প্রেমের সমর পর্ব ১৯

প্রেমের সমর পর্ব ১৯
অলকানন্দা ঐন্দ্রি

সুহা দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার পাশে। সাথে অবশ্যও রাহাও আছে। ভোর রাতে বৃষ্টি হওয়ার দরুণ পরিবেশ শীতল, ঠান্ডা। অন্যদিনের মতো রোদ উঠে নি আজ। আবহাওয়া উত্তপ্ত নয়। সুহার কাছে পরিবেশটা ভালোই লাগল। রাহার দিকে চেয়ে বলল,
“ দাদাজান এখানে কেন দাঁড়াতে বলল? কি কারণ? কিছু জানিস? ”
রাহা মোবাইলে সময় দেখে। কিছুটা সময় চুপ থেকে বলে,
“ তুই বল আপু? দাদাজান কি সঠিক কাজ করছেন? আর যায় হোক আমি আর আম্মু কিন্তু জানি যে তোর প্রথম ভালোবাসা স্বচ্ছ ভাইয়াই! বোধহয় তুই এখনও উনাকে ভালোবাসিস নয়তো বিয়েটা ভাঙ্গাতে তোর অনীহা থাকত না। তাই না আপু?”

সুহা চোখ সরু করে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। এখন এসব বলার মানেটা কি?রাহা কি বুঝাচ্ছে? গম্ভীর স্বরে জানায়,
“ ওসব কিছু না। এটা শুধুই মায়া। মায়া কাজ করছে আমার। কারণ সে আমার প্রথম অনুভূতি। মস্তিষ্ক বলছে দাদার কথা মেনে নেওয়া উচিত, হৃদয় বলছে তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসা পসিবল না। ”
রাহা মনোযোগ দিয়ে বোনের কথা শুনে। বুঝানোর ন্যায় বলে উঠে,
“ তার মানে এখনও ভালোবাসিস তাকে? তাই তো এতকাল স্বচ্ছ ভাইয়ার অপেক্ষায় ছিলি। এতকাল চাইছিলি যে স্বচ্ছ ভাইয়াও তোকে ভালোবাসুক। তোদের বিয়েটা টিকে থাকুক। আচ্ছা, যদি উনি সত্যি সত্যিই তোকে ভালোবাসে এমনটা শুনিস তাহলে কি করবি আপু? ”
সুহা ক্লান্ত চোখে তাকায়। উত্তরে বলে উঠে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“ কিছুই করব না। কারণ এখন আমার হাতে কিছু নেই রাহা। স্বচ্ছ যদি দেশে ফেরার পরপরও আমার প্রতি একটু সিরিয়াসন্যাস দেখাত আমি দাদাজানের কাছে অনুরোধ করতাম। কিন্তু স্বচ্ছ বরাবরই বাউন্ডুলে। ওর মধ্যে এসব ভালোবাসা, প্রেম, সংসারের ছিঁটেফোঁটাও নেই৷ সে ছন্নছাড়া। ”
“ তোর মধ্যে তো আছে! নয়তো শাড়ি পরে ছাদে যেতি তুই? নাকি শাড়িগুলো ভাইয়া গিফ্ট করেছে বলেই শুধু কথা রাখার জন্য তুই শাড়ি পরে ছাদে গিয়েছিস? ”
সুহা আনমনে ভাবে। কেন গিয়েছিল সে ছাদে? কি দরকারে? কোন বাধ্যবাধকতা তো ছিল না। সুহা চাইলে সারা রাত স্বচ্ছকে বিনা কারণেই ছাদে অপেক্ষা করাতে পারত। চাইলে যে মুহুর্তে স্বচ্ছ তার কপালে ঠোঁট ছোঁয়াল সেই মুহুর্তেই সজোরে একটা থাপ্পড় বসাতে পারত। কি হলো হঠাৎ? গত দুইদিনের জ্বরে পড়ে থাকা স্বচ্ছর সেবা করতে করতে দুর্বল হয়ে গেল? দুর্বল তো সে বরাবরই। কিন্তু প্রকাশ করে ফেলল? স্বচ্ছর সারা রাত অপেক্ষা করবে এটা ভেবে তার মায়াই বা হলো কেন? দুদিন পর সম্পর্কটা থাকবে না বলে? নাকি কয়েকটা শাড়ি গিফ্ট করেছে বলে গলে গিয়েছে? লোভী মেয়েদের মতো গিফ্ট পেয়েই নরম হয়ে গিয়েছে?সুহা নিজেই নিজের মনকে এতগুলো প্রশ্ন করে থমকে যায়। অন্যদিকে ফিরে বলে,

“ জানি না কেন গিয়েছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, যাওয়া উচিত হয়নি। আমি কি করে এইরকম কাজটা করতে পারলাম ভেবেই পাচ্ছি না। রাগ হচ্ছে। ”
সুহা কথাটা বলে শেষ করতেই পেছন থেকে শোনা গেল চেনা পুরুষালি কন্ঠ,
“ কারণ তুমি আমায় ভালোবাসো সুহাসিনী। ”
সুহা নাক ফুলায় রেগে। সবসময় স্বচ্ছর এই অতি কনফিডেন্স বা অহংকারী ভাবটা সহ্য হয় না তার। দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে,
“ ভুলেও না। আমি আপনাকে ভালোবাসি না অস্বচ্ছ সাহেব। ঘৃণা করি। ”
স্বচ্ছ পকেটে হাত গুঁজে হাসে। ঠোঁট এলিয়ে বলে,
“ আমি যে বিপরীত দেখতে পাচ্ছি? ”
সুহার গা জ্বলে যেন। নিজের এহেন পরাজয় সহ্য করতে না পেরে শুধাল,
“ অসহ্য লাগছে আপনার হাসিটা। ”
ততক্ষনে গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে স্বচ্ছদের সামনে। গাড়িটা ভাড়া করা৷ স্বচ্ছ একটু আগেই কল করে বলেছিল। চলে এসেছে দেখে স্বস্তি মিলল। কখন না জানি ডেভিল দাদাভাই এসে সমস্যা বাঁধিয়ে দেয়। বলা তো যায় না। স্বচ্ছ ছোটশ্বাস ফেলে বলে,
“ গাড়ি চলে এসেছে। উঠে বসো। ”
সুহা এদিক ওদিক তাকায়। দাদাকে না দেখতে পেয়ে ভ্রু বাঁকিয়ে বলে,
“ দাদা কোথায়? ”
স্বচ্ছ মুহুর্তেই একটা মিথ্যা বলল। জানাল,

“ তোমার দাদাজান বলেছে আমার সাথে যেতে। ”
সুহা মেনে নেয় না। বরং বলে,
“ দাদাজান এটা কখনোই বলবে না। ”
“ রাহা তুমি বলো? বলেছে কিনা? ”
রাহাও গোলগোল চোখে তাকায়। কি বলবে? দাদা বলেছে এটা বলবে?বুঝে উঠে না। একবার স্বচ্ছ তো একবার সুহার দিকে তাকাতেই স্বচ্ছ ফোন বের করল। বলল,
“ তোমার দাদাজানকেই কল দিচ্ছি ওকে? উনিই বলুক।”
তারপর কল দিল। সুহা আর রাহার থেকে কিছুটা দূরে সরে গিয়ে ফোন কানে চেপে হাসল। দাদাজান কল তুলতেই হেসে বলল,
“ডিয়ার দাদাজান? রুম থেকে বের হয়েছেন?”
দাদাজান রাগ ফুঁসে যেন। দাঁতে দাঁত চেপে তীব্র ক্ষোভ নিয়ে বলে উঠে,
“ হতচ্ছাড়া!”
স্বচ্ছর তখন পেট ফেটে হাসি পায়। বলে,

“ শুনুন, আমার হাতে পনেরো দিন সময় দিয়েছেন? আমি মেনে নিয়েছি ভদ্র ছেলের মতো। হিসেব অনুযায়ী আপনার নাতনি এখনও আমার বউ। আমাদের বিচ্ছেদ হয়নি। আপনার কথানুযায়ী আমি যেভাবেই হোক পনেরো দিনের মধ্যে আপনার নাতনির মন জয় করতে পারলেই হবে। তাই না? সে অনুসারে বউ নিয়ে যেতে চাচ্ছি। যে কয়টা দিন সময় আছে সে কয়টা দিনই সে আমার সাথে থাকবে। এরপর আপনার কাছে পাঠিয়ে দিব। তারপর তার মতামত শুনে আপনি বিচার করবেন যা ইচ্ছে।ওকে? ”
দাদাজান রেগে শুধায়,
“ ফাজলা’মো করছো?”
“ ফাজলামো তো আপনি করছেন। এখনও সে আমার বউ। আর আপনি একজনের সাথে বিবাহ বন্ধনে থাকা অবস্থাতেই অন্য কোথাও অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাইছেন। তা নিয়ে আবার আমারই সামনে আলোচনা করছেন। সাহস কত? একজনের বউ অন্যজনের সাথে বিয়ে দেওয়ার মতো নোংরামো দুনিয়াতে আর হয়?বলুন? আমি চাইলে বউহরণের কেইস দিয়ে আপনার নামে মামলা ঠুকতে পারি দাদাজান। ”
দাদাজান পাল্টা রাগ নিয়ে মুহুর্তেই বললেন,
“ এক থা’প্পড় দিব বেয়াদব ছেলে। ”
স্বচ্ছ ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসে। বলে,

“ যেটাই দিন, এখন বউ নিয়ে যাওয়র অনুমতি দিন। যদি না দেন তাহলে কিন্তু কিডন্যাপ করে নিয়ে যাব। নিরুদ্দেশ হয়ে যাব বছর খানেকের জন্য। যা যা অধিকার খাটানো যায় সব খাটাব।তারপর তিন বাচ্চার বাপ হয়ে আপনার সামনে হাজির হবো। এবার বলুন কোনটা পছন্দ আপনার? ভালো পথ? নাকি বাঁকানো পথ?”
এরপর কয়েক মুহুর্ত দাদাজান চুপই থাকলেন। তারপর কি বুঝে শুনে অনেকটা সময় পর মুখ খুললেন,
“ আমার নাতনির উপর আমার বিশ্বাস আছে। কয়েকটা দিন তোমার সাথে থাকলেই তোমার উপর সে গলে যাবে না। সেহেতু অনুমতিটা দিচ্ছি নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু শর্ত আছে। ”

“ কি শর্ত?”
গম্ভীর স্বরে ভেসে আসে,
“ ওর সাথে জোরজবরদস্তি করতে পারবে না। কোনরকম অধিকার খাটাতে পারবে না। ও তোমার বউ এটা সঠিক হলেও বউগত অধিকার প্রয়োগ করলে কিন্তু তোমার পুরুষত্বকেই আমি ভ্যানিশ করে দিব। মনে থাকবে? ”
স্বচ্ছ হাসে। হেসে শুধায়,
“ আপনি একটু বেশিই ফার্স্ট দাদাজান। বউ নিয়ে যাচ্ছি বলেই যে বাসর সেরে ফেলব এটা তো বলিনি। স্বচ্ছ অতোটাও কন্ট্রোলল্যাস না। ”
“ জিভ টেনে ছিড়ে ফেলব অসভ্য ছেলে। ”
“যা ইচ্ছে ছিড়ে ফেলতে পারুন, আপাতত আপনার নাতনিকে বলুন আমার সাথে যেতে। শত হোক সে তো আপনারই নাতনি, আস্ত এক ঘাড়ত্যাড়া। ”
কথাটুকু বলেই দু পা বাড়িয়ে সুহাকে ফোন দিল। দাদাজান ফোনে সুহাকে কি বলল তা শোনা গেল না ঠিক তবে তারপর পরই সুহাকে গাড়িতে উঠে বসতে দেখা গেল। একদম চুপচাপ হয়ে। পাশাপাশি স্বচ্ছও বসল। গাড়ি চলল আপনগতিতে। সুহা অনেকটা সময় চুপ থাকার পরই হঠাৎ স্বচ্ছর দিকে তাকাল। বলল,
“ আবারও খেলছেন? আমি কি খেলার বস্তু স্বচ্ছ? আপনি আর দাদাজান আমায় নিয়ে খেলছেন? প্রতিযোগিতায় নেমেছেন? ”

স্বচ্ছ তাকায়। খেলছে? সে তো সুহাসিনীকে নিয়ে খেলছে না। খেলাটায় নেমেছেই সে সুহাসিনীকে পাওয়ার জন্য। স্বচ্ছ দীর্ঘশ্বাস টেনে শান্ত স্বরে জানায়,
“ উদ্দেশ্য যখন তুমি তখন সবকিছুতেই রাজি আমি। খেলায় জিততেও। ”
সুহা হতাশ। জানায়,
“ তাই বলে আমায় খেলনা বানাচ্ছেন? নিচে নামাচ্ছেন? ”
“ তুমি খেলনা নও সুহাসিনী। তুমি তো বিচারক । দিনশেষে তোমার সিদ্ধান্তেই বিজয়ী ঘোষিত হবে। বিশ্বাস করো, আমি এক বিন্দুও জোর করব না তোমায়। এক বিন্দুও ছুঁবো না। এইটুকু বিশ্বাস অন্তত রাখো আমার প্রতি। ”
সুহা মৃদু হাসে। জানালার ধারে তাকিয়ে জানতে চায়,
“ যদি বিজয়ী না হন? কি করবেন? ”
স্বচ্ছ হাসে। হেসে বলে,

“ সর্বপ্রথম প্লেনের টিকেট কাঁটব। দেশ ছেড়ে চলে যাব আবারও। যখন দেশে মাঝেমাঝে ফিরব তখন তোমাকে অন্যের স্ত্রী রূপে দেখব দুয়েক পলক। আড়ালে- আবড়ালে। ”
কথাটুকু বলেই দীর্ঘশ্বাস টানে সে। আসলেই সুহাসিনীকে অনঢ কারোর স্ত্রী রূপে দেখতে পারবে সে? রাগে টগবগ করবে না শরীরের সমস্ত রক্তকণিকা?স্বচ্ছ ফের শান্ত স্বরে বলে,
“ ভালোবেসে যদি আমায় চাও আমিও তোমায় ভালোবেসে আজীবন আগলে রাখব সুহাসিনী। এতোটা ভালোবাসায় মুড়িয়ে রাখব যে ফের কখনো অভিযোগ করতে পারবে না, ঘৃণা করতে পারবে না। ”
সুহা হাসে। অবহেলা নিয়ে বলে,
“ সেই আশা অপূর্ণই থাকবে।বর্তমানে আমি আপনাকে শুধু ঘৃণাই করি স্বচ্ছ।আর ঘৃণা করার কারণটা হলো আপনার ছন্নছাড়া, বাউন্ডুলে স্বভাবটা। এসব খামখেয়ালিপনা করে জীবনে কখনো দুঃখ না করলেই হয়। ”
” ঘৃণাও ভালোবাসার রূপ। ”
“ ভালোবাসার রূপ, কিন্তু ভালোবাসা নয় স্বচ্ছ। যাকে ঘৃণা করা যায় তার প্রতি শুধু তিক্ততাই কাজ করর। যেমনটা আপনার প্রতি কাজ করে। ”

স্বচ্ছ এই পর্যায়ে গাড়ির সিটে গা এলিয়ে দেয়। বুকে হাত গুঁজে ক্লান্ত চোখে তাকায় সুহার দিকে। চোখেমুখে একগুচ্ছ বিরক্তি আর ঘৃণা। স্বচ্ছর বুক কেমন করে। এই এত এত ঘৃণার মাঝে সে ভালোবাসা কুড়িয়ে নিতে পারবে? এই কয়টা দিনে সুহাসিনীর কঠিন হৃদয় যদি না গলে? হারিয়ে ফেলবে? সুহাসিনী অন্য কারো হয়ে যাবে? স্বচ্ছ দীর্ঘশ্বাস ফেলে। করুণ চাহনিতে চেয়ে থেকে মনে মনে ভাবে,
“সুহাসিনী? আমায় কি সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না আর?সত্যিই ভালোবাসা যায় না আর? শুধুই ঘৃণা করা যায়? ঘৃণা করে হলেও শুধু আমারই থেকে যাও না সুহাসিনী। অন্য কারোর না হও। ”
.
ছুটি গত দুয়েকদিন হলো সাদকে এড়িয়ে গিয়েছে কেবলই আবিরের জন্য। সাদ কেন? দুনিয়ার কোন পুরুষের দিকেই তাকায়নি অব্দি সে। বিনিময়ে চেয়েছে আবিরের কন্ঠ শোনার আবদার। একটু খানি কথোপকোতন। অথচ আবির তো আবিরই৷ বরাবরের মতোই এড়িয়ে যায় ছুটি মেয়েটাকে। ছুটি যখন কল দিতে দিতে ক্লান্ত ঠিক তখনই এক পড়ন্ত বিকেলে আবিরের কল এল। জানাল,
“ ছুটি? দুই সপ্তাহ পর আবারও দেশ ছাড়ব। ছুটি নেই বেশিদিন। আমি চাইছিলাম বিয়ে করতে। ”
আচমকা ঝটকায় ছুটি নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। আবির ভাই বিয়ে করতে চাইছে? কাকে বিয়ে করবে? তাকেই? ছুটি মিনমিনে স্বরে বলে উঠল,

“ বিয়ে করবেন? ”
আবির লম্বা শ্বাস টানে। বলে,
“ তুই কি দুই সপ্তাহের জন্য আমার বউ হবি?”
ছুটি বিস্ময়ে চোখ গোল গোল করে তাকায়। কিসব কথাবার্তা। বিশ্বাস হয় না তার। অস্থির লাগে। শুধায়,
“ বউ? আমি?”
আবির চাপা রাগ নিয়ে বলে,
” অন্য কেউ হলে খুশি হবি? ”
ছুটি ফের বিস্ময় এবং অবাকের সাথে শুধায়,
“ তুমি সত্যিই বলছো আবির ভাই?আমার কাছে সব কেমন নাটকীয় মনে হচ্ছে। ”
“ কেন? ”

প্রেমের সমর পর্ব ১৮

ছুটি কিছুক্ষন নিরব থাকে। অতঃপর বলে,
” এতকাল তো ইগ্নোর করলে তুমি।আমাকে এমন ভাবে রেখেছিলে জীবনে যেন তুমি আমাঢ চেনোই না। তারপর হুট করেই ভালোবাসার কথা বলা, তারপর বিয়ের কথা। কেমন যেন অবিশ্বাস্য নয়? ”
আবির ফোঁস করে শ্বাস টানে। রাগ রাগ কন্ঠে বলে,
“ বিশ্বাস করতে পারলে বলিস। রাখলাম। ”
কথাটুকু বলেই কল রাখল আবির। ছুটি তখনও ড্যাবড্যাব করে চেয়ে আছে। আবির ভাই কি বলল তাকে? বউ হতে বলল? ছুটি বিড়বিড় করে ফোনের দিকে চেয়ে শুধায়,
“ রেখে দিল? কি বলল আবিরভাই? ”

প্রেমের সমর পর্ব ২০