মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ৫

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ৫
সৌরভ চৌধুরী

চৌধুরী বাড়ির সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আয়মান চৌধুরীর স্টাডি রুমের বন্ধ দরজার দিকে।
চৌধুরী বাড়ির ৩ ছেলে বাড়িতে ফিরেই তাদের বাবাকে সাথে নিয়ে স্টাডি রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়েছে ৩ ঘন্টা হতে চলল এখনো দরজা খুলে নি।
সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
মেহেক রেহেনা চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে অবাক দৃষ্টিতে বলল,

মেহেক _____ এটা কি হলো বড় মা। বড় বাবা তো অসুস্থ। তারা ৩ ভাই অসুস্থ মানুষকে নিয়ে এই রুমে ঢুকে দরজা দিলো কেন?
রেহেনা চৌধুরী নিজেই খানকিকটা অবাক হয়েছে। তারপরও নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে বলল,
মা _____ হয়তো কারো শেষ দিন ঘনিয়ে আসতেছে। সেই দিনেরই হিসাব নিকাশ করার জন্য এই আয়োজন ( জারিনের দিকে তাকিয়ে বলল)
মেহেক _____ বুঝলাম না বড় মা। কি বলছো এসব। আমার মাথায় কিছু ঢুকতেছে না।
মা ______ তোর এই ছোট্ট মাথায় এসব কিছু ঢুকাতে হবে না। আর যা তো মা আমার জন্য ১ কাপ চা নিয়ে মাথা ব্যাথা করতেছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

মেহেক _____ কিহহহহ তোমার মাথা ব্যাথা করতেছে আমাকে আগে বলবা না।
মা _____ আরে আরে রিল্যাক্স। তোর হাতের স্পেশাল চা খেলেই আমার মাথা ব্যাথা ঠিক হয়ে যাবে।
মেহেক ______ তুমি সোফায় বসে রেস্ট নাও। আমি এখনি তোমার জন্য চা করে নিয়ে আসতেছি।
মেহেক চলে যেতেই রেহেনা চৌধুরী জারিনে পাশে দাড়িয়ে নিচু গলায় বলল,
মা ______ ভয় পাচ্ছো?
জারিন _____ আমি ভয় পাবো কেন?
মা ______ ভয় না পাওয়াই ভালো। মাইন্ড গেম খেলতে গেলে ভয় পেলে তো চলবে না।
রেহেনা চৌধুরীর কথায় জারিন শুকনো ঢোক গিলল। জারিন মনে মনে ভাবলো, এই মহিলা মোটেও সুবিধার না। তার চোখ না শকুনের চোখ।চারিদিকেই তার নজর।

মা _______ আমার মেহেকের দিকে যদি কেউ চোখ দেয় আমি না হয় শকুন হয়েই তার চোখ তুলে নিবো।
আর হাত দিলে কসাই হয়ে তার হাতটা কেটে নিবো।
কথাটি বলেই রেহেনা চৌধুরী বাঁকা হেসে ড্রয়িং রুমে চলে গেল।আর জারিন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রেহেনা চৌধুরীর চলে যাওয়ার দিকে।
তখনি পাশ থেকে আরিশা বলে উঠলো,
আরিশা ____ বেস্ট অফ লাক। মাইন্ড গেমের রাজ্যে স্বাগতম। আমার ভাইদের রহস্য খুঁজতে গিয়ে যেন গোলক ধাঁধায় আটকে যাইও না।
কথাটি বলেই আরিশাও চলে গেলো। আরিশা চলে যেতেই জারিন যেন বোকা হয়ে গেলো। ও ভেবেছিলো মেহেক কে দিয়ে মাইন্ড গেম খেলবে।
মেহেক যেহেতু সহজ সরল ওকে গুটি হিসেবে সহজেই ব্যাবহার করা যাবে।

অপরদিকে,
আয়মান চৌধুরীর গোপন কক্ষে বসে আছে চৌধুরী বাড়ির চার পুরুষ। কক্ষে চলছে পিনপতন নিরবতা।
আয়ান চৌধুরী এই গোপন রুমে প্রবেশ করেই অবাক হয়ে যান। তিনি জানতেনই না তার বাড়িতে মাটির নিচে এরকম অজানা একটি জগৎ তৈরি গেছে আয়মান।আয়মানের অবর্তমানে যার দায়িত্বে ছিলো তারই ৩ ছেলে।
আবরাজ _____ বাবা ( গম্ভীর স্বরে আয়ান চৌধুরীকে ডাকলো আবরাজ)
আবরাজের এমন ঠান্ডা গম্ভীর স্বর শুনে কেঁপে উঠলো আয়ান চৌধুরী।
বাবা _____ বলো।
আবরাজ____ আমরা কিছু জানতে চাই। আশা করি কোনো কিছু লুকাবে না। আজ সব সত্য বলবে।
আবরাজের মুখে এমন কথা শুনে আয়ান চৌধুরী থমকে গেলো। তিনি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন।অতঃপর একটা দীর্ঘ নিশ্বাস নিয়ে বললেন,

বাবা ____ বুঝতে পেরেছি তোমরা কি জানতে চাচ্ছো।
তোমরা আমাদের পরিবারের অতীত সম্পর্কে জানতে চাচ্ছো
আরহাম ____ হ্যা বাবা। আজ আমাদের সকল অতীত বলো।
বাবা ______ আমার বাবা আর আরিফ শেখ ছিলো ২ বন্ধু।তারা একসাথে লেখপড়া করেছে।আমার বাবা ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার। তবে আরিফ শেখ বাবার বন্ধু হলেও বাবা জানতেন না আরিফ শেখ কালোবাজারি, আর্মস, ইয়াবাসহ সকল অবৈধ কাজের সাথে জড়িত।
যখন উনি বুঝতে পারলেন তখন আরিফ শেখকে সাবধান করলেন।
আরিফ শেখ বাবার কথা না শুনে, উল্টো বাবাকে হুমকি দেয়।
তার বেশ কিছুদিন পর বাবা উপর মহলের আদেশে আরিফ শেখকে গ্রেফতার করে।
আরিফ শেখকে গ্রেফতার করার পর আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে আসে যে, সে নারী পাচার, ধর্ষণ,গুম,খুনের সাথে জড়িত।

তখন সদ্য বিরোধদল ক্ষমতায় এসেছে। তৎকালিন সরকারের হয়ে আরিফ শেখ গুম, খুন করতো তাই বিরোধী দল সরকার গঠন করে আরিফ শেখের সাজা হিসেবে মৃত্যু দন্ড দেয়।
তখন আমাদের পরিবারে চলছে খুশির আমেজ।আমার ছোট চাচ্চু লন্ডন থেকে ব্যাবসার মূল শাখা বাংলাদেশে নিয়ে আসে।তিনিও বাংলাদেশে চলে আসেন।
আমিও চাচ্চুর সাথে ব্যাবসায় লেগে যায়।
চাচ্চুর সাথে সম্পর্ক ছিলো আরিফ শেখের ছোট মেয়ে আঁখি শেখের। এটা আমরা কেউ জানতাম না।
হঠাৎ একদিন বাবা আমাদের সাথে খাবার খাওয়ার সময় কল আসে। বাবা ইমার্জেন্সি বলে দ্রুত চলে যায়। কিন্তু আমরা জানতাম না সেই যাওয়াই তার শেষ যাওয়া (কথাটি বলে চোখ থেকে চশমা খুলে চোখের পানি মুছলেন)

আবরার _____ তাহলে কি দাদা কে ঐ শেখ পরিবার খুন করেছে? আমি ওদের ছাড়বো না ওদের কুত্তার মতো পিটিয়ে মারবো।
আবরাজ _____ আবরার থাম। বাবা বলো তারপর কি হলো।
আয়ান চৌধুরী একবার সবার দিকে তাকিয়ে নিজেকে সামলে নিয়ে আবার বলতে থাকলো,
ঐদিন অফিস যাওয়ার পর অনেক রাত হয়ে যায় বাবা বাসায় আসে না। চাচ্চু বাবার অফিসে খোঁজ নিলে জানতে পারে বাবা আজ অফিসে যায় নি।
চাচ্চু চিন্তায় পড়ে যায়। চাচ্চু যেহেতু বড় বিজনেসম্যান ছিলো তাই উপর মহলে যোগাযোগ করে বাবার খোঁজ নিতে বলল।

সেদিন রাত থেকেই শুরু হলো খোজাখুজি। চাচ্চু তো পাগল হয়ে গিয়েছিলো।বাবার মতো লালন পালন করে বড় করেছিলো বাবা চাচ্চুকে।
একদিন হঠাৎ করে খবর এলো জঙ্গলে বাবার লাশ পাওয়া গেছে। চাচ্চু যেন নিশ্চুপ হয়ে গেলো।
তার কিছুদিন পর চাচ্চু তোমাদের মা কে কোথা থেকে যেন নিয়ে আসলো আর আমার সাথে বিয়ে দিলো।
একদিকে শোক,আরেকদিকে বিয়ে।
ব্যাবসার কাজের চাপ সবগুলো আমার কাঁধে পরলো।
চাচ্চু আয়মানকে নিয়ে কে নিয়ে দিনের বেশীর ভাগ সময় দরজা বন্ধ করে কি যেন করতো। তা আমি আজ ও জানি না।

তারপর একদিন খবর এলো।শেখ পরিবারের ছোট মেয়ে নাকি সুইসাইড করেছে। তবে চাচ্চু ছিলো নির্বিকার।
কয়েক মাস পারে হঠাৎ একদিন চাচ্চু আমাদের দুই ভাইকে ডেকে নিয়ে আমাদের হাতে সকল সম্পত্তিও কোম্পানির কাগজ দিয়ে বলল, আজ থেকে সবকিছুর মালিক তোমরা দুই ভাই।
সেদিন আমি অনেক অবাক হয়েছিলাম।
তবে চাচ্চু কিছু বলতে দেয় নি।
তার ২দিন পর চাচ্চুর গলাকাটা লাশ পাই আমাদের বাড়ির সামনে।আমি একদম পাথর হয়ে যায়। তবে আয়মান চুপচাপ চাচ্চুর পাশে বসে ছিলো।কোনো কথা বলতেছিলো না। তবে আমি ওর চোখে প্রতিশোধের আগুন দেখতে পাচ্ছিলাম।

চলে গেলো বহু বছর হঠাৎ করে তোমার ফুফু শেখ পরিবারের ছোট ছেলের সাথে পালিয়ে গেলো। সে হয়তো এই রক্তের দাগ নিজেদের জীবনে লাগাতে চায় নি।
এরপর আয়মান বড় হলো, ওর না বলে বিয়ে করা আমি মেনে নিতে পারি নি। এরপর তো আয়মন ও চলে গেলো।
তবে আমি অনেক পরে বুঝতে পেরেছি এসবের পেছনে শেখ পরিবার আছে। তবে শুধু আরিফ আর আমজাদ না, তাদের মাথার ওপর ও কোনো রাঘব বোয়াল আছে।যে এইসব কাজ করতেছে।
আবরার রেগে বাবাকে বলল,

আবরার _____ তুমি আমাদের এতদিন এসব বলো নি কেন?
বাবা ______ আমি আর কাউকে হারাতে চাই নি তাই বলি নি।
আরহাম ____ আমার আর জারিনের বিয়ে কেন দিয়েছিলে?
বাবা ______ তোমাদের বিয়ে না দিলে হয়তো আমজাদ শেখ তোমাকেও মেরে ফেলতো। আমি তোমাকে হারাতে চাই নি তাই তোমাকে জারিনের সাথে বিয়ে দিয়েছিলাম।
আরহাম ____ তাহলে আবরাজ আর এরিনের বিয়েও কি একই কারণে ঠিক করেছিলে।
বাবা ______হ্যা
আবরার _____ সব বুঝলাম কিন্তু হঠাৎ আঁখি শেখ কেন সুইসাইড করলো।
আবরাজ গম্ভীর কন্ঠে বলল আমি বলতেছি,

আবরাজ _____ ছোট দাদু জেনে গিয়েছিলো শেখরা তার ভাইকে মেরে ফেলেছে। তাই তিনি আঁখি শেখের সাথে সম্পর্ক শেষ করে।
আবরাজ মুখ থেকে এমন কথা শুনে আরহাম অবাক হয়ে গেলো,
আরহাম ______ তুই কীভাবে জানলি?
আবরাজ ____ আমি ছোট দাদুর একটা ডায়েরী পেয়েছিলাম।তার ভেতর লেখা ছিলো। আর ছিলো একটা লন্ডনের ঠিকানা। নিচে লেখা ছিলো। হয়তো বেঁচে থাকবো না, তবে আমি জানি চৌধুরী পরিবারের কোনো সিংহ তার রাজত্ব বুঝে নিতে এই ঠিকানায় ফিরবে।

আরহাম _______ হোয়াট!!! তার মানে………
আবরাজ _______ তুই যা ভাবছিস ঠিক তাই।
আবরার _______ তাহলে এখন আমরা কি করবো?
আবরাজ ______ আমাদের এখন ফুপিকে আগে খুজে বের করতে হবে।ফুপি ঠিক আছে কি না তা আগে জানতে হব।
আবরার _______ তাহলে কাল কি তোমরাও আমার সাথে বান্দরবান যাবে।
আবরাজ ____ না। সবাই গেলে শেখ বাড়িতে খবর চলে যাবে। আর মেহেকেও তো ক্ষতি করতে পারে। তাই বাড়িতে সব সময় একজনকে থাকতে হবে।
আবরার ______ ঠিক আছে।
এরপর সবাই গোপন কক্ষ থেকে বের হয়ে এলো। স্টাডি রুমের দরজা খুলতেই সবাই তাকালো,স্টাডি রুমের দিকে।
বাবা ছেলেরা হাসি মুখে বের হয়ে এলো।

জারিন ______ তোমরা এত সময় কোথায় ছিলে?
আরহাম ______ অনেক দিন বাবা ছেলে আড্ডা দেওয়া হয় না। তাই আজ সবাই মিলে জম্পেস আড্ডা দিলাম
মেহেক _____ তাই বলে বড় বাবার এই অবস্থায়।
বাবা _____মা আমি এখন ঠিক আছি।
কথাটি বলে সবাই আড্ডা দিতে লাগলো।
সবাই আড্ডা দিলেও আরহাম ও আবরাজ ছিলো গম্ভীর।
আড্ডার মধ্যে হঠাৎ আবরাজের ফোনে একটা ম্যাসেজ আসে।
মেহেক ম্যাসেজের শব্দ শুনে আবরাজের ফোনের দিকে তাকাতেই আবরাজ সবার অগোচরে মেহেকের গালে চুমু দেয়।
আবরাজের এমন কাজে আরহামের কাশি উঠে যায়। আর মেহেক লজ্জায় মাথা নিচু করে নেয়,

মেহেক ___ অসভ্য,র্নিলজ্জ মন্ত্রী।
আবরাজ _____ এতটুকুতেই এত লজ্জা মায়াবতী (মেহেকের কানের কাছে মুখ নিয়ে দুষ্টুমি মাখা কন্ঠে বলল)
আবরাজের এরুপ কথা শুনে মেহেকের কান যেন লজ্জায় লাল হয়ে গেলো,
মেহেক ঐখান থেকে উঠে আরিশার পাশে গিয়ে বসলো।
এই সুযোগে আরহাম গিয়ে বসলো আবরাজের পাশে,
আরহাম _____ একটু তো লজ্জা কর, আমি তোর বড় ভাই, মেহেকের ও বড় ভাই। বড় ভাই এর সামনে কেউ এসব করে।

আবরাজ _____ তুই বোধ হয় করিস না। ঠিকি তো শত্রুর মেয়ের সাথে রোমাঞ্চ করিস।
আরহাম _____ আমি আর রোমাঞ্চ তাও ওর মতো মেয়ের সাথে।
আবরাজ _____ এই কি বলিস এসব? তোর কি কোনো সমস্যা আছে? থাকলে বলতে পারিস। লজ্জা পাস না আমি তো তোরই ভাই।
আরহাম ____ চুপপপ থাক বেয়াদব।কাজের কথায় আসেক।
আবরাজ _____ টিকটিকি খবর পাঠিয়েছে।আমাকে টার্গেট করতে না পেরে এবারের টার্গেট আবরার।
কথাটা বলেই ২ ভাই রহস্যময় বাঁকা হাসি দিলো।
তাদের এই ২ ভাই এর বাঁকা হাসি দেখে জারিনের বুকের ভেতর ধক করে উঠলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই রেহেনা চৌধুরী বাড়ি মাথায় তুলেছে।আবরারকে বকতে বকতে কান ঝালাফালা করে ফেলেছে,
এক প্রকার বিরক্ত হয়ে আরহাম, আবরাজ আসলো ড্রয়িং রুমে।

আবরাজ ____ কি হলো মা এত চিৎকার চেঁচামেচি করতেছো কেন?
মা ______ তোর গুনোধর ভাই বাসায় নেই। কোথায় রাজ কায্য করতে গেছে।
আরহাম _____ আরে মা ধীরে শান্ত হও। আবরার ভোরে বান্দরবান গেছে।
রেহেনা চৌধুরী ছেলেদের মুখে এই কথা শুনে ছোট ছোট চোখে তাদের দিকে তাকালো।
ছেলেদের মুখে বাঁকা হাসি দেখে তিনি যা বুঝার বুঝে গেছে।তাই উনি আর কোনো প্রশ্ন না করে বলল,
মা _____ আমাকে কি বললে আমি যেতে দিতাম না।
আমাকে না বলেই গেলে। আমি তো ভুলেই গেছি আমার ছেলেরা তো এখন অনেক বড় হয়ে গেছে।
মা কে বলার মতো সময় কি তাদের আছে।
(অভিমানী কন্ঠে বলল)

মায়ের মুখে এমন কথা শুনে আবরাজ আর আরহাম জড়িয়ে ধরলো মা কে আর নিচু কন্ঠে বলল,
আবরাজ ______ ফুপির খোজ চাও তো তুমি?
সাথে সাথে চমকে উঠলো রেহেনা চৌধুরী,
মা ______ তোরা সত্যি বলছিস ওকে আমার কোলে ফিরিয়ে দিবি?
আরহাম _____মা চিন্তা করো না। তুমি তাকে আবারো আদর করতে পারবে।
সে তোমার কাছে ফিরবে।
মা ______ তোরা প্লিজ ওকে আমার কোলে ফিরিয়ে দে।আয়মানের মতো যদি ও ও চলে যায়।প্লিজ সেই খবর আমাকে দিস না আমি সহ্য করতে পারবো না।
আবরাজ ______ মা তুমি চিন্তা করো না।আমরা আছি তো।তবে আমার বউকে দেখে রাখবে।
আবরাজের কথা শুনে রেহেনা চৌধুরী আবরাজের দিকে কপাল কুঁচকে তাকালো,
মা ______ এখানে যে আছে সে তোর বউ পরে সে আগে আমার মেয়ে।সে এই চৌধুরী বাড়ির মেয়ে
আবরাজ _____ আরে রেগে যাচ্ছো কেন। তুমি কি আমাকে বউ ছাড়া করবে নাকি।
মা ______ আমার মেয়েকে কষ্ট দিলে প্রয়োজনে তাই করবো। এসব মন্ত্রী দেখবো না।
রেহেনা চৌধুরীর মুখে এমন কথা শুনে মেহেকের যেন নিজেকে সত্যি তার সেই কল্পনার রাজ্যের রাজকন্যা মনে হচ্ছে।

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ৪

সবাই বলতো সে অপয়া,অলক্ষী,ও এতিম, ওকে সবাই দয়া করে। কই আজ তো তার তা মনে হচ্ছে না, কেন মনে হচ্ছে না রক্তের টানের জন্য। হয়তো।
আবরাজরা কি পারবে তাদের ফুপিকে ফিরিয়ে আনতে? তাদের ফুপি কোথায়? আদো কি তিনি বেচে আছে? শেখ পরিবারের গোপন খবর কে দিলো আবরাজ কে? কে সেই টিকটিকি? মেজর আকাশ কি জানে আছিয়া চৌধুরী কোথায় আছে?

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ৬

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here