যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ১৫
মম সাহা
একটি শীতে জুবুথুবু গার্ডেন। ফুটেছে কত বিদেশিনী ফুল। কারো রং নীলাভ তো কেউ দীপ্ত সূর্যের মতন কমলা। বরফের সাদা স্তূপ আবার সেই গাঢ় রঙের ফুল গুলোকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করছে দিন-রাত। সেই চেষ্টার ফাঁকফোকরে দু-একটা ফুল মুখ তুলে তাকিয়েছে। তাদের সুখী সুখী রঙ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে চারপাশে। এই সুন্দর দৃশ্যটিই বেশ অনেকটা সময় যাবত দেখে যাচ্ছে চাঁদনী। তার পাশেই টুইংকেল বসে রাজ্যের আলাপ করছে। সে গিয়েছিলো আরেকটা সিটিতে তার বাবার বুটিক হাউজের কাজে। যদিও বাবাই সব কাজ করেছেন সে কেবল ঘুরে বেড়িয়েছে। এই ঘুরে বেড়াতে গিয়ে কী কী দেখেছে তা-ই বেশ রমরমা করে বলছে।
ওদের ঠিক পাশের বেঞ্চিতেই লুসেফ বসে আছে। চোখ-মুখ তার গম্ভীর, স্থির। ইংরেজ মানবের মুখে আজ চঞ্চলতা নেই। আগ বাড়িয়ে কথা বলার আগ্রহ নেই। চাঁদনী বেশ অনেকটা সময় যাবতই এটা খেয়াল করেছে। এবং কেনো এই মানব চুপচাপ সেটাও সে জানে। তাই কথায় ব্যস্ত থাকা টুইংকেলকে কিছুটা থামিয়ে চোখের ইশারা করল। টুইংকেল বুঝলো না সেই ইশারা। ভ্রু বাঁকিয়ে বলল,
“কী হয়েছে, আপু?”
চাঁদনী আবারও লুসেফের দিকে ইঙ্গিত দিলো। বিড়বিড় করে বলল, “লুসেফের যে মুখ ভার খেয়াল করেছো, টুইংকেল?”
টুইংকেল এবার লুসেফের দিকে তাকালো। সেই গম্ভীর মুখটা দেখে তারপর কিছুটা গা-ছাড়া ভাবে বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“মুখ ভার হলে, ভার হোক। আমার কী! কী হয়েছে ওর?”
চাঁদনী টুইংকেলের দিকে তাকালো। চাপা স্বরে বলল, “কী হয়েছে ওর তুমি বুঝছো না?”
চঞ্চল টুইংকেল ঠোঁট উল্টে বলল, “না তো। কী হয়েছে?”
“তুমি যে এতদিন ওকে ছাড়া আরেক শহরে ছিলে, তাই ওর মন খারাপ হয়েছে। ছেলেটা তো তুমি বলতে অন্ধ, জানো না? তাহলে কেন শুধু শুধু এত কষ্ট দেও ওকে?”
টুইংকেল চাঁদনীর কথা গায়েই মাখলো না। বরং হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলল, “ধ্যাত, কী যে বলো না! দেখো গিয়ে হয়তো ব্যক্তিগত জীবনে কোনো সমস্যা হয়েছে।”
“যদি ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা হয়েও থাকে, সেটা কি তোমার জানতে চাওয়া উচিত নয়? তুমি তো ওর বন্ধু তাই না?”
টুইংকেল এবার মাথা নাড়ালো। চাঁদনীর কথা মেনেই সে উঠে গেলো লুসেফের কাছে। লুসেফের পিঠে আলতো চড় দিয়ে পাশ ঘেঁষে বসতে বসতে বলল,
“কী ব্যাপার, লুসেফ? মন খারাপ কেনো তোমার? কী হয়েছে?”
লুসেফ ছেলেটার যেন জান ফিরে এসেছে। ছোটো কিশোরীর ন্যায় মাথা ঝাঁকিয়ে, ঠোঁট ফুলিয়ে বলল,
“তোমার এতক্ষণে মনে হয়েছে আমি এইখানে আছি?”
টুইংকেল ভ্রু বাঁকিয়ে বলল, “হ্যাঁ, এতক্ষণে মনে হয়েছে। এবার বলো কাহিনি কী? মুখ ভার কেন?”
লুসেফ এবার বিনা দ্বিধায় টুইংকেলের হাতটা টেনে নিলো নিজের হাতে। আকুল হয়ে বলল, “আমায় রেখে তুমি এতদিন কীভাবে ছিলে? আমার যে দুঃক্ক হয়েছে।”
টুইংকেল বিব্রত চোখে তাকিয়ে হাতটা ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে করতে বলল, “ওটা দুঃক্ক নয়, দুঃখ হবে।”
এই দু’জনের মান-অভিমানে চাঁদনী নিজের উপস্থিতিটাকে বড়ো অপ্রয়োজনীয় মনে করল। তাই মৃদু হেসে সে নীরবেই উঠে গেলো। পার্ক ছেড়ে বেরিয়ে গেলো খুব ধীরে। অচঞ্চল পায়ে।
বেশিদূর হাঁটতে হলো না। তার আগেই তার সামনে উপস্থিত হলো মৃন্ময়। ঠোঁটে ঝুলানো ছেলেটার লম্বা হাসি। হালকা বাতাসে মৃদু মৃদু কাঁপছে ছেলেটার সিল্কি চুল গুলো। কয়েক দিনেই বরফের দেশে থেকে চমড়া সাদা হয়ে গেছে তার।
মৃন্ময়ের হাসির বিপরীতে হাসি ফিরিয়ে দিলো চাঁদনী। আজ আর তার খারাপ অতীত মনে পড়ে দুঃখ হলো না। চোখের সামনে মূর্ছা গেলো না বেদনার ইতিহাস। বরং আজ সে আগের চেয়েও স্বস্তিবোধ করছে।
চাঁদনীর অকৃত্রিম হাসিটা দেখে মৃন্ময়ের বেশ ভালো লাগলো। সাহসও বাড়লো কিঞ্চিৎ। আগ বাড়িয়ে বলল, “ভালো আছেন, ইন্দুবালা?”
চাঁদনীর মৃদু স্বরে উত্তর, “হ্যাঁ। তুমি?”
ছোটো বাচ্চাদের মতন মাথা নাড়িয়ে মৃন্ময় জবাব দিলো, “আমিও ভালো আছি। কোথায় যাচ্ছেন?”
“এই তো, বাড়ি যাচ্ছি।”
মৃন্ময় এবার কিছুটা চুপ থেকে তারপর ছোটো বাচ্চাদের মতন অনুমতি চাওয়ার ভঙ্গিমাতেই বলল, “আমিও যাই? বাড়িতে ঢুকবো না কেবল গেইট অব্দি যাবো।”
চাঁদনী এবার চোখ উঠিয়ে তাকালো মৃন্ময়ের দিকে।
চাঁদনীর তাকানো দেখে মৃন্ময় প্রথমে ভেবেছিলো যদি না করে দেয়! কিন্তু আদতে তা হলো না। মেয়েটা নিষেধ করলো না। বরং মাথা নাড়িয়েই বলল,
“হ্যাঁ, চলো।”
মৃন্ময়ের কাছে এই সম্মতি অনাকাঙ্খিত ছিলো। সেদিনের চাঁদনীর অমন ব্যবহারের পর মৃন্ময়ের যদিও সাহস হচ্ছিলো না আবার নতুন করে চাঁদনীর সামনে এসে দাঁড়ানোর। ভাগ্যিস আজ এসে দাঁড়িয়েছিলো!
বাকিটুকু পথ হাঁটলো ওরা বেশ হালকা কথোপকথনে। সেই কথায় অনেককিছুই জানলো। জানা হলো মৃন্ময়ের বাড়ির অবস্থান। মৃন্ময়ের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের কথা। শাহাদাতের কথাও উঠলো এখানে। চাঁদনী চাতক পাখির মতন সেই কথা মোটেও শুনলো না। বরং আর পাঁচটা মানুষের কাহিনি যেভাবে শুনেছিল, সেভাবেই শুনলো। নিজের ভাইয়ের কথা বলার সময় মৃন্ময় বারবার চাঁদনীর মুখাবয়বের দিকে তাকাচ্ছিলো। পাছে যদি নারীটি রেগে যায়! কিন্তু রাগের ছিটেফোঁটা দেখা গেলো না। এই বদলে যাওয়া নারীটিকে দেখে মৃন্ময়ের খারাপ লাগছিলো না। বরং ভালো লেগেছে। আবার মনের কোথাও একটা ভয়ও দেখা দিচ্ছিলো। এই এতটা ঠান্ডা নারী চরিত্র মৃন্ময়ের করা অপরাধ কীভাবে ক্ষমা করবে? যাকে দীর্ঘ দিন যাবত ভালোবেসে ছিলো তার কথা শুনে এমন ভাবে স্থির রইলো যেন কখনো ঐ নামে কাউকে চিনতোও না। এই পরিবর্তন কতটা ভয়ঙ্কর! আর মৃন্ময়ের এমন অন্যায়ের পরও একবারও জিজ্ঞেস অব্দি করেনি কেন করেছে এমন, তাহলে কতটা ভয়াবহ হবে মৃন্ময়ের প্রতি মেয়েটির অভিযোগের ধরণটা?
কথা শেষে হওয়ার আগেই চাঁদনী নিজের বাড়ির সামনে চলে এলো। সাদা ধবধবে বাড়িটি বাঁকানো ধাঁচের। চাঁদনী বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বলল,
“ভেতরে আসো, মৃন্ময়।”
মৃন্ময়ের কাছে সবটাই অপ্রত্যাশিত লাগছে। যদি চাঁদনী তার উপর রাগ দেখাতো, তাকে চড় থাপ্পড় দিতো তাহলে বোধহয় তার কাছে ব্যাপারটা স্বস্তির লাগতো। চাঁদনীর এতটা স্বাভাবিক আচরণ মৃন্ময়ের কাছে গলার কাঁটার মতন মনে হলো। তার এমন নিকৃষ্ট অন্যায়ের পর চাঁদনীর নীরবতাই বোধহয় সবচেয়ে বড়ো শাস্তির মতন ঠেকলো।
“না, আজ নয়। আরেকদিন আসবো, ইন্দুবালা।”
চাঁদনী মাথা কাত করে ‘আচ্ছা’ বলেই বড়ো গেইটটা ঠেলে ভেতরে চলে গেলো। মৃন্ময় দাঁড়িয়ে রইলো এক বুক হতাশা নিয়ে। তার মন কেন যেন বলছে, এই জীবনে সে চাঁদনীর থেকে সব পেলেও, ভালোবাসাটা পাবে না। যদি ভালোবাসা পাওয়ার হতোই তাহলে তার প্রতি চাঁদনীর একটু হলেও রাগ, অভিমান থাকতো। কিন্তু চাঁদনী তাকে মনের এমন কোথাও রাখেনি যেখানে রাখলে কারো প্রতি অভিমান জন্মায়। মৃন্ময় আগাগোড়া পুরোটাই মনের বাহিরে থাকা মানুষ। অতিথি পাখি। চিরস্থায়ী নয় যার অবস্থান।
মাথার উপরে ফ্যান চলছে। আগস্টের শেষ তারিখে এসে এমন অসহ্য গরমটায় নাজেহাল যেন চারপাশ। শূন্যতার দুপুরে মাথার উপর খুব দূর থেকে ডেকে উঠছে কাক। অসহ্য তার গলার স্বর। অসহ্য তার ডাক।
চিত্রা বসে আছে পা ঝুলিয়ে, তার পাশেই বসা তমসা। চঞ্চল, দূরন্ত মেয়েটির ঠোঁট কথায় কথায় ছুটছে ভয়ঙ্কর বেগে। কথার বুলি উপচে পড়ছে খইয়ের মতন। এসেছে প্রায় এক ঘন্টা হলো। এই এক ঘণ্টা যাবত কথাই বলে যাচ্ছে। সে কত কথা! কখনো কথা বলতে বলতে নিজেই হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে, কখনো বা মুখ ভার করছে, কখনো টলমল করছে চোখের জল।
চিত্রা এই কথার স্রোত থামিয়ে বলল, “বসো, কফি নিয়ে আসি?”
তমসা আটকে দিলো চিত্রাকে হাত ধরে। উজ্জ্বল চোখ-মুখ মেয়েটার,
“না না, আপি। আমি কফি খাই না।”
“তাহলে চা নিয়ে আসি?”
চায়ের কথা শুনতেই তমসা নাটকীয় ভঙ্গিতে লজ্জা পেলো। হাতটা ছেড়ে দিলো খুব ধীরেই। গায়ে জড়ানো ওড়নাটার কোণা মোচড়াতে মোচড়াতে বলল, “চা হলে ঠিক আছে। আমি আবার ইদানীং চা খাচ্ছি।”
“আগে খেতে না?”
“না তো। আগে কি আর স্যারের সাথে পরিচয় হয়েছিলো না-কি!”
চিত্রা এবার ভ্যাবাচেকা খেলো, “চায়ের সাথে স্যারের সম্পর্ক কী?”
“এমা, স্যার তো চা খায়।”
“হ্যাঁ, তো?”
“সেজন্যই আমিও এখন চা খাই। কড়া লিকার দিয়ে র’ চা। তেঁতো লাগে যদিও অনেক তবু্ও খাই।”
চিত্রা উৎসাহী নয়নে তাকিয়ে শুধালো, ”তেঁতো লাগলেও খাও কেন?”
“স্যার খায় বলে। স্যার খেতে পারলে আমি পারবো না কেন?”
“স্যার যা খায় তা তোমার খেতে হবে কেন?”
“খেয়ে দেখছি, স্যার কীভাবে খেয়ে থাকে। করলা খাচ্ছি এখন। ডিম সেদ্ধ করে ভাত মাখিয়ে খাচ্ছি। গরমে ফ্যান বন্ধ করে থাকছি। দেখছি, স্যারের এগুলো করতে কেমন লাগে।”
তমসার পাগলামো দেখে চিত্রা ভাষাহারা হয়ে গেলো। ভেতর ভেতরে বিস্ময়ে ফেটে পড়লোও বাহিরে নিজেকে যথেষ্ট সংযত রাখলো। বলল,
“পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষ আলাদা, তমু। স্যার করেন বলে তোমাকেও করতে হবে এমনটা কি কোথাও লিখা আছে? তুমি তোমার মতন, সে তার মতন।”
“কিন্তু আপি, আমার এসব করতে ভালো লাগে।”
“কিন্তু এসব করাটা উচিত না, তমু। তোমার মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে!”
তমু এবার অকপটে গাল ভরে হাসলো। চিত্রার কিছুটা কাছাকাছি গিয়ে ফিসফিস করে বলল,
“আপি, আরেকটা সিক্রেট বলবো?”
চিত্রা মাথা নাড়িয়ে বলল, “হ্যাঁ বলো।”
তমু চারপাশে তাকালো। নিশ্চিত হলো প্রথমে যে তাদের চারপাশে কেউ নেই। তারপরই একটি ভয়ংকর কথা বলে উঠলো,
“আপি, আমি না সিগারেটও খেয়েছি কয়েকবার লুকিয়ে।”
চিত্রা এবার থতমত খেয়ে গেলো। এই মেয়েকে দেখে তার মাথা ঘুরছে। এমন পাগল আর একটা আছে? নাকি, বাহার ভাইকে যে-ই ভালোবাসে, সে-ই পাগল হয়ে যায়!
বিকেল হওয়াতে তমুকে এগিয়ে দিলো চিত্রা। জন সমাগমে পূর্ণ রাস্তা। ল্যাম্পপোস্টের আলো গুলো রাস্তা জুড়ে এক্কা-দোক্কা খেলছে যেন।
চিত্রা এধার, ওধার তাকাতে তাকাতে হাঁটছে। কোলাহলপূর্ণ রাস্তাটায় গাড়ির শব্দ, মানুষের শব্দ, হকারের হাঁক মিলেমিশে একাকার।
তখনই চিত্রার সামনে ঝালমুড়ির প্যাকেট এগিয়ে দিলো একটি পুরুষালী হাত। ভারিক্কি স্বরে বলল,
“ঝালমুড়ি নাও।”
চিত্রা আচমকা ঝালমুড়ি পেয়ে অবাক হয়ে সামনে তাকালো। বাহার ভাই তখন এক নাগাড়ে সিগারেট ফুঁকতে ব্যস্ত।
চিত্রাকে ঝালমুড়ির প্যাকেটটা নিতে না দেখে তাড়া দিলো বাহার ভাই,
”নিচ্ছো না কেন?”
“আমি কি চেয়েছি ঝালমুড়ি?”
“আগে তো চাইতে!”
“সেটা অতীত।”
“অতীত, বর্তমান বলতে কিছু আমি বিশ্বাস করি না, রঙ্গনা। আমি এখন আছি, আমি এখনটাকেই কেবল বিশ্বাস করি। ঝালমুড়িটা নাও। বেকারের বিশ টাকা বিশ হাজারের সমান।”
চিত্রা দোনোমনা করে ঝালমুড়িটা নিলে। বাহার হাসলো আলগোছে।
“আপনি সিগারেট টানেন কেন এত?”
“অভ্যাস।”
“ওহ্।”
ছোটো শব্দটি উচ্চারণ করেই চুপ হয়ে গেলো চিত্রা। বাহার সিগারেটটুকু শেষ করেই দূরে ফেলে আবার আরেকটি সিগারেট সাথে সাথে জ্বালিয়ে ফেললো।
তা দেখে চিত্রা কিছুটা অবাকই হলো। পর পর সিগারেট তো লোকটা খান না!
কোলাহল ক্রমে ক্রমে বাড়ছে চারপাশে। ধিক্ ধিক্ জ্বলছে নিয়ন বাতি গুলো। চিত্রা ঝালমুড়ি খেতে খেতে দু’টো সিগারেট শেষ করলো বাহার ভাই। তৃতীয় সিগারেটটার বেলা চিত্রা আর চুপ থাকতে পারল না।
“এত সিগারেট খাচ্ছেন কেন? আজব!”
“আমার ইচ্ছে।”
“ইচ্ছে বলেই পাশে দাঁড়িয়ে এভাবে সিগারেট ফুঁকবেন? আমার পুরো চারপাশে যেন সিগারেটের গন্ধ আসছে। গা থেকেও গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অসহ্যকর গন্ধ।”
“সেটা তো তোমার বখাটেকে ভালোবাসার আগে বুঝা উচিত ছিলো!”
বড্ড ত্যাড়া ত্যাড়া কথা বলছে লোকটা। চিত্রা হাপুস নয়নে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল,
যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ১৪
“এই বদ অভ্যাস ছাড়বেন কবে?”
সাথে সাথে সিগারেটটা ফেলে দিলো বাহার ভাই। পা দিয়ে নিভিয়ে দিলো সিগারেটের ছোট্টো আগুনের ফুলকিটুকু।
বিড়বিড় করে বলল,
“তুমি বললে তো কবেই ছেড়ে দিতাম! সব ছেড়ে দিলাম, এ তো শালার সামান্য নিকোটিন!”
অথচ রঙ্গনা শুনলে তো! কিছু গভীর কথা গোপনে থাকা শ্রেয়।