বাবুই পাখির সুখী নীড় পর্ব ১৬
ইশরাত জাহান
দুপুরের খাবার ঘরের বারান্দায় নিচে মাদুর বিছিয়ে খেলো দর্শন।এখানে ঠান্ডা বাতাস একটু হলেও পাওয়া যায়।শামীম টেবিল ফ্যান নিয়ে এসেছে।দর্শনকে একের পর এক খাবার দিয়েই যাচ্ছে শামীম।মিতু অবশ্য রান্নাঘর থেকে আনা নেয়ার কাজ করছে।ভাত শেষ হলেই প্লেটে ভাত দেয়া আবার এক তরকারি শেষ হলে আরেক তরকারি।এগুলো দেখে দর্শন একটু বিরক্ত হলো।এরা কি খাইয়ে শেষ করে দিবে তাকে!এক সময় না পেরে দর্শন বলেই দেয়,“আমি আর খেতে পারবো না।”
শামীম থেমে গেলো।হাত ধোয়ার জন্য সাবান পানি আনতে নিলে দর্শন বলে,“আমি যাচ্ছি টিউবয়েলে।”
দর্শন এগিয়ে গেলে শামীম পিছন গিয়ে কল ধরে বলে,“আপনি হাত পাতেন আমি চেপে দিচ্ছি।”
দর্শন মুগ্ধ হয় শামীমের আপ্যায়নে।এরা যে মানুষগুলো সহজ সরল এটা বুঝলো।মনের মাঝে নেই মারপ্যাঁচ।মৃদু হাসলো দর্শন।দেখতে পেলো শামীম।ভালো লাগলো তার কাছে।হাত ধুতেই শোভা গামছা নিয়ে আসে।দর্শনের হাতে গামছা দিয়ে সে বারান্দায় বসে নিজে খাচ্ছে আবার মৌলিকেও খাইয়ে দিচ্ছে।মিতু এসে বলে,“তুমি নিজে খাও। ওরে আমি খাইয়ে দিবো।”
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
“কয়েকদিন বাড়ি ছিলাম না তুমি তো দেখছি আমার থেকে ফুফুর অধিকার কেড়ে নিয়েছো।আমি কি আমার ভাইয়ের মেয়েকে খাইয়ে দিতেই পারবো না?”
“মৌলি অভ্যস্ত হয়ে যায়।যেদিন তুমি চলে গেছিলা ওইদিন কান্না করে তোমার জন্য।এরপর বাধ্য হয়েই গ্রামে ঘুরতে গেলাম।কারণ তুমি তো ওই বাড়িতে থাকবা।মৌলি নাহয় একটু ঘুরে এসে স্বাভাবিক হোক তাই।এখন তো দেখছি গ্রামে যাওয়া বৃথা।”
দর্শন ওদের কথা শুনে শোভার দিকে তাকিয়ে আছে।শোভা মৌলিকে আদর করছে খাইয়ে দিচ্ছে।শামীম বলে,“আপনি তাইলে বিশ্রাম নিন।”
দর্শন চলে গেলো ভিতরে।দর্শন ঢুকতেই শামীম টেবিল ফ্যান এনে দিলো।দর্শন অবাক হয়ে বলে,“বাকিরাও তো খাবে এখন।”
“ও আমাদের অভ্যাস আছে।”
বলেই একগাল হাসি দিয়ে চলে গেলো।শোভার প্রতি যতটা মুগ্ধতা কাজ করছিল তার থেকেও বেশি শামীমের যত্ন দেখে আরো বেশি মুগ্ধ দর্শন।মনে মনে বলে,“গরীব হলেও ভালো মনের এরা।এমন আপ্রাণ চেষ্টা কতজনই বা করে?”
দর্শন শুয়ে ছিল একা।কিছুক্ষণ পর একটু কেশে ইশারা দিয়ে ভিতরে ঢোকে শোভা।ভিতরে এসে দর্শনের দিকে না তাকিয়ে চুপচাপ টেবিলের দিকে কি যেনো করছে।দর্শন চোখটা শোভার দিকে রাখতেই দেখলো একটা নতুন মোবাইল বক্স থেকে বের করছে।মোবাইলে চার্জ দিয়ে শামীমের উদ্দেশে গলা উঁচিয়ে বলে,“মোবাইল পছন্দ হয়েছে ভাইয়া।পাল্টানো লাগবে না।”
দর্শন ভ্রুকুটি করে বলে,“তোমাকে মোবাইল কিনে দিয়েছে?”
“হ্যাঁ,কেন?”
“এতদিন কার মোবাইল ব্যবহার করতে?”
“ভাবীর মোবাইল ব্যবহার করতাম।”
“নিজের নেই?”
“আমি তো ইন্টারে পড়তাম।এই সময় কেউ মোবাইল নেয়?”
“তাহলে কোন সময় নেয়?”
“অনার্স উঠলে।তখন বিভিন্ন চাকরির জন্য ইমেইল ও আরো কাজ করা লাগে তাই।”
“তুমি চাকরি করতে চাও?”
শোভা মৃদু হেসে দর্শনের দিকে ফিরে বলে,“আপনি এমনভাবে বলছেন যেন আমাকে চাকরি দিবেন?”
“দিতেও পারি।আমার পরিচিত লোক আছে।এমনকি সরকারি অনেক লোক আমার আন্ডারে থাকে।”
“সেসব তো বড় কথা না।বড় কথা হলো আমি আপনি এতদিন একসাথে থাকতে পারবো কিনা।”
দর্শন এহেন বাক্যে থমকে গেলো।ভুলেই গেছিল ক্ষণিক মুহূর্তের জন্য তাদের সম্পর্ক।শোভা স্মরণ করিয়ে দিলো।শোভার ঠোঁটের কোণে ম্লান হাসি।দর্শন চেয়ে আছে।আচমকা ফ্যানের বাতাসে শোভার মাথার ওড়না পড়ে গেলো।বেশ খানিক ধরেই ওড়না সরে যাওয়ার পাঁয়তারা চলছিল অবশেষে সরেই গেলো।বেশ মোটা একটা খোপা দেখা দিলো সাথে সাথে।দর্শন চেয়ে আছে।সামনের দিকে ছোট ছোট চুল শোভার ঠোঁটে মাঝে মাঝে ছুঁয়ে দিচ্ছে।খোঁপা করা চুলটা দর্শন চাইলো খুলে দিতে।কারণ তাতেই বেশি সুন্দর লাগে কিন্তু ওঠার শক্তি পাচ্ছে না।ওই যে তার শরীরের দুইটি স্থান দুরকম ইঙ্গিত করে।মন বলে শোভার দিকে আকৃষ্ট হতে মস্তিষ্ক বলে বিচ্ছেদের রূপ নিতে।শোভা চার্জে দিয়ে দরজাটা লাগিয়ে দিল।বিছানাটা চিকন তাই শোভা নিচে মাদুর বিছিয়ে নেয়।বালিশ নিয়ে নিচে শুতে নিলেই দর্শন বলে,“আজকে বিছানায় ঘুমাবে না?”
শোভা তড়িৎ গতিতে চোখ তুলে তাকালো।স্বাভাবিক চাহনি দিয়ে বলে,“আপনার বিছানাটা বড় ছিল।দুজনে শোয়ার পরেও মাঝখানে জায়গা অনেক ফাঁকা ছিলো।আমার বিছানায় এমন জায়গা নেই।”
বলেই চুপ করে শুয়ে পড়ে নিচে।দর্শন আর কোনো কথা বলল না কিন্তু কিছুক্ষণ পর মাথা উঁচিয়ে দেখলো শোভাকে।চুল মেলে রেখেছে।কখনও কখনও উড়ছে চুলগুলো।দর্শন মাথায় হাত ভর দিয়ে এককাথ হয়ে শুয়ে শুয়ে নিচে তাকিয়ে দেখছে শোভাকে।শোভা শুয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে গেলো।দর্শন মনে মনে বলে,“মেয়েটার মাঝে এমন কী আছে,যে ওকে দেখলেই চারপাশের সবকিছু ভুলে যাই?ও নিজে থেকে কিছুই তো বলে না।তবুও মনে হয় সব কথা বলে দিচ্ছে চোখ দিয়ে।আমি এমন তো ছিলাম না।কিন্তু ওর সামনে দাঁড়ালেই মনে হয় আমি আর আমি থাকি না।”
বিকালের দিকে আছরের আযান দিতেই শোভার ঘুম ভেংগে যায়।শোভা চোখ পিটপিট করে খুলে হামি তুলে বসলো।বসে কি যেনো বিড়বিড় করে পড়ল।বুঝলো না দর্শন।এখনও চেয়ে আছে মেয়েটির দিকে।শোভা ঘুম থেকে ওঠার দোয়া পড়ে চোখ রাখে পিছনে দেখে দর্শন তার দিকে চেয়ে আছে।কিছুটা লজ্জা পেয়ে মুখ ফিরিয়ে উঠে দাঁড়ায়।মাদুর উঠিয়ে এক কোণায় রেখে বলে,“নামাজ পড়তে যাবেন না?”
“হুমম।”
“তাহলে উঠুন।”
“হুমম।”
“কি হুমম?”
“হুমম।”
“আবার হুমম?”
“হুমম।”
শোভা এবার কাছে আসলো।দর্শন ঘোরে আছে বলে ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে তুলল।যেটা দেখে স্বামীর প্রেমে আরেকহাত এগিয়ে এলো শোভা।এমনিতেই এই লোকটাকে স্বামী মানার পর একটু প্রেম প্রেম পেয়েছিলো এখন যেন আরো বেশি।তাও নিজেকে সামলে শোভা ধীরে ধীরে দর্শনের কানের কাছে মুখ নিয়ে দিলো এক চিৎকার,“শুনতে পাচ্ছে….. ন?’’
দর্শনের কান মনে হয় গেলো।বিরক্তির সাথে উঠে বসে ধমক দিয়ে বলে,“আর ইউ ম্যাড?আমাকে কি তোমার বয়রা মনে হয়?”
“এতক্ষণ তাই মনে হয়েছিল।”
“ইউ ইডিয়ট।”
“ইউ ঠু।”
“বেয়াদপ মেয়ে মুখে মুখে তর্ক করে।”
“বদমেজাজি একটা খালি ধমক দিবে।”
“আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিও না মেয়ে!”
“আমার নাম শোভা।”
“হোয়াটএভার!”
“নো ইটস শোভা।”
“চুপ!”
“না করলে কি করবেন?”
“দেখতে চাও!”
রাগমিশ্রিত কণ্ঠে বলে দর্শন।শোভাও বলে, “হ্যাঁ দেখিয়ে দেন।”
“তুমি কিন্তু আমাকে রাগিয়ে দিচ্ছ।আমি চাইনা সিনক্রিয়েট করতে।”
“বাব্বাহ!আপনার আবার সেইদিকে খেয়ালও আছে?আমি তো জানি আপনি যেখানে সেখানে গন্ডারের মত আচরণ করতে জানেন।”
“আমি গন্ডার?”
“হ্যাঁ আপনি গন্ডার।”
“চুপ করো!”
“করবো না।”
এবার আর থেমে থাকলো না।এতক্ষণের প্রেমিক জাগরণ দেওয়া পুরুষটি দিলো কষে এক থাপ্পড়। গালে হাত দিয়ে শোভা তাকালো দর্শনের দিকে।রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বলে, “তবেরে!”
বলেই দিলো দর্শনের মুখে পানি ছুঁড়ে।যেই পানিতে হুশ ফিরল দর্শনের।সামনে গ্লাস হাতে দাড়িয়ে শোভা বলে,“সেই থেকে ডাকছি শুনছেন না কেন?জেগে জেগে কি স্বপ্ন দেখছিলেন?”
“হ্যাঁ,স্বপ্নে তোমাকে থাপরাচ্ছিলাম।”
শোভা একগাল হাসি দিয়ে বলে,“এগুলোই তো দেখবেন।আপনি মানুষটাই যে এমন।কিন্তু আপনার স্বপ্ন আমি পূরণ হতে দিব না।”
“কিন্তু সব স্বপ্ন পূরণ না হলেও শেষ স্বপ্নটুকু একেবারে পূরণ হয়েগেলো।”
“মানে?”
দর্শন রাগ দেখিয়ে বলে,“ইডিয়ট।”
“আপনি শুধু আমাকে ইডিয়ট বলেন কেন?”
“কারণ তুমি ইডিয়ট।”
“বিরক্তিকর রাগী,বদমেজাজি,গন্ডার।”
“নামাজ পড়বে না?”
“সেই ধরেই তো ডাকছি যে উঠুন নামাজ পড়বেন।কিন্তু আপনি তো জেগে জেগে ঘুমোচ্ছিলেন।”
দর্শন উঠে দাড়ালো।বাইরে যেতে যেতে বলে,“রেডি হয়ে থেকো।মৌলিকে নিয়ে ঘুরতে যাব বিকালবেলা।”
শোভার চোখ বড় বড় হলো।এই লোক নাকি ঘুরতে নিয়ে যাবে।বাইরে বের হয়ে দেখলো শামীম ও দর্শন ওযু করছে কলপাড়ে।গোসলখানা থেকে মিতু ওযু করে এসেছে সেই সাথে মৌলি।মিতু উঠলে মৌলি নিজেও বিকালবেলা উঠে পড়ে।সকালবেলা মৌলিকে উঠাতে কষ্ট হয়।অবশ্য ফজরের সময় মৌলিকে ডাকা হয়না।চার বছরের বাচ্চাকে আপাতত ইসলামিক বিষয় ধরে রাখা শেখানো হচ্ছে।সাত বছরের আগে চাপ দিবেনা।মিতু ও মৌলি আসার পর শোভা গেলো ওযু করতে।দর্শন ও শামীম চলে গেলো মসজিদে।শোভা বের হয়ে বাইরে আসতেই দেখে মিতু নামাজ পড়ছে।শোভাও ঘরে গিয়ে নামাজ পড়ে নিলো।নামাজ শেষ হলে বাইরে এসে দেখে রান্নাঘর থেকে ধোঁয়া উড়ছে।মিতু চুলা ধরিয়েছে।শোভা গিয়ে বলে,“এখন কি রান্না করবা?”
“নুডুলস রান্না করবো আর চা বানাবো।তুমি কি কিছু খাবা?”
“এতকিছু কি খাওয়া যায়?ওর ফুফা বলছে ওকে নিয়ে আমাকে রেডি থাকতে।বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাবে।”
“মৌলিকে নিয়ে যাবে?”
“হ্যাঁ।”
“তোমরা স্বামী স্ত্রী ঘুরে আসো।ও মাঝখানে গিয়ে কি করবে?”
“আমরা স্বামী স্ত্রী খুব ঘুড়ি!”
মিতু মুখ চেপে হাসে।দরজায় ধাক্কানোর শব্দে উঠে দাঁড়ায়।দরজা খুলে দিয়ে চলে আসে।ভিতরে গিয়ে মৌলিকে ভালো একটা জামা পরিয়ে দেয়।মৌলিকে টাক করে দেয়না মিতু।এমনি চুল কেটে কেটে দেয়। টাক মনে হয় মৌলির চার বছরের জীবনে মাত্র দুইবার হয়েছে।মিতুর খুব শখের চুল এগুলো।নিজের মেয়েকে নিজের মত করে সাজিয়ে দেয়।এখন তাই মৌলির চুলগুলো কাধ অব্দি।শোভা সুন্দরকরে আঁচড়ে দিয়ে ক্লিপ পরিয়ে দেয়।তারপর একটু চিকন করে কাজল আর ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে দেয়।মৌলি খুশিতে হাততালি দেয়।দৌড়ে বাইরে এসে শামীমকে জড়িয়ে ধরে বলে,“আব্বু আব্বু আমি তেজেতি।”
শামীম মেয়েকে দেখে হেসে দেয়।মৌলি প্রশ্ন করে,“আমাকে ভালো লাগতে আব্বু?”
দর্শন নিজেও মুচকি হাসে।শামীম তো মৌলিকে কোলে নিয়ে আদর করে বলে,“পুরো পরীর মত লাগছে।”
মিতু রান্নাঘর থেকে ডাক দিয়ে বলে,“এদিকে একটু আসো তো।”
শামীম চলে গেলো মিতুর কাছে।দর্শন একবার তাকালো পিছনে।এরা স্বামী স্ত্রী কাজে লেগেই আছে।আবার মৌলিকে কেউ না কেউ আদর করছে।ঠিক যেনো দর্শনের ছোটবেলা।উহু একটু পার্থক্য আছে।দর্শনের মায়ের অবহেলা।বাকিসব মিল থাকলেও।মৌলি এখন একা দর্শনের পাশে।তাই চুপ করে তাকিয়ে আছে।কোনো কথা বলছে না একটু একটু ভয় পাচ্ছে অপরিচিত তাই।দর্শন মৌলির মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,“নাম কি তোমার?”
“মৌলি।”
“পুরো নাম?”
“আঞ্জুমান ইয়াতমিন মৌলি।”
দর্শন বুঝে নিলো আঞ্জুমান ইয়াসমিন মৌলি।শোভা বাইরে এসে ওদেরকে দেখে মুচকি হেসে বলে,“আমি রেডি কিন্তু একটু বসুন।ভাবী বিকালের নাশতা বানিয়েছে।”
“এখন এগুলোর কি দরকার ছিল?”
“জামাই আদর।”
শামীম তিন বাটি নুডুলস নিয়ে এসে বলে,“খান আপনারা।’’
মিতু চায়ের ট্রে এনে ইশারা করতেই শামীম ট্রে নিয়ে চৌকিতে রাখে।তারপর দুজনেই রান্নাঘরে চলে যায়।দর্শন জিজ্ঞাসা করে,“ওনারা খাবে না?”
“ভাইয়া ভাবী ওরকমই।রান্নাঘরে বসেই একসাথে খায়।ভাবীর ভাষ্যমতে এতে প্রেম বারে।উপন্যাস পড়ে যে।”
দর্শন ভ্রু উঁচিয়ে বাটি হাতে নিয়ে নুডুলস খেতে থাকে।মৌলি চামচ ব্যাবহার না করে হাত দিয়ে খায়।শোভা নিজে চামচ দিয়ে খাইয়ে দিতে চাইলে খায়না উল্টো বলে,“আমি পালি তো..!”
শোভা হেসে দিয়ে নিজের মত খাওয়া শুরু করে।দর্শন নিজেও হাসছে ওদের সাথে।মৌলির বাচ্চামি দেখতে দর্শনের ভালোই লাগে।
বাবুই পাখির সুখী নীড় পর্ব ১৫
রান্নাঘরে শামীম আসাতে মিতু রাগ দেখিয়ে ফিসফিস করে বলে,“তুমি আসলে কেন?বোন জামাই আছে না ওখানে।”
“তুমি একা একা খাবা?আমিও থাকি তোমার সাথে।”
মিতু কড়াই নিচে রেখে বলে,“বাটিতে দিবো?”
“কড়াইতেই খাই।কে আর দেখবে?”
অতঃপর এক কড়াইয়ে খাচ্ছে মিতু ও শামীম।এটা ওদের প্রায় বেশিরভাগ সময় এভাবেই চলে।অল্প কিছু রান্না করে শোভার জন্য ঘরে দিয়ে এসে দুইজনে রান্নাঘরে ওই এক পাতিলে খেতে বসে।দুজনেই এতে সন্তুষ্ট থাকে।