মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৫১

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৫১
ইশরাত জাহান

সকালবেলা বীরের কবর স্থানের সামনে দাড়িয়ে আছে সরদার বাড়ির সবাই।বীরের বাবা মা কান্না করতে থাকে।মালিনী এসে শান্তনা দিচ্ছে রাজিয়াকে।মায়ার দিকে তাকিয়ে মালিনী বলে,”চিন্তা করোনা ভাবী।বীরের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তারা সবাই শাস্তি পাবে।শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
মালিনীর কথা শুনে হেসে দেয় মায়া।মায়ার নজর এখনও রাজিয়ার আঙুলের দিকে।তারেক ও মিলি আছে সেখানে।মিলি বারবার হামি দিতে থাকে।তারেক ফোন হাতে নিয়ে দেখে।তাতে লেখা,”আমি এখন আশ্রমের দিকে যাচ্ছি।সরদার বাড়ি আজ ফাঁকা দেখতে চাই।আজ থেকে খেলা শুরু।”

ম্যাসেজটি দেখে তারেক হেসে দিলো।ছোট করে মায়াকে লিখে দেয়,”ওকে, ডান।”
সবার শোক পালন করে বাসায় ফিরে আসে।মায়া চলে যায় তার আশ্রমে।রাজ আছে নিজের কাজে।
ক্লাস শেষ করে মাত্র বাইরে এসেছে সিয়া।উদ্দেশ্য তার আদ্রকে খোঁজা।সবাই বাড়ি রওনা দিয়েছে।সিয়া খুঁজতে থাকে আদ্রকে। আদ্রের সাথে করে বাসায় যাওয়ার জন্য সে প্রতিদিন আদ্রের সামনে এসে দাঁড়ায়।আজও সেভাবে দাড়িয়ে এদিক ওদিক তাকালো।কিন্তু আদ্রকে পেলো না।এদিক ওদিক তাকাতেই সিয়ার চোখ যায় একটি গাড়ির দিকে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সেখানে দাঁড়িয়ে আছে আদ্র ও আয়রা।সিয়া ভ্রু কুঁচকে দেখলো তাদেরকে।আয়রা এসে হাত মেলালো আদ্রের সাথে।তারপর ওরা গাড়িতে উঠে চলে যায়।সিয়ার মনে সন্দেহ বিরাজ করে।কি করতে চাইছে এরা এটা দেখার জন্য সিয়া নিজেও একটি অটো ধরে।এই কয়েকদিন আদ্রের সাথে যাওয়া আসা করার জন্য নিজের গাড়ি নিয়ে আসেনা সিয়া।তাই আজ অটো নিতে হলো তার।গাড়ি এসে দাড়ালো একটি ফ্ল্যাটের সামনে।সিয়া নিজেও এসে সেখানে দাড়ালো।আদ্র ও আয়রার পিছন নিতে থাকে।আদ্র ও আয়রা এসে ঢুকলো একটি রুমে।তারপর দুজনে কথা বলতে শুরু করে।আদ্র একটি ড্রয়ার খুলে আয়রাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বলে,”আর মাত্র কিছুদিন।তারপর আমাদের উদ্দেশ্য সফল হবে।মোহন সরদার ও সোনালী সরদার শেষ হয়ে যাবে।”

আয়রা তাল মিলিয়ে বলে,”ইয়েস স্যার।বেচারি সোনালী কত চেষ্টা করে আমাকে মোহন সরদারের থেকে দূরে রাখার।কিন্তু আমি তাকে এখন মোহন সরদারের ঘর থেকে আলাদা রেখেছি।আপনার দেওয়া মেডিসিন মোহন সরদারকে পুষ করে মোহন সরদারকে আরো অসুস্থ করেছি।”
“খিলাড়ি হিসেবে তুমি বেস্ট।এটা আমি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করি।এখন তোমার উদ্দেশ্য সরদার বাড়ির লকারটা।ওখানেই আছে আসল সম্পদ।যেই দুটো কাজের জন্য তোমাকে ওই বাড়িতে পাঠিয়েছি ওই কাজগুলো তুমি সফল করতে পারলেই আরো টাকা পাবে।”
“টাকার জন্যই তো আমার এতকিছু করা।আপনি চিন্তা করবেন না।আজ রাতে বাসায় কেউ থাকবে না।শাহমীর রাজ নিজেই আজ ঢাকার বাইরে থাকবেন।মাহমুদ সরদার তার গ্রামের বাড়িতে।রুদ্রকে তো আমরা আগেই ওই বাড়ি ছাড়া করিয়েছি।”

বলেই হাসতে থাকে আয়রা।এতক্ষণ আদ্র ও আয়রার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকে সিয়া।আদ্র এতকিছু করেছে জেনে কান্না আসছে তার।তাড়াতাড়ি সেখান থেকে যেতে নিবে তখন দরজার সামনে থাকা ফুলদানিতে ধাক্কা খায় সিয়া।জোরে শব্দ হতেই বাইরে আসে আদ্র।সিয়াকে দেখে জিজ্ঞাসা করে,”তুমি এখানে?”
রাগী চোখে সিয়া তাকালো আদ্রের দিকে।তারপর রুমের ভিতর আয়রাকে দেখে বলে,”এখানে না আসলে তো জানতেই পারতাম না আমাদের বাসায় এসবকিছুর পিছনে আপনারা আছেন।”
পকেটে হাত গুজে আদ্র বলে,”এখন জেনে গেছো।তো কি করবে তুমি?”
“এক্সপোজ করব আপনাদের।ফিরিয়ে নিয়ে আসবো রুদ্র ভাইকে।আমার বোনটা শুধু শুধু কষ্ট পেয়েছে।ও এসব ট্রমা নিতে পারেনি বলে বাইরে বাইরে ঘুরছে।এই কয়েকমাস ও বাড়ির বাইরে।শুধুমাত্র আপনাদের জন্য।ঘৃণা হচ্ছে আপনাকে।”

বলেই সিয়া বেড় হতে নিলে আদ্র সিয়ার হাত ধরে ঘরে নিয়ে আসে।সিয়া কিছু বলতে যাবে তার আগে সিয়ার শরীরে পিছন থেকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে দেয় আয়রা।সিয়া সাথে সাথেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে।আদ্র সিয়াকে কোলে করে নিয়ে বলে,”আমি ওকে আমার সিক্রেট হাউজে যাচ্ছি।তুমি আজ তোমার কাজটি ঠিকভাবে করো।”
“ওকে স্যার।”
বলেই আয়রা চলে যায় সরদার বাড়ির দিকে। সিয়াকে গাড়িতে উঠিয়ে সিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে আদ্র বলে,”আমার জীবনের দুইটা উদ্দেশ্য।এক তোমাকে পাওয়া আর দুই নাম্বার আমি সফল না করলেও তোমার ভাবী করবে।”

বলেই সিয়ার কপালে হাত দিয়ে চুলগুলো সরিয়ে দেয় আদ্র।ড্রাইভ করতে থাকে নিজের বাড়ির দিকে।
আজ সরদার বাড়ি পুরো নিস্তব্দ।রাজ ঢাকার বাইরে গেছে।মাহমুদ সরদার গ্রামে গেছেন বাবার কবর জিয়ারত করতে।সোনালী তার মতো ঘরে আছে আর মোহন সরদার নিজেই অচল।মালিনী বসে আছে নিজের রুমে।ফোনে বিভান ও রাজিয়ার সাথে কিছু কাজ করছিলেন।ওরা ওদের বাড়িতে আছে।হঠাৎ রুমের লাইট বন্ধ হয়ে যায়।মালিনী ফোনের লাইট অন করতেই সামনে দেখতে পায় মায়াকে।মায়ার মুখে ভয়ংকর হাসি।দেখে একটু ঘাবড়ে যায় মালিনী।মায়া ধীরে ধীরে মালিনীর দিকে এগোতে এগোতে বলে,”ভয় পাচ্ছেন কেনো শাশু মা?”

মালিনী এতক্ষন পিছিয়ে যেতে থাকে।মায়ার মুখে এমন কথা শুনে পা থেমে যায়।নিজেকে একটু শক্ত রেখে বলে,”আমি ভয় পাচ্ছি না।এভাবে অন্ধকারে হুট করে আমার রুমে এসেছো কেনো?”
“বা রে শাশু মা আর বৌমার কি কোনো কথা থাকতে পারে না?”
“তোমার সাথে কথা বলার ইচ্ছা আমার নেই।”
“কিন্তু আমার যে আছে।এই মায়ার যে অনেক ইচ্ছা।আর সেই ইচ্ছা মায়া নিজে পূরণ করে।”
বলেই মায়া মালিনীর চারপাশে ঘুরতে থাকে।মালিনী বিরক্ত বোধ করে বলে,”কি বলতে চাও বলো?”
মায়ার সোজা প্রশ্ন,”আমার মাকে মারতে চাওয়ার কারণ?”

মালিনী ভ্রু কুঁচকে নেয়।বলে ওঠে,”তোমার মাকে কোথায় মারলাম।সে তো তোমার বাসায় দিব্যি আছে।”
আলতো হাসে মায়া।মালিনী যে হাসির কথা বলছে এটা মায়া বুঝতে পারে।হো হো করে হেসে দেয় মায়া।হাসতে থাকে অনেক।মায়ার এই হাসি ভয়ানক কিছু প্রকাশ করছে।মালিনী নিজেই এবার ঘামতে থাকে।মায়া এবার রক্তচক্ষু করে বলে,”আমার আসল পরিচয় আপনি জানেন।আর তাই তো আপনার ভাই ভাবীকে এখানে ডেকেছেন।আমার বিনাশ করতে।কিন্তু শাশু মা আপনি তো এটা পারবেন না।এই মায়া তার ইচ্ছার বাইরে কিছু হতে দেয় না।”

বলেই ফুলদানি নিয়ে সোজা মালিনীর মাথায় আঘাত করে।ব্যালেন্স হারা হয়ে যায় মালিনীর।মালিনী পরে যায় নিচে।উঠে দাঁড়ানোর পর যেই মায়াকে অ্যাটাক করবে ঠিক তখন মায়া মালিনীর হাত ধরে মুচড়িয়ে বলে,”আমার মাকে খুন করার প্ল্যান মিসেস সোনালীর এই বাড়িতে এন্ট্রি এই সবকিছুতে আপনার হাত আছে এটা আমি খুব ভালো ভাবেই জানি।এখন আপনাকে এর জন্য ভুগতে হবে।আমার মায়ের জায়গায় আমি আপনাকেও পৌঁছে দিতে চাই শাশু মা।”
বলেই মালিনীকে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে তার পায়ে হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে মায়া।মালিনী চিল্লিয়ে ওঠে।কিন্তু কেউ আসে না।আসার উপায় নেই।সোনালী ও মোহন সরদারের খাবারে ঘুমের ঔষধ মেশানো ছিলো।মিলি আজ তারেকের সাথে তার বাসায়।কেউ আসবে না মালিনীকে বাঁচাতে। মালিনীর মুখে বালিশ চাপা দিতে থাকে মায়া।মালিনী ছটফট করতে থাকে।এক সময় অজ্ঞান হয়ে যায় মালিনী।মালিনীর পালস চেক করলো মায়া।এখনও জীবিত।হালকা হেসে জোরে ডাক দিলো আয়রাকে।বলে,”ভিতরে আসো।”

আয়রা ভিতরে আসতেই মায়া বলে,”ওনাকে এমন ট্রিটমেন্ট দেও যাতে মোহন সরদারের থেকেও করুন অবস্থা হয়।”
মায়ার আদেশ পেয়ে মালিনীকে নিয়ে যেতে থাকে আয়রা। হল রুমের কাছে আসতেই গ্লাস ভাঙার আওয়াজ পায় মায়া ও আয়রা।মায়া সামনে তাকিয়ে দেখতে পায় হিয়াকে। হিয়ার হাত পা কাপছে।আজকেই ফিরেছে সে।মনটা পরিবারের জন্য ছটফট করতে থাকে।বাড়িতে এসেই দেখতে পায় তার মাকে নিয়ে আয়রা ও মায়া এসব করছে।হিয়া ছুটে আসে মালিনীর দিকে।মালিনীকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে হিয়া।বারবার বলতে থাকে,”আমার মাকে ছেড়ে দেও।আমার মা কি করেছে?”

হিয়াকে সরিয়ে দেয় মায়া।তারপর বলে,”কি করেনি তোমার মা?ওই বীরকে দেশে এনেছিলো তোমার মা।আমার আর মন্ত্রী মশাইকে আলাদা করতে পাঁয়তারা করেছিলো তোমার মা।আমার জীবন নষ্ট করতে চায় তোমার মা।আমি কি ছেড়ে দিবো?কাউকে ছাড়বো না আমি।সব কয়টাকে শেষ করে দিবো।আমার আর আমার মন্ত্রী মশাইয়ের জীবনে যে যে আসবে সবাইকে শেষ করে দিবো।দূরে সরে যাও তুমি।”
হিয়া এবার চিল্লিয়ে বলে ওঠে,”পাগল হয়ে গেছো তুমি।তুমি একটা সাইকো উন্মাদ।আমার মাকে মারতে চাও তুমি।আমি তোমার কথা পুরো পরিবারকে জানিয়ে দিবো।”
“সেই সুযোগ তুমি পাবে না।”

মায়ার এই কথার মধ্যেই আয়রা পিছন থেকে হিয়াকে একটি ইনজেকশন পুষ করে দেয়।সাথে সাথে হিয়া অজ্ঞান হয়ে যায়।হিয়াকে ধরে নেয় মায়া।আয়রাকে বলে,”তুমি ওনাকে নিয়ে যাও আমি হিয়াকে দেখছি।”
আয়রা চলে যায় নিজের মতো।হিয়াকে নিয়ে মায়া চলে যায় তার ফ্যাক্টরির সিক্রেট রুমে।হিয়াকে এখানে লুকিয়ে রাখতে হবে আপাতত।হিয়াকে বেধে রাখার পর মায়া ঘুরে তাকালো অন্য চেয়ারে।যেখানে বেধে রাখা আছে সেই যুবকটি যাকে মায়া আটকে রেখেছিলো আর কারেন্টের শক দিতে থাকে।মায়া এসে ছেলেটির সামনে ঝুঁকে বলে,”তোকে আমি বারবার বলতে বলেছিলাম কে করতে চেয়েছে আমার মাকে খুন।কিন্তু তুই বলিসনি।এতদিন তোকে বাঁচিয়ে রেখেছিলাম আমার এই উদ্দেশ্য সফল করতে।কিন্তু আজ আমার কাজ হয়ে গেছে।এখন তোকে মরতে হবে।তোকে বাঁচিয়ে রাখা মানে তো আমার মায়ের খুনিগুলোকে রেহাই দেওয়া।এটা এই মায়া কিছুতেই করবে না।”

বলেই পকেট থেকে গুলি বেড় করে শুট করে দেয়।জোরে জোরে তিন চারটা শুট করার ফলে চারপাশে শব্দ হতে থাকে।ফাঁকা রুমে শব্দ বেশি হয়।শব্দের বেগ বৃদ্ধি পেয়ে কর্ণপাত হয় হিয়ার।জ্ঞান ফিরে আসে তার।অন্য চেয়ারে লাশ দেখে হাত পা কাপছে হিয়ার।জোরে চিৎকার করে ওঠে।বলে,”এভাবে আর কত?তুমি একজন খুনি।আমার ভাই তোমাকে ছাড়বে না।আমার মাকে মেরেছো তুমি।ভাইয়া জানতে পারলে তোমাকে শেষ করে দিবে।”
মায়া চোখ বড় বড় করে তাকালো হিয়ার দিকে।হালকা হেসে বলে,”কে জানাবে তোমার ভাইকে?এমন কেউ তো নেই যে জানবে আর জানাবে।তুমিও তো আমার কাছে বন্দী। জানো তো হিয়া।এই সিক্রেট রুমটার ব্যাপারে কেউ জানে না।এখানে আসার রাস্তাও কেউ বেড় করতে পারবে না।কারণ এটা তো মায়ার চাল।এই মায়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চললে তার জীবন দ্যা ইন্ড হয়ে যাবে।মাইন্ড ইট।”

বলেই হিয়ার মুখে টেপ লাগিয়ে চলে যায় মায়া।বাইরে আসতেই দেখে তারেক ও তার গার্ড।তারেককে দেখ মায়া বলে,”নতুন বিয়ে করেছ।বউকে রেখে এভাবে বাইরে আসা কি ঠিক?”
“বউকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে এসেছি।এখন আপনার মিশনে আপনার সঙ্গ দেওয়া আমার দায়িত্ত্ব।”
মায়া আলতো হেসে গাড়ির দিকে যেতে থাকে।গাড়ির দরজা খুলে মায়া বলে,”লাশটা কবর দিয়ে রুমটা পরিষ্কার করো।হিয়ার আবার ডাস্ট এলার্জি আছে।ও অনেস্ট।ওকে শাস্তি দিতে চাই না।ওই রুমের পরিবেশটা বদলে দেও।যে কয়দিন আমি আমার মিশনে থাকবো সে কয়দিন ওকে এখানে আটকে থাকতে হবে।ওর কোনো কিছুতে কমতি রাখবে না।কিন্তু ওকে বুঝতে দিবে না আমরা ওর ক্ষতি করব না।”

তারেক মাথা নাড়ালো।মায়া তারেকের দিকে তাকিয়ে বলে,”তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি।কিন্তু আমার জীবনের উদ্দেশ্য যে আমার মা দাদুর হত্যাকারীদের শাস্তি দেওয়া।আমার থেকে আমার মন্ত্রী মশাইকে কেড়ে নিতে এখন অনেকে উঠে পড়ে লাগবে।এটা যে আমি হতে দিতে পারি না।”
তারেক মায়ার দিকে তাকিয়ে বলে,”বোনের সুখের জন্য ভাই সর্বদা আছে।এগুলো কষ্ট না।বোন যদি কষ্টে থাকে ভাই কিভাবে সুখী জীবন পায়?আমার আসল গার্জিয়ান তো আপনি।”

মায়া ঠোঁট প্রসারিত করে গাড়িতে উঠে পড়ে।চলে যায় সেখান থেকে।অন্ধকার রাস্তায় একা গাড়ি চালাতে থাকে।চারপাশ অন্ধকার আর সে একা।জানালা হালকা খুলে রাখা।বাইরে থেকে প্রাকৃতিক বাতাস আসতে থাকে।মায়ার গাড়িতেও এসি আছে।কিন্তু এই এসির বাতাস মায়ার কাছে ভালো লাগে না।সে প্রাকৃতিক বাতাস উপভোগ করতে ভালোবাসে।ড্রাইভ করতে করতে এদিক ওদিক দেখছে মায়া।গাড়ির গতির সাথে সাথে দুইপাশে থাকা বড় বড় গাছগুলো কেমন যেনো দৌড় দিতে থাকে।এমনটাই ছোট থেকে উপলব্ধি করে এসেছে মায়া।গাড়ি চালানোর মাঝে মায়ার ফোন জ্বলে ওঠে।ফোন হাতে নিয়ে দেখে রাজের ম্যাসেজ।রাজ লিখেছে,”মন্ত্রী মিস তার বউ।”

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৫০

উল্টা পাল্টা লেখা দেখে হেসে দেয় মায়া।রাজ আবার লিখে,”একদম হাসবে না।আমি আমার বউকে মিস করছি।এদিকে আমার বউ আমার কল ধরেই না।একবার তোমার কাছে আসি পুরো চব্বিশ ঘণ্টা ঘরের মধ্যে আটকে রেখে আমার কষ্ট উশুল করে নিবো।সবশেষে বাথরুম বিলাস তো আছেই।”
মায়া হেসে দেয় জোরে জোরে।তারপর কিছু লাভ স্টিকার পাঠিয়ে দেয়।তারপর লিখে দেয়,”ঘুমাও মন্ত্রী মশাই।কালকেই তো আসবে।দেখা হবে তখন।”

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৫২