বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ২৪
shanta moni
সকাল ৭:০০ টা রোদ বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে, আজ ১৫ দিন হয়ে গেছে শুভ্রের কোনো খোঁজ নেই, সেদিন রাতের পর থেকে শুভ্র বাড়িয়ে আছে কিনা রোদ সে সব জানে না,,আর কারো কাছ থেকে জানতেও চাইনি।
নানুর কাছেই শুনলো ১৫ দিন হয়ে গেছে শুভ্র বাড়িতে আসেনি। রোদ যেনো আগের থেকে আরো চুপ হয়ে গেছে।
শুভ্রের তার প্রতি খারাপ ব্যাবহার সব অত্যাচার বাজে কথা মেনে নিলেও রোদ চরিত্র নিয়ে কথা বলাটা মানতে পারেনি। তাই রাগের বসে থাপ্পড় দিয়েছে। সে ভেবেছিলো শুভ্র হয়তো তাকে আরো শাস্তি দিবে। কিন্তু এই লোকের তো খোঁজ নেই। হেনা বেগম তো টেনশনে শেষ শুভ্রের ফোনও বন্ধ পাচ্ছে রোমান ও কিছু বলতে পারছে না।
রোদের ইদানীং শরীর’টা খুব খারাপ লাগছে,,
ভিষন বমি পায়, মাথা ঘুরায়। ব্যাপার’টা হেনা বেগমও খেয়াল করেছে। আবার কেমন করে যেনো হাঁসছে, রোদ কিছুই বুঝতে পারছেনা এই রকম হাঁসার মানে কি৷ সকাল ৮:০০ রোদের পেট ব্যাথা করছে, রুম থেকে বেরিয়ে ডয়িং রুমে আসে। সবাই নাস্তা করছে, রোদ গিয়ে একটা চেয়ার টেনে বসে পড়ে৷ একটু পরোটা ছিড়ে মুখে নিতেই বমি আসে। দৌড়ে যায় রান্না ঘরের বেছিনের দিকে, সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, হটাৎ কি হলে ঠিকই তো ছিলো। হেনা বেগম রোদের পেছন পেছন যায়। কিছুক্ষণ পর রোদকে ধরে নিয়ে আসে হেনা বেগম সবার সামনে আসেন। আরাফ চৌধুরী
উৎবিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আরাফ চৌধুরী : মা কিছু হয়েছে রোদের ডক্টর ডাকবো।
হেনা বেগম মুচকি হাঁসি দিয়ে বলে,
হেনা বেগম : আরাফ ডক্টর ডাকতে হবে না।
মিষ্টি দোকানে যা বাড়িতে নতুন অতিথি আসছে।
আরাফ চৌধুরী : মানে?
হেনা বেগম : মানে হলো তুই দাদু হতে যাচ্ছিস। আর আমি বড়মা,,
রোমান নিলয় একসাথে বসে খাবার খাচ্ছিলো। হটাৎ এমন কথা শোনায় বিষম খাই।
রোদের চোখ কপালে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে, হেনা বেগমের দিকে, রোদ মনে মনে বলে,,কিছুদিন যাবত ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করছে না। তার জন্য গ্যাস্টিক হইছে হয়তো। কিছু খেলেই বমি আসে আর পেট ভরা ভরা মনে হয়। আর নানু এই সব কোথায় টেনে নিয়ে যাচ্ছে। রোদ হেনা বেগম কে উদ্দেশ্য করে কিছু বলতে যাবে, দাদি তুমি কি, আর কিছু বলতে পারে না। হেনা বেগম রোদকে থামিয়ে দিয়ে বলে,
হেনা বেগম : আর কিছু বলতে হবে না। এই সময় এই রকম একটু আকটু হয়, এই রকম বুঝলি।
হেনা বেগম রান্না ঘরে চলে যায়। মিষ্টি আনতে,আরাফ চৌধুরী অনেক খুশি, বাড়ির সবাই খুশি হলেও হাঁসি বেগমের মুখ গম্ভীর শুভ্র তো রোদকে পছন্দ করে না। তাহলে এই সব কি করে হলো।
সকাল ১০:০০
হেনা বেগম রোমান আর নিলয়কে পাঠিয়েছে মিষ্টি আনতে। বাড়ি থেকে বেড়িয়ে সামনে গার্ডেন পেরিয়ে গেটের দিকে যায় রোমান নিলয়। হটাৎ চোখ পড়ে শুভ্রের দিকে বাড়ির গেট দিয়ে ডুকছে শুভ্র। নিলয়ের চোখ চকচক করে উঠে দৌড়ে গিয়ে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে তারপর বাহবা দিয়ে বলে,,
নিলয়: বাহ Bro তুমি তো বেরি ফাঁস্ট আমরা বিয়ে করতে পারলাম না, আর তুমি বাপ হয়ে গেলে,,ওহ হো শুভ্র চৌধুরী বাবা হচ্ছে।
শুভ্র নিলয়কে ছাড়িয়ে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে।
নিলয় বিশ্ব জয় একটা হাঁসি দিয়ে বলে,,
নিলয়: সেদিন তুমি ভাই শুধু শুধু রাগ করলে। তবে বিড়াল যে তুমি ঠিকঠাক মতো মেরেছো। তার প্রমান পেয়ে গেছি।
তার মধ্যে রোমান শুভ্র আর নিলয়ের পাশে দাঁড়ায়। রোমান শুভ্রকে বলে উঠে,
রোমান: শালা ভেবেছিলাম তোর আগে বিয়ে করবো। বাট সেটা তো আর হলোনা। তাই ভাবছিলাম তোর আগে বাপ হয়ে, তোর মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে দিব। কিন্তু শালা আমরা বিয়েই করতে পারলাম না,তার আগেই তুই বাপ হয়ে গেলি।
শুভ্র: হোয়ট?
রোমান নিলয় হাসে, রোমান বলে,
রোমান : বাড়ির ভিতরে যাহ,তাহলেই বুঝতে পারবি। আমরা মিষ্টি আনতে যাচ্ছি।
শুভ্র বাড়ির ভিতরে যায়।
হেনা বেগম সোফায় বসে ছিলেন শুভ্রকে দেখে উঠে দাঁড়ায় খুঁশিতে গদ গদ হয়ে শুভ্রের সামনে আসে। এসে বলে
হেনা বেগম : দাদু ভাই তুই এতো তাড়াতাড়ি খুঁশির খবর দিবি ভাবি নায়। এই না হলে চৌধুরী বাড়ির ছেলে,
শুভ্র ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে, সে আসলে বোঝার চেষ্টা করছে হচ্ছে টা কি বাড়ির সবার মাথার তার ছিঁড়ে গেলো নাকি।
হেনা বেগম একটু লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে বলেন।
হেনা বেগম : দাদু ভাই তোকে দেখলেই তোর দাদার কথা মনে পড়ে যায়৷ তর তাজা যুবক ছিলেন সে,,বিয়ের তিন মাসের মাথায় মা হবার সুখবর শুনতে পাই। আর তুই তো তার থেকেও ফাস্ট এই না হলে চৌধুরী বাড়ির ছেলে।
শুভ্র: দাদি মাথা ঠিক আছে, পাগলের মতো কি সব বলছো, তোমরা কি সবার মাথার তার ছিঁড়ে গেছে নাকি।
হেনা বেগম হাসি দিয়ে বলে,,,
হেনা বেগম : আমাদের তার ছিঁড়ে নাই,,তবে খবর টা শুনলে তুই নিজেই তোর মাথার তার ছিঁড়া পাগল হয়ে যাবি,,খুঁশিতে।
হেনা বেগম পুনরায় বলে উঠে
হেনা বেগম : তুই বাবা হতে যাচ্ছিস দাদু ভাই।
শুভ্র: হোয়াট?
হেনা বেগম : মনে হচ্ছে কিছুই জানিস না, হ্যা
শুভ্র: মাথা ঠিক আছে দাদি কি সব বলছো হ্যা,
হেনা বেগম : আমার মাথা ঠিকই আছে। বলেছিলাম না খুশির খবরটা শুনলে তুই নিজেই পাগল হয়ে যাবি।
শুভ্র : দাদি কি সব বলছো হ্যা,
হেনা বেগম : আমি ঠিকই বলছি, তুই বাবা হতে যাচ্ছিস শুভ্র।
শুভ্র: স্টপ দাদি, তোমার নাতির সাথে আমার সেরকম কিছু হয়নি। যে আমি বাপ হবো হ্যা।
হেনা বেগম : কি সব বলছিস হ্যা?
শুভ্র: জমি তো চাষিই করলাম না। তার আগে ফসল কোথা থেকে আসবে।
বলেই শুভ্র সিঁড়ি দিয়ে নিজের রুমের দিকে যায়।
হেনা বেগম শুভ্রের দিকে তাকিয়ে আছে, তার মাথায় ডুকলো না শুভ্র কি বলে গেলো।
রোদ নিলার সাথে কথা বলছে, আর আজকে ঘটনা গুলো সব বলছে,,
শুভ্র রোদের রুমের সামনে দাড়ানো, রোদের সব কথা গুলোই কানে আসে তার,,
রোদ: আর বলিস না নিলা,,ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া হচ্ছে না,,তার জন্য হয়তো গ্যাস্টিক হয়েছে,,যেই কারনে কিছু খেতে গেলেই বমি আসে৷ আর নানু সেই সব কিছু অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
রোদ কথা শেষ করেই পিছন ফিরে তাকায় শুভ্রকে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে যায়।
শুভ্র রোদের দিকে তাকিয়ে আছে শান্ত
দৃষ্টিতে, রোদ আর শুভ্রের চোখাচোখি হয়।
রোদ কিছুটা অস্থি পড়ে যায়, অন্য দিকে ফিরে রোদ বেলকনির দিকে যেতে নেয়। এমন সময় শুভ্রের গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠে।
শুভ্র: ওই খানে দাঁড়া রোদ।
রোদের পা থেমে যায়, রোদ মাথা নিচু করে আছে, শুভ্র রোদের সামনে এসে দাঁড়ায় তাঁরপর বলে উঠে,
শুভ্র: মিসেস রোদ, আপনি নাকি মা হচ্ছেন। আর সেটা আমি জানি না।
রোদ মাথা নিচু করে আছে,
শুভ্র আবার পুনরায় বলে উঠে
শুভ্র: জমি না চাষ করেই, ফসল বাহ বাহ
রোম আস্তে করে বলে উঠে
রোদ: আপনি যা ভাবছেন সেই সব কিচ্ছু না,,
শুভ্র রোদের দিকে দু কদম এগিয়ে রোদের দিকে ঝুকে বলে..
শুভ্র: তো আপনি বলতে চাচ্ছেন মিসেস রোদ।
রোদ: নানু ভুলভাল ভাবছে সে সব কিছুই না। শরীর ঠিক নেই তাই এমন হচ্ছে।
শুভ্র সোজা হয়ে দাড়ায় তারপর রোদকে উদ্দ্যেশ করে বলে,,
শুভ্র: তো সেই কথাটা আপনার প্রান প্রিয় নানুকে বলেন গিয়ে তা না হয়ে এখন তো পুড়ো বাড়ি মাথায় তুলছে,তারপর পুড়ো এলাকায় ঢোল বাজিয়ে বলতে যাবে।
এই কথা বলেই শুভ্র রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।
শুভ্র যেতেই রোদ জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে থাকে। প্রানটাই বেড়িয়ে যাচ্ছিলো।
বিকাল ৪:৩০
রুহি ছাদে আসে,,এসেই দেখে রোমান ছাদের এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
রুহি জোড়ে ডাক দিয়ে বলে,,
রুহি: এই পাগল
বলেই থেমে যায়, রোমান পিছন ফিরে তাকায়, রুহিকে দেখে মুচকি হাঁসে কিন্তু রুহি তাকে কি বলে ডাকছে সেটা শুনেই রাগি রাগি ভাব নিয়ে বলে,,
রোমান: এই মেয়ে কাকে পাগল বলছো তুমি হ্যা।
রুহি: আসলে
রোমান: আসলে কি হ্যা কথায় কথায় পাগল বলো হ্যা,,আমাকে তোমার কোন দিক দিয়া পাগল মনে হয়।
রুহি: সব দিক থেকেই।
রোমান রেগে বলে,,মুখে মুখে আবার তর্ক করছো,
রুহি: আপনার মতো বিদেশি উগান্ডার সাথে কে ঝগড়া করবে হ্যা।
রোমান: আমি উগান্ডা হলে তুমি কি হ্যা?
রুহি: আমি একটা সুন্দরী মেয়ে।
রোমান: আহা কি সুন্দরী বুঝাই যাচ্ছে, তুমি হচ্ছো কালো পেত্নী,, কালি একটা
রুহি রেগে গিয়ে বলে,,,
রুহি: আমাকে কালি বলবেন না। বলে দিচ্ছি,
রোমান: কালো কে কালো বলবো না তো কি করবো,,
রুহি: আমি কালো হলে আপনি দলা ইদুর পচা আলু৷
রোমান চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে,
রোমান: এই মেয়ে এই সব কি বলছো। চিনো আমাকে হ্যা,,,
রুহি: চিনবো না আবার আপনাকে খুব ভালো করেই চিনি। আপনি একটা পচা আলু,
রোমান: এই শেওড়া গাছের কালো পেত্নী,
রুহি: আর একবার যদি এই সব বলেন, তাহলে কিন্তু খারাপ হয়ে যাবে বলে দিচ্ছি।
রোমান রুহির সামনে গিয়ে একটু ভাব নিয়ে বলে।
রোমান: এই কালো পেত্নী বললাম, এখন খারাপ কি করবে শুনি হ্যা।
রুহি রাগে চোখে রোমানের দিকে তাকিয়ে দু কদম পিছিয়ে,, থু থু মেরে ছাদ থেকে দেয়। ভো দৌড় তাকে আর পায় কে, যেতে যেতে রুহি বলে উঠে,,
রুহি: আমার সাথে লাগতে আসবেন না, মিস্টার পচা আলু,, তাহলে এরপর এর থেকে খারাপ কিছু হবে বলে দিচ্ছি।
রোমান বোকার তাকিয়ে আছে রুহির যাওয়ার দিকে, সে বুঝতে পারেনি, যে রুহি এমন কিছু করবে। গায়ে থেকে গেঞ্জি খুলে নিচে যায় রোমান, এই বোকা নারী তাকে সত্যি সত্যি কবে পাগল না বানিয়ে ফেলে।
রোদ বিছানায় শুয়ে আছে,হেনা বেগম রোদের রুমে আসে,রোদের বিছানার পাশে গিয়ে বসে রোদের মাথায় হাত ভুলিয়ে দেয়।
রোদ হেনা বেগমের দিকে তাকায় তারপর হেনা বেগম কোলে শুয়ে পড়ে,,হেনা বেগম মিহি কন্ঠে বলে উঠে
হেনা বেগম : এখনো কি খারাপ লাগছে,,রোদ,
রোদ: নাহ নানু আমি ঠিক আছি।
রোদ পুনরায় আবার বলে উঠে
রোদ: আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই নানু
হেনা বেগম : হুম বল কি বলবি,,
রোদ:নানু তুমি যা ভাবছো সে সব কিছুই না,
হেনা বেগম : মানে,,?
রোদ: আসলে নানু ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া হয়না, বলেই বমি হচ্ছে আর সাথে পেটে ব্যাথা হচ্ছে, তুমি সকালে যে সব কথা গুলো বলছো সে সব কিছুই না, নানু।
হেনা বেগম বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়,
হেনা বেগম : কি বলছিস রোদ।
রোদ: আমি ঠিকই বলছি, নানু
হেনা বেগম রোদের রুম থেকে বেড়িয়ে যায়, সে তখন কার শুভ্রের কথা গুলো এখন বুঝতে পারে। আর সে কতো কিছুই না ভেবেছিলো। হেনা বেগমের মুখে অন্ধকার নেমে আসে। তার মানে রোদ আর শুভ্রের ভিতরে কিছুই ঠিক হয়নি।
অয়ন রোদের মা হবার খবর টা শুনে,, কেনো জানি তার সব কিছু অবিশ্বাস মনে হচ্ছে, সে কোনো ভাবেই মানতে পারছে না, এই সব কিছু, বুকের বা পাশে ব্যাথা হচ্ছে,,
একতরফা ভালোবাসা গুলো এমনই কেউ একজন পাগলের মতো ভালোবেসে যায়। আর ওপর পাশের জন সেই ভালোবাসার কোনো মূল্যই দেয় না। অয়ন আনমনে বলে উঠে
অয়ন: তোমাকে যখন প্রথম দেখেছিলাম রোদ, তখন মনে হয়েছিলো আমার সব হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। তুমি আমার হলে কি খুব বেশি ক্ষতি হবে রোদ। আমি তোমাকে সারাজীবন আগলে রাখবো। কখনো অবহেলা করবো না, কখনোই নাহ।
হাঁসি বেগম আর রিয়া রাগে ফুঁসছে, এই সব কি হচ্ছে যেই শুভ্র রোদকে মানেনি,,তাহলে রোদের পেটে সন্তান আসলো কি করে,আসলো,আর এইটা যদি সত্যি হয়তো, রোদকে এই দুনিয়া ছাড়তে হবে। রিয়া আর হাঁসি বেগম প্রচাসিক হাঁসি দেয়।
বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ২৩
রাত: ১০:০০ টা
রোদ নিজের রুম থেকে বেড় হয়ে, নিচে যাচ্ছিলো এমন সময় কারো ডাক আসে,,
পিছন ফিরে তাকায় রোদ।