প্রেমের ধূলিঝড় পর্ব ১৮
ফিজা সিদ্দিকী
ভ্যাপসা গরমের সকাল। সকালের সূর্যের তেজটা অনেকটা বৈশাখের দিনের মতো জ্বালাময়ী লাগছে। অথচ এখন সবেমাত্র মার্চ। সূর্য মহাশয় আজ কোনো কারণে ভীষণ তেতে আছেন মনে হয়। ঠিক যেন তুর্জয়ের পাশে শুয়ে থাকা নন্দিতার মতো। সেই যে রাত থেকে গুমোট ভাব ধরেছে, এরপর আর ফিরেও তাকায়নি। তুর্জয় অবশ্য খুব একটা পাত্তা দেয়নি ব্যাপারটাতে। কারন মেয়েদের এমন ছোটো খাটো বিষয়ে রাগ অভিমান প্রায়শই হয়। খানিকটা সময় কেটে না যেতেই আবার গলতে থাকা মোমের মতো পিগলে যায় সেটা। তাই উল্টো পাশ ফিরে শুয়ে থাকা স্ত্রীকে বার কয়েক ডেকে উত্তর না পেয়ে নিজেও চোখ বুঁজে শুয়ে পড়েছিল।
তুর্জয় উঠে ঘরের জানালা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিল। এরপর আবার আগের জায়গায় ফিরে এসে ঢুকে পড়লো নন্দিতার চাদরের মধ্যে। হাতের কনুইয়ের উপর ভর দিয়ে খানিকটা ঝুঁকে দেখার চেষ্টা করলো নন্দিতা ঘুমিয়ে কিনা!
রাতের মতোই এক ঠাঁয় ওপাশ ফিরে শুয়ে থাকার ফলে বালিশের সাথে তার নরম আদুরে গালটা লেপ্টে আছে। ঠোঁট দুটো একে অন্যের থেকে খানিকটা ফাঁক হয়ে আলতো করে খোলা। দুই কপালের মাঝে সূক্ষ্ম এক ভাঁজ। আগের চেয়ে বেশ খানিকটা মোটা হয়েছে নন্দিতা।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বাঙালি মেয়েদের মত হালকা মেদ যুক্ত কোমর হলেও শরীর তেমন একটা গোল গড়নের ছিলো না। অথচ বিগত একটা মাসে তার শরীরে ঘটেছে আমূল পরিবর্তন। আগের চেয়ে আরো বেশি আদুরে লাগে আজকাল তাকে। নারী সংস্পর্শ থেকে আজীবন নিজেকে দূরে রাখা তুর্জয়ও নিজেকে সামলে রাখতে পারে না এই আস্ত আদুরে মেয়েটার সামনে। মন চায় বুকের মধ্যে গেঁথে রাখুক সর্বক্ষণ। আলতো হেসে নন্দিতাকে নিজের দিকে ফেরায় তুর্জয়। দুই হাতের বাহুর বন্ধনে আবদ্ধ করে মিশিয়ে নেয় তাকে বুকের সাথে। উষ্ণ বুকের ওম পেয়ে ঘুমের ঘোরে নন্দিতাও আরও খানিকটা গুটিসুটি মেরে এগিয়ে আসে তুর্জয়ের দিকে। হালকা হেসে তুর্জয় আগের মত ঘুমের ভান ধরে পড়ে থাকে।
চ্যাপচ্যাপে গরমে ঘুম ভেঙে যায় নন্দিতার। চোখ খুলে সামনে তুর্জয়কে পেয়ে হকচকিয়ে দূরে সরে যায় সে। রাতের রাগ, অভিমান মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে তার। এলোমেলো চুলটা দুই হাতে হাপখোপা করতে করতে ঘুম ঘুম কণ্ঠে বলে,
“চরম অসভ্য মানুষ তো আপনি। মেয়ে দেখলেই সুযোগ নিতে মন চায়?”
তুর্জয় তখন সবেমাত্র ঘুম ভাঙ্গার ভান করে ভ্রু কুঁচকে তাকায় নন্দিতার দিকে। প্রশ্নবিদ্ধ কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করে,
“এই সুযোগ কখন নিলাম আমি?”
“এইতো এখনই। রাতে যেই ঘুমিয়েছি, এভাবে গায়ের সাথে ঘেষাঘেষি করে শুয়েছেন কেন?”
তুর্জয় আগের মত আয়েশ করে শুয়ে দুই হাত মাথার পিছে দিয়ে ভাবলেশহীন কণ্ঠে বলে,
“আমার ঘুমের সুযোগ নিয়ে আমার বুকে চড়ে আবার আমাকেই কথা শোনানো হচ্ছে। বাহ! মানবতা আজ কোথায়?”
“আমি মোটেও এমন কিছু করিনি।”
“ঘুমের ঘোরে কতবার আমাকে জড়িয়ে ধরলে, আমি সরিয়ে দিলাম। আবারও এসে সোজা আমার বুকে চড়ে জাপটে ধরলে। বাপরে, আমি তো নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম না। কী জলহস্তীর মতো শরীর।”
নন্দিতা এবার খানিকটা তেড়ে এগিয়ে যায় তুর্জয়ের দিকে। রাগান্বিত কণ্ঠে আঙুল উঁচিয়ে বলে,
“এই এই কী বললেন আপনি আমাকে? জলহস্তী! আমি কী ইচ্ছে করে মোটা হয়েছি নাকি? সব নিজে করে আর এখন আমাকে এসব বলা হচ্ছে। আসলে সব পুরুষ মানুষই সমান। ঘরের বউকে প্রথমে মোটা বানাবে, এরপর বাইরের মেয়ের দিকে ছোঁকছোঁক করবে। পুরুষ জাতটাই খারাপ আসলে।”
তুর্জয় একহাত বালিশে ঠেস দিয়ে তার উপর মাথা রাখলো। অতঃপর নন্দিতার দিকে ফিরে কৌতূহলী কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলো,
“আমার দোষ? তোমার মোটা হওয়ার সাথে আমার কী সম্পর্ক?”
“সম্পর্ক নেই? রাতে কোনো হুশ থাকে আপনার? আমাকে পেলেই তো বেঁহুশের মতো….”
বলতে বলতে কী বলে ফেলছিল ভেবেই জীভ কামড়ে ধরলো নন্দিতা। লজ্জায় এবার পাশ ফিরে তুর্জয়ের দিকে তাকানোর সাহস পাচ্ছে না সে। এমনিতেই লোকটা ভীষণ পরিমাণের ঠোঁটকাটা। আর তার লাগামছাড়া কথায় কতটুকু লজ্জার পানিতে যে চুবানি দেবে তাকে, ভেবেই গালের দুইপাশ ফুলে ফেঁপে উঠলো তার। তার সেই লাজুক দুই গালে রক্তিম আভা লেপ্টে দিতে শব্দ করে হেসে উঠলো তুর্জয়। হাসতে হাসতেই বললো,
“তুমি বলতে চাইছো আমার ডেসপারেটলি আদরে মোটা হয়ে যাচ্ছ তুমি? বাই এনি চান্স আমি কী বেশি উন্মত্তের মতো আদর দিই তোমাকে?”
লজ্জায় হাসফাঁস করতে করতে নন্দিতা বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রয়াস করতেই চট করেতার হাত আঁকড়ে ধরলো তুর্জয়। অতঃপর আগের মতোই ঠোঁটের কোণে হাসি লেপ্টে বললো,
“আমার ছোঁয়ায় গোলগাল হওয়া বউকে একটু ভালো করে দেখতে দাও তো।”
“আপনি আসলেই অসভ্য লোক একটা। ছাড়ুন বলছি। আপনার মেয়ে ঘটিত কাহিনী এখনও ভুলে যাইনি কিন্তু আমি।”
তুর্জয় দুঃখী দুঃখী মুখ করে বলল,
“বউ আজকাল আদরের কমতি ঘটাচ্ছে, তাইতো আমার এই অবনতি।”
তুর্জয়ের কথা শুনে মুখে জোর করে বিশাল এক হাসি ফুটিয়ে তোলে নন্দিতা। অতঃপর তুর্জয়ের ধরে রাখা হাতটা ঝাড়া মেরে দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে,
“যেখানে আদর বেশি বেশি দেবে, পুরোপুরি চলে যান সেখানে।”
আনসার সাহেবকে বেশ কিছু ফাইল বুঝিয়ে দিচ্ছে তুর্জয়। কাল অসুস্থতার জন্য তার সাথে ঠিকমতো কথা হয়ে ওঠেনি। তাইতো আজ বাড়ি ফেরার আগে আগামী এক সপ্তাহের ছোটো বড়ো কেস রিলেটেড কাজগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছে তাকে।
নন্দিতা দুইগ্লাস লেবুর শরবত হাতে রুমে ঢুকে প্রথমে তাকায় আনসার সাহেবের দিকে। এদিক ওদিক তাকিয়ে চনমনে দৃষ্টিতে কী যেন খুঁজছেন তিনি। নন্দিতাকে দেখে হালকা হেসে আবারও দৃষ্টি ফেরান তুর্জয়ের দিকে। তুর্জয় ফাইল রেখে এগিয়ে এসে নন্দিতার হাত থেকে একটা গ্লাস নিয়ে এগিয়ে দেয় আনসার সাহেবের দিকে। অন্যটা নিজের হাতে তুলে নিয়ে একঢোকে শেষ করে পুরোটা। নন্দিতা কেমন যেন সন্দেহপ্রবন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আনসার সাহেবের দিকে। লোকটাকে বাইরে থেকে যতটা সহজ সরল আলাভোলা মনে হয়, কেন যেন তেমনটা লাগে না নন্দিতার। আসলে প্রতিটা মানুষের ভিন্ন রূপ থাকে। সামনে দাঁড়ানো চরিত্র অনুযায়ী তারা নিজেদের রূপ পরিবর্তন করে। কিন্তু আনসার সাহেবের এই রূপের বাইরেও বোধহয় আরও একটা রূপ আছে। যে রূপ একেবারে কালো পর্দায় ঢাকা। নিজের এই ভাবনার কোনো কারণ খুঁজে পায়না নন্দিতা। আবার ভাবনাটাকে পুরোপুরি ফেলেও দিতে পারে না। এই দোটানা নিয়েই ঘর থেকে বেরিয়ে গেল সে।
“শিকদারদের কেসের ফাইলটা এর মধ্যে একবার নতুন করে তদারকী করলে ভালো হতো না স্যার? এক সপ্তাহ পরেই তো ওই কিসের শুনানি। এর মধ্যে যদি কোনো বিশেষ জিনিস চোখে পড়ে!”
“ওই কেসটা কতটা কনফিডেন্সিয়াল এটা তুমি বেশ করেও জানো আনসার। তোমাকে আমি অবিশ্বাস করছি না। কিন্তু এই কেসের সাথে মৃত্যু ঝুঁকি চূড়ান্ত। আমি নিজেই মায়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে হা হুতাশ করি। এই সময় নন্দিতাকে আমার সাথে জড়িয়ে মা ওর জীবনটাও যতেষ্ট রিস্কে ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু মাকে এগুলো নিয়ে বলা যাবে না। তাহলে আরও বেশি টেনশন করবেন। আর না বলা যাবে নন্দিতাকে। এমনিতেও বোধহয় কিছু আঁচ করেছে সে।”
মনোযোগী শ্রোতার মতো সবটুকু শুনছিল আনসার সাহেব। আচমকা কিছু একটা মনে পড়ার ভঙ্গিতে দরজার দিকে একপলক তাকিয়ে আনসারকে উদ্দেশ্য করে তুর্জয় বললো,
“আমার কী মনে হয় জানো? নন্দিতাকে কেউ ব্ল্যাকমেইল করছে কিছু একটা নিয়ে। আমার সন্দেহ যদি ভুল না হয় তবে এটা ওই শিকদারদের কাজ। তবে কী নিয়ে বা কী চাইছে এসব স্পষ্ট নয় এখনও আমার কাছে।”
আনসার সাহেব উদ্বিগ্ন কণ্ঠে প্রশ্ন করলো,
“ম্যাম কি আপনাকে এসব নিয়ে কিছু বলেছে?”
“নাহ। ব্যাপারটাকে পুরোপুরি এড়িয়ে যাচ্ছে নন্দিতা। আমি তাকে বেশ কয়েকটা কারোর ম্যাসেজ আসতেই উদ্বিগ্ন হতে দেখেছি। কেমন যেন ভয় পেয়ে যায় মেয়েটা আচমকা। আর.. ”
তুর্জয়ের বাকি কথাটুকু শোনার জন্য যথেষ্ট কৌতূহলপ্রবল আনসার সাহেব। নীচু কন্ঠে জিজ্ঞাসা করেন,
“আর?”
তুর্জয় চুপ করে রইলো খানিকটা সময়। এই ব্যাপারটা আনসার সাহেবকে বলা ঠিক হবে কিনা ভাবছে সে। যতই হোক নন্দিতা তার মায়ের পছন্দ, তার স্ত্রী, তার ভালোবাসা। সে ভুল হলেও তো ফেলে দেওয়ার ক্ষমতা তুর্জয়ের নেই। ঠিক অনেকটা সামনে তাক করা ছুরিটা যথেষ্ট ধারালো জেনেও তাকে বুকে জড়িয়ে নেওয়ার মতো অনুভূতির খেলা তার নন্দিতার সাথে। এই মানুষটা এক বিন্দু অসম্মানের চোখে কেউ দেখুক, কোনোভাবেই চায় না সে। নন্দিতা ও তার পরিবারকে যে পরিকল্পনা করে তাদের বাড়িয়ে পাঠানো হয়েছিল, এবং এর পরের সব ঘটনাই যে তার কাছে কাকতালীয় লাগে না। সবটাই একটা পরিকল্পনা হিসেবে অনুমান করে, এই ব্যাপারটা আনসার সাহেবের সামনে প্রকাশ করলো না সে। কেন যেন নন্দিতার ভালোবাসা নিয়ে কোনো সন্দেহ কাজ করে না তার। হয়তো এসব বিষয়ে বেশ প্রোফেশনাল তাই কোনো সংশয় প্রকাশ পায়না। তবে মনে প্রাণে সে ভাবতে চায়, এই ভালবাসাটুকু মিথ্যা না হোক। সে ধ্বংস হয়ে যাক, সব মিথ্যা হয়ে যাক, শুধু এই ভালোবাসাটুকু সত্য হোক।
“স্যার!”
আনসার সাহেবের ডাকে ঘোর ভাঙলো তুর্জয়ের। তপ্ত এক শ্বাস ছেড়ে বলল,
“নন্দিতার ফোনে একটা ম্যাসেজ দেখেছিলাম একদিন। কোনো একটা কাজ সম্পন্ন করার জন্য তীব্র জোর দিচ্ছে তারা নন্দিতাকে।”
“ওরা কোনোভাবে কিসের ফাইলটা চাইছে না তো? এক কাজ করুন, ফাইলটা আমার কাছে রেখে দিন স্যার। ওটা এই বাড়িতে থাকা মোটেও সেফ নয়।”
তুর্জয় আলতো হেসে আনসার সাহেবের দিকে তাকিয়ে বলল,
“এই বাড়ির মত সেফ জায়গা ওই ফাইলের জন্য আর কোথাও নেই। আমরা সবসময় আমাদের চোখের সামনে থাকা জায়গা নিয়ে খুব বেশি সন্দেহ করিনা। আমাদের যতো সন্দেহ চোখের আড়ালে থাকা জিনিস নিয়ে।”
“কিন্তু স্যার, কোনোভাবে যদি পেয়ে যায়?”
“আমি আমার সব ফাইলের উপরে কেসের নাম মার্ক করে রাখি, জানোই তো। কিন্তু শিকদারদের ফাইল আমি অন্যভাবে মার্ক করেছি। যাতে কোনোভাবেই কারোর সন্দেহ যা পড়ে ওটার উপর।”
সুন্দর একটা কাতানের শাড়ী পড়েছে নন্দিতা। ফর্সা গোলগাল শরীরে গোলাপি রঙের শাড়িটা বেশ মানিয়েছে তাকে। টানটান চামড়া হওয়ার পরে শরীরের উজ্জ্বলতাও বেড়েছে খানিকটা। ফলস্বরূপ আগের চেয়ে আরও বেশি সুন্দরী লাগছে তাকে। গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে নন্দিতার জন্য অপেক্ষা করছে তুর্জয়। মেইন ডোর লক করতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। এই তালায় চাবি লাগানো ব্যাপারটা কেন যেন বেশ বিরক্ত লাগে নন্দিতার কাছে। চাবি লাগানো হোক বা খোলা, একবারে হয়না কখনও তার দ্বারা। বেশ অনেকটা সময় কসরত করার পর অবশেষে মেইন ডোরে তালা লাগাতে সক্ষম হয়েছে সে। এরপর লিফট বেয়ে নীচে নেমে গাড়ির দরজা খুলে ধপাস করে বসে পড়ল সে। এই গরমের দিনে এটুকুতেই ক্লান্ত সে।
তুর্জয় আড়চোখে নন্দিতার দিকে তাকায়। কপালে, নাকে, ঠোঁটের উপর বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে আছে তার। পকেট থেকে সাদা ধবধবে রুমন্ত বের করে নিজের সিতবেল্ট খুলে খানিকটা এগিয়ে যায় সে নন্দিতার দিকে। পাশ ফিরে আচমকা তুর্জয়কে নিজের এতটা কাছাকাছি দেখে হকচকিয়ে যায় নন্দিতা। কিছু বলার আগেই তার ঠোঁটে আঙুল চেপে চুপ করিয়ে দেয় তুর্জয়। অতঃপর আলতো হয়ে রুমাল দিয়ে কপাল, নাক, গাল মুছিয়ে অবশেষে গলা ও পিঠের উন্মুক্ত অংশের ঘামটুকুও মুছে দেয়।
প্রেমের ধূলিঝড় পর্ব ১৭
এরপর পাশ থেকে সিটবেল্ট টেনে লাগিয়ে দিয়ে সরে যায় নিজের জায়গায়। নন্দিতা অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে থাকে তুর্জয়ের দিকে। তুর্জয় সেসব পাত্তা না দিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে গাড়ি স্টার্ট করে। কিছুদূর যাওয়ার পর সামনের দিকে চোখে রেখেই রসিকতা করে বলে ওঠে,
“আমাকে কানের পিঠে একটু কাজল লাগিয়ে দাও তো বউ। লোকজন আজকাল নজর ফেরাতে পারছে না আমার থেকে। নজর টজর লেগে যাওয়া তীব্র সম্ভবনা রয়েছে।”