প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩৩
অলকানন্দা ঐন্দ্রি
রোহানের দৃষ্টি স্বাভাবিক ঠেকল না যেন। রোহান সরু চাহনিতে তাকাতেই রোহান তার শক্ত বন্ধনী থেকে রাহার হাতটা ছেড়ে দিল। বিনিময়ে আরেকটু কাছে এসে টেনে নিল রাহাকে। আগ্রাসী হয়ে রাহার ঠোঁটজোড়া দখলে নেয়। রাহা তখন বিরক্তে হাত পা ছুটে। অথচ লাভ হলো না। রাগে ক্ষোভে ক্ষ্রিপ্ত সে পুরুষকে সে দমাতে পারল না। রোহান ক্ষনিক বাদেই ছাড় দিল তার ঠোঁটজোড়া। পরমুহুর্তেই মুখটা যখন রাহার গলার দিকে নিতে লাগল ঠিক তখনই বাঁধা দিল রাহা। মুহুর্তেই রাগী সুরে বলে উঠে,
“ খবদ্দার বলছি মিঃ রোহান ফারাবী, এর থেকে বেশব করলে আমি কিন্তু খুব খারাপ কিছু করব। ”
রোহান শুনে না। ঠিকই মুখ এগোল। ঠোঁট ছোঁয়াল রাহার গলায়। মসৃন গলার ত্বকে ঠোঁট দাবিয়ে চুমু আঁকলে। ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে শুভ্র মসৃন গলায় দাগ বসাতে একটা কাঁমড়ও আঁকল। রাহা তখন ব্যাথায় দাঁত চাপে। অপর দিকে রোহান হেসে বলে,
“ নিজের বউ চলে যাওয়ার থেকে বউকে ভালোবেসে আগলে নেওয়া বেটার না নবনী? নয়তো লোকে আমায় বউ চলে যাওয়া পুরুষ হিসেবে চিনবে। ”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রাহা ওভাবেই চোখ বুঝে রাখে। যেন সে সহ্য করতে পারছে না। ফুঁসে উঠে রাগী স্বরে বলে উঠে,
“ অন্য একটা মেয়ের সাথে প্রেম করে আমার সাথে বাসায় এসব নোংরামো করার মানে কি? শর্ত ছিল কি বিয়ের? এখন ওসব ভুলে আমার সাথে এই ধরণের ফাজলামো করার মানে কি? ”
রোহান খুব একটা পাত্তা দিল না কথাগুলোকে। রাহার এই ছোট্ট ভুলটা সে কোন এক সময় ঠান্ডা মাখায় ভাঙ্গিয়ে দিবে নাহয়। তবে এই যে তার বিয়ে করা বউ বারবার চলে যাবে চলে যাবে বলে তার অস্থিরতা বাড়ায়, এখন তো আবার সোজা ডিভোর্সেও চলে গেছে! এর জন্য রোহানের কাছে একমাত্র সমাধান মনে হলো রাহাকে কাছে টেনে আপন করা। তাই থামল না সে। এক আঙ্গুল রাহার থুতনিতে বুলাতে বুলাতে উত্তর করল,
” মানে তুমি বুঝো। ”
রাহা ঘৃণায় যেন দাঁত খিচে নেয়। বলে,
“ একদমই না। আমি বুঝতে পারছি না। উল্টো গা গুলিয়ে আসছে আমার। অন্য একটা মেয়ের প্রেমিক আমায় ছুঁয়ে যাচ্ছে আমি এটা মানতে পারছি না।আমার বমি পাচ্ছে… ”
এতক্ষন যাবৎ এতগুলো কথায় রেহান খুব একটা পাত্তা না দিলেও এবারে দিল। মন মেজাজ খারাপ হয়ে এল একটা কথাতেই। তার ছোঁয়ায় গা গুলিয়ে আসছে? বমি পাচ্ছে? তাও তার মনে সদ্য অনুভূতি তৈরি করা নারীটির কাছেই?রোহান থুতনিতে বুলাতে থাকা আঙ্গুল থামিয়ে এবারে চোয়াল চেপে ধরে। দাঁতে দাতঁ চিবিয়ে নেয়। তবুও শান্ত স্বরে বলে,
“ আবার বলো! ”
রাহার চোয়ালে হালকা ব্যাথা অনুভব করল। তবুও দৃঢ় আওয়াজে তাচ্ছিল্য হেসে উত্তর করল,
“আমি লাইফে কখনো কোনকিছু সেকেন্ড হ্যান্ড বস্তু হিসেবে পাইনি রোহান ফারাবী। আপনাকে মেনে নিয়েছিলাম কারণ আপনার চোখে আপুর জন্য ভালোবাসা দেখেছিলাম। এখন দেখছি আপনি সেকেন্ড হ্যান্ড বস্তু থেকে ও বেশি…. ”
এমন সম্বোধন করাতে বোধহয় রক্তকণিকায় কণিকায় রাগ ছড়াল পুরুষটার। দাঁতে দাঁত চিবিয়ে প্রশ্ন শুধাল,
“ আমি সেকেন্ড হ্যান্ড বস্তু? ”
“অফকোর্স!শুধু সেকেন্ডহ্যান্ড নয়, ক্যারেক্টারল্যাস ও! একটা মেয়ের সাথে অফিসের সবার সামনে প্রেম করে বেড়াচ্ছেন, সবাই জানে আপনারা কাপল হিসেবে আছেন। আর এখানে আমার সাথে করছেন কি? ছিঃ!একটা মেয়ে ছুঁয়ে ঐ হাত দিয়েই আমাকে ছুঁয়ে বেড়াচ্ছেন, একটা মেয়েটা যে ঠোঁট দিয়ে….! আপনার সবকিছুতে নিশ্চয় ঐ মেয়ের স্পর্শ আছে! ছিঃ! আর আমি সেই সেকেন্ড হ্যান্ড ছেলেরই…… ”
কথাগুলো বলতে বলতে রাগে ঘৃণায় রাহার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ল। লাল টকটকে দেখাল চোখজোড়া। রোহান সে চোখে তাকিয়েই বাঁকা হাসল। উত্তর করল,
“ এখন এই সেকেন্ড হ্যান্ড এবং ক্যারেক্টারল্যাস পুরুষটাই তোমায় ছুঁবে নবনী,সরাজীবন ছুঁবে। তুমি তা চুপচাপ সহ্য করবে, সারাজীবন সহ্য করবে। তোমার গা গুলিয়ে আসুক, বমি আসুক যায় হোক তোমাকে এই ক্যারেক্টারল্যাস পার্সনটাকেই সহ্য করতে হবে।ছেড়ে যেতে পারবে না। ”
রাহা ধাক্কা দিতে চাইল। অথচ পারল না। এই রোহানকে সে চিনে না। সত্যিই চেনা লাগছে না এই ক্ষ্রিপ্ত রোহানকে। এতদিন যে রোহানকে চিনে এসেছিল তার থেকেই এই রাগভ রোহান অনেক ভয়ানক। রাহা রোহানকে ক্যারেক্টারল্যাস ভাবলেও এতোটাও খারাপ ভাবে নি যে একটা মেয়েকে জোর করে সে কিছি করে ফেলবে। তার তো ঘৃণা হয়েছিল রোহান ঐ মেয়ের সাথে মিশে, ওদের সাথে কিছু আছে এটা জানার পরই! বেশি রিয়্যাক্ট করেছে কি সে? যার জন্য রোহানের এই ক্ষ্রিপ্ততা? রাহা ভয় পেল মনে মনে যেন। তবে দেখাল না তা। শক্তস্বরে বলে,
“ ছাড়ুন। ”
রোহান হাসল। মুহুর্তেই রাহাকে কোলে উঠিয়ে শুধাল,
“ ছাড়ার কোন পথ আর তুমি বাকি রাখোনি নবনী। আ’ম স্যরি। ”
“ আজকে যদি আপনি সত্যিই কিছু করেন আমি সারাজীবন আপনাকে ঘৃণা করব। ”
রোহান তাকায়। বলল,
“ এমনিতেও তো ঘৃণাই করছো।এতদিন সুযোগ দিলাম তোমায় ভালোবাসার, ভালোবাসলে না তো। উল্টে বারবার আমায় ছেড়ে যাওয়ার প্ল্যান করেছো। কিন্তু তোমার তো খুশি হওয়া উচিত নবনী, তোমার কথাই রাখছি। আমরা বেবির জন্য প্রথমবার ট্রাই করছি ভেবে নাও। ”
“ ওটা আগে ভেবেছি, এখন নয়। এমন ক্যারেক্টারল্যাস ফাদার পেয়ে আমার বাচ্চা খুশি হবে কখনো? ”
“ খুশি না হলেও কিছু করার নেই, তোমাকে আমার সাথেই থাকতে হবে। এবং তোমার বাচ্চা বাবাও অন্য কাউকে হতে দেওয়ার সুযোগ আমি দিতে পারব না। ”
এইটুকু বলেই রাহাকে বিছানায় রেখে যখন রোহান ঝুঁকে পড়ল রাহার দিকে তখন রাহা দ্রুতই ভয়ে চোখ বুঝল। দ্রুত বলল,
“ আমায় ছাড়ুন রোহান।আপনাকে ভয় লাগছে আমার। ছেড়ে দিন।”
রোহান শুনল না। মনকে প্রশ্রয় দিয়ে শুধাল সামনে যে মেয়েটি আছে সে তার বউ। তার এইটুকু অধিকার আছে। নিশ্চয় আছে। কিন্তু মেয়েটা কি সত্যিই তাকে এতগুলো দিনে একটুও ভালোবাসতে পারে নি? তার ছোঁয়া এতটাই অসহ্য লাগছে? কেন লাগল অসহ্য? রোহান ঠোঁট গোল করে শ্বাস ছাড়ল। মনে মনে দুয়েকবার ভাবল জোর করাটা উচিত নয়। সে কি রাহাকে চলে যেতে দিবে? ফের পরমুহুর্তেই মন আবার তীব্র রাগ নিয়ে জানাল, কোনভাবেই না। রাহার কানে কানে শুধাল,
“ এতদিন তো কিছু করিনি এক রুমে থেকেও, আজ যেহেতু করছি সেহেতু তুমি হাজারবার বললেও আমি ছাড়ব না নবনী। ভালো হয় তুমি মেনে নাও, এটা জোরজবরদস্তি নয়। স্বামী স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্ক। তুমি জানো নিশ্চয়? ”
নিশুতি রাতে হুট করেই সাদ বাইরে বের হলো। গেইট পেরিয়ে রাস্তার ধারে হুট করেই হাঁটতে হাঁটতে তার মনে পড়ল রাহার কথা। কত রাত সাদ গিয়ে রাহাকে দেখার জন্য বেলকনির পানে তাকিয়ে থাকত। কতগুলো রাত!সাদের বুক ভার লাগে। এখন কেমন আছে মেয়েটা? রাহার কথাটা আনমনে একবার মনে করেই তারপর হুট করেই ঘাড় ঘুরিয়ে সিয়াদের বেলকনিটার দিকে তাকায় সে। অস্পষ্ট অন্ধকার। কাউকেই তেমন দেখা গেল না। সিয়া কি বেলকনিতে বসে? আকাশ দেখে? সাদের মনে হুট করেই জাগা এই অদ্ভুত প্রশ্নটায় সে নিজেই অবাক হলো যেন। অতঃপর হুট করেই সে হাঁটা ধরল সামনের দিকে। ঠিক সেসময়ই কেউ কল করল সাদকে। সাদ বিরক্তি নিয়ে কল তুলল। কানে নিতেই ওপাশ থেকে মেয়েলি কন্ঠে কেউ বলল,
“ একটু দাঁড়াবেন? আমার অনেকদিনের শখ রাতের শহর দেখা। একটু দাঁড়ান সাদ ভাই। ”
সিয়া! সাদ ফের ঘাড় ঘুরিয়ে বেলকনিতে তাকাল। মেয়েটা কি ওখানে থেকে তাকে দেখছে? কিন্তু তার চোখে তে পড়ছে না। সাদ ভ্রু কুঁচকে অনেকটা সময়ই বুঝার চেষ্টা করল ঐ অন্ধকারে কেউ আছে কিনা। অথচ বুঝতে পারল না। সিয়া হেসে বলল,
“ এভাবে বেলকনিতে তাকাচ্ছেন হঠাৎ? কখনো তো তাকান না সাদ ভাই। ”
সাদ গম্ভীর স্বরে উত্তর করল,
“ এমনি। ”
সিয়া ফের বলল,
“ নিচে আসি? নিবেন আমায় সাথে? ”
এবারেও গম্ভীর গলায় উত্তর আসল,
“ না! ”
“ কেন? নিলে ক্ষতি কি? ”
“ বুঝবে না তুমি। ”
সিয়া বড্ড আবদার করেই বলল,
“ যাই না সাদ ভাই। এমন করেন কেন? আমি তো এখন আর আপনাকে ভালোবাসি না, ভালোবেসে তো যাচ্ছি না আপনার সাথে। ”
এই এতটুকু বাক্যটা যে সাদের হৃদয়ে কত বড় আঘাত হানল তা বোধহয় সাদ নিজেও বুঝে উঠল না। “ আমি তো এখন আর আপনাকে ভালোবাসি না। ” কি সুন্দর বলে দিল এই মেয়েটা। সাদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
“ আমি চাই না তোমার বদনাম হোক সিয়া৷ রাতদুপুরে একটা ছেলে আর একটা মেয়ের একসাথে বের হওয়াটা সমাজ ভালো চোখে দেখে না।”
সিয়া তবুও বলল,
“ পাঁচ মিনিট দাঁড়ান অন্তত? ”
“ দাঁড়ালাম। তবে তোমায় সাথে নিব না আমি। ”
এইটুকু বলেই সাদ ফোন কানে নিয়ে অনেকক্ষন দাঁড়াল। পাঁচ মিনিট ফেরিয়ে বোধ হয় সময় আরো বেশি গড়াল। তারপর হুট করেই নিজের পাশে এক মেয়েলি অস্তিত্ব টের পেল। পরনে শাড়ি। ছেড়ে দেওয়া চুল আর কাজল রাঙ্গা আঁখি! রাস্তার সোডিয়াম আলোতে কি নিদারুণ দেখাচ্ছে মেয়েটাকে তা বোধহয় সে নিজেই জানে না। কিংবা জানে বলেই হয়তো পাঁচ মিনিট সময় নিয়ে শাড়ি জড়িয়ে, চোখে কাজল এঁকে প্রিয় পুরুষের সামনে এসেছের।সিয়া দ্রুতই ছটফট করে বলল,
“ চলুন, আপনি আগে যান, আমি পিছনেই যাব। আলাদাই যাচ্ছি কেমন? একসাথে না। ”
সাদ দৃষ্টি সরাল। এমনভাবে অন্যদিকে তাকাল যেন সে সিয়ার এই সাঁজ, শাড়ি খেয়ালই করেনি। সিয়া মনে মনে বোধহয় প্রত্যাশা রেখেছিল নিষ্ঠুর পুরুষটি তার দকে মুগ্ধতা নিয়ে তাকাবে। অল্প প্রশংসা করবে। কিন্তু তার কিছুই হলো না। উল্টো গম্ভীর মুখে শুধাল,
“ পাগলামো করবে না সিয়া। ”
সিয়া মুহুর্তেই বলল,
“ পাগলামো না তো। রাতের শহর দেখার ইচ্ছে হলে দেখব না আমি? ইচ্ছেকে মেরে ফেলব? ”
“ আমি তোমায় সাথে নিব না। ”
“ তাহলে আমি একাই যাচ্ছি! ”
এইটুকু বলেই সিয়া পথ বাড়াল।বেশ খানিকটা পথ এগিয়েও গেল। পা থামছে না মেয়েটার। ভয়ও হচ্ছে না? ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। সাদ বিস্মিত হলো সিয়ার সাহস দেখে। এত রাতে একটা মেয়ে এভাবে একা একা যাওয়াটা যে যৌক্তিক নয় তা সিয়া বুঝে না? বুঝেও পাগলামো করছে? সাদের রাগ লাগে। হুট করেই দৌড়ে গিয়ে হাঁটতে থাকা সিয়ার হাত চেপে ধরল সে। রাগে জেদে মুহুর্তেই বলে,
“ এক্ষুনিই সরাসরি বাসা যাবে সিয়া। তোমার যদি খুব বেশিই রাতের শহর দেখার ইচ্ছে হয় তাহলে আমি তোমায় অন্য কোনদিন নিয়ে যাব। এখন বাসায় যাবে তুমি। ”
সিয়া শুধায়,
“ না গেলে? ”
সাদের রাগ তখন কপাল টানটান হয়ে উঠে। জানায়,
“ হাত উঠে যাবে আমার।”
“মারবেন? ”
“প্রয়োজন হলে মারব। ”
মারার কথাটুকু বলতে পারল সাদ? সিয়া অভিমান নিয়ে তাকায়। বুঝিয়ে বললে কি হতো? জেদ নিয়ে বলল,
“ যাব না আমি। আপনাকে তো সাথে যেতে বলছি না, আমি আমার মতো যাচ্ছি। হাত ছাঁড়ুন। ”
এইটুকু বলেই হাত ঝাড়া দিল সে। সাদ হাত ছাড়ল না। উল্টো বলল,
“ ছাড়ব না।”
সিয়া এবার কিছুটা আওয়াজ করেই শুধাল,
“ ছাড়ুন সাদ ভাই। ”
চোয়াল শক্ত হয় সাদের। এই মেয়ে এতোটা অবাধ্য কবে থেকে হলো?এতোটা জেদী?দাঁতে দাঁত চিবিয়ে রক্তিম চোখে তাকিয়ে সে বলে,
“ বাড়াবাড়ি করছো। ”
“ করলাম। সমস্যা কি? ”
এই পর্যায়ে সাদ সত্যিই পারল না। সত্যিই পারল না নিজের হাতকে স্থির রাখতে। হুট করেই একটা চড় বসাল সিয়ার বাম গালে। শক্তস্বরে বলল,
প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩২
“ অনেকক্ষন বুঝিয়েছি। কানে নাওনি৷ চোখে মানুষ মনে হচ্ছে না আমাকে? এখন সোজা বাসায় যাবে সিয়া৷ বাড়াবাড়ি করলে অন্য গালেও পড়বে। ”
সিয়ার চোখ টলমল করে। আরেকটু হলেই গড়াবে যেন। অভিমান, অভিযোগ নিয়ে তাকিয়ে সাদকে বলল,
“ আপনি নিষ্ঠুর, নিষ্ঠুর সাদ ভাই। আপনার মতো নিষ্ঠুর মানুষের সাথে আমার পরিচয় না হলেই আমি সুখী হতাম। ”