক্কা দিয়ে সরায় সে পলককে। এতটা বিকৃত মস্তিষ্ক অথচ পলক’কে জোরে ধাক্কাটা পর্যন্ত দিলো না সে কিন্তু ফ্লোরে একটু আগে ছুঁড়ে ফেলা কাঁচের বোতলের পানিতে পিছলে পরলো পলক। থুতনিটা গিয়ে লাগলো কাঁচের টেবিলে। মাথা কাত করে হলদে আলোয় তা দেখলো তুহিন। দেখেই কিছুটা শান্ত হয় ও। টলমলে পায়ে এগিয়ে আসতে নেয় সে কিন্তু এবারে ভয় পায় পলক। মুখ দিয়ে লাল তরল গড়াচ্ছে তখন। পলক উঠেই দৌড়ে গেলো মূল দরজার কাছে। পেছন থেকে তুহিনের কণ্ঠ শোনা গেলো,
“পলক, পলক বাইরে যাবে না।”

পলক শুনলো না৷ ওদের দরজাটায় অনেক লক। শেষ লকটা খুলতে খুলতে তুহিনের হাতে ধরা খেলো পলক। আতঙ্কিত চোখে পেছনে তাকাতেই তুহিন ওর মুখ ধরলো। অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো,
“মুখে এত র’ক্ত এলো কিভাবে? কোথায় গিয়েছিলে পলক?”
পলক কেঁদে ফেললো। তুহিন উত্তর না পেয়ে ওকে চেপে ধরলো। ওর মাথায় আগুন জ্বললো তখন। চিৎকার করে বললো,
“কার কাছে গিয়েছিলে? কোথায় গিয়েছিলো? কে দিয়ে গেলো বাসায় তোমাকে?”
পেছনে হাত দিয়ে দরজাটা খুলে ফেললো পলক। নিজের গলার সবটুকু শব্দ একত্রে করে ডেকে উঠলো ও,
“বড় ভাইয়া! বড় ভাইয়া!”

কান্নারত নারী কণ্ঠের ডাক পাশের ফ্লাটে জাগ্রত তিনজন মানুষই শুনলো। তুরাগের কঠিন হৃদয় মোটেও গললো না৷ মীরা একটু ছটফট করে উঠলো তখন। আদিত্য নিজের ঘরে আর টিকতে পারলো না। ফোনটা তুলে তারাতাড়ি কল দিলো তৌসিফ’কে।
সারাদিনের ক্লান্তিতে তৌসিফ আজ একটা ট্যাজোডোন খেয়ে ঘুমিয়েছে। ঔষধটা নিয়মিত অবশ্য খায় না তৌসিফ তবে আজ তার ঘুম প্রয়োজন তাই একটা খেয়েছে। এটা মূলত মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামক রাসায়নিকের মাত্রা বাড়ায়, যার ফলে মুড উন্নত হয় ও ঘুম সহজ হয়। তৌসিফের ঘুমগুলো আজ-কাল সহজে হয় না। ফোনটা মাথার কাছে থাকায় ভাইব্রেট হতেই ঘুমের মধ্যে কপাল কুঁচকালো তৌসিফ। আশেপাশে হাতড়ে ফোনটা কানে নিতেই ওপাশ থেকে আদিত্য হড়বড়িয়ে বলে উঠলো,

“ছোট চাচ্চু অনেক চেঁচামেচি করছে। ছোট চাচি কাঁদছে। আব্বুকেও ডাকছে। তুমি একটু এসো না।”
ফোনের আলো টুকুনও সহ্য হচ্ছে না তৌসিফের। কাঁচা ঘুম ভেঙেছে। কপাল চেপে উঠে বসে খালি গায়েই বেরিয়ে আসে ও। ততক্ষণে তুহিনের হাত ছাড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নামতে নামতে পলকের কণ্ঠে একটাই ডাক শোনা গেলো,

“মেঝ ভাইয়া।”
তৌসিফ নিজের ফ্লাটের দরজা খুলে উপরে ওঠার আগেই ঝড়ের বেগে পলক এসে আছড়ে পরে ওর বাহুতে। ঠিক তার পেছনে তুহিন। আগুন চক্ষু নিয়ে তাকিয়ে আছে পলকের দিকে। নিজের বাহুতে ভেজা অনুভূতি হতেই তৌসিফ তাকালো। পলকের মুখ থেকে র’ক্ত বের হচ্ছে। তুহিন মেঝ ভাইকে দেখেই সোজা হয়ে দাঁড়াতে চাইলো। পারলো না৷ রেলিং ধরে কোনমতে দাঁড়িয়ে বললো,
” মেঝ ভাই, তুমি যাও। আমরা চলে যাচ্ছি।”
“ভেতরে আয়।”
“সকালে আসব নে।”
“এখনই আয়।”

পলক ওর বাম হাতে তখনও৷ মেয়েটা ওর শক্ত বাহুটায় কপাল ঠেকিয়ে আছে। তৌসিফ ছাড়ালো না। ভেতরে নিলো। তুহিনও ভেতরে ঢুকে। সোফায় বসতেই তৌসিফ একজন বুয়াকে ডেকে পানি আর কাপড় আনালো। বুয়া দিয়ে দাঁড়িয়েই ছিলো। তৌসিফ পুণরায় বললো,
“তেঁতুল থাকলে গুলিয়ে নিয়ে এসো নাহয় লেবু চিপড়ে আনো। পানি মেশাবে না।”
বুয়া চলে গেলো। পানিতে কাপড় ভিজিয়ে পলকের মাথা নিজের বাহু থেকে তুলে একটু একটু করে মুখ মুছে দিলো তৌসিফ। পলক তখন কাঁদছে কিন্তু শব্দহীন ভাবে। তৌসিফ ওর দিকে ততটা খেয়াল করছে না৷ বুয়া লেবু এনেছে হয়তো বাসায় তেঁতুল নেই৷ না থাকাটাই স্বাভাবিক। তৌসিফ তো তেঁতুল খায় না৷ বুয়ার দিকে না তাকিয়েই বললো,
“ছোটকে দাও।”

তুহিন মোটেই চাইছিলো না তার নেশা কাটুক তবুও হাতে নিলো। তৌসিফ গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
“এক ঢোকে গিলে নে।”
তুহিন এক ঢোকেই গিললো। দুই মিনিটের ব্যবধানে তৌসিফ বললো,
“বেসিনে যা। ঘর তলাবি না। তোকে দিয়ে চাটাব তাহলে।”
তুহিন বাথরুমে দৌড়ে গেলো। আজ একটু বেশিই বমি হচ্ছে ওর।
পলক মাথাটা নিচু করে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। নিজেই উঠে গেলো তুহিনের কাছে। তুহিন হাঁপাচ্ছে। পলক ওর পিটে হাত বুলাচ্ছে। মুখে পানি দিয়ে ধুয়েমুছে দিচ্ছে। তুহিন ক্লান্ত গলায় বলে,
“মাথায় একটু পানি দাও পলক। মাথা ফেটে যাচ্ছে।”

পলক দেখলো বাইরে বুয়া দাঁড়িয়ে। ও নিজেই বেসিনে পানি ঢেলে ধুয়ে দিলো। তুহিনের মাথায় পানি ঢাললো কিছুক্ষণ। ওর কাঁধে তুহিন মাথা রাখলো। শরীর ছেড়ে দিয়েছে কিছুটা।
তৌসিফ বুয়াকে বললো,
“ওরা চলে গেলে দরজা আটকে দিও।”
বুয়া মাথা নাড়ে। তৌসিফ বাহুতে লেগে থাকা র’ক্ত ধুয়ে বিছানায় উল্টে পড়লো। তার ঘুম প্রয়োজন।

সকাল সকাল বাড়ীতে হাজির হয়েছে ল্যাদার মা৷ পৌষ’র প্রয়াত দাদীর বান্ধবী তিনি। নাম শাখী খালা। সকলের কাছে এই নামেই তার পরিচিতি। পৌষ সহ হেমন্তের যে দাদী হয় তাতেও কেউ শাখী খালা বাদে অন্য নামে ডাকে না। এক চোখে তিনি দেখেন না৷ জায়গায় জায়গায় শাক টুকিয়ে পৌষদের দিয়ে যাবে। এটা তার ছোট বেলার অভ্যাস। পৌষ’র দাদী এই এলাকার বউ হলেও শাখী খালা এই এলাকার মেয়ে। বয়স এক থাকায় বান্ধবী সম্পর্কটা হয়েছিলো তাদের। তার এইসব শাক এবাড়ীর কেউ ই ততটা পছন্দ করে না। পৌষ প্রায়ই মেজাজ খারাপ করে। না জানি কোন গারাগপ্পর থেকে তুলে আনে খালা। একে তো চোখে দেখে না তারউপর আবার শাক তুলে। বড় চাচি তাকে বসিয়ে চা দিলেন৷ খেতে খেতে থুরথুরে শাখী খালা শাক বের করে বললেন,

“কলমি আনসি বউ, শুকটি দিয়ে রাইন্ধো।”
বড় চাচি হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়তেই পেছন থেকে পৌষ খেঁকিয়ে বললো,
“না জানি কোন কুত্তা বিলাই হিশু করেছে এগুলো তুমি এনেছো খালা।”
“আরে ** টাটকা জিনিস খাওয়াই। ম’রলে বুঝবি।”
পৌষ মুখ ভেংচি কেটে বাইরে এলো। তখনই শুনলো কলির এসেছিলো গতকাল। তাকে তুহিন তালুকদার পি’স্তল ঠেকিয়ে নিয়ে গিয়েছে। একথা শোনা মাত্র পৌষ ভীষণ চমকালো। কলি মেয়েটা ততটা সুবিধাজনক না। পৌষ প্রায় দেখেছে ওকে। ছোট আরেকটা বোন আছে। সৎ বোনটাকে ততটা আদর করে না৷ একথা শুনেই পৌষ ভেতরে চলে এলো। আদিত্য’কে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করতে হবে কে জিতলো? উমায়ের নাকি বিপক্ষের কেউ? রাত কেটে সকাল হলো অথচ এখনও কেউ জানলোই না।

পৌষ যখন দ্রুত পায়ে হেঁটে নিজের ঘরে ঢুকছিলো তখনই দেখেছে দু’জন মহিলা ভেতরে আসছে। এরা এই এলাকার মেয়ে। ঘর জামাই নিয়ে বাবা বাড়ীতেই থাকে। শাখী খালা তার মৃত ছেলের জন্য সবসময়ের মতোই গুনগুন করছে বড় চাচির সাথে।
ঐ দু’জন মহিলা এই বাড়ীতে আসার কথা না। হেমন্ত সহ বড় চাচা তখন বাড়ীতে। পৌষ ঘরে ঢুকে গেলো। আদিত্য’কে ফোন দিলো। রিং হলেও রসিভ হচ্ছে না। পৌষ বিরক্ত হলো। ফোন ঢিল মে’রে বিছানায় ছুঁড়তেই পিহা দৌড়ে এলো। পেছনে ইনি,মিনি টলমলে পায়ে আসছে। তার পেছনে চৈত্র আর জৈষ্ঠ্য। পৌষ কপাল কুঁচকে বললো,
“কিরে পাক বাহিনী এখানে কি?”
পিহা ঢোক গিললো। চৈত্র বলে উঠলো,

“আপা, আপা তোমার বিয়ের প্রস্তাব এসেছে।”
পৌষ’র চোখ দুটো চকচক করে উঠলো। দেখতে আসলেই টাকা পাবে ও অতঃপর ছাদে পার্টি। হাতের তালু চুলকে বললো,
” পার্টি হবে গাইজ। গেট রেডি কিন্তু মগাটা কে?”
জৈষ্ঠ্য উত্তর দিলো,
“তালুকদার বাড়ীর।”
কপাল কুঁচকে পৌষ বললো,

প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ৯

“ওগুলো সব বুইড়া খাটাস। তারমধ্যে সবগুলো বিয়াইত্তা। আমার জন্য কোনটা মুরগী হলো?”
পিহা আস্তে করে বললো,
“শাহরিয়ার তালুকদার।”

প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ১১