মি মাফিয়া পর্ব ১৩
সুমাইয়া সাবিহা
আফরান গাড়ির পেছনের সিটে বসে আছে তানভীর ড্রাইভ করছে।
___জানতে পেরেছিস কে লোকটা ?
___সরি স্যার ,এখনো জানতে পারিনি ,তবে কলেজ বা ভাবির বন্ধু বান্ধব কেউ হলে এতক্ষনে জেনে যেতাম
___তাহলে জলদি খোজ নে করেছে কে এসব? আমার সাথে শত্রুতার কারনে নাকি অন্য কোনো কারনে। আমার সাথে শত্রুতামী বলেই আরিয়ার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিলো ,তার জন্যই আয়শের সাথে এংগেজ টা হতে দিলাম যেনো ভাবে যে আরু আমার সাথে নয় আয়শের সাথে কোনো রিলেশনে আছে কিন্তু ব্যাপার টা মনে হচ্ছে অন্যরকম। খুব কাছের কেউ যে সব কিছু জানে।
___আমার মনে হয় আপনার সাথে শত্রতার কারনেই ।দেখুন দুটো খুনেই কিন্তু আপনাকে কিলার প্রমান করানো হয়েছে।
আফরান :নু,কিলার প্রমান করার চেষ্টা করছেনা আমার মনে হচ্ছে আমাকে খারাপ প্রেজেন্ট করছে সেটাও আরিয়ার সামনে।কিন্তু লাভ টা কি ঐ সালার এটাই বুজতে পারছি না।
আপনারা কারা আরে ছাড়ুন বলছি ,আরিয়ার কথায় ভ্রূক্ষেপ না করে মেয়ে দুটি আরিয়া কে গাড়িতে জোড় করে বসিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো।
মূলতো আরিয়া ক্লাসের মাঝে বের হয়েছিলো ভালো লাগছে না বিধায় হঠাৎ দুটি মেয়ে এসে আরিয়া কে জোড় করে তুলে নিলো।
গাড়িতে আরিয়া বাড়াবাড়ি করার কারনে বেহুস করে ফেলেছিল।
আরিয়া চোখ খুলে চারদিকটা একবার প্রত্যক্ষ করে নিলো , কোনো হোষ্টেল মনে হলো।
পাশ থেকে একজন মহিলা বললো,
___ম্যাম এখন কেমন লাগছে?
আরিয়ার মস্তিষ্ক সাথে সাথে সতেজ হয়ে উঠলো ,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
__আপনারা কারা ? আমাকে এখানে কেনো নিয়ে এসেছেন? আমি কি করেছি?
মহিলাটি কোনো উত্তর দিলো না। কারো ফোন আসায় রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
আরিয়া ভাবতে লাগলো,নিশ্চয়ই আমাকে কিডনাপ করেছে এনারা ,কিন্তু আমি কি করেছি? আমাকে কিডনাপ করার কারন কি?
কারো পায়ের শব্দ শুনে দরজার দিকে তাকালো, মুহূর্তেই চোখ দুটো বিস্ময়ের শেষ সীমায় পৌঁছায় । সে আর কেউ নয়,মি,মফিয়া আফরান চৌধুরী।
আরিয়া চট করে খাট থেকে লাফ মেরে নেমে বললো,আপনি এখানে?
আফরান:অন্য কেউ কিডনাপ করলে খুশি হতি বুঝি?
বলে আরিয়ার গালে দুইটা থাপ্পর বসালো,তোর সাহস দেখে অবাক হলাম।
আরিয়া :আমাকে মারলেন কেন কি করেছি আমি ? আমাকে শুধু শুধু মেরে শান্তি পান আপনি
আফরান:আমার তো কাজ নেই আর ।আগে বল এতো সাহস কোথায় পেলি?দুই দিন ছাড় দিয়েছি বলে মাথায় উঠে গেছিস হ্যা?
আরিয়া:কি করেছি আমি ?শুধু শুধু কথা শুনাচ্ছেন কেনো?
আফরান :কি করেছিস আবার প্রশ্ন করছিস?
আরিয়া এবার আফরানের একদম সামনে গিয়ে ভীতহীন কন্ঠে বললো , হ্যা করছি একশো বার করবো আপনার কি?এখন উত্তর দেন কি করেছি।
আফরান আরিয়া হাত ধরে হেচকা টানে উল্টো ঘুরিয়ে আরিয়ার হাত দুটো ক্রস করে ধরে । আরিয়ার পিঠ আফরানের বুকে ঠেকে ,বাম হাতের আঙুল গুলো সব টা জোড় দিয়ে ধরে দাত পিষে বললো ,
___এখনো এই আংটি পরে আছিস , দেখাচ্ছিস তোর এংগেজ্ডমেন্ট হয়েছে ?
আরিয়া :আহ ,ছাড়ুন বলছি, লাগছে আমার,,
আফরান:আমার লাগেনা? অন্য কারো নামে আংটি পরে ঘুরবি আমি চেয়ে চেয়ে দেখবো?
আরিয়ার আংটির ধাচে লেগে আঙুল থেকে রক্ত ঝড়ছে ।
আরিয়া:প্লীজ ছেড়ে দিন ,সত্যি বলছি খুব ব্যাথা পাচ্ছি।আহ…
আফরান আরো শক্ত করে ধরে ধরে বললো ,
__৪ বছর আগে শরীরে ব্লেড দিয়ে একেছিলাম মনে নেই ? এখন আবার ছেলেদের ছোয়া লাগাচ্ছিস শরীরে।
আরিয়া:আপনি ভুল বুজছেন ,আমাকে আপনি ছাড়া কেউ ছোয়নি আজ অব্দি
আফরান এবার সব টা শক্তি দিয়ে চেপে ধরে বললো ,
___সব কিছু সহ্য করতে পারি কিন্তু মিথ্যা একদম না ,তোর এখন ডাবল শাস্তি পাওয়া উচিৎ তাইনা বল।
আরিয়া:আহ..হাতে লাগছে তো আঙুল গুলো ভেঙেই যাবে এবার ছাড়ুন বলছি আমি মিথ্যা বলছি না।
আফরান :তা কাল রাতে কি আয়শ তোকে পালকি করে রুমে নিয়েছিলো?
হঠাৎ করেই আরিয়ার গলা স্বাভাবিক হয়ে আসে :
__আরেহ ,আপনি কি সত্যি জেলাস?
আফরান আরিয়ার কথায় থতমত খেয়ে যায়।
আরিয়া:বলুন ,আপনি জেলাস ,সত্যি বলুন।
আফরান :এখন ব্যাথা হচ্ছেনা?
আরিয়া:উহুম (শান্ত গলায়)
আফরান আরিয়ার হাত টা আরো জোড়ে চেপে ধরলো ,আরিয়ার চোখ থেকে জল পরছে , চোখ বন্ধ করে ঠোটে হালকা হাসি রেখে আবারো বললো,
বলুন আপনি জেলাস ফিল করছিলেন আয়শ ভাইয়া আমাকে কোলে নেওয়াতে ।
আফরান আরিয়ার সাভাবিক কন্ঠ দেখে অবাক হলো ,বাম দিক থেকে মাথা টা একটু সামনে নিয়ে আরিয়াকে দেখার চেষ্টা করলো , সফল ও হল তাতে আরিয়ার চোখ বন্ধ, চোখ থেকে পানি গড়াচ্ছে বুকে।
আফরান একবার মাথা ঘুরিয়ে নিচের দিকে আরিয়ার আঙুলে তাকালো ,সাদা ফ্লোর লাল টকটকে রক্তে বিভোর ।
সঙ্গে সঙ্গে আরিয়া কে একটু হালকা ধাক্কা দিয়ে ছেড়ে দেয় ,আরিয়া টাল সামলাতে না পেরে বিছানায় গিয়ে পরে।
আফরান জায়গা ছেড়ে বারান্দার সামনে গিয়ে কাকে যেনো ফোন দিলো।মিনিটের মাথার কেউ একজন এসে ফাস্ট এইড বক্স দিয়ে যায় আফরান বেন্ডেজ বের করে আরিয়ার পায়ের কাছে বসে আফসোসের মুখ নিয়ে আরিয়ার কেটে যাওয়া আঙুল দুটো ধরে নিজের সামনে আনে।
আফরান বেন্ডেজ করতে যায় আরিয়া হাত সরিয়ে নিয়ে বলে ,আগে আমার উত্তর দিন।
আফরান:পাগলামু বন্ধ করো হাত টা দাও অনেক খানি কেটে গেছে ,রক্ত ঝড়ছে অনেক।
আরিয়া:ঝড়ুক ,ঝড়তে দিন ,সমান সমান করতে দিন
আফরান : কি বলছো তুমি নিজেই জানো শুধু ,হাত দিতে বলছি নাহলে কিন্তু খারাপ হয়ে যাবে আরু বাড়াবাড়ি করোনা।
আরিয়া ঝুলন্ত পা দুটো গুটিয়ে খাটের উপরে এনে আসন করে বসে বললো,যদি না বলেন এভাবেই থাকবো বলে দিলাম
আফরান বিরক্তি নিয়ে দাড়িয়ে বললো ,,
___ঠিক আছে লাগবেনা আমি জোড় করেই নিয়ে নিবো বলে আরিয়ার হাত ধরতে যায় কিন্তু আরিয়া হাত সরিয়ে নেয় আফরান আবারো চেষ্টা করে ধরতে আরিয়া এদিক ওদিক হাত সরাচ্ছে আর মিটিমিটি হাসছে।
আফরান অনেক চেষ্টায় ও না পেরে খাটের উপর উঠে আরিয়ার পেছনে বসে আরিয়ার কাধের উপর থুতনী রেখে দু পা দু দিক থেকে আরিয়ার কোলে উঠিয়ে আকড়ে ধরে বাম হাত ধরে বললো,
__এবার সরাও হাত ।
আরিয়া কিছু বললো না ।
এভাবে বসেই আফরান আরিয়ার আঙুলে বেন্ডেজ করে দিচ্ছে ,
-বেশি ব্যাথা পেয়েছো?
আরিয়া:হুম
আফরান:তাহলে ভুল করো কেনো এতো,তুমি যদি আমার মতো করে চলো আমি কিছু বলবো?
আরিয়া:না
আফরান:তাহলে অন্য লোকের নাম করা রিং হাতে পরতে হবে কেনো? এংগেজমেন্ট টা নাহয় হয়েই গিয়েছে কোনো রকম তাই বলে সারাদিন পরে থাকবে হবে?
আরিয়া বাধ্য মেয়ের মতো বসে আছে।
আফরান : আর যেনো না দেখি কারো কোলে এভাবে উঠে যেতে ,এতো শস্তা কেনো বানাও নিজেকে । তোমার শরীর টা কি সবার জন্য ?
আরিয়া:নাহ
আফরান:তাহলে কেনো অন্য ছেলের ছোয়া শরীরে নেও।
আরিয়া:আমি কি বলেছিলাম আমাকে নিতে আমি তো উঠতে চাইনি ,হেচকির কারনে কথা বলতে পারছিলাম না বলে আর কিছু বলিনি।
আফরান: এতো কাদতে হবে কেন?
আরিয়া কিছু বললো না ,
আফরান:আর যেনো না দেখি এমন করে কাঁদতে ঠিক আছে?
আরিয়া:ওকে।
আফরান মৃদু হেসে আরিয়ার গলার সাইডে চুমু খেলো। আরিয়ার শরীর মৃদু ঝাকানিতে কেপে উঠে ,,
আফরানের বেন্ডেজ করা শেষে আরিয়ার পেট জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষন বসে থাকে এমন নিরবতার মাঝে । আফরানের গরম নিশ্বাস আচরে পরছে আরিয়ার গলায় ঘাড়ে। আরিয়ার শরীর খনিক পর পর কেপে উঠছে ।
আফরান:খারাপ লাগছে?
আরিয়া:উহুম
আফরান দুষ্টু হেসে:তাহলে ভালো লাগছে?
আরিয়া লজ্জায় মুখ ঢাকে দুই অন্জলি দিয়ে।
আরিয়া কে এবার নিজের দিকে ফিরিয়ে মুখোমুখি বসায় ,আরিয়া লজ্জায় লাল হয়ে আছে।
আফরান:লজ্জাবতী আমার এদিকে তাকাও ।
আরিয়া এবার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
আফরান:মুখ দেখতে দেবেনা আমায়?
আরিয়া এবার দুহাত মুখের উপর থেকে সরালো।
আফরান আরিয়া লাল টকটকে গাল দুটো কোমল স্পর্শে কপারে চুমু বসালো ।
আরিয়া চোখ বন্ধ করে আছে।
আফরান :এদিকে তাকাবেনা?
আরিয়া আফরানের শার্টের কলার দুহাতে ধরে আফরানের বুকে মুখ লুকায়,
আফরান আবারো হাসলো,আসলেই মায়াবতী আমার খুব লজ্জাবতী ,
একটু চুপ থেকে আবার বললো ,
-আমার মানসিক শান্তি তুমি
তোমার প্রতিটা স্পর্শ্ব আমার ভালো থাকার কারন
অথচ তোমার এতো দীর্ঘ সময় লাগল সেটা বুঝতে
__দীর্ঘ সময় বলতে আপনি আমাকে কতো জনম ধরে ভালোবাসেন আগে সেটা বলুন
আফরান আরিয়ার কথার উত্তর করলো না।
আফরান আষ্ঠে পৃষ্ঠে আরিয়াকে জড়িয়ে ধরে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো,আরিয়া এখনো আফরানের কলারেই ধরে আছে।
আফরান:আমার যে এই মুহুর্তে কারো মাঝে ডুবে যেতে ইচ্ছে করছে লজ্জাবতী
আরিয়া আফরানের বুকে কামড় বসালো।
আফরান:আহ লাগছে তো আসতে দাও।
আরিয়া এবার আরেকটু জোড়ে আরেকবার কামর বসায়।
আফরান:ওহ,মেরে ফেলবা নাকি ছাড়ো বলছি ,বলেই আরিয়া কে নিজের কাছ থেকে সরানোর চেষ্টা চালালো ,,
খনিক পর ছেড়ে দিয়ে আরিয়া বললো,
__যখন আমাকে মারেন তখন আমার ব্যাথা লাগেনা?
আফরান:তাই বলে প্রতিশোধ নিবা? কিন্তু আমি যে সেদিন নিজের বুকে আঘাত করলাম সেটা কি কম ছিলো নাকি?
আরিয়ার মুখটা সাথে সাথে মলিন হয়ে গেলো। আতঙ্কিত চেহারায় আফরানের শার্টের বোতাম খুলতে লগলো,
আফরান:আরে করছো কি রোমান্স করতে ইচ্ছে হয় তো আমাকে বলো এভাবে তারাহুড়ো করে …..
আরিয়া:চুপ একদম ,বলে আফরানের বুক চ্যাক করতে লাগলো । হ্যা ,বুকের বা পাশ টায় দাগ পরে আছে এখনো তার মানে এখানেই লেগেছিলো।
-সেই জায়গায় চোখ ফেলে বললো
__এখনো ব্যাথা আছে তাইনা?
আফরান:ও আচ্ছা এই জন্য এভাবে শার্ট খুলতে হয় ?
আরিয়া:বলুন এখনো ব্যাথা আছে খুব?
আফরান:জানিনা তবে যখন অবাধ্য হও তখন খুব ব্যাথা লাগে এই খান টায় ।
আরিয়া আফরানের দিকে অসহায় চোখে তাকায়।
আফরান :আরে কি দেখছো? সত্যি বললাম ,আর কখনো অবাধ্য হবেনা ।একদম সহ্য করতে পারিনা কিন্তু ,রাগের সময় সব ভুলে ……আফরান এটুকু বলতেই কারো ঠোঁটের ছোঁয়া অনুভব করে নিজের ঠোঁটে , সেকেন্ড কয়েক পর আরিয়া সরে আসতে চায় কিন্তু আফরান আরিয়া কে সরতে না দিয়ে উল্টো দুহাতে মাথার দুপাশে হাত রেখে শক্ত করে ধরে চোখ বন্ধ করে কিস করতে থাকে একাধারে ।দুজনের গরম নিশ্বাস ঘন হচ্ছে ,আচরে পরছে একে একের উপর, যেন যোগ কয়েক পর শান্তি তে তৃষ্ণা নিবারন করছে তৃপ্তির সাথে ।
বেশ খানিক্ষন পর হবে হয়তো ৮ থেকে ১০ মিনিট এর মাথায় আফরান আরিয়াকে ছেড়ে দিয়ে খুব কাছে টেনে নিয়ে আবারো গলায় মুখ ডুবায় । সিল্কি চুলের শালীন ঘ্রান আফরান কে বেশামাল করে তুলছে। অরিয়া আফরানের কলার চেপে ধরে আছে ,নিশ্বাসের মৃদু আওয়াজ যেন মুহুর্ত টাকে আরো উজ্জল করে দিচ্ছে।
অনেক ক্ষন পর আফরান নিজেকে ইচ্ছে করে আটকালো , নিষ্পাপ মেয়েটাকে এর চেয়ে বেশি অপবিত্র করতে ইচ্ছে হচ্ছেনা তার। আফরান সরে এসে আরিয়া কে জড়িয়ে ধরলো সব টা শক্তি দিয়ে। আরিয়ার শরীরের কম্পন এখনো থামছে না । কাপছে তার শরীর ভীষন ভাবে।
কিছুক্ষন পর আফরান বললো,,
__লক্ষী সোনা ভয় পাচ্ছে?
আরিয়া কিছু না বলে আফরানের কলার ছেড়ে হাত দুটো পিঠ জড়িয়ে ধরলো।
আফরান:রিলেক্স আরু ,আর কিছু করবোনা শান্ত হও ।
আরিয়া আফরান কে আরো শক্ত ভাবে জড়িয়ে ধরলো।
আফরান বুঝলো এখন কোনো কথায় কাজ হবে না তাই আরিয়া কে কোলে নিয়েই দাড়িয়ে গেলো। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,বাড়ি যাবে?
আরিয়ার মুখে কোনো কথা নেই ।
মি মাফিয়া পর্ব ১২
আফরান আরিয়া কে নামাতে চাইলো আরিয়া নামলো না ,আফরান মৃদু হেসে বললো,কথা বলবেনা?
ঠিক আছে বলো না ওয়াশ রুমে যাও ফ্রেশ হয়ে আসো দেখো তোমার জামাটাও নষ্ট হয়ে গেছে রক্তে , আমি সেইম ড্রেসের ব্যাবস্হা করছি ।
আরিয়া কোনো কথা বললো না। আফরান বুজলো তার মায়াবতী এখন লজ্জায় আড়ষ্ঠ হয়ে আছে,একটু পর নাহয় আবার বলবে।
আফরান মুচকি হেসে আরিয়া কে নিয়ে খাটের উপর বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। তারপর…..