প্রেমের সমর পর্ব ১০

প্রেমের সমর পর্ব ১০
অলকানন্দা ঐন্দ্রি

স্বচ্ছ তখনো সে ছাদের দরজাটাতেই দাঁড়িয়ে। আলো আবছায়ায় দাঁড়িয়ে দৃষ্টি রেখেছে শুধু সুহার দিকেই। অন্যদিকে সাদাফ তখনো স্বচ্ছর বাহুবন্ধনে। সেভাবেই তার চোখের উপর হাত দিয়ে রেখেছে স্বচ্ছ। সাদাফ বিরক্ত হয়। কিছুটা বিরক্তি নিয়েই বলে,
“ তোর বউয়ের গানও শেষ হয়েছে বহু ক্ষন। এবার তো চোখ ছাড়। কসম! তোর বউয়ের দিকে নজর দিব না ভাই।”
স্বচ্ছ হাসে। সাদাফের চোখ থেকে হাত সরায়।ছাদের দরজায় হেলান দিয়ে বুকে হাত গুঁজে। বলে,
“ নেক্সট টাইম থেকে ভাবি বলে ডাকবি। মনে থাকবে?”
সাদাফ মুখ ভেঙ্গিয়ে বলে,
“ এক দেখাতেই মনে হচ্ছে বউয়ের প্রেমে লাড্ডু হয়ে বসে আছিস। ”
স্বচ্ছ ঠোঁট বাঁকিয়ে বলে,
“ বউকে প্রেমে ফেলতে হবে না?তার প্রস্তুতুি নিচ্ছি।”

কথাটা বলার সাথে সাথেই স্বচ্ছ দেখল সুহা উঠে গিয়ে ছাদের অপর কোণায় গিয়েছে। সেখানে সিয়া,তিহান আর সুহার বান্ধবী নিতু ও আছে। সুহা সহ গিয়ে বোধহয় খাবারের আয়োজনে হাত মিলাল। স্বচ্ছ সেটুকু দেখে স্থির থাকলেও পরমুহুর্তেই আরো একটা যুবক ছেলেকে সেখানে দেখে ভ্রু বাঁকায়৷ ছেলেটা সুহা যাওয়ার সাথে সাথেই সুহার দিকে এই নিয়ে তিনবার তাকিয়েছে৷ স্বচ্ছ বিরক্তিতে কপাল কুঁচকাতেই সাদাফ তার পেটে ধাক্কা দিল। বলল,
“ দোস্ত? ”
স্বচ্ছ অমনেযোগী স্বরে বলল,
“ বল। ”
সাদাফ বলল,
“ গান তো আরেক মেয়েও গাইছে। সেইম সেইম! দুইজনই লাল জামা, দুইজনের চোখ ও মিল মিল লাগতেছে।”
আবির বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“ সেইম গলা না? ”
সাদাফ বলল,
“কি আশ্চর্য! জমজ নাকি দুজনে? গলা সেইম কেন থাকবে বল? ”
আবির বলল,
“ কনফিউজড করতে চাইছে না তো আমাদের? ”
আবির ফের আবার বলে,
“ কিভাবে করবে? দেখেছে নাকি আমাদের?অবশ্য দেখবে কিভাবে? এদিকটায় তো অন্ধকার দোস্ত! ”
হ্যাঁ। স্বচ্ছরা যেদিকটায় দাঁড়িয়ে আছে সেদিকটায় অন্ধকার। এই যে তিনজন এতোটা সময় ধরে এখানে দাঁড়িয়ে আছে কারোরই চোখে পড়ে নি। কারণ হয়তো বা সবাই তখন হৈ হুল্লোড়ে মত্ত বলেই নয়তো অন্ধকার বলে। স্বচ্ছ ছোট শ্বাস ফেলে। এত এত কথার ভীড়ে এতক্ষনে গিয়ে বুকে হাত গুঁজে বলে,

” জানি না, তবে আগেরটাই আমার বউ এটা জানি।”
সাদাফ সন্দেহী গলায় বলে,
” মানে আগেরটাই আমাদের ভাবি? ”
স্বচ্ছ বলে,
“ মন বলছে আগের গলাটাই সুহাসিনীর।”
আবির হাসে এবারে। যে কারণে সে ছাদে এসেছিল তা ভুলে বন্ধুর বউ খোঁজার আনন্দে আনন্দিত হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিল এতক্ষন সবকিছু। জ্ঞানীর মতো করে বলল,
“ আমারও মন বলছে তোর বউ ওটাই হবে কারণ তোকে ঘড়ি গিফ্ট করার সময় কালো গোলাপ ও দিয়েছিল। আবার সেদিন ঐ কালো গোলাপ গাছটা সেদিন এনারই বলেছিল। ”
সাদাফ বন্ধুর পিঠে চাপড় মারে। বলে,

“ গুড! কত লজিক্যালি কথা বলিস বন্ধু। এবার চল, তোর ছুটির কি ঘটনা তা জেনে আয়। ”
আবির হঠাৎ মনে পড়েছে এমন ভঙ্গিতে বলে উঠল,
“ তোদের চক্করে ভুলেই বসেছিলাম।”
কথাটুকু বলেই এগিয়ে গেল সে৷ যেখানটা সব কয়জন গোল হয়ে বসে গান শুনছে ঠিক সেখানে গিয়েই দাঁড়াল। মাঝখানে বসে থাকা মেয়েটা রাহা। গান ধরেছে। একদম সুহার মতোই গলা মেয়েটার। আবির তার মধ্যেই গিয়ে বলে উঠে,
“ ছুটি? এই বেয়াদব!”
গানে গানে মেতে ছিল ছুটি। হাতে তালিও দিচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ আবিরের পুরুষালি গলায় ভড়কাল সে। শুধু সেই নয়। উপস্থিতি সবগুলো মেয়েই ভড়কে গেল। অবাক হয়ে চাইল আবিরের দিকে। আবির এবারে মাথা চুলকাল। ভদ্র ভঙ্গিতে বলল,

“ আপনারা কন্টিনিউ করেন আপু। আমার একটু ছুটির সাথে কথা আছে তাই।এই ছুটি? উঠে আয়। ”
ছুটি স্প্রিং এর ন্যায় উঠে দাঁড়াল। গদগদ হয়ে আবিরের সামনে দাঁড়িয়ে উৎসাহ নিয়ে উৎফুল্ল স্বরে শুধাল,
“ কি বলবেন আবির ভাই?”
আবির এত উৎসাহের পাত্তা না দিয়ে মোবাইল বের করল। হাতের ছবি দেখিয়ে তীর্যক স্বরে বলে উঠে,
“ এই হাতটা কার যার হাতটা তোর হাত ধরে আছে? এত প্রেম কিসের হাত দুটোতে?”
ছুটির মুখটা একটু আগে যেমন গদগদ খুশিতে ভরপুর হয়েছিল এখন ঠিক ততোটাই চুপসে গেল। মুখটা কালো হয়ে গেল। কিন্তু পরমুহুর্তেই আবার জ্বলে উঠে চঞ্চল সুরে বলে,
” ছিঃ আবির ভাই! আমার প্রেম শুধু আপনার সাথে। অন্যের হাতের সাথে কেন প্রেম হবে বলুন? বিশ্বাস করুন, আপনি আমাকে ভালোবাসের কথাটা জানার পর থেকে দিনরাত আপনাকেই স্বপ্ন দেখছি আমি। খুশিতে উড়ে বেড়াচ্ছি আমি।এতদিন কেন বললেন না কথাটা আবির ভাই? কতোটা কষ্ট পেয়েছি এতকাল। ”

আবির দাঁতে দাঁত চিবিয়ে বলে,
“ তোর কষ্ট তোর তোর কাছেই রাখ। আগে বল এসব কি ধরণের বেয়াদবি?”
“ কোন সব? ”
“ এতক্ষন রাতে ছাদে এসেছিস কেন? ”
ছুটির সহজর সরল উত্তর,
“ বার্থডে পার্টি সেলিব্রেশন করতে। ”
আবির ভ্রু বাঁকিয়ে বলে,
“ শুধু বার্থডে পার্টি সেলিব্রেশন করতে? নিচে যে ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে তার জন্যও নিশ্চয় নেচে নেচে নিচে যেতি এখন তুই। রাস্তায় দাঁড়িয়ে লুতুপুতু ভঙ্গিতে ছেলেটা তোকে উইশ করত? ”
ছুটি বেশ হতাশ স্বরে বলল,

” ছেলেটা আমার বন্ধু সাদ আবির ভাই। আপনারা তো আমার বন্ধুটাকে মেরে ভর্তা বানিয়ে দিয়েছেন। ”
ব্যস! আবিরের যেন এবার রাগটা আরেকটু চাপল। বলল,
“ বেশ করেছি। তোকে হানি ডাকছিল কেন ও? ”
ছুটি বিস্ময় নিয়ে বলল,
” আমাকে? ”
“ তো কাকে? ”
ছুটি মুহুর্তেই বলে,
“ এই না না! নিশ্চয় রাহাকে বলেছিল! ও তো রাহাকে পছন্দ করে আবির ভাই।তুমি ভুল বুঝছো আমায়। ”
“ রাহা কে? ”
ছুটি আঙ্গুল উঁচিয়ে রাহাকে দেখিয়ে দিয়ে বলে,
“ সুহার বোন। ঐ যে? গান গাইছে যে? ওরই তো আজ বার্থডে। আমার নয় আবির ভাই। ”
আবির ঠোঁট গোল করে শ্বাস ছাড়ে। নিশ্চিন্ত হয়। মুখে বলে,
“ যাক, বেঁচে গেছিস। নাহলে আজ মার একটাও তোর গালের বাইরে পরত না। ”
ছুটি হাসে। আবির ভাই তাকে নিয়ে এতোটা ভাবছে বা তার জন্য এতোটা জ্বেলাস এটা ভেবেই গদগদ ভঙ্গিতে বলে,
“ এতোটা ভালোবাসেন আবির ভাই? আগে তো কখনো টেরই পাইনি? এত জ্বেলাস আপনি?”
আবির যেতে যেতে বলে,
“ জ্বেলাস? তাও তোকে নিয়ে? মোটেও না।”

স্বচ্ছ মিনিট দুই হচ্ছে সুহার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। বুকে হাত গুঁজে মেয়েটাকে দেখে যাচ্ছে। সাথে রেগে উঠছে। কারণ সুহা ঐ অপরিচিত ছেলেটার সাথে কাজ করছে। আর সে ছেলেটা ড্যাবড্যাব করে তার বউাে দেখছে বিষয়টা স্বচ্ছর ভাল্লাগল না। ইচ্ছে হলো মেরে গাল ফাঁটিয়ে দিকে। অথচ স্বচ্ছ সুযোগই পাচ্ছে না। অবশেষে যখন ছেলেটা খাবার হাতে ছাদের অপর পাশে গেল আর সুহাকে একা পাওয়া গেল তখনই স্বচ্ছ সামনে এসে দাঁড়াল। সুহা বিরক্ত হলো যেন। ঝাঝাল গলায় বলে উঠল,
“ কি আশ্চর্য! চোখে দেখছেন না? পথ আটকাচ্ছেন কেন ভাই? ”
স্বচ্ছ ঠোঁট চাপে। ছাদের কার্নিশেই দাঁড়ানো মেয়েটা। দু পা এগিয়ে সুহার দু পাশ দিয়ে ছাদের রেলিংয়ে হাত রেখে বলে,

“ কে ভাই? ভাই মনে হয় আমায়?”
সুহা বিরক্ত নিয়ে বলে,
” না, বোন মনে হচ্ছে। আসুন, আপনাকে মেকাপ করিয়ে দিই। ”
স্বচ্ছ আহত গলায় বলে,
“ এত ঝগড়ুটে কবে হয়ে গেলে সুহাসিনী? এত বেয়াদব তো আগে ছিলে না। দিন দিন দেখি ডেঞ্জারাস হয়ে উঠছো। ”
সুহা শুকনো ঢোক গিলে। চিনে ফেলল নাকি? বুঝে ফেলল সে যে সুহাসিনী? কন্ঠ কাঁপে তার। তবুও কাঁপা কন্ঠেই বলে উঠল,
“ক্ কে সুহাসিনী?”
স্বচ্ছ এই প্রথম সুহাকে ভড়কে যেতে দেখে হাসে। বলে,
“ আসলেই তো, কে সুহাসিনী?”

সুহা এবারে বুঝতে দেয় না। কথা এড়িয়ে প্রসঙ্গ পাল্টানোর জন্য দ্রুত বলে উঠে,
“ মজা নিচ্ছেন নাকি ভাই? পথ ছাড়ুন, দ্রুত পথ ছাড়ুন। যেতে হবে আমায়। এভাবে আটকে রেখেছে হাত একটা মেয়েকে। লজ্জা হচ্ছে না? ”
“ তোমাকে দেখার পর থেকে তো নির্লজ্জ হতে মন চাইছে সুহাসিনী! ”
সুহা আবার বিরক্ত হয়েছে এমন করে তাকায়। বলে,
“ কিসব আবোল তাবোল বকছে? মে’রে মুখ ফাঁটিয়ে দিব। যেতে দিন বলছি। ”
” থেকে যাও আজ। ”
সুহা এবারে হালকা রাগান্বিত স্বরেই বলে,
“ মার খাবেন? ”
স্বচ্ছ হেসে বলে,
“ তোমার রাগ আগেও দেখেছি,বিরক্ত লাগত। ভাবতাম এই বেয়াদব মেয়ে কোথায় থেকে উদয় হলো? কিন্তু আজ এই রাগটাও ভালো লাগছে আমার।। মিশ্র এক অনুভূতি বইছে। কারণ কি বলো তো সুহাসিনী? ”
সুহা ভ্রু বাঁকিয়ে বলে এবারে,

“ একা মেয়ে পেয়ে ফ্লার্ট করছেন? ”
“ কি মনে হয়? ”
সুহার হৃদ স্পন্দন বাড়ছে। এতোটা কাছে প্রিয় পুরুষ, তার উপর নিজে যে ধরা পরে গেছে এই বিষয়টা পরিষ্কার। বুকের ভেতর অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে। অথচ সে স্বপ্নেও ভাবেনি এতোটা সহজে যে স্বচ্ছর সামনে ধরা পরে যাবে। এতেটা সহজে সে ধরা দিয়ে দিবে।সুহা নিজের ভেতরের অনুভূতিটাকে লুকিয়ে গিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে শুধায়,
“ পথ ছাড়ুন বলছি। ”
স্বচ্ছ ছাড়ল। বরং ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে বলে,
“ ইচ্ছে হচ্ছে না কেন জানি। ”
কথাটা বলেই পাশে থাকা সাতা গোলাপ গাছটা থেকে একটা গোলাপ ছিড়ল। পরমুহুর্তেই গোলাপটা সুহার কানে গুঁজে দিয়ে বলে,

“ বাহ! সুন্দর তো! রক্তিম সুন্দরীর সাথে সাদা গোলাপ। মানিয়েছে। ”
সুহার সহ্য হলো না এসব। মনে হলো যেন এসব স্বচ্ছর কোন চাল। হয়তো তাকে দুর্‌ল করতে চাইছে।স্বচ্ছর প্রেমে ফেলতে চাইছে। বিষয়টা মনে উঠতেই রাগে থিতিয়ে উঠে মন। কানে গুঁজে দেওয়া গোলাপটা এক মুহুর্তেই ছুড়ে ফেলে ছাদের এক কোণায়। বলে,
“ ভালোয় ভালোয় বলছি সরে দাঁড়ান। নাহলে মেরে দিব কিন্তু। ”
স্বচ্ছ বুকে হাত দিয়ে বলে,
“ গোলাপটা ছুড়ে দিয়ে তো হৃদয়েই আঘাত দিয়ে দিলে। তাও মারো প্লিজ। যদি পারো আমার বন্ধন মুক্ত হতে। ”
সুহা তীর্যক চাহনিতে তাকায়। দুই হাতে ইচ্ছে মতো আঘাত চালায় স্বচ্ছর বুকে। শেষ মুহুর্তে ঘাড় বরাবরও বসাল এক ঘুষি। অথচ কাজ হলো না। স্বচ্ছ নড়ল না। বরং হেসে বলল,
“পারলে? যায় হোক, এখন বলো ও কেন তোমার দিকে চাইছে? ”

ততক্ষনে ছেলেটা আর তিহান খাবার সার্ভ করে আবার এদিকে ফিরে আসছে। স্বচ্ছ ওকে দেখেই উপরোক্ত কথাটা বলে। সুহা তাকায় ছেলেটার দিকেে।এটা তিহানের খালাতো ভাই।দুয়েক মাস পরপরই এখানে আসে। গত দুই বছর যাবৎ তাকে পছন্দ করে আসছে। পরিচয়টা অবশ্য তিহানকে পড়ানোর সূত্রেই। অথচ এই ছেলেটা যে নিরবে সুহাকে দুই দুইটা বছর পছন্দ করে আসছে তা সুহা বাদে আর কাউকেই জানায়নি। সুহাও জানায়নি। ভদ্রভাবে বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে কথা বলে।অথচ এই বিষয়টা যো স্বচ্ছর চোখে প্রথমেই ধরা পড়েছে তা ভোবে সুহা বলে,
“ ওর চাইতে ইচ্ছে হচ্ছে ও চাইছে। আমি কিভাবে জানব? আমি কি মাইন্ড রিডার? ”
কথাগুলো সুহা রেগেই বলে। স্বচ্ছর কেন জানি মনে হলে সুহা ছেলেটাকে প্রশ্রয় দিল। ওর তো জানার কথা ছেলেটা ওকে পছন্দ করে কিনা। কিভাবে দেখে ছেলেটা৷ তবুও কথা বলে কেন? স্বচ্ছ রাগ নিয়েই বলে,
“ এত রাগ কেন হুহ?”

ততক্ষণেই ছেলেটা এসে দাঁড়িয়েছে তাদের পাশে৷ স্বচ্ছ আর সুহাকে এভাবে দেখে স্বচ্ছর পিঠে চাপড় দিল। বলল,
“ হেই ব্রো? তুমি ওকে এভাবে চিপকে রেখেছো কেন? অসুবিধা হচ্ছে তো ওর। ”
স্বচ্ছর এই পর্যায়ে দ্বিগুণ রাগ লাগল। পিঁছু ফিরে ছেলেটার গালে সজোরে এক থাপ্পড় বসাল সে৷ পরমুহুর্তেই গালে আঙ্গুল বুলিয়ে হেসে হেসে বলল,,
“ আমার বউয়ের সুবিধা অসুবিধা সম্বন্ধে আমি ভালো জানব নাকি তুমি ভালো জানবে ব্রো? যাও, বউয়ের সাথে একটু প্রেম করতে দাও প্লিজ।আর হ্যাঁ, এটা ডিস্টার্ব করার জন্য। ডোন্ট মাইন্ড হুহ?”
ছেলেটা চোখ গোল গোল করে তাকায়। বউ? সুহা যে বিবাহিত তাই তো সে জানে না। স্বচ্ছ যেন ছেলেটার দৃষ্টি বুঝতে পারে।ভ্রু বাঁকিয়ে বলে,

“ কি? বিশ্বাস হচ্ছে না? ”
কথাটা বলেই পরমুহুর্তে সুহাকে কোলে তুলল সে৷ আচমকা এহেন কান্ডে সুহার চোক গোলগোল হয়ে এল। কি কান্ড শুরু করেছে এই ছেলে? ছিহ! সুহা হাত পা ছড়াতেই স্বচ্ছ হাসে। যেতে যেতে ছেলেটার কানে কানে বলল,
“ বউ রাগ করেছে তো তাই। বাই দ্যা ওয়ে, তোমার বিশ্বাস হলো তো ব্রো? ও কিন্তু আমার সত্যিই একটামাত্র বউ!”
স্বচ্ছ সুহাকে কোলে করে যখন ছাদ পার হলো ঠিক তখনই হাসতে হাসতে সাদাফ এল। ছেলেটার কাঁধে হাত রেখে বলে,

প্রেমের সমর পর্ব ৯

“ কি ব্রো? চোখ গোল গোল করে কি দেখছো ব্রো? ওটা আমাদের স্বচ্ছর বউ,তোমার ভাবি। হুহ?”
ছেলেটা ভ্যাবাচ্যাঁকা স্বরে বলে,
“ ভাবি? সিরিয়াসলি?”

প্রেমের সমর পর্ব ১১