মি মাফিয়া পর্ব ৩০
সুমাইয়া সাবিহা
আরিয়া: প্লীজ আন্টি নিষেধ করবেন না,,অনেক দিন হয় বের হই না কোথাও।
সাজেদা বেগম:আসলে প্রেমা কে কখনো একা ছাড়িনা তো ,
সামিরা:একা কোথায় আন্টি আমরা ও তো যাচ্ছি সাথে ।
সাজেদা:দেখো তোমরাও ছোট এখনো আমি বলি কি না যাওয়াই ভালো ।
আরিয়া মন খারাপ করার এক্টিং করে বললো ,কি আর করার না দিলে ,আশা নিয়ে এসেছিলাম সেটা অপূর্ণই থেকে যাবে আর কি ।
প্রেমা: মা কখনো তো যাইনি , প্লীজ দাওনা যেতে ।ওরা তো আছে
সাজেদা:ওহ তোরা যে কি করিস না নিজেরাও জানিস না ,ঠিক আছে যা ,আর একসাথে থাকবি ঠিক আছে ,আর সন্ধ্যার আগেই ফিরবি।
প্রেমা সাজেদা বেগম কে জড়িয়ে ধরে উৎফুল্ল কন্ঠে বললো ,এই তো আমার কিউট মিষ্টি মা🤭
সাজেদা:হয়েছে হয়েছে ,সর এখন ,ওদের জন্য কিছুর ব্যবস্থা করি।
আরিয়া :আরে আন্টি লাগবেনা আমনিতেই অনেক দেরী হয়ে গেছে।
সাজেদা :আরে তা কি করে হয় , মাত্রই তো এলে সেটাও কতো দিন পরে, কিছু না মুখে দিয়েই চলে যাবে ,
সামিরা: আন্টি কিছু লাগবেনা আমরা যাচ্ছি,এমনিতেই বিকেল হয়ে গেছে , অন্য একদিন এসে আবার খেয়ে যাবো ,বলে হাসলো।
সাজেদা বেগম জোড় করলেও কেউ বেশিক্ষন বাসায় না থেকে সোজা বের হয়ে গেলো।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
প্রেমা : ওহ আমি তো ভেবেছিলাম আম্মু দিবেনা । যাক বাঁচা গেলো।
আরিয়া:হয়েছে ,আমাদের জন্যই দিয়েছে বুঝলি ,তা এখন বল কার সাথে রিলেশনে চলে গেলি ঠাস করে ,আমাদের কে না জানিয়ে
প্রেমা লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে বললো :গেলেই দেখতে পাবি , কিন্তু আমি ভাবছি অন্য কথা।
আরিয়া: কি ভাবছিস?
প্রেমা : দেখলি না সেদিন ভাইয়া তোকে কিভাবে প্রোটেক্ট করলো ,আর হঠাৎ করেই ঐ বলিষ্ঠ লোকটা কোথা থেকে আসল,,ভেবেছিস? আমার মনে হয় ভাইয়া তোকে প্রোটেক্ট এর জন্য আলাদা কোনো বডিগার্ড রেখেছে ।
আরিয়া একবার চারদিক টা তাকিয়ে বললো ,তা আমি কি করবো?
সামিরা: ভাইয়া যদি জানতে পারে তুই এমন না বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিস ,কি হবে তোর কোনো ধারনা আছে?
আরিয়া একবার ঢোক গিলে বললো ,আমি কি জানি , তাছাড়া উনার সাথে আমার ব্রেকাপ হয়ে গেছে ,আমি কারো ধার ধারিনা বুঝলি ,এতো ধৈর্য নাই ,পারবোনা কারো মতো চলতে ।বলেই সামনে হাঁটা ধরলো আরিয়া।
প্রেমা : আরে রাগ করছিস কেনো ? সামিরা তো ঠিকি বলেছে ,ভাইয়া জানলে কি হবে আমার আইডিয়া হয়ে গেছে,আমার তোকে এখানে আসার কথাটাই বলা ভূল হয়েছে , আমার তো মনেই ছিলো না।
আরিয়া: বকবক করিস না তো , বললাম তো ব্রেক আপ সিরিয়াসলি।
সামিরা : কি বলছিস কী আরু,ভাইয়া ব্রেকাপ করলো কিভাবে ? তোদের ব্রেকাপের প্রশ্ন কিভাবে উঠে ? তোদের তো ব.. এটুকু বলতে
আরিয়া: এমন ভাবে বলার কি আছে ,এটাই তো হয় তাইনা , কিছু দিন আকাশ বাতাস সাক্ষী রেখে ভালোবাসে পরে অন্য জন নিয়ে ঘুরে সেইম ডায়লগ মারে।
প্রেমা: হয়েছে টা কি বল না।
আরিয়া:উনি মাফিয়া মানুষ,উনার একজনে হয় বলতো ,এসব মানুষের অনেক অনেক মানুষ লাগে,,একটার পর আরেকটা প্রয়োজন হয়,নাহলে প্রেস্টিজ থাকেনা ,তাই আমার উনার উপর কোনো অভিযোগ নেই।
সামিরা:কি সব যা তা বলছিস? ভাইয়া তো এমন না ,আমরা তো ভাইয়া কে জানি নাকি,
আরিয়া:আমার থেকে বেশি জানিস?
সামিরা:কারো পার্সোনাল মানুষ কে অন্য কেউ ভালো ভাবে চিনতে পারেনা , কিন্তু আইডিয়া দিতে পারে কারন আপনদের মাঝে ভূলবুঝাবুঝি হয় অন্যদের সাথে সেগুলি হয়না ।
আরিয়া:তা এতোই বুঝলে তুই নিয়ে যা তোর আফরান ভাইয়া কে আমাকে কেনো বলছিস? আমাদের ব্রেকাপ এখন এটা নিয়ে আর কথা বলতে চাই না বেস ,,রিকশা ডাক,আর হাঁটতে ভালো লাগছে না।
প্রেমা : মামা এখানেই নামিয়ে দিন।
প্রেমার কথা মতো একটা ৫ স্টার রেস্টুরেন্টের সামনে রিকশা থামলো।
আরিয়া সামিরা প্রেমা সামনে গিয়ে ভেতরে ঢুকতে যায় কিন্তু কেয়ার টেকার বললো ,সরি মেম আজ এখানে কেউ আসতে পারবেনা একজন বিজনেস মেন সব টা আজকের জন্য নিয়ে নিয়েছে।
প্রেমা: এটা আবার কেমন কথা কাকু , হোটেল একজনের জন্য কেনো হবে ? সবাই তো আসবে তাইনা ।
–সরি মেম আপনারা আসতে পারেন আজ ভেতরে যাওয়া যাবেনা , মিটিং চলছে ভেতরে।
আরিয়া: আশ্চর্য তো হোটেলে কেনো মিটিং চলবে? ওনাদের কি অফিসে জায়গা নেই যতো সব ।
সামিরা: আচ্ছা বাদ দে , অন্য কোথাও যাই চল।
প্রেমা:আরে আমি তো এখানেই আসতে বলেছি ওনাকে ।
সামিরা:কল দিয়ে বলে দে জায়গা ব্লক আছে , অন্য কোথাও আসতে।
আরিয়া:বললেই হলো? দু টো লোকের জন্য সবাই কেনো ফিরে যাবে ? আর ওসব মানুষের কি আর জায়গা মিলেনি মিটিং এর ,
প্রেমা:সেটাই তো ,একবার বলে দিয়েছি এখন কি আবার চেন্জ করবো ,কথার কি মূল্য নেই আমার ।
কাকু মিটিং কখন শেষ হবে?
–সেটা তো জানিনা ম্যাম।
আরিয়া: আমাদের ও জরুরি কাজ আছে ভেতরে যেতে দিন।নয়তো জোড় করে যাবো বলে দিলাম।
–দেখুন ,এটা সাধারন কোনো মানুষের মিটিং হচ্ছে না , আপনারা ঝামেলা করবেন না ,চলে যান।
আরিয়া:তা ভেতরে কি কোনো পশু পাখিরা মিটিং করছে?যে ভেতরে সাধারন মানুষ নেই, যতো সব।
সামিরা:আরিয়া বাদ দে না ,চল অন্য কোথাও যাই ,
প্রেমা:কি আর করার চল ,,
আরিয়াও আর কথা বাড়ালো না , বিরক্ত চেহারা নিয়েই যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই পেছন থেকে কেউ বলে উঠলো ,সামিরা তোমরা এখানে কি করছো ?
সবাই পেছনে ফিরলো , সাদেক কে দেখে আরিয়া কপাল কুচকায়,সামিরা হেসে বললো,আরে ভাইয়া আপনি এখানে !
সাদেক সামনে আসতে আসতে বললো,কাজে এসেছিলাম গাড়ি থেকে চোখে পড়লো তোমরা উনার সাথে কথা বলছো ,তাই নেমে আসলাম। কিছু প্রবলেম?
সামিরা: আসলে এসেছিলাম একটু এমনি বাট ভেতরে নাকি মিটিং চলছে কারো। আজকের জন্য হোটেল ব্লক করা ।
সাদেক কেয়ার টেকার এর দিকে তাকিয়ে বললো : চাচা, কিসের মিটিং ভেতরে?
–স্যার আসলে মি: চৌধুরী কোনো বিশেষ মিটিং এ আছে তাই আজকের জন্য সকাল থেকেই এটা ভাড়া করে নিয়েছে।
সাদেক: আচ্ছা,ঠিক আছে।
আরিয়া: কি বললেন কাকু? কোথাকার চৌধুরী হ্যাঁ? টাকা দিয়ে ভাব দেখায় নাকি ? শুনুন আমার চাচাজানের ও কিন্তু অনেক টাকা ,হুম বলে দিলাম,বলে ভেঙচি কাটলো আরিয়া।
সামিরা:আহ করছিস কি আরু, চুপ থাক না ।
সাদেক:উনি বোধহয় একটু বেশি কথা বলেন সব সময় তাইনা।
সামিরা হেসে বললো:আসলে আরু একটু এমোনি চঞ্চল একজনের কাছে ব্যাতীত।
সাদেক: ঠিক বুঝলাম না।
প্রেমার ফোন বেজে উঠলো ,
প্রেমা:সামিরা ,আরু তোরা কি যাবি নাকি আমি চলে যেতাম ,উনি অপেক্ষা করছে ।
সামিরা:দেখার তো ইচ্ছে ছিলো ,বেচারা কে ,যার কপাল টা পুরে দিলি ।( দুষ্টু হেসে)
প্রেমা :সামু ঠিক হচ্ছে না কিন্তু এবার,আমি গেলাম তোরা থাক ।
আরিয়া:আমি ও যাবো ,
প্রেমা : চল তাহলে ,
সামিরা কিছু বলতে যাবে তার আগেই সাদেক বললো ,ঠিক আছে যাও তোমরা আমরা এদিকেই আছি ,জলদি চলে এসো ওকে।
প্রেমা আরিয়া চটজলদি পা ফেলে ।
সামিরা আর কিছু বলতে পারলো না ,
সাদেক:এদিকে চলো ,এখানে দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই,
সামিরার শায় দিয়ে সাদেকের সাথে পাশাপাশি হাঁটতে লাগলো ধীর পায়ে , রাস্তার পাশ দিয়ে । একের পর এক গাড়ি অতিক্রম হচ্ছে কারো মুখে কোনো কথা নেই।
বেশ খানিক পর সাদেক বললো ,একটা কথা বলবো ?
সামিরা: জিজ্ঞেস করার কি আছে ,বলুন।
সাদেক : আয়শের সাথে কিভাবে বিয়ে টা হলো আকস্মিক?
সামিরা: সত্যি বলতে আমাদের বিয়েটা হয়েছে কোনো কারন বশত বাধ্য হয়ে ,
সাদেক:কি কারন জানতে পারি?
সামিরা:সেটা আমিও জানিনা তবে নাবিল ভাইয়া আয়শ ভাইয়াকে বাধ্য করেছে।
সাদেক : ঠিক বুঝলাম না , আচ্ছা আমাকে সব টা বলবা এতো দিন কি হয়েছে না হয়েছে ,নাবিল কেনোই বা জেলে ? কি করেছে ? সব কিছু,
সামিরা হেসে বললো : ঠিক আছে বলবো , কিন্তু এই রোদে ভিষন বিরক্ত লাগছে ।
সাদেক: আইসক্রিম খাবা?
সামিরা : সেটাই বলতে চাচ্ছিলাম।
সাদেক হেসে পাশেই থাকা দোকান থেকে দুটো কোন আইসক্রিম হাতে নিয়ে সামিরা কে একটা এগিয়ে দিয়ে বললো : নিশ্চয়ই চকোলেট এর টা খাবে ।
সামিরা:আপনি জানেন কিভাবে?
সাদেক: আইডিয়া করলাম শুধু।এখন খাও আর বলো ,সব টা ।
সামিরা….. বলতে শুরু করলো।
আরিয়া:কিরে তোর বয়ফ্রেন্ড এখনো আসছেনা কেনো ,তখন তো বললি ওয়েট করছে নাকি।
প্রেমা : হুঁ,দাঁড়া দেখছি কল দিয়ে।প্রেমা কোনে চোখ রাখে।
ক্ষনিক বাদে একজন ছেলে ব্লাক মাস্ক পরে উপস্থিত হয়ে প্রেমার সামনে দাঁড়িয়ে বললো ,হেয় ,
প্রেমা ঠিক বুঝলো না ,কে আপনি?
ছেলেটা স্মীত হেসে বললো ,ভালোবাসার মানুষটির গলা আওয়াজ শুনেও কেউ চিনতে পারবেনা এটা প্রথম দেখলাম ।
প্রেমা সাথে সাথে লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে মুখের উপর দুহাত দিয়ে হেসে বললো ,আপনি…
ছেলেটা বললো ,কি ভেবেছিলে? অন্য কেউ এসে এভাবে ডাকবে তোমায়?
প্রেমা :এতো লেট করলেন কেনো? কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি ।
ছেলেটা হেসে বললো, ফার্স্ট মিট একটু স্বরনাপন্ন না হলে হবে বলো?
প্রেমা : খুব কথা জানেন।
ছেলেটা:না জানলে তোমাকে এমন কাছে থেকে দেখতে পারতাম? এই মিষ্টি চেহারা টুকু মিস করতাম।
প্রেমা লজ্জায় লাল হয়, এতোক্ষণে একটি বারের জন্য ও ছেলেটার দিকে তাকায়নি।
সাথে দাঁড়িয়ে আছে আরিয়া ,তা ভাই সাহেব কি এমন করে মেয়েদের মতো মাস্ক পড়েই থাকবেন ? নাকি পরিচয় টা পাবো?
ছেলেটা হেসে বললো ,আরিয়া-?
আরিয়া বিস্ময় প্রকাশ করে বললো ,নাম জানলেন কিভাবে এখনো তো কিছুই বলিনি ।
ছেলেটা এক হাতে মাস্ক টা খুলে মৃদু হেসে এক হাত বাড়িয়ে দেয় হেন্ড শেক এর জন্য,আ’ম তন্ময় ।তন্ময় আহসান।
আরিয়া তন্ময়ের হাতের দিকে তাকিয়ে একপ্রকার ভয় পেয়ে ঢোক গিলে আশপাশ টা একবার তাকায়।
প্রেমা আরিয়ার কানের কাছে গিয়ে বললো ,কি হলো তোর?
আরিয়া আর কিছু না ভেবে হালকা হাসার চেষ্টা করে হাত মিলায় ।
কয়েক সেকেন্ড যেতেই আরিয়া হাত সরিয়ে নেয় ।
তন্ময়: কিছু নিয়ে চিন্তিত?
আরিয়া:নাহ তেমন কিছু না।
তন্ময় :প্রেম তাহলে যাওয়া যাক ।
প্রেমা:এখনো প্রেম বলেই ডাকবেন?
তন্ময়:ভিষন প্রিয় যে।
প্রেমা:ঠিক আছে আর বলবো না। আপনার যা ইচ্ছা বলুন।
আরিয়া: প্রেমা তোরা যা আমার আর ভালো লাগছে না ,
প্রেমা :তোর আবার কি হলো? একটু আগেই তো বললি যাবি।
আরিয়া:তখন বলেছি কিন্তু এখন ভালো লাগছে না ,তাছাড়া ফার্স্ট মিট ইনজয় কর,কাবাব মে হাড্ডি হতে চাইনা ।
প্রেমা:আমি বলেছি হাড্ডি তুই?
তন্ময় :আপনি থাকতে পারেন প্রবলেম নেই ,তাছাড়া প্রেমিকার সাথে যদি বান্ধবী ফ্রি থাকে এতে লাভ কিন্তু আমারি হলো ।
বলে হাসলো তন্ময়।
প্রেমা: আহ , আপনার দুষ্টুমি কি শেষ হবার নয়?
তন্ময় :ঠিক আছে আমি চুপ।
আরিয়া :আপনি বেশ মজার মানুষ,এই জন্যই বুঝি প্রেমা আপনার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।
প্রেমা:একদম রাগ উঠাবিনা ,তোরা সব গুলো একরকম যাহ আমি এখনি চলে যাবো বাড়ি ।
তন্ময় :আরে রাগ করছো কেনো মজা করছি একটু।
আরিয়া : আমি গেলাম ওকে । আমি সামিরার কাছে আছি ,আর জলদি আসবি সন্ধ্যার আগে ওকে।
প্রেমা ঠিক আছে ,দেখে যাস কিন্তু।
আরিয়া সামনে হাঁটা ধরলো।
:-
সাদেক :ওহ আচ্ছা এই ব্যাপার ।
সামিরা :হুম
সাদেক:নাবিল এতো কিছু আরিয়ার জন্য করেছে? নাবিল তো এমন ছিলো না যথেষ্ট ভদ্র ছিলো,কেনো জানি এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না।
সামিরা:এটাই হয়েছে ,এটাই সত্যি।
সাদেক :হুম , আচ্ছা যতটুকু বুজলাম আয়শ তোমাকে ওয়াইফ হিসেবে মেনে নেয়নি । আচ্ছা বিয়েটা কি টিকিয়েই রাখবে ? নাকি এ সম্পর্কে কিছু ভেবেছো?
সামিরা: আই থিংক কাউকে বলা ঠিক না বাট তবুও বলছি হয়তো ওনার সাথে আমার ডিভোর্স হতে চলেছে।
সাদেক অবাক হয়ে বললো ,কি বলছো ? বিয়ে টা কি ছেলে খেলা? কেউ বললো আর করে নিলাম আবার মন চাইলে ভেঙে দিলাম।
সামিরা হাসার চেষ্টা করে বললো,আসলে জোড় করে তো আর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না তাই না?
সাদেক কি বলবে খুঁজে পেলোনা । কতোটা মাস পর নিজের প্রেয়সীকে দেখে যেমন প্রশান্ত হয়েছিলো তেমনি কালকে ধাক্কা টাও খুব জোড়ে লেগেছিলো ঠিক কলিজায় । যাই হোক দুর্বলতা টা তো আর প্রকাশ করেনি কখনো তাই সব টা নিজের মাঝেই চেপে গেলো । আর যাই হোক বিয়ে তো হয়েছে তাই বলে সম্পর্ক ভেঙে যাক নিজের প্রেয়সীর সেটা সে চায়না ।
একটা কথা বলবো?
সামিরা: বলুন!
সাদেক: পছন্দ করো আয়শ কে?
সামিরা :যেই সম্পর্ক ইতি টানবে দুদিন পর সেটার প্রতি মায়া থাকে কি করে?
সাদেক: প্রশ্ন টা এটা ছিলোনা
সামিরা:একতরফা কিছু আশা করা ঠিক না।
সাদেকের বুজতে বাকি রইলো না সামিরার মনে আয়শ কে নিয়ে সামান্য হলেও ফিলিং আছে।
-আহ প্লীজ আপনারা কারা ছেড়ে দেন বলছি আমায় । আমি কি করেছি আপনাদের?
একটা লোক হাতে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ,মাথায় কেপ পরা মুখে মাস্ক দেখার উপায় নেই ।
আরিয়া কে একটা অন্ধকার রুমে নিয়ে এসেছে ,
আরিয়া প্রেমার কাছ থেকে এসে আনমনা হয়ে কি যেনো ভেবে যাচ্ছিলো আকস্মিক একটা কালো গাড়ি এসে আরিয়া কে কয়েকজন লোক উঠিয়ে নেয় গাড়িতে ,আরিয়া তখন সাথে সাথে কিছু বোধগম্য হলো না।
লোকটা কাছে এসে বললো ,ঐ আফরান চৌধুরীর কি হস তুই? জলদি বল নয়তো মেরে দিবো।
আরিয়া :আপনারা কারা আমাকে এমন করে এখানে নিয়ে আসলেন কেনো? আমাকে যেতে দিন প্লীজ।
-আবারো জিজ্ঞেস করছি সোজাসুজি বলবি নাকি মার খেয়ে বলবি?
আরিয়া: আফরান? কোন আফরান?
-লোকটা হাতের লাঠি টা দিয়ে আরিয়ার বা দিকে বাহু বরাবর একটা বাড়ি মারে।
আরিয়া :আহ মারছেন কেনো আমায় ? কি করেছি আমি? আমি তো আপনাদের কোনো ক্ষতি করিনি ।
লোকটা:এই মেয়ে কি বলছি বুঝিস না? এতো ন্যাকামি করছিস কেনো? যতো সব ,বলবি নাকি মেরে দিবো?
আরিয়া:কি বলতে হবে বলুন? আমি বলছি কিন্তু,আমাকে যেতে দেবেন আগে বলুন।
লোকটা তার ভয়াবহ হাসি টেনে বললো ,এইতো লাইনে এসেছিস ,আফরান চৌধুরী কি হয় তোর? ? সত্যি করে বল শুধু ভাই নাকি তোর সাথে ঐ বেটা লাইন মারছে?
আরিয়া:উনি … উনি আমার কিছু হয়না , সত্যি বলছি । উনি একটা প্রতারক , এইটুকু জানি।
-তোর নাটক দেখার জন্য এসেছি এখানে? ঠিক করে বল ।
আরিয়া: । আমি উনার বোন হই ,আমার ছোট চাচার ছেলে ।
– তোর আর ঐ বেটার মাঝে সম্পর্ক আছে কোনো?
আরিয়া:ছিলো এখন নেই
– কেমন সম্পর্ক ছিলো?
– আরিয়া :আসলে ঐ লোকটা আমাকে ধোঁকা দিয়েছে ,প্রতারক উনি । কিন্তু আপনি কে? সত্যি করে বলুন ।
– লোকটা বাঁকা হেসে জায়গা ছেড়ে একটু দুলে গিয়ে কাকে যেনো কল দিয়ে বললো , কিছু হয়না ঐ বেটার ,তবে মনে হয় আফরান চৌধুকে মেয়েটা পছন্দ করে , আফরান চৌধুরী এসবে নেই। এইটুকু বুঝলাম,এখন মেয়েটাকে ছেড়ে দেবো? নাকি মেরে দেবো?
– কখনো যেনো বাড়ি ফিরতে না পারে।
– ওকে মেম । বলে ফোনটা কেটে দিয়ে পেছনে তাকিয়ে অবাক হলো ,এই মাত্রই তো মেয়েটা এখানে ছিলো ,কোথায় গেলো? পালিয়ে গিয়ে কোথায় যাবে ?
। লোকটা আরিয়া কে খোঁজার জন্য কয়েকজন লোক কে বাহিরে পাঠায়।
– বাহিরে যেতেই আরিয়া কে দেখলো দৌড়ে যাচ্ছে,লোক গুলো ও আরিয়ার পিছন নেয় ,
– এই মেয়ে দাঁড়া বলছি , একবার পাই তবে লাশ ফেলে দেবো বলে দিলাম।
হঠাৎ আরিয়া আর লোক গুলোর মাঝে বরাবর দুটো গাড়ি এসে ব্রেক করে ।
আরিয়া পেছনে একবার তাকায় লোকগুলোকে ঠিক দেখা যাচ্ছে না গাড়ি দুটোর জন্য ,মনে মনে গাড়ি দুটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে আবারো দৌড়ে অন্য গলিতে ঢুকে গেলো ,
-লোক গুলো সামনের গাড়িটার কাছে এসে বললো ,তোদের জন্য হাত ছাড়া হয়ে গেলো মেয়েটা আজ তো তোদের … এটুকু বলে আটকে যায় কারন গাড়ির দরজা খুলে বের হয়ে আসে তানভীর, তানভীর কে চিনতে তাদের অসুবিধা হয়নি আফরান চৌধুরীর আশে পাশেই সব সময় থাকে বিশেষ এসিস্ট্যান্ট।
লোক গুলো ঢুকে গিলে বললো ,আ…আপনি ।
তানভির : সোজা বল ঐ মেয়েটার পেছনে কেনো লেগেছিস?
– একটা লোক সামনে এসে বললো ,তোর সমস্যা কি? তোকে কেনো বলতে যাবো? তুই তো ঐ মি,মাফিয়ার চামচা ,চামচার মতোই থাক ।
– তিনভীরের হাতে একটা বন্দুক তুলে দেয় পেছনে থাকা একটা লোক।
তানভীর বন্দুক এর দিকে তাকিয়ে বললো ,বলবি নাকি এটা ব্যবহার করতে হবে? সেটা বল ।
– লোকটা ঢোক গিলে বললো ,এসবের ভয় কাকে দেখাস? এসব নিয়ে প্রতি মূহুর্তে খেলাই আমাদের কাজ ,ভূল জায়গায় ভুল কাজ করিস না ,দেখ তোকে ছেড়ে দিচ্ছি চলে যা ,মেয়েটাকে তো অন্য দিন দেখে নেবো।
তানভীর বাঁকা হেসে লোকটার পা বরাবর বন্দুকের একটা গুলি চালায় ,
-এহ কি করছিস তুই? আমাদের পেছনে লেগেছিল কেনো? আহ..কি করেছি তোর? ভালোয় ভালোয় বলছি সরে যা ।নয়তো…
-তানভীর বাঁকা হেসে সামনে দুকদম এগিয়ে গিয়ে বললো ,বলবি নাকি বুকে চালাবো সেটা বল,মেয়েটার পেছনে পড়েছিস কেনো?
-ওটা জেনে তোর কি কাজ? যেটা কাজ সেটা কর না গিয়ে , নাকি এটাই সত্যি যে ,আফরান চৌধুরীর সাথে এই মেয়ের কোনো কানেক্ট আছে? এখন তো মনে হচ্ছে এটাই হবে । বাহ আফরান চৌধুরীর ও মেয়ে মানুষ লাগে ,
পেছন থেকে একটা লোক বলে উঠলো ,আদেশ দেন এই বেটা এসিস্ট্যান্টর এক কুপে খুলি উড়িয়ে দেই ,কথাটা বলতে দেরী হলেও তানভিরের ট্রিগার চালাতে দেরী হলোনা ।
সাথে সাথে লোকটা মাটিতে হেলিয়ে পড়ে।
-এখনো বলছি মরতে না চাইলে বল ,কার কথায় মেয়েটার পেছনে লেগেছিস?
লোকটা তবুও মুখ খুললো না ,তানভীর পেছনের দুটো লোককে কিছু ইশারা করতেই লোক দুটো সামনের দুটো লোককে ধরে জোড় পূর্বক গাড়িতে উঠালো।
সামিরা আরিয়া প্রায় সন্ধ্যা বেলায় বাড়ি ফিরে ,
আরিয়া সামিরার কাছে সব কিছু খুলে বললে ,সামিরা ভয়ে আর এক মুহূর্তও দেরী না করে আরিয়া কে নিয়ে বাড়ি চলে আসে প্রেমা কেও বলে দেয় যেনো বাড়ি চলে যায় ।
কিন্তু বাড়িতে ঢুকার সাথে সাথে অবাক হয় পুরো বাড়ি তে এতো এতো মানুষ,সবাই পুরুষ মানুষ, চারদিকে কালার বাতির ঝলকে বাড়িটাকে রঙিন মনে হচ্ছে,কারো চেহারা স্পষ্ট নয় ,বক্সে পার্টি গান বাজছে ।
সামিরা :কি হলো রে আরু? বাড়িতে কিছু আছে নাকি? কি দুপুরে তো দেখে গেলাম সব কিছু ঠিক ঠাকই ছিলো,তাহলে? বাবা আমাদের কিছু বললো না কেনো?
আরিয়া:আমি তো তোর সাথেই ছিলাম জানবো কি করে? আর এতো বছরেও বাড়িতে এমন পার্টি অনুষ্ঠান তো কখনো হতে দেখিনি।
সামিরা : আচ্ছা বাবাকে জিজ্ঞেস করি চল।
আরিয়া :চাচা কে কোথায় খুজবো এখন? এতো মানুষের মাঝে?
সামিরা :উপরে চল আগে ফ্রেস হয়ে আসি ।
আরিয়া সামিরা উপরে যেতেই যাওয়ার পথে জাফর সাহেবের দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো ,জাফর সাহেব কাত হয়ে শুয়ে আছে ,
আরিয়া সামিরা ভেতরে ঢুকে বললো ,চাচা বাড়িতে আজ কি গো? কিছুই তো বললে না।
জাফর সাহেব শুয়া থেকে উঠে বললেন ,আমিও সেই প্রশ্ন নিয়েই আছি ,
আরিয়া:বুঝিয়ে বলো । পার্টি কিসের? কোনো ভালো খবর আছে নাকি? কোনো প্রমোশন হয়েছে তোমার?
জাফর:পার্টি আমার নয় আফরানের ,আমাকে কল দিয়ে বললো ,বাসায় ফিরতে আর কিছুই বলেনি ,বাড়িটাকেও কালো পানির জায়গা বানালো এই ছেলে ,
সামিরা: হঠাৎ করে ভাইয়ার আবার কি হলো?
আরিয়া : সে যাই হোক ,আমাদের জেনে লাভ নেই ,রুমে চল।বলেই জায়গা দ্রুত পায়ে হনহন করে রুমে যায় , কিন্তু গিয়ে আরেক দফা অবাক হয় ,তার রুমে এই মেয়ে কি করছে? যেই মেয়েকে দুচোখে সহ্য করতে পারেনা আরিয়া সেই তার রুম অব্দি চলে এসেছে দখল করতে ,এই মেয়ে তুমি আমার রুম পর্যন্ত এসে গেছো ,সাহস হয় কিভাবে? তোমার বয়ফ্রেন্ডের রুমে জায়গা হচ্ছে না বুঝি?
স্নেহা: তুমি ঠিক কি বুঝাতে চাইছো বুঝলাম না।
আরিয়া:একদম না বুঝার ভান করবেনা ,আমার রুম থেকে বের হও অসভ্য মেয়ে কোথাকার ।
স্নেহা:তুমার নাম টা কি যেনো?
আরিয়া:কি করবে তুমি? এখনি বের হয়ে যাও আমার রুম থেকে .
স্নেহা:এই মেয়ে ভদ্র ভাবে কথা বলো বলছি ,তুমি জানো আমি কে?এমন আচরণের জন্য কি হতে পারে তুমি জানো?
আরিয়া মেয়েটার এক হাত ধরে টানতে টানতে বাহিরে নিয়ে হাত টা ছেড়ে দিয়ে বললো ,অন্যের জিনিস কেড়ে নিতে তোমার পছন্দ বুঝি? সে যাই করো আমার রুমে আসবেনা কখনো ,
স্নেহা:কাজ টা তুমি ভালো করলেনা আরিয়া ,এর ফল ভুগ করতে হবে।
আরিয়া আর একটা কথাও না শুনে মুখের উপর ঠাস করে দরজা টা লাগিয়ে দিলো।
আফরান সোফায় ড্রিঙ্ক হাতে বসে আছে ,সামনে কতো গুলো পেপার রাখা,তার সামনেই স্নেহা আর তার বাবা মাহিন খান বসে আছে ,পাসে আরো বড় বড় বিজনেস মেন বসে ,প্রায় অনেকেই বিদেশ থেকে আসা , খুব জরুরী এই বিজনেস ডিল টা সবার জন্য।
আফরান কয়েকবার পেপার গুলো দেখে নিলো ।
ড্রিঙ্ক এ চুমুক বসাতে বসাতে বললো ,মি,খান ,খুব ভালো প্লেয়ার আপনি আই লাইক ইট। বলে কলম টা হাতে নিলো।
মাহিন খান : সাইন করার আগে আমার আরো একটা শর্ত আছে।
আফরান:সুযোগ পেলে শেয়াল ও সিংহের জায়গায় আসতে চায় ,তা বলুন কি শর্ত?
মাহিন হেসে বললো : ইন্টেলিজেন্ট বয় ,বলে দাঁড়িয়ে বললো ,গাইস ,আমার মেয়ে স্নেহা,k ইন্ডাস্ট্রির একমাত্র উত্তর সূরী
সবাই নিশ্চয়ই জানেন । আজকে এই ডিল টা হওয়ার সাথে সাথে যেমন সবার কম্পানির লাভ দিগুন লাভ করবে তাই ভাবছি আনন্দের পাশাপাশি আরেকটা খুশির খবর ও হয়ে যাক ।আমার মেয়ে স্নেহার সাথে আজ মি, আফরান চৌধুরীর এঙ্গেজড মেন্ট টাও হয়ে যাবে,দুজন আগে থেকেই একে অপর কে পছন্দ করে সবাই নিশ্চয়ই জানেন।
মাহিন খান এর কথায় সবাই করতালি বাজায় ।
স্নেহা মুখে হাসি ফুটায়।
আফরান ড্রিঙ্ক এর গ্লাস টা টেবিলে হালকা শব্দে বারবার ঠেকাচ্ছে।
স্নেহা : কিছু হয়েছে ?
আফরান পেপার গুলোর দিকেই তাকিয়ে রইল ,চোখ দুটো লাল হয়ে আছে।
জাফর সাহেব এতোক্ষণ চুপ করে উপরে তাকিয়েই দেখছিলেন কিন্তু এটা শুনার সাথে সাথে নেমে এসে আফরানের সামনে দাঁড়িয়ে বললো ,কি হচ্ছে এসব? সেদিন তো বলছিলে আলিয়ার সাথে নাকি রেজিস্ট্রি হয়েছে তাহলে ? এসব নাটকের মানে কি? আমি চোখ এতো দিন চুপ ছিলাম কিছু জিজ্ঞেস করিনি ঐ ব্যাপারে কারন আমার মনে হয়েছিলো যে,আরিয়া মামনি কে তুমি সত্যি…
এটুকু বলতেই স্নেহা দাঁড়িয়ে বললো ,হুয়াট? কি সব বলছেন আঙ্কেল?
আফরান তোমার বাবা কি বলছেন এসব? ভূলে গেছো আমাদের বিয়ে আরো ৪ বছর আগেই ঠিক হয়েছিলো।
আফরান এবার হাত থেকে গ্লাস টা রেখে দাঁড়িয়ে বললো,সেদিন বলেছিলাম নাটক করছি সব টা ভুলে গেছো দেখছি ,আর ওর মতো মেয়েকে আমি কেনো কোনো ছেলে বিয়ে করবে বলে মনে হয়না । সে যাই হোক স্নেহার সাথে আমার বিয়ে চার বছর আগেই ঠিক হয়েছিলো । জানানোর দরকার মনে করিনি ,
জাফর সাহেব: আফরান তুমি কিন্তু….
হঠাৎ কোথা থেকে আয়শ এসে আফরানের কলার ধরে বললো ,তুই মিথ্যে কি করে বলছিস? আরু কে ঠকাচ্ছিস কেনো? মেয়েটা এসব শুনলে নিতে পারবে? তোর ধারনা নেই কি করছিস আফরান।
আফরান দাঁতে দাঁত খিছে বললো , তোর সাহস দেখে অবাক হচ্ছি,হাত টা ছাড় আর এখান থেকে যা নয়তো কি হবে তোর আইডিয়া নেই।
উপস্থিত সকলেই বিস্ময়ের চুড়ান্ত সীমায় পৌছায় , আফরান চৌধুরীর গায়ে এভাবে হাত দেওয়ার ও মানুষ আছে?
আফরান : দেখ হাত টা সরা যা হচ্ছে হতে দে
আরিয়া সামিরা উপরে একসাথে দাঁড়িয়ে সব টাই দেখে যাচ্ছে ।
আরিয়া:দেখলি বলেছিলাম তোরা যেমন টা ভাবিস ভাইয়া এমন নয়।
সামিরা : আমার বিশ্বাস হচ্ছে না যে ভাইয়া এমন করবে , কিছু তো অবশ্যই আছে।
আরিয়া: চোখে দেখেও বিশ্বাস হচ্ছে না । এখনো ঐ লোকটার পক্ষেই কথা বলবি।
সামিরা আরিয়ার আপা কন্ঠ শুনে বুজতে পারে কি যাচ্ছে মেয়েটার ভেতর দিয়ে।
আরিয়া দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বললো , আচ্ছা চাচা যে তখন বললো , রেজিষ্ট্রির কথা ? কিসের রেজিষ্ট্রি রে? জানিস কিছু?
মি মাফিয়া পর্ব ২৯
সামিরা কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিচ থেকে কিছুর শব্দ আসে ,দুজনে নিচে তাকায় ।
সাদেক আয়শ কে জোড় করে আফরানের কাছে থেকে সরাতে গিয়ে পাশের টেবিলের উপর থেকে কিছু গ্লাস নিচে পরে।
অসহ্য সিমায় গিয়ে আয়শ জায়গা ছাড়ে ।
জাফর ফুঁসতে ফুঁসতে বললো ,যদি সেদিন সব মিথ্যা হয়ে থাকে তবে তোমার যা ইচ্ছা করতে পারো , কিন্তু আজকের পর এই বাড়িতে তোমার আশা নিষিদ্ধ।বলেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়।
মাহিন খান উপস্থিত সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বলে ,এভ্রিওয়ান! আমরা আমাদের অনুষ্ঠান চালিয়ে যাই ।