মাই লাভ মাই লাইফ পর্ব ৪
নাবিলা ইষ্ক
স্তম্ভিত আমার পাশে হুড়োহুড়ি করে এসে বসল সুফিয়া আর রুমি আপু। সুফিয়া আমার চোয়াল ধরে নিজের দিক মুখটা ঘুরিয়ে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাকল। যেন আমার মুখ পড়ছে নিপুণ দৃষ্টিতে। আমি কয়েকবার চোখের পলক ফেললাম। দুজানার মধ্যে আমি সাব বার্গারের মতন পিষে আছি প্রায়। দিকবিদিকশুন্য আমাকে সুফিয়া চিমটি কেটে চাপা গলায় প্রশ্ন করে গেল একের পর এক,
‘এই, এই মেয়ে…তোর আর তাশরিক ভাইয়ার মধ্যে কী চলছে? হ্যাঁ? বোকা পাইছিস আমাদের? কবে থেকে চলছে? কীরে…কথা বল।’
এবারে রুমি আপুও আমার হাতের ফুলের তোড়াটা ছুঁয়ে হাহাকার করে উঠলেন। এমনটা তিনি কখনো করেন না। বেশ চুপচাপ, শান্তস্থির, গম্ভীর মানুষ ছিলেন। আজ সেও যেন মুষড়ে গেছেন,
‘কী লুকোচ্ছিস? আমাদের কেনো কিছু জানাসনি?’
কী চলছে? কী কবে থেকে? কী জানাবো? আশ্চর্য! কিছু থাকলে না জানাবো। আমি নিজেইতো কিছু বুঝতে পারছি না। সব মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। পাগল পাগল লাগছে নিজেকে। আমি অভিমানী চোখে তাকালাম দুজানার দিকে। গোমড়া মুখে অসহায় কণ্ঠে বললাম,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
‘কিচ্ছু না। ভাইয়া—ভাইয়া বোধহয় এভাবেই দিলেন। আমি তো তা– তার ছ…ছোটোবোনের মতন? আমরা আত্মীয় হতে যাচ্ছি, তাই বোধহয়?’
কথাটুকু নিজে বলে নিজেরই বিশ্বাস হলো না। উনার এমন ধরনের আচরণ স্বাভাবিকও লাগছে না। অথচ ওই লোক কতো স্বাভাবিক! উনার হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে, আমিই অতিরঞ্জিত ভাবছি। আন্টি এবারে আমাকে নরম কণ্ঠে ডাকলেন। বললেন,
‘আদর, তোমার অহনা আপু দোতালায় আছে। ওর রুমে গিয়ে দেখা করে আসো। যাও।’
আমি মাথা দুলিয়ে উঠে দাঁড়ালাম। আমার সাথে সুফিয়া, মণি, রুমি আপু, আইরিন আপুও যোগ হলো। আমার হাতে তখনো ফুলের তোড়াটা। এটা আমি ঠিক কোথায় রাখবো বুঝেই পাচ্ছিলাম না। তাই সাথে নিয়েই সিঁড়ি ভেঙে উঠে এলাম দোতালাম। আপুর ঘরটা একদম শেষ মাথায়। সাদা দরজাটা ভেতর দিয়ে লক করা। আমি দরজার টোকা দিলাম ছোটো করে। দরজা খুলে দিলেন অহনা আপুর বান্ধবী প্রিয়াঙ্কা। আমাদের দেখে মুখভরে হেসে ভেতরে আসতে বললেন। আমি সালাম জানিয়ে ঢুকলাম ভেতরে। অহনা আপু ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে ছিলেন। মেরুন রঙের শাড়ি পরেছেন। হালকা মেকআপ করা। পরিপাটি একটা খোপা করা চুলে। ভীষণ সুন্দর লাগছে। মুখে এক লাজ লাজ ভাব। আমাকে দেখেই আপু দ্রুতো উঠে এলেন। একটানে আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে —বাকিদের সালাম জানালেন। আমাকে বললেন,
‘এখন আসতে ইচ্ছে হলো, হুঁ? সেই কখন এসেছিস!’
আমি দু-গাল ভরে হাসলাম। নালিশ এড়িয়ে মৃদুস্বরে সত্যি করে জানালাম,
‘অপরূপা লাগছে।’
অহনা আপু হাসলেন রিনরিনে সুরে। কণ্ঠ খাদে নামিয়ে চুপিসারে শুধালেন,
‘তাই? আপনার গোমড়া মুখো ভাইয়ার হুঁশ উড়বে তো?’
আমি আশ্চর্য হলাম। পরমুহূর্তেই আনন্দে জ্বলজ্বল করে ওঠে চোখজোড়া। জানতে চাইলাম আগ্রহী হয়ে,
‘তারমানে— প্রে —প্রেম করতে?’
এই কথার বিপরীতে অহনা আপু নাকমুখ কুঁচকে ফেলেন। এমনভাবে আমার দিকে চাইলেন যেন আমি অনেক বড়ো পাপ করে ফেলেছি। ব্যাঙ্গ করে বলেন,
‘প্রেম? আর তোর ভাই? তোর ভাইয়াকে দিয়ে আর যাইহোক প্রেম হবে না রে। দুটো বছর কতো কষ্ট করে তোর ভাইয়াকে পটিয়েছি তোর বিন্দুমাত্র আইডিয়া নেই। তোর ভাইয়ার মতন ওমন বলদকে আমার প্রেমের জ্বালে ফাঁসাতে —আমার জীবন প্রায় ফুরিয়ে গেছে। এবার বিয়েটা শুধু হতে দে, আদর। এমন জ্বালান, জ্বালাবো। শোধ আমি তুলবোই।’
আমি শব্দ করে হেসে উঠলাম। এতো খুশি লাগছিলো। আমাদের এমন হাসাহাসি দেখে বাকিরাও আগ্রহী হলো জানতে, ঠিক কী নিয়ে আমাদের এতো আনন্দ? অহনা আপু মাছি তাড়ানোর মতন হাত নাড়িয়ে বললেন,
‘উহুঁম, আমার আর আমার ননদের মধ্যেকার গোপনীয় কথাবার্তা বলা যাবে না। সর–সর.. জায়গা দে বসতে।’
আমি আর আপু মুখোমুখি বসলাম বিছানায়। অনেক কিছু নিয়ে আলাপে মশগুল হয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ করে আমার মনে পড়লো, তাশরিক ভাইয়ার ডাকা সম্বোধনের কথাটা। কিছুক্ষণ ইতস্তত করে ইনিয়েবিনিয়ে ডাকলাম,
‘আপু….’
অহনা আপু ফোড়ন কাটলেন মুহূর্তেই, ‘আপু কী? ভাবি! ভাবিজান।’
আমি হেসে দ্রুতো সম্বোধন পাল্টে ফেললাম, ‘ভাবিজান…’
‘জি, বলুন আমার আদুরে ননদ।’
আমি চাপা জিজ্ঞেস করেই বসলাম, ‘বে–উম…বে-বেইবি গার্ল ভাই তার বোনকে ডাকে বুঝি?’
অহনা আপু থমকালেন। পরমুহূর্তেই দানবের মতন হাসলেন। হাসতে হাসতে আমার গায়ে এসে পড়লেন। আমি বোকার মতন চেয়ে আছি তখনো। অহনা আপু আমার কানের কাছে চুপিসারে বললেন,
‘উহুঁম। আপদমস্তক দুষ্টু প্রেমিকরা নিজেদের ছোটো প্রেমিকাদের ভালোবেসে ডাকে। ইন্টিমেট ডাক।’
আমার কিছুক্ষণ চোখের পলক পড়ে না। আমাকে এমন পাথরের মতন হতে দেখে আপু আরেক চোট হাসেন। তবে কিছু বলেন না। আমার মাথায় হাত বুলিয়ে উঠে দাঁড়ান। আপুর বান্ধবী ইতোমধ্যে আপুর পরনের শাড়ির কুঁচিগুলো ঠিক করে দিচ্ছেন। কিছুক্ষণ বাদেই আপুকে নিয়ে নিচে যাওয়া হবে আমাদের। অথচ ওদিকে আমার ধ্যান নেই যে। আমার দুনিয়া তখন ঘুরছে। পৃথিবী থমকে গেছে। হাতে থাকা ফুলের তোড়াটাকে আগুন মনে হচ্ছে। জ্বালিয়ে দিচ্ছে আমার হাত-পা। আমি থেমে থেমে শ্বাস ফেললাম। তাইলে — ওই অসভ্য লোক আমাকে বেইবি গার্ল কেনো ডাকলো? কেনো? আমি কি উনার প্রেমিকা নাকি? আমিতো উনার প্রেমিকা নই। কিচ্ছু নই! অসহ্য! সুফিয়া এই সুযোগে ফের আমার পাশ ঘেঁষে বসল। কিছুক্ষণ দ্বিধা করে আমার কানে কানে চাপা গলায় বলল,
‘সামথিং ইজ ফিশি।’
আমারও তাই মনে হচ্ছে। কিন্তু ঠিক ধরতে পারছি না। এসময়ে আন্টি এসে দাঁড়ালেন অহনা আপুর ঘরের সামনে। তাড়া দিলেন চাপা গলায়,
‘অহনাকে নিয়ে নামো তোমরা। আসো।’
অহনা আপু দ্রুতো আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। নিজেকে আরেকবার ভালোভাবে দেখে নিলেন। আমার কাছে এসে আমার বাম হাত জড়িয়ে ধরলেন। তাকে নার্ভাস লাগছে। প্রত্যুত্তরে আমি হেসে আশ্বস্ত করতে চাইলাম। এরপর আপুকে নিয়ে ঘর ছাড়লাম। লিভিংরুমের ব্যস্ত কথোপকথনের ইতি ঘটল মুহূর্তে। সবাই আপাতত ওপরের দিকে—অর্থাৎ আমাদের দিকে চেয়ে আছে। তাশরিক ভাইয়াও। উনি সোফায় বসেননি। আংকেলের পাশে সোফায় কোমর এলিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। দৃষ্টি এদিকেই। আমি একপলক চেয়েই দৃষ্টি সরিয়ে আনলাম। মনে হচ্ছে, আমার দিকেই চেয়ে আছেন। নাকি আমিই ভুল?
নিজেকে শান্ত রাখলাম। সিঁড়ি বেয়ে নামতে নিয়ে অজান্তেই ফের চোখ গেল। চেয়েই আছে! আমার দিকেইতো! আমি ভুল না। হৃৎপিণ্ড লাফালো। কাঁপল হাতজোড়াও। আমি আর ভুলেও তাকানোর সাহস পেলাম না। অন্যমনস্ক হয়ে আপুকে নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই মা উঠে এলেন সোফা ছেড়ে। অহনা আপুর হাত দুটো ধরে নিজের সাথে নিয়ে গেলেন সোফার দিকে। বসালেন বাবা আর তার মধ্যে। ফুপু অহনা আপুর মুখ ধরে আদর করে দিলেন। বাবা তখনো নিজের বন্ধুর সাথে কাঁধে কাঁধ ছুঁয়ে আলাপে ব্যস্ত। তাশরিক ভাইয়ার বাবা একপর্যায়ে আমার ভাইয়াকে নিজের পাশে বসালেন। মা বক্স থেকে সোনার বালা দুটো আপুর দু’হাতে পরিয়ে দিয়েছেন। আমি হাসছিলাম বাকিদের সাথে। আমার পাশে সুফিয়া দাঁড়িয়ে আছে। ভাইয়ারা সব তাশরিক ভাইয়াদের ওদিকে একসাথে দাঁড়িয়ে নিশু ভাইয়ার সাথে দুষ্টুমি করছেন। এযাত্রায় জয় ভাইয়া দুষ্টুমি করে বলে উঠলেন,
‘মিঁয়া-বিবিকে একটু পার্সোনাল সময় দেয়া হোক।’
রিপন আর আদনান ভাইয়া ‘সহমত’ উচ্চারণ করে হৈচৈ শুরু করেছেন। বড়োরা হাসছেন। বাবা একবার আংকেলের দিকে চেয়ে ইশারা করে অনুমতি দিলেন। আন্টি হেসে অহনা আপুর দিকে চেয়ে বললেন,
‘যাও মা, নিশুকে ছাঁদটা ঘুরিয়ে নিয়ে এসো।’
অহনা আপুর মাথা নত করে রেখেছেন। লজ্জায় মাথাই তুলতে পারছেন না। অথচ ওপরে কতো সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছিলেন। আপু উঠে দাঁড়িয়েছেন। ভাইয়াও পালাক্রমে উঠে দাঁড়ায়। ভাইয়া দাঁড়াতেই সব ভাই-বোনেরা হৈচৈ করে তার মজা নিচ্ছিলো। এতে ভাইয়া একটু অপ্রস্তুত হলেন। হবেন না? সারাজীবন তো সবাইকে ধমকি-ধামকির ওপরে রেখে এসেছেন। এখন সবাই তার মজা নিচ্ছে, মোটেও এতে আনন্দিত নন। অগত্যা চোখ রাঙালেন সবাইকে। এতে যেন শোরগোলের শব্দ আরও বাড়ল। কেউই আপাতত আমার ভাইয়া সোহেব মোল্লা নিশুর চোখ রাঙানোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অহনা আপু ছোটো করে ‘আসুন’ বলে সিঁড়ির দিকে ছোটো ছোটো কদমে এগুচ্ছে। এযাত্রায় ভাইয়াও পিছু পিছু চলল। সিঁড়ি ভেঙে তারা দৃষ্টির বাইরে যেতেই এবারে আমার সব ভাইবোনেরা হুড়োহুড়ি করে সিঁড়ির পথ ধরল। ওদের চোখমুখে দুষ্টুমির স্পর্শ। নিশ্চয়ই নতুন জুটির আলাপে আড়ি পাততে চাইছে। আমাকে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সুফিয়া আমার হাত টেনে সঙ্গে নিয়ে ছুটল। পেছনে বাবা উচ্চ কণ্ঠে সতর্ক করলেন,
‘ধীরেসুস্থে যাও! পড়ে আবার ব্যথা পেও না, মামণি।’
আমি হাসছিলাম সুফিয়ার কাণ্ডে। ওর সাথে সিঁড়ি ভেঙে ছুটতে নিয়ে মাথা ঘুরিয়ে তাকিয়েছিলাম বাবাকে আশ্বস্ত করতে। ওটাই যেন আমার বিরাট ভুল। তাশরিক ভাইয়া সিঁড়ির ঠিক নিচে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাকিয়ে আছেন আমার দিকেই। আমার চোখে। আমি হোঁচট খেয়ে একপ্রকার পড়ে যেতে নিচ্ছিলাম। সুফিয়া ধরায় কোনোরকমে সামলে নিলাম। এবারে আর ছুটলাম না। অপ্রস্তুত ভাবে হেঁটেই দোতলা পেরুলাম। হঠাৎ আমাকে নির্জীব হতে দেখে সুফিয়া গুঁতো মারলো হাতে,
‘কীরে? কী হলো?’
তখনো আমার হৃৎপিণ্ড ধড়ফড় করছে। আমি শান্ত হতে চাইলাম। হাসার চেষ্টা করে বললাম, ‘কিছু না। চল।’
ছাঁদের দরজা খোলা। ইতোমধ্যে সবাই দেয়ালের পেছনে লুকিয়ে কান পেতে আছে। আদনান ভাইয়া মাথাটা এগিয়ে তাকাতে চাইলো ছাঁদে কী হচ্ছে দেখার জন্য। হঠাৎ ভূতের মতন সামনে এসে দাঁড়ালেন ভাইয়া। ভাইয়াকে দেখে সব হকচকিয়ে একসাথে পিছুতে গিয়ে পড়ল একজন আরেকজনের ওপর। ভাগ্যিস আমি পেছনে ছিলাম। ভাইয়ার রাগান্বিত দৃষ্টি দেখে সব উঠেপড়ে ছুটেছে। রয়ে গেলাম আমি। ভাইয়া আমার দিকে চাইতেই আমি মিইয়ে গেলাম। আমায় অবশ্য কিছুই বললেন না। শুধু মিহি গলায় বললেন,
‘আয় ভেতরে।’
আমি দ্রুতো মাথা দুলিয়ে বোঝালাম যাবো না। উল্টো পথে ছুঁটলাম দোতলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে। অথচ কিছু সিঁড়ি বেয়ে নেমে দ্বিতীয় সিঁড়ির দিকে যেতেই পা’জোড়া বরফের মতন ঠান্ডা হয়ে জমে গেল। তাশরিক ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছেন দোতলার সিঁড়িগোড়ার মাথায়। দেয়ালে হেলান দিয়ে আছেন। যেন আমার নামার অপেক্ষাতেই ছিলেন। বেশ মিষ্টি করে হাসছেন। দৃষ্টি আমাতেই। আমি চোখ ঘুরিয়ে আশেপাশে তাকালাম। কেউ নেই, সব নিচে চলে গেছে। ভেতরে আবার ভাংচুর শুরু হলো। অস্থির লাগল। কানে ভেসে এলো সাবলীল কথাগুলো,
‘Hi, my flying bird. Did you enjoy?’
মাই ফ–ফ্লায়িং বার্ড? আমি অদৃশ্য ভাবে কাঁপলাম। চোখ বুজলাম শক্ত করে। মিনমিন করে বেশ সাহস নিয়েই জিজ্ঞেস করলাম মনের কথাগুলো,
মাই লাভ মাই লাইফ পর্ব ৩
‘আ– আপনি আমার সাথে এভা –এভাবে কথা বলেন কেনো?’
পুরুষালি গভীর কণ্ঠের মৃদু হাসির শব্দ শোনা গেল। অনুভব করলাম তাশরিক ভাইয়া আমার দিকে এগিয়ে আসছেন। ধীর কদমে। এসে দাঁড়ালেন আমার ঠিক সামনে। ছুঁইছুঁই হয়ে। আমার ইচ্ছে করল পিছুতে। দূরে সরতে। দমবন্ধ হয়ে আসছিলো। হৃৎপিণ্ড লাফাচ্ছিলো বিশ্রীভাবে। কিন্তু পা-জোড়া নড়ল, একটুও টলল না। তিনি কাছাকাছি এসে মাথাটা আমার মাথা সমান নুইয়ে আনলেন। তাকালেন আমার মুখের দিকে। আওড়ালেন,
‘So so naive. My pretty little… Baby girl, you’re not getting it, right? um? Let me tell you, hmm? This tashrik khan is chasing you.’