মায়াবতী শেষ পর্ব

মায়াবতী শেষ পর্ব 
ইসরাত জাহান ইকরা

মেঘা শাওয়ার নিয়ে এসে লাগেজ থেকে নীল রঙের একটি শাড়ি বাছাই করে পড়লো। মেহমিদ এর মাঝেই ফোন দিয়ে মেঘা কে বললো রেডি হয়ে থাকতে, কেননা আজকে মেহমিদের বাসায় এখুনি রোওনা হবে। মেঘা কে শায়লা বেগম ব‌উ হিসেবে দেখে কেমন রিয়েক্ট করবে জানা নেই মেঘার, সেখানে গেলে ওদের মুখোমুখি হলেই বুঝতে পারবে।তবে ঢাকায় যাওয়ার আগে কিছু মানুষের মুখোমুখি হয়ে যাবে আজ।

এসব ভাবতে ভাবতেই গাড়ির হর্নের শব্দ ভেসে এলো মেঘার কানে কানে। মেঘা দ্রুত লাগেজের চেইন লাগিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে এলো। আনসার রহমান,মেহমিদ কে বুকে জড়িয়ে ধরে রেখেছেন আর বলছেন ভালো থাকিস বাবা, আমার অভাগী ভাগনি টার খেয়াল রাখিস। মেহমিদ আনসার রহমান কে জরিয়ে ধরেই মেঘার দিকে তাকাকেই জেনো থমকে গেল, নীল রঙের শাড়িতে জেনো মেঘা কে দেখে মনে হচ্ছে আসমান থেকে নীল পরি জমিনে নেমে এলো। মেঘা আসতেই মেঘার মামা মামী মেঘাকে আদর করে কপালে চুমু দিয়ে বিদায় জানালো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

মেঘা গাড়িতে উঠতেই,মেহমিদ গাড়ি স্টার্ট দিয়ে রোওনা দিল, গাড়িতে মেহমিদের পাশাপাশি বসে কিছুটা লজ্জা লাগছে, ক‌ই আগে তো এমন হয় নি। এখন কি তার ব‌উ বলে এমন হচ্ছে।
মেহমিদ আড়চোখে মেঘার দিকে তাকাতেই, দেখতে পেলো মেঘা ও গালে হাত দিয়ে মেহমিদের দিকে তাকালো, দুজনের চোখাচোখি হতেই দুজনেই চোখ সরিয়ে নিল। মেঘা মেহমিদের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো মেহমিদ মুচকি মুচকি হাসছে।

মেহমিদ বলে উঠলো _ আজকে কিন্তু আমাদের বাসর রাত, কি ফুল দিয়ে সাজানো যায় বলো তো।
এবার মনে হয় মেঘার দম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপক্রম, ইস এতো লজ্জা লাগছে কেন। তখন পাশ থেকে মেহমিদ বলে উঠলো _ হ‌ইছে আর এতো লজ্জা পেতে হবে না। এমনিতেই তো সুন্দরী লজ্জা পেলে তো লাগে আরো মায়াবতী। আচ্ছা মেঘা তুমি কি জানো? তুমি কতটা মায়াবতী? এতোটা মায়ার জালে আমাকে না ফাসালে ও পারতে।

যেদিন তোমায় অন্ধকারে মোমবাতি হাতে নিয়ে দেখেছি, বিশ্বাস করো ওইদিন তোমার ওই মায়াবী ফেইস টা দেখে আমি বরফের মতো জমে গেছি। না চাইলে ও তোমার প্রতি আমার এক বিশেষ মায়া কাজ করতো। দিনের পর দিন তোমার সরলতা, নিষ্পাপ চেহারা আমাকে ঘায়েল করতো। যেদিন আমাকে মেসেজ করে বললে i love you মেহমিদ ভাই আমি সেদিন‌ই বুঝতে পেরেছিলাম তোমার আইডি, আর তখন ই মনে মনে বলেছিলাম নাহ এবার বিয়েটা করে ফেলতেই হচ্ছে।

এতোক্ষণ হা করে মেঘা সবটাই শুনছিলো, শেষের কথাটা শুনে লজ্জায় শেষ। মেঘা আমতা আমতা করে বলে উঠলো আমি বলি নি, মাটি ওই ফাইজলামি টা করেছে।
মেহমিদ চোখ থেকে সানগ্লাস টা খুলে বলে উঠলো _ হুম, আমি সেটা ও জানি,তাইতো যাচ্ছি ওর বারোটা বাজাতে, আর ওকে বিশেষ একটা thanks দেওয়াই যায় কেননা ও তোমার মনের কথা সব আমাকে বলে দিছে।
মেঘা ধরফরিয়ে উঠে বসলো,আর বলতে লাগলো _ মাটি আর কি কি বলেছে।

মেহমিদ হাসতে হাসতে বলে উঠলো _ এই,,, সবই, আলিফ যে আপনার এক্স সেটা ও বলেছে। বলেই মেঘা কে চোখ মারলো। মেঘার তো অবস্থা টাইট, আজকে মাটি সামনে পেলে মেরেই ফেলবে।
বলতে বলতে সামনের একটা মোড় আসলে মেঘা বলে উঠলো এই ঘুড়ান ঘুড়ান। মেহমিদ ড্রাইভ করতে করতে বলে উঠলো _ কোন সমস্যা মেঘা। মেঘা বলে উঠলো আমি বাড়ি যাবো, আমার কিছু হিসাব মেলানো বাকি আছে। মেহমিদ বুঝতে পেরে মেঘার কথায় গাড়ি ঘুরিয়ে নিলো।

রোওনা দিল গ্ৰামের বাড়ি। কিছুক্ষন পর মেঘা সেই বাড়িটির সামনে চলে এলো, যেখানে দিনের পর দিন অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে থাকতে হ‌ইছে। মেঘা গাড়ি থেকে নেমে গেট পেরিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলো, আর স্মৃতিচারণ করতে লাগলো পুরনো দিন গুলো। উঠানে পায়ের উপর পা তুলে নেলপলিশ লাগাচ্ছিলো অনু,মেঘা কে সামনে দেখে কিছুটা চমকালো, তারপর শয়তানি হাসি দিয়ে বলে উঠলো কেমন আছিস মেঘা, তোর বর সৌরভ কেমন আছে? ভালো আছিস তো তোরা, খুব তো চেয়েছিলি মেহমিদ কে দূরে সরাতে এখন দেখ তোর থেকে কতজন কে দূরে সরিয়ে দিলাম।

এটা বলতে দেরি অনুর গালে মেঘা স্বজোরে একটা থাপ্পর মারতে দেড়ি করলো না মেঘা।
ততক্ষণে মেহমিদ এসে মেঘার পাশে দাঁড়ালো। অনু মেহমিদ কে মেঘার সাথে দেখে চর খাওয়ার কথা ভুলে আবাক হয়ে মেহমিদ কে দেখতে লাগলো, ততক্ষণে রাহিমা বেগম এসে মেঘা কে গালি গালাজ করতে লাগলো। মেঘা বলে উঠলো আপনি চুপ করুন চাচী, আগে আপনার মেয়ের কথার উত্তর দিয়ে নেই। এই যে মিস অনু, আপনাকে আপু বলতে আমার ঘেন্না লাগছে তাই নাম ধরেই সম্বোধন করছি, প্রথমত আমার থেকে আপনি কাউকে দূরে সরাতে পারেননি, এক, সৌরভ ই মেহমিদ,যার সাথে আমার বিয়ে হ‌ইছে সে মেহমিদ ই ছিলো।

দুই, আমার বোন আমার কাছেই আছে, ঢাকায় ওর স্কুল থেকে ট্রান্সফারের ব্যাবস্থা করছে জেঠি। সো আপনি ব্যার্থ মিস অনু, কাউকেই আমার থেকে দূরে সরাতে পারেননি। সব শুনে ওদের চোখ ছানাবড়া। তখনি রাহিমা বেগমের ফোনে কল এলো, তিনি রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে কেউ বলে উঠলো _ ওই মেয়েটি পালিয়েছে,হয় টাকা ফেরত দিন নয়তো আপনার মেয়েকে আমাদের হাতে তুলে দিন। অনুর কথা শুনতেই রাহিমা বেগমের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো, সেদিন তো কিছু টাকা অনু অনলাইন থেকে শপিং করে কিছু ভেঙে ফেলেছে।

এখন কি করবে, রাহিমা বেগম মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো। মেঘা তৈচ্ছিল্য হেসে বলল যেমন কর্ম তেমন ফল চাচী আপনি আপনার খোঁড়া গর্তেই পরেছেন। কিছুদিন পর এই বাড়িটা আপনার ছাড়তে হবে, মেঝো চাচা কে থাকার মতো কিছুটা জমি দিব, কিন্তু সেখানে ঠায় হবে না আপনার। খুব শিগগিরই আপনাদের কর্মের ফল ভোগ করবেন আজ চলি।
এই বলে মেঘা আর মেহমিদ সেই জায়গা প্রস্তান করলো। মেঘা চলে যেতেই রাহিমা বেগম মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছেন। এখন এই বিপদ থেকে কে রক্ষা করবে তাদের।

মেঘা দৌড়ে এসে সেই পুকুর পাড়ে এসে থামলো, মেহমিদ পেছন থেকে মেঘার কাঁধে হাত রাখতেই মেঘা ফট করে মেহমিদের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লো।
মেঘা মেহমিদ কে জরিয়ে ধরে বলতে লাগলো _ আজকে আমার ভিশন হালকা লাগছে মেহমিদ। আমি আমার মনের সমস্ত ঝাঁঝ মিটিয়ে এসেছি।

মেহমিদ মেঘার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে উঠলো _ তো এখন এখান থেকে চলে যাই চলুন, এভাবে, জরিয়ে ধরে রাখলে আমার তো আদর করতে মন চাইবে। এই আদর গুলো তো আমি বাসর রাতের জন্য জমিয়ে রেখেছি।

সাথে সাথে মেঘা চোখ বড় বড় করে মেহমিদের দিকে তাকালো। মেঘা সাথে সাথে মেহমিদ কে ছেড়ে দিয়ে বলে উঠলো দিন দিন আপনি অসভ্য হয়ে যাচ্ছেন।
মেহমিদ ভ্রু কুঁচকে বলে উঠলো _ হ‌ইছে, নিজের বেলায় সভ্যতামি,বুঝি আমি বুঝি। এবার গাড়িতে চলেন।
মেগা চারপাশে চোখ বুলিয়ে বলতে লাগলো _ শুনেন না, আমার এখন গাড়িতে চড়তে ইচ্ছে করছে না। চলুন না আমরা একসাথে ওই দশটা সাধারণ কাপলের মতো রিকশায় চড়ে গোটা শহটা ঘুরে বেড়ায়। কোথাও ক্লান্ত হয়ে গেলে কোনো একটা লেকের পাড়ে বসে দুজন মিলে ঝালমুড়ি খেতে খেতে গল্প করি।

মেহমিদ মেঘার কথার কোন উত্তর না দিয়ে গাড়ির দিকে হাঁটা ধরলো, মেঘা বুঝতে পারলো মেহমিদ মেঘার কথা রাখবে না। তাই মন খারাপ করে গাড়িতে উঠে বসলো। তখনি গাড়ি থেকে সানগ্লাস টা নিয়ে চোখে পড়লো মেহমিদ, প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল টা বের করে কার কাছে যেনো ফোন করে বললো _ করিম চাচা, আমি আপনাকে লোকেশন পাঠিয়ে দিচ্ছি আপনি ওইখান থেকে গাড়িটা নিয়ে যান কেমন, আমি রাখিলের কাছে চাবিটা দিয়ে যাচ্ছি। এই বলে ফোন কেটে দিয়ে গাড়ির সিট থেকে মানিব্যাগ টা পকেটে রাখতে রাখতে বলে উঠলো নামুন ম্যাডাম। কিছুটা পথ আইসক্রিম খেতে খেতে হেঁটে গেলে মন্দ হয় না। মেঘা খুশিতে আত্মহারা হয়ে গাড়ি থেকে নেমে মেহমিদের হাত ধরে গ্ৰামের মেঠোপথ দিয়ে হাঁটতে লাগলো।

কিছুদূর যাওয়ার পর একটা আইসক্রিমের দোকান থেকে দুটো আইসক্রিম খেতে খেতে দুজন হাঁটতে লাগলো। একটু পর মেঘা আনমনেই গেয়ে উঠলো-
এই হাত টা ধরে যেতে চাই আমি সত্যি বহুদূর
যদি কখনো যাও হাড়িয়ে হবে হৃদয়ো ভাংচুর
আমি তোমার পথে হেঁটে হেঁটে রাতকে তুলবো জাগিয়ে
আমি বৃদ্ধ হবো তোমার হাতে তোমায় তুলবো রাগিয়ে।
তখনি মেঘার মনে হলো কেউ তার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে। পাশে তাকিয়ে এভাবে মেহমিদের হাত ধরে রাখায় মেঘা ও সায় জানিয়ে মেহমিদের কাঁধে মাথা রেখে পথ চলতে শুরু করলো।

একটু পর একটা রিকশা থামিয়ে, দুজন রিকশায় উঠে বসলো। তারপর সামনে একটা পার্কের মতো জায়গায় এসে রিকশা থামলো, মেহমিদ ভারা মিটিয়ে দিয়ে মেঘা কে নিয়ে একটা ফুলের দোকানের সামনে নিয়ে গেলো।
মেহমিদ সেই দোকান থেকে একটা বেলি ফুলের মালা কিনে মেঘার হাতে পড়িয়ে দিলো। তখনি হ‌ইচ‌ই শুনে,মেহমিদ ও মেঘা ভ্রু কুঁচকে সামনে তাকালো। সামনে তাকিয়ে যা দেখতে পেলো তাঁতে মেঘার চোখ দুটো ছানাবড়া হয়ে গেল। মেঘা আর মেহমিদ বিষয়টা বুঝতে আরেকটু সামনে গিয়ে দেখতে পেলো, আলিফ একটা ছেলের শার্টের কলার ধরে শাসাচ্ছে। পাশ থেকে তিশা আলিফ কে থাপ্পর মেরে বলে উঠলো _ কি সমস্যা তোমার আলিফ, আমার আর তোমার ডিভোর্সের কথা বার্তা চলছে। তোমার সঙ্গে আমার থাকা ইম্পসিবল। আর তোমার সাথে আমার যায় বলতো।
আলিফ বলে উঠলো _ এসব কি বলছো তিশা তুমি, আমি তোমাকে ভালোবাসি, তুমি আমাকে ভালোবাসো। আমাদের বিচ্ছেদ হতে পারে না।

তখনি তিশা বলে উঠলো _ এমন ভাব করছো যেন কেউ লাইফে মুভ অন করেনি। আরে এটা অহরহ ঘটে ঘটছে, আর তুমি নিজেকে দেখছো, তোমার সাথে আমার আর থাকা সম্ভব না, বিচ্ছেদ কি শুধু তোমার আর আমার মধ্যে হচ্ছে এমন না, এরকম টা সবার সাথেই ঘটে ‌ । আর এখন বুঝতে পারছি তুমি আমার মোহ ছিলা ভালোবাসা না। এখন আমার ভালোবাসা আমি পেয়ে গেছি হো আমাকে আমার মতো থাকতে দাও। আর তুমি তোমার মতো থাকো। আর ডিভোর্স পেপার খুব শিগগিরই আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি।এই বলে তিশা সেই ছেলেটি কে নিয়ে চলে গেল।
মেঘা তো পুরো অবাক, একদিন আলিফ যেই ডায়লগ মেঘা কে দিয়েছিল আজ সেটা আলিফ রিটার্নিং নিজে ও পেলো। তাই তো বলে Revenge of nature , প্রকৃতি ছাড় দেয় ছেড়ে দেয় না। শুধু সময়ের অপেক্ষা।
মেঘা পাশ থেকে এক মহিলা কে বলতে শুনা গেল, পরকিয়া বুঝছো পরকিয়া, এই মেয়েটা নাকি কদিন ধরে জামাইর সাথে আলাদা থাকছে। এখন হাতে নাতে এইখানে ধরলো ছেলেটি। মেয়েটা কেমন করে নিজের জামাইকে ফেলে চলে গেল।
মেঘা নিরবে মেহমিদের হাত ধরে সেখান থেকে চলে এলো। আর অসহায়ের মত কাঁদতে লাগলো আলিফ।

অবশেষে রিকশা করে বিশাল এক বাড়ির সামনে এসে নামলো মেহমিদ আর মেঘা ‌। শায়লা বেগম দুজনকে একসাথে দেখে প্রথমে আবাক হলে ও পরে সবটা শুনে খুশি হলেন। খুশিতে মেনে নিলেন দুজনকে। মাটি মেঘা কে জরিয়ে ধরলো খুশিতে। মেঘা জেনো বোনকে কাছে ফিরে পেয়ে প্রানটা জুরিয়ে গেল। তখনি অফিস থেকে মোশারফ হোসেন এসে সবটা শুনতে পেরে গম্ভীর হয়ে উপরে চলে গেলেন। শায়লা বেগম বলে উঠলেন _ আমাদের না জানিয়ে তোমরা নিজেরাই বিয়ে করে নিলে তাই মেহমিদের বাবা একটু রাগ করে থাকলে ও তোমাদের হাসি মনেই মেনে নিবেন,এসব রাগ অভিমান থাকে না ওনার।

মেঘা বলে উঠলো _ বুঝেছি জেঠি মা, আমি জেঠার জন্য ঠান্ডা শরবত নিয়ে যাই।
শায়লা বেগম _ যাবি যা, তবে জেঠা জেঠি এসব ডাকা আর চলবে না,মা বাবা বলে ডাকবি ঠিক আছে।
মেঘা ঠিক আছে বলে উপরে চলে গেল। মেহমিদ ফ্রেস হতে নিজের রুমে চলে গেল।
এদিকে মোশারফ হোসেন রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বলতে লাগলো _ তোমাকে কি বলেছি রাহিমা, তুমি এতো কেয়ারলেস কীভাবে, সবকিছু তো পাল্টে গেল।

তখনি মেঘা শরবত হাতে নিয়ে এসে বলতে লাগলো _ কি শশুর মশাই চাল উল্টে গেল তো। অবশ্য যাদের সাথে কথা বলছেন তারা কালকেই মাথা গুজার ঠায় হাড়াবে। আপনি শরবত খেয়ে মাথা ঠান্ডা করুন,কারন সামনে অনেককিছুই ঘটবে। আর আমার বাবার বিজনেস ৫০% মালিকানার সবকিছু হিসেব আমি চাই, এবং আমি অফিসে জয়েন করে সবকিছুর দায়িত্ব আমি নেবো। আপনি বুড়ো হয়ে গেছেন একটু অবসরে থাকা আপনার স্বাস্থ্যর জন্য ভালো।

এই বলে রহস্যময় একটা হাসি দিয়ে মেঘা বেড়িয়ে গেল।
মোশারফ হোসেন অবাক হয়ে মেঘার যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে অস্ফুট স্বরে বলে উঠলো _ সে কি আসলেই মায়াবতী নাকি মায়াবীনি?

মায়াবতী পর্ব ১৬

( এই পর্যন্ত এই গল্পটুকু এখানেই শেষ করলাম, জানি আপনাদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে বা তাই আমি এই গল্পটাকে এভাবেই শেষ করলাম। এটার সিজন ২ ও আসতে পারে। আবার না ও আসতে পারে। লাষ্ট পার্টে আপানদের মতামত জানতে চাই।আর ভুল ত্রুটি মাফ করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে এতো দিন ভালোবেসে সাথে থাকার জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা)

সমাপ্ত