মাঝরাতের রোদ্দুর পর্ব ৩৮

মাঝরাতের রোদ্দুর পর্ব ৩৮
নওরিন কবির তিশা

সকাল প্রায় সাড়ে আটটার কিছু বেশি। সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে শিশির। চৌধুরী আবাসনের ব্যস্ততা আজকে অন্যান্য দিনের তুলনায় দ্বিগুণ। আজ নির্ঝরের গায়ে হলুদ। ড্রয়িংরুম প্রায় ফাঁকা। সবাই ব্যস্ত বাড়ির গার্ডেনে। যেখানে হলুদের আয়োজন করা হয়েছে। ড্রয়িং রুমের কর্নারে বসে হলুদ বাটছে নওরিফা খানম আর সাত আট জন অপরিচিত মহিলা। আর তাদের থেকে একটু দূরে ফোনে কথা বলছে ইয়ালিনা। তার পরনে বাসন্তী পাড়ের একটা হলুদ শাড়ি।

নওরিফা খানম শিশিরের শিশিরের দিকে তাকায়।তার পরনে লেমন কালার আফগানের সাথে কাঁচা হলুদ রঙের কুর্তি। কুর্তি টা সামান্য গর্জিয়াস,নিচের দিকে গোল্ডেন স্টোন বসানো।আর গলায় জড়ানো একটা লেমন কালার ওড়না। ওড়নাটা বেশ গর্জিয়াস, দুই পাড়ে চোখে পড়ার মতন পাথরের কাজ। শিশিরে চোখে চিকন করে আইলাইনার দাওয়া, আর ঠোঁটে সামান্য রঞ্জক। সবমিলিয়ে বেশ সুন্দর লাগছে তোকে।নওরিফা খানম মুচকি হেসে বলে,,
—”আরে নুয়া, কখন আসলি?এদিকে আয় তাড়াতাড়ি”
শিশির মুচকি হেসে এগিয়ে যায় তার দিকে। নওরিফা খানম তার থেকে একটা টুল এগিয়ে বসতে দিয়ে বললেন,,
—”তুই শাড়ি পড়িস নি?”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

শিশির:”না আন্টি আমি পড়তে পারি না আর সবচেয়ে বড় কথা আমি কম্ফোর্টেবল না!”
নওরিফা খানম:”পড়তে না পারলে আমি পরিয়ে দিতাম কিন্তু কম্ফোর্টেবল না তাহলে থাক!”
তিনি হলুদ বাটতে শুরু করলেন। আশেপাশের মহিলারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করছিল তখনই সিঁড়ি দিয়ে নামলো নাহিয়ান। তার পরনে সব সময়ের মত ব্ল্যাক কালার টি-শার্ট সে সাথে ব্ল্যাক টাউজার। আর টি-শার্টের বুকে দিকে দুইটা বোতাম নিয়মতান্ত্রিকভাবে খোলা। যেখান থেকে উঁকি দিচ্ছে তার প্রশস্তলোমশ বক্ষদেশ। সিঁড়ি দিয়ে তাকে নামতে দেখে ইয়ালিনা ফোন রেখে দ্রুত এগিয়ে এসে বলল,,
—”কিছু লাগবে নাহিয়ান ভাইয়া?”
নাহিয়ান বিরক্তিতে নাক সিটকে বলল,,

—”না!”
তারপর নওরিফা খানমের দিকে তাকিয়ে বলল,,
—”মা,আমার চার্জার কোথায় রেখেছো?”
নওরিফা খানম:”তোর চার্জার কোথায়? তা আমি কি জানি? দেখ কোথায় রেখেছিস!”
নাহিয়ান:”সব জায়গায় দেখেছি কোথাও নেই!কোথায় রেখেছো তুমি?”
নওরিফা খানম:”আরে জ্বালা তোর চার্জার আমি কোথায় রাখবো! দেখ হয়তো আছে কোথাও!”
তাদের এই কথোপকথনের মাঝে পাশের একটা আন্টি হেসে বলল,,
—”তা নওরিফা ছেলের বিয়ে দিচ্ছ না কেন? বিয়ে দিলে সব কিছু বউই ঠিক করে রেখে দেবে তোমার আর জ্বালা থাকবে না!”
নওরিফা খানম:”ঠিকই বলেছো আপা। মেয়ে দেখো তো ছেলেটার জন্য।বিয়ে দিয়ে দেবো ওর। ইদানিং বড্ড জ্বালাচ্ছে আমায়!”
তারপর সে শিশিরের দিকে ফিরে বলল,,

—”যা তো মা। একটু দেখে দে তো ওর চার্জারটা কোথায় দেখছিসই তো আমার হাতে কি পরিমান হলুদ আমি এখন কি করে যাব?”
শিশির:”আচ্ছা আন্টি!”
সে উঠে গিয়ে নাহিয়ানের সামনাসামনি দাঁড়িয়ে বলল,,
—”চলুন দেখি কোথায় আপনার চার্জার!”
নাহিয়ান মুচকি হেসে বলল,,
—”হুমমম..চলুন!”
তারা চলে যেতেই নওরিফা খানমকে আরেকজন মহিলা বলল,,
—”পাত্রী তো তোমার সামনেই আছে, নওরিফা আলাদা করে আর খোঁজার দরকার কি?”
নওরিফা খানম তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল,,

—”কে?”
—”ঐযে যে মেয়েটি এখানে এসে বসেছিল! ভীষণ সুন্দরী তো! আর তোমার ছেলের সাথেও ভালো মানাবে!”
নওরিফা খানম:”বলছেন!”
—”হ্যাঁ! মেয়েটি এমনিতেই ভীষণ সুন্দরী! কিন্তু একটু খাটো,আর তোমার ছেলে যেরকম সুন্দর সেই রকম লম্বা। পুরো সিনেমার নায়কদের মতো, দুজনকে পাশাপাশি দাঁড়ালে ভীষণ মিষ্টি লাগছিল! ভালো মানাবে দুটিকে!”
নওরিফা খানম মুচকি হেসে শিশির-নাহিয়ানের যাওয়ার দিকে চাইলো। অন্যদিকে তাদের এমন কথা বার্তায় মেজাজ সপ্তমে চলে গেল ইয়ালিনার। এমনিতেই নাহিয়ান তার সাথে বাজে ব্যবহার করেছে কিন্তু শিশিরের সাথে হেসে হেসে কথা বলেছে, তার উপরে মহিলারা আবার ওদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে!সে বিরক্তিতে ধুপধাপ পা ফেলে দ্রুত সেখান থেকে প্রস্থান করল।

—”হ্যাঁ বল এবার শুনতে পাচ্ছি!”
গার্ডেন থেকে একটু দূরে ফোনে কথা বলছে সৌজন্য। আসলে গার্ডেনেই হলুদের আয়োজন করা হয়েছে এজন্য সেখানে সাউন্ড বক্স অনেক জোরে জোরে বাজছে যার কারণে কোনো কথাই শোনা যাচ্ছিল না।তাই ইয়ার ফোনটা কানে গুঁজে গার্ডেন থেকে একটু দূরে এসে দাঁড়িয়েছে সে। সবে ওই পাশের ব্যক্তিটি কি বলছে তা অনুমান করতে যাবে তার আগেই পিছন থেকে একটা আলতো ধাক্কায় নিজের জায়গা থেকে সামান্য সরে গেল সে। পিছন ঘুরে বিরক্তিতে সে বলল,,,

—”হোয়াট ননসেন্স! দেখে…”
কথাটি শেষ করার আগেই নিঝুম এক লাফ দিয়ে উঁচু হয়ে ডান হাতের হলুদ আর বাম হাতের গাঢ় গোলাপি আবির দিয়ে মুড়িয়ে দিল তার বদন। তারপর খিলখিল করে হেসে উঠে বলল,,
—”হ্যাপি হালদি ডে.. মিস্টার ইনট্রোভার্ট!”
কথাটা বলেই দুই হাতে নিজের স্কার্ট উঁচু করে শো করে দৌড় দিয়ে সেখান থেকে দ্রুত কেটে পড়লো নিঝুম। সৌজন্য তাকিয়ে রইল তার দৌড়ে যাওয়ার পানে। কি অদ্ভুত মেয়েটি!হুট করে কে জানি কোথা থেকে ঝড়ের মতো এসে লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেল তাকে!
সে নিজের চোয়ালে হাত দিয়ে খানিক আবির নিজের হাতে এনে সেদিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছিল। তখনই পিছন থেকে একটা আন্টি বলল,,

—”এ বাবা.. তোমার শার্টের এ কি অবস্থা পিছন থেকে তো একদম নষ্ট হয়ে গেছে!”
তার কথাই সৌজন্য কিছু না বুঝে অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালো। তা দেখে মহিলাটি ফের বলল,,
—”বাবা তোমার শার্ট টা তো একদম নোংরা হয়ে গেছে! নিশ্চয়ই কেউ দুষ্টামি করে আবির আর হলুদ লাগায় দিছে! যাও চেঞ্জ করে আসো!”
মহিলাটি চলে যায়। সৌজন্য বুঝতে পারে এই কাজ নিশ্চিত নিঝুমই করেছে! যখন পিছন থেকে তাকে ধাক্কা দিয়েছিল তখনই হয়তো তার সাদা টি-শার্টে হলুদ আর আবির লেগে গেছে!

এক নিস্তব্ধ গোধূলি। আকাশে সূর্যের রক্তিম ছটা। চারিপাশ রক্তিম সূর্যের আলোয় লাল বর্ণ ধারণ করে আছে। পার্কের পাশের একটা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল আনায়া। পার্কে কপোত-কপোতীদের ভিড়। সেদিকে তাকিয়ে হঠাৎই কেনো জানি তার মনটা খারাপ হয়ে গেল। হুট করে মস্তিষ্কে ভেসে উঠলো এক সুদর্শন পুরুষাবয়ব। তখনই পাশ থেকে কয়েকটা বখাটে বাইকে করে যাচ্ছিল। তাদের ভেতর থেকে একজন আনায়ার গায়ে কি যেন ছুঁড়ে দিয়ে বলল,,
—”আরে সুন্দরী! একা একা কই যাও? আমাকেও সাথে নাও!”
আনায়া কিছু বলার আগেই বাইকটির সামনে এসে থামলো একটি গাড়ি। গাড়ি থেকে নামলো রিদিত তাকে দেখে বখাটেরা যতটা না ভয় পেল তার থেকেও বেশি অবাক হলো আনায়া! রিদিত গাড়ি থেকে নেমেই বখাটে গুলোর উদ্দেশ্যে মুচকি হাসি বলল,,

—”কি ব্যাপার ভাই!পছন্দ হয়েছে?”
বখাটেটার যেন প্রশ্নটা পছন্দ হলো। সে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো। অবাক হলে আনায়া! রিদিত এসব কি বলছে? কিন্তু পরক্ষণেই রিদিত বলল,,
—”কিন্তু একটু সমস্যা আছে এই সুন্দরী টা ‌রিদিত খানের মন বাগানের ফুল! আর তোরা সে ফুলকে বিরক্ত করেছিস! তাহলে বল তোদের কি করি?”
কথাটা শেষ করেই রিদিত সজোরে ঘুষি মারলো বখাটেটার পেটে। সাথে সাথে মুখ দিয়ে গলগল করে রক্ত বের হয়ে গেল তার। আনায়ার চোখ কোটর থেকে বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম! আশপাশ থেকে লোকজন এসে রিদিতকে সরিয়ে নিয়ে গেল। তার চোখে মুখে এখনো আগ্নেয়গিরির লাভার রক্তিম রেশ!
কিছুক্ষণ পর…

গাড়ি চলছে আপন গতিতে।ড্রাইভিং সিটে রিদিত। আর ব্যাকশিটে বসা আনায়া। আগে হলে রিদিত জোর করে তাকে নিজের পাশে সিটে বসাতো। কিন্তু আজ কিছুই বলেনি। তাই আনায়াও বসেনি তার পাশের সিটে। তবে তার মনে চলছে সহস্র প্রশ্নের মেলা। যেগুলোর উত্তর শুধু রিদিতের কাছেই আছে। সে প্রশ্ন করতে গিয়ে বারবার থমকে যাচ্ছে। কি বলে সম্বোধন করবে সে? কখনো তো কিছু বলেইনি রিদিতই সব সময় কথা শুরু করতো। কিন্তু আজ সে নিশ্চুপ।
অন্যদিকে আনায়াকে এমন অস্বস্তিতে দেখে রিদিত তার দিকে না তাকিয়েই বলল,,
—”ডোন্ট ওয়ারি আনায়া আমি কিছুই বলবো না। আর কোনদিন তোমার সামনেই আসব না। আসলে আমি তার পাশ দিয়ে চলে যেতাম কিন্তু…”
সে কথা শেষ করল না। তবে আনায়ার মন যেন তাকে জিজ্ঞেস করল,,

—”কিন্তু… কিন্তু কি?”
কিন্তু হায়!আনায়ার মনের কথা এখন কি আর রিদিত শুনতে পায়? বুঝতে পারে? কি জানি!আনায়ার বুক চিরে বের হয়ে আসে দীর্ঘ নিঃশ্বাস। তবে এটা রিদিতের নীরবতার কারণে নয়। এই প্রথম সে আনায়াকে,’আনায়া’ বলেছে সে তো সব সময় আয়নিন বলতো! আর কি কোনদিন বলবে না? এখনো শত শত প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আনায়ার মন-মস্তিষ্কে!
এবার সে স্থির করল আর কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব নয় সে রিদিতকে সরাসরি প্রশ্ন করবে তার মনের সব প্রশ্নের উত্তর চাইবে। কিন্তু তার প্রশ্নের আগেই রিদিত বলল,,
—”তোমার বাসায় এসে গিয়েছে!নামতে পারো!”
আনায়ার প্রশ্নগুলো যেন প্রকাশিত হতে হতেই ফের বদ্ধ হয়ে গেল তার মনের সেই অবরুদ্ধ কুঠুরিতে। নেমে গেল গাড়ি থেকে। আর সে নামতেই রিদিত কোন পূর্বাভাস ছাড়াই দ্রুত গাড়ি চালিয়ে সেখান থেকে প্রস্থান করল।আনায়া শুধু নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো তার দিকে। চোখে একরাশ মায়া আর অব্যক্ত অনুরক্তি, সেই সাথে বিরহের প্রবল অভিমান।

খুলনা চৌধুরী আবাসনে আজ উজ্জ্বল দীপ্তিময় সন্ধ্যা। বাড়ির বাইরে,গার্ডেন সহ পুরো গেট সাজানো স্ট্রিং লাইটে।‌চুপচাপ ইট-কাঠের গাঁথুনিতে আজ যেন প্রাণ খেলে যাচ্ছে।চারদিকে জ্বলছে স্ট্রিং লাইটের রঙিন আর নরম আলো যেন ছোট ছোট তারা মাটির কাছাকাছি নেমে এসেছে। পুরো করিডোর জুড়ে দীপ্তি ছড়াচ্ছে। নিচে ড্রয়িং রুম মানুষের কোলাহলে পূর্ণ। তবে করিডোর ফাঁকা। সেটা সাজানো লাল নীল বিভিন্ন রঙের রঙিন পাতলা পর্দা দ্বারা।
পাতলা পর্দা গুলো দুলছে হালকা বাতাসে। আর তারই মাঝে ভেসে আসছে এক রমনীর হাসির রিনরিনে শব্দ। পর্দা গুলো আলতো হাতে সরিয়ে দিতে দিতে ছুটছে শিশির। পরনে সারারার এমব্রয়ডারি করা কুর্তির গোল্ডেন স্টোন থেকে আলোকরশ্মি প্রজ্বলিত হচ্ছে। আরে লাল স্ট্রিং আলো তার মুখশ্রী অপ্সরাদের মত করে তুলছে।
তার হাসির শব্দ যেন লাইটের সঙ্গে দোল খাচ্ছে,

আর পেছনে দৌড়াচ্ছে নাহিয়ান, হাতে হলুদ মাখা রঙ। আসলে আজকে সবাই সবাইকে হলুদ মাখালেও লোকজনের ভেতরে নাহিয়ান শিশিরকে হলুদ লাগাতে পারেনি। তাই একটু আগে সে যখন সবার আড়ালে শিশির কি হলুদ মাখিয়ে দিতে যাচ্ছিল তখনই শিশির এক ছুটে করিডোরে এসেছে। দৌড়ানোর একপর্যায়ে নাহিয়ান, দুষ্টু চোখে হেসে ‌বলল,,
—”এই দাঁড়াও তো!নাহলে এবার একবার যদি ধরতে পারি তাহলে কিন্তু আর ছাড়বো না!”
শিশির না থেমেই বললো,,
—”পারলে আগে ধরে তো দেখান!”
শিশির টের পায়নি যে নাহিয়ান তার কাছাকাছিই চলে এসেছে। সে কথাটি বলে ঘুরতে যাওয়ার আগেই নাহিয়ান এক ঝটকায় তার হাত ধরে বসলো। আর ঠিক তখনই…
সাউন্ড সিস্টেমে ভেসে আসে সেই সুর… ‘ফানা’ গানের সেই সুন্দরতম লাইন দুইটি,,

🎶”Mere haath mein tera haath ho,
Saari jannatein mere saath ho…”🎶
নরম আলোয় শিশির তাকিয়ে থাকে নাহিয়ানের চোখে।
সেই চোখে,যা শিশিরের কাছে কোনো চোখ নয় বরং জলজ্যান্ত এক কৃষ্ণগহ্বর। যেখানে সে,তার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় প্রতিবার। শিশির কে এমন তাকিয়ে দেখতে দেখে নাহিয়ান মুচকি হেসে তার মুখশ্রীতে আলতো হাতে হলুদ লাগিয়ে দিতে দিতে বলল,,

মাঝরাতের রোদ্দুর পর্ব ৩৭

—”এবার কি হবে ম্যাম? শর্ত অনুযায়ী আর তো কোনদিন এই হাত ছাড়া যাবে না! আপনাকে সারা জীবন এই রগচটা,জেদি একগুঁয়ে খাইস্টা বেডার সাথেই থাকতে হবে!”
শিশির মুচকি হেসে কণ্ঠস্বর নিচু করে বলল,,
—”আমি তাই চাই!”
দুজনকে ছুঁয়ে গেল এক প্রনয়ের উষ্ণ পরশ। বাতাস‌ও যেন সাক্ষী হতে চাইলো এক প্রেম পূর্ণ উষ্ণ মুহূর্তের।

মাঝরাতের রোদ্দুর পর্ব ৩৮ (২)