মোহমায়ার বাহুডোরে পর্ব ৫
সাদিয়া
নিভূত বিজন রজনীর কালো আঁধার চারিদিকে। রাত মনে হয় ১০ টার উপরে বাজে। মায়রাদের বাসাটা আবাসিক এলাকায় হওয়ায় নির্জনতা বিরাজ করে। খুব বেশি কোলাহল থাকে না বলে পরিবেশ টা শান্ত সতেজ লাগে সর্বদা। এই যেমন রাত ১১ টাও বাজেনি এখনি চারিপাশ কেমন শুনশান নিরিবিলি।
ফাতেমা বেগম আর মায়রা মিলে ইহাম কে রাতের খাবার পরিবেশন করছে। টেবিলের উপর দুপুরের মতো এলাহি আয়োজন দেখে ইহাম আবার চোখ ফেরায় মায়রার দিকে। সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে হয়তো অনেক কিছুই বুঝে নেয় সে। তার ক্ষোভান্বিত দৃষ্টি মনে হয় সুচালো ভাবে মায়রা কে পর্যবেক্ষণ করে নিয়েছে দৃঢ়তার সহিত। সেই যে ওই শরীর জ্বালানো ভয়ংকর কথা বলে সঙ্গেসঙ্গে রুম থেকে বের হয়েছিল এরপর থেকে একবারও আর তার সামনে আসেনি। এখনোও দেখো শাড়ি পরে হাটতে চলতে পারছে না অথচ তার সামনে জেদ দেখিয়ে কেমন শাড়ি পরে রয়েছে। তাকে জ্বালাতে কিংবা রাগাতে চাইছে নাকি?
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
একবারও তার চোখের দিকে তাকাওনি পর্যন্ত। তার সাথে কেমন সস্তা ইগো আর তেজ দেখাচ্ছে অভদ্র মেয়েটা। সে কি জানে এই তেজ ঝড়াতে ক্যাপ্টেন ফাহাদ ইহাম চৌধুরীর এত সময় লাগবে না। আর না এই সস্তা তেজের কোনো দাম আছে তার কাছে। অগ্নিদৃষ্টিতে মায়রার দিকে তাকাতেই চোখেচোখ পড়ল দুজনের। মায়রা ওই আগুন মেশানো দৃষ্টিতে ঘাবড়ে গেলেও নিজেকে সংগোপনে ধাতস্থ করে নিল অনিমেষ। কি ভেবেছে ওই লোকটা চোখের উত্তাপে তাকে দমিয়ে রাখতে পারবে? সামান্য শাড়ি পরতে বারণ করেছিল সে। সেই বারণ অমান্য করে শাড়ি পরেছে বলে কি প্রথম সাক্ষাতেই তার সামনে এমন কুরুচির আচারণ করবে নাকি? যেখানে এতবছর বয়সে তার বাবা তাকে একবার গায়ে হাত তুলেনি সেখানে চিনা নেই জানা নেই স্বামী নামক একটা অপরিচিত মানুষের এমন অনৈসর্গিক কাজ কি করে মেনে নিবে সে? ওই লোকটার উদ্ধতপূর্ণ স্বভাব কিছুতেই সে মেনে নিতে পারে না।
মিথিলা তখন একা রুমে খানিক উচ্চরবেই কথা বলছিল,
“তুমি কি ভেবেছো তোমার সব কথাই আমি মেনে নিব? তুমি যা বলবে তাই হবে নাকি? তুমি যদি ভেবে থাকো আমাকে তুমি নিয়ন্ত্রণ করে চলবে তাহলে কিন্তু ভুল। এমন চলতে থাকলে আমি তোমার সাথে সম্পর্ক টাই রাখতে পারব না।”
মায়রা মলিন মুখে মিথিলার কাছেই আসছিল এই মুহূর্ত এমন কথায় একটু থামল সে। ফোনের ওপাশ থেকে কি বলল তা আর শুনা হলো না। তবে মিথিলা আবার বলে উঠল,
“আমি কোথায় রেগে যাচ্ছি? আমি শান্ত ভাবেই কথা বলছি। রিলেশনশিপে যদি তুমি এভাবেই থাকতে চাও তবে আমি বলব আমার পক্ষে আগানো সম্ভব নয়। আমি স্বাধীনচেতা একটা মানুষ আমাকে কিন্তু তুমি তোমার বারণে আটকে রাখতে পারবে না।”
খুব মনোযোগ দিয়ে মায়রা সবটা শুনছে। কপালে ভাঁজ ফেলে সে বিষয়টা আঁচ করার চেষ্টা করছে। মিথিলা একটু থামল। ওপাশ থেকে বুঝি মিথিলা আপুর বয়ফ্রেন্ড কিছু বলছে। পরক্ষণে মিথিলা কেমন শান্ত হয়ে গেল। তেজহীন গলায় নিচু ভাবেই বলল,
“মনে থাকবে তো? আর কখনো এমন করবে না তো? প্রমিস করো আর কিছু তে বারণ করবে না আমায়। নয়তো আমি… ”
মিথিলা আপু কথা সম্পূর্ণ না করেই চুপ হলো। মায়রা বিষয়টা সুন্দর করে নিজ দায়িত্বে বুঝে নিল। মিথিলা আপু আবার বলল,
“ইটস ওকে জান। আই লাভ ইউ টু।”
মিথিলা আপু মনে হয় ফিসফিস করে আবারও কিছু বলল। তারপর কল কেটে পিছন ফিরতেই মায়রা কে দেখে কপাল কুঁচকে নিল। শঙ্কিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
“কি মায়রা? ওখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?”
মায়রা থতমত খেলো। চুপচাপ এগিয়ে গেল রুমের ভেতর। শান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
“আচ্ছা আপু তুমি একটু রাগারাগি করতেই ছেড়ে যাবে বললেই কি ভাইয়া কাবু হয়ে যায়?”
মিথিলা মুচকি হাসল। ফোনটা বিছানার উপর রেখে মায়রার দিকে তাকাল। হেসে হেসে জবাব দিল,
“হ্যাঁ রিফাত আমায় খুব ভালোবাসে। আমি একটু রাগারাগি করলে সে পাগল হয়ে যায় কি করে আমাকে মানিয়ে নিবে সেটা ভেবে। আর যদি একটু বলি ব্রেকআপ করে নিব বা চলে আসব তাহলে আর কোনো কথাই চলে না। আমার সব কথা তখন চোখ বন্ধ করে মেনে নেয় সে। আসলে পুরুষ মানুষ এমনই। একটু ভয় দেখালেই কাবু হয়ে যায়।”
নির্বোধ মায়রা মিথিলার এই সহজ কথাটা নিজ মনের মসলায় কসিয়ে নিল। নিজের উত্তাপে তা রন্ধন করবে বলে বুঝি গভীর ভাবনায় মগ্ন হলো।
রাত তখন ১১ টা বেজে ৩৬ মিনিট। ড্রয়িংরুমে মিথিলা, তুহিন, মায়রা আর ইহাম বসে আছে। ফাতেমা বেগম আর মহিন সাহেব চলে গিয়েছেন নিজেদের ঘরে। যাওয়ার আগে ভালো ভাবে বলে গিয়েছেন মায়রা কে। ইহাম চা খেতে চাইলে যেন সে নিজে চা বানিয়ে দেয়।
“ইহাম ভাই আপনি কোন ডিপার্টমেন্টের ক্যাপ্টেন?”
ইহাম যেন মেপে মেপে সাবলীল ভাবে জবাব দিল,
“স্পেশাল ফোর্স সেক্টরে।”
মায়রা ছোটছোট চোখে তাকিয়ে রয়েছে ইহামের গম্ভীর মুখের দিকে। কথা কম বলা ওই কঠিন পুরুষটি তার চোখে বড্ড সুদর্শন ও কাঙ্ক্ষিত সুপুরুষ। কিন্ত মেজাজ আর ব্যবহার? ভাবতেই রাগে কটমট করে উঠল মায়রার ক্ষোভান্বিত চিত্ত। আচমকা ইহাম তার দিকে তাকাতেই ভীষণ লজ্জা পেল সে। ত্বরায় চোখ নামিয়ে ইতস্তত বোধ করল। ইহাম শাণিত নজরে মায়রা কে এক পলক দেখল। তুহিন উৎফুল্লের সাথে আবার বলে উঠল,
“আচ্ছা ইহাম ভাই এই সেক্টরের কাজ কেমন মূলত? আসলে ডিফেন্সে আমার একটু আগ্রহ আছে।”
ইহাম শান্ত গভীর গলায় জবাব দিল,
“এই সেক্টর টা একটু ডেঞ্জারাস। এই এলিট ইউনিট বেশ বিপদজনক। এখানে মৃত্যু কে পাছে ফেলে নামতে হয়। ভয়ের একবিন্দু রেশ থাকলেও এভানে তুমি টিকতে পারবে না। শত্রু অনায়াসে তোমাকে ঘায়েল করে নিতে পারে। খুব রিস্কি অপারেশন থাকে এই ইউনিটে। স্পেশাল ফোর্সের প্রতিটি ক্যাপ্টেন মিশনের পরিকল্পনা, সমন্বয় ও পরিচালনায় থাকে। প্রতিটি সৈন্যের প্রশিক্ষণ, কৌশল নির্ধারণ, শত্রুর মোকাবিলা করার প্রস্তুতি এই ইউনিটের প্রধান কাজ। এজ এ ক্যাপ্টেন হিসাবে আমাদের সবসময় চ্যালেঞ্জিং কাজে নিযুক্ত থাকতে হয়। এখানে যদি সাহস দৃঢ়তা দক্ষতা থাকে তবে শত্রু মোকাবিলার মাঝে তুমি ভীষন মজা পাবে।”
“আপনার কাজের মাঝেই বুঝা যায় ইহাম ভাই আপনি কতটা দক্ষ আর সাহসী। আপনার ব্যক্তিত্ব সত্যিই অনেক প্রখর।”
মায়রা খেয়াল করল তুহিনের কথায় ইহাম শান্ত চোখের দৃষ্টি ফেলল। ঠোঁট মৃদু প্রসারিত করল সে। তবে সেটা কোনোভাবেই মুচকি হাসির তালিকায় ফেলা গেল না। হয়তো সে গভীর ভাবে নজর দিয়েছে বলে দেখতে পেয়েছে। অন্যরা হয়তো সেটাও পারেনি। মিথিলা তুহিনের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল,
“তুই এসব জানতে চাইছিস কেন?”
তুহিন কটমট করে তাকাল তার দিকে। বিদ্রূপ করে বলল,
“বেয়াদব মেয়ে আপনি করে বল। তোর থেকে তিন বছরের বড় আমি।”
মিথিলা মুখ ভেংচালো। তুহিন কে তুচ্ছ করে বলল,
“উমমম, আইছে। তিন বছরের বড় আয় তোকে এখন দাদাসাহেব ডাকি।”
“হ্যাঁ হ্যাঁ তাই ডাক। বংশের বড় ছেলে বলে কথা।”
“তুই যে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এখনো সর্দি লাগলে হিঙ্গুল খাস সেটা আমি সবাই কে বলব।”
তুহিন রেগে আচমকা কুশন টা ঢিল মারল মিথিলার দিকে। মিথিলাও রেগে সেটা আবার ফিরিয়ে দিল তুহিনের দিকে। মায়রা শুধু বোকার মতো বসে থেকে দর্শকের ভূমিকায় লিপ্ত হলো। তুহিন আর মিথিলা তর্কাতর্কি লাগার পূর্বেই ইহাম রুক্ষ গলায় বলে উঠল,
“গাইজ ভীষণ ক্লান্ত লাগছে। রাতও হয়েছে। বাচ্চামি রেখে চুপচাপ নিজেদের রুমে যাও। মায়রা ঘরে এসো। ওরা হাড্ডাহাড্ডি করে ক্লান্ত হয়ে নিজেরাই ঘরে চলে যাবে।”
ইহাম হনহন করে ঘরে চলে গেল। মায়রা শুধু স্তব্ধ হয়ে নির্বাক বিমূঢ় চিত্তে তাকিয়ে আছে। এতকিছুর মাঝে তার মাথায় ঝংকার তুলে একটা কথায় বারংবার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। হৃদয়ের সকল রাগ জেদ কে ধূলিসাৎ করে তার দুল্যমান কায়া কেমন নিস্তেজ নির্জীব হয়ে আসছে সেই সাংঘাতিক কথার জোয়ারে। কানের মসৃণ পর্দায় পুনঃপুন অনুরণন তুলছে ভয়াবহ শরীর শিউরানো সেই কথাখানা।
“মায়রা ঘরে এসো।”
ধরণির বুকে যামিনীর সময় ১২ টা ছুঁইছুঁই। ভয়ে ভয়ে মায়রা রুমের ভেতর প্রবেশ করল। ভেতরটা তীব্র দাবানল ছারখার হচ্ছে। অদ্ভুত এক শঙ্কা তার হৃদয়ে নিমজ্জিত। ভেতরটা থরথর করে কাঁপছে তার। এই মুহূর্তে তার রাগ জেদ যেন অবিদিত কারণে লুপ্ত অপহত হয়েছে। পা টিপে টিপে নিজের পরিচিত আরামদায়ক কক্ষেও ভয় নিয়ে প্রবেশ করল সে।
ইহাম তখন আগের বারের মতোই সটান হয়ে কপালে হাত ঠেকিয়ে শুয়ে আছে। মায়রা ঢোক গিলে নিজের সমস্ত সংশয় শঙ্কা হজম করার অভিপ্রায় করল। তখনি হিমশীতল এক কণ্ঠস্বর তার শরীর প্রবলভাবে কাটা দিয়ে উঠল। স্তব্ধ নিঃশব্দ রুমে সেই স্বর শিউড়ানোর মতো বিঁধল তার ভীত তনুতে। বুকের ভেতর আচমকা অদ্ভুত গতিতে শব্দ তুলে স্পন্দন শুরু হয়েছে।
“তোমার এই আসার সময় হলো মায়রা? কখন আসতে বলেছিলাম রুমে?”
তরাসে ঢোক গিলল মায়রা। ললাট কুঁচকে সে তাকিয়ে থাকে চোখ মুখ ঢেকে রাখা ইহামের দিকে। মানুষটার সচল মস্তিষ্ক বড্ড তীক্ষ্ণ আর ধূর্ত। একজন দক্ষ সৈনিকের বিড়াল কানও বুঝি তার নিঃশব্দে ফেলা পায়ের লঘু ধ্বনিটুক কে ছাড় দিল না। তাই তো আগের মতোই না দেখেও কি ভাবে অনুমান করে নিল সবটা। ওই মানুষটার চতুরা কিংবা তীক্ষ্ণতায় একবিন্দু সংশয়ের থাকার কোনো অবকাশই নেই।
ইহাম ধীরেসুস্থে উঠে বসল। হাতে থাকা G-Shock এর খাকি রঙ এর আর্মি ঘড়িটায় সময় দেখে ধীর বিনয় স্বরে বলে উঠল,
“তুমি অলরেডি তেরো মিনিট চুয়ান্ন সেকেন্ড লেইট। হোয়াই মায়রা?”
চুপচাপ মায়রা দাঁড়িয়ে রইল। ওই গভীর চোখের অগাধ দৃষ্টির দিকে এক পলক তাকিয়ে নিজেকে কেমন খাপছাড়া রূপে আবিষ্কার করল সে। দ্রুত দৃষ্টি সরিয়ে মাথা নত করে নিল। ইহাম শান্ত তবুও গম্ভীর করে বলল,
“কাম টু মি মায়রা।”
ধক করে ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল মায়রার কায়া। চকিতে বিস্ময় নিয়ে তাকাল ইহামের দিকে। বুকের ভেতর লণ্ডভণ্ড করা এক অশান্ত নাম না জানা ঝড় তাকে বেসামাল করে তুলছে। ইহাম তখনো তার দিকে শান্ত দৃষ্টিতেই তাকিয়ে আছে। রাশভারী গলায় আবারও বলে উঠল,
“এদিকে আসো।”
তরাসে গলাটা বুঝি মায়রার খা খা করছে। হতবিহ্বল রূপে সে বাকরুদ্ধ হয়েছে। নির্নিমেষ দৃষ্টি টা কুঠর হতে সরতেই চাইছে না। তড়িতে বুঝি ইহাম হাতের পেঁচে একদম তার বাহু খামছে এনে নিজের কোলে বসিয়ে দিল। অকস্মাৎ কান্ডে একেবারে হকচকিয়ে গিয়েছে মায়রা। থতমত মুখটা ভীষণ বিব্রতকর লাজুক লাগছে। সেসবের পায়তারা না করে ইহাম আবারও জিজ্ঞেস করল,
“কথা অমান্য করা আমি বরদাস্থ করি না মায়রা। অভদ্রতা মুটেও আমার নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।”
মায়রার শক্তিতে কুলেচ্ছে না ওই গভীর চোখের শাণিত দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকতে। তবুও তার চঞ্চল দৃষ্টি খুরপাক খাচ্ছে অতল প্রগাঢ় নয়ন জোড়ায়। সেই চোখের ভাষা বুঝার ব্যর্থ চেষ্টায় মেতেছে সে। লোকটা কি বুঝাতে চাইছে তাকে? মানুষটার হুকুম শুনতে বাধ্য সে? দাসী নাকি সে যে যা বলবে তাই অক্ষরে অক্ষরে পূরন করতে হবে? মনে পড়ল তার মিথিলার কিছু কথা। মুহূর্তে তার চোখ গুলিও কেমন বিদ্বেষে ভরে গেল। ফট করে উঠে সে ইহামের কোল থেকে উঠে গিয়ে শক্ত গলায় জানাল,
মোহমায়ার বাহুডোরে পর্ব ৪
“আপনার সব কথা আমি শুনতে যাবো কেন? আপনি কি আমাকে দাসী পেয়েছে নাকি যা হুকুম করবেন তাই শুনব আমি?”
শান্ত শীতল চোখ গুলি মুহূর্তে যেন হিংস্র হয়ে উঠল। লাল চোখ গুলি তে ইহামকে কেমন ভয়ংকর দেখালো। চোয়াল শক্ত করে সে আবারও মায়রা কে কঠোর ভাবে নিজের কোলে বসিয়ে কোমর চেঁপে ধরল। অন্য হাতে কঠিন ভাবে আঁকড়ে ধরল মায়রার নরম কোমল হাতের কব্জি। ব্যথায় অস্বস্তিতে মেয়েটা চোখ মুখ এক করে নেতিয়ে নিয়েছে ঘন পাপড়ির আবিষ্ট আঁখিগুলি। হিংস্র ভয়ানক মুখাবয়বে দাঁতে দাঁত কেটে ফিসফিস করে শুধালো ইহাম,
“তখন তো খুব সস্তা মার্কা ইগো দেখিয়ে বলেছিলে আমি দুশ্চরিত কাপুরুষ। এখন কি তেজ দেখিয়ে আমার কাছ থেকে সেটার প্রুফ চাইছো নাকি?”