প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ৩৬
সাইয়্যারা খান
কিছু মানুষ পৃথিবীর বুকে জন্মায় অন্যকে সুখ দিতে। খুশি করতে। নিজেকে বিলিয়ে দিতে তাদের মাঝে কিন্তু তারা ভুলে যায় কিভাবে নিজেকে খুশি রাখতে হয়। হাসতে হয়। প্রকাশ করতে নিজের ভেতরের চাপিয়ে রাখা সকল অনুভূতি। পৌষের বিষয়টাও একদম তাই। মেয়েটা ভুলে গিয়েছে নিজেকে প্রকাশ করা। সম্মুখে থাকা পাঁচজন ভাই-বোন দেখেও তার মাঝে তেমন পরিবর্তন আসে নি৷ দরজা থেকে খানিকটা দূরে তৌসিফ দাঁড়িয়ে। বুকে হাত গুঁজে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছে পৌষকে নিয়ে।
ভেবেছিলো এতগুলো দিন পর বুঝি ভাই-বোন দেখে পৌষ খুব খুশি হবে, আনন্দে আত্মহারা হবে কিন্তু তেমন লক্ষণ পৌষের মাঝে ছিটেফোঁটাও নেই। তৌসিফ হতাশ হলো। মেয়েটা কি ছোট বেলা থেকেই এমন? এমন রূঢ়, কাঠখোট্টা, তেঁতো ভাষী? তার ফুপির সাথে তো মিলছে না। না মিলছে ফুপা প্রলয় হকের সাথে। কার মতো হলো এই পৌষরাত? তৌসিফ যেন উত্তর খুঁজতে গিয়ে হারিয়ে গেলো ভাবনার মাঝে। নিজের মাঝে অন্ধকার পুষে রাখতে রাখতে মানুষ আলোর খোঁজ করাই বন্ধ করে দেয়। পৌষ সেই দলের লোক। রাতের বেলা জমিয়ে রাখা কষ্ট গুলো সে হয়তো চেয়েছিলো দিনের আলো ফুটতেই কাউকে বিলিয়ে দিবে। কেউ হয়তো শুনবে কিন্তু হায়, মেয়েটা শোনানোর মানুষই পেলো না অতঃপর ধীরে ধীরে সে হারিয়ে গেলো রাতের মাঝে। নিজের মাঝে লালন করলো সেই অন্ধকার। সেই থেকেই আজকের পৌষরাত। একদম অনুভূতিহীন।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
দুটো ছোট ছোট হাত যখন পৌষের পা দুটো জড়িয়ে ধরলো, যখন পিহার হাত দুটো তার কোমড় পেঁচিয়ে ধরলো, যখন চৈত্র আর জৈষ্ঠ্য দুই কাঁধে মাথা রেখে হাত দুটো জড়িয়ে নিলো তখনই পৌষের সর্বাঙ্গে যেন কিছু বয়ে গেলো। এক ঠান্ডা শ্রোত যা সচরাচর পৌষকে কাঁপাতে পারে না। তার হৃদয় আজ পর্যন্ত খুব কম মানুষ ছুঁয়েছিল তাদের মধ্যে শতকরা মানুষই এখন তাকে আঁকড়ে আছে। পৌষ শক্ত সেই খোলসেই আবৃত রাখলো নিজেকে। শক্ত চোয়াল আলগা করে বলে উঠলো,
“পাকবাহিনীর দল তোরা আমার শশুর বাড়ীতে কেন হামলা দিয়েছিস?”
“আপা!”
সমস্বরে চিৎকার শোনা গেলো। পৌষ ধমক দিলো,
“চুপ! এভাবে চেঁচাচ্ছিস কেন হ্যাঁ? ছাড় আমাকে। মিনমিনা শয়তান একেকটা।”
“আপা ইউ মিস ইউ।”
“বিলাই ইউ। ছাড়।”
বলেই দুই হাত ছাড়ালো। এই দুটোকে শেষবার আদর করে রেখে এসেছিলো পৌষ। ভাই দুটো কত বড় যাচ্ছে নাকি পৌষের চোখ দুটো বুড়ো হয়ে যাচ্ছে? পৌষ দুটোর কান মুচড়ে দিলো দুই হাতে। রাগত্ব স্বরে জিজ্ঞেস করলো,
“এখানে কি চাই হ্যাঁ? তোরা দুটো ওদের নিয়ে এসেছিস?”
“আআহ আপা, ব্যথা পাই।”
পেট থেকে পিহাকে ছাড়িয়ে পৌষ গাল টেনে দিলো। বাম গালটা লাল বানিয়ে ছেড়ে দিলো। শেষে বিচ্ছুর মতো লেগে থাকা দুই বোনকে ছুটালো পা থেকে। ঝুঁটি ধরে টেনে বললো,
“কাঁদ।”
ইনি, মিনি কাঁদলো না। তারা হাসছে। ফুলা ফুলা গাল দুটো তাদের আগের তুলনায় শুকিয়েছে। পৌষের ভেতরে কিছু খুব সূক্ষ্ম ভাবে ভাঙলো যেন। পৌষের নাহয় মা ছিলো না, তার চাপা ভাঙা থাকতো কিন্তু এই দুটোর তো মা আছে। ওদের মুখের কেন এই দশা? ছোট থেকে কোলে পিঠে করে পৌষ ওদের মানুষ করলো। এত বছরে কখনো তো ওদের মুখ শুকায় নি তাহলে আজ কি হলো? পৌষ দুটোকে একসাথে কোলে তুলে নিতেই একটু পিছনে হেলে যেতে নিলো। তৌসিফ পা বাড়িয়েছিলো সামলাতে কিন্তু তার প্রয়োজন পরলো না। জৈষ্ঠ্য আর চৈত্র সামলে নিয়েছে। তৌসিফ তাড়া দিলো,
“ভেতরে চলে এসো পৌষরাত।”
পৌষ ঘুরে দাঁড়ালো। তৌসিফের পানে তাকিয়ে বললো,
“ওদের কি আপনি ডেকেছেন?”
তৌসিফ দুই কদম এগিয়ে এলো। পৌষের কোল থেকে ইনি, মিনিকে নিয়ে উত্তরে বললো,
“ওদের আপার বাসা এটা পৌষরাত। যখন খুশি আসবে।”
ওদের নিয়ে তৌসিফ ভেতরে ঢুকলেও পৌষ কেন জানি দরজা আটকালো না৷ মনে হচ্ছে আটকানো ঠিক হবে না৷ কেন জানি মনটাই টানলো না৷ সিঁড়ি দিয়ে পায়ের শব্দ উপরে উঠছে বলে মনে হলো পৌষের। দরজাটা ধরেই দাঁড়িয়ে রইলো পৌষ। শব্দ যত পরিষ্কার হচ্ছে পৌষের দৃষ্টি ততই যেন তৃষ্ণিত হচ্ছে। সিঁড়ি দিয়ে হেমন্ত আর শ্রেয়া উঠছে। শ্রেয়ার হাতটা ধরে সযত্নে তুলছে হেমন্ত। পৌষ ঠাই দাঁড়িয়ে রইলো। নড়লো না। যখনই দু’জন মুখোমুখি হলো তখন শ্রেয়া আচমকা জড়িয়ে ধরলো পৌষকে। শক্ত করে পৌষও জড়িয়ে ধরলো। তাকালো না ভাইয়ের দিকে। শ্রেয়ার এক হাত তখনও হেমন্তের হাতে। শ্রেয়া যখন পৌষকে ছাড়লো ঠিক তখনই হেমন্ত ধরে রাখা হাতটা টান দিয়ে শ্রেয়াকে বুকে জড়িয়ে ধরলো। শ্রেয়া হাসছে। পৌষ সেদিকে তাকিয়েই বললো,
“ভেতরে এসো তোমরা। ভাবী, তুমি কি অসুস্থ?”
শ্রেয়া এবারেও হাসছে। লাজুক হাসি। হেমন্ত বুক ভরে শ্বাস নিলো। পৌষের দিকে তাকিয়ে বললো,
“ভাইকে মাফ করবি না বাচ্চা?”
“আমি কারো বাচ্চা না। আমি এতিম।”
“এই পৌষ?”
হেমন্তের এহেন ডাকে তাকালো পৌষ। হেমন্ত বোনের হাতটা ধরে রাখলো শ্রেয়ার পেটে। অপরহাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিলো পৌষকে। পৌষ প্রশ্নাত্মক চোখে তাকালো। বুঝতে পেরেই চিৎকার করে জড়িয়ে ধরলো শ্রেয়াকে।
“আমি ফুপি হব৷ ফুপি হব আমি।”
বোনের মুখের রং পরিবর্তন হেমন্তের বুকটা শান্ত করতে কিছুটা সক্ষম হলো। পৌষ শ্রেয়ার হাত ধরে ভেতরে নিলো। পেছনে বালিশ দিয়ে আরাম করে বসালো। হেমন্তকে অবশ্য একবারও বললো না আসতে বা বসতে। কাগজটাও কোথাও ফেলে দিলো মেয়েটা। হেমন্ত ওর হাসিমুখের দিকে তাকিয়ে আছে। তৌসিফ ততক্ষণে আবারও বেরিয়ে এসেছে। দুই শালি কোলে আর একটাকে হাতে নিয়ে নিজের বেডরুমে গিয়েছিলো। ওকে দেখেই হেমন্ত এগিয়ে এলো। ইনি, মিনিকে নামিয়ে তৌসিফ হালকা ভাবে জড়িয়ে ধরে হেমন্তকে। নিচু স্বরে হেমন্ত বললো,
“ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।”
“ধন্যবাদ তোমাকে হেমন্ত।”
হেমন্ত একটু হাসলো। ছেড়ে দিয়ে বললো,
“খুব রেগে আছে। কথাই বললো না।”
“খুব খুশি সে। দেখে বুঝছো না?”
হেমন্ত মাথা নাড়লো। পৌষের মুখের হাসি সরছেই না৷ তৌসিফ দেখলো ঘন্টা খানিকের মধ্যে তার ঘরটার সৌন্দর্য বেড়ে গিয়েছে। বাচ্চারা হৈচৈ করছে। সেই সাথে যোগ দিয়ে পৌষ নানান দৌড়ঝাঁপ করছে। তৌসিফ নিজেও শালা-শালী নিয়ে নিচে বসে ক্যারম খেলছে। তায়েফা বুয়াদের দিয়ে রান্না করাচ্ছে। পৌষ যেতে চাইলেও তৌসিফ হাত ধরে আটকেছে। আজকের দিনটা তার পৌষের। একান্ত ভাবে পৌষের। তৌসিফ খানিকটা অবাকও হয়েছে বটে। কেউ নিজের চাচাতো ভাই-বোনদের এতটা ভালোবাসে তা ওদের না দেখে বুঝা যেতো না। মনের মিল দেখেই যেন তাদের মধ্যের ভালোবাসা বুঝা যাচ্ছে। তৌসিফ শান্তি পেলো। অনেকদিন ধরে আনার চেষ্টা করছিলো, এতদিনে এলো হেমন্ত।
খেতে বসে পৌষ প্লেটে নিয়ে নিজ হাতে ইনি, মিনিকে খাওয়ালো। পিহা নাড়ছিলো বিঁধায় ওকে মুখে তুলে খাওয়ালো। চৈত্র আর জৈষ্ঠ্য অসহায় দৃষ্টিতে যখন তাকিয়ে রইলো, পৌষ তখন এগিয়ে এসে দুটোর পিঠে দুটো কিল বসালো। মুখে অস্পষ্ট ভাবে তারা ‘আপা’ ডাকতেই পৌষ ওদের মুখে লোকমা বানিয়ে দিলো। তৌসিফ শুধু দেখলো। পুরো টেবিল ঘুরে ঘুরে পৌষ খাওয়াচ্ছে। মাঝেমধ্যে ধমকাচ্ছে। মন চাইলেই চুল ধরে টানছে আবার আদর করছে। মুখে তার খই ফুটছে। তৌসিফ ভাবনায় পড়লো। যেই পৌষ বোন হিসেবে এমন সে মা হিসেবে কেমন হবে? এমন করে ভাবা হয় নি তৌসিফের। তার হঠাৎই বাবা হতে মন চাইছে। সে বাবা আর পৌষরাত মা। তাদের সংসার বড় হবে। এভাবেই টেবিল ভর্তি বাচ্চাকাচ্চা থাকবে। তৌসিফের ছোট বেলাটা ফিরে আসবে। কথাগুলো ভাবতেই তৌসিফের মন লোভী হয়ে উঠলো। ও যেন আজ খুব করে চাইতে লাইলো নিজেকে বাবা হিসেবে। পৌষকে মা হিসেবে। বুকের ভেতরের কম্পন টের পাচ্ছে ও নিজেই। অনুভূতিই যদি হৃদয় কাঁপায় তাহলে বাস্তবায়নে কি হবে? খুশিতে বোধহয় তৌসিফ পাগলই হয়ে যাবে।
“আপনাকেও কি মুখে তুলে দিব এখন?”
রাগী কণ্ঠ শুনে তৌসিফ তাকালো। ভাবনায় ভাটা পড়লো। পৌষ ওর প্লেটে গোস্তের চর্বি ছাড়া টুকরো তুলে দিয়ে বললো,
“ডাল দিব এখন?”
তৌসিফ না করলো। একবার বললো,
“তুমি খেয়ে নাও পৌষরাত।”
“ওদের শেষ হোক।”
তৌসিফ আর জোর করে নি। থাকুক যেভাবে থাকতে চায়।
রাত হতেই তাড়া দিলো হেমন্ত। ফিরতে হবে। পৌষের হাসিমুখটা দপ করে নিভে গেলো যেন৷ তার কোলে মাথা দিয়ে ঘুমিয়েছে ইনি,মিনি। ঘুমাতে ঘুমাতে বলেছিলো আজ আপার কাছেই থাকবে। পৌষ কথায় কথায় হাসিমুখে মাথা নেড়েছে। হেমন্ত কাগজটা নিয়ে পৌষের হাতে পুণরায় দিলো। বললো,
“খুলে দেখ।”
“কিসের কাগজ?”
বলতে বলতে পৌষ খুললো। সরকারি কাগজপত্র। প্রশ্নাত্মক চোখে তাকাতেই হেমন্ত বোনের মাথায় হাত রেখে বললো,
“ভাই তোর অধিকার এত বছরে যথাযথ ভাবে দিতে পারি নি। আজ দিয়ে দিলাম পৌষ। তুই মানিস আর না মানিস তুই আমারই বাচ্চা। তোর হকের সকল সম্পত্তি আজ থেকে তোর নামে। কিছু নগদ অর্থ বাকি আছে। আমি তুলে দিব ওগুলো। কলোনি আর বাড়ীর দলিল এখানে। এগুলো মেঝ চাচ্চুর সম্পদ। শুধু মাত্র তুই পাবি। তোর নামে লিখা ছিলো সব।”
পৌষ কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো সেই কাগজে। তৌসিফ ভেবেছিলো হয়তো ফিরিয়ে দিবে কিন্তু পৌষ কাগজের দিকে তাকিয়ে বললো,
“কত টাকার সম্পদ এখানে?”
ওর এহেন প্রশ্নে থতমত খেলো সবাই। হেমন্ত মুখে হাসি রাখার চেষ্টা করলো। বললো,
“দেখতে হবে পৌষ।”
“বড় চাচা তো আমাকে পেলেছে। তুমি এখান থেকে তার খরচটুকু রাখো। তাকে ফিরত দিয়ে বাকি গুলো আমাকে দিয়ে দিও। যার কাছে আজীবন বোঝা ছিলাম, সেই ঋণ সোধ করে দিব।”
“ঋণ সোধ করবি তুই?”
“করব।”
“কার কার কাছে ঋণী তুই?”
“বড় চাচার কাছে। বড় চাচির কাছে, তার কাঁচের জগ ভেঙেছি। বাটি ভেঙেছি। ছোট চাচা আমাকে প্রায়ই লুকিয়ে টাকা দিতো। তার কাছেও ঋণী। সেঝ চাচা কখনোই কিছু দেয় নি। তার এবং তার বউ বাদে বাকি সবাইই তো দিতো টুকটাক। ছোট চাচি ইনি, মিনির বেঁচে যাওয়া দুধ দিতো। তার কাছেও ঋণী আমি। তুমি যাও এটা নিয়ে। সবার ঋণ সোধ করে আমাকে বেঁচে যাওয়া সব দিয়ে যেও।”
“এত কম? আর কারো কাছে ঋণী না তুই?”
“হুঁ। দোকানদারের দোকান থেকে দুইবার ললি চুরি করেছিলাম। দশ টাকা পায়।”
হেমন্ত টলমল চোখে তাকালো। বললো,
“আর কেউ?”
“নাহ। আর কেউ নেই। যারা আছে তাদের ঋণ শোধ করার ক্ষমতা আমি পৌষরাত এর নেই।”
হেমন্তের বাম চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়লো পানির ধারা। আস্তে করে বললো,
“ওদের কোলে নে।”
চৈত্র আর জৈষ্ঠ্য ইনি, মিনিকে কোলে তুললো। হেমন্ত বোনের মাথায় হাত রেখে হাঁটু গেড়ে বসলো পায়ের কাছে। পৌষ ডান হাতের শাহাদাত আঙুল দিয়ে ভাইয়ের চোখের পানি মুছে দিলো। বললো,
“কাঁদলে পঁচা লাগে তোমায় হেমু ভাই।”
“জানি।”
“কিছু বলবে?”
“ভাইকে মাফ করে দিস বাচ্চা।”
“আচ্ছা।”
“তোর জন্য অনেক কষ্টে এই দলীলপত্র করেছি ভাই। ফিরিয়ে দিস না।”
“তুমি সোধ করে এরপর দিও।”
“তুই কি ভাইকে মাফ করবি না?”
“করব।”
“পৌষ?”
প্রেমসুধা সিজন ২ পর্ব ৩৫
“হ্যাঁ। বলো। তুমি কাঁদলে খুব খারাপ হবে হেমু ভাই। রাত হচ্ছে না? ভাবীর কষ্ট হচ্ছে। উঠো। উঠো বলছি। এভাবে বসেছো কেন?”
হাত ধরে টেনে তুলে পৌষ। হেমন্তের হাতের ভাজে নিজের হাত ধরে এগিয়ে যায়। তৌসিফও নিচে নামে বিদায় জানাতে। পৌষ সবার আড়ালে হেমন্তের কানে ফিসফিস করে জানালো,
“তোমার চেহারার চিন্তা আমাকে চিন্তিত করছে হেমু ভাই। আমি এখানে খারাপ নেই। তুমি ভালো থাকো। ওদের দেখে রেখো। তোমার পৌষ ভালো আছে। ভালো থাকবে। তৌসিফ তালুকদার তাকে খারাপ রাখবে বলে মনে হচ্ছে না।”

