মধ্য রাতের চাঁদ পর্ব ২৪
মুসতারিন মুসাররাত
নীরব প্রত্যুত্তরে উদাহরণ টেনে বলল,
-” সব কিছু বুঝতে এক্সপার্ট হতে হয় না। ধরো কেউ আ”গুনে হাত দেয়নি কখনও, তাই বলে কি সে আ”গুনের তাপ বুঝবে না? কিংবা জলে ডুবেনি বলে কি জানা যায় না ডুবে গেলে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে? একটা লোকের মুখভঙ্গি, চোখের দৃষ্টি বুঝিয়ে দেয় তার মনের কথা। কোন দৃষ্টিতে শ্রদ্ধা, আর কোন দৃষ্টিতে শুধুই ভোগের ছায়া এতটুকু বোঝার ক্ষমতা উপরওয়ালা আমাকে দিয়েছেন।”
আত্মবিশ্বাস নিয়ে শেষোক্ত কথাটা বলে থামল নীরব। পরমূহুর্তেই ব্যঙ্গাত্মক কণ্ঠে বলল,
-” পচা গন্ধ চিনতে হলে— পচা হওয়ার সার্টিফিকেট লাগে না। এবার তোমার ভুল ধারণা ভেঙেছে? আমাকে সেইসব ‘ঠাণ্ডা শরবতের’ দলে মিলাবে?”
-” উঁহুম। মিলাবো না। বুঝতে পেরেছি।”
-” গুড।”
আকাশে থালার মতো মস্ত বড় চাঁদটা রুপোলি আলো ছড়াচ্ছে। বাস ছুটছে মনে হচ্ছে চাঁদটাও পাল্লা দিয়ে ছুটছে। প্রত্যাশা জানালার সাথে মাথা ঠেকিয়ে জিজ্ঞেস করল আলতো স্বরে,
-” ঘুমাবেন না?
-” হুম। প্রত্যাশা যা যা বললাম মনে যেনো থাকে। কোনো রং যেনো না হয়। দেখেশুনে থেকো। বাই।”
-” বাই।”
ঘন্টা তিনেক যেতে না যেতেই মাঝের সিটে বসা কোয়েল নড়েচড়ে উঠে বলল,
-” এইযে ম্যাডাম আপনি এখন উঠে এখানে আসুন। আমাকে একটু জানালার ধারে বসতে দিন।”
হ্যাপি করিডোরের সাথে লাগোয়া সিটে। বেচারি ঘুমিয়ে পড়েছে। বাসের ঝাঁকুনিতে মাথাটা ওর এদিক-ওদিক ঢুলে পড়ছে। কানে এয়ারপড গুঁজে গান শোনায় মশগুল প্রত্যাশা। প্রত্যাশার সারা না পেয়ে কোয়েল হাত ধরে নাড়া দিতেই প্রত্যাশা প্রশ্নাত্মক দৃষ্টিতে তাকাল। কোয়েল কথাটা পুনরায় বলতেই প্রত্যাশা বলল,
-” যেখানে বসে আছিস সেখানেই থাক না। আবার সিট অদল-বদলের কী আছে?”
কোয়েল চাঁচাছোলা স্বরে বলল,
-” এই না না….চলবে না। অদল-বদল করে তিনজনই জানালার পাশে বসব। হ্যাপিও বসবে। এখন আপাতত আমি বসব।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হ্যাপি হলে বিনা বাক্যব্যয়ে কথা শুনত। এই ঘাড়ত্যাড়া কোয়েল শুনবে না। তাই আর দ্বিরুক্তি না করে মাঝে বসল প্রত্যাশা। হ্যাপির মাথাটা ঠিক করে সিটের উপর আলতোভাবে রাখল। মাঝে বসে কেমন চিপায় পড়ার মতো লাগছে। যদিও সিটগুলো বড়বড়ই । তবুও জানালার ধারে বসার মতো মজা নেই। দুষ্টু বুদ্ধি আঁটে প্রত্যাশা। একহাতে মুখ চেপে বমি পাচ্ছে অ্যাক্টিং শুরু করল। কোয়েল চেঁচিয়ে উঠল,
-” ইয়া আল্লাহ! প্রত্যাশা কী সমস্যা? কী হলো তোর?”
প্রত্যাশা হাত দিয়ে মুখ চেপে ইশারায় বোঝাতে—‘ উম…উম’ শব্দ করল। এমন ভঙি করছে মনে হচ্ছে এই বুঝি কোয়েলের গা ভরে গলগল করে বমি করে দিবে। কোয়েল তড়িঘড়ি করে উঠে প্রত্যাশাকে জানালার পাশে বসতে দিতে দিতে বলল,
-” এই এই দ্বারা। আমার গা ভরে বমি করে দিস না আবার। জানালা দিয়ে কর বোন আমার।”
প্রত্যাশা সিটে আয়েশ করে বসল। মিনারেল ওয়াটারের বোতল নিয়ে ঢকঢক করে পানি পান করল। হাসতে হাসতে বলল,
-” অ্যাক্টিংটা কেমন ছিলো দোস্ত?”
কোয়েল একহাতে প্রত্যাশার বাহুতে চাপড় মে’রে বলল,
-” ফা’জি’ল, হারামি একটা।”
এদের দু’টোর তাণ্ডবে হ্যাপির ঘুম ছুটে যায়। হ্যাপি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,
-” আহা! সিনেমার নায়িকা রে। অন্যকে হারামি বলছে।”
পরপর দু’জনকে উদ্দেশ্য করে ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলল,
-” অ্যাই তোরা দু’জনে কী শুরু করেছিস বল তো? ষাঁড়ের মত গুঁতোগুতি করছিস ক্যান? আমার ঘুমটা দিলি ভেঙে।”
নাস্তা রেডি করে নীরবের রুমে আসলেন নীহারিকা। নীরব রেডি হচ্ছে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কোমড়ে বেল্ট লাগাচ্ছে। নীহারিকা গম্ভীর মুখে এসে বেডশিটটা ওয়াশের জন্য তুলে নতুন কাঁচা বেডশিট পারতে পারতে বললেন,
-” ছেলেদের বিয়ে দিয়ে মানুষ একটু আরাম-আয়েশে থাকে। ছেলের বউয়েদের উপর সংসারের দায়িত্ব দিয়ে সংসারের ঝামেলা থেকে মুক্তি পায়। কিন্তু আমার হয়েছে পোড়া কপাল। তিন তিনটে ছেলের বউয়ের একটাও সংসারি না। একেকজন একেক ধাঁচের। মেঝোজনের কথা না হয় বাদই দিলাম। বড়জন আটটা পার হয়ে গিয়েছে এখনো জাগেনি। সেও যে সাংসারি না এত দিনে ঢের বুঝেছি। আর ছোটজনের কথা ভাবলে তো আমার ফাপর ঠেকে। ও মেয়ে যে কেমন সংসার করবে তা আমি আগেই বুঝে নিয়েছি।”
শর্মিলা বাবার বাড়ি ঘুরতে গিয়েছে। পরীটাও ছুটিতে। একাএকা এতগুলো মানুষের নাস্তা রেডি করা, তারপর সবকিছু গোছগাছ করে রাখতে নীহারিকা তিতিবিরক্ত হয়ে আক্ষেপ ঝাড়লেন। হতাশ শ্বাস ফেলে পরপর নীরবকে শুধালেন,
-” নীলা রাতে বলল প্রত্যাশা নাকি কুয়াকাটা গিয়েছে? তুই জানিস?”
-” হ্যাঁ।”
-” বাহ্! ভালোই। অতদূর একলা ছাড়লি। আবার আমাদেরকে জানালি না পর্যন্ত। জানাবি কেনো, মা তো বারণ করত। মা তো সকলের খারাপ চায়।”
নীরব মৃদুস্বরে বলল,
-” কলেজ থেকে সবাই যাচ্ছে। ওর শখ। আর স্কুল-কলেজ, ভার্সিটি লাইফে সবাই পিকনিকে যেয়ে থাকে। এটাকে আমি খারাপ নজরে দেখি না।”
-” সে যায় ঠিক আছে। কিন্তু এখানে সমস্যা হলো প্রত্যাশাকে নিয়ে। কেমন তিড়িং বিড়িং করে চলাফেরা করে। বুদ্ধি শুদ্ধি একেবারেই কম। তাই দুশ্চিন্তা হয়।”
নীরব প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে তাড়া দিয়ে বলল,
-” অফিসে তাড়াতাড়ি যেতে হবে। নাস্তা করব।”
নীহারিকা সহসাই বলে উঠলেন,
-” এড়িয়ে যাচ্ছিস? শুনতে হয়তো খারাপ শোনাবে তবে তোর ভবিষ্যত নিয়ে খুব চিন্তা হয়। আমার এত শিক্ষিত, এত যোগ্য ছেলের সাথে তোর বাবা যে কী দেখে ওই অবুঝ মেয়েটার সঙ্গে বিয়ে দিল। তা আমি আজও ঠাওর করতে পারি না। আদৌতেও ওর কোনোদিন বুদ্ধি শুদ্ধি হবে কী না আল্লাহ মালুম! সবাই ছোট বলে হেসে উড়িয়ে দিলেও, আমি তা পারি না। আমি জানি তুই যথেষ্ট বুঝদার মানিয়ে নিয়ে চলছিস। কোনো কথার সৃষ্টি হতে দিচ্ছিস না।”
নীরব মায়ের কাঁধ জড়িয়ে ধরে হেসে বলল,
-” মা তুমি শুধু শুধু চিন্তা করো না তো। অমন কোনো সমস্যা নেই। প্রত্যাশা একটু বোকাসোকা, ইমম্যাচিউর। তবে খুব সহজ-সরল, ভালো মনের মেয়ে। তুমি দেখো বয়স বাড়ার সাথে সাথে বুদ্ধি বাড়বে। ও এখনকার মতো পা’গ’লামি করবে না।”
মনের কথাগুলো মনেই রেখে দিলেন নীহারিকা। আর বাড়তি কথা বলেলেন না। তবে ওই মেয়েকে নিয়ে ভাবলেই ছেলের ভবিষ্যত অন্ধকার দেখেন নীহারিকা। একটা সংসারি মেয়ে হতে হলে, বুঝদার হতে হয়। আর ওই মেয়ে তো অবুঝপনার শীর্ষে। আচার-আচরণে ছেলেমানুষী।
আকাশটা মেঘলা মেঘলা। রোদের তেজ কম। সময়টা গ্রীষ্মকাল হওয়ায় ঝড় বৃষ্টির কথা বলা যায় না। টিচারেরা উদ্বিগ্ন। ওয়েদার ফোরকাস্ট অনুযায়ী বিকেলের দিকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সাথে ঝড়ো হাওয়াও বইতে পারে। সব স্টুডেন্টদের বারবার সতর্ক করছেন, কেউ একা যেনো দূরে না যায়। আবহাওয়া এমন-তেমন দেখলেই সবাই যেনো হোটেলে উঠে পরে।
আশেপাশে নারকেল গাছের সারি। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা চারিপাশে। কেউ সমুদ্রের পানিতে ভিজছে, কেউ ভেজা বালুর উপর দিয়ে হাটছে। কেউবা ফটো তুলতে ব্যস্ত।
প্রত্যাশা সমুদ্রের পানির দিকে মুগ্ধ আঁখিযুগলে তাকিয়ে আছে। পানির খুব কাছে ও দাঁড়িয়ে। একটু পরপর পানি এসে পা ছুঁয়ে দিচ্ছে। পানিতে নামতে মনটা আঁকুপাঁকু করছে। তবে নীরবের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করতে পারছে না। আর এতএত লোকজনের ভিড়ে একটা মেয়ে ভেজা কাপড়ে না থাকাই সবদিক দিয়ে বেটার। তাই ইচ্ছেটাকে বিশাল খোলা আকাশের নিচে উড়িয়ে দিল।
কোয়েল আর হ্যাপি দাঁড়িয়ে ছিলো। রোহান একটানে টিশার্ট খুলে কোয়েলের হাতে ধরিয়ে বলল,
-” গোসল করব টিশার্ট ধর। ভিজে না যেনো।”
নাহিদও সেইম কাজ করল। নাহিদ পানিতে নামবে তখন চেঁচিয়ে বলল হ্যাপিকে,
-” ওই জুতো জোড়া দেখিস। কেউ যেনো চু’রি-টুরি না করে।”
হ্যাপি মুখ বারি মে”রে বলল,
-” আমার তো খেয়ে-দেয়ে কাজ নেই আরেক জনের জুতো পাহারা দিবো। আর তোর ওই খড়ম মার্কা জুতো কে নিবে ভাই? ফ্রিতেও তো নিবে না।”
সাউন্ড বক্সে গান বাজছে। গোল হয়ে অনেকে দাঁড়িয়ে। মেয়েরা নাচ করছে। ছেলেরা এখন প্রায় সব কটাই গোসল করতে নেমেছে।
প্রত্যাশা হাঁটু ভেঙ্গে বসে। একহাতে ভেজা বালুর উপর আঁকিবুঁকি করছে অন্যহাতে ফোন কানে চেপে। নীরব স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ওপাশ থেকে বলল,
-” যাক এভাবে বাকি সময়টা ভালো ভাবে কে’টে গেলেই হয়। খুব টেনশনে ছিলাম।”
-” এখন টেনশন হচ্ছে না?”
-” হচ্ছে। বাট একটু কম।”
দূর থেকে কোয়েল উচ্চ স্বরে বলল,
-” প্রত্যাশা আমরা ওখানে যাচ্ছি। ওরা ডান্স করছে। তুই কথা বলে আয় জলদি।”
প্রত্যাশা ব্যস্ত স্বরে ঘনঘন বলল,
-” শুনুন, এখন রাখছি। ওরা সব নাচছে ভিডিও করতে হবে। পরে কথা বলব।”
নীরব তৎক্ষণাৎ বলে উঠল,
-” শোনো ভিডিও করবে, নাচ দেখবে দ্যাটস এনাফ। ভুলেও জয়েন করবে না।”
-” কীহ? আমি তো নাচব বলে এতক্ষণ মনেমনেই প্র্যাক্টিস করলাম।”
-” প্র্যাক্টিসের মতো মনেমনেই ডান্স করে নাও।”
-” ধূর! তাই আবার হয় নাকি? ভেবেছি কুচু কুচু গানে ডান্স করব।”
-” কুচু কুচু সেটা আবার কোন গান?”
-” আরে আপনি দেখি কিছুই জানেন না। নোরা ফাতেহির দিলবার দিলবার গান।”
-” ডান্স করার খুব শখ হলে আমার সামনে করো। আমি মাইন্ড করব না। এখন এই শখ এখানেই খতম করো।”
প্রত্যাশা মুখটা শুকনো করে বলল,
-” ঠিক আছে ডান্স করব না। তবে দেখব এখন। রাখছি।”
-” ঠিক আছে।”
কুয়াকাটা গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড সি রিসোর্ট কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র ১-২ মিনিট হাঁটার দূরত্বে অবস্থিত। এটা বিলাসবহুল হোটেলের মধ্যে অন্যতম। হোটেলটায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, কনফারেন্স হল, নিজস্ব রেস্টুরেন্টসহ ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস রয়েছে। রুম থেকে সি-ভিউ উপভোগ করা যায়। সার্থকরা গতকাল এসে উঠেছে। প্রীতির চোখে রোদ চশমা। হাতে একটা ডাব। স্ট্রতে ঠোঁট ছুঁয়ে স্বাদ নিচ্ছে। সার্থকের গলায় ক্যামেরা। ক্যামেরায় সুন্দর সুন্দর দৃশ্য বন্দি করছে। অদ্রিকা মেয়েটি ভারি মিষ্টি আর মার্জিত বেশভূষায়। গায়ে শুভ্ররঙা থ্রি পিস। একহাতে পানি নেড়ে চেঁচিয়ে বলল,
-” সার্থ শুধু কী প্রকৃতির ছবিই তুলবি? আমাদের চোখে ধরে না। জলদি সুন্দর করে দু-চারটে ছবি তুলে দে ।”
সার্থক মৃদু হেসে বলল,
-” ওয়েট।”
অদ্রিকা পোজ দিতে থাকে। পরপর বলল,
-” দাঁড়া, প্রীতিকে ডাক দেই।”
এই বলে একহাত উঁচিয়ে জোরে চিৎকার করে ডাকল,
-” এই প্রীতি এদিকে এসো।”
বাতাসে শব্দটা ছড়িয়ে পড়ল। সার্থক ক্যামেরা তুলে ছবি নিবে, এমন সময় ভ্রু কুঁচকে গেল। ক্যামেরায় কাচ শব্দ হলো, ছবি উঠল। সার্থক ঘুরিয়ে দেখল। অবিশ্বাস্য ঠেকল। প্রত্যাশা যেতে বসে প্রীতি ডাকটা শুনে এদিকে ঘাড় ঘুরায়। সেই মূহূর্তে অদ্রিকার পাশ দিয়ে যাওয়া প্রত্যাশার ছবিও ক্যামেরায় বন্দি হয়। সার্থক ক্যামেরা ধরে রাখায় মুখটা পুরোপুরি দেখা যায় না। প্রত্যাশা ত্রস্ত পা চালিয়ে যাওয়ার দরুন অতটা খেয়ালও হয় না।
প্রীতি হাতের ডাব ছুঁড়ে এগিয়ে আসতে থাকে। প্রত্যাশাও যাচ্ছিল। ঠিক সামনাসামনি দু’জনে পরে। দু’জনের পা-ই থেমে যায়। দু’জন দু’জনের মুখের দিকে চেয়ে রয়। প্রত্যাশা অবচেতনে আওড়ায়,
মধ্য রাতের চাঁদ পর্ব ২৩
-” আরে প্রীতি জিন্টা যে।”
তৎক্ষণাৎ অদৃশ্য হাতে দুই গাল চাপ’ড়ে মনেমনে বলে প্রত্যাশা,
-” তওবা…তওবা। এএসপি সাহেব তো সম্মান প্রদর্শন করতে বলেছেন। অগোচরেও নাম ধরে বলতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।”