মি মাফিয়া পর্ব ১০

মি মাফিয়া পর্ব ১০
সুমাইয়া সাবিহা

আয়শ এই মুহুর্তে পুলিশের সামনে বসে আছে।
পুলিশ:জি স্যার বলুন?হুয়াট ইউর প্রবলেম?
আয়শ : আমি একজন ডিটেক্টিভ।
কলেজের সামনে যে ঐ দিন একজনের মৃত্যু হয়েছিলো সেটা নিয়ে আমি অনেক সন্দেহের মধ্যে ছিলাম । শেষ পর্যন্ত এর খোলাসা আমি করেছি। আসল কিলার এর বিরুদ্ধে প্রমান নিয়ে তার পর এসেছি।
পুলিশ চমকায় । আচ্ছা তাহলে বলুন কি কি প্রমান এনেছেন ?
আয়শ তার ফোন টা বের করে কিছু ভিডিও দেখায় ,যেটাতে ঐ ব্লাক নাম্বার ছাড়া গাড়িটা যেখানে যায় সেখানের ফুটেজ । গাড়ি থেকে একটা মধ্যবয়স্ক লোক বেশ মোটা তাজা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
পুলিশ হাফ ছেড়ে বলে : এই লোকটাই আসল কিলার?
আয়শ :নু স্যার ,এটা একজন ভাড়া করা।আসল খুনি অন্য কেউ।
পুলিশ: প্রুভ?

আয়শ মোটা ঐ লোকটাল সব ডিটেলস দিয়ে আমি ঐ লোকটার ঠিকানা বের করে তার বাড়ি গিয়েছিলাম কিন্তু আমি যাওয়ার আগেই লোকটাকেও মার্ডার করা হয়েছে।
পুলিশ:আচ্ছা তাহলে কিলার কে খুজে পাওয়া যায়নি তাইতো?
আয়শ :পেয়েছি। আমি সেখান কার সিসি টিভি ফুটেজ চ্যাক করেছিলাম সেখানে এই লোকটাকে দেখেছি লোকটা ভেতরে যাওয়ার পর থেকে আর কোনো ফুটেজ নেই কিন্তুআমি চিনি লোক টাকে।
পুলিশ:কিভাবে চিনেন?
আয়শ:এর নাম তানভীর ।আমার বড় ভাইয়ের এসিসট্যান্ট ।আমার ভাইয়ের কথা ছাড়া এক পা ও নড়েনা। একে নিশ্চয়ই আমার ভাই পাঠিয়েছিলো। আর তার হাতেই খুন করেছে। অর্থাৎ যার সব টা আমার ভাই কেরেছে। বুঝা যায় আমার ভাই আসল কিলার।
পুলিশ :ভ্রু কুচকে বলে আপনার ভাইয়ের নাম?
আয়শ:আফরান চৌধুরী।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আয়শের মুখে নাম টা শুনে পুলিশ কাশতে শুরু করে এক গ্লাস পানি ঢকঢক করে খেয়ে ফেলে।
পুলিশ:আপনি কি শিউর আপনার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে চান?
আয়শ:আমি একজন ডিটেকটিভ হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকবো এটাই আমার কাম্য আশা করি আপনিও এটার বিপ….
আয়শের কথা শেষ করতে না দিয়ে কেউ একজন তার কথার রেশ টেনে বললো,বুজতে হবে আমার ভাইয়ের সাহস আছে ভেরি গুড ,বারবার নিষেধ করার পরেও নিজেই জেলের ভাত খেতে চলে এসেছে আগে বললেই পারতিস আগেই এনে দিতাম।
আয়শ পেছনে তাকায় আফরান দুহাত পকেটে গুজে স্ট্রং হয়ে দাড়িয়ে আছে। আফরান কে দেখে পুলিশ দাড়িয়ে পরে পা কাপছে পুলিশের।
আয়শ:গুড ,তোকে নিয়ে আসতে হয়নি নিজেই এসে হাজির ।
আফরান : আমি এখানে কি জন্য এসেছি সেটা এখনি বুজতে পারবি বলে। পুলিশ কে উদ্দেশ্য করে বললো,

__ ইন্সপেক্টর ইশতিয়াক আহমেদ!আমাকে একদিন আটকিয়ে রেখেছিল এই ছেলেটা ,আমি কোনো রকম পালিয়ে এসেছি ।আমাকে যখন আটকিয়ে রাখে বারবার বলছিলো আমি যেনো স্বীকার যাই ঐ খুন টা আমি করেছি উনি একটা প্লেন করেছেন। আর আমার এসিসট্যান্ড কে আমাকে মারার হুমকি দিয়ে বলেছে যেনো ঐ লোকটাকে মেরে দেয় ,কারন লোকটাকে যদি আপনারা বেচে থাকলে নাকি পুলিশ এনাকে ধরে ফেলতো ।তাহলে তার সব প্লেন নষ্ট হয়ে যেতো আর আমার এসিসট্যান্ট কে পাঠিয়েছিলো যেনো দোষ টা আমার উপর দিতে পারে ,কিরে তানভীর বল ঠিক বললাম না ?
দুকদম পিছে থাকা তানভীর পুলিশের দিকে তাকিয়ে বললো,জী স্যার আমাকে ব্লাক মেইল করেছিলো এই লোকটা তাই আমি করেছি।
আয়শ আফরানের কথার কোনো মানে বুজতে পারলোনা । তুই কি আমার সাথে মজা নিচ্ছিস আফরান?
আফরান কিছু না বলে ডেভিল হাসলো।
পুলিশ এসে আয়শ কে এরেশ্ট করে বললো ,

__মি,আয়শ চৌধুরী আপনি নিজে অপরাদ করে সেটা ঢাকা দিতে এতো বড় একটা গেইম খেললেন,তার জন্য আপনার শাস্তি কি হবে নিশ্চয়ই বুজতে পারছেন
আয়শ: এসবের মানে কি ,আমি কেনো মারতে যাবো আমি নিজেই তো একজন ডিটেক্টিভ । আমি অন্যায় করতে যাবো কেনো? এটা খুলুন বলছি।
আফরান আবারো বাকা হাসলো।
আয়শ গিয়ে আফরানের শার্টের কলার ধরে বলতে লাগলো,এটা কেনো করছিস ,হুয়াই?
আফরান :বলেছিলাম না ,নিজের দুঃখ নিজে ডেকে আনিস না শুনলি কই? নিজের দোষে নিজের এই অবস্থা করেছিস আমাকে বলে লাভ কি বলে আয়শের হাত কলার থেকে ছুটিয়ে বললো,ছেহ মেয়েদের মতো এমন ঢলাঢলি করছিস কেন হা?

এই ইন্সপেক্টর ,একে নিয়ে যাচ্ছেন না কেনো এখনো ।
পুলিশ এসে আয়শ কে শক্ত হাতে ধরে টেনে লকাপে পুরে দিলো।
আয়শ:আমাকে এমন করার প্রতিশোধ আমি নেবো মি,আফরান চৌধুরী।
আফরান যেতে যেতে পুলিশ কে বললো,এই যে স্যার হুমকি দেওয়ার শাস্তি যেনো কি ? ঐটার শাস্তি টাও ওকে ফ্রিতে দিয়ে দিবেন, বলে আফরান চলে গেলো।
রাত প্রায় ১১ টার উপরে ,আফরান বাড়ির গেইটে পা রাখতেই কেউ বলে উঠলো,
__তোমার এতো সাহস হয় কিভাবে তুমি তোমার ভাইকে জেলে দিয়েছো?
আফরান জাফরের দিকে তাকায় ,

___ওহ বাবা কি যে বলো না তুমি,আচ্ছা ভাই কি কখনো নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধে গিয়ে পুলিশের কাছে যেতে পারে? সেটা তোমার ছোট ছেলে করেছে তাতে আমার কি করার ছিলো বলোতো।আগেই তো সাবধান করেছিলাম না শুনলে আমার কি করার বলো।
জাফর :তুমি অন্যায় করেছো সে তো করেনি তাহলে কেনো এমন করলে?
আফরান কথা না বাড়িয়ে উপরে উঠতে লাগলো।
জাফর:তুমি ঐ খুন টা করেছো কেনো করেছো সেটা জেনে লাভ নেই কিন্তু আয়শ কে এভাবে খুনের দায় দেওয়াটা তোমার অনুচিত হয়েছে ।তাকে কালকের মধ্যে যেনো আমি দেখতে পাই।তোমার কোনো আইডিয়া আছে? তোমার এই একটা মিথ্যা কথায় তার ক্যারিয়ারে কতটা ঝড় যাবে? তার স্বপ্ন মাটি হয়ে যাবে তাকে এই ডিটেক্টিভ পদ থেকে নির্বাসন দেওয়া হবে।
___জেনে বুঝেই করেছি বাবা। আমি চাইনা তোমার ছেলে সারাজিবন ডিটেক্টিভিটি করে আমার পিছে লেগে থাকুক আর তোমার কম্পানী সামলাবে কে হ্যা ? আমি তো পারবোনা কখনো।
কথাটা বলেই রুমে চলে গেলো।

-বললাম তো বিয়ে করবো না তাহলে বারবার কেন আমাকে জালাচ্ছেন? আপনার কি আর কাজ নাই ? আপনাকে আর কিভাবে বুঝাবো যে আপনাকে আমার বিরক্ত লাগে ঘৃনা করি আপনাকে I just hate you মিস্টার আফরান চৌধুরী। আপনার মতো ছেলেদের দিকে তাকাতেও ইচ্ছা হয় না কেন বুঝেন না আপনি?
কথা গুলো বলে আরিয়া সামনের দিকে হাঁটতে লাগল আরিয়া। আফরান রাগে কি বলবে আপাতত তার জানা নেই তবে এর জবাব আরিয়া কে যে দিতেই হিবে তার মতো এমন একজন মানুষ কে এইটুকুনি একটা মেয়ে এতো গুলো কথা শুনিয়ে সামনে থেকে চলে গেলো ? না তা হতে দিবো না এর শোধ তো অই মেয়ে কে দিতেই হবে।
ঠিক দুপুর বেলা বাড়ির বাহিরে গার্ডেনে আরিয়া আফরান দুইজন অনাকাংখিত ভাবে মুখা মুখি হয়। আফরান মজার ছলে বিয়ের কথা টুকু বলেছিলো বাট আরিয়া তার স্ব-রিয়েকশন দেখিয়ে নিজের শাস্তির মাপ বাড়িয়ে গেলো বোধয়।
তখন জরুরী কাজ থাকায় নিজ রাগ ভেতরেই হজম করে নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলো।
(গল্পের উক্ত অংশ টুকু দিয়ে গল্পটা স্টার্ট করা হয়েছিলো ।এতোক্ষণ সবাই পূর্ব কাহিনী পড়েছেন হয়তো কেউ ভুলে গিয়েছেন।)

বাড়ি ফিরে সোজা আফরান আরিয়ার রুমে ঢুকে আরিয়া কে না পেয়ে বুঝতএ অসুবিধে হিয়নি ওয়াশরুমে আছে। পুরো রুমটা একবার চোখ ঘুরালো,ভাবছে আজকে এই মেয়ে কে সকালের জন্য কি করা যায় ? মুখের উপর কথা বলার এতো সাহস কই পেলো এই মেয়ে ।সে তো তাকে এতো সাহস দেয়নি।
আরিয়া শাওয়ার নিয়ে শরীরে টাওয়াল জড়িয়ে বেড়িয়ে আসলো।
আফরান এতোদিক বিবেচনা না করে তাকে দুই গালে দুইটা চর বসিয়ে বললো,
__তোর এতো সাহস হলো কি ভাবে? আমি কি তোর কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম বিয়ে করতে? তাহলে এতো কথা বলার সাহস হলো কিভাবে তোর।
আরিয়ার চোখের কোনে পানি চিকচিক করছে এখনি গড়িয়ে পরবে মনে হয়।বললো,
__আপনার মতো লোককে বিয়ের প্রশ্নই উঠে না। আপনি একজন খুনি। আপনি একজন মিথ্যাবাদী আপনি ফারহান ছেলেটাকে মেরেছেন।আপনি আয়শ ভাইয়াকে মিথ্যে অপবাদে জেলে দিয়েছেন আপনাকে ঘৃনা করি আমি। আই জাস্ট হেট ইউ মি,আফরান চৌধুরী।

কখনো ভেবেছেন যাকে মেরেছেন তার ফ্যামিলিতে কি অবস্থা ? মা বাবা কি করছে।কতটা কষ্ট পেয়েছে? কিভাবে বুজবেন ,আপনি তো পশুর চেয়েও অধিক বিবেকহীন । আপনার পেশাই মারামারি কোপাকুপি করা। এমন একজন খুনিকে বিয়ে করে নিজের জীবন টাকে শেষ করার কোনো মানে আছে? এখান থেকে বেড়িয়ে যান বলছি ।আরিয়া চেচিয়ে কথা গুলো বললো।
আফরানের চোখ দুটি ঘন লাল হয়ে আছে ,পা পা করে আড়িয়ার দিকে এগুচ্ছে আরিয়া পিছিয়ে যাচ্ছে।শেষ পর্যন্ত আরিয়ার পিঠ দেয়ালে ঠেকে।
আফরান আরিয়ার দুগাল চেপে ধরে বলে,আমি খুনি তাইনা ? আমি বিবেকহীন তাইনা ? কার জন্য বললি দুটো ছেলের জন্য। ঐ দুটো কি তোর রোজ কাষ্টমার ছিলো বল। শরীরের জালা মিটাতি এদের দিয়ে ? আমাকে বল আমি মিটিয়ে দেই,ট্রাস মি ঐ দুইটার চেয়েও বেশি মজা দিতে পারবো।
আফরানের কথা গুলো আরিয়ার কানে বজ্রপাতের মতো শুনালো। কিন্তু আফরান এতো জোড়ে চেপে ধরার কারনে আরিয়া নড়তে পর্যন্ত পারছেনা।

আফরান : বল কখন কখন এদের দিয়ে কাজ করতি ? আমি সেই সময় এসে জালা কমিয়ে দিয়ে যাবো। তুই কি মেয়ে মাইরি ,দুইটা ছেলেকেই তোর লাগলো ।এতো জালা শরীরে।
আরিয়া কোনো রকম নিজেকে ছাড়িয়ে হাপারে হাপাতে বললো
__,আপনার মতো এতো নিকৃষ্ট মনের মানুষ আমি আর দুটি দেখিনি। এতো নিচ আপনার হৃদয় ,ছিহ ।
আফরান এবার আরিয়ার হাত ধরে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিয়ে দরজা আটকে এসে আরিয়ার দিকে ঝুকে শার্টের বোতাম গুলো খুলতে খুলতে বললো ,
__কি বললি আমি নিকৃষ্ট ? ঠিক আছে ,এবার নাহয় নিকৃষ্ট হয়ে দেখাই বলে শার্ট টা ছিটকে নিচে ফেলে আকস্মিক আরিয়ার উপরে উঠে ঠোটে ঠোট বসালো ।
আরিয়া আফরান কে দুহাত দিয়ে একাধারে থাপরিয়ে যাচ্ছে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য । আফরান এবার আরিয়ার দুহাত বিছানার সাথে চেপে ধরে কিস করতে শুরু করে।আরিয়া গেঙাচ্ছে । আরিয়ার এমন গোঙানির আওয়াজে আফরান অসহ্য হয়ে আরিয়ার ঠোটে কামড় বসালো ।
তারপর নিজের মতো করে অনেক্ষন চুমু খেয়ে ছেড়ে দিলো ,
আরিয়ার ঠোটের কোনা থেকে রক্ত পড়ছে কামর দেওয়ার কারনে ,
ছাড়া পাওয়া মাত্রই জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিতে লাগলো ,মনে হচ্ছিলো এতক্ষন নিশ্বাস আটকে ছিল।
আফরান বৃদ্ধাঙুল দিলে নিজের ঠোট মুছে আবার আরিয়ার ঘারে গলায় টাওয়ালের উপর পর্যন্ত যতটুকু শরীর দেখা যায় ততটুকু তে হালকা কামর বসাতে লাগলো একের পর এক।
আরিয়া কাপা কাপা গলায় কোমল ভাবে বললো,

__প্লীজ স্টপ ।
আফরান আরিয়ার দিকে তাকালো ,আরিয়া চোখ বন্ধ করে আছে চোখের পাপরি গুলো কাপছে। আফরান আরিয়ার হাত ছেড়ে দিয়ে দুহাতে আরিয়ার দুগাল মৃদু স্পর্শ্ব করে চোখের পাতায় চুমু খেলো।
আরিয়ার শরীর কেপে উঠে। না চাইতেও আরিয়ার হাত দুটো আফরানের দুই উন্মুক্ত কাধে চলে যায় । হাত দুটো দিয়ে আফরানের বাহু ধরে আছে শক্ত করে।
আফরানের রাগ টা বোধয় কমেছে নাহয় একদম মিশে গেছে বিন্দুমাত্র রাগের রেশ নেই। আফরান আরিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে অপলক দৃষ্টে তার সেই ছোট্ট ভালোবাসার মানুষটা কতো বড় হয়ে গেছে । তাকে ছেড়ে থাকার জন্য কতো টাই না চেষ্টা করেছে তার উপর যে রাগ টা নিয়ে ছোট বেলায় শহরে এসেছিলো সেটা এখন‌ আর নেই।এখন চায় খুব কাছে থাকতে খুব কাছে।
আফরান আবারো মৃদু হাসে আরিয়ার অবস্থা দেখে ,এখনো কাপছে মেয়েটা।
নিজের এই মৃদু হাসিমাখা মুখ খানি আরিয়ার থেকে লুকিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বললো ,মুখের উপর আর কথা বলবি?
আরিয়া কিছু বলছে না।
আফরান হালকা ধমক দিয়ে আবারো বললো,উত্তর দে নাহলে কিন্তু আবার…
আরিয়া দ্রুত গলায় বলছ উঠলো,

__ন..না আর বলবো না ভাইয়া প্লীজ ছেড়ে দেন।
__:তা এভাবে অন্ধ হয়েই থাকবি নাকি চোখ খুলবি?
আরিয়া এক চোখ টিপ টিপ করে খুলে আফরান কে তাকিয়ে থাকতে দেখে আবারো চোখ বন্ধ করে নেয়।
আফরান আরিয়ার এমন পাগলামু দেখে হেসে আবার বললো,
__খুলবি নাকি আবারো চু….
আরিয়া ঠাস করে দুচোখ খুলে নিয়ে বলে,,
__এই তো তাকালাম । কিছু করবেননা বলুন।
আফরান এবার আরিয়ার সামনেই হেসে আরিয়া নাকে নাক ঘসে বলে পাগল একটা।
আরিয়া একদম মুর্তির মতো হয়ে আছে কোনো‌ নড়াচড়া নেই।
আফরান আরিয়ার কপালে চুমু খেয়ে উপর থেকে সরে পাশে শুয়ে বলে
__যাহ কাপড় চেন্জ কর ।
আরিয়া মনে হয় হাফ ছেড়ে বাচলো । যেনো কোনো বিশাল ওজনের বস্তু পড়েছিলো তার উপর। সুজুগ পেতেই সাথে সাথে উঠে বসে পড়ে।
___কি হলো চেন্জ কর যাহ।
__:আপনি অনেক খারাপ হয়ছ গেছেন ভাইয়া বলে ন্যাকা কান্না শুরু করে।
আফরান আরিয়ার দিকে তাকিয়ে সুধালো

___এভাবে খালি টাওয়ালে বসে থাকলে আরো খারাপ হয়ে যাবো ।আমাকে এভাবে পাগল না বানিয়ে ড্রেস পরে আয় যাহ তো। ভ্যা ভ্যা করে মাথা খারাপ করিস না।
আরিয়া একবার নিজের দিকে তাকিয়ে আরো জোড়ে জোড়ে কাদতে শুরু করলো।
__হয়েছে টা কি? এভাবে কাদছিস কেনো?
__আমি এভাবে আছি আপনি আমাকে এখন বলছেন এ্যা এ্যাএ্যা….
___ তা কি হয়েছে? আমি কি বলেছি এভাবে থাকতে? নাকি তুই এসেছিস? আর দরজা আটকিয়ে শাওয়ারে যাবি ঠিক আছে?
__ আমি তো দরজা আটকিয়ে এসেছিলাম কিন্তু আমি দরজা লাগালেও আপনি কিভাবে যেনো এসে পরেন
__উফফফ… ভুলে গিয়েছিলাম।
__কিভাবে আসলেন সেটা বলুনননননন (কিছুটা চেচিয়ে)
__আহ কি হয়েছে এভাবে চেচাচ্ছিস কেনো? তোর রুমের ডুবলিকেট চাবি আমার আছে।
আরিয়া বিস্ফোরিত অবাক চোখে আফরানের দিকে তাকায়।
___তোর শরীরের দাগ গুলো এখনো যায়নি, আমি সেদিন বুঝিনি এতোটা দাগ পরে যাবে।
আরিয়া কিছু না বলে উঠে দাড়িয়ে বললো,

মি মাফিয়া পর্ব ৯

__আমি চেন্জ করবো আপনি বের হোন।
___আমি দেখবো বললাম কখন? আর আমার আর কি বা দেখার বাকি আছে?(ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে) আর গোসলে গিয়ে এভাবে সুইসাইড করার সাবজেক্ট টা বাদ দিয়ে দিস নয়তো কি হবে বুজতেই পারছিস?
___এএএএ…এটা আপনি কিভাবে জানলেন?
__বেশি কথা বলে ফেলছিস। এসব তোকে ভাবতে হবেনা । এখন আমি গেলাম।আর নেক্সট টাইম এতো প্রশ্ন করার সাহস দেখাবি না আমায় ওকে?
বলে এক চোখ টিপে দুষ্টু হেসে চলে যায়। তারপর..….

মি মাফিয়া পর্ব ১১