মোহশৃঙ্খল গল্পের লিংক || মাহা আয়মাত

মোহশৃঙ্খল পর্ব ১
মাহা আয়মাত

— বল তো, মরার আগে মিসেস আরভিদ কারদার হতে চাস, না পরে, রেডলিপ?
লাল টুকটুকে শাড়িতে মোড়ানো তরুণীটিকে দেয়ালের সাথে জোরে চেপে ধরে প্রশ্নটি ছুড়ে আরভিদ। কাঁধে আরভিদের শক্ত আঁকড়ে ধরা স্পর্শে তরুণী কিঞ্চিৎ কেঁপে ওঠে, সামান্য যন্ত্রণা হলেও মুখে তা প্রকাশ পায় না। বরং চোখে ভেসে ওঠে কঠিন দৃঢ়তা—ঠাণ্ডা, তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আরভিদের চোখে চোখ রেখে সে বলে ওঠে,

— দুইটার একটাও না!
— দুইটাই না বলার লাক তোর নেই।
— একটাতেও ‘হ্যাঁ’ বলানোর ক্ষমতা আপনার নেই!
আরভিদ ঠাণ্ডা হেসে সামনে ঝুঁকে বলে,
— ক্ষমতা? একটু পরেই তোর ‘না’ শব্দটাকে আত্মহত্যা করাচ্ছি।
— পারবেন না। আমি মেহজা তালুকদার—নিজের মর্জির একমাত্র মালিক!
— তোর মর্জি? ওটা আজ থেকে আমার ইশারায় চলবে!
আরভিদের কথা শুনে মেহজার রাগের আগুন চোখে ঝলসে উঠল। যেন তার চোখ থেকে আগুন ঝড়ছে। সেই আগুনঝরা চোখ নিয়ে সে তীব্র কণ্ঠে বলে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

— আপনার মতো বাজে ইশারা আমার ওপর চলবে না, আরভিদ ভাই!
আরভিদ চোখে আগুন জ্বলে ওঠার মত তীব্র রাগ ধরা, তবু তার ঠোঁটে অল্পেক মৃদু হাসি ফুটিয়ে বলতে শুরু করে,
— তুই নিজেকে যা ভাবিস, আমি তার থেকেও বড় কিছু ভাঙতে পারি, রেডলিপ!
— “ভাঙার চেষ্টা করবেন না আমায়—ভেঙে গেলে আমার প্রতিটা টুকরো আপনার বুক চিরে যাবে।“
— “বুকেই রেখেছিলাম তোকে—যেন নিঃশ্বাস, যেন রক্ত। তোর হাতে তখন পুতুল, আর আমার বুকে তুই। কিছু বলিনি, শুধু দেখেছি তোকে বড় হতে, উড়তে দিয়েছি নিজের মতো। এই সাত বছর তোকে পাওয়ার আশায় ছটফট করেছি। আর আজ যখন সব অপেক্ষার অবশান ঘটলো তখন তুই পালিয়ে যাবি? না রেডলিপ, তুই আমারই হবি—তোর ইচ্ছা থাকুক বা না থাকুক!”

বলেই আরভিদ মেহজার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়—হঠাৎ ঝড়ের মতো, যেন বহুদিন ধরে জমে থাকা আকাঙ্ক্ষার বিস্ফোরণ। মেহজা ছটফট করে, অস্থির হয়ে ওঠে নিজের অজান্তেই। নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে, কিন্তু আরভিদের বাহু ছিল যেন পাথরের খাঁচা—শক্ত আর গভীর কোনো অঙ্গীকারে বাঁধা।
প্রথমদিকে চুম্বনটা ছিল রুক্ষ, দাবিদার। ঠোঁটের প্রতিটা চাপ যেন বলে দিচ্ছিল, “তুই আমার, শুধুই আমার“।
তবে ধীরে ধীরে সেই তীব্রতা কমে আসে, জায়গা নেয় এক গভীর কোমলতা। আরভিদের ঠোঁট এবার যেন থেমে থেমে ভালোবাসা বলে যাচ্ছে। তাতে তাড়াহুড়ো নেই—শুধু একরাশ অনুভব আর একরকম মুগ্ধতা।
এভাবেই কেটে যায় কিছু মুহূর্ত।

আর ঠিক তখনই, আচমকা—আরভিদ মেহজার নিচের ঠোঁটে বসিয়ে দেয় এক স্নেহময় অথচ চঞ্চল কামড়,
যেন শেষ চুম্বনটায় মিশিয়ে দেয় কিছু অভিমানের রেশ, কিছু পাগলামির দাগ। মেহজা স্তব্ধ। তার ঠোঁটে এখনো লেগে আছে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সেই স্পর্শের অস্বস্তি। কামড়ের জায়গায় একরকম জ্বালা—ব্যথা, অচেনা একটা ক্রুদ্ধ স্মৃতি। মনে হচ্ছে, এই মুহূর্তটা চাইলেও সে ভুলতে পারবে না। না কোনোদিন।
আরভিদ মেহজার চিবুকের কাছে মুখ নিয়ে যায়, তার গায়ের ঘ্রাণ গভীরভাবে টেনে নেয় নিঃশ্বাসে।
তারপর কানের পাশে ঠোঁট ছুঁইয়ে, গলার তলদেশে নামিয়ে আনে স্বরটা—নরম, কিন্তু বিষ মেশানো সেই নরমে।

— “তোর এই শরীর আমার পাগলামির বন্দী, আমার ছাড়া কেউ এর স্বাদ চেখে দেখার সাহস পাবে না। একবার ছুঁলেই ঝলসে দিয়ে ছাই করে দেবো, তুই আমার—চোখ বন্ধ করলেও পালাবার জায়গা নেই।“
মেহজা চোখ বন্ধ করে নিঃশ্বাস টেনে নেয়। সে রাগে কাঁপছে, কিন্তু তার শরীর এক অজানা টানটান উত্তেজনায় জমে গেছে।
আরভিদের ঠোঁট এবার গলায়—সেখান থেকে ধীরে ধীরে নামছে বুকের সেই উন্মুক্ত ভাঁজে, যেখানে শাড়ির পাড় একটু সরে গিয়ে ত্বককে করেছে উন্মোচিত। তার নিঃশ্বাস ছুঁয়ে যাচ্ছে প্রতিটা ইঞ্চি, আর ছোঁয়ায় শুধু তাপ নয়—ছিল দাবিদার এক ধরণের জ্বালা, নিঃশব্দ দহন।

— “তুই শুধু আমার ভালোবাসা না, তুই আমার উন্মাদনা, আমার বন্দিনী, আমার আসক্তি, আমার হিংস্রতা সব! তোকে পাওয়ার জন্য আমি তোকেও শেষ করতে পারবো! কিন্তু তোকে আমার লাগবে!“
মেহজা এবার ঠেলে সরাতে চায় আরভিদকে, কিন্তু তার হাত দুটো যেন শক্ত শেকলে বাঁধা পড়ে গেছে।
— ছাড়ুন আমাকে! আপনি পাগল!
আরভিদ হেসে ওঠে। না, খোলামেলা নয়। ঠাণ্ডা, হিসেবি, বিকৃত এক রকম তৃপ্তির হাসি।
— পাগলই তো! তোর জন্য পাগল হয়েই তো সাত বছর বেঁচে আছি। তুই যখন হাঁটিস, আমি দেখি কোন দিকে তাকাস। তুই যখন হাসিস, আমি গুনে রাখি কার জন্য হাসলি।
মেহজার শরীর কাঁপতে শুরু করে—শুধু রাগে নয়, এবার ভয়েও। কিন্তু এই ভয়টা আরভিদের জন্য নয়, বরং তার ভেতরের হিংস্রতা-ভরা কথাগুলোর মধ্যে—

সে বুঝে যায়, এই মানুষটা কেবল দাবিদার নয়, সে ধ্বংসকরও।
এই লোকটা তাকে ভালোবাসে না, গ্রাস করতে চায়। ছায়ার মতো নয়, আগুনের মতো। সে যেন ধীরে ধীরে উপলব্ধি করে—এই সম্পর্ক তাকে ভালোবাসবে না, গিলে ফেলবে। একটা গলা টিপে ধরা বোধ যেন বুক চেপে ধরে। সে বোঝে, তার পুরো জীবনটাই হয়ে উঠবে এক ভয়াবহ বন্দিত্ব—যার দরজায় “ভালোবাসা” লেখা, কিন্তু ভেতরে শুধুই ছায়া আর শূন্যতা।
আরভিদ এবার মেহজাকে ধরে রাখা শক্ত বাধনটা হঠাৎই ছেড়ে দেয়। এক হাতে কোমর জড়িয়ে, অন্য হাতটা মেহজার গালে রেখে সে বলে ওঠে শান্ত অথচ ধারালো কণ্ঠে,

— কাজি কবুল বলতে বললেই সঙ্গে সঙ্গে কবুল বলবি।
কারণ অপেক্ষা করাতে পারবি, কিন্তু আমার হয়ে যাওয়া থামাতে পারবি না। অবধারিত তুই—তাই তোকে আমার হতেই হবে।
এই কথা বলেই সে মেহজাকে ছেড়ে দরজা খুলে বের হয়ে যায়। মেহজার চোখ থেকে একফোঁটা জল টুপ করে গড়িয়ে পড়ে।

আরভিদ কারদার—বয়স ৩৩। বড় মামার ছেলে। পেশায় আইনমন্ত্রী। ছয় ফুট দুই ইঞ্চি লম্বা, ফর্সা গাত্রবর্ণ, সুগঠিত দেহ, আর ব্যক্তিত্বে তেজ ও আভিজাত্যের ছাপ। ধূসর চোখে একরকম রহস্য, হাসলে বাম গালে পড়ে হালকা টোল। গালে চাপা দাড়ি, ঠোঁটে হালকা গোলাপি আভা। সব মিলিয়ে চেহারায় সৌন্দর্য আর দৃঢ়তার অপূর্ব মিশেল।
আরভিদের সঙ্গে মেহজার তেমন কথা হতো না, দেখা হলে কেবল সৌজন্যমূলক কথাবার্তায় সীমাবদ্ধ থাকতো। কিন্তু এখনকার আরভিদকে দেখে সে স্তব্ধ—এই আরভিদের সঙ্গে আগের চেনা আরভিদের কোনো মিল নেই। যেন একেবারে ভিন্ন একজন মানুষ, যার ভয়ংকর রূপের সঙ্গে মেহজার আগে কোনো পরিচয় ছিল না।

সে ভালোই বুঝতে পারছে—এই বিয়ে নামক সম্পর্কই তাকে শেষ করে দিবে, অথচ সে নিজেকে বাঁচানোর কোনো পথও দেখতে পাচ্ছে না। সে জানে—বন্দী জীবন তার সবচেয়ে বড় ভয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখন সে সেই ভয়াবহ জীবন থেকে মুক্তির কোনো দিকও খুঁজে পাচ্ছে না। ঠিক তখনই রুমের দরজা খোলা হয়। দুজন কিশোরী একসঙ্গে ঢুকে পড়ে। তারা প্রথমে থমকে যায় মেহজাকে এভাবে দেখে—চোখে শূন্যতা, মুখে আতঙ্ক।
একজন এগিয়ে এসে উদ্বিগ্ন গলায় বলে,

— আপু… কী হয়েছে তোমার? এইভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেন?
মেহজা কোনো কথা বলে না। শুধু তাকিয়ে থাকে ফাঁকা চোখে।
মেয়েটি আবার প্রশ্ন করে,
— আপু, উত্তর দাও না… কী হয়েছে বলো!
মেহজা যেন হঠাৎ বাস্তবতায় ফিরে আসে। মেহজা মেয়েটির হাত আঁকড়ে ধরে কাঁপা কণ্ঠে বলে ওঠে,
— মিশ… মিশান, আম্মু কোথায়? আম্মুকে… প্লিজ, ডেকে দে!
মিশান হতভম্ব হয়ে যায়। কারণ তার প্রাণবন্ত আপুর মুখে যে ভয় সে দেখছে, সেটা মেহজার স্বভাব নয়। কিছুক্ষণ আগেও, যখন সে ও তার মা মেহজাকে সাজিয়ে দিয়েছিল, তখন মেহজা স্বাভাবিকই ছিলো। তাহলে হঠাৎ এমন কী হলো? মিশান ছুটে তার মা—আস্মিতা তালুকদারকে—ডাকতে চলে যায়।
আরেকজন ধীরে ধীরে মেহজার কাছে এসে দাঁড়ায়। কণ্ঠে ধোঁয়াশা, কিন্তু চিন্তায় ভারী,

— মেহু… তোর কী হয়েছে ? এমন করছিস কেন? কাঁপছিস যে?
মেহজার ঠোঁট কাঁপে, শরীরটাও। সে অস্পষ্ট কণ্ঠে বলে,
— অ…অর্তি… তোর ভাইয়া একটা সাইকো…!! সে যেমন দেখায়, তেমন না…!
মেহজার কথা শুনে মুহুর্তেরই স্তব্ধ হয়ে যায় অর্তিহা। তার মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে যায়, ঠোঁট কেঁপে ওঠে অজান্তেই। চোখের পাপড়ি থেমে যায় যেন—সে আর চোখের পলক ফেলতে ভুলে গেছে। বুকের ভেতরটা কেমন করে ওঠে, যেন হঠাৎ জমে আসছে নিঃশ্বাসটা। পুরনো কিছু দৃশ্য একে একে ভেসে ওঠে মনে।
ধীরে ধীরে নিজের মনে বলে ওঠে,

— তাহলে কি ভাইয়াও ওর মতো?
ঠিক সেই মুহূর্তে রুমে ফিরে আসে মিশান, সঙ্গে করে নিয়ে আসে আস্মিতা তালুকদারকে। মেহজা তার মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলে,
— আম্মু! আরভিদ ভাইয়া পাগল! উনি মানসিকভাবে অসুস্থ! উনার সাথে আমার বিয়ে হলে আমি বাঁচবো না আম্মু, উনি আমায় মেরে ফেলবে!
আস্মিতা তালুকদার ভীষণ রেগে গিয়ে মেহজাকে ছাড়িয়ে বলে,
— মেহজা! আরভিদের নামে আর একটা মিথ্যে কথা বললে চড় দেবো! এইসব বলে তুই কী ভেবেছিস? বিয়ে ভেঙে যাবে?
— না, আম্মু! আমি মিথ্যে বলছি না… উনি একটু আগে আমার…
— চুপ! আর একটা শব্দ নয়। কাজি কখন থেকে এসে বসে আছে, তাড়াতাড়ি চল, ওরা তোকে ডাকছে!
— আম্মু, প্লিজ…

আস্মিতা তালুকদার মেহজার কথা না শুনেই তাকে সবার ঘরের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। পেছনে অর্তিহা কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে কিছু ভাবে তারপর চুপচাপ ওদের পেছনে বসার ঘরের দিকে এগিয়ে যায়। সেখানে কাজিসহ বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন—উপস্থিত সবাই। মেহজার চোখ পড়ে আরভিদের উপর। তার মুখে শান্তি আর সংযমের মুখোশ—যেন কিছুই ঘটেনি। তবে মেহজার মনে ঠিকই বাজছে সেই রুমের দৃশ্যের প্রতিধ্বনি। সে ভয়ে সিটিয়ে পড়ে।
মেহজাকে বসানো হয় তার বাবা মাশরিফ তালুকদার ও ছোট মামা আফির কারদারের মাঝে। সামনের সোফায় বসে আছে আরভিদ, তার বাবা আভীর কারদার, ও মা তাহিয়া কারদার। কাজি বিয়ে পড়ানো শুরু করে। প্রথমে আরভিদকে কবুল বলতে বললে সে সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট স্বরে কবুল বলে।
এরপর মেহজার দিকে তাকিয়ে কবুল বলার অনুরোধ করে কাজি। কিন্তু মেহজা চুপ। মাশরিফ বারবার তাকে বলে,

— কবুল বল আম্মু , কবুল বল।
কিন্তু মেহজা তখনো ভাবনায় নিমগ্ন। এই বিয়ে তার জীবনের কাল হতে চলেছে—এই বিশ্বাসই যেন বুকটা চেপে ধরে। অর্তিহা নিষ্প্রাণ চোখে তাকিয়ে থাকে আরভিদের দিকে, তারপর চোখ ফেরায় মেহজার দিকে। মেয়েটার চোখেমুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট—যেন আরভিদকে দেখে আতঙ্কিত। অথচ মেহজাই তো পরিবারে একমাত্র মেয়ে, যার মাঝে ভয়ডর বলতে কিছু নেই! তবে কি ভাইয়া তাকে ভয় দেখিয়েছে? যেমনটা তাকে দেখানো হয়! তবে কি ভাইয়াও একই রকম হিংস্র?
হঠাৎ মেহজা চোখ তোলে। আরভিদের দিকে তাকাতেই গা শিউরে ওঠে। শান্ত মুখের আড়ালে থাকা চোখের ভাষা যেন স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছে,

— তুই যতবার আমাকে অপেক্ষায় রেখেছিস, আমি ভেতরে ভেতরে জ্বলে উঠেছি। এবার আর অপেক্ষা করিয়ে নিজের শাস্তি বাড়াস না।
মেহজা ঢোক গিলে ফেলে। তারপর ধীরে উচ্চারণ করে,
— কবুল।
সবাই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। তবে বিয়ের রীতিমতো আরও দুইবার কবুল বলা বাকি। চোখ বন্ধ করে, সমস্ত ভয় আর বেদনা বুকের ভেতর চেপে ধরে মেহজা আরও দুইবার উচ্চারণ করে,

— কবুল… কবুল…।
এই শব্দের সাথেই মেহজা চিরতরে বন্দি হয়ে গেল আরভিদ কারদারের জীবনে।
কবুল বলার কয়েক মিনিট পর যখন সবাই মিষ্টি মুখে ব্যস্ত, ঠিক তখনই মেহজা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে সোফায় লুটিয়ে পড়ে। তার এই আচমকা জ্ঞান হারানোয় পুরো ঘরে নেমে আসে স্তব্ধতা। কেউ তখনো জানে না, ভয় আর মানসিক চাপে জোর করে দেওয়া এই বিয়েই তাকে এতটা ভেঙে দিয়েছে।

মোহশৃঙ্খল পর্ব ২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here