প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩১
অলকানন্দা ঐন্দ্রি
সুহার পরনে একটা হালকা রং এর শাড়ি। আঁচলটা কোঁমড়ে গুঁজে রাখা। স্নিগ্ধ তখন তার দাদীমার সাথে খেলা করছে। সুহা তখন কাজে ব্যস্ত। স্নিগ্ধর কাঁথাগুলো ধুঁয়ে আনল। তারপর এক হাতে কাপড়ের বালতি নিয়ে এগোতে লাগল ছাদের উদ্দেশ্যে। অতঃপর হুট করেই সামনে পড়ল স্বচ্ছ। ছাদ থেকে নেমে আসছিল। পথে সুহাকে দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকাল সুহার দিকে। কোঁমড়ে আঁচল গুঁজে রাখার দরুণ দৃশ্যমান হলো পেটের কিছু অংশ এবং মেদহীন কোমড়। স্বচ্ছ তাকায়৷ সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে একদম সুহা যে সিঁড়িটায় দাঁড়িয়ে সে সিঁড়িটার উপরের সিঁড়িটায় এসেই সামনাসামনব দাঁড়াল। তীক্ষ্ণ চাহনি নিক্ষেপ করে শুধাল,
“ প্রথমে হাজব্যান্ডকে পাত্তা দিলে না, পরবর্তীতে হাজব্যান্ডের থেকে পাত্তা না পেয়ে এখন কী অন্যদের পাত্তা পেতে চাইছো তুমি সুহাসিনী? অন্যদের পাত্তা পেতে হলেও তোমায় এতোটা নিচে নামতে হবে কেন? তুমি যথেষ্ট সুন্দরী সুহাসিনী। ”
সুহা কপাল কুঁচকাল। শুধাল,
“মানে? ”
স্বচ্ছ এবারে মুখ এবং চাহনি কঠিন করল। সিঁড়ির আরো একধাপ নেমে একদম সুহার বরাবর দাঁড়াল। অতঃপর সুহাকে একদম দেয়ালে ঘেষিয়ে রেখে এক হাত রাখল দেওয়ালে।অন্য হাত পরমুহুর্তেই গিয়ে ঠেকল সুহার কোঁমড়ে। খিচে ধরে আঁচলটা টেনে নিল সে। অতঃপর বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“ এভাবে পেট পিঠ দেখিয়ে ছাদে যাচ্ছো? কি কারণে? আমাকেও জানাও। ”
সুহার কেন জানি না কান্না আসে। সে যথেষ্ট শক্ত মনের মেয়ে। তবুও স্বচ্ছর মাঝে কোন একটা পরিবর্তন অবশ্যই লক্ষনীয়। স্বচ্ছ তার সাথে কথা বলছে, বাচ্চা কোলে নিচ্ছে তোর কোল থেকে, একসাথে ঘুমোচ্ছে তবুও কি যেন একটা আগের স্বচ্ছর মতো দেখাচ্ছে না সে। আগের স্বচ্ছ কি কখনো ভাবতে পারত সুহা অন্য লোকের মনোযোগ পেতে পেট পিঠ দেখিয়ে বেড়াচ্ছে? এখনকার স্বচ্ছও কি আসলেই মন থেকে ভেবেছে সবটা? নাকি মুখে বলেছে কেবল?সুহা নিরব চাহনিতে তাকিয়ে বলল,
“বাচ্চার কাঁথা ধুঁয়ে দিয়েছিলাম শুধু স্বচ্ছ৷ কাপড় কোঁমড়ে গুঁজে কাজ করতে সুবিধা লাগছিল তাই… ”
স্বচ্ছ মুহুর্তেই বলল,
“ বাচ্চার কাঁথা ধোয়ার জন্য লোক আছে না? তুমি কেন?”
“ খালা আজ আসেনি। তাই। ”
“ গুড। কিন্তু এভাবে নেক্সটটাইম থেকে যেন আর না দেখি সুহাসিনী।”
সুহা অনেক যান্ত্রিক দৃষ্টির মতো তাকিয়েই বলল,
“ হু, মনে থাকবে। ”
” গুড!”
এটুকু বলেই স্বচ্ছ চলে যেতে লাগল সিঁড়ি পেরিয়ে। সুহা মুহুর্তেই বলে উঠল,
“স্বচ্ছ? ”
স্বচ্ছ ফিরল। উত্তর করল,
“ হু। ”
সুহা কান্না দমিয়ে ফের বলে,
“ স্বচ্ছ ! ”
“বলো সুহাসিনী৷ ”
“ আমার প্রতি এত রাগ কেন পুষছেন? কেন? ”
আকস্মিক সুহার কন্ঠে স্বচ্ছ হকচকিয়ে উঠে। মেয়েটা কান্না করর দিবে হয়তো। বহুকষ্টে দমিয়ে রেখে বোধহয়৷ সে বলল,
“ কে বলল? ”
সুহা টলমলে চোক নিয়েই বলে উঠল দৃঢ় স্বরে,
“ খুব বেশি ভুল না করলে আমায় আপনি সহ্যই করতে পারছেন না। ”
স্বচ্ছ তাকায়৷ টলমলে লাল টকটকে চোখজোড়ার দিকে তাকিয়ে তার হৃদয় কাঁপে। সে কাঁদাতে চায় না মেয়েটাকে। প্রসঙ্গ পাল্টাতে বলল,
“ যাও বাচ্চার কাঁথাগুলো ছাদে দিয়ে এসো। ”
এটুকু বলেই স্বচ্ছ ফের পিছু ঘুরতে নিল। সুহা কাপড়ের বালতিটা রেখে এবারে হাত টেনে ধরল। বলল,
“ দাঁড়ান। ”
“ দাঁড়ালাম সুহাসিনী।”
এরপর পরই সুহা স্থান কাল ভুলে আঁকড়ে ধরল স্বচ্ছর শার্ট। কান্নায় ফুঁফাতে নিয়েও পা উঁচিয়ে আঁকড়ে ধরল স্বচ্ছর ঠোঁটজোড়া। দুই হাত রাখল স্বচ্ছর কাঁধে। স্বচ্ছ বোধ হয় মনে মনে মজাই পেল এমন কান্ডকারখানায়৷ শুধু দাঁড়িয়ে থেকে দেখে গেল প্রিয় নারীর পাগলামো। সুহা ঠোঁট ছেড়ে চোখের পানি ফেলতে ফেলতেই স্বচ্ছর শার্টের কলার আঁকড়ে ধরে দৃঢ় স্বরে জানাল,
“ আমি মানছি আমার ভুল হয়েছে, বহুবার কষ্ট দিয়েছি আমি আপনাকে। এড়িয়ে গিয়েছি, ভুল বুঝেছি। আপনার মতো ভালোবাসতে পারিনি,তাই বলে এভাবে আমার প্রতি বিতৃষ্ণা দেখাবেন সময়ের পর সময় ধরে? বিরক্তি দেখাবেন? কেন? আমার প্রতি রাগ অভিমান সব মানতে পারব, কিন্তু আমি এটা মানতে পারছি না।”
বিতৃষ্ণা, বিরক্তি? সুহার প্রতি? মোটেই না! সুহা নিজেও হয়তো জানে না তার প্রতি স্বচ্ছ কখনোই বিরক্ত হতে পারবে না। কখনোই না৷ স্বচ্ছ উত্তর করল হতাশ গলায়,
“ ভুল স্থানে, ভুল সময়ে আমায় এভাবে লক্ষভ্রষ্ট না করলেও তো পারতে সুহাসিনী। ”
সুহা কথার অর্থ বুঝার চেষ্টা করল না। মস্তিষ্ক এটাতেই তখন বিশ্বাস করে আছে যে স্বচ্ছ তার প্রতি বিরক্ত এবং একাধারে বিরক্তিই প্রকাশ করে যাচ্ছে। ফের বলল,
“ আমায় এভাবে অসহ্য হওয়া দৃষ্টিতে দেখার অধিকার আপনার নেই স্বচ্ছ। বউ হই আপনার! আপনার উচিত আমার দিকে সর্বক্ষন মুগ্ধ হওয়া। অথচ আপনার চোখে মুখে ফুঁটে উঠছে বিরক্তি। ”
স্বচ্ছ হাসল এবারে। আশপাশে এতক্ষন চোখ বুলিয়ে কেউ আসছে কিনা খেয়াল রাখলেও এখন আর পরোয়া করল না। বউকে কোলে তুলে নিল এক মুহুর্তেই। ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল,
“এটা ভুল জায়গা সুহাসিনী, তারচেয়ে বরং আমরা রুমে যাই? তোমার সব হিসেব মেটানো যাক হুহ? ”
সিয়ার দেওয়া খিঁচুড়িটা সাদ আরাম করেই প্লেটে নিয়ে মুখে তুলল। অতঃপর সবটা খিঁচুড়ি শেষ করে চিৎ হয়ে শুল খাটে। ভাবল অনেক কিছু। সে কি কোনভাবে সিয়ার প্রতি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে? হয়তো! রাহার পরিবর্তে আজকাল সে সিয়াকে নিয়ে ভাবছে। টুকটাক হিংসে কাজ করছে নিলয়ের প্রতি। অল্পস্বল্প রাগ জমছে সিয়ার প্রতিও! সাদ ছোটশ্বাস ফেলে। কিন্তু এই সম্পর্কেরও তো কোন ভবিষ্যৎ সে দেখতে পায় না। সিয়াকে নিয়ে ভাবারও যে সাহস নেই তার। এভাবে দুর্বল হওয়াটা কি ঠিক হচ্ছে? দুর্বলতাটাকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত? মুহুর্তেই সাদের মস্তিষ্ক জানাল, নাহ! কারণ রাহার মতো সিয়াও উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে৷ উল্টোদিকে সাদ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। এখনো হাতে কোন শক্তপোক্ত জব নেই, ভালো বেতন নেই। নিজের পরিবারে টাকা দিয়ে বাকি টাকা দিয়ে নিজে চলতেই তার হিমশিম খেতে হয়। কি করে হাত বাড়াবে আবার উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ের দিকে। সাদ মনে মনে ভেবেই নিল সে সিয়াকে নিয়ে আর ভাববে না। চিন্তা করবে না।দ্বিতীয়বার একই ভুল সে করবে না। অসম্ভবের প্রতি হাত বাড়িয়ে লাভ নেই। উঠে সিয়ার দেওয়া বক্সটা পরিষ্কার করে রেখে দিল সে। ঠিক সে সময়ই কোথায় থেকে ছুটে এল নিলয়। দ্রুত জানতে চাইল,
“ ব্রো ঐ বক্সটা কই? যেটা সিয়াপাখি দিয়ে গেল আমার জন্য? ”
সিয়া এই সংবাদটা নিলয়কে বলেও দিয়েছে? বাহ! বেশ ভালোই ভাব জমেছে!
তাছাড়া সিয়াপাখি? হোয়াট ইজ সিয়াপাখি? সাদের বিরক্ত লাগল। সাথে তীব্র রাগ! ভ্রু কুঁচকে বলল,
“ সিয়াপাখি? কোন দেশের পাখি? ডানা থাকে? ”
নিলয় হেসে বলে,
“ আরেহ তোমার স্টুডেন্ট সিয়া মামাহ! ”
” ওকে পাখি ডাকার মতো কোন বৈশিষ্ট্য পেয়েছিস এখনও? ”
নিলয় হুট করেই শুধাল,
” এভাবে কথা বলছো কেন ? ”
সাদ হুট করেই শক্তোপোক্ত চাহনি রেখে নিলয়ের মুখোমুখি বসল৷ গম্ভীর কন্ঠে জানাল,
” নিলয়? সিয়ার থেকে দূরে থাকবি এবার থেকে। তোরও ভালো হবে, সিয়ারও ভালো হবে। ”
নিলয় মুহুর্তেই আপসোসে ফেটে পড়ল। জানাল,
“ এটা কি বলছো মামা? আমার ফার্স্ট লাভ! সম্ভব নাকি দূরে থাকা?”
সাদ বিদ্রুপ হেসে শুধাল,
“ ওহ আচ্ছা তাই নাকি? বাকি সবাই কি তোমার লাস্ট লাভ ছিল নিলয়?”
“ বাকি সবাই এর প্রতি আমার ফার্স্ট লাভ ফার্স্ট লাভ ফিল হয়নি। কিন্তু এইবার সত্যিই এটা ফার্স্ট লাভ! ”
“ আমি শুনেছি তুমি এটা প্রত্যেকবারই বলেছো।এবং মেয়েগুলোকে রুম অব্দি নিয়ে যাওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছো। দেখো, সিয়া খুবই সেন্সেটিভ মাইন্ডের একটা মেয়ে।তুমি যদি ভালো ছেলে হতে তাহলে ওর পাশে তোমাকে দেখে আমি এপ্রেশিয়ট করতাম।”
নিলয় হুট করেই মুখ টানটান করে শুধাল,
“ সম্ভব না দূরে থাকা। এতবার বলিস না আর। সম্ভবই না। ”
সাদ এবারে নিলয়ের কলার চেপে ধরল। দাঁতে দাঁত চেপে তীব্র রাগ নিয়ে বলল,
“ সম্ভব। এটাই ফার্স্ট, এটাই লাস্ট বলছি। ওর থেকে দূরে থাকবি নিলয়।”
নিলয়ও শুধাল,
“ তোর কথা মতো?”
সাদ ও ক্ষেপে বলল,
“ হ্যাঁ, আমার কথা মতোই। ”
ঐ ঘটনার পরের পুরোটা সময়ই আবির গম্ভীর রূপ ধারণ করে থাকল। ছুটির দিকে তাকাল না অব্দি। বেরও হলো না বাসা থেকে। ইভেন্টে অংশগ্রহণ ও করল না। ছুটি অবাক হয়ে শুধু চেয়ে চেয়ে থাকে। বহুবার চেষ্টা করেছে এই পুরুষটির মনোযোগ আকর্ষনের, মান ভাঙ্গানোর। কিন্তু পারল না। ছুটির মন খারাপ লাগে যেন। অতঃপর রাতেও দেখা গেল আবির নিজে খেয়ে অন্য রুম টাতেই ঘুমিয়ে পড়ল। ছুটি অপেক্ষা করল, ভাবল আবির আসবে এই রুমে। অথচ এল না। ছুটি বিস্ময় নিয়ে তাকিয়েই থাকে। এতোটা আঘাত তো সে করতে চায়নি মানুষটাকে। কোনভাবেই না। ছুটির কষ্ট লাগে।মান ভাঙ্গানোর সর্বশেষ উপায় হিসেবে সে একটা লাল শাড়ি জড়াল শরীরে। ভাবল শাড়িতে তাকে দেখেই এই পুরুষটি আর রেগে থাকবে না।
তাই তো টিপটিপ করে পা ফেলে ওই রুমের দরজাটা ঠেলে নিতেই দেখা গেল আবির শুঁয়ে আছে শরীর টানটান করে। বোধহয় ঘুমিয়েও গেছে। ছুটি পা এগোয়। তারপর বিছানায় এসে ধীরেসুস্থেই গুঁটিশুঁটি হয়ে শুঁয়ে পড়ে আবিরকে জড়িয়ে নিয়েই। একদম বুকের মধ্যিখানে অবস্থান করল যেন তার মাথা।তাকিয়ে থাকে আবিরের গলার বিশেষ অংশ, অ্যাডামস অ্যাপলের অংশটায়।পরক্ষণেই হাত এগিয়ে ছুঁয়ে নিল আবিরের গলা, অ্যাডামস অ্যাপল! আঙ্গুল বুলায়। আবিরের ঠোঁট তখন আপনাআপনিই বাঁকা হয়ে আসে ছুটির স্পর্শ পেয়ে। তখনও তার চোখ বুঝা। এমন না যে সে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। ঘুমানোর ভান করছিল কেবল। আবির চোখ খুলে না।
আরো কিছুটা সময় অপেক্ষা করে ছুটি কি করে দেখার জন্য। ছুটি ততক্ষনে তার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকল। প্রতিদিন যেভাবে আবির তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায় সে অবস্থানেই উল্টোদিক ঘুরল। পিঠটা তখন আবিরের বুকে ঠেকল। আর আবিরের হাতটা রাখল নিজের উম্মুক্ত উদরের অংশটায়। অতঃপর অনেকটা সময় সে ঘুমানোর চেষ্টা করে সেভাবেই। আর অন্য দিকে আবির আড়াল হতে দেখছিল মেয়েটার কার্যকলাপ। পরনে শাড়িও জড়িয়েছে।সম্ভবত এটা তার রাগ ভাঙ্গিয়ে তাকে ফাঁসানোর দ্বান্ধা মেয়েটার। আবির ঠোঁটে বাঁকা হাসি ঝুলাল। ইচ্ছে হলো ছুটিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁধে কয়েকটা চুমু বসাতে। কিন্তু সম্ভব হলো না। যার দরুণ ঘুমানোর ভান করে মুখটা একটু ঘেষে রাখল ছুটির ঘাড়ে। উষ্ণ পুরু ঠোঁটজোড়া একবার ছোঁয়াল। ছুটি ভাবল এটা ঘুমন্ত আবিরের কাজ।হয়তো খেয়াল নেই। ঘাড় কাঁত করে তাকিয়ে পরখ করল। পরমুহুর্তেই কি বুঝে ফিসফিস করে ডাকে,
“ আবির ভাই, আবির ভাই? শুনছেন? ঘুমিয়ে গেছেন? ”
অন্য বার ভাই ডাকলে যেমন আবির রেগে বসে আজ তেমন কিছুই হলো না। ছুটির উপর রাগ দেখাল না।শুধু চোখ খুলে নিজের হাতটা ছুটির উদর থেকে সরিয়ে রাখল। কিছুটা দূরত্ব রেখে দূরে সরল। ছুটি ভেবেছিল এই লোক হয়তো ভাই বলা নিয়ে রাগ দেখাতে হলেও কথা বলবে। অথচ বলল না। তাকাল দৃষ্টি সরু করে। ছুটি উল্টো ঘুরে তার দিক হয়ে শুধাল,
প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩০
“ আগে না আপনার জড়িয়ে না ধরলে হতে না? আজ দূরে সরে যাচ্ছেন? আমায় একটু জড়িয়ে ধরুন না আবির ভাই। ঘুম আসছে না আমার। আমার সম্ভবত আপনার অবহেলায় নিঃশ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসছে। আমায় একটু জড়িয়ে ধরুন , আবির ভাই! অনুরোধ করছি। ”
কি গভীর আকুতি। আবিরের ইচ্ছে হলো জড়িয়ে ধরতে। আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়ে মেয়েটাকে নিজের সাথে মিশিয়ে ফেলতে। অথচ করল না সে তা। নিরব দৃষ্টি ফেলে তাকাল কেবল।