মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ১৫

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ১৫
ইশরাত জাহান

হিয়ার জ্বর এসেছে। জ্বরে কাপাকাপি করে রাতে ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে গেছে।হিয়ার দুই পাশে দুই বোন সিয়া ও মিলি বসে আছে।রুদ্র হিয়াকে বাসায় দিয়ে গেছিলো আর ফিরেছে রাতে।বাসায় এসে সোনালীর কাছে শুনতে পেলো হিয়া অসুস্থ।তাড়াতাড়ি করে দৌড়ে চলে গেলো হিয়ার ঘরে।হিয়াকে ঘুমন্ত অবস্থায় মায়াবী লাগছে।রুদ্র তাকিয়ে থাকে হিয়ার মুখপানে।অতঃপর মিলিকে বলে,”কতক্ষন ধরে ওর এই অবস্থা?”
মিলি রুদ্রকে দেখে বলে,”বিকাল থেকেই।ওই যে তোমার সাথে বাসায় এসেছিলো তখন থেকেই এই অবস্থা।”

“ডক্টর দেখিয়েছে?”
“আরে না।জ্বরের ঔষধ দেওয়া হয়েছে।ঠিক হয়ে যাবে।”
“খুব বড় ডক্টর হয়েছিস তুই?”
মিলি ক্ষেপে গিয়ে বলে,”আমি ডক্টর না হই হবু ডক্টর।তাও আমি না হলেও সিয়া।”
“ডক্টর আর হবু ডক্টর আলাদা।”
সিয়া এবার মুখ খুলে।বলে,”এক্সকিউজ মি ভাইয়া। আমাকে কি কোনোভাবে অপমান করলে?আমি খুব ভালো ভাবেই স্টাডি করছি।এসব বিষয়ে আমি অভিজ্ঞতা রাখি।”
“আমি কখন তোকে অপমান করলাম? যা সর দেখতে দে আমার হিয়াপাখিকে।”
মিলি উঠে দাড়ায় তারপর টিটকিরি দিয়ে বলে,”আসছে আমার হিয়াপাখি বলতে!তোকে দুচোখে সহ্য করতে পারে না ও।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“তোর কাছে জিজ্ঞাসা করেছি?”
“জিজ্ঞাসা করবে কেনো?সত্যিটা আমি নিজেই বলে দিলাম।”
“একটু বেশি বলিস তুই।দেখিস তোর কপালে সাইকো জুটবে।”
মিলি চোখ ছোট ছোট করে বলে,”যেনো তুমি জেনে রেখেছো আমি কাকে বিয়ে করবো?”
“ভাই হই তোর খোঁজ তো নিতেই হবে।”
“লিসেন ব্রো আমি কোনো সাইকো টাইকো বিয়ে করবো না।আমি বিয়ে করবো কোনো এক সুপার হিরোকে।”
রুদ্র হিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,”সাইকো জীবনে এন্ট্রি নিলে তার থেকে নিজেকে ছাড়ানো অনেক কঠিন রে বোন।”
মিলি সন্দিহান কণ্ঠে বলে,”তুমি কি সাইকো?”
“সময় বলে দিবে।”

সিয়া দুই ভাই বোনের কথা শুনে বলে,”জীবনে সাইকো কি একমাত্র সত্যিকারের ভালোবাসা?সাইকো না হয়ে কেয়ারিং হওয়া বেশি জরুরি।”
রুদ্র সিয়ার কথা শুনে হেসে দেয়।মিলি বলে ওঠে,”সহমত,আমি তো এমন একজনকে বিয়ে করবো যে আমার সব কাজ করে দিবে।ওসব সাইকো টাইকো না।”
রুদ্র উঠে দাড়ায়।মিলির মাথায় টোকা দিয়ে বলে,”করতে হবে না তোদের ওসব সাইকো বিয়ে।সাইকো নিজেই এসে বিয়ে করে নিবে।”
বলেই চলে যায় রুদ্র।সিয়া ও মিলি তাকিয়ে থাকে সেদিকে।
রুদ্র বাইরে এসে নিজের ঘরের দিকে যায়।কানে তার ব্লুটুথ ছিলো।বাইরে এসে বলে,”শুনেছো ব্রো!তোমার প্রেয়সী কিন্তু সাইকো চায় না।”

ওপাশ থেকে স্মিত হেসে আগন্তুক ব্যাক্তি তার প্রেয়সীর ছবি দেখছে।ছেড়ে দেওয়া চুল বাতাসে উড়ছে কিছু চুল ঠোঁটের সামনে এসে হাসি গুলোকে ঢেকে রাখছে এমন একটি ছবির দিকে তাকিয়ে বলে,”ভালোবাসা পেলে এই সাইকোর জন্য সে ব্যাকুল হয়ে যাবে ভাই।”
রুদ্র মৃদু হেসে বলে,”বলা যায় না।সরদার বাড়ির মেয়েরা একেকটা নরম মনের মানুষ।”
ওপর প্রান্তের ব্যাক্তি হেসে বলে,”একটু ভুল বললি।কোনো একজন আছে যে নরম নয় বরং তোর আর আমার থেকেও ভয়ংকর।”

রুদ্র ফিচেল হেসে বলে,”Oh yeah.You are right.”
ওপাশ থেকে আগন্তুকটি বলে,”দেশে আসবো আর তিন মাস পর।তখন থেকেই শুরু হবে আমাদের আসল খেলা।”
“ইয়া কামিং সুন,বাই।”
বলেই কল কেটে দেয় রুদ্র।নিজের ঘরের দরজার কাছে আসতে যাবে ওমনি দেখতে পায় বাড়ির বড় গেট দিয়ে লাগেজ নিয়ে বাড়িতে এন্ট্রি নেয় জারা।সোনালী এসে জারাকে জড়িয়ে ধরে বলে,”I miss you.”
জারা ঢং করে বলে,”I miss you too,খালামণি।”
রুদ্র এদের ঢং দেখে বাকা হেসে বলে,”এই এলো আরেক নর্তকী। ওফস মন্ত্রী মশাই এর জারা বেইবী।”
বলেই ঘরে ঢুকে যায়।

তাবু দিয়ে জঙ্গল সাজানো হয়েছে।আজ মায়া রাজ ও অন্যান্যরা এই জঙ্গলে থাকবে।মিউজিক বক্সে গান বাজছে।অন্যদিকে সি ফিস পোড়ানো হচ্ছে।সবাই একসাথে হয়ে মাঝখানে আগুন জ্বালানো হয়েছে।মায়া মৌ ও রাজ পিয়াশ এক জায়গায় বসে আগুনের তাপ নিতে থাকে।
রাজ মায়ার দিকে তাকিয়ে বলে,”শুনো পিয়ু বেবী এখানে তোমরা হানিমুন করতে এসেছো।এভাবে ফ্যামিলি গেট্টুগেদার না।তুমি এমন হলে তো তোমার বউ অন্যের হয়ে যাবে।”

পিয়াশ মিনিট দুই রাজের দিকে তাকিয়ে থেকে বুঝতে পারে রাজ কি বলতে চাইছে।আশেপাশে গার্ডরা দূরে দূরে দাঁড়িয়ে আছে। পিয়াশ এসে মৌকে নিয়ে একটু অন্য দিকে যায়।ওদের যাওয়ার পর পরই রাজ মায়ার গা ঘেসে বসে।মায়া রাজের দিকে তাকিয়ে বলে,”এভাবে গা ঘেসে বসার মানে কি?দূরে গিয়ে বসুন।”
রাজ মাথা ঝাকিয়ে বলে,”উহুম।আরো কাছাকাছি আসবো।তোমার আমার যত দিন যাবে তত দূরত্ব ঘোচাবে।”
“আপনার ভুল ধারণা একদিন ভেঙ্গে যাবে।”

“আমি ভুল ধারণা নিয়ে বাঁচি না।ভুল ধারণা কার ভেঙ্গে যায় এটা শুধু সময়ের অপেক্ষায় বুঝবে।”
মায়া রহস্য জনক হাসি দিয়ে আগুনের দিকে তাকিয়ে বলে,”আপনার কি মনে হয় মন্ত্রী মশাই?আমি মায়া অবুঝ?”
“তুমি অবুঝ হলে তোমার প্রেমে আমি পড়তাম নাকি!আমি তো ভালোবাসি এক প্রমত্ত অঙ্গনাকে।”
বলেই মায়ার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে রাজ।রাজের এহেন কথা শুনে রাজের মুখপানে তাকিয়ে থাকে মায়া।তাকে প্রমত্ত অঙ্গনা বললো রাজ।এর মানে কি?এই রাজ কি সব জানে?না তো,রাজের কিছুই জানার কথা না।রাজ হেসে গলা উঁচিয়ে ডাক দেয় পিয়াশকে।বলে,”তাড়াতাড়ি আমার গিটার নিয়ে আসো।”
মায়া অবাক হয়।এই মন্ত্রী মশাই গিটার আনতে বলছে কেনো? পিয়াশ গিটার আনতেই রাজ গিটার বাজাতে থাকে।তারপর গায়,

বেঁচে থাকার জন্যে,
দু হাত রাখার জন্যে,
অভিমানের জন্যে,
কেউ একজন লাগে।(২)
ধরে রাখার কেউ নেই,
মনে করার কেউ নেই,
মাঝে মাঝে তাই,
ভীষন একা লাগে।
বেঁচে থাকার জন্যে,
দু হাত রাখার জন্যে,
অভিমানের জন্যে,
কেউ একজন লাগে(২)…..
একলা জীবন সত্যি অনেক কঠিন,
চাই আমিও থাকি কারো অধীন।(২)
মনকে বোঝার জন্যে,
ভালো থাকার জন্যে,
কেউ একজন লাগে।
(বাকিটা নিজ দায়িত্বে শুনে নিবেন)

রাজের এই গান মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকে মায়া।মায়ার কাছে গানটি এমনিতেই প্রিয়।কারণ গানের কথাগুলো মায়ার সাথে মিশে আছে।মায়া নিজেও তো একা।তার জীবনেও কোনো একজন প্রয়োজন।কিন্তু সে চায় না এমন হোক।
রাজ চোখ বন্ধ করে গান গাইতে থাকে।গান গাওয়া শেষ করেও চোখ বন্ধ রেখেই নিঃশ্বাস নেয়।মায়া তাকিয়ে আছে সেদিকে।রাজ চোখ বন্ধ অবস্থায় দুষ্টু হেসে বলে,”এভাবে তাকিয়ে থেকো না মায়াবতী।দুর্বলতা তোমাকে গ্রাস করবে।এমনিতেও অজান্তে তুমিও রাজের প্রেমে ফেসেছো কিন্তু তুমি তো তুমি।আমার জিদ্দি মায়াবতী।”
মায়া চোখ সরিয়ে নেয়।বলে,”আপনার প্রতি দুর্বলতা হওয়ার মতো একটি কাজও আপনি করেননি মন্ত্রী মশাই।”
চোখ খুলে রাজ মায়ার দিকে ঝুঁকে করুন কণ্ঠে বলে,”এভাবে বলতে পারলে তুমি?গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়ে এক সপ্তাহের জন্য সুপার গ্লু হয়ে ঘুরছি তোমার পিছনে।গরম পানি ঢেলে ছাড়িয়ে নিচ্ছো তুমি।আবার বলছো কিছুই করিনি।”

মায়া ঠোঁটে মিথ্যে হাসি ঝুলিয়ে রহস্য জনক লুক নিয়ে বলে,”মায়াকে সস্তা ভাবছেন আপনি।”
রাজ মায়ার চোখে চোখ রেখে বলে,”মায়াবতীকে আমি কোনো পণ্য মনে করি না।সে একমাত্র নিখুঁত ভালোবাসার উত্তরাধিকারী।কাউকে পণ্য মনে করলেই তার দামদর করা যায়।আমি তোমাকে পণ্য নই বরং আমার জীবনের ধন্য হিসেবে পেতে চাই।”

মায়া এবার কোমল চাহনি দিলো রাজের দিকে।এই রাজ তার জন্য খুন করেছে আবার এই রাজ তার জন্য কাজ বাদ দিয়েছে এই রাজ তার জন্য অনেক কিছুই করছে।যেটা কেউ করেনি।রাজের চোখে নিজের প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা দেখছে মায়া।কিন্তু সে নিরুপায়।ওই বংশে যেতে চায় না সে।সে তো দূর থেকেই করতে চায় তাদের ধ্বংস।কিন্তু উপায় নেই বলেই রাজকে নিজের চাবিকাঠি হিসেবে বেঁচে নিলো।কিন্তু রাজের জন্য বানানো ফাঁদে সে নিজেও পা দিচ্ছে।এটা কিভাবে মেনে নিবে?

রাজ মায়ার এই শীতল চাহনি দেখে।এখনই মায়ার চোখ থেকে অশ্রু বর্ষণ হবে।যেটা মায়া কাউকে দেখাতে চায় না।তাই রাজ সবাইকে বলে,”বাচ্চারা চোখ বন্ধ করো।তোমাদের মন্ত্রী মশাই এখন প্রেম করবে।”
কিছুটা রসিক সুরেই বলে কথাটি।সবাই সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে।রাজ মায়ার মাথার পিছনে হাত দিয়ে মায়ার মুখ এগিয়ে নিয়ে আসে।অতঃপর মায়াকে নিজের বক্ষে লুকিয়ে রেখে বলে,”মায়াবতীর কান্না পাচ্ছে এখন।যেটা সে কাউকে দেখতে দিবে না।তাহলে আমি কি করে পারি মায়াবতীর ইচ্ছা অপূর্ণ রাখতে।কান্না করো মায়াবতী।মন খুলে কান্না করো।তোমার এই কান্না দেখবে না কেউ তোমার মন্ত্রী মশাইও দেখবে না।তোমার মন্ত্রী মশাই পূরণ করবে তার মায়াবতীর ইচ্ছা।”

রাজের কথাগুলো শুনে মায়ার চোখ থেকে সত্যি সত্যি পানি বের হয়।কিন্তু রাজের শেষ কথাতে রহস্যের আভাস পায় মায়া।রাজ পূরণ করবে তার মায়াবতীর ইচ্ছা।এই কথাটির উদ্দেশ্য কি?রাজ মায়ার মাথায় হাত দিয়ে বলে,”আমার পাঞ্জাবি ভিজিয়ে দিলে তো তোমার চোখের পানিতে।এখন যে আমার বুকে শীতল উষ্ণতার বৃদ্ধি পাচ্ছে।প্রাকৃতিক বাতাস ও মায়াবতীর চোখের পানির মিশ্রণে তৈরি এই শীতল অনুভূতি।আমার যে এবার প্রেমের আবির্ভাব বাড়িয়ে দিচ্ছে।”
মায়া সাথে সাথে রাজের বুক থেকে উঠে বলে,”লু চু মন্ত্রী মশাই।”

“এই দেখো!কতশত মন্ত্রী তার বউ থুয়ে এদিক ওদিকে দৌড়ায়।তারপরও তাদেরকে কেউ লু চু বলতে পারে না। আর আমি আমার এক আসক্তি মায়াবতীর পিছনে দৌড়িয়েও শুনছি লু চু।এই দুঃখ আমি কই রাখবো!”
মায়া এবার জোরে জোরেই হেসে দেয়।রাজ তাকায় সেদিকে।অতঃপর তাকায় বাকি গার্ডদের দিকে।সবাই চোখ বন্ধ করে আছে। পিয়াশ ও মৌ তারাও চোখ বন্ধ করে আছে।এদিকে যারা মাছ পোড়াতে থাকে তারা চোখে হাত দিয়ে আছে।রাজ তাদের দিকে তাকিয়ে বলে,”এভাবে মন্ত্রীর প্রেমের জন্য অপেক্ষা করতে করতে তো মন্ত্রীর রাতের ভোজ নষ্ট করছো।মাছ তো একেবারে কয়লা হয়ে যাবে।”

রাজের কথাগুলো শ্রবণ হতেই সবাই বুঝতে পারলো মন্ত্রী মশাই এর প্রেম শেষ।এখন তারা প্রকৃতি দেখতে পারবে।সবাই চোখ খুললেও পিয়াশ খুলে না।বলে,”আপনার প্রেম করা কি শেষ বস?”
মৌ মিটিমিটি হাসতে থাকে। পিয়াশ যে রাজকে খেপাতে এটা বলেছে এই বিষয়ে রাজ ও সবাই ধারণা রাখে।পাশে থাকা কমলা লেবু হাতে নিয়ে ছুড়ে মারে পিয়াশের মাথায়।বলে,”মন্ত্রীর প্রেম নিয়ে রসিকতা করো তুমি।তোমাকে তো হানিমুন থেকে বয়কট করা উচিত।”
পিয়াশ চোখ খুলে।লেবু ছুড়ে মারাতে ব্যাথা পায় না পিয়াশ।কিন্তু রাজের এমন কথা শুনে সে হেসে দেয়।বলে,”আমাকে মধুচন্দ্রিমা করতে দিবেন না বলে বলেও মধুচন্দ্রিমায় নিয়ে এলেন।বয়কট করেও বা কি?সব তো হয়েই গেছে।”

মৌ পিয়াশকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলে,”ঠোঁটকাটা কথাবার্তা না বললেই কি নয়?”
রাজ বলে,”ভাবছি ঢাকায় ব্যাক করে তোমাকে আমার সাথে একমাস রাখবো।এক ছাদের নিচে তুমি আর আমি পুরো একটি মাস সংসার করবো।”
পিয়াশ মুখ ভোতা করে বলে,”আর আমার বউ?”
রাজ মায়ার দিকে তাকিয়ে বলে,”তোমার বউ তার বোনের কাছে থাকবে।”
মায়া ও মৌ তাকায় রাজের দিকে।রাজ স্মিত হেসে বলে,”না মানে মৌ তো একা এক বাড়িতে সেফ না।তাই ভাবলাম পিয়ু বেবী আমার সাথে সংসার করলে তার বউ তোমার সাথে সংসার করবে।”
মায়া রাজকে প্রশ্ন করে,”এভাবে ভালোবাসার দূরত্ব করিয়ে কি লাভ?”

“ভালোবাসায় দূরত্বের দরকার পড়ে মায়াবতী।এতে অ্যাট্রেকশন বাড়তে থাকে।তুমি দূর থেকে তার অনুভূতি বুঝতে না পারলে কখনই সারা জীবনের জন্য পেতে চাইবে না।একবার ভালোবেসে দূরে থেকে দেখবে।এই ভালোবাসা আর হারাতে মন চাইবে না।”
মায়া অবাক হয়ে বলে,”আপনি কি কাউকে ভালোবেসে দূরে ছিলেন?”

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ১৪

রাজ মাথা নাড়িয়ে বুঝিয়ে দিলো। যার অর্থ হ্যাঁ।মায়া এমন ইঙ্গিত দেখে অন্যরকম এক অনুভূতি পায়।তার মনে হয় কেউ তার হৃদয়ে পাথর নিক্ষেপ করছে।সে যেনো আবারও একাকিত্ব বোধ করছে এখন।মনে মনে আওড়ায়,”তাহলে কি আমি মন্ত্রী মশাইয়ের জীবনে দ্বিতীয় নারী?”

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ১৬