প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ৩

প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ৩
সাইয়্যারা খান

“আল্লাহ জানে এর মা একে কি খেয়ে পয়দা করেছিলো? জ্বালিয়ে মা’রলো আমাকে। শয়তান হয়েছে একটা। বাপ ছিলো একটা জাঁহাবাজ, মেয়ে হয়েছে তার বড়টা।”
বড় চাচির প্রতিটা কথা পৌষ’র কানে এলো। ‘জাঁহাবাজ’ শব্দটার অর্থ নিশ্চিত চাচি ঠিক মতো জানে না। জানলে পৌষ’র বাবা’কে জাঁহাবাজ সম্মোধন করতো না৷ চাচি হয়তো ভেবেছে জাঁহাবাজ মানে খারাপ কিছু কিছু এটা জানে না জাঁহাবাজ মানে সাহসী, দুঃসাহসী। চাচির মুখে নিজের বাবা’কে নিয়ে পৌষ ভালো কিছু কখনো শুনে নি৷ শুনার জন্য ও বসেও থাকে না কিছু তবুও চাচি বলে। তার মুখ চলে বেশি। চাচি মানুষকে কথা বলতে বা শুনাতে পছন্দ করে।

পৌষ’কে কোন কারণ ছাড়াই তার ততটা পছন্দ না হয়তো। আজকের সবটুকু গালির হকদার একজন। হেমু ভাই যদি না পৌষ’কে নিয়ে মার্কেটে যেতো তাহলে এই গালি গুলো পৌষ’র শুনতে হতো না। চাচি টের পেতেই মুখ থেকে একের পর এক কবিতা শুনাচ্ছেন। সেই কবিতা শুনে পৌষ আবৃত্তি করছে। দর্শক প্রাণী অবলা। তারা আবৃত্তি দেখে মুখ চেপে হাসছে। ইনি, মিনি হাত তালি দিচ্ছে। জৈষ্ঠ্য পেটে হাত চেপে হাসতে হাসতে বললো,
” আপা, একদম সেই হয়েছে কিন্তু।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

পৌষ দাঁত বের করে হাসছে। পাগলের মাথা ব্যথা নেই। পৌষ সেই পাগল যাদের মাথাব্যথা থাকতে নেই।পিহা’র মুখটা সামান্য গোমড়া। বড় চাচি আপা’কে এভাবে যখন বকে তখন পিহা’র কান্না পায়। বুক ফেটে আসা কান্না অথচ পৌষ আপা এসবে পাত্তা দেয় না। এখনও দিচ্ছে না। হাসছে শুধু। হেমন্তের কানে এসব ঢুকলে বাড়ীতে ছোট খাট একটা ঝর বয়ে যাবে কিন্তু পৌষ সেধে গিয়ে হেমন্ত’কে বিচার দিবে না। দুই একদিন পর কোন ভাবে হেমন্তের কানে গেলেই ঝামেলাটা হয়। বড় চাচির কথা তার ছেলের সব টাকা নাকি পৌষ আপা খেয়ে ফেলে। শুধু মাত্র মার্কেটে যাওয়াতেই আজ বেজায় রেগেছেন তিনি। ইনি,মিনি কুট্টিকুট্টি দাঁত বের করে বললো,

“আপা খাব।”
পৌষ চোখ ছোট ছোট করে বললো,
” গিয়ে খেয়ে নে।”
” তুমি?”
“পরে খাব।”
চৈত্র একটু গলা ঝেড়ে বললো,
“এখনই চলো, খাবে আপা।”
পৌষ চোখ গরম দেখিয়ে বললো,
“জানিস না রাতে খেতে পারি না। আমার ক্ষুধা বাড়ে রাত বারোটার পর কারণ আমি রাক্ষস। দেখিস না বড় চাচি রাক্ষসী ডাকে।”

পৌষ হাসছে হেলেদুলে। ইনি, মিনিও না বুঝে হাসছে শুধু মুখটা ছোট করে রেখেছে বাকি তিন ভাই-বোন। ওরা জানে পৌষ আপাকে এখন খাওয়ানো যাবে না। হেমন্ত বাদে এই সময় ওকে ধমকে খাওয়াবে এই সাহস কারো নেই। ছোট চাচি ততক্ষণে ওদের ডাকতে এসেছে। ইনি, মিনি ছোট হলেও ওদের চলাফেরা বয়সে বড় বড় ভাই-বোনদের সাথে। মা’কে দেখেও যেন দেখে না। ছোট চাচি ওদের টানতে টানতে বললেন,
“খিচুড়ি ঠান্ডা হচ্ছে। চল।”
“আপার সাথে তাব।”
“তোর আপা খাবে ভুতের সাথে।”
“আমলাও ভুতেল সাতে তাব মাম।”

ছোট চাচি ভরকে গেলেন। মেয়ে দুটো বিচ্ছু। মায়ের সাথে খাতির ততটা নেই। ছোট চাচি অসহায় চোখে পৌষ’র দিকে তাকিয়ে বললো,
“এনে দেই? একটু খায়িয়ে দে ওদের। তোর ছোট চাচার শরীরটা খারাপ।”
পৌষ মুখ ভেঙিয়ে উত্তর করে,
“বিনিময়ে কি দিবে?”
ছোট চাচি হেসে ফেললেন। বললেন,
“তুই যে বড় ভাবীর শখের কাপের সেট থেকে গুনে গুনে দুটো ভেঙেছিস তা বলব না।”
পৌষ চোখ কুঁচকে তাকালো। বললো,

“ভয় পায় নাকি পৌষরাত হক পৌষ? আমার নাম শুনলেই চার এলাকা কাঁপে।। সম্রাট চেয়ারম্যানের হবু বউ আমি মনে মনে। একবার শুধু ব্যাটাকে পাই, দেখবে তখন পৌষরাত কে।”
ছোট চাচি পাত্তাই দিলেন না। শুধু যেতে যেতে বললেন,
“তার ছেড়া একটা।”

ইনি, মিনিকে খাওয়ানোর কথা থাকলেও ব্যাপারটা তা ঘটলো না। বড় বোলে করে খিচুড়ি এলো পৌষ’র কুঠিরে। পৌষ বোলে হাত দিয়ে বসেছে। তাকে ঘিরে বসেছে চারজন। খিচুড়ির সাথে মুরগীর গোস্তো মেখে গোল গোল লাড্ডু বানাচ্ছে পৌষ। ছোট গুলো ইনি, মিনির আর বড় গুলো খাবে পিহা সহ চৈত্র আর জৈষ্ঠ্য। পৌষ ওদের খাওয়ালেই এভাবে খাওয়াবে। প্রতিটা লাড্ডুর নাম থাকে। একটা বাবার নামে, একটা মায়ের নামে, একটা হেমন্তের নামে ইত্যাদি। মিনির মুখে একটা দিয়ে পৌষ বললো,
“এটা পাশের বাড়ীর সীমা আন্টির বদ ছেলে নিহালের নামে।”
মিনি তাকে চিনে তাই খেলো। জৈষ্ঠ্য বললো,

“আমাকে সম্রাট চেয়ারম্যানের নামে একটা দাও আপা।”
পৌষ খেঁকিয়ে উঠে বললো,
“মারব একটা চটকানা, গাল হবে তোর ঘটক খানা। সাহস কত আমার হবু জামাই এর নামে খেতে চায়।”
ইনি, মিনি না বুঝে জিজ্ঞেস করে,
“কতক খানা কি আপা? ওদের কে মা’রে?”
পৌষ মুখে রহস্যময় হেসে প্রতিত্তোরে বলে,
“ঘটক হলো একমাত্র ব্যক্তি যাকে বেশির ভাগ মানুষই পিটাতে চায়। এই যেমন আমাদের বড় চাচা এখনও বিরবির করে ঘটককে খুঁজে, সেই ঘটক নাকি বলেছিলো কন্যা মিষ্টভাষী অথচ বড় চাচি তেতোভাষী। চাচা ঘটককে পেলেই জুতাবে।”
চৈত্র হেসে উঠলো। বললো,
“ঘটক বেঁচে নেই আপা। বেঁচে থাকলে এতদিনে তোমার বিয়ে সম্রাট চেয়ারম্যানের সাথে দিয়ে ছাড়তো।”
পৌষ কটমট করে বললো,
“তারাতাড়ি খা। তোদের হবু দুলাভাই এর পোস্ট লাগানো হয়েছে দোকানের সামনে। চুরি করব।”
হঠাৎ বোল থেকে একটা লাড্ডু টুপ করে নিয়ে মুখে পুরলো হেমন্ত। পৌষ একটু চমকালো। মুখটা হাসি হাসি। হেমন্ত এখান থেকেই গলা ছেড়ে ডাকলো,

“ছোট চাচি, আরেকটু খিচুরি দিয়ে যান।”
পৌষ খুশি হলেও মনে একটা ভয়। এই হেমন্ত এখন লাত্থি, উস্টা দিয়ে হলেও পৌষ’কে খাওয়াবে অথচ সে জানে এভাবে জোর করে খাওয়ালেই ঘুমের মধ্যে পৌষ বমি করে ফেলে যা ও খুব একটা টেরও পায় না।
ইনি, মিনি ততক্ষণে হেমন্তের ঘাড়ে ঝুলেছে। ছোট চাচি ঘুমাতে ডাকতেই তারা অসম্মতি জানালো। আজ রাতে মজা হবে। দুলাভাই এর পোস্টার চুরি করা হবে। বড় একটা দায়িত্ব কি না।

“এই দলে কি পেলে বলো? ছেড়ে দাও। আমাদের কাছে এসো। দল শক্ত হলো সাথে তোমারও ভালো থাকলে।”
প্রতিমন্ত্রী এই এলাকার। একসময় মুচি ছিলেন। অবশ্য জুতা সে সেলাই করতো না। জুতা সেলাই করতো তার বাবা। সেই হিসেবে সে মুচির ছেলে। জয়নাল নামটা নিজেই বোধহয় রেখেছে। সংসদে বসে এই লোক অথচ গায়ে থাকতো আগে ময়লা পোশাক। মূর্খের হাতে ক্ষমতা যাবে এটা তো আগেই বলা। এখন তা দেখা যাচ্ছে চোখে। রাজনীতি মানে রাজার নীতি হলেও এখন তা ফকিরের কেরামতি। তুরাগ যথেষ্ট শান্ত ভাবে বসা। জয়নাল নিজে ফোন করে আসতে চেয়েছেন৷ তারা মানা করে নি। আসতে চাইছে আসুক। এসব সাপের মাথা, ব্যাঙের মাথা বহুত দেখেছেন জীবনে। যাদের সাহস ছিলো তাদের পায়ে হাত দিয়ে কথা বলবে আজ তারা গায়ে হাত দিয়ে কথা বলছে। ভাগ্যের উত্থান পতন একেই বলে। তৌসিফ চুপচাপ খাচ্ছে। ওকে দেখে বুঝার কায়দা নেই যে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কোন আলোচনা হচ্ছে। তাদের সরাসরি প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে দল ছাড়ার। তুহিন কটমট দৃষ্টি ফেলে তাকিয়ে আছে। এই ছেলের ধৈর্য নেই। একদমই নেই। চোখ দুটো সামান্য লাল। বুঝাই যাচ্ছে ও অঘটন ঘটাবে। তুরাগ গলা খাঁকারি দিয়ে বললো,

“সামনে নির্বাচন। এখন এত কাজবাজ রেখে এসব বলছেন।”
জয়নাল দাঁত খোঁচালো। পানি গিলে বললো,
“তোমাদের ভালোর জন্যই বলা। সম্রাট ভাইকে সম্মান করি। তার আপন চাচাতো ভাই তোমারা। চাইলেই তো তোমাদের ফেলে দিতে পারি না। সম্রাট ভাই আমাকে ভালো চিনতেন।”
এতক্ষণে মুখ খুললো তৌসিফ। শুধু দুটো লাইন বললো সে,
“এবারে নির্বাচনে আমার এলাকা থেকে আপনার দল জিতিয়ে দিব। আমি নিজ থেকে দায়িত্ব নিলাম।”
তুহিন, তুরাগ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো কিন্তু তারা জানে তৌসিফ গভীর জলের মাছ। ও এত সহজে এমন কথা বলবে না। সেই হিসেবে দুই ভাই চুপ আছে। জায়নাল এহেন প্রস্তাবে খুশিতে গদগদ হলো তবুও বলে উঠলো,
“দল ছাড়বে না?”
“বললাম না, আপনাদের দলই জিতবে আমার এলাকা থেকে।”
“কত লাগবে?”

“তালুকদারদের কুকুর মনে হয়? সম্রাট ভাই’কে টাকা সাধার সাহস দেখাতেন? একই র’ক্ত কিন্তু তালুকদারদের।”
জয়নালের মুখের হাসি উবে গেলো। সম্রাট নামটা শুনলেই গা কেমন ঠান্ডা হয়ে আসে। ভয়ে বুক ধরফরও করে কিন্তু তবুও তিনি সহ বহু নেতা সম্রাটের নাম জপে দিনে-রাতে। মনে হয় এ যেন কেরানীগঞ্জে এক হিটলার যার আদেশে এলাকার জনগণ নদীতে ঝাপ দিবে।
জয়নাল সামান্য হেসে বললো,
“পোলাপানদের জন্য কি চাও?”

“কুকুরের বাচ্চা যেমন কুকুর হয় ঠিক তেমন বাঘের বাচ্চা হয় বাঘ। কুকুরকে হাড় দেখালে নেজ নাড়বে কিন্তু বাঘকে গোস্তের টুকরো দেখালেও নড়াতে যাবে যতক্ষণ না বাঘ নিজ থেকে গা ঝাড়া দিবে।”
জয়নাল তৌসিফে’র কথা শুনে একেবারে চুপ করে গেলো। সে ভেবেছিলো কমপক্ষে কোটি টাকা দাবি করবে তৌসিফ। জয়নাল সালাম দিয়ে টাকাটা দিয়ে যেতো কিন্তু তৌসিফ কিছুই নিবে না। নিজের টাকায় এত কাজ করবে। জয়নাল খুশিই হলো। তুহিনকে বললো,
“তুমি দলে আসলে কিন্তু এই পর্যন্ত একটা মিটিং, মিছিলে গেলে না তুহিন। সবাই বুঝেছে তোমার ব্যাপারটা।”
“*ল বুঝেছে আমার। ঐ *লের দল করতে আমি তুহিন বসে আছি? মেঝ ভাই বলেছে না জিতিয়ে দিবে তাহলে এত কথা কিসের? গলার ধোর ধরে টান দিব বলে দিলাম।”
জয়নালের ঘাম ছুটে গেলো। তৌসিফ চুপ। ধমক দিলেন তুরাগ,

“তুহিন, সাবধানে।”
জয়নাল পানি পান করলো। তাকে এই তালুকদার বাড়ীতে গুম করে ফেললেও কেউ কিছু করতে পারবে না। তার মতো হাজার খানিক জয়নাল পকেটে করে ঘুরে তালুকদার’রা। তৌসিফ শুধু শেষে বললো,
“আজ তাহলে আসুন প্রতিমন্ত্রী সাহেব।”
জয়নাল মাথা নাড়লো। তিন ভাই গাড়ি পর্যন্ত তুলে দিলো তাকে। তুহিন ওখান থেকেই সোজা বারের উদ্দেশ্যে বের হতে নিলো কিন্তু খপ করে ধরে ফেললো তৌসিফ। কলার ধরে টানতে টানতে বললো,
“তোকে আজ দাফন করব আমি। চল।”
“মেঝ ভাই, স্যরি। স্যরি। বড় ভাই কিছু বলেন।”
তুহিন দেখেও দেখলো না। পেছনে পেছনে গেলো। ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেললো তৌসিফ তুহিন’কে। গায়ে চরে গালে দুটো ঘুষি দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

“আরেকটা দিব?”
এমন ভাবে বলছে যেন আদর করে বলছে আরেকটু করব। পাশে থু ফেলে তুহিন। সামান্য লাল দেখা যাচ্ছে তাতে। টেনে তুলতেই তুরাগ পানি দিলো। বয়সে এত বড় তিনটি পুরুষ তখন গায়ে গা লাগিয়ে শুয়ে বসে আছে। তৌসিফ গলা ছেড়ে ডাকলো,
“রনি?”
দৌড়ে উপস্থিত হয় রনি। তৌসিফ ইশারা করতেই রনি চলে গেলো। একটা ড্রিংকের বোতল বের করে তৌসিফ শুধু বললো,

“দুইজন পানি মিশিয়ে একটু করে খাও। তুই আজ যদি বারে যাস তোকে জানে মা’রতে দু’বার ভাবাবো না আমি।”
তুহিন মাথা নাড়ে। কথা বলে না৷ তৌসিফ নিজেই বরফের টুকরো লাগিয়ে দিলো ছোট ভাইয়ের গালে। তুহিন মাথা রাখে মেঝ ভাইয়ের কাঁধে। আস্তে করে বলে,
“আম্মুর কথা মনে পরছে মেঝ ভাই।”
তৌসিফের গায়ে কাটা দিয়ে উঠলো। মায়ের হাত, মায়ের চুল, মায়ের মুখ তার চোখে ফুটলেই কেমন জানি লাগে। মনে হয় আম্মু আছে। এই তো মিরপুর গেলেই তাকে বোধ-হয় পাওয়া যাবে।

রাত বাড়তেই পৌষ হেমন্তের চোখ ফাঁকি দিয়ে বের হলো। ইনি, মিনি ভেতরে পাহাড়া দিচ্ছে। পিহা মাঝপথে। জৈষ্ঠ্য আর চৈত্র পৌষ’র পেছনে। পৌষ গিয়ে উঠলো ড্রেনের স্লাপের উপর। হলদেটে মাখনরঙা আলোয় পরিপূর্ণ পুরুষটাকে দেখে তার নারীসুলভ বুকটা কেঁপে উঠে। একই চোখ, একই মুখ, সেই একই বাঁশের রঙের শার্ট গায়ে দেয়া ছবি। মাথায় ঝাকড়া চুল। মান্নার মতো দৃষ্টি। পৌষ হাত বুলালো তাতে। লজ্জা সংকোচ কেমন ঝাপ্টে ধরে তাকে। তার জীবনে শুধু মাত্র এই পুরুষটাকে নিয়ে সামান্য কটু কথা পৌষ শুনতে পারে না। তার শরীরে তখন র’ক্ত টগবগ করে।
আস্তে ধীরে টেনে টেনে পোস্টার তুলছে পৌষ পাছে যদি ছিড়ে যায়? যখন শেষ পর্যায়ে পৌষ পোস্টার হাতে নামবে তখন হঠাৎ এক ভারী পুরুষ কণ্ঠে শোনা গেলো,

প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ২

“এই এখানে কি করছো বাচ্চারা?”
পৌষ’র চঞ্চলা মন চিরবির করে উঠলো। ওর হাত তখনও পোস্টারে।

প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ৪