মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ১৪
ইশরাত জাহান
বারোটার দিকে,
রুদ্র বাসা থেকে না খেয়ে বের হওয়াতে মাহবুব সরদার কষ্ট পায়।এছাড়া হিয়ার নিজের কাছেও খারাপ লাগছে।বাবার কষ্ট সাথে করে নিজের খারাপ লাগা দেখে সুপ রান্না করে টিফিন বাটিতে করে নিয়ে যায় হিয়া।একটি নির্জন ফাঁকা গল্লির ভিতরে ভুতুড়ে পরিবেশ।দুপুর হয়ে এসেছে তাও যেনো গল্লিতে আলো বাতাস নেই। জামার ওড়না কচলাতে থাকে ভয়তে।ড্রাইভার প্রায়ই রুদ্রকে এখানে নিয়ে আসে।তাই হিয়া ড্রাইভারের মাধ্যমে এসেছে।কিছুটা এগিয়ে একটি ফাঁকা বাড়ি পায় হিয়া।বাড়িটি পুড়ে কালি জমানো।
দেখলেই বোঝা যাচ্ছে পুরনো বাড়ি। ড্রাইভার বলেছে এখানেই আড্ডা দেয় রুদ্র।এটা নাকি রুদ্রর আড্ডা দেওয়ার আস্তানা।হিয়া ভিতরে ঢুকবার আগে চোখের চশমা ঠিক করে নেয়।তারপর কাপা কাপা হাতে জং ধরা মেইন গেট খুলে।প্রথমে চিকন এক ঘর তারপর বড় ফাঁকা ঘর।সেই ঘরে আছে একটি টেবিল আর কয়েকটি চেয়ার।একটি চেয়ারে বেধে রাখা হয়েছে একটি মেয়েকে।মেয়েটির হাত পা মুখ বাধা।বারবার ছটফট করতে থাকে মেয়েটি রক্ষা পাওয়ার জন্য।চোখ দিয়ে তার পানি পড়তে থাকে।সামনে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে দাত বের করে হাসতে থাকে রুদ্র।হিয়া সাথে সাথে দেওয়ালের আড়ালে দাড়িয়ে দেখতে থাকে রুদ্রর কান্ড।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রুদ্র বলে,”তারপর কি বলেছিলি যেনো? আমার পর্দা ফাঁস করে দিবি।আমার এই কর্মগুলো লোকজন জেনে যাবে? রুদ্রদ্বীপ রুদ্র যতক্ষণ না চাইবে কোনো কিছুই ফাঁস হবে না বেবী।”
বলেই ধারালো ছুরি বসিয়ে দিলো মেয়েটির পেট বরাবর।গড়গড় করে রক্ত বের হয় মেয়েটির পেট থেকে।রুদ্র ছুরিটি আবার বের করে আবারও মেয়েটির পেটে ঢুকিয়ে দেয়।মেয়েটি মুখ উচু করে।চোখ বড় বড় করে তাকায়।মুখে কাপড় গুঁজে রাখার জন্য মেয়েটি চিল্লাতে পারছে না। আস্তে আস্তে মেয়েটির নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।জীবনে প্রথম কোন খুন এভাবে সচক্ষে দেখে হিয়ার হাত পা দুর্বল হয়ে আসে।হিয়া মেয়েটি এত বড় স্বনামধন্য পরিবারের হলেও শিক্ষা দীক্ষা চলাফেরার দিক থেকে খুবই শান্তশিষ্ট।হিয়া সামাজিক ভাবেই চলাফেরা করে।নরম মনের মেয়ে সে।তাই আজ এই খুনের পরিবারে জন্ম নিয়েও খুন দেখে কাপতে থাকে।হুট করে হাত থেকে টিফিন বাটি পড়ে যায়।
কোনো কিছুর শব্দ পেতেই ভ্রু কুচকে পিছনে তাকায় রুদ্র।হিয়াকে দেখে আতকে যায়।সিয়া ও হিয়া একই রুপি হলেও সিয়ার ঠোঁটের নিচে তিল আছে যেটা হিয়ার নেই। আর হিয়া চশমা ব্যাবহার করে।তাই রুদ্র বুঝতে পারলো এটা হিয়া।কিন্তু হিয়া কেনো এখানে এলো!রুদ্র এগিয়ে আসে হিয়ার কাছে।ভয়তে পিছিয়ে যায় হিয়া।খোপ করে হিয়ার হাত ধরে হিয়াকে নির্জন রুমে নিয়ে আসে রুদ্র।বলে,”তুমি কিছুই দেখোনি হিয়াপাখি।”
রুদ্রের চোখ লাল।অতিরিক্ত ভয়ানক এক খুনিকে দেখছে হিয়া।ভয়তে ঘামতে থাকে।রুদ্রর ভয়ানক চাহনিতে কোনো উত্তর না দিয়ে হিয়া মাথা নাড়িয়ে বুঝিয়ে দেয়, হ্যাঁ সে কিছুই দেখেনি।রুদ্র এবার হেসে দেয়।বলে,”আর যদি বলো তবুও কোনো প্রমাণ নেই তোমার কাছে।এই রুদ্র প্রমাণ রেখে অপরাধ করে না।”
হিয়া দেখলো রুদ্রের হাতের দিকে।রুদ্র গ্লাভস পরে আছে। আর হিয়া সে তো কোনো ছবি তোলা বা ভিডিও করতে পারেনি।কিভাবে করবে প্রমাণ যে রুদ্র একজন খুনি।তাই সে বিষয়টি এখানেই ধামাচাপা দিতে চায়।কিন্তু রুদ্রর দিকে তাকাতে হিয়া ভয় পায়।হিয়ার মনে হচ্ছে এখন রুদ্র তাকেও খুন করে দিবে।চশমা ঠিক করতে করতে হিয়া ফোঁসফোঁস করতে থাকে।হার্টবিট ওঠানামা করছে হিয়ার।চোখ দিয়ে পানি পড়ছে তার।কাপা কাপা ঠোঁট চোখ ফ্লোরের দিকে।রুদ্র দেখতে থাকে হিয়াকে।বলে,”একটা খুনের পরিবারে জন্মগ্রহণ করে তুই কি না খুন দেখে ভয় পাচ্ছিস!”
রুদ্রের কথার শুরুতেই কেপে ওঠে হিয়া।ভয়তে কুচকে যায়।ও ভেবেছিলো হয়তো রুদ্র এখন ওকে বকবে বা মারবে।
ওড়নার আচল দুই হাতে ধরে মুঠ করে।নাকের ডগা লাল হয়ে গেছে কান্না করতে করতে।মুখ থেকে কথা বের হচ্ছে না।এতদিন কত কথা শুনিয়েছে সে রুদ্রকে।কিন্তু আজ খুনি রুদ্রকে কোনো কথা শুনাতে পারছে না।রুদ্র উল্টো দিক ফিরে তাকায়।কি করছে হিয়া জানে না।চশমা চোখে পিটপিট করে তাকায় রুদ্রের দিকে।দেখতে পায় রুদ্র উল্টো ঘুরে হাত দিয়ে চুল সেট করছে। আর জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে।রুদ্র উল্টো দিকে ফিরে আছে বলে হিয়া সাহস পায়।এক পা এক পা করে দরজার দিকে এগোতে যায়।গুটি গুটি করে তিন চার পা এগোতেই রুদ্রের শক্ত হাত খোপ করে ধরে হিয়ার বাহু।হিয়াকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে।অনেক জোরেই ধরে রুদ্র।রাগে গর্জন করে ওঠে।হিয়া চোখ বন্ধ করে নেয়।মনে মনে মৃত্যুর দোয়া পড়ছে।এখনই কি না তার মৃত্যু হয়।রুদ্র রাগান্বিত কণ্ঠে গর্জে উঠে বলে,”একদম পালাবি পালাবি করবি না আমার সাথে।তোর এই ডানা আমি কেটে ফেলবো হিয়াপাখি।তোর মন্ত্রী ভাইও কিছু করতে পারবে না।”
হিয়া ছটফট করে না কিন্তু ওর গা কাপছে ভয়তে।ঠোঁট কামড়ে চোখেন পানি ফেলে।এ কোন বিপদে পড়লো সে।কেনো এলো দয়া দেখাতে।জীবনে প্রথমবার দয়া দেখিয়েছিলো রুদ্রকে।শিক্ষা পেয়ে গেলো।এবার আর কোনোদিন আসবে না রুদ্রর সামনে।রুদ্র এবার আরো রেগে গেলো।হিয়ার ঘাড় ধরে ধাক্কা দিয়ে বলে,”উত্তর দে হিয়াপাখি। বল পালাবি আমার থেকে?”
হিয়া উত্তর দিতে না পারলেও মাথা ঝাকিয়ে বুঝিয়ে দেয় “না”।সাথে সাথে রাগের আবির্ভাব কমিয়ে হাসির ঝলক ফুটিয়ে ওঠে রুদ্রের মুখে।বলে,”এখানে কেনো এসেছিলি?”
হিয়া উত্তর না করে মেইন গেটের দিকে তাকায়।রুদ্র হিয়ার অক্ষি দৃষ্টি লক্ষণ করে সেদিকে তাকায়।দেখতে পায় টিফিন বাটি।তখন এটা পড়ে যেয়েই শব্দ হয়। বাটির কাছে যেয়ে বাটিটি এনে হিয়ার সামনে দাড়িয়ে পড়ে। বাটি খুলে দেখে খাবার।কিন্তু সকালে খাবার টেবিলে যে খাবার দেখেছিলো ওগুলো না।এখানে চিকেন সুপ আছে। বাটি পড়ে যাওয়ায় বাটির ঢাকনায় কিছুটা সুপ লেগে গেছে।রুদ্র হিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,”তুই রেধেছিস হিয়াপাখি?”
রুদ্রের চোখেমুখে হাসির ঝলক।
এটা আসল নাকি নকল বুঝতে পারছে না হিয়া।নির্মমভাবে কাউকে খুন হতে দেখার পর খুনিকে নিজের সামনে দেখছে।খুনি আবার তার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে।রাগ ঘৃণা সবকিছু কাজ করছে হিয়ার মনে।কিন্তু সে কাউকে বলতে পারবে না।কেউ বিশ্বাস করবে না তার কথা।প্রমাণ ছাড়া বললে সবাই ভাববে মজা করছে বা মিথ্যা বলছে। আর বড় কথা হিয়া এখানে কেনো এসেছে?এটাই আগে প্রশ্ন উঠবে।রুদ্র চামচ নিয়ে সুপ খেতে থাকে।বলে,”এত যত্ন তো আমাকে আমার মা মানে তোর ছোট কাকি করে না।তুই করছিস কেনো হিয়াপাখি?ভালো টালো বাসলি নাকি এই নষ্ট রুদ্রকে?”
হিয়া কোনো উত্তর না দিয়ে এবার সাহস যুগিয়ে বলে,”বাসায় যাবো।”
হিয়ার কণ্ঠ মিনমিন।কিছুই শুনতে পায়নি রুদ্র।রুদ্র বুঝতেই পারলো না বেচারি হিয়া কিছু বলেছে।হিয়া এবার গলা খাকারি দিলো।রুদ্র তাকালো হিয়ার দিকে।পানির বোতল নিয়ে হিয়াকে দেয়। হিয়া সাথে সাথে বোতল নিয়ে পানি পান করে।গলা ক্লিয়ার করে বলে,”এবার আমি বাড়ি যাবো।”
রুদ্র বলে ওঠে,”হ্যাঁ।চল আমিও তোকে এগিয়ে দিয়ে আসি।”
“কোনো দরকার নেই।আমি একাই পারবো।যেভাবে এসেছি।”
“উহুম।আমার রাজ্যে এসেছিস নিজের ইচ্ছায়।রাজ্য থেকে যাবি আমার ইচ্ছাতে।”
হিয়া তাকালো চারপাশে।এই ভুতুড়ে এলাকা রুদ্রের রাজ্য!এটা তো একটা পোড়া বাড়ি।রুদ্র হিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,”এই পোড়া বাড়ি আস্তে আস্তে হয়ে উঠবে আলিশান বাড়ি। বাড়িতে থাকবে হিয়া ও রুদ্রের জুটি হিয়াদ্র।”
হিয়া তাকায় রুদ্রের দিকে।কিন্তু ভয় পেয়ে চোখ সরিয়ে নেয়।রুদ্র জিভে কামড় দিয়ে বলে,”উফ সরি!এখানে থাকবে আরো এক জুটি।কিন্তু তাদের আগমন এখনও অনেক দেরি।”
অবাক হয় হিয়া।রুদ্রের কি কোনো প্ল্যান আছে তাকে নিয়ে।খুব খারাপ ভাবে ফেসে যাচ্ছে সে।তাড়াতাড়ি এখান থেকে যেতে চায়।রুদ্র হিয়াকে বলে,”আমার খাওয়া শেষ।চল বাসায় যাই।এমনিতেও দুপুরের জন্য বাসায় যেতাম।”
হিয়া মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বুঝিয়ে হাটা দেয় রুদ্রের সাথে।রুদ্র ম্যাসেজ করে কাউকে কিছু একটা লেখে।হিয়া দেখেও না দেখার ভান করে।
অন্ধকার রুমে ইজি চেয়ারে বসে কিছু একটার হিসাব কষতে থাকে একজন যুবক। আর মাত্র কয়েক মাস।তারপর সে ফিরবে তার প্রেয়সীর জীবনে।প্রেয়সীর ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে ভালোবাসার নয়নে।বলে,”আমার অপেক্ষার সময় শেষ হতে যাচ্ছে।তুমি রেডি থেকো মাই লাভ।খুব শীঘ্রই তোমার সপ্নের ভুবনে আলাপ হবে আমার সাথে।”
বলতে না বলতেই একটি ম্যাসেজ আসে তার ফোনে।ম্যাসেজটি রুদ্রের দেওয়া।ঠোঁট কামড়ে হেসে বলে,”তোর প্রেয়সী তো তাও ভীতু।কিন্তু আমার প্রেয়সী যে চতুর।ওকে বসে আনা আমার জন্য একটু কষ্টকর।”
রুদ্রের রিটার্ন ম্যাসেজ আসে,”ডোন্ট ওরি। শী উইল বি ইওর।”
যুবকটি হেসে বলে,”শী ইজ ওনলি মাই প্রেয়সী।শুধু আমার হবে। আর কারো না।”
বলেই হাসতে থাকে এই ফাঁকা রুমে।
মায়া সোফায় বসে ল্যাপটপে কাজ করছে।ঢাকার ফ্যাক্টরির ইনফরমেশন নিতে থাকে তার পিএর থেকে। ইনফরমেশন নেওয়া হয়ে গেলে মায়া ল্যাপটপে কিছু গ্রাফিক্সের কাজ করে।এগুলো তার কোম্পানির হাইপ বাড়ানোর জন্য।কিছু এড এর জন্য পোস্টার লাগবে।মায়া নিজেই এসবে পারদর্শী।এছাড়া আরো ভিন্ন কাজ আছে যেগুলো কেউ জানে না।কোম্পানির ড্রেসের সাথে মিলিয়ে কোন এড ভালো মানাবে এটা চুজ করতে করতে লক্ষ করে তার রুমের দরজায় দাড়িয়ে আছে রাজ।মুখে তার হাসি।মায়ার তাকানো দেখে রাজ বলে,”গুড আফটারনুন মায়াবতী।”
“ভেরি গুড আফটারনুন মন্ত্রী মশাই।”
রাজ মায়ার পাশে এসে বসে।মায়ার ল্যাপটপে না দেখে মায়ার চোখের দিকে তাকিয়ে ল্যাপটপ বন্ধ করে দেয়।তারপর বলে,”চলো,লাস্ট ডেট অফ প্রী হানিমুন কমপ্লিট করি।”
“নট ইন্টারেস্টেড।আমার অনেক কাজ পড়ে আছে।”
“কাল তো আমরা ঢাকাতে যাচ্ছি।ওখানেই না হয় কাজ শুরু করো।এছাড়া ঢাকাতে তো আছে তোমার চামচা। যা হয় ফট করে কল দিয়ে আমার প্রেমের বারোটা বাজিয়ে বিবিসির নিউজ বলতে থাকে।”
মায়া মুখে বিরক্তি ফুটিয়ে বলে,”নিউজ তো আপনাকে আর আমাকে নিয়েও বের হয়েছে।খবর দেখেননি তাই জানেন না।বিভিন্ন চ্যানেলে ও সংবার পত্রিকায় গোটা গোটা অক্ষরে লেখা,”মন্ত্রী শাহমীর রাজ ও ফ্যাশন হাউজের ওনার মেহেরুন জাহান মায়া এদের মধ্যে কিছু তো আছে বলে ধারণা করা হয়েছে।”
রাজ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে,”আছে তো আমাদের ভিতর অনেক কিছুই।শুধু তোমার একটা কবুল বলার অপেক্ষা। যা আছে তা আমি দেখে নিবো।”
মায়া তাকায় রাজের দিকে।একটু রসালো সুরে রাজকে বলে,”জনগণদের মুখ বন্ধ না হয় পাওয়ার দিয়ে করবেন।আপনার ঘরের লোকদের কি করবেন?স্পেশালি আপনার জারা বেইবী!”
রাজ সোফায় মাথা হেলিয়ে দেয়।দুই দিকে দুই হাত ছড়িয়ে বলে,”মনে করে দিলে তো আমার জারা বেইবীর কথা!ওর জন্য অবশ্য একটা গিফট নিবো বলেছিলাম। আই থিঙ্ক তোমার থেকে বেটার গিফট ওর জন্য আর কিছু না।”
মায়া কটমট চোখে বলে,”আমি কারো গিফট নই।আমার রাস্তায় কেউ একবার পা দিতে আসলে তার পা আমি ওখানেই আগুনে পুড়িয়ে ছারখার করে দিবো।”
রাজ কিছু চিন্তা করার অভিনয় করে বলে,”আমি ভাবছি না না আমি কল্পনা করছি!তোমার হাতে বড় এক গরম লোহা।তার সাথে আলিঙ্গন করছে আমার জারা বেইবীর পা।অফস!কি ধামাকা এক মোমেন্ট হয়ে যাবে।”
রাজের কথা শুনে মায়া নিজেই এবার হেসে দেয়।রাজ ভুল কিছু কল্পনা করেনি। মায়া কখনও নিজের জিনিস অন্যকে ভাগ করবে না।উল্টো তার জীবনে কেউ তৃতীয় ব্যাক্তি হয়ে আসলে মায়া তাকে শেষ করে দিবে।
রাজ মায়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে অতঃপর বলে,”অনেক হয়েছে চলো।আজ আমরা জঙ্গলের দিকে যাবো।ওখানেই রাতে আনন্দ করবো।আমার পিয়ু বেইবী আছে ওখানে।বেচারা হানিমুন করতে এসে শান্তিমতো বউকে সময় দিচ্ছে না।খালি বসের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে।”
মায়া রাজের দিকে তাকিয়ে একটি তাবু ও কিছু জিনিসপত্র প্যাক করে নেয়।তারপর দুজনে মিলে একসাথে রওনা হয় জঙ্গলের দিকে। পিয়াশ ও মৌ আগেই সেখানে আছে কিছু সংখ্যক গার্ড নিয়ে। আর বাকি গার্ড রাজ ও মায়ার সাথে আছে।মায়া রাজের সাথে হাটতে হাটতেই একটি ম্যাসেজ পায়।সেখানে লেখা,”মোহন সরদার ইজ নাও ইন মিডিল পজিশন।হিজ অল প্রোডাক্টস আর ফ্যাক।
মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ১৩
এখন তার প্রোডাক্ট কোনো দোকান বা সুপার শপ ক্রয় করতে ইচ্ছুক নয়।”
ম্যাসেজটি দেখে স্মিত হাসে মায়া।যে কাজটি সে করতে পারেনি সেই কাজটি অন্য কেউ করে দিচ্ছে।কিন্তু কে করছে এটা জানতে হবে।মায়ার শুভাকাঙ্ক্ষী যে সে এখন দেশের বাইরে।আপাতত তাকে মায়া এসবের থেকে দূরেই রেখেছে।মায়া রিপ্লাই দেয়,”ট্রাই টু ফাইন্ড হার ওর হিম। আই ওয়ান্ট টু নো অল ইনফরমেশন।”